Professional Documents
Culture Documents
Masjid Al Aska
Masjid Al Aska
এরপরও মসজিদ আল-আক্বসা সম্পর্কি ত এমন কিছু তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন
করছি যেগুলো হয়তো আপনি পূর্বে অবগত ছিলেন না।
জি হ্যাঁ – এখানে বেশকিছু মসজিদ রয়েছে, যেগুলোকে আমরা মসজিদ আল-আক্বসা
হিসেবে জানি। একদম দক্ষিণ দিকের দালানটিকে আমরা মসজিদ আল-আক্বসা মনে করি।
প্রকৃ তপক্ষে সেটা হচ্ছে কিবলি মসজিদ। কিবলার নিকটবর্তী হওয়ায় মসজিদটির এমন
নামকরণ করা হয়েছে। গোটা পর্বতটিই মূলত মসজিদ আল-আক্বসা। বিভ্রান্তি দূর করার জন্যে
একে মাঝেমাঝে হারাম আল-শরীফ বলেও অবহিত করা হয়। তবে সেখানে আরও অনেক
মসজিদ রয়েছে এবং সেগুলোও ঐতিহাসিক ঘটনাবলির সাথে সম্পৃক্ত। এর মাঝে
উল্লেখযোগ্য হলো বুরাক্ব মসজিদ, মারওয়ানি মসজিদ ইত্যাদি।
স্থানটিতে কয়জন নবীকে এবং নবী (সাঃ) এর সাহাবি্কে সমাহিত করা হয়েছে তাঁর নির্দি ষ্ট
কোনো হিসেব নেই। তবে অনেকগুলো কবর রয়েছে সেখানে। সুলাইমান (আঃ) কে খুব
সম্ভবত এখানেই সমাহিত করা হয়েছিল। কেননা নবীগণ যেখানে মৃত্যুবরণ করেন সেখানেই
তাদের কবর দেয়ার বিধান। আর সুলাইমান (আঃ) ঐতিহ্যবাহী কিছু ইমারত নির্মাণ তদারকি
করার সময় ওই স্থানেই মৃত্যুবরণ করেন।
ইসলামি সাহিত্যের বিখ্যাত রচনাগুলোর মধ্যে একটি হলো প্রখ্যাত আলেম আবু হামিদ
আল-গাজ্জালি রচিত ‘ইহইয়া উলুম আদ-দিন’। তিনি এমন একজন ব্যক্তিত্ব যাকে সকল
মাযহাবের মানুষ সমানভাবে শ্রদ্ধা করেন। কারণ তিনি কু র’আন ও হাদিসের ওপর পূর্ণ আস্থা
রেখে অনায়াসে ডু ব দিতে পারতেন মানবাত্মার অতল গহ্বরে। আল-গাজ্জালি সম্পর্কে যে
তথ্যটি বেশিরভাগ মানুষের অজানা তা হলো, তিনি মসজিদ আল-আক্বসায় বাস করতেন
এবং তাঁর বিখ্যাত বইটি তিনি এখানে বাসরত অবস্থায় লিখেছিলেন। মসজিদ ভবনের এক
অংশে তাঁর পুরোনো রুমটি চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে।
প্রথম ক্রু সেডররা যখন জেরুজালেম দখল করে নিল তখন তারা মসজিদ আল-আক্বসার
ভেতরে অধিকাংশ মুসলিমকে আটক অবস্থায় পেল। প্রায় ৭০,০০০ বন্দিকে তারা জবাই
করেছিল। এরপর কিবলি মসজিদকে পরিণত করলো প্রাসাদে, পাথরের গম্বুজটিকে
ভোজনাগারে আর ভূ গর্ভ স্থ কু ঠু রিকে আস্তাবলে। প্রাথমিক গণহত্যা থেকে যে মুসলিমরা বেঁচে
গিয়েছিল তাদেরকে পরবর্তীতে মসজিদের কেন্দ্রে এনে বিরাট এক ক্রু শে বিদ্ধ করে হত্যা করা
হয়েছিল। শুধু এই ক্রু শটি সালাহ-উদ্দিন এসে ভেঙেছিলেন। ক্রু শের ভিতটি এখনো সেখানে
রয়ে গেছে।
ইসলামের ইতিহাসে নির্মিত প্রথম গম্বুজ ছিল এটি। নির্মাণ করেছিলেন উম্যাইয়া খলিফা
আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান। শুরুতে গম্বুজটি ছিল কাঠের তৈরি যার ওপর ছিল পিতল,
সীসা অথবা চীনামাটির আবরণ। প্রায় এক হাজার বছর পর অটোমান সাম্রাজ্যের মহান
খলিফা সুলাইমানের শাসনামলে গম্বুজটিতে স্বাতন্ত্রসূচক সোনার প্রলেপ দেয়া হয়। আর
ভবনের সদর দরজায় টাইলস করা হয়।
মসজিদ আল আক্বসাকে অবমাননা করা হলে কী হবে তা কখনো ভেবে দেখেছেন? পাথরের
গম্বুজের ওপর যখন দখলদারী সেনাদের পতাকা উড়বে বা মসজিদটি যখন জ্বলেপুড়ে
ছারখার হয়ে যাবে তখন কী হবে ভেবেছেন? মুসলিম বিশ্ব কি কখনো তা হতে দিতে পারে?
ভেবে দেখুন।
পৃথিবীর সবচেয়ে বিরোধপূর্ণ এলাকার নাম বলতে গেলে যে ভূ মিটির নাম সবার আগে বলতে
হবে, তা হলো জেরুজালেমের মসজিদ আল-আক্বসা। হাজার বছর ধরে এই ভূ মি দখল
করার জন্যে মানুষ হন্যে হয়ে আছে বললেও অত্যুক্তি হবে না।
এটি মুসলিমদের অন্তরে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে । ইসলামের সর্বাধিক পবিত্র
স্থানগুলোর মাঝে তৃ তীয় অবস্থানে রয়েছে মসজিদ আল-আক্বসা। এটাই সেই স্থান যেখান
থেকে ইসরা ও মিরাজের সময় নবীজি (সাঃ) ঊর্ধাকাশে ভ্রমণ করেছিলেন। মানব সভ্যতার
ইতিহাসে সবচেয়ে অসাধারণ মিলনায়তনটির অবতারণা হয়েছিল এই স্থানটিতেই। সব নবী-
রাসূল রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর পেছনে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করার জন্যে একত্রিত
হয়েছিলেন এখানেই।
এরপরও মসজিদ আল-আক্বসা সম্পর্কি ত এমন কিছু তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন
করছি যেগুলো হয়তো আপনি পূর্বে অবগত ছিলেন না।
স্থানটিতে কয়জন নবীকে এবং নবী (সাঃ) এর সাহাবি্কে সমাহিত করা হয়েছে তাঁর নির্দি ষ্ট
কোনো হিসেব নেই। তবে অনেকগুলো কবর রয়েছে সেখানে। সুলাইমান (আঃ) কে খুব
সম্ভবত এখানেই সমাহিত করা হয়েছিল। কেননা নবীগণ যেখানে মৃত্যুবরণ করেন সেখানেই
তাদের কবর দেয়ার বিধান। আর সুলাইমান (আঃ) ঐতিহ্যবাহী কিছু ইমারত নির্মাণ তদারকি
করার সময় ওই স্থানেই মৃত্যুবরণ করেন।
একটা সময় ছিল যখন ইহুদিদের এই ভূ মিতে বাস করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল। সে সময় রোমান
আদিবাসীরা এখানে বাস করত এবং তারা মসজিদ এলাকাকে আবর্জ নার স্তুপ হিসেবে
ব্যবহার করত। উমার (রাঃ) এই নগরী জয় করে এর সমস্ত জঞ্জাল নিজ হাতে পরিস্কার
করেন। শুধু তা-ই নয় তিনি ইহুদিদের কয়েকশ’ বছর ধরে চলা নির্বাসনের অবসান করেন।
কাছের এক শহরের সত্তর শরণার্থী ইহুদি পরিবারকে জেরুজালেমে নিয়ে আসেন। আমাদের
জ্ঞাতিভাইয়েরা (আহলে কিতাব) এই অসামান্য উপকারের কথা এখন স্মরণে রেখেছে বলে
মনে হয় না।
ইসলামি সাহিত্যের বিখ্যাত রচনাগুলোর মধ্যে একটি হলো প্রখ্যাত আলেম আবু হামিদ
আল-গাজ্জালি রচিত ‘ইহইয়া উলুম আদ-দিন’। তিনি এমন একজন ব্যক্তিত্ব যাকে সকল
মাযহাবের মানুষ সমানভাবে শ্রদ্ধা করেন। কারণ তিনি কু র’আন ও হাদিসের ওপর পূর্ণ আস্থা
রেখে অনায়াসে ডু ব দিতে পারতেন মানবাত্মার অতল গহ্বরে। আল-গাজ্জালি সম্পর্কে যে
তথ্যটি বেশিরভাগ মানুষের অজানা তা হলো, তিনি মসজিদ আল-আক্বসায় বাস করতেন
এবং তাঁর বিখ্যাত বইটি তিনি এখানে বাসরত অবস্থায় লিখেছিলেন। মসজিদ ভবনের এক
অংশে তাঁর পুরোনো রুমটি চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে।
ইসলামের ইতিহাসে নির্মিত প্রথম গম্বুজ ছিল এটি। নির্মাণ করেছিলেন উম্যাইয়া খলিফা
আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান। শুরুতে গম্বুজটি ছিল কাঠের তৈরি যার ওপর ছিল পিতল,
সীসা অথবা চীনামাটির আবরণ। প্রায় এক হাজার বছর পর অটোমান সাম্রাজ্যের মহান
খলিফা সুলাইমানের শাসনামলে গম্বুজটিতে স্বাতন্ত্রসূচক সোনার প্রলেপ দেয়া হয়। আর
ভবনের সদর দরজায় টাইলস করা হয়।
মসজিদ আল আক্বসাকে অবমাননা করা হলে কী হবে তা কখনো ভেবে দেখেছেন? পাথরের
গম্বুজের ওপর যখন দখলদারী সেনাদের পতাকা উড়বে বা মসজিদটি যখন জ্বলেপুড়ে
ছারখার হয়ে যাবে তখন কী হবে ভেবেছেন? মুসলিম বিশ্ব কি কখনো তা হতে দিতে পারে?
ভেবে দেখুন।
পৃথিবীর সবচেয়ে বিরোধপূর্ণ এলাকার নাম বলতে গেলে যে ভূ মিটির নাম সবার আগে বলতে
হবে, তা হলো জেরুজালেমের মসজিদ আল-আক্বসা। হাজার বছর ধরে এই ভূ মি দখল
করার জন্যে মানুষ হন্যে হয়ে আছে বললেও অত্যুক্তি হবে না।
এটি মুসলিমদের অন্তরে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে । ইসলামের সর্বাধিক পবিত্র
স্থানগুলোর মাঝে তৃ তীয় অবস্থানে রয়েছে মসজিদ আল-আক্বসা। এটাই সেই স্থান যেখান
থেকে ইসরা ও মিরাজের সময় নবীজি (সাঃ) ঊর্ধাকাশে ভ্রমণ করেছিলেন। মানব সভ্যতার
ইতিহাসে সবচেয়ে অসাধারণ মিলনায়তনটির অবতারণা হয়েছিল এই স্থানটিতেই। সব নবী-
রাসূল রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর পেছনে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করার জন্যে একত্রিত
হয়েছিলেন এখানেই।
এরপরও মসজিদ আল-আক্বসা সম্পর্কি ত এমন কিছু তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন
করছি যেগুলো হয়তো আপনি পূর্বে অবগত ছিলেন না।
জি হ্যাঁ – এখানে বেশকিছু মসজিদ রয়েছে, যেগুলোকে আমরা মসজিদ আল-আক্বসা
হিসেবে জানি। একদম দক্ষিণ দিকের দালানটিকে আমরা মসজিদ আল-আক্বসা মনে করি।
প্রকৃ তপক্ষে সেটা হচ্ছে কিবলি মসজিদ। কিবলার নিকটবর্তী হওয়ায় মসজিদটির এমন
নামকরণ করা হয়েছে। গোটা পর্বতটিই মূলত মসজিদ আল-আক্বসা। বিভ্রান্তি দূর করার জন্যে
একে মাঝেমাঝে হারাম আল-শরীফ বলেও অবহিত করা হয়। তবে সেখানে আরও অনেক
মসজিদ রয়েছে এবং সেগুলোও ঐতিহাসিক ঘটনাবলির সাথে সম্পৃক্ত। এর মাঝে
উল্লেখযোগ্য হলো বুরাক্ব মসজিদ, মারওয়ানি মসজিদ ইত্যাদি।
স্থানটিতে কয়জন নবীকে এবং নবী (সাঃ) এর সাহাবি্কে সমাহিত করা হয়েছে তাঁর নির্দি ষ্ট
কোনো হিসেব নেই। তবে অনেকগুলো কবর রয়েছে সেখানে। সুলাইমান (আঃ) কে খুব
সম্ভবত এখানেই সমাহিত করা হয়েছিল। কেননা নবীগণ যেখানে মৃত্যুবরণ করেন সেখানেই
তাদের কবর দেয়ার বিধান। আর সুলাইমান (আঃ) ঐতিহ্যবাহী কিছু ইমারত নির্মাণ তদারকি
করার সময় ওই স্থানেই মৃত্যুবরণ করেন।
একটা সময় ছিল যখন ইহুদিদের এই ভূ মিতে বাস করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল। সে সময় রোমান
আদিবাসীরা এখানে বাস করত এবং তারা মসজিদ এলাকাকে আবর্জ নার স্তুপ হিসেবে
ব্যবহার করত। উমার (রাঃ) এই নগরী জয় করে এর সমস্ত জঞ্জাল নিজ হাতে পরিস্কার
করেন। শুধু তা-ই নয় তিনি ইহুদিদের কয়েকশ’ বছর ধরে চলা নির্বাসনের অবসান করেন।
কাছের এক শহরের সত্তর শরণার্থী ইহুদি পরিবারকে জেরুজালেমে নিয়ে আসেন। আমাদের
জ্ঞাতিভাইয়েরা (আহলে কিতাব) এই অসামান্য উপকারের কথা এখন স্মরণে রেখেছে বলে
মনে হয় না।
ইসলামি সাহিত্যের বিখ্যাত রচনাগুলোর মধ্যে একটি হলো প্রখ্যাত আলেম আবু হামিদ
আল-গাজ্জালি রচিত ‘ইহইয়া উলুম আদ-দিন’। তিনি এমন একজন ব্যক্তিত্ব যাকে সকল
মাযহাবের মানুষ সমানভাবে শ্রদ্ধা করেন। কারণ তিনি কু র’আন ও হাদিসের ওপর পূর্ণ আস্থা
রেখে অনায়াসে ডু ব দিতে পারতেন মানবাত্মার অতল গহ্বরে। আল-গাজ্জালি সম্পর্কে যে
তথ্যটি বেশিরভাগ মানুষের অজানা তা হলো, তিনি মসজিদ আল-আক্বসায় বাস করতেন
এবং তাঁর বিখ্যাত বইটি তিনি এখানে বাসরত অবস্থায় লিখেছিলেন। মসজিদ ভবনের এক
অংশে তাঁর পুরোনো রুমটি চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে।
প্রথম ক্রু সেডররা যখন জেরুজালেম দখল করে নিল তখন তারা মসজিদ আল-আক্বসার
ভেতরে অধিকাংশ মুসলিমকে আটক অবস্থায় পেল। প্রায় ৭০,০০০ বন্দিকে তারা জবাই
করেছিল। এরপর কিবলি মসজিদকে পরিণত করলো প্রাসাদে, পাথরের গম্বুজটিকে
ভোজনাগারে আর ভূ গর্ভ স্থ কু ঠু রিকে আস্তাবলে। প্রাথমিক গণহত্যা থেকে যে মুসলিমরা বেঁচে
গিয়েছিল তাদেরকে পরবর্তীতে মসজিদের কেন্দ্রে এনে বিরাট এক ক্রু শে বিদ্ধ করে হত্যা করা
হয়েছিল। শুধু এই ক্রু শটি সালাহ-উদ্দিন এসে ভেঙেছিলেন। ক্রু শের ভিতটি এখনো সেখানে
রয়ে গেছে।
মসজিদ আল আক্বসাকে অবমাননা করা হলে কী হবে তা কখনো ভেবে দেখেছেন? পাথরের
গম্বুজের ওপর যখন দখলদারী সেনাদের পতাকা উড়বে বা মসজিদটি যখন জ্বলেপুড়ে
ছারখার হয়ে যাবে তখন কী হবে ভেবেছেন? মুসলিম বিশ্ব কি কখনো তা হতে দিতে পারে?
ভেবে দেখুন।