Zohora Ruby

You might also like

Download as docx, pdf, or txt
Download as docx, pdf, or txt
You are on page 1of 12

- মুক্ত বিহঙ্গের পথচলা

নির্জ নে একাবসে ভাবি, লিখবো কতকিছু


শুধু মনে পড়ে
মা মাটির গল্প
দূর দিগন্তের শেষটা, যেখানে সূর্যটা
শেষবেলায় হেলান দেয়
অতি আপন লয়ে ডাকে, ভাবটা বহুদিনের।
বিদায় বেলায় ম্লান থেকে ম্লানতর ভঙ্গিমায়
কখনো বেদানার রঙ কখনো আলতা রঙে
আবার কখনো পুরনো লোহিত রক্ত কণিকা।
বিদায়ী সূর্যটা প্রাণের ভেতরটা
দুমড়ে মুচড়ে অজানা এক শূন্যে মিলায়
যাবতীয় হতাশার ঢেউ গুলো যেখানে আছড়ে পড়ে
আপন ভঙ্গিমায়
আপন লহরীতে
অচেনা সুরে।
গোমড়ামুখী অস্তাচল
তীব্র অভিমানে
নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে ডু ব দেয়
আঁধারের তলদেশে
যেখানে নিজের সাথে হয় বোঝাপড়া,
ভেঙেচু রে তান্ডবে মেতে একা বসে
সন্যাসী বেশে
সূচনা করে মুক্ত বিহঙ্গের পথচলা।।
- ফিরে যাই অসীমতায়

আবছায়া এক মন ঘুরে বেড়ায় অন্তঃপুরে


কি যেন খুজেঁ
কাকে খুজে

কেন খুঁজে
কোথায় খুজেঁ ?
সবকিছু কি পাওয়া যায় খুজেঁ !
পিনপতন হীন দূরের পথটা, পাহাড়টা
শৈল ধারাটা
এতকাছে, যেন ছুঁ তে পাই, অপলক চেয়ে থাকি
ফিরে আসে দৃষ্টি, ফিরে যাই অসীমতায়।
সেদিনের মায়াবী সুখটা,কোমল মুখটা
সুগভীর পরিতোষ,পরিতাপটা
আমায় ডাকে
বারবার ডাকে,
পিছু ধায়
কোথায় হারাই
কেন হারাই
কি হারাই
কবে হারাই?
- পৌষালী

হিমালয়
বেয়ে আমি এসেছি তোমায় ছুঁ তে
আমি ছুঁ য়ে দখব তোমার শরীর
আমি জমিয়ে ভালবাসার মালা গাঁথব তোমার সনে
হিমেল হাওয়ায় উড়ে যাব মেঘেদের দেশে ভালবাসার চাদরে জড়িয়ে নেব বুকের ওমে। দিনমণিটাকে চু মু খেয়ে
আদর করে ঘুমপাড়িয়ে দেব পাঠিয়ে দিব ঘুম পাড়ানি মাসিপিসির দেশে।
নেমে আসব
তোমার হাতটি ধরে
আমার প্রিয় হতে প্রিয়তর গ্রাম বাংলায়
চিড়া মুড়ির মোয়া, রসের কলসি, সর্ষে ক্ষেত আর নবান্নের উৎসবে
শিশির ভেজাঘাসে মিষ্টি নরম রোদে ধানের বোঝা বয়ে চলা কৃ ষকের হাসিতে
কুহেলিকা ঘেরা চারদিক,চারপাশে, শ্বাস প্রশ্বাসের ধোঁয়ায়, আলপথ ধরে হেঁ টে
সাঁঝের আলোয় প্রজ্জ্বলিত খড়কুটোয় হাত বাড়িয়ে কনকনে হাওয়ায়,মলিন সাজসজ্জাহীন নিসর্গে
জলপাই আমলকীর খুশবাসে
পিঠাপুলির ছোঁয়ায় ভাপা পিঠার ধোঁয়ায় নির্জ ন মেঠোপথে
অনন্য এক পৌষালির আবেশে।।
- নাম না জানা অনুভূতি

বিচিত্রতার মাঝে ডু ব দিয়ে হারাই


আপন পথ, আপন গতি
গা ভাসিয়ে দিয়ে মিলেমিশে
একসাথে পথচলার অবিরাম খুনসুটি।
পিছলে পড়ি,পিছিয়ে পড়ি, হোঁচট খেয়ে আরবার উঠে দাঁড়াই
গপ্পোটা শেষ করা বড়ই জরুরি।
এক একটা গল্প এক-এক রকম
কখনো শেষ থেকে শুরু
কখনো শুরু থেকে শেষ
মাঝখানে কড়া নাড়ে
উঁকি দেয়, ঘিরে রাখে
ছিঁড়ে যায়,উপড়ে ফেলে
উচ্ছেদ করে আরও নাম না জানা মেলা অনুভূতি। বয়ে যায় একের পর এক
আষ্টেপৃষ্ঠে ধমনীতে মিশে
ভোলামন তামাম ভু লে, সব সয়ে যায় বারবার।
- যে জীবন চাই বহুবার

সহজেই বলা যায়


সরল করেই ভাবা যায়
স্বাভাবিক নিয়মেই যা হয়
তাকে ভেদ করে ভেঙ্গেচু রে শেকড় উপড়ে ফেলে আরেকটি রূপ দিয়ে কি আনন্দ মেলে!
আদৌ সম্ভব পুলকিত হওয়া!
কদাচিৎ হয়, তোমার আমার চাওয়া।
সহজের ছায়াতলে যে কঠিন বাস করে
তার নেই দীর্ঘশ্বাস
আছে অভিশাপ
প্রকৃ তির আর্ত নাদ
নীরব আহাজারি
খুজে
ঁ নিও মোরে নিজ ভাবালোকে নিমগ্ন চেতনায়
আমাদের আমি গুলো এভাবেই বেঁচে রয়
প্রকৃ তির করুণায়।
যা-কিছু তোমার ললাটে বাঁধা আসিবে, বাঁধিবে রাখিবে যা শুধু তোমার
নয় আমার, তার, যাহার।
যে ব্যাথার উপশম বিরল, তাকে ভেদ করে ভেঙ্গেচু রে গড়ে তোল নতু ন প্রচ্ছদ
নব উদ্যমে হাঁটো
নব উল্লাসে মাতো
নতু নের জয়ধ্বনি মেখে নাও
ধারণ করো নব অঙ্গীকার
পান করো পীযূষ নিরন্তর
নিভাঁজ প্রাণের বেদি
উন্নত শির বিনীত বীর
যে জীবন চাই বহুবার।।।
- হৈমন্তিক কাহিনী

তু মি এলেই
এমন কেন হয় পরানে
তনু মন ওঠে শিরশিরিয়ে
হিমহিম হাওয়ার পরশে
ঝরে পড়ে হলুদ পাতা
ঝরা পাতার বিচ্ছিন্নতা, ক্ষণিক উদাসীনতা
শিশির ভেজা নরম ঘাসে হাত বুলালে
শিউরে ওঠে মন
ধানের শীষের দোলায় লুকায়
ধানিরঙা লাজুক প্রজাপতি
আমনের সুবাসে
জলপাই এর গন্ধে মৌ মৌ চারপাশ
কৃ ষক কুলে’র হাসিমাখা মন
নির্জ লা মেঠোপথ
মুখরিত কৃ ষকের পদধ্বনি
কিষাণীর স্বাপ্নিক আঁখির উপচে পড়া রংঢং যেন একাকার হয়ে উঠে হৈমন্তী বাতাসে
জমে উঠে হাটখোলা, বটতলা
আবাল বৃদ্ধ বনিতা
লজ্জাবতী ছুঁ য়ে দেখা
জোনাকির পিছু হাঁটা
কুয়াশার ঝালরে গুটিশুটি মেঘের দল
লুকোচু রি খেলে, ভেসে বেড়ায়,
ঢেকে দেয় নীলাচল।।।
- গহীনের কথামালা

মনে পড়ে
তোমায় বেশি চোখ বুজলে পরে
মন বাগানে
ঘুরি দুজন প্রজাপতির ঘোরে
নীরব ভাষায়
চলে আলাপ চোখের ভাষাও তাই
চোখের আড়াল
হলেই তু মি আঁধার নেমে যায়।
এমন করেই
কাটছে দিন বাড়ছে মনের জ্বালা
কাল বোশেখের
প্রবল ঝড় পরায় দুঃখ মালা
হারিয়ে গেলে
ঝড়ের তোড়ে হেথায় থেকে হোথায়
মনঅলিন্দে
তোমার আসন দিব্যি থাকে ঠায়।
সময় তোমার
হয় না এখন ঘরসংসার চাপে
নিজের তরেও
পাওনা সময় এ কথা কি মিছে!
যতন করে
অনুভবে তু লে রাখি তোমায়
ভালবাসার
প্রথম ছোঁয়া স্বপ্নপুরে ধায়
দুঃখগুলো
ফু লের মালা সুখগুলো আজ ছাই
জীবন আমার
নয়তো ফাঁকা চলবে এমনটাই!
- ফিরে আসে বালুকাবেলায়

ইচ্ছেগুলোর মৃত্যু যন্ত্রণা


গহীন ব্যাথা,নীরব কষ্ট
নিথর কলেবর
প্রচন্ডভাবে অনুভব করেছি
বারংবার দুচোখের পাতায় তাদের ছায়া নেমে আসলেও মিইয়ে দিয়েছি, হাওয়ায় উড়িয়েছি।
একটু শান্তির পরশ পাওয়ার জন্যে
অপেক্ষার প্রহর করেছি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর
কোন এক সুদিন নেমে আসবে
কঠিন পাহাড়ের বুক চিরে
অবারিত ঝর্ণাধারার মত।
ক্ষণে ক্ষণে জন্মায়, ক্ষণে ক্ষণে বদলায়
ক্ষণজন্মা ইচ্ছেগুলো আছড়ে পড়ে
ফিরে আসে বালুকাবেলায়
দিগন্তের কাছে একটু করো ঠাঁই করে নেয়
হয়ে যায় ইচ্ছে পূরণ
সাধের মিলন
স্বপ্নের আলিঙ্গন।
- মেশে না হাওয়ায় ছোটে না দিগন্তে

বালির বাঁধ আশা জীবনের মোড়ে মোড়ে


কখনো লুকিয়ে কখনো দাঁড়িয়ে
রঙ্গ তামাশার হোলিউৎসবে মাতে।
নিজেকে উজাড় করে বুঝাই ভালবাসার এপিঠ ওপিঠ
হন্তদন্ত প্রেম আঁকড়ে ধরে নিজ পক্ষের গতিবিধি
নিজেকে সামলিয়ে নেয়াটা, নিজের যুক্তিতে অবিচল থাকাটাই যেন শোভনীয়
অবজ্ঞা অবহেলায় গড়িয়ে যাক দুমড়ে যাক অন্যপক্ষের বয়ান, আলাপন, আবেগ
আপন বলয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ অবুঝ দিনগুলো মেশেনা হাওয়ায় ছোটেনা দিগন্তে
চলে না মেঘের সাথে
অপরিসীম আস্হায় বুকের এপাশ ওপাশ টইটম্বুর
গুলিয়ে ফেলে হারিয়ে যায়
অবিরল প্রাণের স্রোতধারা
নস্টালজিক ভাবনার উত্তাল ঢেউয়ে।
পরান মাঝি উর্ধ্ব শ্বাসে নিকট কূল ফেলে
ধেয়ে আসে মাঝ দরিয়ায়
মিশে যায় ঘাম শ্রম আর কান্নার জল।
- দেখিনাতো তারে

জগতের মোহ ছাড়েনাতো কেহ


অনিয়মের চালে শত ভেসে গেলে
কাঁপেনাতো দেহ।
ক্রোধে চলে দিন সংঘাত ও অমিল
বিবাদে ঠাসা বেদনায় ভরা
দিনের পর দিন।
ক্ষতি হবে পাছে হাত বাড়ালেই
না দেখার ভানে
আছি সকলেই।
পরের ভালোয় হয় মন কালো
দিনে দিনে নিভে যায়
হৃদ গহীনের আলো।
অতি আশায় নিজেকে হারাই
অজানা জেনেও
ভু ল করে চাই।
সরলের মাঝে সুখপাখিটা যে
বাঁধাহীন ওড়ে
দেখিনাতো তারে।
- ভাব বিনিময়

প্রথম দেখা,আলাপচারিতা
ভ্রমরের গুনগুন, সুরের পরশ
স্বপ্নে বিভোর।
ভাবের আবেশে, দূরের আকাশে
উজ্জ্বল তারাটি, দেয় হাতছানি।
গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুর
এলোমেলো কথামালা
হৃদয়ের আলুথালু ভাবনা
বিন্দু বিন্দু মায়া
টু করো টু করো মমতা
খন্ড খন্ড বিশ্বাস
শীতল ছায়ার বেড়াজালে
আবদ্ধ, আকৃ ষ্ট
চিরচেনা চারপাশ।
কাকডাকা ভোর,নিত্য দিনের হালচাল
গড়িমসি নয়,আলসেমি নয়
নিয়মের চালে,বেঁধে নিতে হবে
জীবনের হিসাব নিকাশ।
নিত্য পরিবেশটার কাঠামো
অবিকল রাখা চাই।
একটু বাড়তি স্বভাব
দূরের প্রকৃ তির সৌন্দর্য
গাছের ফাঁকে চাঁদের আলো
জোনাকির পথচলা
সাবলীলভাবে বুঝে নেয়
মনের সুখ।
উজ্জ্বল তারাটি আজ অতি কাছে
প্রাণের পাশে
নীরব চাহনিতে
এক সমুদ্র ভাব বিনিময়ে
জানান দেয়
দুটি হৃদয়
একাকার হোক।

You might also like