Plant Tissue

You might also like

Download as docx, pdf, or txt
Download as docx, pdf, or txt
You are on page 1of 23

টিস্যু

Tissue শব্দটি ল্যাটিন Texo বা বয়ন থেকে এসেছে। ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে ফরাসি বিজ্ঞানী M. F. X. Bichart
সর্বপ্রথম টিস্যু শব্দটি ব্যবহার করেন।
একই ভ্রূণীয় স্তর থেকে উদ্ভূ ত এবং একই আকৃ তির বা ভিন্ন আকৃ তির কোষগুলো যখন সমষ্টিগতভাবে জীবদেহের
কোনো একটি নির্দি ষ্ট স্থানে অবস্থান করে এবং একই ধরনের কার্য সম্পাদন করে তখন ঐ কোষ সমষ্টিকে কলা বা Tissue
বলে।
উদ্ভিদ টিস্যু
Plant Tissue
উদ্ভিদ টিস্যু দুই ধরনের।
(ক) ভাজক টিস্যু (Meristem Tissue) ও
(খ) স্থায়ী টিস্যু ( Permanent Tissue)
ভাজক টিস্যু ও স্থায়ী টিস্যুর মধ্যে পার্থক্যঃ-
ভাজক টিস্যু স্থায়ী টিস্যু
কোষগুলো বিভাজনে সক্ষম .........অক্ষম
ভাজক টিস্যু অপরিণত। স্থায়ী টিস্যু পরিণত।
ভাজক টিস্যুতে কোষের নিউক্লিয়াস আকারে বড় ও স্থায়ী টিস্যুতে কোষের নিউক্লিয়াস আকারে অপেক্ষাকৃ ত
সাইটোপ্লাজম ঘনীভূ ত অবস্থায় থাকে। ছোট ও সাইটোপ্লাজম ঘনীভূ ত অবস্থায় থাকে না।
ভাজক টিস্যু উদ্ভিদের বৃদ্ধিসাধন করে। উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে স্থায়ী টিস্যুর কোনো ভূ মিকা নেই।
ভাজক টিস্যুতে কোনো কোষাবকাশ থাকে না। স্থায়ী টিস্যুতে সাধারণত কোষাবকাশ থাকে।
যান্ত্রিক কাজে ভাজক টিস্যুর কোনো ভূ মিকা নেই। স্থায়ী টিস্যু উদ্ভিদের যান্ত্রিক দৃঢ়তা বাড়ায়।
ভ্রূণাবস্থাতেই ভাজক টিস্যুর সৃষ্টি হয়। ভাজক টিস্যু থেকেই স্থায়ী টিস্যুর সৃষ্টি হয়।
উদ্ভিদের বর্ধিষ্ণু অঞ্চলে ভাজক টিস্যু অবস্থান করে। বর্ধিষ্ণু অঞ্চলে স্থায়ী টিস্যু থাকে না।
খাদ্য পরিবহনে ভাজক টিস্যুর কোনো ভূ মিকা নেই। জাইলেম ও ফ্লোয়েম নামক স্থায়ী টিস্যু যথাক্রমে পানি ও
উৎপাদিত খাদ্য পরিবহন করে।

ভাজক টিস্যুর কোষপ্রাচীর পাতলা। স্থায়ী টিস্যুর কোষপ্রাচীর পুরু হয়।

স্থায়ী টিস্যু তিন ধরনের। যথাঃ


(১) সরল টিস্যুঃ
যে স্থায়ী টিস্যুর প্রতিটি কোষ আকার, আকৃ তি ও গঠনের দিক থেকে অভিন্ন তাকে সরল টিস্যু বলে।
কোষের প্রকৃ তির উপর ভিত্তি করে সরল টিস্যুকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা-            
১। প্যারেনকাইমা
২। কোলেনকাইমা
৩। স্ক্লেরেনকাইমা
প্যারেনকাইমা (Parenchyma):
(ক) কোষগুলো জীবিত, সমব্যাসীয় এবং প্রচু র প্রোটোপ্লাজম থাকে।
(খ) কোষপ্রাচীর পাতলা, সমান ভাবে পুরু, সেলুলোজ দিয়ে তৈরি, তাই নমনীয়।
(গ) কোষের মাঝে আন্ত:কোষীয় ফাঁক দেখা যায়।
(ঘ) এতে বৃহৎ নিউক্লিয়াস ও কোষগহবর থাকে।
(ঙ) কোষগুলো গোলাকার, ডিম্বাকার বা বহুভূ জাকার হয়।
অবস্থানঃ কর্টে ক্সের অধিকাংশ অংশ, মজ্জা (pith), মজ্জারশ্মি, ফলের মণ্ড, মূল, কাণ্ড প্রভৃ তির বহিরাবরণ, পত্র, পত্ররন্ধ্র তথা
উদ্ভিদের সর্বাংশে এদের উপস্থিতি লক্ষণীয়।
বিশেষ অবস্থাঃ
ক্লোরেনকাইমাঃ প্যারেনকাইমা টিস্যুর অভ্যন্তরে প্রচু র পরিমাণে ক্লোরোপ্লাস্ট থাকলে তাকে ক্লোরেনকাইমা বলে।
অ্যারেনকাইমাঃ জলজ উদ্ভিদের বড় বড় বায়ুকু ঠু রিযুক্ত প্যারেনকাইমাকে অ্যারেনকাইমা বলে।
মেসোফিলঃ পাতার প্যারেনকাইমাকে মেসোফিল বলে।
কাজ :
দেহ গঠন
খাদ্য প্রস্তুত
খাদ্য সঞ্চয়
ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন। 
                         
কোলেনকাইমা:
বৈশিষ্ট্য:
(১) কোষগুলো কিছুটা লম্বাকৃ তির বা আয়তকার।
(২) কোষপ্রাচীর সেলুলোজ এবং পেকটিন জমা হয়ে পুরু হয়, অসমভাবে পুরু। প্রাচীরের কোণ অধিক পুরু।
(৩) প্রস্থচ্ছেদে কোষগুলো বহুভু জবিশিষ্ট কিন্তু লম্বচ্ছেদে আয়তাকার।
(৪) কোষগুলো সজীব।
(৫) কোষের মাঝে আন্তঃকোষীয় ফাঁকা থাকতেও পারে, নাও পারে।
(৬) কোষে প্রোটোপ্লাজমযুক্ত।
(৭) কোষগহ্বর থাকতেও পারে, নাও পারে।
(৮) এরা বিশেষ ধরনের প্যারেনকাইমা কোষ দ্বারা তৈরি।
বিশেষ অবস্থা: অ্যাংগুলার (কোষগুলো অনিয়তাকার), ল্যামিলার (কোষগুলো ত্রিকোণাকৃ তি) , টিউবুলার (কোষগুলোর মধ্যে
আন্তঃকোষীয় ফাঁক থাকলে) ইত্যাদি।

অবস্থান: ত্বকের নিচে, পাতা ও ফু লের বোঁটায়, পাতার শিরায়, কচি ও নমনীয় কাণ্ড (যেমনঃ কু মড়া ও দণ্ডকলসের কাণ্ডে) ।
কাজ: (১) দৃঢ়তা প্রদান
(২) ক্লোরোফিলযুক্ত হলে খাদ্য প্রস্তুত করে।
(৩) কোষপ্রাচীর পুরু হওয়ায় যান্ত্রিক শক্তি প্রদান করে।
স্ক্লেরেনকাইমা:
বৈশিষ্ট্য:
(১) কোষগুলো লম্বাকৃ তির, প্রান্তদুটি সরু; প্রস্থচ্ছেদ বহুভূ জাকার।
(২) কোষপ্রাচীর খুব শক্ত, পুরু, বহুভু জাকৃ তির।
(৩) কোষপ্রাচীর লিগনিনযুক্ত।
(৪) পরিণত কোষগুলো মৃত।
(৫) নিউক্লিয়াস ও প্রোটোপ্লাজমহীন।
(৬) আন্তকোষীয় ফাঁকা থাকে না।
অবস্থান: কটেক্স, জাইলেম, ফ্লোয়েম, পেরিসাইকল।
কোষগুলো প্রধানত দুই ধরনের, যথা- ফাইবার ও স্কেলেরাইড।
ক. ফাইবার বা তন্তু:
এরা অত্যন্ত দীর্ঘ , পুরু প্রাচীরযুক্ত, শক্ত এবং দুই প্রান্ত সরু। তবে কখনো ভোঁতা হতে পারে। প্রাচীরের গায়ে ছিদ্র থাকে। এ
ছিদ্রকে কূ প বলে। অবস্থান ও গঠনের ভিত্তিতে এদের বিভিন্ন নাম দেওয়া হয়েছে, যথা- বাস্ট ফাইবার , সার্ফে স ফাইবার,
জাইলেম তন্তু বা কাষ্ঠতন্তু।
নগ্নবীজী ও দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের কর্টে ক্স, ফল ও বীজত্বকে স্ক্লেরাইড টিস্যু দেখা যায়। বহিঃত্বক জাইলেম ও ফ্লোয়েমের সাথে
একত্রে পত্রবৃন্তে কোষগুচ্ছরূপে থাকতে পারে।
খ. স্কেলেরাইড:
এদেরকে স্টোন সেলও বলা হয়। নরম টিস্যুতে স্ক্লেরাইড কোষ থাকলে তাকে ক্লেরোটিক কোষ বলে। এরা খাটো, সমব্যাসীয়,
কখনও লম্বাটে আবার কখনও তারকাকার হতে পারে। এদের গৌণপ্রাচীর খুবই শক্ত, অত্যন্ত পুরু ও লিগনিনযুক্ত। পরিণত
স্কেলেরাইড কোষ সাধারণত মৃত থাকে। কোষপ্রাচীর কূ পযুক্ত হয়।
কাজ:
(১) বিভিন্ন অঙ্গকে দৃঢ়তা প্রদান করা
(২) মৃত কোষে বর্জ্য পদার্থ ধারণ করা
(৩) কখনো কখনো শক্ত আবরণ সৃষ্টি করে ভেতরের নরম অংশকে রক্ষা করে।
(৪) দেহের যান্ত্রিক কাজে সাহায্য করে।
(৫) পানি ও খনিজ লবণ পরিবহন করা

(২) জটিল টিস্যু (Complex Tissue)


বিভিন্ন ধরনের কোষের সমন্বয়ে যে স্থায়ী টিস্যু তৈরি হয় তাকে জটিল টিস্যু বলে।
এটি দুই ধরনের। যথা-
(ক) জাইলেম:
জাইলেম টিস্যু উদ্ভিদের দৃঢ়তা প্রদানকারী অন্যতম প্রধান অংশ। এটা খাদ্যদ্রব্যের উপাদানগুলো মূল থেকে পাতায় পরিবহন
করে।
প্রকারভেদঃ
জাইলেম দুই ধরনের।
প্রাথমিক জাইলেমঃ
প্রোক্যাম্বিয়াম থেকে সৃষ্ট জাইলেমকে প্রাথমিক জাইলেম বলে।
এটি দুই ধরনের। প্রাথমিক অবস্থায় একে প্রোটোজাইলেম এবং পরিণত অবস্থায় একে মেটাজাইলেম বলে।
গৌণ জাইলেমঃ
প্রাথমিক বৃদ্ধি শেষে যেসকল ক্ষেত্রে গৌণ বৃদ্ধি ঘটে সেসব ক্ষেত্রে গৌণ জাইলেম সৃষ্টি হয়। চার প্রকার উপাদান নিয়ে জাইলেম
টিস্যু গঠিত। যথা—ক) ট্রাকিড খ) ভেসেল গ) জাইলেম ফাইবার ঘ) জাইলেম প্যারেনকাইমা
ক) ট্রাকিড:
বৈশিষ্ট্য:
(১) কোষগুলো মৃত, লম্বা, বাঁকা, সূচালো বা তির্যক প্রান্তসম্পন্ন।
(২) কোষগুলোর ভেতরে বড় গহ্বর বিদ্যমান।
(৩) কোষপ্রাচীর শক্ত, দৃঢ় ও লিগনিন যুক্ত। ফলে অভ্যন্তরীণ গহবর পথটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রাচীরের পুরুত্ব কয়েক ধরনের হয়
যেমন- জালিকাকার, সোপানাকার, বলয়াকার, সর্পিলাকার কিংবা কূ পাঙ্কিত।
(৪) কোষপ্রাচীর সপাড়কূ প (Bordered pit) বিদ্যমান।
(৫) পরিণত কোষে প্রোটোপ্লাজম থাকে না।
অবস্থানঃ ফার্নবর্গ, নগ্নবীজী ও আবৃতবীজী উদ্ভিদের প্রাথমিক ও গৌণ জাইলেম কলায়
কাজঃ
(১) কোষরসের পরিবহন
(২) উদ্ভিদকে দৃঢ়তা প্রদান
(৩) কখনো কখনো খাদ্য সঞ্চয়ের কাজও এরা করে থাকে।
খ) ভেসেল:
বৈশিষ্ট্য:
(১) কোষগুলো মোটা ও ঘন, ফাঁপা চোঙের ন্যায়, কয়েক সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়, তবে বৃক্ষ ও আবৃতবীজী উদ্ভিদে আরও
অনেক লম্বা হতে পারে।
(২) কোষাভ্যন্তর ফাঁপা।
(৩) পরিণত কোষে প্রোটোপ্লাজম থাকে না। পরিণত কোষ মৃত।
(৪) কোষপ্রাচীর লিগনিনযুক্ত এবং বিভিন্নভাবে স্থলীকৃ ত।
(৫) একাধিক কোষ মাথায় মাথায় যুক্ত হয়ে একটি লম্বা ফাঁপা নালিকা সৃষ্টি করে।
অবস্থানঃ
আবৃতবীজী উদ্ভিদে ভেসেল পাওয়া যায়। [ব্যতিক্রমঃ Winteraceae, Tetracentraceae, Trochodeandraceae] নগ্নবীজী
ও টেরিডোফাইটে এদের পাওয়া যায় না। তবে নগ্নবীজী উদ্ভিদের মধ্যে উন্নত উদ্ভিদ যেমন, Gnetum এ প্রাথমিক পর্যায়ের
ভেসেল থাকে। প্রধানত গুপ্তবীজী উদ্ভিদের সব অংশে এদের পাওয়া যায়।
কাজঃ
(ক) পানি ও খনিজ লবণ পরিবহন
(খ) অঙ্গকে দৃঢ়তা প্রদান
গ) জাইলেম ফাইবার:
জাইলেমে অবস্থিত স্ক্লেরেনকাইমা কোষই হচ্ছে জাইলেম ফাইবার বলে। একে উড ফাইবারও বলে।
বৈশিষ্ট্য:
(১) কোষগুলো লম্বা এবং এদের প্রান্ত চোখা।
(২) কোষপ্রাচীর পুরু ও লিগনিনযুক্ত।
(৩) পরিণত কোষ প্রোটোপ্লাজমবিহীন এবং মৃত।
অবস্থানঃ দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের সব অংশে
কাজঃ
পানি ও খনিজ পদার্থ পরিবহন
খাদ্য সঞ্চয়
উদ্ভিদকে যান্ত্রিক শক্তি ও দৃঢ়তা প্রদান
(ঘ) জাইলেম প্যারেনকাইমা:
জাইলেম টিস্যুতে অবস্থিত প্যারেনকাইমা কোষকে জাইলেম/উড প্যারেনকাইমা বলে। এরা জাইলেম কলার একমাত্র জীবিত
কোষ।
কাজঃ
খাদ্য্য সঞ্চয় ও পানি পরিবহহন
(খ) ফ্লোয়েম:
উদ্ভিদ কান্ডে এরা জাইলেমের সাথে একত্রে পরিবহন টিস্যুগুচ্ছ গঠন করে। সিভনল, সঙ্গীকোষ, ফ্লোয়েম প্যারেনকাইমা ও
ফ্লোয়েম তন্তু নিয়ে ফ্লোয়েম টিস্যু গঠিত হয়।
জাইলেম যেমন খাদ্যের কাঁচামাল পানি সরবরাহ করে তেমনি ফ্লোয়েম পাতায় প্রস্তুত খাদ্য উদ্ভিদ দেহের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন
করে।
ক. সিভকোষ:
এরা বিশেষ ধরনের কোষ। দীর্ঘ, পাতলা কোষপ্রাচীরযুক্ত ও জীবিত এ কোষগুলো লম্বালম্বিভাবে একটির উপর একটি পরপর
সজ্জিত হয়ে সিভনল গঠন করে।
এ কোষগুলো চালুনির মতো ছিদ্রযুক্ত সিভপ্লেট দ্বারা পরস্পর থেকে আলাদা থাকে।
সিভকোষে প্রোটোপ্লাজম প্রাচীর ঘেঁষে থাকে ফলে একটি কেন্দ্রীয় ফাঁপা জায়গার সৃষ্টি হয়, যা খাদ্য পরিবহনে নল হিসেবে কাজ
করে।
এদের প্রাচীর লিগনিনযুক্ত।
পরিণত সিভকোষে কোনো কেন্দ্রিকা থাকে না।
সকল প্রকার গুপ্তবীজী উদ্ভিদের ফ্লোয়েমে সঙ্গীকোষ ও সিভনল উপস্থিত থাকে।
পাতায় প্রস্তুত খাদ্য উদ্ভিদ দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবহন করা এদের প্রধান কাজ।
খ. সঙ্গীকোষ:
প্রতিটি সিভকোষের সাথে একটি করে প্যারেনকাইমা জাতীয় কোষ অবস্থান করে।
এদের কেন্দ্রিকা বেশ বড়। ধারণা করা হয় যে, এই কেন্দ্রিকা সিভকোষের কার্যাবলি কিছু পরিমাণে হলেও নিয়ন্ত্রণ করে।
এ কোষ প্রোটোপ্লাজমপূর্ণ ও পাতলা প্রাচীরযুক্ত।
ফার্ন ও ব্যক্তবীজী উদ্ভিদে এদের উপস্থিতি নেই।
গ. ফ্লোয়েম প্যারেনকাইমা:
ফ্লোয়েমে উপস্থিত প্যারেনকাইমা কোষগুলোই ফ্লোয়েম প্যারেনকাইমা।
এদের কোষ সাধারণ প্যারেনকাইমার মতো পাতলা কোষপ্রাচীরযুক্ত এবং প্রোটোপ্লাজমযুক্ত।
এরা খাদ্য সঞ্চয় ও খাদ্য পরিবহনে সহায়তা করে।
ফার্ন জাতীয় উদ্ভিদ, নগ্নবীজি উদ্ভিদ এবং দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের ফ্লোয়েম টিস্যুতে ফ্লোয়েম প্যারেনকাইমা থাকে।
একবীজপত্রী উদ্ভিদে ফ্লোয়েম প্যারেনকাইমা থাকে না।
ঘ. ফ্লোয়েম ফাইবার বা তন্তু:
স্কেলেরেনকাইমা কোষ সমন্বয়ে ফ্লোয়েম ফাইবার গঠিত হয়।
এগুলো একপ্রকার দীর্ঘ কোষ যাদের প্রান্তদেশ পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে। এদের বাস্ট ফাইবারও বলে।
পাটের আঁশ এক ধরনের বাস্ট ফাইবার।
উদ্ভিদ অঙ্গের গৌণবৃদ্ধির সময় এ ফাইবার উৎপন্ন হয।
এসব কোষের প্রাচীরে কূ প দেখা যায়।
ফ্লোয়েম টিস্যুর মাধ্যমে পাতায় উৎপাদিত শর্ক রা ও মূলে সঞ্চিত খাদ্য একই সাথে উপরে নিচে পরিবাহিত হয়।

(৩) নিঃস্রাবী টিস্যু


যেসব টিস্যু থেকে নানা রকম উৎসেচক, বর্জ পদার্থ ইত্যাদি নিঃসৃত হয় তাদেরকে ক্ষরণকারী টিস্যু বলে। ক্ষরণকারী টিস্যু দুই
প্রকার- ক) তরুক্ষীর টিস্যু ও খ) গ্রন্থি টিস্যু।
ক) তরুক্ষীর টিস্যু (Laticiferous tissue)
যে টিস্যু থেকে তরুক্ষীর নিঃসৃত হয় তাদেরকে তরুক্ষীর টিস্যু বলা হয়। তরুক্ষীর দুধের মত একরকম সাদা, হলুদ অথবা
বর্ণহীন আঠালাে তরল পদার্থ। তরুক্ষীরে শ্বেতসার, আমিষ, চর্বি, আঠা উৎসেচক ইত্যাদি থাকে। জিমনােস্পার্মের অনেক
গাত্রে তরুক্ষীর পাওয়া যায়। তরুক্ষীর টিস্যু দুই রকমের যথা- i) তরুক্ষীর নালী ও ii) তরুক্ষীর কোষ।

 i) তরুক্ষীর নালী (Latex vessel) : লম্বালম্বি ভাবে সাজানা কতকগুলি লম্বা লম্বা কোষের প্রাচীর গলে গিয়ে যে
নালীর মত অঙ্গ সৃষ্টি হয় তাকে তরুক্ষীর নালী বলে। প্রাথমিক ভাজক টিস্যু থেকে এসব নালীর সৃষ্টি হয়।
পরবর্তীতে এসব নালী শাখান্বিত হয় এবং পাশাপাশি নালীর শাখাগুলি মিলিত হয় এবং এদের মধ্য প্রাচীর বিনষ্ট
হওয়ার ফলে একরকম নালিকা জালের সৃষ্টি করে। এসব নালীতে তরুক্ষীর জমা থাকে। কচু , রাবার, কলা, পেপে
উদ্ভিদে তরুক্ষীর নালী থাকে। রাবার গাছের তরুক্ষীর হতেই বানিজ্যিক রাবার তৈরি হয়।
 ii) তরুক্ষীর কোষ (Latex cells) : যেসব কোষ তরুক্ষীর ধারণ করে তাদের তরুক্ষীর কোষ বলে। এরা ভাজক
টিস্যু থেকে উৎপন্ন একটি লম্বা কোষ দ্বারা গঠিত। এটি শাখান্বিত ও বহু নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট তবে এটা পাশাপাশি
থাকলেও তরুক্ষীর নলের মত একে অপরের সাথে মিলে জালিকা সৃষ্টি করেনা। বট, কাঁঠাল, আকন্দ, করবী,
ফনিমনসা, ছাতিম প্রভৃ তি গাছে তরুক্ষীর কোষ থাকে।

খ) গ্রন্থি টিস্যু (Glandular Tissue)


এক বা একাধিক কোষের সমন্বয়ে গঠিত টিস্যু থেকে যখন কোন পদার্থ নিঃসৃত হয় তখন তাকে গ্রন্থি টিস্যু বলে। কোষগুলি
সজীব। এদের কোষে সাধারণত কোন গহ্বর থাকেনা। এসব কোষ থেকে মধু, এনজাইম, রেজিন, ট্যানিন, গঁদ, মিউসিলেজ,
তেল, পানি ইত্যাদি নিঃসৃত হয়। এসব নিঃসৃত পদার্থের নামানুসারে গ্রন্থিগুলি নামও ভিন্ন ভিন্ন। যেমন—
i) রেজিন গ্রন্থি যথা- পাইন গাছের কান্ডে থাকে।
ii) ট্যানিন গ্রন্থি যথা- তেঁ তু ল ও বাবলা গাছের কান্ডে
iii) গদ গ্রন্থি যথা- সজিনা, বাবলা গাছের কান্ডে থাকে।
iv) মিউসিলেজ গ্রন্থি যথা- জবা ফু ল ও পাতায়, পান পাতায় থাকে।
v) তৈল গ্রন্থি- লেবু, কমলালেবু, কামিনী পাতা, ফু ল ও ফলে থাকে।
vi) মধু গ্রন্থি- বিভিন্ন গাছের ফু ল থাকে।
vii) উৎসেচক নিঃস্রাবী গ্রন্থি- তামাক, ড্রসেরা, কলস উদ্ভিদ (পতঙ্গভূ ক) উদ্ভিদের পাতায় থাকে।
viii) পানি নিঃস্রাবী গ্রন্থি- কচু রীপানায় থাকে।
কাজঃ খাদ্য পরিবহন করা।

শীর্ষস্থ ভাজক টিস্যুর কোষসমূহের বিভাজন ও বিকাশের মাধ্যমে উদ্ভিদের প্রাথমিক স্থায়ী টিস্যুসমূহের সৃষ্টি হয়। স্থায়ী টিস্যু
বিধায় এসব টিস্যুর আর অধিক বৃদ্ধি হয় না। কিন্তু শীর্ষস্থ টিস্যু ক্রমাগত বিভাজনের মাধ্যমে উদ্ভিদকে দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি প্রাপ্ত করে
এবং নতু ন নতু ন শাখা-প্রশাখা সৃষ্টি করে থাকে। নতু ন শাখা-প্রশাখা সৃষ্টি হওয়ায় মাটি থেকে অধিক পরিমাণে পানি ও খনিজ
লবণের গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় এবং এসব নতু ন সৃষ্ট শাখা-প্রশাখা ও পাতার ভার বহনের জন্যও নিচের অংশে
ভারবহনকারী টিস্যুর প্রয়োজন দেখা দেয়। এ প্রয়োজন মেটানোর জন্যই উদ্ভিদের মূল ও কাণ্ডের বেড় বৃদ্ধির মাধ্যমে নতু ন
পরিবহন টিস্যু ও নতু ন ভারবহনকারী টিস্যুর সৃষ্টি হয়। সেকেন্ডারি বৃদ্ধি না হলে উদ্ভিদের বেড় বৃদ্ধি পায় না।

প্রাণিটিস্যু
প্রাণিটিস্যু তার গঠনকারী কোষের সংখ্যা, বৈশিষ্ট্য এবং তাদের নিঃসৃত পর্দাথের বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে প্রধানত চার ধরনের হয়।
নিচে প্রকারারসহ বিভিন্ন প্রাণিটিস্যুর বর্ণনা দেয়া হলো:
১. আবরণী টিস্যু (Epithelial Tissue):
যেসব কলা দেহের বাইরের সাধারণ আবরণ এবং দেহাভ্যন্তরে বিভিন্ন অঙ্গের মুক্ত পৃষ্ঠের উপর পাতলা আচ্ছাদন তৈরি করে
তাদেরকে আবরণী কলা বলে।
I. আবরণী টিস্যুর কোষগুলো ঘন সন্নিবেশিত এবং এদের মধ্যে আন্তঃকোষীয় পদার্থ কম বা একেবারেই নেই।
II. একটি ভিত্তিপর্দার উপর স্তরে স্তরে বিন্যস্ত থাকে।
III. সকল ভ্রূণীয় স্তর থেকেই সৃষ্ট
IV. এর কোষগুলো আইশাকার, স্তম্ভাকার বা আয়তাকার হয়ে থাকে।
V. এতে কোন রক্তবাহিকা বা তন্ত্র থাকে না, তবে স্নায়ু সূত্র বিদ্যমান।
কাজঃ
I. অঙ্গকে আবৃত রাখা
II. বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করা
III. প্রোটিনসহ বিভিন্ন পদার্থ ক্ষরণ বা নিঃসরণ করা (secretion)
IV. বিভিন্ন পদার্থ শোষণ করা (absorption)
V. কোষীয় স্তর পেরিয়ে সুনির্দি ষ্ট পদার্থের পরিবহন (transcellular transport)
VI. পরিবেশ থেকে বিভিন্ন উদ্দীপনা গ্রহণ
কোষের আকৃ তি, প্রাণিদেহে অবস্থান ও কাজের প্রকৃ তিভেদে এ টিস্যু তিন ধরনের হয়।
যথা:
ক.স্কোয়ামাস (আঁইশকার) আবরণী টিস্যু
খ কিউবয়ডাল (ঘনাকৃ তি) আবরণী টিস্যু
গ.কলামনার (স্তম্ভাকার) আবরণী টিস্যু
ক. স্কোয়ামাস আবরণী টিস্যু
এই টিস্যুর কোষগুলো মাছের আঁশের মতো চ্যাপটা ও নিউক্লিয়াস বড় আকারের হয়।
উদাহরণ: বৃকের বোম্যানস ক্যাপসুল প্রাচীর।
কাজ: প্রধানত আবরণ ছাড়াও ছাকন কাজে লিপ্ত থাকে।
খ .কিউবয়ডাল (ঘনাকৃ তি) আবরণী টিস্যু:
এই টিস্যুর কোষগুলো ঘনাকার বা কিউব আকৃ তির অর্থাৎ কোষগুলোর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা প্রায় সমান।
উদাহরণ: বৃকের সংগ্রাহক নালিকা।
কাজ: প্রধানত পরিশোষণ এবং আবরণ কাজে লিপ্ত।
গ. কলামনার (স্তম্ভাকার) আবরণী টিস্যু:
এই টিস্যুর কোষসমূহ স্তম্ভের মতো সরু লম্বা।
উদাহরণঃ প্রাণীর অন্ত্রের অন্তঃপ্রাচীরের কোষগুলো এই ধরনের।
কাজ: প্রধানত ক্ষরণ, রক্ষণ ও শোষণ কাজে লিপ্ত।
প্রাণী দেহে ভিত্তিপর্দার উপর সজ্জিত কোষগুলোর সংখ্যার ভিত্তিতে এপিথেলিয়াল টিস্যুকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
যথা:
১. সাধারণ আবরণী টিস্যু :
ভিত্তিপর্দার উপর কোষসমূহ একান্তরে সজ্জিত।
উদাহরণ: বৃক্কের বোম্যানস ক্যাপসুল, বৃন্ধীয় নালিকা, অন্ত্র প্রাচীর।
২. স্ট্রাটিফাইড আবরণী টিস্যু :
ভিত্তিপর্দার উপর কোষগুলো একাধিক স্তরে সজ্জিত।
উদাহরণ: মেরুদন্ডী প্রাণীদের ত্বক।
৩. সিউডো-স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু :
এই টিস্যুর কোষগুলো ভিত্তিপর্দার উপর একস্তরে বিন্যস্ত থাকে। তবে কোষগুলো বিভিন্ন উচ্চতার হওয়ায় এই টিস্যুকে দেখতে
স্তরীভূ ত টিস্যু মনে হয়।
উদাহরণ: ট্রাকিয়া।
আবরণী টিস্যু কোষগুলো বিভিন্ন কাজের জন্য নানাভাবে রূপান্তরিত হয়।
যেমন:
১. সিলিয়াযুক্ত আবরণী টিস্যু- মেরুদণ্ডী প্রাণীদের শ্বাসনালির প্রাচীরে দেখা যায়।
২. ফ্লাজেলাযুক্ত আবরণী টিস্যু- হাইড্রার এন্ডোডার্মে থাকে।
৩. ক্ষণপদযুক্ত আবরণী টিস্যু- হাইড্রার এন্ডোডার্মে এবং মেরুদভী প্রাণীদের অন্ত্রে দেখা যায়।
৪. জননঅঙ্গের আব্বাণী টিস্যু- বিশেষভাবে রূপান্তরিত আবরণী টিস্যু যা থেকে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুকোষ উৎপন্ন হয়। এরা
প্রজননে অংশগ্রহণ করে প্রজাতির ধারা অক্ষু ন্ন রাখে।
৫. গ্রন্থির আবরনী টিস্যু: বিভিন্ন ধরনের রস নিঃসরণ করে।
দেখা যাচ্ছে যে আবরণী টিস্যু কোনো অঙ্গের বা নালির ভিতরের ও বাইরের অংশ তৈরি করে থাকে।
আবার এই টিস্যুর রূপান্তরিত হয়ে রক্ষন, ক্ষরন, শোষন, ব্যাপন, পরিবহন ইত্যাদি কাজে যোগদান করে।
আবরণী টিস্যু রূপান্তরিত হয়ে গ্রন্থি টিস্যু এবং জননী টিস্যুতে পরিণত হয়ে দেহের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশগ্রহণ করে
থাকে।
পেশি কলা
ভ্রূণীয় মেসোডার্ম থেকে উদ্ভু ত যে কলা সংকোচন-প্রসারণক্ষম এবং অসংখ্য তন্তুর সমন্বয়ে গঠিত তাকে পেশি কলা বলে।
বৈশিষ্ট্য:
১। মায়োব্লাস্ট নামক আদিকোষ রূপান্তরিত হয়ে তন্তুর মতো লম্বা পেশীকোষে রূপান্তরিত হয়। এজন্য পেশীকোষকে পেশীতন্তু
বলে।
২। কোষগুলো সুস্পষ্ট নিউক্লিয়াসযুক্ত।
৩। প্রতিটি কোষ সারকোলেমা নামক ঝিল্লিতে আবৃত এবং এর ভিতরের সাইটোপ্লাজমকে সারকোপ্লাজম বলে। এই
সারকোপ্লাজমে মায়োফাইব্রিল নামক অসংখ্য প্রোটিন তন্তু বিদ্যমান থাকে।
৪। সারকোপ্লাজমের মধ্যে পরস্পর সমান্তরালভাবে অবস্থিত অসংখ্য মায়োফাইব্রিল নামক সূক্ষ্ম তন্তু থাকে। গুচ্ছবদ্ধ
অ্যাকটিন ও মায়োসিন নামক প্রোটিন ফিলামেন্ট দিয়ে মায়োফাইব্রিল গঠিত।
৫। পেশীকলার প্রায় ৭৫ শতাংশ পানি ও অবশিষ্টাংশ কঠিন পদার্থে গঠিত।
৬। আন্তঃকোষীয় ফাঁকগুলো নানা ধরনের কলায় পূর্ণ থাকে।
৭। প্রাণীদেহের মোট ওজনের অধিকাংশই হল পেশিকলা।
৮। কোষগুলো মাতৃ কার মধ্যে অবস্থান করে না।
কাজ:
পেশীকলাই প্রাণীদেহের বিভিন্ন অঙ্গের সঞ্চালনের জন্য দায়ী।
অস্থিসংলগ্ন পেশীর সংকোচন-প্রসারণের ফলে প্রাণী স্থানান্তরে গমন করতে পারে।
এরা রক্ত সঞ্চালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূ মিকা রাখে।
এরা সংশ্লিষ্ট অঙ্গের সংকোচন প্রসারণ ঘটিয়ে পরিপাক, রেচন ও প্রজনন কাজে সহায়তা করে।
প্রকারভেদ:
গঠন, অবস্থান ও কাজের তারতম্যের ভিত্তিতে পেশীকলাকে তিন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়:
১। রৈখিক (চিহ্নিত) বা ঐচ্ছিক পেশী:
প্রাণীদেহের যে অংশগুলোকে সাধারণত আমরা মাংস বলে থাকি প্রকৃ তপক্ষে সেগুলোই রৈখিক বা চিহ্নিত পেশী।
গঠন প্রকৃ তি:
কোষগুলো দেখতে নলাকার, ১-৪ সেন্টিমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ এবং ১০-৪০ মাইক্রোমিটার ব্যাসবিশিষ্ট হয়। তাই কোষগুলোকে সূক্ষ্ম
তন্তুর মতো দেখায় এবং পেশীতন্তু বলে আখ্যায়িত করা হয়।
তন্তুগুলো আলাদা বা বিক্ষিপ্ত না থেকে গুচ্ছবদ্ধ থাকে। পেশীতন্তুর এধরনের গুচ্ছকে ফ্যাসিকু লাস (বহুবচনে ফ্যাসিকু লি) বলা
হয়।
প্রতিটি গুচ্ছ পেরিমাইসিয়াম নামক যোজক কলা নির্মিত আবরণে আবৃত।
অনেকগুলি ফ্যাসিকু লি একত্রিত হয়ে একটি বড় গুচ্ছ গঠন করে।
এপিমাইসিয়াম নামক আরেক ধরনের যোজক কলা নির্মিত আবরণে গুচ্ছটি আবৃত থাকে। ঐচ্ছিক পেশীগুলো দেহাভ্যন্তরে
এভাবে গুচ্ছাকারে অবস্থান করে।
প্রতিটি পেশীতন্তু সারকোলেমা নামক সুস্পষ্ট এক আবরণে আবৃত থাকে।
এর ঠিক নিচে কয়েকশ গোলাকার বা ডিম্বাকার নিউক্লিয়াস দেখা যায়।
প্রতিটি পেশীকোষের অভ্যন্তরে কতকগুলো অতি সূক্ষ্ম তন্তু বা মায়োফাইব্রিল পাওয়া যায়।
প্রধানত অ্যাকটিন ও মায়োসিন নামক প্রোটিন দিয়ে মায়োফাইব্রিল গঠিত হয়।
অণুবীক্ষণযন্ত্রের নিচে এ উপতন্তুগুলোর সমস্ত দেহ জুড়ে পর্যায়ক্রমিকভাবে অবস্থিত কতকগুলো অনুপ্রস্থ রেখা দেখা যায়। এ
রেখাগুলো (দাগগুলো) থাকার জন্যই এ পেশীকলাকে রৈখিক পেশী বা চিহ্নিত পেশী বলে।
অবস্থান:
বড় বড় অস্থির সংযোগস্থলে এ ধরনের পেশী বেশি পাওয়া যায়, আর সে কারণেই এদের কঙ্কাল পেশীও বলা হয়ে থাকে।
চোখে, জিহ্বায়, গলবিলে এগুলো অবস্থান করে।
কাজ:
এ ধরনের পেশীর সংকোচন-প্রসারণ ক্ষমতা খুব দ্রুত ও শক্তিশালী।
হাত ও পা-এর বড় বড় অস্থিসহ দেহের অন্যান্য অস্থির সঞ্চালনের জন্য এ পেশীকলাই দায়ী।
প্রাণীর চলন এ পেশীর মাধ্যমে ঘটে।
এ পেশীর কাজ প্রাণীর ইচ্ছা অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হয়, তাই রৈখিক পেশীকে ঐচ্ছিক পেশী বলে আখ্যায়িত করা হয়।
২। মসৃণ (ভিসেরাল) বা অনৈচ্ছিক পেশী:
গঠন প্রকৃ তি:
এ পেশীর কোষগুলো মাকু আকৃ তির এবং ১৫-২০০ মাইক্রোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ।
কোষের চওড়া অংশের ব্যাস ৮-১০ মাইক্রোমিটার।
প্রত্যেক কোষে নিউক্লিয়াসের সংখ্যা একটি এবং এটি কোষের চওড়া অংশে অবস্থান করে।
কোষের আবরণী বা সারকোলেমা অস্পষ্ট।
কোষের সাইটোপ্লাজম বা সারকোপ্লাজম এ অসংখ্য অতি সূক্ষ্ম মায়োফাইব্রিল পেশীতন্তুর দৈর্ঘ্য বরাবর বিস্তৃ ত।
মায়োফাইব্রিলে কোনো আড়াআড়ি রেখা দেখা যায় না।
অবস্থান: পৌষ্টিকনালী, রক্তনালী, শ্বাসনালী, মূত্রথলি, জরায়ু প্রভৃ তি অঙ্গের প্রাচীরে এ পেশী পাওয়া যায়। মসৃণ পেশীগুলো
আন্তরযন্ত্রীয় অঙ্গের প্রাচীরে থাকে বলে এগুলোকে ভিসেরাল পেশীও বলা হয়।
কাজ:
এ কলার সংকোচন-প্রসারণ ক্ষমতা ধীর ও দীর্ঘস্থায়ী।
বিভিন্ন বস্তুর যাতায়াত নিয়ন্ত্রণে এ কলা অগ্রণী ভূ মিকা পালন করে। যেমন- খাদ্যবস্তু এ কলার মাধ্যমে পেরিস্ট্যালসিস
প্রক্রিয়ায় পৌষ্টিকনালীর উপরের অংশ থেকে নিচের দিকে ধাবিত হয়।
এ পেশীর সংকোচন প্রাণীর ইচ্ছানির্ভ র নয় বলে অনৈচ্ছিক পেশী বলা হয়ে থাকে।
৩। হৃৎপেশী বা কার্ডি য়াক পেশী:
গঠন প্রকৃ তি:
গঠনের দিক থেকে এটি অনেকটা রৈখিক পেশীর মতো।
পেশীতন্তুর মায়োফাইব্রিলের গায়ে আড়াআড়ি রেখা থাকে; কিন্তু পেশীতন্তুগুলো পরস্পর অনিয়মিতভাবে যুক্ত থেকে জালের
মতো গঠনের সৃষ্টি করে।
সারকোলেমা বেশ সূক্ষ্ম এবং নিউক্লিয়াসটি কোষের কেন্দ্রস্থলে অবস্থান করে।
কোষগুলোর দৈর্ঘ্য প্রায় ০.৮ মিলিমিটার এবং ব্যাস ১২-১৫ মাইক্রোমিটার হয়ে থাকে।
কোষগুলোর সংযোগস্থলে কোষপর্দা ঘন সন্নিবিষ্ট হয়ে এক বিশেষ অনুপ্রস্থ রেকার সৃষ্টি করে। একে ইন্টারক্যালেটেড ডিস্ক
বলে। এ ডিস্ক হৃদপেশীর অন্যতর প্রধান বৈশিষ্ট্য।
অবস্থান: একমাত্র হৃদপিন্ডের প্রাচীরেই এ ধরনের পেশী কলা পাওয়া যায়।
কাজ:
এ কলার সংকোচন-প্রসারণ ক্ষমতা পরিমিতভাবে দ্রুত, কখনও ক্লান্ত হয় না।
হৃদপিন্ডের সংকোচন-প্রসারণ ঘটিয়ে প্রাণিদেহে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করাই হৃদপেশীর কাজ।
হৃদপেশীর কার্যকারিতা প্রাণীর ইচ্ছানির্ভ র নয়। তাই কাজের দিক থেকে এ পেশী অনৈচ্ছিক।
কলা:
 যখন একগুচ্ছ কোষ একই উৎস থেকে সৃষ্টি হয়ে একটি সুনির্দি ষ্ট কাজ করে থাকে তখন সেই কোষগুচ্ছকে কলা
বলে।
 বিভিন্ন ধরণের কলা নিয়ে অঙ্গ, একাধিক অঙ্গ নিয়ে অঙ্গতন্ত্র এবং কতগুলো অঙ্গতন্ত্র নিয়ে প্রাণীদেহ গঠিত।
 এককোষী বিধায় প্রোটোজোয়া পর্বের প্রাণীদের কোন কলা নেই, পরিফেরা পর্বের প্রাণী একাধিক কোষ নিয়ে গঠিত
হলেও তা কলা গঠন করে নি। বহুকোষী প্রাণীদের মধ্যে সিলেন্টের‍্যাটা পর্বের প্রাণীদের দেহে সরল প্রকৃ তির কলা
দেখতে পাওয়া যায়।
 কলা চার প্রকার। যথা- আবরণী কলা (Epithelial tissue), যোজক কলা (Connective tissue), পেশী কলা
(Muscular tissue) এবং স্নায়ু কলা (Nervous tissue)
 যোজক কলা:
যে কলা প্রাণিদেহের বিভিন্ন অঙ্গ বা একই অঙ্গের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে তাকে যোজক কলা বলে।
বৈশিষ্ট্যঃ
কাজ;
প্রাণীদেহের বিভিন্ন অঙ্গ অথবা একই অঙ্গের বিভিন্ন অংশকে সংযুক্তকারী এই কলা কঙ্কাল গঠন করে দেহ কাঠামো প্রদান
করে, বিভিন্ন পদার্থ পরিবহণে অংশ নেয়, ক্ষতিকারক পদার্থ ও জীবাণু থেকে রক্ষা করে, ক্ষত নিরাময়ে অংশগ্রহণ করে এমন
কি দেহস্থ তাপও নিয়ন্ত্রণ করে।
 ভ্রূণীয় মেসোডার্ম থেকে উৎপত্তি লাভ করে
 এ কলার কোষের সংখ্যা কম
 কোষগুলো অনিয়মিত, নির্দি ষ্ট স্তরে বিন্যস্ত থাকে না।
 কোষগুলো ঘন সন্নিবিষ্ট নয় মাতৃ কা বা ধাত্র বা ম্যট্রিক্সের মধ্যে ছড়িয়ে থাকে তবে এতে রক্ত বাহিকা উপস্থিত।
প্রকারভেদঃ
গঠন প্রকৃ তির উপর ভিত্তি করে এদেরকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- প্রকৃ ত যোজক কলা (Proper Connective
Tissue), কঙ্কাল যোজক কলা (Skeletal Connective Tissue) এবং তরল যোজক কলা (Fluid Connective Tissue)।
প্রকৃ ত যোজক কলা (Proper Connective Tissue):
প্রকৃ ত যোজক কলার কোষগুলো বিভিন্ন প্রকার তন্তু ও স্বনিঃসৃত মাতৃ কায় ছড়ানো থাকে। এগুলো আবার চার প্রকার। যথা-
 অ্যারিওলার কলা (Areolar tissue):
o এই কলার জেলির মতো অর্ধ-তরল মাতৃ কায় ফাইব্রোব্লাস্ট, প্লাজমা কোষ, রঞ্জক কোষ, মাস্টকোষ,
হিস্টিওসাইট ইত্যাদি কোষ এবং শাখাহীন শ্বেততন্তু ও শাখা বিশিষ্ট পীততন্তু বর্ত মান।
o দেহত্বকের নীচে, পেশীসমূহের মাঝে, পাকস্থলী, রক্তবাহিকা, অন্ত্র ইত্যাদি অংশে দেখতে পাওয়া যায়।
o এই কলার হিস্টিওসাইট জীবাণু গ্রাস করে, প্লাজমা কোষ অ্যান্টিবডি সংশ্লেষ করে, ফাইব্রোব্লাস্ট শ্বেতবস্তু
তৈরিতে সাহায্য করে ও ক্ষতস্থান সারিয়ে তু লতে অংশ নেয়, মাস্টকোষ হেপারিন তৈরি করে যা রক্ত
জমাট বাঁধতে বাঁধা দেয়, রঞ্জক কোষ মেলানিন তৈরি করে।
 শ্বেত তন্তুময় যোজক কলা (White fibrous tissue):
o এই কলার ম্যাট্রিক্সে ফাইব্রোব্লাস্ট কোষ থেকে সৃষ্ট ও কোলাজেন নামক প্রোটনে গঠিত শ্বেতবর্ণের
স্থিতিস্থাপক ও শাখাবিহীন তন্তু (যা শ্বেততন্তু নামে পরিচিত) গুচ্ছাকারে ও পরস্পর সমান্তরালভাবে বিন্যস্ত
থাকে।
o অন্ত্র প্রাচীরে ও দেহত্বকের নিচে ধারাবাহিক স্তরে বিন্যস্ত থাকে।
o অস্থির সাথে পেশীকে সংযুক্ত করে, অস্থিবন্ধনী তৈরিতে সহায়তা করে এবং চাপ ও টানের হাত থেকে
দেহের বিভিন্ন অঙ্গকে রক্ষা করে।
 পীত তন্তুময় যোজক কলা (Yellow fibrous tissue):
o এ কলার মাতৃ কায় ইলাস্টন নামক প্রোটিনে গঠিত স্থিতিস্থাপক শাখাযুক্ত পীতবর্ণের তন্তু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে
অবস্থান করে।
o ফু সফু স, ধমনীর প্রাচীর, সন্ধিবন্ধনী, স্বরযন্ত্র ইত্যাদিতে পাওয়া যায়।
o এই কলা ফু সফু সের সংকোচন-প্রসারণে অংশ নেয়, রক্তবাহিকাকে স্থিতিস্থাপক করা ছাড়াও এর
অত্যধিক প্রসারণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রক্তচাপের সাম্যাবস্থা বজায় রাখে।
 মেদ কলা (Adipose tissue):
o একলার মাতৃ কায় স্নেহ পদার্থে পূর্ণ বৃহদাকার গহ্বর বিশিষ্ট গোলাকার বা ডিম্বাকার কোষ ও স্থিতিস্থাপক
তন্তু দেখতে পাওয়া যায়। গহ্বরটি কেন্দ্রে থাকায় সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াস কোষের পরিধির কাছাকাছি
অবস্থান করে। অন্যান্য যোজক কলার তু লনায় এতে কোষের সংখ্যা বেশি পাওয়া যায়।
o স্তনগ্রন্থি, অস্থিমজ্জা, ত্বকের নিচে ও বৃক্কের চারপাশে এ কলা বেশী পরিমাণে পাওয়া যায়।
o দেহের তাপ হারানোতে বাঁধা প্রদান, অভ্যন্তরীণ অঙ্গসমূহকে বাহ্যিক আঘাত থেকে রক্ষা, দেহের আকৃ তি
প্রদান ও দেহের শক্তি সঞ্চিত করে রাখতে এ কলার ভূ মিকা অনন্য।
কঙ্কাল যোজক কলা (Skeletal Connective Tissue):
অর্ধ-কঠিন বা কঠিন মাতৃ কাবিশিষ্ট যে কলা কঙ্কাল গঠনে অংশ নেয় এবং দেহের কাঠামো তৈরি ও দৃঢ়তা দানে নিয়োজিত
থাকে তাকে কঙ্কাল যোজক কলা বলে।
এটি আবার দুই ধরণের যথা- কোমলাস্থি বা তরুণাস্থি (Cartilage) এবং অস্থি (Bone)।
 কোমলাস্থি বা তরুণাস্থি (Cartilage):
o এ কলার মাতৃ কা অর্ধকঠিন, কন্ড্রোমিউকয়েড (Chondromucoid) এবং কন্ড্রোঅ্যালবুনয়েড
(Chondroalbunoid) প্রোটিনে গঠিত কনড্রিন (Chondrin) নামক ঈষদচ্ছ, কঠিন ও স্থিতিস্থাপক পদার্থ
দিয়ে তৈরি। এর বর্ণ হালকা নীল। তন্তু ও ভিত্তিপদার্থ মাতৃ কার উপাদান। তন্তুর মধ্যে কোলাজেনই প্রধান,
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইলাস্টিন তন্তুও থাকে। ভিত্তিপদার্থের মধ্যে আছে প্রধানত পানি এবং দ্রবীভূ ত
লবণ। এছাড়া প্রোটিওগ্লাইক্যান অণুর সাথে প্রোটিন অথবা গ্লাইকোপ্রোটিন এবং কিছু লিপিড একত্রে
মিলিত হয়ে জালকের মতো মাতৃ কা গঠন করে।
o কোমলাস্থির কোষগুলো ক্ষু দ্রাকার, চ্যাপ্টা এবং ফাইলোপোডিয়ামযুক্ত। তরুণ সক্রিয় কোষগুলোকে
কন্ড্রোব্লাস্ট বলে। পরিণত অবস্থায় এরা বিভাজন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে তখন এর নাম হয় কন্ড্রোসাইট।
o মাতৃ কায় তরলে পূর্ণ ল্যাকু না (lacuna) নামক গহ্বর অবস্থিত যাতে এক বা একাধিক কন্ড্রোসাইট
(Chondrocyte) দেখতে পাওয়া যায়। ল্যাকু নি তরল পদার্থ দ্বারা পূর্ণ থাকে। তন্তুময় পেরিকন্ড্রিয়াম দ্বারা
কোমলাস্থি আবৃ ৎ থাকে।
o এ কলা অন্যান্য কলা অপেক্ষা বেশী চাপ ও টান (Tension) বহন করতে পারে।
চার ধরণের কোমলাস্থি দেখতে পাওয়া যায়। যথা-
o স্বচ্ছ বা হায়ালিন (Hyaline) কোমলাস্থি:
এ কলা পেরিকন্ড্রিয়াম নামক তন্তুময় আবরণে আবৃত থাকে। এর মাতৃ কা তন্তুবিহীন, নমনীয়, নীলাভ ও
ঈষৎ স্বচ্ছ হয়ে থাকে।
হাঙ্গর ও ব্যাঙের ভ্রূণে, স্তন্যপায়ীর শ্বাসনালী, স্বরযন্ত্র ও নাকে এ কলা উপস্থিত।
o পীততন্তুময় বা স্থিতিস্থাপক (Elastic) কোমলাস্থি:
এর অস্বচ্ছ ও ঈষৎ হলুদ রং এর মাতৃ কায় স্থিতিস্থাপক পীততন্তু দেখতে পাওয়া যায়। তন্তুগুলো বাহিরের
দিকের তু লনায় ভিতরের দিকে অধিক ঘনভাবে অবস্থান করে।
বহিঃকর্ণ (Pinna), ইউস্টেসিয়ান, আল-জিহ্বা ইত্যাদিতে এ কলা বর্ত মান।
o শ্বেততন্তুময় (White fibrous) কোমলাস্থি:
এ কলার মাতৃ কায় ঘনভাবে অবস্থিত শ্বেততন্তু প্রচু র পরিমাণে দেখতে পাওয়া যায়।
উভয় কশেরুকার মাঝে এবং এজাতীয় অন্যান্য অস্থিসন্ধিতে উপস্থিত।
o চু নায়িত (Calcified) কোমলাস্থি:
প্রায় অস্থির ন্যায় শক্ত এ কলার মাতৃ কায় প্রচু র পরিমাণে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট দেখতে পাওয়া যায়।
হিউমেরাস ও ফিমারের অগ্রপ্রান্ত তথা মাথায় দেখতে পাওয়া যায়।
 অস্থি (Bone):
o সর্বাপেক্ষা কঠিন এ কলা ৪০ শতাংশ জৈব ও ৬০ শতাংশ অজৈব পদার্থে গঠিত। জৈব পদার্থের মধ্যে
কোলাজেন তন্তু এবং এ তন্তুকে ঘিরে মিউকোপলিস্যাকারাইডের সিমেন্ট জাতীয় পদার্থ অসিইন থাকে।
অজৈব অংশে প্রধানত ক্যালসিয়াম ফসফেট ও ক্যালসিয়াম কার্বনেট উপস্থিত। এ কলার মাতৃ কা
ল্যামেলি (Lamellae) নামক কতগুলো স্তরে সজ্জিত থাকে। হ্যাভারসিয়ান নালী (Haversian canal)
নামক একটি কেন্দ্রীয় নালীর চারদিকে ল্যামেলিগুলো চক্রাকারে সজ্জিত হয়ে হ্যাভারসিয়ান তন্ত্র
(Haversian system) গঠন করে। প্রতিটি ল্যমেলা (ল্যামেলির একবচন) তে ল্যাকু না (Lacuna) নামক
ক্ষু দ্র ক্ষু দ্র গহ্বর দেখতে পাওয়া যায় যাতে অস্টিওসাইট (Osteocyte) বা অস্থিকোষ অবস্থান করে। প্রতিটি
ল্যাকু নার চারদিকে ক্যানালিকু লি (Canaliculi) নামক সূক্ষ্ম নালিকা রয়েছে যার মাধ্যমে পাশাপাশি
অবস্থিত ল্যাকু নার মধ্যে যোগাযোগ রক্ষিত হয়। অস্থিকলার কেন্দ্রে মজ্জা (Marrow) নামক একটি গহ্বর
উপস্থিত যা শ্বেত বা লাল বর্ণের মজ্জায় পূর্ণ থাকে।
o দৃঢ়তা ও ঘনত্বের উপর ভিত্তিকরে অস্থি দুই প্রকার। যথা- ঘনসন্নিবিষ্ট বা দৃঢ়অস্থি (Compact bone) এবং
স্পঞ্জসদৃশ বা স্পঞ্জিঅস্থি (Spongy bone)। দৃঢ়অস্থিতে হ্যাভারসিয়ান তন্ত্র উপস্থিত থাকে। হিউমেরাস ও
ফিমার হচ্ছে এ জাতীয় অস্থি। অন্যদিকে স্পঞ্জিঅস্থিতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কম থাকে এবং
হ্যাভারসিয়ান তন্ত্র থাকে না তবে অসংখ্য সূক্ষ্ম ব্যবধায়কের (Septa) উপস্থিতির কারণে এটি স্পঞ্জের মত
দেখায়। চাপা অস্থি ও মাথার খুলিতে এধরণের অস্থি বর্ত মান।
o অস্থিকলা দেহকে দৃঢ়তা দান করে একটি কাঠামো প্রদান করে, অভ্যন্তরীণ অঙ্গকে (মস্তিষ্ক, ফু সফু স, হৃদযন্ত্র
ইত্যাদি) রক্ষা করে, মজ্জাকে আবৃত করে রাখে, রক্ত থেকে আর্সেনিক ও সীসার মত দূষিত পদার্থসহ
সকল দূষিত পদার্থ অপসারণ করে এবং পেশীর সহযোজনের জন্য উপযুক্ত ক্ষেত্র তৈরি করে।
কাজঃ
১। দেহের কাঠামো গঠন ও দৃঢ়তা দান করে।
২। দেহের গুরুত্বপূর্ণ নরম অঙ্গসমূহ সুরক্ষা করে।
৩। দেহের ভার বহন করে এবং পেশির সাথে সংযুক্ত থেকে চলাচলে সহায়তা করে।
৪। প্রয়োজনে রক্তে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস সরবরাহ করে।
৫। বিষাক্ত মৌল (যেমনঃ লেড, আর্সেনিক ইত্যাদি) সঞ্চয় করে দেহকে বিপদমুক্ত রাখে।
৬। মজ্জাকে আবৃত রাখে। এ মজ্জা থেকে রক্ত কণিকা উৎপন্ন হয়।
 তরল যোজক কলা (Fluid Connective Tissue) বা হিমোলিস্ফয়েড কলা (Haemolymphoid tissue):
এ কলার তরল পদার্থে গঠিত মাতৃ কায় কোষগুলো ভাসমান অবস্থায় থাকে। তরল যোজক কলা দুই প্রকার। যথা- রক্ত
(Blood) ও লসিকা (Lymph)।
 রক্ত (Blood):
o রক্ত রক্তরস (Plasma) ও রক্তকণিকা (Blood corpuscles) নিয়ে গঠিত। রক্তের ৬০ শতাংশই রক্তরস
এবং ৪০ শতাংশ রক্তকণিকা।
o রক্তরসের ৮-১০ ভাগ জৈব ও অজৈব পদার্থ এবং বাকী ৯০-৯২ ভাগ পানি নিয়ে গঠিত। জৈব পদার্থের
মধ্যে প্রোটিন, ফ্যাট, গ্লুকোজ ও কোলেস্টেরল অন্যতম এবং অজৈব পদার্থের মধ্যে সোডিয়াম,
ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড, বাইকার্বনেট ইত্যাদি অন্যতম।
o রক্তকণিকা গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে লোহিত বা লাল রক্ত কণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা ও অণুচক্রিকা।
o গোলাকার আকৃ তির লোহিত রক্তকণিকায় হিমোগ্লোবিন নামক লৌহ-ঘটিত শ্বাস-রঞ্জক বর্ত মান। মাছ,
উভচর, সরীসৃপ ও পাখিতে ডিম্বাকার লোহিত রক্তকণিকায় নিউক্লিয়াস থাকলেও স্তন্যপায়ীদের লোহিত
রক্তকণিকায় নিউক্লিয়াস অনুপস্থিত। মানুষের লোহিত রক্তকণিকা বৃত্তাকার ও প্রতি মাইক্রোলিটার রক্তে
প্রায় ৫০ লক্ষ লোহিত রক্তকণিকা থাকে। অক্সিজেন বহন করাই এর প্রধান কাজ হলেও কার্বন ডাই
অক্সাইড পরিবহণ করায় এর ভূ মিকা আছে।
o শ্বেত রক্তকণিকায় নিউক্লিয়াস উপস্থিত তবে হিমোগ্লোবিন অনুপস্থিত। অন্যান্য রক্তকণিকা অপেক্ষা বৃহৎ
আকৃ তির এ রক্তকণিকা কম পরিমাণে বর্ত মান। এর প্রধান কাজ ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় দেহে তথা
রক্তে প্রবেশকরা জীবাণুকে ধ্বংস করা।
o অণুচক্রিকা নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট অথবা নিউক্লিয়াস বিহীন হয়ে থাকে এবং আকারেও এরা বৈচিত্র্যময়।
মানুষের রক্তে ২.৫-৫ মাইক্রন ব্যস বিশিষ্ট অণুচক্রিকা দেখতে পাওয়া যায়। প্রতি মাইক্রোমিটার রক্ত এর
পরিমাণ ২.৫-৪.৫ লক্ষ। রক্ত জমাট বাঁধার মাধ্যমে রক্ত ক্ষরণে বাঁধা প্রদান এদের প্রধান কাজ।
 লসিকা (Lymph):
o ঈষৎ ক্ষারীয় স্বচ্ছ বা পীত বর্ণের তরল পদার্থ যাতে অসংখ্য শ্বেতকণিকা ও সামান্য অণুচক্রিকা থাকলেও
কোন লোহিতকণিকা থাকে না। এতে জলীয় অংশের পরিমাণ ৯৪ শতাংশ এবং কঠিন পদার্থের পরিমাণ
৬ শতাংশ। এতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস কম থাকলেও ক্লোরাইড ও শর্ক রার পরিমাণ বেশী
থাকে। প্রকৃ তপক্ষে লসিকা পরিস্রুত রক্ত।
o অ্যান্টিবডি তৈরির মাধ্যমে জীবাণু ধ্বংস করে দেহের প্রতিরক্ষায় অংশ নেয়া, কলারস থেকে প্রোটিনকে
রক্তে নিয়ে আসা, স্নেহ পদার্থ পরিবহণ, দেহের যেখানে রক্ত পৌঁছাতে পারে না সেখানে অক্সিজেন ও
খাদ্যরস পরিবহণ করা, লসিকাগ্রন্থি থেকে সৃষ্ট লিম্ফোসাইট রক্তে স্থানান্তর করা, কলাকোষের সামগ্রিক গঠন
বজায় রাখা এর প্রধান কাজ।
স্নায়ু কলা (Nervous tissue):
এ কলা গ্রাহক অঙ্গের (Receptor organ) মাধ্যমে উদ্দীপনা গ্রহণ করে সে মোতাবেক কার্যকারক অঙ্গের (Effector organ)
মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে থাকে। এ কলার প্রধান উপাদান স্নায়ুকোষ বা নিউরোন (Neurone)। এছাড়াও নিউরোগ্লিয়া
(Neuroglia) কোষ স্নায়ুকোষের ফাঁকে ফাঁকে অবস্থান করে স্নায়ুকোষকে সুরক্ষা দেয়।
স্নায়ুকোষ অর্থাৎ নিউরোন এর গঠন: 
নিউরোনের প্রধান অংশ দুটি। যথা- কোষ দেহ ও প্রলম্বিত অংশ
 কোষ দেহ:
নিউরোনের কোষ দেহ কোষআবরণী, সাইটোপ্লাজম ও একটিমাত্র নিউক্লিয়াস নিয়ে গঠিত। এটিই এর মূল অংশ যা
প্রজাতিভেদে গোলাকার, ডিম্বাকার, নক্ষত্রাকার, সূঁচালোকার ইত্যাদি আকারের হয়ে থাকে। মানুষের কোষ দেহের
ব্যাস ৫ – ১২০ মাইক্রন হয়ে থাকে।
 প্রলম্বিত অংশ:
o কোষ দেহ থেকে বেড় হওয়া শাখা-প্রশাখা নিয়ে প্রলম্বিত অংশ গঠিত। এগুলো দু ধরণের। যথা- অ্যাক্সন
(Axon) ও ডেনড্রাইট (Dendrite)।
o কোষ দেহ থেকে উৎপন্ন সবচেয়ে লম্বা শাখাহীন প্রলম্বিত অংশ অ্যাক্সন নামে পরিচিত। অ্যাক্সনের
চারপাশে নিউরিলেমা (Neurilemma) নামক একটি আবরণ বর্ত মান। নিউরিলেমা আবৃত অ্যাক্সনকে
স্নায়ুতন্তু (Nerve fibre) বলে। নিউরিলেমা ও অ্যাক্সনের মধ্যে স্নেহ পদার্থের একটি স্তর থাকে যাকে
মায়েলিন (Myelin) বা মেডু লারি আবরণ (Medullary sheath) বলে। তবে স্তরটি নিরবিচ্ছিন্ন নয় বরং
এটি একটি নির্দি ষ্ট দূরত্ব পর পর র‍্যানভিয়ারের নোড (Node of Ranvier) নামক পর্ব দ্বারা বিচ্ছিন্ন।
র‍্যানভিয়ার নোড বা পর্বে মায়েলিন অনুপস্থিত থাকে বিধায় ঐ অংশে নিউরিলেমা ও অ্যাক্সন পরস্পরের
প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসে। প্রতিটি নোডে সোয়ান (Schwann) কোষ বর্ত মান যা মূলত নিউরোগ্লিয়া
(Neuroglia) কোষ।
o কোষ দেহ থেকে উৎপন্ন শাখা বিশিষ্ট এক বা ততোধিক ক্ষু দ্র ক্ষু দ্র প্রলম্বিত অংশ দেখতে পাওয়া যায় যাকে
ডেনড্রাইট (Dendrite) বলে। অ্যাক্সোনের তু লনায় এটি বহু গুণ খাটো এবং সংখ্যায় এক বা একাধিক
তবে অনুপস্থিতও হতে পারে। এরা শাখা প্রশাখা বিশিষ্ট তবে এতে মায়েলিন বা মেডু লারি আবরণ থাকে
না এমন কি র‍্যানভিয়ারের নোডও অনুপস্থিত।
স্নায়ুকোষ বা নিউরোনের কাজ:
 একটি নিউরোনের অ্যাক্সোন অন্য একটি নিউরোনের ডেনড্রাইটের সাথে স্পর্শহীনভাবে একটি সংযোগ তৈরি করে
যাকে সিন্যাপ্স (Synapse) বলা হয়। এ সংযোগের মাধ্যমে অ্যাক্সন নিজ কোষ দেহে উদ্দীপনা অন্য কোষ দেহে
পাঠায় অন্যদিকে ডেনড্রাইট অন্য কোষ দেহের উদ্দীপনা নিজ কোষ দেহে নিয়ে আসে।
 এভাবে নিউরোন পরিবেশ ও প্রাণীদেহের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে প্রাণীর
সকল শরীরবৃত্তীয় কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে।
 এছাড়াও স্নায়ুকোষ বা নিউরোন বিভিন্ন উদ্দীপনা বা ঘটনাকে মস্তিষ্কের স্মৃতিতে সংরক্ষণ করে রাখে।
 স্নায়ু টিস্যু পরিবেশ থেকে উদ্দীপনা যেমন তাপ, স্পর্শ, চাপ ইত্যাদি গ্রহণ করে দেহের ভিতরে মস্তিষ্কে পরিবাহিত করে
এবং মস্তিষ্কের বিশ্লেষণের পর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপযুক্ত কাজ করে থাকে। স্নায়ু টিস্যু উদ্দীপনা গ্রহণ করে মস্তিষ্কে
পরিবাহিত হয় এবং তাতে সাড়া দেয়। উচ্চতর প্রাণীতে স্নায়ু টিস্যু মস্তিষ্কে স্মৃতি সংরক্ষণ করা সহ দেহের বিভিন্ন
অঙ্গের কাজ নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে।
স্নায়ুকোষ বা নিউরোনের প্রকারভেদ:
একটি স্নায়ুকোষ তথা নিউরোনের কোষ দেহে অ্যাক্সন ও ডেনড্রাইট এর সংখ্যা ও অবস্থানের উপর ভিত্তি করে নিউরোন কে
পাঁচভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
 মেরুহীন (Apolar) নিউরোন: এ ধরনের নিউরোনের কোষ দেহে অ্যাক্সন ও ডেনড্রাইট উভয়ই অনুপস্থিত।
 একমেরু (Unipolar) নিউরোন: এ ধরনের নিউরোনের কোষ দেহে একটি মাত্র অ্যাক্সন উপস্থিত।
 দ্বিমেরু (Bipolar) নিউরোন: এ ধরনের নিউরোনের কোষ দেহের একপাশে একটি অ্যাক্সন এবং বিপরীত প্রান্তে
একটি ডেনড্রাইট উপস্থিত।
 ভ্রান্ত একমেরু (Pseudounipolar) নিউরোন: এ ধরনের নিউরোনের কোষ দেহে একটি করে অ্যাক্সন ও ডেনড্রাইট
একই স্থান থেকে উৎপন্ন হয়ে থাকে।
 বহুমেরু (Multipolar) নিউরোন: এ ধরনের নিউরোনের কোষ দেহে একটি মাত্র অ্যাক্সন থাকে এবং একাধিক
ডেনড্রাইট কোষ দেহের বিভিন্ন দিক থেকে উৎপন্ন হয়ে থাকে। বেশীরভাগ (প্রায় ৯৯%) নিউরোনই এ ধরনের।

রক্তিম – ৯ম – চ
(ক)
উদ্ভিদের গৌণ বৃদ্ধির সময়
(খ)
ঐচ্ছিক ও অনৈচ্ছিক পেশির মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ
ঐচ্ছিক পেশি অনৈচ্ছিক পেশি
প্রাণীর ইচ্ছানুযায়ী সংকোচন প্রসারণে সক্ষম প্রাণীর ইচ্ছানুযায়ী সংকোচন প্রসারণে অক্ষম
কোষগুলো নলাকার, শাখাবিহীন ও আড়াআড়ি ডোরাযুক্ত। কোষগুলো মাকু আকৃ তির। এদের গায়ে আড়াআড়ি দাগ
থাকে না।
প্রতি কোষে একাধিক নিউক্লিয়াস থাকে। প্রতিটি কোষে একটি করে নিউক্লিয়াস থাকে।
বিভিন্ন অঙ্গের সঞ্চালন ও চলন নিয়ন্ত্রণ করে। দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গাদির সঞ্চালনে অংশ নেয়। যেমন:
অন্ত্রের ক্রমসংকোচন।
সংকোচন-প্রসারণ ক্ষমতা দ্রুত ও শক্তিশালী। সংকোচন-প্রসারণ ক্ষমতা মন্থর ও দীর্ঘস্থায়ী।
(গ)
প্রদত্ত চিত্রে প্রদর্শিত A অংশটি হল উদ্ভিদের ভাস্কু লার বান্ডলের ফ্লোয়েমের অন্তর্গত সঙ্গিকোষ। নিম্নে এর গঠন বর্ণনা করা
হলঃ
ফ্লোয়েমঃ
উদ্ভিদ কান্ডে জাইলেমের সাথে একত্রে পরিবহন টিস্যুগুচ্ছ গঠন করে ফ্লোয়েম। সিভনল, সঙ্গীকোষ, ফ্লোয়েম প্যারেনকাইমা ও
ফ্লোয়েম তন্তু নিয়ে ফ্লোয়েম টিস্যু গঠিত হয়।
সঙ্গীকোষঃ
(১) প্রতিটি সিভকোষের সাথে একটি করে প্যারেনকাইমা জাতীয় কোষ অবস্থান করে। একে সঙ্গীকোষ বলে।
(২) এদের কেন্দ্রিকা বেশ বড়। ধারণা করা হয় যে, এই কেন্দ্রিকা সিভকোষের কার্যাবলি কিছু পরিমাণে হলেও নিয়ন্ত্রণ করে।
(৩) এ কোষ প্রোটোপ্লাজমপূর্ণ ও পাতলা প্রাচীরযুক্ত।
(৪) ফার্ন ও ব্যক্তবীজী উদ্ভিদে এদের উপস্থিতি নেই।
(৫) খাদ্য পরিবহনে সিভনলকে সহায়তা করা সঙ্গীকোষের কাজ।
(ঘ)
উল্লিখিত B চিহ্নিত অংশটি হল সিভনল যা সালোকসংশ্লেষণে উৎপন্ন খাদ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত।
সিভনল গঠিত হয় সিভকোষের দ্বারা। এরা বিশেষ ধরনের কোষ। এদের প্রাচীর লিগনিনযুক্ত। পরিণত সিভকোষে কোনো
কেন্দ্রিকা থাকে না।
দীর্ঘ, পাতলা কোষপ্রাচীরযুক্ত ও জীবিত এ কোষগুলো লম্বালম্বিভাবে একটির উপর একটি পরপর সজ্জিত হয়ে সিভনল
গঠন করে। সিভকোষের প্রোটোপ্লাজম প্রাচীর ঘেষে থাকে যার কারণের একটি ফাঁপা জায়গার সৃষ্টি হয়। এ কোষগুলো চালুনির
মতো ছিদ্রযুক্ত সিভপ্লেট দ্বারা পরস্পর থেকে আলাদা থাকে। সিভকোষে প্রোটোপ্লাজম প্রাচীর ঘেঁষে থাকে ফলে একটি কেন্দ্রীয়
ফাঁপা জায়গার সৃষ্টি হয়, যা খাদ্য পরিবহনে নল হিসেবে কাজ করে।
উদ্ভিদের পাতায় বিদ্যমান ক্লোরোফিল সূর্যালোকের উপস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদন করে যা সমগ্র দেহে পরিবহনের দায়িত্ব গ্রহণ
করে ফ্লোয়েম। আর ফ্লোয়েমের সিভনলের মাধ্যমেই পাতায় উৎপন্ন খাদ্যদ্রব্য সারাদেহে পরিবাহিত হয়।
https://www.rokomari.com/book/192350/islamic-studies-1--prime-bou-ba-and-bss-
programme-2nd-semester--subject-code--2304
https://www.rokomari.com/book/172615/purnango-islamic-studies--1st-part

https://www.rokomari.com/book/182133/qur-anic-studies,’ঈ,য়/।ঢক;’ঈ/
Zcš X – X –E

(@)
8cĉ iQZ ƱBnN VgcĆZ ^ Xq
(A)
= cÅ@>4 jScÅ@ƱTc\ ZXiR –TbPƳ
@ –cSŏŜ T
= cÅ@ƱTc\ 4 jScÅ@ƱTc\
Ĵ bNdZ 6ÅbSeYbqd^ 2i@bES Ĵ ^ bZiN ^ ¢ X Ĵ bNdZ 6ÅbSeYbqd^ 2i@bES Ĵ ^ bZiN 4 ¢ X
Ʊ@b] ª i[ bS[ b@bZ , \ bAbcV_dS > 5 ob5 co ƱLbZbYeš Ț Ʊ@b] ª i[ bXb@e 5 @gcOZȚ < iQZ Bbiq 5 ob5 co QbB Pbi@
SbȚ
Ĵ cOƱ@bi] <@bcR@cS8c  qb^ Pbi@Ț Ĵ cOcJ Ʊ@bi] < @cJ@iZcS8c  qb^ Pbi@Ț
cVcWĨ 4 i¿ Z^ Õb[ S>E[ ScSqĞN@iZȚ ƱQi_Z4 W–ĜZdN4 ¿ bcQZ^ Õb[ iS4 2\ ƱSqȚƱYXS : 4 iĞZ
Ÿ X^ 2i@bESȚ
^ 2i@bES-Ĵ ^ bZN¢ XObč O>\ c š \ b[ dȚ ^ 2i@bES-Ĵ ^ bZN¢ XObXĠZ>QdCƳ
Ɛ bqdȚ
(B)
Ĵ QócEiøĴ Qc\ Ƴ
O A 4 2\ cJ _[ 8cĉ iQZ Wbƅe[ bZ Vbę i[ Z ƱĻbiqiXZ 4 ĜBƳ
O ^ c¿ i@b] Ț cSiŏ < Z BKS VNƳ
Sb@Zb_[ 3
ƱĻbiqX3
8cĉ Q @bię Gb6i[ iXZ ^ biP < @iø TcZV_S cJ ^e–ª Å BKS @iZ ƱĻbiqXȚ c^ WS[ , ^ ¿ di@b] , ƱĻbiqXT –biZS@b6Xb>ƱĻbiqXOĝ
cSiqƱĻbiqX cJ ^e– BcKO _qȚ
^ ¿ di@b] 3
(w) Ĵ cOcJc^ Wi@bi] Z^ biP< @cJ@iZT –biZS@b6XbGbOdqƱ@b] 4 VƐ bS@iZȚ<i@^ ¿ di@b] Vi[ Ț
(x) < iQZ Ʊ@cģ @bƱV\ VoȚRbZNb@Zb_qƱY , < 6Ʊ@cģ @bc^ Wi@bi] Z@bYƳ
bVc[ c@FeTcZXbiN _i[ > cSqĞN @iZȚ
(y) < Ʊ@b] ƱĴ biJ bķ bGXTfNƳ> TbO[ b Ĵ bEdZYeš Ț
(z) UbSƳ
> V –š VdGd8cĉ iQ< iQZ8TcƐ cOƱS6Ț
({) AbQTc
– ZV_iSc^ WS[ i@^ _bqOb@Zb^ ¿ di@bi] Z@bGȚ
(C)
8cŬcAO B cEcƠO4 2\ cJ_[ c^ WS[ Yb^ bi[ b@^ 2iŸ] iN8 TĨ AbQ –TcZV_iSZ@biGcSiqbcGOȚ
—
c^ WS[ BcKO _q c^ Wi@bi] Z ďbZbȚ < ZbcVi\ ] RZiSZ Ʊ@b] Ț < iQZ Ĵ bEdZ c[ BcSSYeš Ț TcZNO c^ Wi@bi] Ʊ@biSbƱ@cģ @bPbi@
SbȚ
, TbO[ bƱ@b] Ĵ bEdZYeš > GdcVO < Ʊ@b] ª i[ b [ Ŕb[ cŔWbiV< @cJZ8TZ< @cJTZTZ^ cÎ O_iqc^ WS[ BKS@iZȚ
QdCƳ
c^ Wi@bi] Z ƱĴ biJ bķ bGX Ĵ bEdZ ƱCi] Pbi@ YbZ @bZiNZ < @cJ Ub1TbGbqBbZ ^gcŻ _qȚ < Ʊ@b] ª i[ b Eb[ ecSZ XiObcFČYeš
c^ Wiķ JďbZbTZƒ ZƱPi@5 [ bQbPbi@Țc^ Wi@bi] ƱĴ biJ bķ bGX Ĵ bEdZ ƱC1i] Pbi@ Ui[ <@cJ Ʊ@ģ dq Ub1TbGbqBbZ ^gcŻ _q,
YbAbQ –TcZV_iSS[ c_i^ iV@bG@iZȚ
8cĉ iQZ TbObq cVQ–XbS Ʊ  biZbcU[ ^fYƳ
bi[ bi@Z 8TcƐ cOiO AbQ–8—
TbQS @iZ Yb^ X² ƱQi_ TcZV_iSZ Qbcqü ² _N @iZ
ƱĻbiqXȚ5 ZƱĻbiqiXZc^ WSi[ ZXbR –iX6TbObq8 —
TĨ AbQ –ČV^
– bZbiQi_TcZVbc_O_qȚ

You might also like