Download as docx, pdf, or txt
Download as docx, pdf, or txt
You are on page 1of 4

পদার্থবিজ্ঞানের ক্রমবিকাশ

আদিপর্ব(BC 624- 1031 খ্রি:)


গ্রিক সভ্যতার বিজ্ঞানীর নাম সাল তথ্যাবলী
অবদান
থেলিস BC 624 – 586 প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক গণিতজ্ঞ ও জ্যোতির্বিদ, দর্শনের জনক, সূর্যগ্রহন সম্বন্ধে
ভবিষ্যৎবাণীর জন্য বিখ্যাত, প্রথম কার্যকারণ ও যুক্তিভিত্তিক জ্ঞানের সূচনা,
লোডস্টোনের চৌম্বকধর্ম জানতেন। জ্যামিতি নিয়ে নানাবিধ পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন।
এরই সূত্রে তিনি যুগান্তকারী ৫টি জ্যামিতিক উপপাদ্যে তৈরি করেছিলেন। এই
উপপাদ্যগুলো হলো ―১. একটি বৃত্ত তার যেকোনও ব্যস দ্বারা সমদ্বিখণ্ডিত হয়। ২.
সমদ্বিবাহু ত্রিভু জের সমান সমান বাহুগুলোর বিপরীত কোণগুলোও পরস্পর সমান। ৩.
অর্ধবৃত্তস্থ কোণের পরিমাণ এক সমকোণ ৪. পরস্পরছেদী দুটি সরলরেখা দ্বারা উৎপন্ন
বিপ্রতীপ কোণদ্বয় পরস্পর সমান। ৫. যদি কোনও ত্রিভু জের ভূ মি এবং ভূ মিসংলগ্ন
কোণ দুটি দেয়া থাকে, তবেই কেবল ত্রিভু জটি আঁকা যাবে। তারকারাজি পর্যবেক্ষণের
দ্বারা সমুদ্রে অবস্থানরত কোন জাহাজের দূরত্ব নির্ণয়ের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।
পিথাগোরাস BC 527 – 417 গ্রিক দার্শনিক, গণিতবিদ বস্তুজগৎ ও সঙ্গীত সংখ্যাবিষয়ক তথ্যের জনক, এমন
একটি বিশ্বজগতের ধারণা দিয়েছিলেন যা নৈতিক মানদণ্ড এবং সাংখ্যিক সম্পর্কে র
ভিত্তিতে গঠিত, কম্পমান তারের উপর তার কাজ বিদ্যমান।
ডেমোক্রিটাস BC 460 – 370 গ্রিক দার্শনিক,পদার্থের অবিভাজ্য এককের (এটম) ধারণা দেন,পরমাণুর প্রাথমিক
ধারণা।
অ্যারিস্টটল BC 384 – 322 মাটি, পানি, বায়ু এবং আগুন দিয়ে সবকিছু তৈরির মতবাদ দেন।
আরিস্তারাকস BC 310 - 230 প্রথম সূর্যকেন্দ্রিক সৌরজগতের ধারণা দেন যা যুক্তিতর্ক দ্বারা প্রমাণ করেন তার
অনুসারী সেলেউকাস।
আর্কি মিডিস BC 287 - 212 গণিতবিদ, লিভারের নীতি ও তরলে নিমজ্জিত বস্তুর উপর ক্রিয়াশীল ঊর্ধ্বমুখী বলের
সূত্র আবিষ্কার করে ধাতু র ভেজাল নির্ধারণে সক্ষম হন। গোলীয় দর্পণের সাহায্যে
সূর্যরশ্মিকে কেন্দ্রীভূ ত করে দূর থেকে শত্রুর যুদ্ধজাহাজে আগুন ধরিয়ে দিয়ে যুদ্ধে
সহায়তা করেন।
এরপর প্রায় দেড় হাজার বছর জ্ঞানিবিজ্ঞানের চর্চা বন্ধ ছিল। একে বিজ্ঞানের বন্ধ্যাকাল বলা যেতে পারে। শুধু ভারতীয়, মুসলিম এবং চীনা সভ্যতা গ্রিক ধারার এই জ্ঞানচর্চাকে বাঁচিয়ে রেখেছিল।
ইরাতোস্থিনিস BC 276 – 194 সঠিকভাবে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ নির্ণয় করেন।
প্রকৃ তপক্ষে ত্রয়োদশ শতাব্দীর পূর্বে ইউরোপে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসার পুর্নজীবন ঘটেনি।

ভারতীয় আর্যভট্ট 476 - 550 শূন্যের প্রথম সঠিক ব্যবহার। পূর্ণাঙ্গ দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি প্রবর্ত নের কৃ তিত্বের দাবিদার,
সভ্যতার সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণের প্রকৃ ত কারণগুলো ব্যাখ্যা করেন। সেই সাথে তিনি সূর্য গ্রহণ
অবদান এবং চন্দ্রগ্রহণের সময়কাল নির্ণয়ের পদ্ধতিও বের করেছিলেন। আর্যভট্ট বলেছিলেন যে
চাঁদের আলো আসলে সূর্যের আলোর প্রতিফলনেরই ফলাফল।
ব্রহ্মগুপ্ত ও - গণিত ও জ্যোতির্বিদ্যার অনেক মূল্যবান কাজ করেছিলেন। π(পাই) এর মান নির্নয়
ভাস্করাচার্য করেন 3.1416।(ভাস্করাচার্য)

মুসলিম আবু আবদুল্লাহ 783 – 850 বীজগণিত ও ত্রিকোণমিতির ভিত প্রতিষ্ঠা, তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘আল জিবর ওয়াল
সভ্যতার ইবনে মুসা মুকাবিলা’ এর থেকে বর্ত মান অ্যালজেবরা শব্দটির উৎপত্তি।
অবদান আল-
খোয়ারিজমি
জাবির ইবনে 965 - 1040 ইরাক, আলোকবিজ্ঞানের স্থপতি , কিতাব আল মানযির, সাধারণ ক্যামেরার মূলনীতি,
আল হাইয়াম বস্তু থেকে আলো চোখে আপতিত হলে তবেই তা দৃষ্টিগোচর হয়।
(আল হাজেন)
আল মাসুদি 896 - 957 প্রকৃ তির ইতিহাস নিয়ে ৩০ খণ্ডের একটি এনসাইক্লোপিডিয়া লেখেন। এই গ্রন্থে
বায়ুকলের উল্লেখ পাওয়া যায়।
আবু রাইয়ান 973 – 1048 পৃথিবীর পরিধি নির্ণয় করেন।
আল বেরুনী
ওমর খৈয়াম 1048 – 1131 ইরানের কবি, গণিতবেত্তা, দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ।

চীনা সভ্যতার শেন কু য়ো 1031 – 1095 চু ম্বক নিয়ে কাজ করেছেন, ভ্রমণের সময় কম্পাস ব্যবহার করে দিক নির্ধারণ করেন।
অবদান

ষোড়শ এবং কোপার্নিকাস সূর্যকেন্দ্রিক সৌরজগতের ব্যাখ্যা


বিজ্ঞানের উত্থানপর্ব (ইউরোপীয় রেনেসাঁ) – (1543 – 1864)

1543
সপ্তদশ গ্যালিলিও 1546 – 1642 তিনি প্রথম দেখান যে পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ এবং সুশৃঙ্খল ভৌত রাশির সংজ্ঞা প্রদান
শতাব্দীতে এবং এদের সম্পর্ক নির্ধারণ বৈজ্ঞানিক কর্মের মূল ভিত্তি। গাণিতিক তত্ত্ব নির্মাণ ও
ইউরোপে পরীক্ষার মাধ্যমে সে তত্ত্বের সত্যতা যাচাইয়ের বৈজ্ঞানিক ধারার সূচনা করেন
পদার্থবিজ্ঞানের গ্যালিলিও। তিনি সরণ, গতি, ত্বরণ, সময় ইত্যাদির সংজ্ঞা প্রদান ও তাদের মধ্যের
জগতে সম্পর্ক নির্ধারণ করেন। ফলে তিনি বস্তুর পতনের নিয়ম আবিষ্কার ও সৃতিবিদ্যার ভিত্তি
বিস্ময়কর বিপ্লবে স্থাপন করেন। ১৬১০ সালে যৌগিক অণুবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার। আধুনিক বিজ্ঞান ও
শুরু হয়। পরীক্ষামূলক পদ্ধতির জনক। সূর্যকেন্দ্রিক সৌরজগতের প্রবক্তা, চার্চে র কোপানলে পরে
শেষ জীবনে গৃহবন্দি ছিলেন। পেন্ডু লাম আবিষ্কার।
নিউটন 1642 - 1727 আবিষ্কার করেন বলবিদ্যা ও বলবিদ্যার বিখ্যাত তিনটি সূত্র এবং বিশ্বজনীন মহাকর্ষ
সূত্র ও গতিসূত্র (1687), আলোক, তাপ ও শব্দবিজ্ঞানেও তাঁর অবদান আছে।
গণিতের নতু ন শাখা ক্যালকু লাসও তাঁর আবিষ্কার (লিবনিজের সাথে), প্রতিফলক
টেলিস্কোপ আবিষ্কার, ১৬৮৭ সালে ‘ফিলোসোফিয়া ন্যাচারালস প্রিন্সিপিয়া
ম্যাথমেটিকা’ গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়।
কাউন্ট 1753 - 1814 অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগ পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, তাপ ক্যালরিক নামে এক
রামফোর্ড প্রকার অতি সূক্ষ্ম ভরহীন তরল বা বায়বীয় পদার্থ। ১৭৯৮ সালে প্রমাণ করেন
(বেনজামিন ক্যালরিক বলে বাস্তবে কিছু নেই। তাপের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে গতির। তিনি
থম্পসন) কামানের নল তৈরির সময় ধাতু র টু করাকে ড্রিলমেশিন দিয়ে ফু টো করার সময় লক্ষ
করেন যে, ছোট্ট ধাতু র টু করো ছিটকে আসছিল সেগুলো অত্যন্ত উত্তপ্ত। তিনি চিন্তা
করেন, ড্রিল চালাতে যে যান্ত্রিক শক্তি ব্যয় হয়েছে তার থেকেই তাপ উদ্ভব হয়। এই
যান্ত্রিক শক্তিই ধাতব টু করাগুলোর অণুগুলোতে গতিশক্তির সঞ্চার করে টু করাগুলোকে
উত্তপ্ত করে।
লর্ড কেলভিন 1850 তাপগতিবিদ্য্যার দুটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র প্রদান করেন
কু লম্ব 1778 বৈদ্যুতিক চার্জে র ভেতরকার বলের জন্য সূত্র আবিষ্কার করেন।
ভোল্টা 1800 বৈদ্যুতিক ব্যাটারি আবিষ্কার
অরস্টেড 1820 বিদ্যুৎ প্রবাহ দিয়ে চু ম্বক তৈরি
ফ্যারাডে ও 1831 চৌম্বকক্ষেত্রের পরিবর্ত ন করে বিদ্যুৎ তৈরি
হেনরি
ম্যাক্সওয়েল 1864 বিখ্যাত ম্যাক্সওয়েল সমীকরণ দিয়ে পরিবর্ত নশীল বিদ্যুৎ ও চৌম্বক ক্ষেত্রকে একই
সূত্রের মাঝে নিয়ে দেখান যে, আলো একটি বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ। বিদ্যুৎ ও চু ম্বক
একই শক্তির বিভিন্ন রূপ।
ইয়ং 1801 পরীক্ষার মাধ্যমে আলোর তরঙ্গ ধর্মের প্রমাণ করেন, পদার্থের স্থিতস্থাপকতা সম্পর্কি ত
তত্ত্ব,

2
কেপলার 1571 – 1630 সৌরকেন্দ্রিক তত্ত্বের ব্যাখ্যায় প্রচলিত কক্ষপথের পরিবর্তে উপবৃত্তাকার কক্ষপথ
কল্পনা।
টাইকোব্রাহে 1546 – 1601 তার পর্যবেক্ষণ লব্ধ তথ্যের দ্বারা বিজ্ঞানী কেপলার তাঁর গ্রহগুলোর গতিপথ সম্পর্কি ত
গাণিতিক সূত্রগুলোর সত্যতা যাচাই করেন।
ভন গুয়েরিস 1602 - 1686 বায়ু পাম্প আবিষ্কার

ডাল্টন 1803 পারমাণবিক তত্ত্ব


থমসন 1897 পরমাণুর ভেতরের ইলেকট্রন আবিষ্কার
রাদারফোর্ড 1911 পরমাণুর নিউক্লিয়ার মডেল, তেজস্ক্রিয়তা সম্পর্কি ত গবেষণার জন্য নোবেল পুরস্কার
লাভ।
ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক 1900 বিকিরণ বিষয়ক কোয়ান্টাম তত্ত্ব আবিষ্কার
সত্যেন্দ্রনাথ বসু 1915 বোস-আইনস্টাইন স্ট্যাটিস্টিক আবিষ্কার, স্বীকৃ তিস্বরূপ একশ্রেণির মৌলিক কণিকাকে
আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের সূচনা (1803 – 1931 খ্রি:)

বোজন নাম দেয়া হয়


মাইকেল ও 1887 বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ হিসাবে ইথারের অস্বীকৃ তি, আলোর বেগ স্থির কিংবা গতিশীল
মোরলি সব মাধ্যমে সমান
আইনস্টাইন 1905 প্ল্যাঙ্কের কোয়ান্টাম তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে ফোটন তত্ত্ব আবিষ্কার, থিওরি অব
রিলেটিভিটি
পল ডিরাক 1931 থিওরি অব রিলেটিভিটি ব্যবহার করে প্রতি পদার্থের অস্তিত্ব ঘোষণা
রন্টজেন 1895 এক্স-রে, জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী, পদার্থবিজ্ঞানে প্রথম নোবেল পুরস্কার লাভ করেন
বেকেরেল 1896 পরমাণুর কেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ পর্যবেক্ষণ
পিয়ারে ও মেরি 1899 রেডিয়াম আবিষ্কার
কু রি
মাইকেলসন ও 1887 ইথার অস্তিত্বহীন প্রমাণ
মর্লি
শ্রডিংগার,পাউ 1900 - 1913 কোয়ান্টাম মেকানিক্সের প্রতিষ্ঠা
লি,
হাইজেনবার্গ
প্রমুখ

পার্টি কেল এক্সলেরেটর, তাত্ত্বিক Standard model,


2013 পদার্থবিজ্ঞানের বিরাট সাফল্য- হিগজ বোজন শনাক্তকরণ
ম্প্রসা

হাবল 1924 বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রসারণ


তিনজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী পাকিস্তানের প্রফেসর আব্দুস সালাম (১৯২৬ - ১৯৯৬), মার্কি ন যুক্তরাষ্ট্রের শেলডন

3
4

You might also like