Download as docx, pdf, or txt
Download as docx, pdf, or txt
You are on page 1of 3

কার্বোহাইড্রেটের সমাণুতা বা আইসোমেরিজম

যেসব যৌগের আণবিক সংকেত অভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও এদের গাঠনিক সংকেতের ভিন্নতার কারণে
এদের বিভিন্ন ভৌত ধর্ম ও রাসায়নিক ধর্মের অসমতা প্রকাশ পায়।

সেসব যৌগকে সমাণু এবং যৌগের এরূপ ধর্মকে সমাণুতা বলা হয়।

সমাণুতা বা আইসোমেরিজমকে প্রধানত দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-

ক) গঠনগত আইসোমেরিজম

খ) স্টেরিও আইসোমেরিজম

ক) গঠনগত আইসোমেরিজম – যৌগের অণুতে বিভিন্ন পরমাণুর সম্ভাব্য একাধিক অবস্থান


বিন্যাসের পার্থক্যজনিত কারণে যে সমাণুতার উদ্ভব ঘটে তাকে ক) গঠনগত আইসোমেরিজম
বলে।অর্থাৎ এদের পরমাণুর সজ্জারিতির মধ্যে পার্থক্য থাকে।কিন্তু একই আণবিক ফর্মুলা থাকে।
যেমন-D- গ্লুকোজ এবং D-ফ্রু ক্টোজ

গঠনগত ভিন্নতার উপর ভিত্তি করে গঠনগত আইসোমেরিজম তিন প্রকার।যথা-

i. শিকল সমানুতাঃ একই সমগোত্রীয় শ্রেণীর জৈব যৌগসমূহের কার্বন শিকলের গঠনের
পার্থক্য হেতু এই জাতীয় সমানুতার উদ্ভব ঘটে। এক্ষেত্রে সমানুক যৌগগুলো শাখামুক্ত ও
শাখাযুক্ত হয়ে থাকে। যেমনঃ র আণবিক সংকেত দ্বারা সম্ভাব্য দুটি সমানুক যৌগ লেখা
যায়।
ii. অবস্থান সমানুতা ; জৈব যৌগের কার্বন শিকলে কার্বন- কার্বন ত্রিবন্ধন এবং কার্বন- কার্বন
দ্বিবন্ধন এর অবস্থান অথবা একই পরমাণু বা কার্যকারী মূলকের বিভিন্ন অবস্থানে
অবস্তাহ্নের কারণে জাতীয় সমানুতার সৃষ্টি হয়। যেমন- যৌগের সমানুক দুটি।
iii. কার্যকরী মূলক সমানুতা ; একই আণবিক সংকেত বিশিষ্ট বিভিন্ন যৌগের অণুতে কার্যকরী
মুলকের ভিন্নতার কারণে এ জাতীয় সমানুতার সৃষ্টি হয়। যেমন – আণবিক সংকেতবিশিষ্ট
যৌগের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি কার্যকরী মূলকের জন্য দুটি ভিন্ন সমগোত্রীয় শ্রেণির
যৌগের সৃষ্টি হয়।

স্টেরিও আইসোমেরিজমঃ একই আণবিক সংকেত ও একই গাঠনিক সংকেত বিশিষ্ট বিন্দু ভৌত
ও রাসায়নিক দ্রব্যের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। এসব যৌগ কে স্টেরিও আইসোমেরিজম বলে।

স্টেরিও আইসোমেরিজম দুই প্রকার।যথা-

i. জিওম্যাট্রিক আইসোমেরিজম ; একই আণবিক সংকেত ও একই গাঠনিক সংকেত বিশিষ্ট


কোন জৈব যৌগের অণুতে কার্বন- কার্বন বন্ধনের অক্ষ বরাবর মুক্ত আবর্ত ন সভব না হলে
দুটি ভিন্ন কনফিগ্যারেশন বা জ্যামিতিক গঠন বিন্যাস যুক্ত দু’ ধরনের যৌগ অণুর সৃষ্টি হয়।
তাদেরকে পরস্পরের জিওম্যাট্রিক আইসমার এবং যৌগের এই ধরনের ধর্মকে
আইসোমেরিজম বলে।কার্বন শৃঙ্খলে সাধারণত একটি দ্বিবন্ধনী থাকায় জিওম্যাট্রিক
আইসোমেরিজম সৃষ্টি হয়।
ii. অপটিকাল আইসোমেরিজমঃ যেসব যৌগের আণবিক ও গাঠনিক সংকেত একই, ভৌত
ও রাসায়নিক ধর্মের মাত্রাও একই কিন্তু শুধুমাত্র এক সমতলীয় আলোর প্রতি ভিন্নরূপ
আচরণ করে, তাদের অপটিকাল আইসোমার বলে এবং ধর্মটিকে অপটিকাল
আইসোমেরিজম বলে। দেখা যায় যখন কোনো সুগার এক বা একাধিক অপ্রতিসম কার্বন
ধারণ করে। তখন এই আইসোমারিজম সৃষ্টি হয়। যেমনঃ গ্লিসারালডিহাইডে কেবল মাত্র
একটি অপ্রতিসম কার্বন পরমাণু রয়েছে। তাই, এর দুটি আইসোমেরিক অবস্থা থাকতে
পারে। যার একটি অপরটির মিরর ইমেজ।
এক্ষেত্রে, অপ্রতিসম কার্বন বলতে চারটি ভিন্ন পরমাণু বা মূলকযুক্ত কার্বন পরমাণুকে
বুঝায়। কোনও যৌগে n সংখ্যক অপটিকাল আইসমার থাকবে । কোন যৌগে দুটি
অপ্রতিসম কার্বন থাকলে টার চারটি অপটিকাল আইসোমার থাকবে।
যে সমানু এক সমতলীয় আলোর তলকে ডান দিকে আবর্তি ত করে তাকে D-AISOMER
এবং তলকর বাম দিকে আবর্তি ত করলে তাকে L- AISOMER বলে।

You might also like