Professional Documents
Culture Documents
Co Vid Sugg
Co Vid Sugg
Co Vid Sugg
১৫
সংক্রমণ ঘটেছে এমন আশঙ্কা হলে অনলাইনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের
(বিএসএমএমইউ) ফ্লু কর্ণারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে কিংবা ব্র্যাক ও জেকেজি পরিচালিত কিয়স্কে
গিয়ে নমুনা দিয়ে আসতে পারেন।
এর বাইরে ব্যয়বহুল বেসরকারি ১৩ টি প্রতিষ্ঠানকে কোভিড-১৯ পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে
সরকার। হাসপাতালে গিয়ে নমুনা পরীক্ষা করালে সাড়ে ৩ হাজার টাকা ও হাসপাতাল প্রতিনিধি
বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করলে সাড়ে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ বেঁধে দিয়েছে সরকার। তবে,
বেশিরভাগ হাসপাতালই নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি আদায় করেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নমুনা দিতে হলে আগে থেকেই
অনলাইনে সাক্ষাৎকার ফরম পূরণ করতে হবে। বিএসএমএমইউএর ওয়েবসাইটের ডানদিকে
ফিভার ক্লিনিকের অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য ক্লিক করুন লেখা বাটনে চাপলেই পাওয়া যাবে
সাক্ষাৎকার ফরমটি। যাঁরা এই ফরম পূরণ করবেন তাঁদের মুঠোফোন নম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দি ষ্ট
নম্বর ০১৫৫২১৪৬২০২ থেকে খুদে বার্তা পাঠানো হবে। এই খুদে বার্তা দেখালে পরীক্ষা করা যাবে।
বিএসএমএমইউএর ফিভার ক্লিনিক সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে ফোন করা যাবে
০১৪০৬৪২৬৪৪৩ এই নম্বরে।
ব্র্যাকের কিয়স্ক:
ব্র্যাকের স্বাস্থ্য কর্মসূচির সহযোগী পরিচালক মোরশেদা চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার
পর্যন্ত ঢাকার ৩৪ টি জায়গায় তাঁরা কিয়স্ক স্থাপন করেছেন। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত
নমুনা সংগ্রহ করে তাঁরা সরকার নির্ধারিত গবেষণাগারে পৌঁছে দেন।
দৈনিক এক একটি বুথ থেকে তাঁরা ত্রিশটি নমুনা সংগ্রহ করে থাকেন। সক্ষমতা বেশি হলেও,
গবেষণাগারের সক্ষমতার ভিত্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আপাতত এই সীমা ঠিক করে দিয়েছে। তবে
কিয়স্কের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
ব্র্যাকের কেন্দ্রগুলো রয়েছে
মন্তব্য ( ১৫ )
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন
Debu Sarkar
ব্র্যাকের ‘কিয়স্ক’ শব্দটা দুর্বোধ্য ও জটিল। বাঙালিদের কাছে সহজবোধ্য একটা বাংলা শব্দ ব্যবহার
করলে বরং ভালো হয়।
১
o SAIFUL ISLAM
বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ গেল কত জনের । অথচ এখন ইংরেজী, আরবী যাই আমরা বলি না কেন,
কিছু শব্দ আছে বাংলাতে সহজ ভাবে উপস্থাপন করা যায় এগুলো না করে কঠিন ভাবে উপস্থাপন
করা হয় যা বেশির ভাগ মানুষ বুঝতে পারে না । এগুলো প্রতি নজর রাখবেন আশা করি।
০
Mahmudul Hasan
কিয়স্কে ঝোগাঝোগ করবো কিভাবে?
০
সাব্বির ওসমানী
খুবই সময়োপযোগী তথ্য । ধন্যবাদ
১
M Palash
যাদের করোনা হয়নি ওরা বুঝবে না করোনার জালা কি, যাদের তেমন টাকা করি নাই তারা বুঝে
করোনা কি। মানুষকে যখন মৃত্যুর মুখো মুখী দাড় করিয়ে দেয়া হয় তখন পরিবারিক, রাজনৈতীক
ভু লে যায়। রাজনৈতীক দমনের মত করোনা দমনের চেস্টা করা এক নয়। প্রয়োজন ছিলো জরুরি
অবস্থা ঘোষণা করা। উল্টো তথাকথিত সাধানর ছুটিও বাতিল করে দিলো।
২
AKMSeraj
করোনা আক্রান্ত বা আক্রান্তের সন্দেহ ব্যাক্তির তো ঘর থেকে বের হওয়াই উচিত না । সেক্ষেত্রে
পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা যাওয়ার পথে অন্যকে সংক্রমিত করার সম্ভাবনা বহুগুনে বেড়ে যাবে । ভাল
হতো যদি বাজারে সহজলভ্য কোন SELF TESTING KIT পাওয়া যেত; সেক্ষেত্রে আক্রান্ত
ব্যাক্তি নিজে ঘর থেকে বের না হয়ে সুস্থ কাউকে দিয়ে কিট টি কিনে আনাতে পারেন এবং নিজে
পরীক্ষা করে পরবর্তী ব্যাবস্থা গ্রহন করতে পারেন।
৩
o নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
ভাই রাজনীতি মানুষের জীবন নিয়েও !!! self test kit পাওয়া গেলে তো সরকারের ব্যাবসা হবে
না । এখন প্রতিদিন ১০,০০০ এর উপরে টেস্ট হচ্ছে, ৩,৫০০*১০,০০০ = ৩,৫০,০০,০০০ টাকা
প্রতিদিন ইনকাম। সরকার তো এখান থেকেই মনে হয় করোনার যাবতীয় খরচ উঠিয়ে নিচ্ছে ,
মানুষের জীবন বাঁচানোর ইচ্ছা যদি সরকারের সত্যিই থাকে তাহলে দ্রুত এটার ব্যাবস্থা করা উচিৎ
০
Abdul Haque
করোনার উপসর্গ দেখা দিলে আপনি আপনার কাফনের কাপড় সংগ্রহ করে একটা কোদাল সহ
কবরস্থানে গিয়ে নিজের কবরটা খোদে ফেলবেন। তারপর কাফন পড়ে উত্তর দিকে মাথা রেখে
কেবলামূখী হয়ে শুয়ে পড়বেন।এতে আমাদের কাজটা এগিয়ে থাকল। হায়াত থাকলে অবশ্যই
ফিরে আসবেন। টেস্ট অথবা চিকিৎসার নিস্ফল আশায় এখানে সেখানে দৌড়াদৌড়ী না করাই
উত্তম হবে বলে আমার বিশ্বাস।
৩
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
চট্টগ্রামের মানুষ কোথায় যাবে? ঢাকায় এসে চিকিৎসা করবে?
১
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
বাংলাদেশে মহামারি ছড়ানোর আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সহ অনেকেই সতর্ক করেছিল । এমনকি
আমাদের মতো সাধারণ পাবলিকও বুঝতে পেরেছিল শুরুতে ব্যাবস্থা না নিলে চরম মূল্য দিতে হবে
। অবশ্য সরকারের কি যাই আসে, ৫ লাখ মরলেও সরকারের কিচ্ছু যাই আসে না । সবাই সতর্ক
করার পরও কতো লেকচার শোনা গেছে, আমরা প্রস্তুত, আমরা করোনার থেকেও শক্তিশালী,
বাংলাদেশে করনা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না, ২৩ ডিগ্রি তাপমাত্রার বেশিতে করোনা বাচবে না
, আরও কতো কি!! এখন অর্থনীতি বাচাইতে মানুষের জীবন বিসর্জ ন দিতে হচ্ছে । সব কিছু খুলে
দিয়ে মানুষের জীবন ঝু কিতে ফেলে ওনারা চার দেওয়ালের মাঝে জীবন জাপন করছেন। ওনারা
তো ঘরে বসেই সবকিছু পাচ্ছেন, বাইরে বের হবার প্রয়োজন নাই তো !!!!
০
o Saleh Ahmed
জনগণ মরলে তো উঁনাদের কিছুই যায় আসে না।
০
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩,৫০০ টাকা দিয়ে টেস্ট করে লাভ কি
০
রওনক সালাম
আমি আজ সকাল ৬ টায় সবুজবাগ সরকারি কলেজ ও বাসাবো কম্যুনিটি সেন্টারে গিয়ে হতাশ
হয়ে ফিরে এসেছি। দুই জায়গায় প্রচু র লোক জড় হয়ে আছে পরীক্ষা করানোর উদ্যেশ্যে। এর মধ্যে
কয়েকজন জানালেন, উনারা বিগত কয়েকদিন ধরে আসছেন। এর মধ্যে একদিন সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ
কোন পূর্বঘোষণা ছাড়াই কোন পরীক্ষা না করে না কি লোকদের ফিরিয়ে দিয়েছে। আজকে প্রায়
৭০/৮০ জন লোক জমা হয়ে আছে। মাত্র নাকি ৩০ জনের স্যাম্পল সংগ্রহ করা হবে। তাহলে,
বাকীরা আবারও ফিরে যাবেন আজ। সকাল ৬টায় যদি এই অবস্থা হয় তাহলে ১০ টায় যখন নমুনা
সংগ্রহ শুরু হবে ততক্ষণে কত লোক এসে যে ফিরে যাবে তার ইয়ত্ত্বা নেই। কি বলব, কাকে বলব!
১
pronab proyas
প্রেগনেন্সি টেস্ট এর মত করোনা’র সেল্ফ টেস্ট কিট বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা করাটা জরুরী।
এক্ষেত্রে গণস্বাস্থ্যের কিট নিয়ে ভাবা যায়। তাছাড়া দেশে কিট তৈরি নিয়েও ভাবতে হবে। ভাবতে
হবে চিকৎসা পরিসর বাড়ানো নিয়ে। সব তো আর সীমিত পরিসরে করলে হচ্ছেনা। করোনা’র
কাজ কিন্তু বৃহৎ পরিসরে।
০
সব মন্তব্য
৬
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্সঢাকায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় সরকারি হিসাবে
৭ হাজার ২৫০ শয্যা প্রস্তুত থাকার কথা বলা হচ্ছে। আদতে এত শয্যাও নেই এবং কোভিড
রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলোর সব কয়টিতে রোগী ভর্তি ও শুরু হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা অবশ্য প্রথম আলোকে বলেন, এখন
৫০ শয্যার বেশি যেকোনো হাসপাতালে, হোক সেটা সরকারি বা বেসরকারি পৃথক ব্যবস্থাপনায়,
কোভিড-ননকোভিড দুই ধরনের রোগীই সেবা পাবেন।
তবে মাঠের চিত্র আলাদা। সরকারি সব হাসপাতালে কোভিডের চিকিৎসা হচ্ছে না। বেসরকারি
হাসপাতালগুলোর দাবি তারা প্রস্তুত নয়।শুক্রবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ও বাংলাদেশ প্রাইভেট
মেডিকেল কলেজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব এনামুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন,
তাঁরা দিনকয়েক আগে চিঠি পেয়েছেন। কোভিড রোগীদের জন্য চিকিৎসাব্যবস্থা শুরু করাটা সময়
সাপেক্ষ। তাঁর হাসপাতালে শিক্ষাকার্যক্রম চালানোর জন্য একটি ভবন নির্মাণের কাজ চলছিল।
সেটিকেই হাসপাতালে রূপান্তরের চেষ্টা করছেন। তবে জুনের শেষ নাগাদ বা জুলাইয়ে গিয়ে হয়তো
রোগী ভর্তি করা সম্ভব হবে। অন্য বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোও প্রস্তুতি
নিচ্ছে।
চিকিৎসকেরা রোগীদের শুধুমাত্র সংকটাপন্ন বোধ করলে হাসপাতালে আসার আহ্বান জানিয়েছেন
। কথা বলে জানা গেছে, রোগীর চাপ বাড়ায় এখন রোগের তীব্রতা দেখে হাসপাতালগুলোতে
ভর্তি নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে যাঁদের বয়স বেশি, ডায়াবেটিস,হৃদরোগ, কিডনি–সংক্রান্ত
জটিলতা আছে, তাঁরা অগ্রাধিকার পাচ্ছেন। বয়স কম কিন্তু শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, এমন রোগীদেরও
ভর্তি ও চেষ্টা করা হচ্ছে হাসপাতালগুলোয়।
তবে রোগী যে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত, সে সম্পর্কি ত তথ্যপ্রমাণ হাসপাতালে ভর্তি র সময়
অবশ্যই দেখাতে হবে। নমুনা পরীক্ষার পর সরকারি কর্র্তৃ পক্ষের কাছ থেকে পাওয়া খুদে বার্তা বা
ই-মেইল দেখিয়ে তবেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া যাবে।
এখন পর্যন্ত কোনো কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় রোগীদের কোনো টাকা পয়সা লাগছে না।
এমনকি আনোয়ার খান মর্ডান ও হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও
রোগীদের চিকিৎসা চলছে বিনা মূল্যে।
কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসা কোথায় কোথায় চলছে, সে তথ্য প্রথম আলোর পাঠকদের জন্য
তু লে ধরা হলো।
নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) সুবিধা আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,
কু র্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাংলাদেশ কু য়েত মৈত্রী
হাসপাতাল, মহানগর হাসপাতাল,আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতাল, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল,
রিজেন্ট হাসপাতাল ও সাজেদা ফাউন্ডেশেনে।
এর মধ্যে কোনো কোনোটিতে আবার ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা নেই। আসন থাকা সাপেক্ষে এই
হাসপাতালগুলোয় রোগী ভর্তি করা হচ্ছে।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা
৯১০, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে শয্যা সংখ্যা ৪৮, ডয়ালাইসিস মেশিন ৩০ টি।ঢাকা মেডিকেল
কলেজ-২ (নতু ন ভবন) বা বার্ন ইউনিটের নিচের জরুরি বিভাগে রোগীকে নিয়ে যেতে হবে।
কু র্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ৫০০ শয্যার, আইসিইউ শয্যা ২৭, ডায়ালাইসিস মেশিন আছে
৩২টি।
বাংলাদেশ কু য়েত মৈত্রী হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ২৫০, আইসিইউ শয্যা ২৬টি ও পাঁচটি
ডায়ালাইসিস মেশিন।
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ৫০০, আইসিইউ শয্যা ১০ টি, ডায়ালাইসিস
মেশিন ৩২ টি।
মহানগর জেনারেল হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ১৫০, আইসিইউ শয্যা ৫, ডায়ালাইসিস সুবিধা
নেই।
আনোয়ার খান মর্ডার্ন হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ২০০, দশটি আইসিইউ ও ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা
আছে। আইসোলেশন শয্যা আছে ৩০টি। উপসর্গ আছে কিন্তু শনাক্ত হননি, এমন রোগীরা এই
আইসোলেশন সেন্টারে থাকতে পারেন।
হলিফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ৪০০, আইসিইউ শয্যা
১০টি, ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা আছে।
রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় ৫০ টি করে শয্যা আছে, প্রতিটিতে তিনটি করে
আইসিইউ শয্যা আছে। তবে ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা নেই।
মিরপুর লালকু ঠি হাসপাতালে ২০০ শয্যা ও পাঁচটি আইসিইউ শয্যা আছে। এখানে রোগী ভর্তি
শুরু হয়েছে। আইসিইউ শিগগির চালু হবে।
নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে সাজেদা ফাউন্ডেশনে ৫০ টি শয্যা আছে, আইসিইউ শয্যা আছে পাঁচটি।
ডায়ালাইসিস মেশিন আছে ১টি । উপজেলা প্রশাসন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে
যোগাযোগ রাখেন। কোনো রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হলে প্রশাসন অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে
কিংবা সাজেদা ফাউন্ডেশন নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে আসে।
যাঁদের শুধুমাত্র অক্সিজেন সিলিন্ডার হলেই চলবে, তাঁদের জন্য ৪০ শয্যার রেলওয়ে হাসপাতাল
আছে। এখানে আইসিইউ বা ডায়ালাইসিস সেবার ব্যবস্থা নেই।
প্রস্তুত থেকেও রোগী ভর্তি করছে না গ্যাস্ট্রোলিভার
মহাখালিতে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ২৫০, আইসিইউ শয্যা ২৬,
ডায়ালাইসিস মেশিন দুটি। জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো রোগী ভর্তি শুরু হয়নি।
বসুন্ধরা কোভিড হাসপাতাল চালু হচ্ছে
বসুন্ধরা কোভিড হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা দুই হাজার। তবে এই হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র
বা ডায়ালাইসিস সেবার ব্যবস্থা নেই।হাসপাতালের পরিচালক তানভীর পলাশ প্রথম আলোকে এ
তথ্য জানিয়েছেন।
এখন হাসপাতালটিতে দুই শতাধিক র্যাব সদস্য চিকিৎসা নিচ্ছেন। কর্তৃ পক্ষ আশা করছে, এ
সপ্তাহে অন্যদের ভর্তি করতে পারবেন।
শিগগির যুক্ত হতে পারে আরও দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান
ভু লক্রমে প্রথমে লেখা হয়েছিল, মিরপুর লালকু ঠি হাসপাতালে রোগী ভর্তি শুরু হয়নি। পরে তা
সংশোধন করা হয়েছে। মিরপুর লালকু ঠি হাসপাতালে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। অনিচ্ছাকৃ ত
ভু লের জন্য দুঃখিত।
বাইরে মাস্ক ব্যবহার করুন। ছবি: রজত কান্তি রায়করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, শুধু সতর্ক
থাকু ন। করোনার মতো প্রাদুর্ভাব আমাদের এই অঞ্চলে আগেও এসেছিল, আবার এসেছে এবং
ভবিষ্যতেও আসবে। অন্তত অতীতের কথা যদি একটু খেয়াল করেন, তাহলেই বুঝবেন। একসময়
কলেরা এবং গুটিবসন্ত মহামারি হিসেবে দেখা দিয়েছিল আমাদের এই অঞ্চলে। দীর্ঘ সময় লেগেছে
সেগুলো থেকে মুক্তি পেতে। তখন মানুষ এত কিছু না জেনেও মহামারি পার করে এসেছে। হ্যাঁ,
অনেক কিছু জানত না বলে তখন মৃত্যুর মিছিল ছিল দীর্ঘ। এখন জানার ফলে মৃত্যুকে ঠেকিয়ে
রাখার অনেক প্রচেষ্টা চলছে।
যুদ্ধে যখন নেমেছেন, তখন প্রস্তুতি নিয়েই নামুন। বাইরে যাওয়ার সময়:
• মাস্ক ব্যবহার করুন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। প্রয়োজনে সঙ্গে
বিশেষভাবে প্যাকিং করে অতিরিক্ত মাস্ক রাখুন। তবে গ্লাভস ব্যবহার না করলেও চলবে। কারণ
আপনাকে হাত ধুতে হবে সুযোগ পেলেই।
• চশমা ব্যবহার করেন? তাহলে চোখে সেটা সব সময় রাখুন। আর যদি ব্যবহার না করে থাকেন,
তাহলে ব্যবহার শুরু করুন। চাইলে সানগ্লাস ব্যবহার করতে পারেন। কারণ, ভাইরাস চোখ দিয়েও
ছড়ায়।
• ডাক্তার ও ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হাত ধুতে হবে বাইরে যেখানে যখন সুযোগ পান।
তার মানে কিন্তু ঘণ্টায় ঘণ্টায় হাত ধোয়া নয়। কিছু ধরতে হলো বা টাকাপয়সা নাড়তে হলো, তো
হাত ধুয়ে নিন। হাত ধোয়া আপনার সংক্রমণ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূ মিকা পালন করবে। সাধারণ
সাবান পানি দিয়েই হাত ধুয়ে নিন। তবে বাইরে যাওয়ার সময় সঙ্গে রাখতে পারেন পকেটে
বহনযোগ্য অ্যালকোহল যুক্ত স্যানিটাইজার কিংবা জীবাণুনাশকের শিশি। সাবান পানি না পেলে
এগুলো দিয়ে বাইরে হাত পরিষ্কার করতে পারেন।
• পানি দিয়ে পরিষ্কার করা যায়, বাইরে যাওয়ার জন্য এমন জুতা বা স্যান্ডেল ব্যবহার করুন। বাইরে
থেকে ফিরে সাবান পানি দিয়ে কিংবা জীবাণুনাশক ছিটিয়ে এই জুতা বা স্যান্ডেল আবার পরিষ্কার
করুন। জুতা বা স্যান্ডেল বাসার বাইরেই রাখুন।
• এক-আধা কিলোমিটার যাওয়ার জন্য এখন হাঁটার অভ্যাস গড়ে তু লুন। তাতে সামাজিক
দূরত্বও ঠিক থাকল আবার সংক্রমণেরও ভয় কমল অনেকটাই। মাস্ক, সানগ্লাস ব্যবহার করছেন
বলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা ভু লে যাবেন না যেন।
• অনেকেই ঘড়ি ব্যবহার করেন। মোবাইল ফোন যখন সময় দেখার কাজ করে দিচ্ছে, নির্দি ষ্ট সময়
অ্যালার্ম দিয়ে আপনাকে জানিয়ে দিচ্ছে সবকিছু, তখন ঘড়ির প্রয়োজন কী? ঘড়ি, চু ড়ি,
ব্রেসলেটসহ যেকোনো ধাতব অলংকার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকু ন। যেকোনো ধাতু তে ৫
ঘণ্টার মতো ভাইরাস জীবিত থাকতে পারে।
• নারীরা বড় চু ল ঢাকার জন্য ওড়না কিংবা স্কার্ফ ব্যবহার করতে পারেন। বড় চু লের পুরুষেরাও
চু ল ঢাকার জন্য পুরুষদের স্কার্ফ ব্যবহার করতে পারেন।
• টাকাপয়সা ব্যবহারের জন্য মোবাইল ওয়ালেট কিংবা কার্ড ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবহারের পর
কার্ড স্যানিটাইজ করে নিন।
• অফিসে বা কাজের জায়গায় গিয়েই কাজে বসে যাবেন না। হাত-মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে
নিন। প্রয়োজনে বাইরে থেকে যে জামাকাপড় পরে এসেছেন, সেগুলো খুলে পলিথিনের ব্যাগে
ঢু কিয়ে মুখ বন্ধ করে বেঁধে রাখুন। তারপর অফিসে রাখা নতু ন জামাকাপড় পরুন। অ্যালকোহল
প্যাড দিয়ে মোবাইল পরিষ্কার করে নিন। মানি ব্যাগও অ্যালকোহল প্যাড দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
চাইলে ধাতব কয়েন এবং টাকাও ওই প্যাড দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে পারেন।
• প্রতিদিন ব্যবহার করেন সে রকম জিনিসপত্র আগে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
ল্যাপটপ, মাউস, চেয়ার, ডেস্ক, মেশিনপত্র ইত্যাদি সব প্রথমে পরিষ্কার করে নিন। এগুলোর জন্য
অফিসের ব্যবস্থা থাকলে ভালো। নইলে নিজেই ব্যবস্থা করে নিন। ছোট ছোট জিনিস পরিষ্কার
করার জন্য অ্যালকোহল প্যাড ব্যবহার করতে পারেন। বড় জিনিসের জন্য স্প্রে। নিজের কাপ-
মগ-পানির বোতল-খাবার প্লেটও ব্যবহারের আগে পরিষ্কার করুন।
• কারও সঙ্গে কথা বলার সময় মাস্ক ব্যবহার করুন। যতটা দূরে থাকা যায় ততটা দূরে থাকু ন
সহকর্মীদের কাছ থেকে। সব ধরনের যোগাযোগ মেইল কিংবা ফোনে সেরে ফেলুন।
• যত দূর হেঁটে ওঠা যায় সিঁড়ি ভেঙে তত দূর হেঁটেই উঠু ন। লিফট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আগের
চেয়ে কম মানুষ উঠু ন। আগে যদি ১০ জন মানুষ একসঙ্গে উঠতেন, এখন ৪–৫ জন উঠু ন। তাতে
দূরত্ব মানা সম্ভব হবে। লিফটের বোতাম টিপতে কনুই ব্যবহার করুন অথবা টিস্যু পেপার।
ব্যবহারের পর টিস্যু এবং যেকোনো ব্যবহৃত জিনিস নির্দি ষ্ট জায়গায় ফেলুন।
• সুযোগ থাকলে অফিসের যানবাহন ব্যবহার করুন।
প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করুন। ছবি: রজত কান্তি রায়• অফিস থেকে বা যেখান থেকেই বাসায়
ফিরুন না কেন, বাসায় ঢোকার আগে আপনার জুতা-স্যান্ডেল পরিষ্কার করে নিন। সম্ভব হলে
বাইরেই আপনার সঙ্গে থাকা মোবাইল, মানি ব্যাগ ইত্যাদি জিনিসপত্র জীবাণুনাশক কিংবা
স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। তারপর বাসায় ঢু কে সোজা চলে যান বাথরুমে। সাবান
মেখে স্নান সেরে ফেলুন। তারপর কিছুক্ষণ একা থাকু ন।
• এ সময় লেবু-পানি পান করতে পারেন। কিংবা গ্রিন টি অথবা গরম চা। অথবা যদি পছন্দের
কোনো ভেষজ পানীয় থাকে, সেটাও পান করতে পারেন।
সবচেয়ে বড় কথা, সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেও স্বাভাবিক জীবনযাপনের চেষ্টা করুন।
আরও পড়ু ন:
করোনার সঙ্গে বসবাস: কী করবেন
আরও সংবাদ
বিষয়:
জেনে নিন
মন্তব্য
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধ