Download as docx, pdf, or txt
Download as docx, pdf, or txt
You are on page 1of 2

জেলা প্রশাসন, ঠাকু রগাঁও করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দে শনা

মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসকের নেতৃ ত্বে এ জেলায় কর্মরত সকল উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা, সিনিয়র সহকারী কমিশনার, সহকারী কমিশনার (ভূ মি) ও সহকারী
কমিশনারগণত্রাণ কার্যক্রম, মোবাইল কোর্ট , বাজার মনিটরিং, হোম কোয়ারেন্টাইন ও প্রাতিষ্ঠানিক
কোয়ারেন্টাইন পরিচালনা ও তদারকিসহ করোনা নিয়ন্ত্রণে সব ধরণের কর্মকাণ্ড সুষ্ঠু ভাবে ও
দক্ষতার সাথে সম্পাদন করে চলেছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বৃহদাকার মাঠে সুশৃঙ্খলভাবে
ত্রাণ বিতরণ করায় জেলা প্রশাসন সব মহলে প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়াও সদরসহ সকল
উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ কাঁচাবাজারগুলোকে নিকটবর্তী মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে যেন পর্যাপ্ত দূরত্ব
বজায় রেখে ক্রেতারা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে পারেন।

সময়ের দাবি, ত্রাণ যাবে বাড়ি


জেলা প্রশাসনের সবচেয়ে প্রশংসিত উদ্যোগটির নাম ‘সময়ের দাবি, ত্রাণ যাবে বাড়ি’। ড. কে এম
কামরুজ্জামান সেলিম, জেলা প্রশাসক, ঠাকু রগাঁও এর সৃজনশীল চিন্তার ফসল এই
বিশেষ উদ্যোগটি। করোনার প্রভাবে কর্মহীন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন যারা
লোক-লজ্জার কারণে ত্রাণ চাইতে পারছেন না,জেলা প্রশাসনের হট লাইন নম্বরে ফোন করলেই
তাদের ঘরে পৌছে যাচ্ছে খাবার। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ২ টার মধ্যে প্রশাসনের হট
লাইন নম্বরে কল করলে সাহায্য প্রত্যাশীদের নাম, ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্র
নম্বর লিপিবদ্ধ করা হয়। বিকেলে ছয়টি গাড়ির মাধ্যমে জেলা প্রশাসন ও জেলা পর্যায়ে কর্মরত
বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের তত্বাবধানে ঠাকু রগাঁও পৌর এলাকার বাড়ি বাড়ি পৌছে দেওয়া হচ্ছে
চাল, ডাল, আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী। করোনার প্রভাবে কর্মহীন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-
মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন যারা লোক-লজ্জার কারণে্ ত্রাণ চাইতে পারছেন না তাদের কাছে
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে গোপনে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগের
যাত্রা শুরু হয়। দ্বৈততা পরিহার করার জন্য এক্সেল শিট ব্যবহার করে প্রতিদিনের এন্ট্রিগুলো চেক
করে নেয়া হচ্ছে নিয়মিতভাবে।

কোনো ত্রাণের লাইনে না দাঁড়িয়ে শুধু একটি ফোন কল করেই মানুষের বাড়িতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর
ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়ার এই উদ্যোগের ফলে মধ্যবিত্ত শ্রেনির লোক সবচেয়ে বেশি উপকৃ ত
হচ্ছেন, কারন তারা সামাজিক মর্যাদার কথা চিন্তা করে কোনো ত্রাণের লাইনে যেতে চান না কিংবা
কারও কাছে হাত পাততে চান না। হতদরিদ্র কিংবা নিম্ন-আয়ের মানুষ হাত পাতার আগেই যে
কোন দুর্যোগেই অনেক সময় পেয়ে যায় ত্রাণ সহায়তা। কিন্তু এই মধ্যবিত্ত শ্রেণি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে
থেকে যায় উপেক্ষিত। তাদের উদ্দেশ্যেই মূলত জেলা প্রশাসন, ঠাকু রগাঁও কর্তৃ ক এই অভিনব
উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে। ‘সময়ের দাবি, ত্রাণ যাবে বাড়ি’ এই স্লোগান নিয়ে শুরু হওয়া খাদ্য সহায়তা
কর্মসূচির মাধ্যমে ফোনের মাধ্যমে ৬ এপ্রিল ২০২০ থেকে ২৩ মে ২০২০ পর্যন্ত ঠাকু রগাঁও পৌর
এলাকার ১২টি ওয়ার্ডে র মোট ৮৬৬৮টি মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে এ খাদ্য সামগ্রী
পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

You might also like