Download as docx, pdf, or txt
Download as docx, pdf, or txt
You are on page 1of 29

রোজ দই খান, সুস্থ থাকুন

ওয়েব ডেস্ক: দই খেতে কে না ভালবাসে। আর বাঙালির দই প্রীতিতো সর্বজনবিদিত। স্বাদে, গুণে দইয়ের তু লনা
মেলা ভার। সুস্বাস্থ্য চান? প্রাত্যহিক ডায়েটে দইকে ভু লেও বাদ দেবেন না। 

দইয়ের গুণাবলীর কয়েক ঝলক-

ওজন কমানো- ওজন কমাতে চান। নিয়ম করে দই খান। আপনার বাড়তি মেদ ঝড়বে আপসে। গবেষণায়
প্রমাণিত দই মধ্যস্থ ক্যালসিয়াম শরীরে জমে থাকা ফ্যাটের ব্যবহার বাড়িয়ে দেয়। 

হাড়ের সুস্থতা- দইয়ের মধ্যে প্রচু র পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি থাকে। হাড়ের গঠন মজবুত রাখতে যা
অত্যাবশকীয়। অস্টিওপোরোসিসের মত হাড়ের রোগও প্রতিহত করতে পারে দইয়ের বিভিন্ন উপাদান।

উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ- দই মধ্যস্থ পটাসিয়াম উচ্চরক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূ মিকা পালন করে। 

ইম্যুনসিস্টেমের দক্ষতা বৃদ্ধি- রোজ দই খেলে শরীরের ইম্যুনসিস্টেম আরও দক্ষ হয়ে ওঠে। রক্তে বৃদ্ধি পায় শ্বেত
রক্ত কণিকা, যা রোগ প্রতিরোধের জন্য অনন্য। 

ত্বকের যত্ন- দইয়ের অন্যতম উপাদান ল্যাকটিক অ্যাসিড। এই ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের মৃত কোষগুলি
অপসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূ মিকা গ্রহণ করে। 

সর্দি কাশির মোকাবিলায় ৫টি ঘরোয়া টোটকা


ওয়েব ডেস্ক: অতিরিক্ত গরম, বৃষ্টি বা ঠান্ডা। সর্দি , কাশির মতো সমস্যা দেখা দেয় বছরের যেকোনও মরসুমেই।
যেকোনও বয়সেই সর্দি -কাশির হাত থেকে রেহাই পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। কেউ কেউ ছোট সমস্যা ভেবে
উপেক্ষা করেন। ডাক্তারের কাছে ছু টে না গিয়ে বাড়িতেই কিছু টোটকার সাহায্যে কাটিয়ে ওঠা যায় এই সমস্যা।
জেনে নিন এমনই কিছু ঘরোয়া টোটকা-

দুধ ও হলুদ- এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খান। এই দুধ বাচ্চা থেকে বুড়ো,
যেকোনও বয়সের জন্যই উপকারী। হলুদের অ্যান্টি ভাইরাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ সহজেই সংক্রমণ রোধ
করতে পারে।

আদা চা- সর্দি -কাশির সঙ্গে মোকাবিলা করতে আদা অব্যর্থ। আদা কুচি করে গরম জল বা গরম চায়ে দিয়ে পান
করুন। সর্দি , কাশির সঙ্গে গলা খুসখুস করার মতো সমস্যাও কমে যাবে।

লেবু ও মধু- আদা চায়ের মতোই অত্যন্ত উপকারী লেবু ও মধুর মিশ্রণ। এক গ্লাস গরম জলে ২ চা চামচ মধু ও ১
চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে সর্দি কাশি থেকে দূরে থাকা যাবে।

তু লসি পাতা ও আদা- সর্দি কাশি দূর করতে আরও এক অব্যর্থ জুটি তু লসি পাতা ও আদা। ১ কাপ জলে কয়েকটা
তু লসি পাতা ও আদা কুচি ফেলে ফোটাতে থাকুন। জল ফু টে পরিমান যখন অর্ধেক হয়ে আসবে তখন পান করুন।
এই জল দিনে অন্তত ২ বার পান করতে সর্দি কাশি কমে যাবে।

রসুন- রসুনের মধ্যে থাকা প্রচু র পরিমান অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট সর্দি কাশির মোকাবিলা করতে পারে। এছাড়াও
রসুনের মধ্যে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া, অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ফাংগাল অ্যালিসিন সংক্রমণ রুখতে পারে।
৪-৫ কোয়া রসুন ঘিয়ে নেড়ে নিয়ে গরম থাকতে থাকতে খেয়ে নিন। ঘিয়ে ভাজা রসুন সুপের সঙ্গে মিশিয়েও
খেলেও আরাম পাবেন।

ক্যান্সার থেকে ডায়বেটিস, টমেটোর হাজার গুণে দূর সব সমস্যা


য়েব ডেস্ক: ফলের রাজা যদি হয় আম, তবে সবজির রাজা অবশ্যই বলা উচিত্ টমেটোকে। টমেটো যেমন হার্টে র
সমস্যা দূরে রাখতে পারে তেমনই ডায়বেটিস, কিডনির সমস্যা রুখতেও টমেটোর ভূ মিকা অনস্বীকার্য। শুধু
খাওয়ার পাতে নয়, রূপচর্চ ারও অন্যতম উপাদান টমেটো। জেনে নিন টমেটোর কিছু গুণ-

ক্যান্সার প্রতিরোধক টমেটো

টমেটোর মধ্যে থাকা লাইকোপেন প্রস্টেট, কোলোরেকটাল বা পেটের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় সম্ভাবনা অনেক
কমিয়ে দেয়। এই প্রাকৃ তিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রুখতে পারে। কাঁচা টমেটোর থেকেও বেশি
উপকারী রান্না করা টমেটো। তাই যত পারুন টমেটো সুপ খান, রান্নাতেও ব্যবহার করুন টমেটো।

হার্টে র দেখাশোনায় টমেটো

টমেটোর মধ্যে থাকা ভিটামিন বি ও পটাশিয়াম রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই
প্রতিদিনের ডায়েটে যদি টমেটো থাকে তাহলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও অন্যান্য হার্টে র সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার
ঝুঁ কি কমে যায়।

কিডনি ভাল রাখতে টমেটো

কিডনি সুস্থ রাখতে টমেটো খান বীজ ছাড়া।

ডায়বেটিসের ওষুধ টমেটো

টমেটোর মধ্যে থাকা ক্রোমিয়াম ও অন্যান্য মিনারেল রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

হাড়ের সমস্যায় টমেটো

টমেটোর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমানে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন কে থাকে। হাড়ের টিস্যু ঠিকঠাক রাখতে ও ছোটখাট
সমস্য দূর করতে তাই অপরিহার্য্য।
চোখের জন্য টমেটো

চোখের দৃষ্টি উন্নত করতে টমেটোর ভূ মিকা অপরিসীম। শিশুদের ডায়েটে তাই অবশ্যই রাখুন টমেটো।

ধুমপান থেকে ক্ষতি মেটাতে টমেটো

ধুমপানের ফলে শরীরে যে ক্ষতি হয় তার প্রভাব কমাতে পারে টমেটোর মধ্যে থাকা কোমেরিক অ্যাসিড ও
ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড।

টমেটোই সেরা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট

টমেটোতে প্রচু র পরিমানে থাকে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি। এই ভিটামিন ও বিটা ক্যারোটিন অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট
হিসেবে কাজ করে যা রক্তের ক্ষতিকারক রাসায়নিকের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে। রক্তে ভাসমান এইসব
রাসায়নিক শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। টমেটো যত লাল হবে তত বিটা ক্যারোটিনের পরিমান বেশি
থাকবে। তবে রান্নার ফলে নষ্ট হয়ে যায় ভিটামিন সি, তাই যত পারেন কাঁচা টমেটো খান।

ত্বকের যত্নে টমেটো

টমেটোর মধ্যে প্রচু র পরিমানে লাইকোপেন থাকে। যে কারণে অনেক ফেশিয়ালের মূল উপাদান থাকে টমেটো।
ত্বকের কালো ছোপ যেমন দূর করে টমেটো, তেমনই ঔজ্জ্বল্যও বাড়ায়। যদি বাড়িতে টমেটো ব্যবহার করতে চান
তবে ৮ থেকে ১২টা টমেটোর খোসা ছাড়িয়ে নিন। টমেটোর খোসা দিয়ে অন্তত ১০ মিনিট পুরো মুখ ঢেকে রাখুন।
তারপর ধুয়ে ফেলুন। ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল দেখাবে।

চু লের দেখভাল করতে টমেটো


টমেটোর মধ্যে থাকা ভিটামিন এ চু ল উজ্জ্বল ও পোক্ত হয়।

মশা তাড়াতে নিম, রসুন


ওয়েব ডেস্ক: বর্ষা চলে গেলেও থেকে যায় মশার উপদ্রব। বরং শীত যত কাছে আসতে থাকে ততই বাড়তে থাকে
মশা। গন্ধযুক্ত ধূপ বা মশার ওষুধে অনেকেরই শ্বাসকষ্ট হয়, দেখা দেয় ত্বকের সমস্যাও। তাই জেনে নিন মশা
তাড়ানোর ৫টি প্রাকৃ তিক উপায়।

১. মশা তাড়াতে অসাধারণ কাজ করে নিম তেল। নিমের গন্ধে দূরে থাকে মশা। তাই নিম তেল ও নারকেল
তেলের মিশ্রণ সারা শরীরে লাগিয়ে নিলে মশার কামড় থেকে রেহাই পাবেন।
২. নিমের মতোই প্রয়োজনীয় তু লসিও। শোওয়ার ঘরের জানলার বাইরে যদি তু লসি গাছ লাগান তবে অবশ্যই
ঘরে ঢু কবে না মশা। আপানর ঘুম হবে শান্তির।
৩. মশা দূরে রাখার জন্য অব্যর্থ লেবু তেল ও ইউক্যালিপটাস তেলের মিশ্রণও। এই মিশ্রণ শরীরে লাগালে মশাতো
কামড়াবেই না, সংক্রমণের হাত থেকেও রেহাই পাবেন।
৪. মশা মারার ওষুধ বা ধূপে থাকে কর্পূর। এই কর্পূর মশা তাড়াতে অব্যর্থ। মশা দূরে রাখতে তাই বন্ধ ঘরে কর্পূর
জ্বালান।
৫. রসুন থেকে শতহস্ত দূরে থাকে মশা। কয়েক কোয়া রসুন জলে ফু টিয়ে নিন। এবার এই জল সারা ঘরে ছিটিয়ে
দিলে মশা থাকবে দূরে।

টাকায় ছড়াচ্ছে মারাত্মক রোগ, বলছে সরকারী গবেষণা


ওয়েব ডেস্ক: টাকা অতি বিষম বস্তু! মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ায়, থাকলে সুখ, আবার ক্ষেত্র বিশেষে অসুখও। এ
পুজি
ঁ বাদী দুনিয়ায় ও জিনিস না থাকলেতো হাতে হ্যারিকেন কিম্বা নিদেন পক্ষে পেনসিলও বড়ই দুর্মূল্য। অ-সুখের
উপস্থিতি সেক্ষেত্রে বলাই বাহুল্য। কিন্তু অসুখ কি শুধু মনের বা সামাজিক? সরকারী গবেষণা বলছে মোটেও না।
নোট বহন করে অসুখ-রোগ এবং যা পুরদস্তুর শারীরিক।  

বিজ্ঞানীরা ৭৮টি রোগ সৃষ্টিকারী মাইক্রো অর্গানিজমের ফু টপ্রিন্টের উপস্থিতি খুঁজে পেয়েছেন নোটের মধ্যে। 

তার মানে আপনার ওয়ালেটটিতে আসলে ডজন ডজন রোগ সৃষ্টিকারী মাইক্রো-অর্গানিজম বহাল তবিয়তে ঘুরে
বেড়ায়।  

সিএসআইআর-এর অধীনস্থ ইনস্টিটিউট অফ জেনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্র্যাটিভ বায়োলজি(আইজিআইবি)-


গবেষকরা দক্ষিণ দিল্লির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু ১০, ২০ ও ১০০ টাকার নোট সংগ্রহ করে তার উপর পরীক্ষা
চালিয়েছেন। তাঁরা অন্তত ৭৮টি অসুখ সৃষ্টিকারী মাইক্রোঅর্গানিজমের ডিনএন ফু টপ্রিন্ট খুঁজে পেয়েছেন ওই
নোটগুলির মধ্যে। বেশিরভাগই ছত্রাক জাতীয়, তবে তার সঙ্গেই আছে টিউবারকিউলিস, আলসার ও আন্ত্রিকের
ব্যাকটেরিয়াও। 

এই গবেষণা বলছে এই নোটগুলি রোগ সৃষ্টিকারী মাইক্রোঅর্গানিজমের বাহক হিসেবে কাজ করে। দ্রুত গতিতে
মাইক্রোবিয়াল ডিসিজ ছড়িয়ে দেয়। 

ভাঙা হাড় জোড়া লাগাতে গাঁজার উপকারিতা অপরিসীম, দাবি


গবেষকদের

ওয়েব ডেস্ক: চিকিৎসা বিদ্যায় গাঁজার আরও একটি ব্যবহার আবিষ্কার করে ফেললেন ইজরায়েলের বিজ্ঞানীরা।
ভাঙা হাড় জোড়া লাগাতে গাঁজা গাছের বেশ কিছু উপাদান/ অংশ অত্যন্ত কার্যকরী বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

'জার্নাল অফ বোন অ্যান্ড মিনেরাল রিসার্চ '-এ প্রকাশিত এই গবেষণাপত্র অনুযায়ী গাঁজা গাছে যে অ-
সাইকোঅ্যাকটিভ যৌগ ক্যানাবিডল থাকে তা অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ভাঙা হাড় জুড়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

''আমরা দেখেছি ক্যানাবিডল একাই ভাঙা হাড় সারিয়ে তোলার ক্ষমতা রাখে। কোলাজেনাস ম্যাট্রিক্সকে পরিণত
করে তোলে, যা হাড় কলাগুলির মিনেরেলাইজেশনের ভিত তৈরি করে।'' জানিয়েছেন এই গবেষণার অন্যতম
প্রধান ডঃ ইয়ানকেল গাবে। এক বার এই ভাবে ভাঙা হাড় জোড়া লাগলে ভবিষ্যতে আরও একবার তা ভাঙা
কঠিন হয়।

মানুষের শরীরে প্রাকৃ তিকভাবে এন্ডোক্যানাবিনয়েড সিস্টেম থাকে। এই সিস্টেম স্কেলেটনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন
শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। মানুষের মস্তিষ্ক ও শরীর ক্যানাবিনয়েড প্রতি স্বাভাবিকভাবেই
প্রতিক্রিয়াশীল। গাঁজার মত বাহ্যিক সোর্স থেকে আগত ক্যানাবিয়েডলেও মানুষের মস্তিষ্ক সহজে সাড়া দেয়।  
এর আগে বহু গবেষণায় প্রমাণিত ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে এমনি এইডস-এর মত মারণ রোগ সংক্রমণে গাঁজার জুড়ি
মেলা ভার। বহু ভয়ানক ক্যান্সারের ক্ষেত্রে মেটস্ট্যাটিস প্রতিহত করার ক্ষমতা রাখে ক্যানাবিডল।

সুস্থ থাকতে প্রতিদিন খান কলা, জেনে নিন কলার অজানা উপকারিতা

ওয়েব ডেস্ক: আপনি কি কলা খেতে ভালবাসেন? যদি বাসেন তবে এই লেখা পড়ার পর আপনার ভালবাসা বাড়বে
বই কমবে না। আর যদি না বাসেন, তবে ভালবাসতে শুরু করবেন কিনা জানি না, তবে হ্যাঁ, কলার প্রতি
আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে বাধ্য। মুহূর্তে র মধ্যে এনার্জি পেতে কলার জুরি মেলা ভার। কিন্তি তা ছাড়াও যে প্রচু র
কাজ করে কলা। জেনে নিন কলার বহুগুণ-

অবসাদ

অবসাদে ভোগা কিছু মানুষের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে কলা খেলে ভাল বোধ করেন তারা। কলার
মধ্যে থাকা ট্রিপটোফ্যান প্রোটিন মানুষের শরীরে পরিণত করে সিরোটোনিন হরমোনে। সিরোটোনিন হরমোন
অফ হ্যাপিনেস নামে পরিচিত। শরীরে এই হরমোনের মাত্রা বাড়লে মুড ভাল হয়ে রিল্যাক্স বোধ করে মানুষ। মুড
অফ একটি অতি পরিচিত প্রি-মেন্সট্রয়াল সিনড্রোম। কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন বি৬ শরীরে গ্লুকোজের
সামঞ্জস্য বজায় রেখে মুড ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

অ্যানিমিয়া

কলার মধ্যে থাকা প্রচু র পরিমান আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন উত্‍পাদনে সাহায্য করে। ফলে অ্যামিনিয়ার সম্ভবনা
কমে। এমনকী, অ্যামিনিয়া সারাতেও সাহায্য করে কলা।

রক্তচাপ
কলার মধ্যে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি অথচ নুনের মাত্রা কম থাকায় উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা রুখতে পারে
কলা। ইউ ফু ড ও ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কলার এই গুণের কথা মাথায় রেখে স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধে
কলার ব্যবহার সুপারিশ করেছে।

মস্তিষ্ক

টানা ১ বছর ধরে পরীক্ষা চালানো হয়েছিল ইংল্যান্ডের টু ইকেনহ্যাম স্কুলের ২০০ জন পড়ুয়ার ওপর। পরীক্ষার
আগে টানা ব্রেকফাস্ট, ব্রাঞ্চ ও লাঞ্চে কলা খাওয়ানো হয় তাদের। দেখা গিয়েছিল কলার মধ্যে থাকা পটাশিয়াম
তাদের মনসংযোগ বাড়ানোর ফলে অন্যদের থেকে পরীক্ষায় ভাল করেছিলেন ওই ২০০ জন পড়ুয়া।

কনসটিপেশন

কলার মধ্যে প্রচু র পরিমান ফাইবার থাকায় পেট পরিষ্কার রাখতে কলা অপরিহার্য্য।

হ্যাংওভার

আগের রাতের অতিরিক্ত মদ্যপানের হ্যাংওভার কাটাতে বানান মিল্কশেকের কোনও তু লনা নেই। সঙ্গে যদি থাকে
১ চামচ মধু। কলা শরীরের অস্বস্তি কমায়, দুধ পেট ঠান্ডা করে ও মধু বজায় রাখে রক্তে শর্ক রার মাত্রা।
ফলে অম্বলের হাত থেকেও রেহাই পায় শরীর।

মর্নিং সিকনেস

কাজের চাপ, মানসিক চাপে অনেক সময়ই সকালে ঘুম থেকে উঠে অসুস্থ বোধ করি আমরা। রক্তে শর্ক রার মাত্রা
কম থাকায় কম থাকে এনার্জি র মাত্রাও। এই সময় কলা বজায় রাখতে রক্তে শর্ক রার সঠিক মাত্রা।

মশার কামড়

মশার কামড়ে ফু লে, লাল হয়ে ওঠা ত্বকের যত্ন নিতে ক্রিম বা অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করার আগে কলার খোসা
ঘষে দেখুন ত্বকের ফু লে ওঠা অংশে।

স্নায়ু

কলায় থাকে প্রচু র পরিমানে ভিটামিন বি যা স্নায়ুকে শান্ত করে। মানসিক চাপ কাটাতে ফ্যাটি ফু ডের থেকে বেশি
প্রয়োজনীয় কলা। কার্বোহাইড্রেটে পরিপূর্ণ হওয়ায় কলা রক্তে শর্ক রার মাত্রা ঠিক রেখে স্নায়বিক চাপ কমাতে
সাহায্য করে।

আলসার
নরম ও মিহি হওয়ার জন্য পেটের সমস্যায় খুবই উপকারী খাবার কলা। অত্যন্ত খারাপ পেটের রোগেও কলাই
একমাত্র ফল যা নির্বিঘ্নে খাওয়া যেতে পারে। কলা অস্বস্তি কমিয়ে আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।

তাপমাত্রা নিয়নন্ত্রণ

অনেক দেশে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে কলা ব্যবহার করা হয়। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জ্বর হলে ওষুধের
বদলে খাওয়ানো হয় কলা। তাইল্যান্ডে গর্ভ স্থ সন্তানের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গর্ভ বতী মায়েদের মধ্যে
কলা খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

ক্যান্সারের সম্ভাবনা হ্রাস করে হস্তমৈথুন


ওয়েব ডেস্ক: হস্তমৈথুন স্বাস্থের পক্ষে ভাল। অন্তত এমনটাই দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।

অস্ট্রেলীয় বিজ্ঞানী অ্যান্টনি সান্টেল্লা ও স্রিং সিনোয়া কুপারের মতে হস্তমৈথুন বা স্বমেহন মানুষকে সুস্থ রাখরে
সাহায্য করে। সিসটিসিস, ডায়াবেটিস ও প্রোস্টেট ক্যান্সের মত রোগ গুলিকে দূরে সরিয়ে রাখে।

মার্কি ন যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি করা এক সমীক্ষা অনুযায়ী ৯৪% পুরুষ ও ৮৫% মহিলা হস্তমৈথুন করার কথা স্বীকার
করেছেন। এই অভ্যাস অতন্ত স্বাভাবিক এবং গর্ভ াবস্থায় থাকার সময় থেকেই শিশুরাও হস্তমৈথুন করে বলে দাবি
বিজ্ঞানীদের।

দ্য কনভার্সেশন নামের একটি ওয়েবসাইটে সান্টেল্লা ও কুপার লিখেছেন ''মহিলাদের ক্ষেত্রে সারভাইকাল মূত্র নালীর
সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যকরী ভূ মিকা নেয় হস্তমৈথুন। সারভিক্স টেনটিংয়ের ফলে ব্যাকটেরিয়া ভর্তি সারভাইকাল
তরল বাইরে বেড়িয়ে আসে।''

এর ফলে বহু সময় অর্গাসম হয় যাতে বিভিন্ন হরমোনের ক্ষরণের ফলে অনিদ্রা ও মানসিকচাপ দূর হয়। কমে
ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা

পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রোস্টেট ক্যানসারে সম্ভাবনা কমায় হস্তমৈথুন। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন হস্তমৈথুনের সময় এমন
কিছু হরমোন প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড থেকে নিষ্কৃত হয় যা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।

স্বমেহননের ফলে মানসিক শান্তি বাড়ে। ফলে এন্ড্রোফিন্স ও কর্টি সলের লেভেল বৃদ্ধি পায়।
অ্যালঝাইমারের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূ মিকা নিতে পারে হলুদ
ওয়েব ডেস্ক: হলুদের বিবিধ গুণাবলী নিয়ে আগেও বহু গবেষণা হয়েছে। বর্ত মান এক গবেষণায় উঠে এসেছে
হলুদের মধ্যে উপস্থির কারকুমিন অ্যালঝাইমারের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূ মিকা পালন করে।

কারকুমিন মস্তিষ্কের অসুখ সারাতে কার্যকরী ভূ মিকা পালন করে। কারকুমিন মস্তিষ্কে প্রবেশ করে অ্যালঝাইমার
রোগীদের বিটা-অ্যামিলয়েড প্লাক ধ্বংস করে, এর বিষক্ত প্রভাব কমিয়ে ফেলে।

বিটা-অ্যামিলয়েড এক ধরণের প্রোটিন ফ্র্যাগমেন্টের সমন্বয় যা মস্তিষ্কে নিউরন ধ্বংস করে অ্যালঝাইমারে পথ
প্রসস্থ করে।

ছোট ছোট অণুর সমন্বয়ে এই প্রোটিন ফ্র্যাগমেন্টকে ধ্বংস করা খুব কঠিন।

জাপানের ওটসুর শিগা উইনিভার্সিটি অফ মেডিক্যাল সায়েন্স-এর গবেষকরা জানিয়েছেন কারুকুমিনের মত


মলেকিউল মস্তিষ্কে বিটা-অ্যামিলয়েডের প্রভাব কমিয়ে দেয়।

শিরার মাধ্যমে অ্যালঝাইমারের ওষুধের প্রয়োগ অতন্ত্য যন্ত্রণাদায়ক। গবেষকরা চেষ্টা করছেন অটোমাইজারের
মাধ্যমে কারিকুমিন এরোজল তৈরি করার। কারিকুমিনের মতই এক মলিকিউল FMeC1 গবেষণার জন্য
ব্যবহার করে ছিলেন।
এক চু মুতে মুখের মধ্যে প্রবেশ করে ৮ কোটি ব্যাকটেরিয়া
ওয়েব ডেস্ক: চু মুতে ভালবাসা বাড়ে, ভালবাসা ছড়ায় জানাছিল, কিন্তু চু মুর মধ্যে দিয়ে ব্যাকটেরিয়ার
আদানপ্রদান হয় তা কি জানা আছে? নতু ন এক গবেষণা বলছে মাত্র ১০ সেকেন্ডের গভীর চু মুতে ৮ কোটি
ব্যাকটেরিয়া একজনের লালার সঙ্গে অন্যজনের মুখে প্রবেশ করে। যে যুগল দিনে যতবার বেশি চু মু খায় তাদের
মুখের মধ্যের মাইক্রোব্যাকটেরিয়ার তত বেশি  মিল থাকে।

নেদারল্যান্ডের অরগানাইগেশন ফর অ্যাপলায়েড সায়েন্টিফিক রিসার্চে র গবেষক রেমকো কোর্ট আমস্টারডামের


মাইক্রোপিয়া (পৃথিবীর প্রথম মাইক্রোবসদের মিউজিয়াম)-এর সঙ্গে যৌথভাবে ২১ জনের যুগলের উপর একটি
পরীক্ষা চালিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে চু মু খাওয়ার সময় তাদের আচরণ, কত ঘন ঘন তারা চু মু খান এই সব প্রশ্ন
সহ একটি তালিকা পূরণ করতে দেওয়া হয়েছিল এই ৪২জনকে।

এরপর প্রতি যুগলের যে কোনও একজনকে বেছে নিয়ে বিশেষ একধরণের ব্যাকটেরিয়া ভর্তি প্রোবায়োটিক পানীয়
খেতে দেওয়া হয়েছিল।

এরপর তাদের সঙ্গি বা সঙ্গিনীকে ঘন চু মু খেতে বলা হয়। একবারের ঘন চু মুর  পর দেখা গেছে যিনি ওই পানীয়
খাননি তার মুখের লালার মধ্যে প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার (ক্ষতিকারক নয় এমন ব্যাকটেরিয়া)সংখ্যা তিনগুণ
বৃদ্ধি পেয়েছে।

হিসাব করে দেখা গেছে মাত্র ১০ সেকেন্ডের মধ্যে একজনের মুখ থেকে অন্যজনের মুখে কমবেশি ৮ কোটি
ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করেছে।

কোর্ট জানিয়েছেন তাঁদের এই পরীক্ষা শেষে দেখা গেছে যে যুগল যত ঘন ঘন নিবিড় চু মু খান তাদের লালার
মাইক্রোবায়োটা (ব্যাকটেরিয়া বসতি)  একই রকম হয়।

গড়ে দিনে অন্তত ৯ বার চু মু খেলে মুখের মাইক্রোবায়োটা একই রকম হয়ে যায়।

মানুষের শরীরে গড়ে ১০০ ট্রিলিয়ন উপকারী মাইক্রোঅরগানিসম থাকে। এই মাইক্রোঅরগানিসম খাবারের
পাচন, পুষ্টি সংশ্লেষ ও রোগপ্রতিরোধে অপরিহার্য।

মুখের মধ্যে কমবেশী ৭০০ ধরণের ব্যাকটেরিয়া থাকে।

ডায়াবেটিস তাড়াতে খান গুরমার গাছের পাতা


ওয়েব ডেস্ক: ডায়াবেটিস বা সুগার আক্রান্ত এখন প্রায় ঘরে ঘরে। বেশিরভাগ মানুষই বাজার চলতি ওষুধের সাহায্যেই
নিয়ন্ত্রণে রাখেন রক্তে শর্ক রার মাত্রা। কিন্তু আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা ভরসা রাখতে বলছেন গুরমার গাছের ওপর। তাঁদের
বক্তব্য, নিয়ম করে এ গাছের পাতা খেলেই নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তে শর্ক রার মাত্রা। তাই দিনদিন বাড়ছে গুরমার বা মেষশৃঙ্গি
চাষ।

যাঁরা ভেষজ গাছের চাষ করতে চান, তাঁরা গুরমার বা মেষশৃঙ্গির চাষ করতেই পারেন। কারণ, দিন দিন বাড়ছে ভেষজ
গুণসমৃদ্ধ গুরমারের চাহিদা। যে গাছ পথের ধারেই গজিয়ে উঠত এক সময়, সেই লতানো গাছই এখন চাষ হচ্ছে মাঠে।
কারণ এর ভেষজ গুণ।

এ গাছের পাতাতেই সমস্ত ভেষজ গুণ। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পাতা ডায়াবেটিক বা সুগার রোগীদের জন্য
বিশেষভাবে উপযোগী। গুরমারের পাতা সেবনেই অনায়াসে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় রক্তে শর্ক রা মাত্রা মানে সুগার লেভেল। এক
মাসের মধ্যে ফল পাওয়া যাবে বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।   

লতানে গাছ হওয়ার কারণে মাচা দিয়ে ঘিরে এক বিঘা জমিতে প্রায় সাড়ে চারশো গুরমারের চারা লাগানো যেতে পারে। এর
জন্য খরচও খুব একটা বেশি নয়। চারা লাগানোর তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই ব্যবহার করা যেতে পারে গুরমারের
পাতা। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাবারের মধ্যে থাকা মিষ্টি পদার্থ টেনে নিতে পারে গুরমারের পাতা। তবে যেমন
তেমনভাবে ব্যবহার করলে হবে না. আয়ুর্বেদ চিকিত্‍সকেরা বলে দিচ্ছেন গুরমারের পাতার ব্যবহার-পদ্ধতি।  

শুধু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা নয়। রক্তে শর্ক রার পরিমাণ ঠিক রেখে ওজন কমাতেও ভাল কাজ করে গুরমার পাতা। আর
এ গাছের ফলেও রয়েছে ভেষজ গুণ। গুরমার ফল দেখতে ভেড়া মানে মেষের সিংয়ের মত। তাই এই গাছকে বলা হয়
মেষশৃঙ্গি। গুরমার ফল ত্বকের সমস্যা মেটাতে দারুণ কাজ করে।   

উর্বর মাটিতে এ গাছের চাষ হয়। তবে বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার লাল মাটিতে এই গাছের চাষ খুব ভাল হতে পারে। নিজের
ব্যবহারের জন্য যে কেউ টবে লাগাতে পারেন এই গাছ। কৃ ষিবিশেজ্ঞরা বলছেন, কোনও রকম রাসায়নিক সার ছাড়া জৈব
সারেই লতানো গাছটি মাচার মাথায় চড়বে। এই গাছের চারা মেলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ভেষজ উদ্ভিদ পর্ষদে।

বিদেশে আয়ুর্বেদের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। বাড়ছে গুরমার গাছের পাতা ও মেষশৃঙ্গির চাহিদাও। বহুজাতিক ওষুধ
প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিও গুরমারের ভেষজ গুণ ব্যবহার করছে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের পাউডার এবং ট্যাবলেট তৈরিতে।
সেসবের রমরমা বাজার। কৃ ষিবিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত এক বিঘা জমিতে গুরমার চাষে কৃ ষকের লাভ হয় বছরে
প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা। সারা বছরই এ গাছ লাগানো যেতে পারে।

শুক্রাণুকে দুরন্ত গতি দিতে গাজর খান

গতিময় জীবনে আপনার শুক্রাণুই বা পিছিয়ে থাকবে কেন? শুক্রাণুকে কি উসেইন বোল্টের গতি
দিতে চান? তাহলে অবশ্যই বেশি করে গাজর খান। নতু ন এক গবেষণায় উঠে এসেছে শাক-সব্জী সুস্থ
সবল শুক্রাণু তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে। হার্ভ ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কু ল অফ পাবলিক
হেলথের গবেষকরা দাবি করেছেন গাজর একাই ডিম্বাণুর দিকে শুক্রাণুর গতি কয়েক গুণ বাড়িয়ে
দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। গাজরের সঙ্গে লেটু স, পালংও বাড়িয়ে দিতে পারে শুক্রাণুর গতি।
গাজর, লেটু স, পালংয়ের মত সব্জীতে বিটা-ক্যারোটিন নামের এক জাতীয় অ্যান্টিঅক্সিডান্ট থাকে।
গবেষকদের মতে এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ডিম্বাণু অভিমুখে শুক্রাণুর গতি ৬.৫% থেকে ৮% বাড়িয়ে
দিতে পারে।
অন্যদিকে, টম্যাটোর মধ্যে লাইকোপেন নামক এক ধরনের প্রোটিন থাকে। টম্যাটোর লাল রংয়ের
জন্য দায়ি এই প্রোটিন। লাইকোপেন অস্বাভাবিক আকৃতির শুক্রাণুর উৎপন্নকে প্রতিহত করে।

মাত্র ১ মিনিটে ঘুমিয়ে পড়ার জাদুকরী কৌশল!


প্রতিদিনই তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার ইচ্ছে থাকলেও কিছু তেই সময়মত ঘুমাতে যাওয়া হয়না। কোনো না কোনো
কারণে দেরী হয়েই যায়। আবার সময়মত ঘুমানোর জন্য বিছানায় গেলেও এপাশ ওপাশ করে ঘুম আসে না।
ভালো ঘুমের জন্য কী করা উচিত তাহলে?
ঘুম না আসা খুবই যন্ত্রণাকর একটি ব্যাপার। বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করা এবং ঘড়ির দিকে তাকিয়ে রাত
পার করার যন্ত্রণা যারা ভু ক্তভু গি তারাই বলতে পারবেন। ঘুম না হওয়ার সবচাইতে প্রথম ও প্রধান কারণ হচ্ছে
মন অস্থির থাকা। আর মন অস্থির হয়ে থাকার অন্যতম কারণ হচ্ছে মানসিক চাপ। মানসিক চাপ হওয়ার কারণে
ঘুম আসতে চায় না একেবারেই।

শিল্পোন্নত দেশগুলোর অন্তত দশ শতাংশ মানুষ ঘুমের সমস্যায় ভোগে৷ অথচ সুস্থভাবে জীবনযাপনের জন্য
নিয়মিত ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । পর্যাপ্ত ঘুম না হলে কী হতে পারে, তা গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা।

তবে দীর্ঘ গবেষণা শেষে সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকর উপায়ে এমন সমস্যার সমাধান এবার
জানিয়েছেন একদল গবেষক।

ঘুম যেন এক রহস্য দ্বীপ। আবছা আলো-আঁধারে ঢাকা। ‘ঘুম ঘোরে কে আসে মনোহর?’ আবার, ‘কখনো
জাগরণে যায় বিভাবরী।’এ শরীর যার, যে জগতে এর বাস, তার যেন তেমন ভূ মিকাই নেই, বিস্মৃত সে এ জগৎ
সম্বন্ধে।আমরা সবাই এমন অবস্থায় জীবনের এক-তৃ তীয়াংশ সময় কাটাই।

নতু ন এক গবেষণায় Byrdie এর লেখিকা অ্যালিনা গঞ্জালেস বলেন,  ‘একধরণের শ্বাস প্রশ্বাসের বিশেষ ব্যায়াম
রয়েছে যা ঘুমাতে অনেক বেশী সহায়ক। এই পদ্ধতিটির নাম ৪-৭-৮ মেথড। যারা অনিদ্রা সমস্যায় ভোগেন
তারা এই পদ্ধতিটি প্রয়োগ করে অনেক ভালো ফলাফল পেয়েছেন’। চলুন তাহলে শিখে নেয়া যাক চমৎকার এই
পদ্ধতিটি যার মাধ্যমে মাত্র ১ মিনিটেই ঘুমিয়ে পড়তে পারবেন আপনি।

নিঃশ্বাসের ব্যায়াম

– প্রথমে ৪ সেকেন্ড নাক দিয়ে খুব ভালো করে শ্বাস নিন।


– এরপর ৭ সেকেন্ড দম ধরে রাখুন। শ্বাস ছাড়বেন না।
– তারপর ৮ সেকেন্ড ধরে মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন।
– এভাবে কয়েক বার করুন এবং ঘুমুতে যান।

কেন এই প্রক্রিয়াটি কার্যকরী?

অনেকেই ভাবতে পারেন এই প্রক্রিয়াটি কেন কাজে দেবে বা এই প্রক্রিয়ায় কেন ১ মিনিটের মধ্যে ঘুম চলে আসবে।
এই বিশেষ ধরণের নিঃশ্বাসের পদ্ধতিতে শুধুমাত্র আপনার ফু সফু সের উপরে প্রভাব ফেলে না এই পদ্ধতিতে
মস্তিষ্কের উপরেও কাজ হয় যা ঘুমাতে সহায়তা করে। আপনি যখন শুয়ে ঘুম না আসা নিয়ে চিন্তা করতে থাকেন
এবং অপেক্ষা করেন তখন আরও বেশী মানসিক চাপ সৃষ্টি হয় যা আরও বেশী ব্যাঘাত ঘটে। কাম ক্লিনিকের
গবেষক বলেন যখন আমরা দুশ্চিন্তা করি এবং চিন্তা করতে থাকি তখন আমাদের মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব
ঘটে। এতে করেই অনেক বেশী ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে থাকে। যখন এই ৪-৭-৮ নিঃশ্বাসের ব্যায়ামটি করা হয় তখন
অক্সিজেন আমাদের মস্তিষ্কে ভালো করে পৌছায়। যখন আপনি ৪ সেকেন্ড শ্বাস নেন তক্ষন তা আপনাকে শান্ত করে
এবং যখন ৭ সেকেন্ড দম ধরে থাকেন তখন মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌছায়। এরপর আপনি যখন দম ছাড়েন তখন
আপনার দেহ থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড দূর হয়ে যায়। এতে আপনার হার্ট বিটও কমে আসবে এবং আপনার
দুশ্চিন্তা কমে আসবে। আপনার দেহ ও মন রিলাক্স হবে। আর এ কারণেই ঘুমের উদ্রেক ঘটে। চেষ্টা করেই দেখুন
না।

নারীকে যৌন উত্তেজিত করার ৭টি গোপন সুত্র

মেয়েদের শরীরে এমন কিছু জায়গা আছে যেগুলো স্পর্শ করলে মেয়েরা অনেক বেশি টার্ন অন হয়ে পরে। কিন্তু
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ছেলেরা সেসব জায়গার প্রতি খেয়াল দেয় না। ফোরপ্লে সীমাবদ্ধ থাকে ব্রেস্ট, নিপল, আর
কিসের মধ্যেই। এর পর ওরাল সেক্স, আর ইন্টারকোর্স। ব্যাপারটা যেন একঘেয়েই। কিন্তু কিছু জায়গায় স্পর্শ
করে, ভালবেসে, পাগল করে দেওয়া যায় নারীদেরকে।

১. ঘাড়ের পিছন দিকঃ


মেয়েদের শরীরে এটাই সবচেয়ে সেক্সুয়ালি টার্নিং অন জায়গা। ছেলেরা এজায়গার উপর খুব অল্পই সময় দেয়।
কিন্তু শুধু এখানে স্পর্শ করেও একজন মেয়েকে যৌন উত্তেজিত পৌছানো সম্ভব। একজন মেয়ে যখন সামান্য টার্ন
অন থাকে তখন তার পেছন দিকে চু ল সরিয়ে হাত বুলিয়ে দেখুন। আস্তে আস্তে কিস করুন। দেখবেন সে পাগল
হয়ে যাবে। সামান্য লিক করুন, সুড়সুড়ি দিন। এরপর তার ব্রেস্টের দিকে যান। দেখবেন সে কতটা হর্নি হয়ে
যায়।
২. কানঃ
কানে হালকা স্পর্শ, চু মু অনেক বেশি সেক্সুয়ালি এরোসড করে দেয় মেয়েদের। কানের উপর আস্তে আস্তে নিঃশ্বাস
ফেললে পাগল হয়ে যায় সে। হালকা কামড় দিতে পারেন কানের যে কোন জায়গায়। লিক করতে পারেন কানের
চার পাশে যে কোন জায়গায়। কিন্তু কানের ছিদ্রে নয়, এটি মেয়েদের জন্যে একটা টার্ন অফ।

৩. থাইঃ
আসল জায়গা স্পর্শ না করেও তার আশে পাশের থাই এর নরম জায়গাগুলো স্পর্শ করেই তাকে হর্নি করে দিতে
পারেন। হাত এবং মুখ কাজে লাগান, কিস করুন। কিন্তু আসল জায়গায় যাওয়ার আগে সরে আসুন, দেখবেন সে
কি করে।

৪. হাতের তালু ও পায়ের পাতাঃ


হাত দিয়ে প্রতি মুহূর্ত স্পর্শ করছেন, কিন্তু তার হাতেই যে লুকিয়ে আছে অসংখ্য সেক্সুয়াল ফিলিংস। হাতের উপর
আংগুল চালান, সুড়সুড়ি দিন। এটি যেন তাকে পরবর্তী সেক্সুয়াল এক্টিভিটিরই মেসেজ দেওয়া। দেখবেন সেও
সাড়া দেবে। হাতের আঙ্গুল মুখে নিয়ে চু ষতে পারেন। এটিও টার্ন অন করে তাকে।

৫. পাঃ
পায়ে হাত বুলিয়ে সুড়সুড়ি দিলে অনেকেই বেশ মজা পায়। পায়ের আঙ্গুল মুখে নিয়ে চু ষলেও টার্ন অন হয়
অনেকেই। তবে কিছু মেয়ের এটি পছন্দ নয়। জিজ্ঞেস করে নিন আপনার সঙ্গিনীকেই।

৬. পিঠঃ
পিঠ, বিশেষ করে পিঠের নিচে, কোমড়ের দিকের অংশটাতে স্পর্শ ও আদর চায় মেয়েরা। মেরুদন্ড বরাবর চু মু
দিতে দিতে নিচে নেমে যান, কিস করুন সে বিশেষ জায়গাটিতে। তার সেক্স করার মুড আরো বাড়বেই।

৭. কলার বোনঃ
ব্রেস্টের দিকে যাওয়ার আগে, তার গলার নিচে, কলার বোনের দিকে নজর দিন একটু । জিহবা দিয়ে সার্কে ল করে
লিক করুন। হালকা কামড় দিন। এতে সে বুঝবে আপনি কতটা চান আপনার সঙ্গিনীকে।
২ মিনিটে দাঁত সাদা করবে কলার খোসা

আচ্ছা, অতীত কালে তো ডাক্তার ছিল না। আর ছিল না নামকরা ব্রান্ডের পেস্ট ব্রাশ দাঁত মাজার জন্য। তাহলে
কি তখন মানুষের দাঁত থাকতো হলদেটে আর দাগে ভরা? মোটেই না। মানুষের কাছে তখন ছিল হরেক রকম
ঘরোয়া টিপস। আর তেমনই একটা হচ্ছে কলার খোসা দিয়ে দাঁত সাদা করা।

ভাবছেন এও কি সম্ভব? কিংবা ভাবছেন – “যাহ, সব ভু য়া”… তাই না? কিন্তু অসম্ভব নয়, আর মিথ্যাও নয়।
কলার খোসা সত্যিকার অর্থেই বিজ্ঞান সম্মতভাবে আপনার দাঁত সাদা করতে সক্ষম। সুতরাং ভু লে যান দাঁতের
ডাক্তারের কাছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করার ভাবনা, আর ঘরে বসেই নিজের দাঁত গুলোকে রাখুন ঝকঝকে।
তবে হ্যাঁ, কাজটা করতে হবে সঠিক পদ্ধতিতে। আর আজ জানানো হচ্ছে সেটাই।

কলার খোসায় আছে প্রচু র পরিমাণে খনিজ উপাদান। বিশেষ করে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম আর ম্যাঙ্গানিজ।
আর এরাই হচ্ছে দাঁতকে সাদা করে তু লবার প্রধান হাতিয়ার। এছাড়াও কলার খোসায় Banana peel আছে প্রচু র
ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি, যারা কিনা দাঁতকে মজবুত করে তোলার পাশাপাশি খনিজ উপাদান গুলো শোষণ
করতেও সহায়তা করে। কলার খোসা নিঃসন্দেহে সাদা করে তু লবে আপনার দাঁত, তবে ব্যবহার করতে হবে
সঠিক পদ্ধতিতে। এবং অবশ্যই নিয়ম মেনে। জেনে নিন বিস্তারিত পদ্ধতি।
– প্রথমেই বেছে নিন সঠিক কলা। দাঁত সাদা করার জন্য ঠিক ভাবে পাকা কলা হওয়া জরুরী। খুব বেশি পাকাও
নয়, খুব বেশি কাঁচাও নয়। এমন কলা বেছে নিন যারা কিনা এখন নিচের দিকে একটু একটু সবুজ। কেননা এই
ধরনের কলায় পটাশিয়াম থাকে উচ্চ মাত্রায়। আর এই পটাশিয়ামই দাঁত সাদা করার দায়িত্ব নেবে।

– কলা উলটো করে ছিলে নিন। হ্যাঁ, যেভাবে আপনি ছিলে থাকেন কলা ঠিক তার উলটো দিক থেকে ছিলে নিন।
দেখবেন যে কলার গায়ে লম্বা লম্বা সুতার মতন আঁশ থাকে। উলটো করে ছিলে নিয়ে এই আঁশ গুলো থাকবে
খোসার সাথেই।

– খোসা থেকে চারকোনা করে দুটি টু করো কেটে নিন। আপনার সুবিধা মতন আকারেই কেটে নিন। চাইলে এই
কাটা খোসা ফ্রিজেও সংরক্ষণ করতে পারেন।

– এবার সকালে দাঁত ব্রাশ teeth করবার পূর্বে এই কলার খোসার ভেতরের অংশটি দিয়ে আপনার দাঁত খুব ভাল
করে ঘষুন। প্রথম টু করোটি দিয়ে পুরো এক মিনিট ঘষুন। তারপর সেটা বদলে দ্বিতীয় টু করোটি দিয়ে আরও এক
মিনিট। অর্থাৎ পুরো দুই মিনিট দাঁতকে ঘষুন। দাঁতের প্রত্যেকটি অংশে যেন পৌছায় এমন ভাবে ঘষতে হবে।

– দাঁত ঘষা হলে কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট করতে পারলে ভালো। এই সময়ে পানি বা অন্য
কিছু খাবেন না, কিংবা কুলি করবেন না। সময়টা পেরিয়ে গেলে আপনার নিয়মিত ব্যবহারের টু থ পেস্ট দিয়ে
দাঁত মেজে নিন।

এবার আয়নায় তাকিয়ে দেখুন তো, লাগছে না দাঁত একটু বেশি পরিষ্কার? ৪/৫ দিন এমন করার পরেই দেখবেন
আগের চাইতে অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে আপনার দাঁত। হলদে ভাব যেমন কমে গেছে, তেমনি কালো
ছোপটাও অনেকটাই সরে গেছে। যারা ধূমপান বা মদ্যপান করেন, তাদের ক্ষেত্রেও কাজ করবে এই পদ্ধতি। তবে
ব্যবহার করতে হবে বেশ দীর্ঘদিন। এবং সঠিক নিয়েম মেনে।

অবশ্যই মনে রাখতে হবে –

– এটা কোনও ম্যাজিক নয়। তাই ভালো ফল পেতে নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে হবে।

– অবশ্যই কমপক্ষে ২ মিনিট ঘষতে হবে। এই সময়টা জরুরি। বেশি ঘষলে আরও ভালো।

– ঘষার পর অবশ্যই সময় দিতে হবে খনিজ গুলো দাঁতে শোষিত হবার।

– যাদের দাঁত মদ্যপান, ধূমপান বা অসুস্থতার কারণে হলুদ তাদের ক্ষেত্রে একটু সময় লাগবে।

– কলার খোসায় Banana peel প্রচু র পরিমাণে চিনি থাকে। তাই অবশ্যই দাঁত খুব ভালভাবে মেজে নিতে হবে।
এবং এই কারণেই দিনে ১ বারের বেশি ব্যবহার করা যাবে না।

– যাদের দাঁত খুব একটা বেশি হলুদ নয়, তারা সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।
অনেকেই বলবেন যে কাজ হয় না, ভু য়া ইত্যাদি। কিন্তু মোদ্দা কথাটা হলো হয় তারা চেষ্টা না করেই বলেছেন,
কিংবা চেষ্টা করলেও সঠিক ভাবে করেননি। ফল পাবার জন্য অবশ্যই নিয়ম মেনে প্রয়োগ করতে হবে। আর তাই
অন্য লোকের কথা শোনা বাদ দিয়ে নিজেই চেষ্টা করে দেখুন না!

কলার খোসার অজানা ৬টি ব্যবহার

কলা অন্যান্য ফলের তু লনায় দামে সস্তা হলেও পুষ্টিগুণের দিক দিয়ে মোটেও পিছিয়ে নেই। বরং অধিক পটাশিয়ামযুক্ত বলে রক্তচাপ ও
হৃদরোগের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। কলা খেয়ে কলার খোসাটা আমরা ফেলে দিই কিন্তু এই ফেলনা খোসাটি আপনার
অনেক কাজে আসবে। জেনে নিন পাকা এবং কাঁচা কলার খোসার অজানা কিছু ব্যবহার।

১. ব্রণ দূর করতে :


ছোট ছোট ব্রণকে তাত্‍ক্ষণিকভাবে দূর করতে চান? সাহায্য করবে কলার খোসা। কলার খোসার ভেতরের অংশটি দিয়ে ব্রণের ওপর
ঘষতে থাকুন। কিছু ক্ষণ পর দেখবেন ব্রণ কোথায় মিলিয়ে গেছে!

২. আঁচিল দূর করতে :


অনেকেই শরীরে অতিরিক্ত আঁচিল নিয়ে অনেক বিব্রত থাকেন। কলার খোসা এই আঁচিল দূর করতেও সাহায্য করতে পারে। কলার
খোসার ভেতরের অংশ আঁচিলের ওপর রাখুন। নিয়মিত ব্যবহারে আঁচিল শুকিয়ে পড়ে যাবে। তবে ৭ দিনের মধ্যে এ পদ্ধতিতে আঁচিল
পড়ে না গেলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

৩. মশা বা পোকামাকড়ের কামড় :


মশা বা পোকামাকড়ের কামড়ের ফলে ত্বকে এক ধরনে জ্বলুনি বা চু লকানি হয়। এই জ্বলুনি বা চু লকানি থেকে তাত্‍ক্ষণিক রক্ষা পেতে
চাইলে কলার খোসার ভেতরের দিকটা আক্রান্ত স্থানে ঘষুন। দেখবেন জ্বলুনি বা চু লকানি একদমই কমে গিয়েছে।

৪. খাবার হিসেবে :
কাঁচা কলা খাওয়া হয় সবজি হিসেবে। এর ফেলা দেয়া খোসাও খাওয়া যায় খাবার হিসেবে। কাঁচা কলার খোসার ওপরের আঁশ ফেলে
দিয়ে কুচি করে নিন। এরপর এটা ভাঁপিয়ে নিন। এর সাথে শুকনো মরিচ ভাজা, পেঁয়াজ, রসুন ও সরিষার তেল দিয়ে বেটে নিন। হয়ে
গেল চমত্‍কার ভর্ত া। চাইলে এর সাথে ছোট চিংড়ি মাছও যোগ করতে পারেন।

৫. জুতা চকচকে করে তুলতে :


হাতের কাছে শু পলিশ নেই অথচ চকচকে করে তু লতে হবে জুতা? শু পলিশের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। প্রথমে
জুতায় ময়লা লেগে থাকলে তা পরিষ্কার করে নিন। এবার পাকা কলার খোসার ভেতরের অংশটা দিয়ে জুতা ওপরে ঘষুন অন্তত ৫
মিনিট। নিজেই দেখবেন যে চকচকে হয়ে উঠতে শুরু করেছে জুতা। এবার একটি পাতলা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে জুতা জোড়া ভালো করে
মুছে নিন।

৬. সিডি বা ডিভিডির স্ক্র্যাচ দূর করতে :


সিডি বা ডিভিডিতে কিছু দিনের মধ্যেই স্ক্র্যাচ পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। এতে সিডি চলতে চায় না, ডিভিডির ভিডিও আটকে আটকে যায়। এ
সমস্যা সমাধান করতে পারে কলার খোসা। কলার খোসার ভেতরের অংশটি দিয়ে সিডি বা ডিভিডিটি ভালো করে ঘষে নিন। দেখবেন
স্ক্র্যাচ একেবারেই চলে গিয়েছে। এবং সিডি বা ডিভিডিও চলবে আগের মতোই।
চু ল পড়া পুরোপুরি বন্ধ করার কার্যকরী ঘরোয়া টিপস

চু লের সমস্যা নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। এখনকার মেয়েদের কমবেশি সবারই চু ল পড়ে। এমতাবস্থায়
পার্লারে গিয়ে চু লের ট্রিটমেন্ট করা বেশ সময় ও ব্যয় সাপেক্ষও। কিন্তু কথায় আছে, যে রাঁধে, সে চু লও বাঁধে। এই
কথাকেই সামনে রেখে আজ আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি চটজলদি কিছু যত্ন, যা খুব সহজেই চু ল পড়া বন্ধ
করবে, চু ল ঘন, কালো ও মজবুত করবে।

হাতের খুব কাছের সামান্য কয়েকটা উপাদান দিয়েই আপনি সেরে ফেলতে পারেন আপনার অমূল্য চু লের যত্ন। এ
জন্য আপনি তৈরি করতে পারেন নিয়মিত ব্যবহারের জন্য তেল।

যা যা লাগবে –

১। মেহেদি পাতা (৪/৫ মুঠো সমপরিমাণ) ও

২। সরিষার তেল (২৫০ মিলি. সমপরিমাণ)।

প্রণালীঃ

প্রথমে মেহেদি পাতাগুলো ডাল থেকে বেছে আলাদা করে নিন। তারপর একটি পাত্রে পাতাগুলো নিয়ে পানি দিয়ে
ভালোভাবে ধুয়ে নিন, যাতে পাতাতে কোনো ময়লা লেগে না থাকে। ধোয়া হয়ে গেলে পানি ঝড়িয়ে নিতে পারেন
অথবা কোনো পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিতে পারেন।

এরপর একটি পরিষ্কার পাত্রে ২৫০ মিলি. সরিষার তেল নিয়ে চু লায় কম আঁচে দিয়ে দিন। আপনি চাইলে আরও
কম পরিমাণে তেল Oil নিতে পারেন। তেলটা হালকা গরম হয়ে গেলে তাতে মেহেদি পাতার কিছু অংশ দিয়ে
দিন। তারপর হালকা জ্বাল দিতে থাকুন, যাতে পুড়ে না যায়। যখন তেলে ফেনা উঠে যাবে তখন চু লা থেকে
নামিয়ে নিন। কিছু ক্ষণ পর আবার চু লায় বসিয়ে দিন। এরপর আস্তে আস্তে বাকি মেহেদি পাতাগুলো তেলে দিয়ে
দিন। আগের নিয়মে একই ভাবে তেলে ফেনা উঠে গেলে চু লা থেকে কিছু সময়ের জন্য নামিয়ে রাখুন। এভাবে
কিছু ক্ষণ করার পর চু লা থেকে একেবারেই নামিয়ে রাখুন।

ঠান্ডা হয়ে গেলে, একটি পাতলা পরিষ্কার কাপড় অথবা ছাঁকনি দিয়ে তেলটা ছেঁ কে নিন। তারপর তেলটা কোনো
কাঁচের বোতলে ভরে রাখুন। এতে তেল বেশি দিন সংরক্ষণ করা যাবে। চাইলে প্লাস্টিকের বোতলেও রাখতে
পারেন। সেক্ষেত্রে তেলের পরিমাণ কম নেয়াই ভালো।

আপনি যদি মেহেদি পাউডার নিতে চান তাহলে পাউডার ১/৩ কাপের সাথে, ১/২ কাপের মতো সরিষার তেল
নিয়ে উপরের নিয়মানুযায়ী তেলের সাথে নিয়ে ২৫/৩০ মিনিট জ্বাল দিয়ে, ঠান্ডা করার পর পাতলা কাপড় দিয়ে
ছেঁ কে ব্যবহার করতে পারবেন।
ব্যবহারবিধিঃ
প্রয়োজন মাফিক তেল নিয়ে আলতো ভাবে চু লের Hair গোড়ায় আর পুরো চু লে দিন। কমপক্ষে তিন ঘণ্টা রেখে
শ্যাম্পু করে ফেলুন। শ্যাম্পু করার আগের দিন রাত অবধি রাখতে পারলে আরও বেশি ভালো ফল পাবেন।
এভাবে সপ্তাহে ২/৩ বার তেলটি ব্যবহার করুন।

ফলাফলঃ
এক সপ্তাহের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারবেন। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে চু ল পড়া hair fall পুরোপুরি বন্ধ হয়ে
যাবে।

টিপসঃ

১। চু ল পড়ার সমস্যায় এন্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু কখনই ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে চু লের মারাত্মক ক্ষতি
সাধন হয়।

২। প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর আপনার চু লের সাথে মানানসই কন্ডিশনার দিন।

মশা পালাবে লেবু আর লবঙ্গের জাদুতে


মশার উপদ্রবে ঘরে থাকতে অনেক কষ্ট হচ্ছে? অ্যারোসল বা কয়েল লাগিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না? আবার বেশি
অ্যারোসল বা কয়েল জ্বালালে বাচ্চাদের ক্ষতির ভয়ও আছে। মশারি তো জঞ্জালের বোঝা। কী করা যায়?

একটু খানি বুদ্ধি খাটান। যন্ত্রণাদায়ক মশা Mosquito বাপ বাপ বলে ছু টে পালাবে। নিজেই তৈরি করে নিন মশা
তাড়ানোর জম।
ভাবছেন কীভাবে? মাত্র দুটি জিনিস লাগবে। আর তা সবার ঘরেই পাওয়া যায়।

একটি পাতিলেবু এবং ১০টি লবঙ্গ নিন। পাতি লেবুটি মাঝখান দিয়ে কেটে নিন। এরপর সেই পাতিলেবুর কাটা
অংশে ৫টি করে লবঙ্গ গুঁজে দিন। ঠিক ছবির মত করে। বাটিতে করে ঘরের নির্দি ষ্ট জায়গায় রেখে দিন। দেখুন
কিছু ক্ষণের মধ্যেই মশারা ঘর থেকে পালাবে আর বলবে বাঁচাও বাঁচাও।

অ্যারোসলের মতো এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তাই নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন। আর থাকতে পারেন
মশামুক্ত নিরাপদ।

যে ৭ টি কারণে মশা আপনাকেই বেশী কামড় দেয়!

মশা তো সবাইকেই কামড়ায়। কিন্তু আপনাকে বুঝি একটু বেশিই কামড়াচ্ছে? তাহলে বলতে হবে মশারা একটু বেশিই ভালোবাসে আপনাকে! কিন্তু
কেন? এ নিয়ে অনেকগুলো তত্ত্ব রয়েছে। আর তার ভেতর থেকেই নিজেরটা জেনে নিন এই ফিচারটি পড়ে। জেনে নিন আপনি মশার কাছে এতটা প্রিয়
খাদ্য হওয়ার কারণগুলো আসলে কী কী!
১) সাধারণেই অসাধারণ –
নানা রকম কারণ রয়েছে মশার কাছে আপনার পছন্দনীয় খাবার হয়ে ওঠার পেছনে। তবে এছাড়াও পরিসংখ্যান অনুসারে দশজন মানুষের একজন
সবসময়ই মশার Mosquito কাছে প্রিয় হয়ে থাকেন। বিখ্যাত দালাই লামাও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। মশাকে নিয়ে তিনি বলেন- মশা আর
ছাড়পোকার প্রতি আমার আচরণ শান্তিপূর্ণ বা অনুকূল নয়!

২) গন্ধ –
আমাদের একেকজনের শরীরে একেকরকম গন্ধ রয়েছে। মশাদের ভেতরে পুরুষ নয়, নারী মশারাই সাধারণত রক্ত পান করে। আর তাও নিজেদের
ডিমকে পুষ্টি দেওয়ার জন্যে। ফলে বাজারে কিছু কিনতে গেলে আমরা যেমন সবচাইতে সেরা জিনিসটাই বাছাই করতে চাই, ওরাও সেরকম সবচাইতে
ভালো আর পুষ্টিসম্পন্ন রক্তই পান করতে চায় নিজেদের সন্তানদের জন্যে। আর সেটা তারা নির্ধারণ করে মানুষের শরীরের গন্ধের ওপর ভিত্তি করে।
প্রায় ১০০ ফু ট দূর থেকেই এই গন্ধ চিনতে পারে মশারা।

৩) ব্যাকটেরিয়া –
আমাদের শরীরে বংশগতভাবেই অনেক ব্যাকটেরিয়া বহন করি আমরা। সেটা আমাদের শরীরের কোষের চাইতেও ১০ গুন বেশী পরিমাণে। আর
সেগুলো এতটাই জড়িয়ে তাকে আমাদের শরীরের রোগ-প্রতিরোধের ব্যাপারের সাথে যে অনেক ধুয়েও সেগুলোকে তাড়ানো যায়না। আর এই
ব্যাকটেরিয়াগুলোই আমাদের শরীরে এমন রাসায়নিক পদার্থের উত্পাদন করে যে মশারা অনেক বেশি আকৃ ষ্ট হয়।

৪) রক্তের ধরণ –
রক্তের কোন গ্রুপে আপনার অবস্থান সেটাও অনেক সময় নির্ধারন করে দেয় আপনি মশাদের কাছে কতটা জনপ্রিয় হবেন। পরীক্ষায় পাওয়া যায় ও
এবং এ রক্তের গ্রুপের মানুষদেরকে দ্বিগুন বেশি পছন্দ করে মশারা। আর আপনি কোন গ্রুপের রক্তের অধিকারী সেটা বোঝাতে মোটেও রক্ত খেয়ে
দেখতে হয়না মশাদের। দূর থেকেই ৮৫ শতাংশ নিশ্চিত হয়ে যায় আপনার রক্তের ধরণ সম্পর্কে ।

৫) ঘাম –
অতিরিক্ত ঘামেন বা অনেক বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয় আপনার শরীর থেকে? তাহলে বলতে হবে আপনিও আছেন মশাদের পছন্দের
খাবারের তালিকায়।

৬) খাবার –
খাবারের ধরনের ওপর নির্ভ র করে মশারা Mosquito আপনার রক্ত কতটা পছন্দ করে। দেখা যায়- পনির, আচার, সয়া, মিষ্টিজাতীয় খাবার ও সব্জি
খান যারা তাদের রক্ত ও ত্বকে ল্যাক্টিক অ্যাসিড বেশি তাকে। আর ল্যাক্টিক অ্যাসিড অনেক বেশি পরিমানে টানে মশাদেরকে।

৭) ত্বকের বৈশিষ্ট্য –
অনেক সময় দেখা যায় কেবল ত্বকের বৈশিষ্ট্যের কারনেই আপনার মনে হয় মশারা আপনাকে অনেক বেশি কামড়াচ্ছে। আসলে আপনার পাশের
ব্যাক্তিটিকেও হয়তো আপনার মতন বা আপনার চাইতে অনেক বেশি কামড়াচ্ছে তারা। কিন্তু কেবল তার ত্বকের বৈশিষ্টের কাণেই সেটা বুঝতে
পারছেনা সে। আর আপনি বুঝতে পারছেন অনেক বেশি।

কিভাবে অধিক সময় যৌন মিলন করবেন? গুরুত্বপূর্ন তিনটি পদ্ধতি!

এক নারী কিংবা এক পুরুষের সাথে বার বার মিলন করলে যৌন মিলনে বেশি সময় দেয়া যায় এবং মিলনে বেশি
তৃ প্তি পাওয়া যায়। কারন স্বরুপ: নিয়মিত মিলনে একে অপরের শরীর এবং ভাল লাগা/মন্দ লাগা, পছন্দসই আসন
ভঙ্গি, সুখ দেয়া নেয়ার পদ্ধতি ইত্যাদি সম্পর্কে ভালভাবে অবহিত থাকে।

[উল্লেখ্যঃ যারা বলেন “এক তরকারী দিয়ে প্রতিদিন খেতে ভাল লাগেনা – তাই পর নারী ভোগের লালসা” – তাদেরকে
অনুরোধ করছিঃ দয়াকরে মিথ্যাচার করবেন না। এমন যুক্তি ভিত্তিহীন। পরকীয়া আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে ধ্বংস
করছে। মাত্র কয়েক মিনিটের কাম যাতনা নিবারনের জন্য আজীবনের সম্পর্কে অবিশ্বাসের কালো দাগ লাগাবেন
কেন? অবিবাহীত ভাই ও বোনেরা, আপানাদের কি অতটা বড় বুকের পাটা আছে – যদি বিয়ের পরে আপনি জানেন
যে আপনার স্ত্রী ‘সতী’ নয় তখন তার সাথে বাকি জীবন কাটাবেন? তাহলে কেন শুধু শুধু বিবাহ-পূর্ব মিলনের জন্য
এত ব্যকুলতা? যে ধরনের নারীকে আপনি গ্রহন করতে পারবেন না – অথচ সেই আপনি অন্য পুরুষের ভবিষ্যৎ বধূর
সতীত্ব লুটবেন?

দুঃখিত যদি কারো ব্যক্তি সত্বায় আঘাত করে থাকি।]

মুল আলোচনায় আসি। বলছিলাম যৌন মিলনে অধিক সময় দেয়ার পদ্ধতি সমুহ নিয়ে…

পদ্ধতি ১: চেপে/টিপে (স্কু ইজ) ধরা:

এই পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেছেন মাষ্টার এবং জনসন নামের দুই ব্যাক্তি। চেপে ধরা পদ্ধতি আসলে নাম থেকেই
অনুমান করা যায় কিভাবে করতে হয়। যখন কোন পুরুষ মনে করেন তার বীর্য প্রায় স্থলনের পথে, তখন সে অথবা
তার সঙ্গী লিঙ্গের ঠিক গোড়ার দিকে অন্ডকোষের কাছাকাছি লিঙ্গের নিচের দিকে যে রাস্তা দিয়ে মুত্র/বীর্য বহিঃর্গামী
হয় সে শিরা/মুত্রনালী কয়েক সেকেন্ডর জন্য চেপে ধরবেন। (লিঙ্গের পাশ থেকে দুই আঙ্গুল দিয়ে ক্লিপের মত আটকে
ধরতে হবে।)। চাপ ছেড়ে দেবার পর ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ডের মত সময় বিরতী নিন। এই সময় লিঙ্গ সঞ্চালন বা
কোন প্রকার যৌন কর্যক্রম করা থেকে বিরত থাকুন।

এ পদ্ধতির ফলে হয়তো পুরুষ কিছু ক্ষনের জন্য লিঙ্গের দৃঢ়তা হারাবেন। কিন্তু ৪৫ সেকেন্ড পুর পুনরায় কার্যক্রম চালু
করলে লিঙ্গ আবার আগের দৃঢ়তা ফিরে পাবে।

স্কুইজ পদ্ধতি এক মিলনে আপনি যতবার খুশি ততবার করতে পারেন। মনে রাখবেন সব পদ্ধতির কার্যকারীতা
অভ্যাস বা প্রাকটিস এর উপর নির্ভ র করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করা বোকামী হবে।

পদ্ধতি ২: সংকোচন (টেনসিং):

এ পদ্ধতি সম্পর্কে বলার আগে আমি আপনাদের কিছু বেসিক ধারনা দেই। আমরা প্রস্রাব করার সময় প্রসাব পুরোপুরি
নিঃস্বরনের জন্য অন্ডকোষের নিচ থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত অঞ্চলে যে এক প্রকার খিচু নী দিয়ে পুনরায় তলপেট দিয়ে চাপ
দেই এখানে বর্নিত সংকোচন বা টেনসিং পদ্ধতিটি অনেকটা সে রকম। তবে পার্থক্য হল এখনে আমরা খিচু নী প্রয়োগ
করবো – চাপ নয়।

এবার মুল বর্ননা – মিলন কালে যখন অনুমান করবেন বীর্য প্রায় স্থলনের পথে, তখন আপনার সকল যৌন কর্যক্রম
বন্ধ রেখে অন্ডকোষের তলা থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত অঞ্চল কয়েক সেকেন্ডের জন্য প্রচন্ড শক্তিতে খিচে ধরুন। এবার
ছেড়ে দিন। পুনরায় কয়েক সেকেন্ডের জন্য খিচু নী দিন। এভাবে ২/১ বার করার পর যখন দেখবেন বীর্য স্থলনেরে
চাপ/অনুভব চলে গেছে তখন পুনরায় আপনার যৌন কর্ম শুরু করুন।

সংকোচন পদ্ধতি আপনার যৌন মিলনকে দীর্ঘায়িত করবে। আবারো বলি, সব পদ্ধতির কার্যকারীতা অভ্যাস বা
প্রাকটিস এর উপর নির্ভ র করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করা বোকামী হবে।

পদ্ধতি ৩: বিরাম (টিজিং / পজ এন্ড প্লে):


এ পদ্ধতিটি বহুল ব্যবহৃৎ। সাধারনত সব যুগল এ পদ্ধতির সহায়তা নিয়ে থাকেন। এ পদ্ধতিতে মিলনকালে বীর্য
স্থলনের অবস্থানে পৌছালে লিঙ্গকে বাহির করে ফেলুন অথবা ভিতরে থাকলেও কার্যকলাপে বিরাম দিন। এই সময়
আপনি আপনাকে অন্যমনস্ক করে রাখতে পারেন। অর্থ্যৎ সুখ অনুভুতি থেকে মনকে ঘুরিয়ে নিন।যখন অনুভব
করবেন বীর্যের চাপ কমে গেছে তখন পুনরায় শুরু করতে পারেন।

বিরাম পদ্ধতির সফলতা সম্পূর্ন নির্ভ র করে আপনার অভ্যাসের উপর। প্রথমদিকে এ পদ্ধতির সফলতা না পাওয়া
গেলেও যারা যৌন কার্যে নিয়মিত তারা এই পদ্ধতির গুনাগুন জানেন। মনে রাখবেন সব পদ্ধতির কার্যকারীতা
অভ্যাস বা প্রাকটিস এর উপর নির্ভ র করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করবেন না।

পরিশিষ্ট:
উপরের সবকয়টি পদ্ধতি আপনার সঙ্গীর তৃ প্তির উদ্দেশ্যে। অনেকের ধারনা নারী এ ট্রিকস্ গুলো অনুমান বা জানতে
পারলে পুরুষত্ব নিয়ে প্রশ্ন তু লবে। ধারনাটি সম্পূর্ন ভু ল। আপনি আপনার স্ত্রীকে পদ্ধতিগুলো বুঝিয়ে বলুন। দেখবেন
সেই আপনাকে সাহায্য করছে। কারন সে জানে আপনি বেশি সময় নেয়া মানে সে লাভবান হওয়া।

মশা তাড়ানোর চমৎকার ঘরোয়া কৌশল

কানের কাছে মশার গুনগুন শব্দে আরামের ঘুম হারাম হয়ে যায়। ডেঙ্গু, ইয়োলো ফিভার, ম্যালেরিয়া,
ফাইলেরিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতেও মশার একটি কামড়ই যথেষ্ট।

আমাদের দেশে প্রতি বছর অনেক মানুষ মারা যায় মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ।বেঁচে থাকলেও ভোগান্তির অন্ত
থাকে না। তাই আগে থেকেই থাকা চায় সচেতন। আজ আপনাদের জন্য দেয়া হল মশা দূর করার চমৎকার কিছু
কৌশল।

রসুন –
মশা তাড়ানোর খুব ভাল উপকরণ রসুন। কয়েকটা রসুনের কোয়া একটু থেঁতো করে পানিতে ফু টিয়ে নিন।
এরপর এই পানি ঘরে স্প্রে করলে মশা ঘরের ধারে কাছে আসতে পারবে না।।

নিম তেল –
নিম তেল আর নারকেল তেল সম পরিমাণে মিশিয়ে শরীরের খোলা অংশে মেখে নিন। এবার সব চিন্তা ঝেড়ে
ফেলে ঘুমিয়ে পড়ুন। কারণ শরীর থেকে যে গন্ধ বের হয় তা মশা দূরে রাখতে দারুন কার্যকর। অন্তত আট ঘণ্টা
আপনার কাছে মশাকে ভিড়তে দিবে না।

ইউক্যালিপটাস লেবু তেল –


ইউক্যালিপটাস আর লেবু তেলে একধরনের উপাদান পাওয়া যায় যার নাম ‘cineole’। সম পরিমাণে
ইউক্যালিপটাস আর লেবু তেল ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার গায়ে মেখে নিলে যে যেকোনো পোকামাকড়
আপনার থেকে দূরে থাকবে।সম্পূর্ণ প্রাকৃ তিক উপায়ে মশা তাড়াতে এই উপকরণের জুড়ি নেই।

কর্পূর –
এটা মশা তাড়াতে কর্পূর দারুন ভূ মিকা রাখতে সক্ষম। ঘরের এক কোণায় কর্পূর জ্বালিয়ে ঘরের সব দরজা
জানালা বন্ধ করে দিন। ১৫, ২০ মিনিট পর ঘরে গিয়ে একটাও মশা খুঁজে পাবেন না।

টি ট্রি অয়েল –
এই তেলের গন্ধ আর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টি মশা তাড়িয়ে দেয়। টি-ট্রি অয়েল শরীরের খোলা অংশে
লাগাতে পারেন বা কয়েক ফোঁটা তেল ভেপোরাইজারে দিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

তু লসী গাছ –
তু লসী গাছ মশার ডিম এবং মশা মেরে ফেলে। জানালার কাছে তু লসী গাছ লাগান। বাড়ির কাছে তু লসী গাছ
থাকলে মশা ঘরের ভিতর ঢু কবে না। আর মশাও জন্মাতে দেবে না।

পুদিনা গাছ –
পুদিনা গাছও মশা দূরে রাখে। পুদিনা গাছকে অনেক ভাবে ব্যবহার করা যায় মশা তাড়ানোর জন্য। পুদিনার
তেল ভেপোরাইজারে ব্যবহার করতে পারেন। বাড়ির বাইরে পুদিনা গাছ লাগালেও মশা মাছি দূরে থাকবে।
এমনকি মিন্টযুক্ত মাউথ ওয়াশ পানির সঙ্গে মিশিয়ে ঘরে স্প্রে করতে পারেন।

নিজেই তৈরি করুণ মশা তাড়াবার নিরাপদ কয়েল

শীত বাড়ছে আর সেই সাথে বাড়ছে মশার উপদ্রব। মশার কামড় শুধু যে বিরক্তিকর তা কিন্তু নয় বরং মশার
কামড় থেকে হতে পারে ম্যালেরিয়া বা ডেঙ্গুর মত মারাত্মক রোগ। মশা তাড়ানোর জন্য আমরা সব সময়েই
দোকান থেকে কয়েল বা স্প্রে কিনে নিয়ে আসি। কিন্তু এগুলোর আছে নানান রকম স্বাস্থ্যঝুঁ কি। আবার খুব ভালো
কাজ যে হয়,তাও কিন্তু না। কেমন হবে,যদি বাড়িতেই আপনি তৈরি করে ফেলতে পারেন মশা তাড়ানোর কয়েল?
আর সেই কয়েল যদি হয় স্বাস্থ্য ঝুঁ কি বিহীন? কী দারুণ একটা ব্যাপার হবে, তাই না? আজ রইলো নিজের
বাড়িতেই মশা তাড়ানোর কয়েল তৈরির খুব সহজ পদ্ধতি।

আসুন, আজ দেখে নেওয়া যাক নিমপাতা দিয়ে মশা তাড়ানোর কয়েল তৈরির মজার প্রক্রিয়াটি।

যা যা লাগবেঃ

১) শুকনো নিমপাতা, ২) তাজা নিমপাতা, ৩) মোম, ৪) স্টার্চ , ৫) অ্যালকোহল (ফার্মেসীতে কিনতে পাবেন), ৬)
ব্লেন্ডার, ৭) ওভেন, ৮) গ্রেটার, ৯) একটি সাধারণ কয়েল (ছাঁচ হিসেবে ব্যবহারের জন্য), ১০) অ্যালুমিনিয়াম
ফয়েল।

যা করতে হবেঃ

– তাজা নিমপাতাগুলোকে ডাল থেকে ছাড়িয়ে ব্লেন্ডারে একটু পানি দিয়ে মিহি পেস্ট করে নিন
– শুকনো নিমপাতা গুঁড়ো করে নিন।
– এরপর একটা বাটিতে এক চা চামচ নিমাপাতা পেস্ট এবং সমপরিমাণ গুঁড়ো শুকনো নিমপাতা মিশিয়ে নিন।
– গ্রেটারে মোমের গুঁড়ো তৈরি করুন এবং নিমপাতার মিশ্রনে এক চা চামচ যোগ করুন।
– এক চা চামচ স্টার্চ এবং এক চা চামচ অ্যালকোহল যোগ করুন মিশ্রনে।
– এরপর একটা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের ওপরে সাধারণ কয়েলটি রাখুন। এর প্যাঁচানো অংশের মাঝে নিমপাতার
মিশ্রণটি দিয়ে কয়েলের মত আকৃ তি দিন এবং ফয়েলটি দিয়ে ঢেকে দিন।
– ওভেনে মাঝারী আঁচে দিয়ে রাখুন ৫ মিনিট।
– ওভেন থেকে বের করে দেখুন যথেষ্ট শক্ত হয়েছে কিনা, নয়তো আরও কিছু ক্ষন রাখুন।
– ফয়েল থেকে সাধারণ কয়েলটি উঠিয়ে নিন, দেখুন যেন নিমপাতার কয়েলটি ভেঙ্গে না যায়।
– যাদের অভেন নেই,তারা উচ্চ আঁচে চু লা জ্বালিয়ে তার নিচে রেখে দিন। সময় একটু বেশি লাগলেও ঠিকই জমাট
বেঁধে যাবে।
-আবার কয়েলের আকৃ তি করতে ঝামেলা মনে হলে লম্বা কাঠির আকারেও গড়ে নিতে পারেন। আগরবাতির মত
করে জ্বালিয়ে নেবেন।

ব্যাস, তৈরি হয় গেলো আপনার নিমপাতার কয়েল। এবারে একে জ্বালিয়ে দেখুন তো মশারা কোথায় পালিয়ে
যাচ্ছে!
যেসব কারণে সৌন্দর্য বাড়াতে সহবাস করা জরুরি!

শুধু মানসিক নয় বা শারীরিক তৃ প্তি নয়, সৌন্দর্যের জেল্লা বাড়াতেও জরুরি সেক্স। কোনও আকাশ কুসুম কল্পনা
নয়, সত্যি সত্যি এবং সত্যি। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। এর পিছনে তাঁরা খাড়া করিয়েছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানের
দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কিছু যুক্তিও। কীভাবে, আসুন তা জেনে নিই-

১.আমাদের চু ল এবং ত্বক ভালো রাখার জন্য ইস্ট্রোজেন হরমোন দায়ী। আর যত বেশি সেক্স করা যায়, ততই
মহিলাদের শরীরে বেশি করে উৎপন্ন হয় ইস্ট্রোজেন হরমোন। ফলে চেহারাতেও থাকে ফাটাফাটি জেল্লা। এছাড়াও
সহবাসের ফলে উৎপন্ন কোলাজেন হরমোনও ত্বককে টানটান রাখতে সাহায্য করে।

২.গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা সপ্তাহে দু-তিনদিন নিয়মমাফিক যৌনসম্পর্ক করেন, তাদের চেহারায় তারুণ্য
বজায় থাকে, অন্যদের তু লনায় অনেক বেশি৷ কারণ তারা মানসিকভাবে বেশি সুখী হন।

৩. যৌনসুখের চরম সীমায় পৌঁছে আমাদের শরীর থেকে নিঃসৃত হয় সেরাটোনিন, যা আমাদের মুড নিয়ন্ত্রণ
করে। আমাদের হাসিখুশি, প্রাণোচ্ছ্বল রাখতেও এই নিউরোট্রান্সমিটারটি দায়ী। ফলে আমাদের মনে অবসাদ গ্রাস
করতে পারে না৷ চেহারাতেও থাকে এক ধরনের ফ্রেশ, ফু রফু রে লুক।

৪.কোনও কোনও বিশেষজ্ঞের মতে, বক্ষযুগলের সৌন্দর্য বাড়াতেও সেক্স অপরিহার্য।

৫. সহবাসে শরীর থেকে প্রচু র পরিমাণে অক্সিটোসিন নির্গত হয়, আর অক্সিটোসিন আমাদের শরীরের কোর্টি সেল
নামক প্রধান স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে৷তাই আক্ষরিকই যাঁরা নিয়মিত সহবাসের মধ্যে
থাকেন, তাদের জীবনেও থাকে অপার শান্তি।

৬. সফল সহবাসের সময় আমাদের শরীর থেকে এমন কিছু কেমিকেল বেরায় যা আমাদের মনটাকে ভালো
রাখতে খুব ফলপ্রসূ৷যেমন ডোপেমিন, আপনাকে সবসময় উজ্জীবীত রাখে, সব কাজে জোগায় বাড়তি উৎসাহ।
পুরষদের শরীর থেকে বেরোনো টেস্টাস্টেরন কাজে নিয়ে আসে অতিরিক্ত উদ্দীপনা। এন্ডোরফিন আপনার স্ট্রেস
কমিয়ে আপনাকে রাখে রিল্যাক্সড৷মানে এক একবারের সহবাসে আপনি উপকৃ ত হবেন এতভাবে৷ ভাবা যায়।

৭. সেক্সের ফলে হার্টে র কার্যকারিতা ও শরীরের রক্ত সঞ্চালন ভালো থাকে। একবারের সেক্সে প্রায় ৫০০
ক্যালোরির কাছাকাছি এনার্জি খরচ হয়। ফলে খুব কম সময়েই আপনার শরীর থেকে অল্প অল্প করে ঝরতে থাকে
মেদ। সুতরাং বলাই যায় নিয়মিত যোগা বা জিম সেন্টারে গিয়ে টাকা খরচ করার তু লনায় বাড়িতেই বজায়
রাখুন আপনার স্বাভাবিক যৌন জীবন।
৮. স্বাভাবিক এবং নিয়মিত যৌন জীবনে আমাদের মধ্যে বাড়ে আত্মবিশ্বাসও, মন থাকবে শান্ত। বাড়বে আপনার
সৃজনশীলতাও৷ ফলে আক্ষরিকই বিকাশ হবে আপনার অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যের। আপনিও হয়ে উঠবে একেবারে
অন্য ব্যক্তিত্ব।

You might also like