Translation (Getting Toddler To Listen)

You might also like

Download as docx, pdf, or txt
Download as docx, pdf, or txt
You are on page 1of 4

বাচ্চাকে যেভাবে কথা শোনাবেন

বাচ্চারা আমাদের মতোই-তারাও সবসময় কথা শোনে না। এই বয়সে তাদেরকে আপনার শেখানো
দরকার কীভাবে মনোযোগ দিতে হয়। “কিন্তু মাঝে মাঝে হয় কি, মা বাবারা একটা জিনিস দশবার
বলেন”, ফ্লোরিডার নোভা সাউথইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবার কেন্দ্রের সহযোগী ডীন রনি
লেইডারম্যান বলেন, “এতে তারা শাস্তির হিসাব গুনতে থাকে”।

এভাবে বাচ্চা শিখে না। এতে বাচ্চা বুঝতে পারে যে সে আপনাকে প্রথম দশবার এড়িয়ে গেলেও
আপনি হয়তো কিছু বললেও সে পার পেয়ে যাবে, শুধু তখনই শুনবে যখন আপনি মেজাজ হারাতে
যাচ্ছেন। সন্তানকে আপনার কথা শোনানোর জন্য আপনাকে যুদ্ধ করতে হবে না। নিচের কতগুলো
টিপস দেখে সহজেই বুঝে নিন।

তার জায়গায় যান

যেহেতু সব মা-বাবারাই আগে বা পরে বোঝেন যে, জোরে চিৎকারের ( পাশের রুম থেকে কিছু টা
আস্তে) ফল খুব কমই প্রত্যাশিত হয়। বাচ্চাকে কোলে নিন, যাতে আপনি তাকে চোখে চোখ রেখে
কথা বলতে ও মনোযোগ দিতে পারেন।

আই কন্টাক্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা বেশ কাজে দেয় যখন আপনি সন্তানের মুখোমুখি থাকেন। সে
সবচেয়ে বেশি কাছ থেকে কথা শুনবে যদি আপনি নাস্তার টেবিলে তার পাশে বসে তাকে কর্ণফ্লেক্স
খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেন অথবা রাতে বিছানায় বসে আপনি লাইট বন্ধ করতে যাচ্ছেন সে
কথা বলতে যান।

স্পষ্ট কথা বলুন

আপনার কথা স্পষ্টভাবে, সহজে এবং পুরোপুরি গুরুত্ব দিয়ে বলুন। আপনার সন্তান মনোযোগ হারাবে
যদি আপনি একটা বিষয়ে অনেক্ষন বলতে থাকেন। শব্দবহুল কথাবার্ত া, যেমন “বাইরে আসলেই ঠান্ডা
আর তু মি ইদানিং অসুস্থ হয়ে গেছ, এজন্য আমি চাই আমরা দোকানে যাওয়ার আগে তু মি সোয়েটার
পর” এতে মূল বিষয়বস্তু খুজে পাওয়া কঠিন।

কিন্তু “এখন তোমার সোয়েটার পরার সময়” এখানে ভু ল করার সম্ভাবনা কম। আর আপনার
সন্তানের কোনো পছন্দ না থাকলে প্রশ্ন আকারে কিছু বলবেন না। “ এসো, গাড়ির সিটে এসে বসো,
হ্যা, লক্ষিটি”? বলার চেয়ে “এখন গাড়ির সিটে বসার সময়” বলাটা বেশি কাজের।

শিশুদের অপশন দেয়া ভালো, কিন্তু নিশ্চিত হোন যে আপনি যে যে অপশনগুলো দিচ্ছেন সেগুলো
সম্পর্কে ঠিক আছেন -আর শুধু দুইটি অপশন নিয়েই থাকেন। আপনার শিশুকে কিছু সংখ্যক অপশন
বাছাই করতে দিয়ে সে কর্তৃ ত্বের অধিকারী মনে করবে ( আর আপনি এর ফলাফলে সন্তুষ্ট হবেন)।

চালিয়ে যান
আপনি যা বোঝাতে চান তা বলছেন এটা নিশ্চিত করুন আর এমন কথা বলবেন না যা তার
জন্য হুমকিস্বরূপ হয় অথবা এমন প্রতিশ্রুতি দিবেন না যা আপনি রাখতে পারবেন না। যদি
আপনার দুই বছর বয়সী বাচ্চাকে বলেন, “তোমাকে রাতের খাবারে কিছু পানি খেতে হবে” পাঁচ
মিনিট পর বকবক আর করবেন না, এর পরিবর্তে তাকে জুস খেতে দিন। আপনি যখন তাকে
সতর্ক করবেন যে ভাইকে মারলে তাকে “টাইম-আউট” দেওয়া হবে তারপরও যদি সে মারে তখন
টাইম-আউটে রেখে দিন।

আপনার পার্ট নার আপনার নিয়মগুলো জানে এবং মানে এটা নিশ্চিত করুন যাতে আপনাদের কেউ
অন্যকে সমস্যায় না ফেলে। আর যদি সেখানে ভু ল বোঝাবোঝি হয়, এটা নিয়ে আলোচনা করুন; এতে
আপনি পরিষ্কার হবেন কী বলা দরকার বা করা দরকার যখন বিষয়টি আবার সামনে আসে (
যেহেতু ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়)।

আর কম গুরুত্বপূর্ণ নির্দে শনাগুলো বারবার পুনরাবৃত্তি করে ঝামেলায় পড়বেন না, যেমন ধরুন “
তোমার কাপটি টেবিলে রাখো” কথাটি আপনার সন্তান সম্মত হওয়ার আগেই বারংবার বলে।
ভদ্রভাবে আপনার সন্তানকে টেবিলে কাপটি রাখার নির্দে শনা দিন, যেন সে জানে আপনি তাকে দিয়ে
ঠিক কি করাতে চান।

আপনার কথাকে গুরুত্ব দিয়ে বলুন

এটা প্রায়ই আপনার কথাকে আরো অন্যান্য কথার সাথে অনুসরন করতে সাহায্য করে, বিশেষ করে
যদি আপনি আপনার সন্তানকে নেশাজাতীয় কাজ (যেমন অনেক্ষন ট্যাবে ভিডিও দেখা) থেকে দূরে
রাখার চেষ্টা করেন। বলুন, “ঘুমানোর সময়” এবং এটা কোনোকিছু করার মাধ্যমে তাকে বোঝতে
দিন (লাইটের সুইচ বারবার অন অফ করা),একটা কার্যকর উপায় (খেলনা থেকে আপনার দিকে
ভদ্রভাবে তার মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য কাঁধে হাত বুলিয়ে) এবং আরেকটা নমুনা প্রদর্শনীর
মাধ্যমে ( তাকে বিছানার দিকে নিয়ে এসে, কভারগুলো টেনে, বালিশ চাপড়ে)।

আপনার সন্তানের এও জানা গুরুত্বপূর্ণ যে যখন কোনো কিছু বিশেষভাবে বিপজ্জনক এবং আপনার
দেখানো কীভাবে নিরাপদে কাজটি করা যায়। যেমন, যখন আপনার সন্তান রাস্তা পার হয়, সবসময়
তার হাতটা ধরেছেন কিনা নিশ্চিত হোন। এভাবে, সে সতর্ক তার সাথে গাড়ির রাস্তায় নিজেকে
সামলাবে।

সতর্ক করুন

বড় কোনো পরিবর্ত ন ঘটার আগে আগ্রিম বার্ত া দিন, বিশেষ করে যদি সে খুশিমনে খেলনা বা
কোনো বন্ধুর সাথে জড়িত থাকে। আপনি বাসা থেকে বের হওয়ার আগে, “ আমরা কয়েক মিনিট
পর চলে যাচ্ছি। যখন আমি তোমাকে ডাকি, স্যান্ডবক্স থেকে বের হবে এবং হাত ধোবে”।

বিষয়টিকে শিক্ষামূলক এবং মজাদার করুন


ওকে বাস্তবধর্মী কাজ দিন “চলো হলুদ ব্লকগুলো সরিয়ে রাখি” তখন আপনি এটাকে খেলায় পরিণত
করতে পারেন “ভালো, এখন চলো নীল ব্লকগুলো সরিয়ে রাখি” এভাবে কাজকে মজাদার করে তাকে
আপনার কথা শোনায় জড়িত করুন।

চিৎকার করে আদেশ দিলে ফলাফল আসতে পারে, কিন্তু কেউই এটা উপভোগ করবে না। অধিকাংশ
শিশু সাড়া দেয় যখন আপনি দারুণ হাস্যরসের সাথে তাদের সাথে আচরণ করেন।আপনার কথাটা
জানাতে বোকাটে স্বর বা গান করার চেষ্টা করুন- উদাহরণস্বরূপ আপনি “ এখন দাঁত মাজার
সময়” কথাটি লন্ডন ব্রিজ এর সুরে গাইতে পারেন।

নিশ্চিত হোন যে আপনার কথা শোনার সুবিধা তার কাছে অর্থবোধক হয়। (“তোমাকে দাঁত মাজতে
হবে নাহলে ক্যাভিটিজ হবে” বা “এখনিই দাঁত মাজো” এর বদলে “দাঁত মাজো এবং তোমার
পছন্দের নাইটগাউন পর”) দাঁত মাজার পর “ভাল কথা শুনেছ” বলে তার প্রশংসা করুন।

আপনি তার সাথে এইভাবে কথা বলার সময় যে হাস্যরস, স্নেহ, এবং আস্থা দেখান সেটা তাকে
আপনার কথা শোনতে চাইতে সাহায্য করবে কারণ সে জানবে যে আপনি তাকে ভালবাসেন এবং
তাকে বিশেষ মনে করেন।

ভালো আচরণের আদর্শ হোন

শিশুরাও আপনার কথা ভালোভাবে শুনবে যদি তারা দেখে যে আপনি তাদের কথা ভালোভাবে
শুনছেন। শিশুদের কথা শোনার অভ্যাস গড়ুন যেভাবে আপনি বড়দের কথা শোনেন। যখন সে
আপনার সাথে কথা বলে তার দিকে তাকান, নম্রভাবে সাড়া দেন, এবং যখনই সম্ভব তাকে কোনো
বাঁধা ছাড়াই কথা শেষ করতে দিন।

যখন আপনি রান্না করছেন সে সময় মনে হতে পারে যে খুব কঠিন কাজ এবং আপনার বাচ্চা বেশ
উৎসুক, তখন তার কথা বলায় এড়িয়ে না গিয়ে বা মুখ ফিরিয়ে না নেয়ার চেষ্টা করুন। যেমন
অন্যান্য আচরণের মতো বড়রা বলেন, “আমি যা করি সেটা না, আমি যা বলি সেটা করবে”
আপনার সন্তানকে কথা বলা শেখানোর ক্ষেত্রে এর কোনো মূল্য নেই।

সন্তানের ভালো হওয়া ধরে রাখুন

সন্তান যে ভু ল করছে তা নিয়ে আপনি কয়বার সন্তানের সাথে কথা বলেন? আপনি কি কারো কথা
শুনতে চান যেমন আপনার বস, উদাহরণস্বরূপ- যে আপনাকে শুধু নেগেটিভ ফিডব্যাক দিত?

আপনার শিশুও শুনতে চাইবে যদি আপনি লক্ষ্য করেন যখন সে ভালো আচরণ করে এবং এর
ওপর মন্তব্য করে। “ প্রথমবার বলাতেই তু মি তোমার পুতুল সরিয়ে রেখেছো। ধন্যবাদ” অথবা
“তু মি পাপির সাথে খুবই ভদ্র ছিলে, আমি তোমাকে নিয়ে গর্বিত!” আপনার সন্তানের ওপর ইতিবাচক
বলপ্রয়োগ করার ব্যাপারে নিশ্চিত হোন, এবং সে সম্ভবত আপনার দিকে মনোযোগ হারাবে না যখন
আপনার তার কথা শোনা দরকার তখন তার দিকে নজর দিন।
উৎস

কিছু বই শিশুকে কথা শোনানোর জন্য আপনাকে দরকারি উপদেশ দেয়। আপনি আদেল ফাবের
এবং এলাইন মাজলিশ এর লেখা হাউ টু টক সো কিডস ওয়িল লিসেন, অ্যান্ড লিসেন সো কিডস
ওয়িল টক, জেরি ওয়িকফ এবং বারবারা উনেল, এর লেখা ডিসিপ্লিন ওয়িদাউট স্পাঙ্কিং অর
শাউটিং, এবং মেরি শেডি কুরসিনকা এর লেখা রেইজিং ইউর স্পিরিটেড চাইল্ড এই বইগুলো দেখতে
পারেন।

You might also like