Professional Documents
Culture Documents
Begum Rokeya Report
Begum Rokeya Report
Begum Rokeya Report
বাংলা ২০৫
শাখা - ৩৫
রোকেয়া
তারিখ : ২৯/০৪/২০২
Contents
ভূ মিকা :.....................................................................................................3
মূল বিষয় :................................................................................................3
বেগম রকেয়ার জন্ম ও বেড়ে ওঠা :....................................................3
বিবাহ :....................................................................................................4
সাহিত্য :..................................................................................................4
নারীবাদ নয়, সমতা চাই :.......................................................................4
নারী শিক্ষার প্রসার :...............................................................................5
সমাজসেবা :.............................................................................................6
গুগল ডু ডল :..........................................................................................6
সম্মামনা :................................................................................................7
মৃত্যু :......................................................................................................7
উপসংহার :.................................................................................................7
তথ্যসুএ :....................................................................................................8
ভূ মিকা :
কোন মানুষই এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকে না সারাজীবন , কিন্তু তাদের কল্যাণকর
কাজ দিয়ে মানুষের মনে বেঁচে থাকতে পারে আজীবন, বেগম রোকেয়া হচ্ছেন একটি
জীবন্ত উদাহরণ। বর্ত মানে নারীরা যত দূর অগ্রসর হচ্ছে, আজ থেকে প্রায় সার্ধশত
বছর আগে ভারতীয় উপমহাদেশে এই চিত্র ছিলো একদমই ভিন্ন। তখন নারীরা বন্দি
ছিল সমাজের নানান কুসংস্কার দ্বারা, পিছিয়ে ছিল সব দিক থেকে। ''এই চূ ড়ান্ত
প্রতিক্রিয়াশীল সামন্ত পরিবেশ থেকে বেরিয়ে এসে এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে যে
বাঙালী নারীমুক্তি ঋদ্ব পথিকৃ ৎ, ২০১৮) বেগম রোকেয়া তার সীমাহীন প্রচেষ্টার মাধ্যমে
নারীদের শিক্ষার আলোয় নিয়ে আসেন। বেগম রোকিয়া বুঝাতে চেয়েছেন নারীরা শুধু
বাসায় পড়ে থাকার জন্য নয়, তাদেরও স্বাধীনতা আছে এবং সামাজিক কল্যাণের জন্য
মূল বিষয় :
বাড়িতে জন্ম নেন বেগম রোকেয়া । তার পিতার নাম জহিরুদ্দিন মোহাম্মদ আবু
আলী হায়দার সাবের। মাতার নাম রাহাতু ন্নেসা সাবেরা চৌধুরি। রোকেয়ারা ছিলেন
তিন বোন ও তিন ভাই। বোনদের মধ্যে রোকেয়া ছিলেন মেঝ। তার এক ভাই
শৈশবেই মৃত্যুবরণ করেন। মুসলিম সমাজে সেই সময়ে নারীদের কঠোর পর্দ া করতে
হতো, তখন পরপুরুষ তো দূরের কথা, আত্মীয়দের মাঝেও নিজেদের দেখাতে পারতো
না। একই ভাবে এই নিয়মগুলো বেগম রোকেয়ার বাড়িতেও চর্চ া হতো। তাই এই
পড়াশুনা করতে পাঠানো হয়নি। বাড়ির ভিতরেই চর্চ া হতো আরবি ও উর্দু । কিন্তু
তার বড় ভাই তাকে বাসায় বাংলা ও ইংরেজিও শিখাতেন কারণ এই ভাষা শিখতে
পারলে ''সামনে এক রত্ন ভান্ডারের দ্বার খুলে যাবে।" পরর্তীতে বেগম রোকেয়া তার
বিবাহ :
১৮৯৮ সালে ১৮ বছর বয়সে ভাগলুরের উর্দু ভাষী ডেপুটি মেজিস্ট্রেট সৈয়দ
সাখাওাত হোসেনের সাথে বিবাহিত হয়। বলা হয়েছে তার হাত ধরেই বেগম রোকেয়া
পেয়েছেন স্বাধীনতার স্বাদ, সুযোগ পেয়েছিলেন নিজের প্রতিভাকে বিকাশ করার। তাঁর
স্বামী তাকে লেখালেকি করতে উৎসাহিত করেন। পরবর্তীতে আধুনিক শিক্ষায় পড়ালেখা
সাহিত্য :
১৯০২ সালে বেগম রোকেয়া তাঁর সাহিত্যের যাত্রা শুরু করেছিলেন ''পিপাসা'' নামক
এক গল্প লিখে। তাঁর সবচেয়ে জনপ্রীয় রচনা ছিল ''Sultana's dream ''এটিকে বিশ্বের
নারীবাদী সাহিত্যে একটি মাইলফলক ধরা হয়। তাঁর অনন্য গ্রন্থগুলো হচ্ছে -
পদ্মরাগ (১৯২৪)
অবরোধবাসিনী (১৯৩১)
মতিচু র (১৯০৪)
তাঁর লেখায় মনে হত যেন আগুনের ফু লকি বের হচ্ছে এবং সব লেখাতেই তিনি নারী
পড়লেই বোঝা যায় তিনি কতটা সমাজ সচেতন ছিলেন। তাঁর লেখার ধরণ ছিল
একদম স্বকীয় এবং প্রকাশভঙ্গীও ছিল অন্যদের থেকে আলাদা। এই কারণে তাঁকে
বেগম রোকেয়া কখনি পুরুষতাণ্ত্রিক অথবা নারী তাণ্ত্রিক সমাজ গড়তে চাননি, শুধু
এবং পুরুষ সমান অধিকার ও স্বাধীনতা পাক। উনিশ শতকের দিকে যখন নারীরা
সমাজের বৈষম্য দ্বারা বাধিত, তখন সে এই ঝিমিয়ে পরা নারী জাতিকে জাগিয়ে
কিন্তু তিনি কখনই পুরুষদের ছোট করে দেখেননি।তাই তিনি বলতেন ''আমরা
সমাজের অর্ধাঙ্গ, আমরা পড়িয়া থাকিলে সমাজ উঠিবে কীরূপ? কোনো ব্যক্তি এক পা
বাঁধিয়া রাখিলে সে খোঁড়াইয়া খোঁড়াইয়া কতদূর চলিবে? পুরুষের স্বার্থ এবং আমাদের
স্বার্থ ভিন্ন নহে। তাহাদের জীবনের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য যাহা আমাদের লক্ষ্য তাহাই।''
“দেহের দু’টি চক্ষু স্বরূপ, মানুষের সবরকমের কাজকর্মের প্রয়োজনে দু’টি চক্ষু র গুরুত্ব
সমান।”
বেগম রোকেয়া নারী পুরুষদের তু লনা করেছেন গাড়ির দু'টি চাকার সাথে। কারণ
একটি চাকা ছাড়া পুরো গাড়িটাই অচল। সমাজে অর্ধেক হচ্ছে নারি, অর্ধেক হচ্ছে
পুরুষ, সুতরাং, সমাজের উন্নয়নের জন্য নারী ও পুরুষ উভয়কেই মিলেমিশে কাজ
করতে হবে। যদি সমাজের অর্ধেক অংশ বাদ রয়ে যায়, তাহলে রাস্ট্রের উন্নতি আসবে
না।
তিনি সবসময় চাইতেন যেন বাঙ্গালী নারী পুরুষ একসাথে সমাজ উন্নয়ন ঘটাক
নিজ নিজ পেশা নির্বাচনের মাধ্যমে। নিজেদের যা আছে সেটা দিয়েই কাজে লাগাক
অন্য রাস্ট্র কে অনুকরণ না করে। ইংরেজ সরকারকে তোষামোদ করা তাঁর একদমই
কেহ বা উপাধিধারী
বেগম রোকয়া সবসময় বলতেন ''মেয়েদের এমন শিক্ষায় শিক্ষিত করিয়া তু লিতে হইবে
যাহাতে তাহারা ভবিষ্যৎ জীবনে আদর্শ গৃহিনী, আদর্শ জননী এবং আদর্শ নারীরূপে
পরিচিত হইতে পারে।” (বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া ও বর্ত মান,
খালেদ, ২০১৬) ১৯০৯ সালে ভাগলপুরে ''সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কু ল'' নামক
একটি স্কু ল প্রতিষ্ঠিত করা হয় মেয়েদের জন্য। কিন্ত সেটা হয়তো সেই সময় কোন
রূপ কথা গল্প থেকে কোন অংশে কম ছিল না, সেই সময় মেয়েরা শিক্ষাচর্চ া করবে
তাও আবার স্কু লে, ব্যাপারটি ছিল অসম্ভব যা কেউ মেনে নিতে পারছিল না কারণ
সেই সময়ে মেয়েরা বন্দি ছিল সামাজিক ও ধার্মিক বৈশম্য দ্বারা। কিন্ত সেই স্কল বেশ
তারাতারিই বন্ধ করে দিতে হলো কিছু সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলার কারণে। অবশেষে,
১৯১০ সালে কোলকাতায় আবারো চালু করেন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। শুরুতে তেমন
সাড়া পেলো না, মাত্র ৮ জন ছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু হলো, কিন্তু চার বছরের মধ্যেই
ছাত্রী বেড়ে হয়ে গেলো ৮৪ জন। শেষ পর্যন্ত ১৯৩০ এর দিকে এটি একটি হাইস্কু লে
শিক্ষা ছাড়া নারীদের উপায় নেই - এটি বেগম রকেয়া বুঝতে পেরেছিলেন তার জীবন
সংগ্রামের মাধ্যমে। নারীদের জন্য বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করার সময় তার অনেক সমস্যা
ও জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। কিন্তু সে কখনো হার মানেনি। এক সময় তার
অক্লান্ত চেষ্টা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় হাজার এর দিকে চলে
যায়।
তার লেখায় ছিল মেয়েদের করুন বাস্তবতার চিত্র এবং নারীদের অঅনুপ্রেরণা দিতেন
লেখালেখির মাধ্যমে। তিনিই প্রথম বাঙালি নারী যে মেয়েদের অন্ধকার থেকে আলোতে
সমাজসেবা :
বেগম রোকেয়া মৃত্যের আগ পর্যন্ত সেবা করে গিয়েছেন মানুষদের। তাঁর সমাজসেবা
শুধু নারীদের জন্য বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেই সীমাবদ্ধ ছিল না। ১৯১৬ সালে তিনি
বাঙ্গালী মুসলিম নারীদের সংগঠন 'আন্ণ্জুমান খাওয়াতিনে ইসলাম '' প্রতিষ্ঠা করেন
যেখানে দরিদ্র অসহায় নারীদের শিক্ষা, বিয়ের ব্যবস্হা, দুঃস্হ মহিলাদের কুটির শিল্পের
প্রশিক্ষণ, বিধবা নারীদের কর্মসংস্হান, নিরক্ষরদের অক্ষর জ্ঞান দান ইত্যাদির জন্য
কখনও বিলাশীতা জীবনযাপন করেননি। তিনি নিজস্ব জমিদারি থেকে প্রাপ্ত আয়ের
বহুলাংশ তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যয় করেন। বেগম রোকেয়া একদম সাধারণ
একটি জীবন কাটিয়েছেন আজীবন এবং বিনা স্বার্থে সমাজসেবা করে গিয়েছেন।
গুগল ডু ডল :
সাধারণত, গুগল বিখ্যাত লোকদের শ্রদ্ধা দেখাতে ডু ডল প্রকাশ করে তাদের হোমপেজ
লোগো পরিবর্ত ন করে। গুগল বেগম রোকেয়ার ১৩৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একটি
ডু ডল তৈরী করে তাঁর স্মরণে। গুগলের হোমপেজপ গেলেই দেখা গেছে এক জমিদার
বাড়ির দৃশ্যপাট। সাদা পোশাকের চশমা পরা এক নারী বই হাতে নিয়ে হেঁ টে যাচ্ছেন।
সেই দৃশ্য একবার দেখলেই বুঝা সম্ভব ইনি হলেন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।
সম্মামনা :
করেন ''বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় '' নামে। '' এছাড়াও, মহিয়সী বাঙালি নারী হিসেবে
আবাসনের জন্য "রোকেয়া হল" নামকরণ করা হয়।'' ( kobid's bangla blog,2013)
ভবন , আধুনিক গেস্ট হাউজ, ৪তলা ডর্মেটরি ভবন, লাইব্রেরি এবং ইত্যাদি।
মৃত্যু :
ত্যাগ করেন। তার সমাজসেবা করার উদ্যোগ ও পথচলা থেমে যায় এখানেই। যদিও
সে মৃত্যুবরণ করেন, কিন্ত তিনি আজও জিবীত আছে আমাদের সবার মনে। তার
অবদান এই সমাজের জন্য অমূল্য। তাঁর জন্য আজ নারীরা পুরুষের মতোই সমান
অধিকার নিয়ে বেঁচে আছে। তাঁর হাত বারানোর কারণেই মেয়েরা চলাচল করতে
পারছে, অর্জ ন করেছে ভোট দেওয়ার অধিকা ও পড়ালেখা করে উচ্চ শিক্ষিত হয়ে
পিছে বেগম রোকেয়ার অবদান অপরিসীম। তিনি কোন স্বার্থ ছাড়া শুধু নারীদের
উন্নয়নের কথা ভেবে গিয়েছে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত। নারীদের অনুপ্রেরণিত করেছেন
স্বাধীন হওয়ার জন্য। তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত হয়ে নানান
ভাবে নারী স্বাধীনতার জন্য কাজ করে গিয়েছেন। সমাজকে নারীরা কত গুরুত্বপূর্ণ
সেটা বুঝিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। এই ক্ষেত্রে তাঁর সাহিত্য গুলো বেশ ভূ মিকা পালন
করেছে, তাঁর লেখালেখির মধ্যে ছিল বিভিন্ন বার্ত া নারী স্বাধীনতা নিয়ে।
তথ্যসুএ :
খালেদা. ল (2016, December 9). বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া ও