Bgs SSC History 2.2 2.3

You might also like

Download as docx, pdf, or txt
Download as docx, pdf, or txt
You are on page 1of 15

বাংলাদেশের

মেয়াদকাল
প্রেসিডেন্টগণ
১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ ১২ জানুয়ারি ১৯৭২
১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি বাংলাদেশে ফিরে আসেন
শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে রাষ্ট্রপতি করে মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। - এবং সরকার প্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণ। ১১ই জান ু য় ারি
তখন তিনি জেলে ছিলেন। অস্থায়ী সংবিধান আদেশের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি শাসিত
সরকারের বদলে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্ত ন।
১৭ এপ্রিল, ১৯৭১
সৈয়দ নজরুল ইসলাম - ৯ জানুয়ারি, ১৯৭২
বঙ্গবন্ধু র অনুপস্থিতিতে তিনি অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে।

বিচারপতিআবুসাঈদচৌধুরী ১২ জানুয়ারি, ১৯৭২ - ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৭৩


মোহাম্মদ উল্লাহ ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৭৩ - ২৫ জানুয়ারি, ১৯৭৫
২৫ জানুয়ারি, ১৯৭৫ -
শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি  চতু র্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫
পদ্ধতি পরিবর্ত ন করে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা চালু
১৬ আগস্ট, ১৯৭৫ ৬ নভেম্বর, ১৯৭৫
৩রা নভেম্বর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃ ত্বে
খন্দকার মোশতাক
শেখ মুজিব হত্যার পর রাষ্ট্রপতির পদাসীন হয়ে - সংঘটিত সেনা অভ্যুত্থানে খন্দকার মোশতাকের পতন
আহমেদ ঘটে এবং ৫ই নভেম্বর পদত্যাগের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে
সামরিক শাসন জারি করেন।
এ এস এম সায়েম নতু ন রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ
করেন।
২১ এপ্রিল, ১৯৭৭
বিচারপতি এ. এস. এম. ৬ নভেম্বর, ১৯৭৫ ৭ই নভেম্বর ’৭৫ পাল্টা সেনা অভ্যুত্থানে জিয়াউর রহমান
সায়েম নতু ন রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
- ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন ও ৩০ নভেম্বর ’৭৬
নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরে নিজেকে
রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন।
২১ এপ্রিল, ১৯৭৭ - ৩০ মে, ১৯৮১ (মারা যান জিয়াউর)
লেঃজেঃজিয়াউর রহমান উল্লেখ্য, ৩০ মে, ১৯৭৭ সালে তিনি ক্ষমতা বৈধকরণের লক্ষ্যে গণভোটের আয়োজন করেন। ৩ রা জ ু ন , ১৯৭৮ রাষ্ট্রপতি
নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন। ১৮ ফে ব্রুয়ারি ১৯৭৯ সালে র ২য় জা তীয় সংসদ নি র্ব াচনে তার নেত ত্ৃ বাধীন বিএনপি ২০৭টি
আসনে জয়লাভ করেন।
৩০ মে, ১৯৮১ ১৯ নভেম্বর, ১৯৮১
বিচারপতি আব্দুস জিয়াউর রহমানের হত্যার পর সংবিধান অনুযায়ী
সাত্তার (অস্থায়ী)
-
১৯৮১ সালের ১৫ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিচারপতি
উপরাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির
আব্দুস সাত্তার জয়লাভ করেন।
দায়ভার গ্রহন করেন
বিচারপতি আব্দুস
২০ নভেম্বর, ১৯৮১ - ২৩ মার্চ , ১৯৮২
সাত্তার
২৪ মার্চ ১৯৮২ ১০ ডিসেম্বর, ১৯৮৩
বিচারপতি এ এফ এম এরশাদ সামরিক আইন জারি করে আব্দুস সাত্তার
আহসান উদ্দিন চৌধুরী ১১ই ডিসেম্বর এরশাদ আহসানকে অপসারণপূর্বক নিজে
সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। নি জে সামরি ক আইন -
রাষ্ট্রপতি পদাসীন হন।
প্রশাসক হন ও আহসান উদ্দিন রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন।
১১ই ডিসেম্বর, ১৯৮৩ - ৬ই ডিসেম্বর, ১৯৯০ (’৯০ এর অভ্যুত্থান)
১৯৮৫ সালের ২১ মার্চ এরশাদ গণভোটের আয়োজন করেন। ১৯৮৬ সালের ৭ই মে ৩য় সংসদ নি র্ব াচনে জা তীয় পার্টি
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৫৩ টি আসনে জয়ী হয়। ১৯৮৬ সালের ১৫ ই অক্টোবর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন। প্রধান বিরোধী দলগুলো
নির্বাচন বয়কট করে।অতঃপত ১৯৮৮ সালের ৩রা মার্চ ৪র্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ২৫১ টি আসনে বিজয়ী
হয়।
বিচারপতি সাহাবুদ্দিন
৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ - ৯ অক্টোবর ১৯৯১
আহমেদ
আব্দুর রহমান বিশ্বাস ৯ অক্টোবর ১৯৯১ - ৯ অক্টোবর ১৯৯৬
এ কিউ এম বদরুদ্দোজা
১৪ ডিসেম্বর ২০০১ - ২১ জুন ২০০২
চৌধুরী
ব্যরিস্টার জমিরউদ্দিন
২১ জুন ২০০২ - ৬ সেপ্টেম্বর ২০০২
সরকার (অস্থায়ী)
অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ৬ সেপ্টেম্বর ২০০২ -
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
তৃ তীয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন
দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন
প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় – ১৫ অক্টোবর, ১৯৮৬ সালে
অনুষ্ঠিত হয় – ১৫ নভেম্বর, ১৯৮১ সালে
অনুষ্ঠিত হয় – ৩ জুন, ১৯৭৮ সালে নির্বাচিত হন – লে. জে. হুসেইন মুহম্মদ
নির্বাচিত হন – বিচারপতি আব্দুস সাত্তার (বি
নির্বাচিত হন – জিয়াউর রহমান এরশাদ (জাতীয় পার্টি )
এন পি)
(জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট) নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী – মোহাম্মদ উল্লাহ
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী – ড. কামাল হোসেন
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী – এম এ জি ওসমানী হাফেজ্জি হুজুর (খেলাফত আন্দোলন)
(আওয়ামী লীগ)
(গণতান্ত্রিক ঐক্যজোট) * প্রধান বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বর্জ ন
করে। *
বাংলাদেশের গণভোট

প্রথম গণভোট দ্বিতীয় গণভোট তৃ তীয় গণভোট


অনুষ্ঠিত হয়ঃ ৩০ মে, ১৯৭৭ অনুষ্ঠিত হয়ঃ ১ মার্চ , ১৯৮৫ অনুষ্ঠিত হয়ঃ ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ১৯৯১
প্রকৃ তিঃ প্রাশাসনিক গণভোট প্রকৃ তিঃ প্রাশাসনিক গণভোট প্রকৃ তিঃ সাংবিধানিক গণভোট
লক্ষ্যঃ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের লক্ষ্যঃ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সমর্থন লক্ষ্যঃ সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর আইন
শাসনকার্যের বৈধতা প্রদান যাচাইয়ের লক্ষ্যে হ্যাঁ না ভোট প্রস্তাব
ফলাফলঃ প্রদত্ত ভোটের ৯৮.৯০ ভাগ হ্যাঁ ফলাফলঃ প্রদত্ত ভোটের ৯৪.১৪ ভাগ হ্যাঁ ফলাফলঃ প্রদত্ত ভোটের ৮৪.৩৮ ভাগ হ্যাঁ
আর ০১.১২ ভাগ না ভোট প্রদান করে এবং ৫.৮৬ ভাগ না ভোট প্রদান করে এবং ১৫.৬২ ভাগ না ভোট প্রদান করে
জাতীয় সংসদ নির্বাচন

নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ


প্রথম ৭ মার্চ , ১৯৭৩ বঙ্গবন্ধু র নেতৃ ত্বে দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠিত হয়।
দ্বিতীয় ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৯ ২০৭ টি আসনে জিয়াউর রহমানের নেতৃ ত্বে বিএনপি জয়ী হয়।
তৃ তীয় এইচ এম এরশাদের জাতীয় পার্টি , আওয়ামী লীগের নেতৃ ত্বে ৮ দলীয় জোট এবং জামায়াতে ইসলামীসহ
৭ মে, ১৯৮৬ মোট ২৮টি দল অংশগ্রহণ করে। বিএনপি র নেত ত্ৃ বাধীন ৭ দলীয় জোট নি র্ব াচন করে। নি র্ব াচনে জা তীয় পার্টি
৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩ টি আসনে জয়লাভ করে।
চতু র্থ ৩ মে, ১৯৮৮ ১৯৮৭ সালে সংসদ থেকে একযোগে বিরোধী দলগুলো পদত্যাগ করে। ফলে ডি সেম্বরমাসে সংসদ ভে ঙে
দেয়া হয়। দেশের প্রধান দলগুলো নির্বাচন বর্জ ন করে। ভোটারবিহীন, দলবিহীন এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কে
২৫১ টি আসনে জয়ী দেখানো হয়। সর কার অন ু গ ত আ স ম রবের নেত ৃত্বাধীন সম্মি লি ত বিরোধী জোটকে
১৯ টি আসন দেওয়া হয়। বাকি আসনের ৩টি জাসদ (সিরাজ), ২টি ফ্রিডম পার্টি ও ২৫টি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের,
মাঝে বণ্টন করা হয়।
পঞ্চম ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯১ এ নির্বাচন থেকে গণতান্ত্রিক ধারা চালু হয়।
বিএনপি ১৪০টি আসনে জয়ী হয়। কিন্তু সর কার গঠনের জ ন্য১৫১ টি আসন দরকার। তাই জা মায়াতের সমর্থন
নিয়ে সরকার গঠন করে।
ষষ্ঠ ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ বিএনপি একক দলবিহীন নির্বাচন করে। জা তীয় ও আন্ত র্জ াতি ক গ্রাহ্যতা হারায়। ২৬ মার্চ , ১৯৯৬
(ত) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস হয় ও ৩০ শে মার্চ বিএনপি সরকারের পদত্যাগ করে। ত ত্ত্বাবধায়ক
সরকারের প্রধান হয় বিচারপতি হাবিবুর রহমান।
সপ্তম ১২ জুন, ১৯৯৬ (ত) আওয়ামী লীগ ১৪৬ টি আসন লাভ করে ও জাতীয় পার্টি র সমর্থনে সরকার গঠন করে।
অষ্টম ১ অক্টোবর, বিএনপি নেতৃ ত্বাধীন ৪ দলীয় জোট ২১৯টি আসনে জয়লাভ করে।
২০০১(ত)
নির্ধারিত মেয়াদ শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে সংকট তৈরি হয় । ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ উপদেষ্টা হলে আন্দোলন হয়। ১১
জানুয়ারি ২০০৭ এ পদ থেকে সরে দাঁড়ানও জরুরি অবস্থা জারি করেন। ১২ই জানুয়ারি সেনাবাহিনীর সমর্থনে ড . ফখরুদ্দীন আহমদ তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের প্রধান হন।
নবম ২৯ ডিসেম্বর, ২০০৮ আওয়ামী লীগ ২৬২ আসনে জয়লাভ করে।
দশম ৫ জানুয়ারি, ২০১৪ আওয়ামী লীগ জয়ী হয়।
একাদশ ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ আওয়ামী লীগের নেতৃ ত্বাধীন মহাজোট বিজয়ী হয়।
১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়নের পটভূ মি
(ক) অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি (১৯৭২ সালের ১১ই জানুয়ারি)
ZrKvjxb AvIqvgx jxM miKvi evsjv‡`‡ki msweavb cÖYq‡bi j‡ÿ¨ 1972 mv‡ji 11 Rvbyqvwi Ôevsjv‡`k A¯’vqx
mvsweavwbK Av‡`kÕ Rvwi K‡i| Av‡`‡k ejv nq, evsjv‡`‡k msm`xq MYZš¿ cÖwZôv n‡e Ges cÖavbgš¿xi †bZ…
‡Z¡ GKwU gwš¿mfv _vK‡e| GB Av‡`‡k Av‡iv ejv nq GKwU c~Y©v½ msweavb cÖewZ©Z bv nIqv ch©šÍ gwš¿mfv
evsjv‡`‡ki GKRb bvMwiK‡K ivóªcwZ g‡bvbxZ Ki‡eb|
(খ) গণপরিষদ আদেশ জারি (১৯৭২ সালের ২৩শে মার্চ )
অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারির বলে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে সরকার ‘গণপরিষদ আদেশ’ ও ‘বাংলাদেশ গণপরিষদ সদস্য
আদেশ’ নামে দুইটি আদেশ জারি করে। প্রথমটির দ্বারা১৯৭০ এর নি র্ব াচনে প্রাদেশিক ও জা তীয় পরিষদে নি র্ব াচিত সদ স্যগণ গণপরি ষদের সদ স্য
বলে পরিগণিত হবেন। দ্বিতীয় আদেশ অনুযায়ী গণপরিষদের কোন সদস্য যদি তার রাজনৈতিক দল থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহার করেন অথবা
বহিষ্কৃ ত হন তাহলে তার সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য একটি স্থায়ী ও পূর্ণাঙ্গ সংবিধান প্রণয়নের দায়িত্ব এ
গণপরিষদের উপর ন্যস্ত করা হয়।
(গ) গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন: (১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল)
দুই দিনব্যাপী এ অধিবেশনে প্রথম দিন শাহ আব্দুল হামিদ ও মোহাম্মদ উল্লাহ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যথাক্রমে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত
হন। দ্বিতীয় দিনে তৎ কা লীন আইনম ন্ত্রীড . কামাল হোসেনের নেতৃ ত্বে ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়।
গণপরিষদের ৭ জন নারী সদস্যের একজন এ কমিটির অন্তর্ভু ক্ত হন। ন্যাপ (মোজাফফর) এর সুরঞ্জিত সেনগুপ্তই কেবল আওয়ামী লীগের বাইরে
থেকে উক্ত কমিটিতে অন্তর্ভু ক্ত হন।
(ঘ) গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশন: (১৯৭২ সালের ১২ই অক্টোবর)
এ অধিবেশনে খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সভাপতি ড. কামাল হোসেন খসড়া সংবিধানটি বিল আকারে পেশ করেন। ১৯শে অ ক্ট োবর
থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত গণপরিষদে সংবিধান সম্পর্কে সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সংবিধান বিলের উপর
দ্বিতীয় পাঠ শুরু হয়। এ পর্যায়ে সংবিধানের বিভিন্ন ধারার ওপর বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় মোট ৮৬টি সংশোধনী প্রস্তাব গৃহীত হয়।
(ঙ) খসড়া সংবিধানের চূ ড়ান্ত অনুমোদন:
১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর সংবিধানের চূ ড়ান্ত পাঠ অনুষ্ঠিত হয়। প্রায়২ ঘন্টা আ লোচ নার পর সর্ব সম্ম তি ক্রমে সংবি ধানবি লটি গণপরি ষদ কর্তৃ ক
গৃহীত হয়। সিদ্ধান্ত হয় ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে সংবিধানটি কার্যকর হবে।
১৯৯০ এর গণঅভ্যুত্থান

১৯৯০ এর গণ অভ্যুত্থান
১। ১৯৮২ সালে র শেষদিকে এরশাদের শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিতে ছাত্রসমাজ সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়।
২। ১৯৮৩ সালে আ ও য়া মী লীগের নেতত্বে১৫
ৃ দলীয় জোট ও বিএনপি র নেতত্বে৭
ৃ দলীয় জোট গঠন
৩। সামরি ক শাসন বি রোধী আ ন্দ োলনকে সফল ক রার উদ্দে শ্যে ৫ দফা দাবি ঘোষণা
৪। সকল শ্রেণি ও পে শার অং শ গ্রহণে এ আ ন্দ োলন গণ অ ভ্যু ত্থ ানে রূ পায়িত হয়
৫। ১৯৮৩ সালের ১ লা এপ্রিল ঘরোয়া রাজ নীতি ও ১৯৮৩ সালের ১৪ই নভে ম্বরপ্রকাশ্যরাজ নীতি র অন ু ম তি প্রদান
৬। ১৯৮৭ সালে আ ও য়া মী লীগ নেত ত্ৃ বাধীন ৮ দলীয় জোট , বিএনপি র নেতৃ ত্বে ৭ দলীয় জোট ও রাশেদ খান মেননের নেতৃ ত্বে ৫ দলীয় জোট
এরশাদের পদত্যাগ ও একটি অর্থবহ নির্বাচনের দাবিতে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলে। তি ন জোটে র হর তাল ও ঢা কা অব রোধ কর্ম সূ চি র ফলে
এরশাদবিরোধী আন্দোলন তীব্রতর হতে থাকে।
৭। ১৯৮৭ সালে সংসদ থেকে এক যোগে বি রোধী দল পদ ত্ যাগ করলে সংসদ ভে ঙ্গে দেয়া হয় ও ১৯৮৮ সালে প্রহসনমূ ল ক নি র্ব াচনে
৭। ১৯৮৭ সালের ১০ই নভে ম্বরনূর হোসেন জি পি ও এর নিকট গু লি বি দ্ধ হন
৮। ১৯৮৭ সালে র ১২ই নভে ম্বরশে খ হাসি না ও খালে দা জি য়াকে গ্রেফতার
৯। ১৯৮৭ সালে র ২৭শে নভে ম্বরএর শাদ সর কার দেশে জরু রি অব স্থ া জারি করেন
১০। ১৯৯০ সালে র ১০ই অ ক্ট োবর বি রোধী জোট ও দলগু লোর সচি বালয় ঘে রাও কর্ম সূ চি রাজনৈ তি ক অঙ্গ নকে উত্ত প্ত করে তোলে। ঐ মিছি লে
৫জন নিহত ও তিন শতাধিক আহত হয়।
১১। ১৯৯০ সালের ১০ই অক্টোবর জেহাদ নামে একজন ছাত্র পুলিশ কর্তৃ ক গুলিবিদ্ধ হলে সেই মৃত জেহাদের লাশকে কেন্দ্র করে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে তৎকালীন ক্রিয়াশীল সকল ছাত্র সংগঠনের নেতৃ বৃন্দ সেখানে উপস্থিত হয় । ২২টি ছাত্র সংগঠনের
নেতৃ বৃন্দের উপস্থিতিতে গড়ে উঠে "সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য" এবং এরশাদের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেয় । উল্লেখ্য এই
সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য গড়ে উঠার আগে বৃহৎ দুই ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আলাদাভাবে এরশাদ বিরোধী
আন্দোলনে সক্রিয় ছিল ।
সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী

জাতীয় সংসদে পঞ্চম সংশোধনী আনা হয় ১৯৭৯ সালের ৬ এপ্রিল । পঞ্চম সংশোধনী সংবিধানে কোন বিধান সংশোধন করেনি।
এ সংশোধনী ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টে সামরিক শাসন জারির পর থেকে ৬ এপ্রিল ১৯৭৯ পর্যন্ত সামরিক শাসনামলের সব আদেশ,
ঘোষণা ও দণ্ডাদেশ বৈধ বলে অনুমোদন করে । সংবিধানের এই সংশোধনীকে First Distortion of Constitution বলা হয় ।
পটভূ মিঃ
অভ্যন্তরীণ কারণঃ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দেশে মুসলিমদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৮২%(বর্ত মান-
৮৯%)। তাই এই অধিকাংশ জনগণ মনে করেছিল দেশের রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম। তাই ধর্মনিরপেক্ষতা তাদের
মনে আঘাত হানে। অনেকে মনে করতেন তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসে সুপরিকল্পিতভাবে আঘাত হানা হয়েছে। এ
প্রতিক্রিয়া মোকাবেলায় তৎকালীন সরকার বিভিন্ন যুক্তি দেখালেও কোণ ফল হয়নি।
বৈদেশিক কারণঃ ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি গ্রহণ করায় অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক
সৃষ্টিতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। পরবর্তী তে জিয়া সরকার রা ষ্ট্র পরিচালনা র মূলনীতেত পরিবর্ত ন
আনে ন এবং মুসলিম বিশ্বে র আস্থা অর্জ ন করেন।
রাজনৈতিক কারণঃ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে
কাজে লাগি য়ে জনপ্রি য়তা বৃ দ্ধি এবং মুসলিম বিশ্বে র সাথে সম্পর্ক আরো জো রদা র করার জন্য
পঞ্চম সংশোধনী আনেন। অবশ্য পরবর্তী তে জে না রে ল এরশাদ মুসলমানদে র আরও সন্তু ষ্ট করার
জন্য সংবিধা নে র  অষ্টম সংশোধনী তে  ইসলামকে রা ষ্ট্র ধর্মের মর্যা দা দেন।
সংবিধানের ২ক। “প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু , বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র
সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করিবেন। ”
সামরিক শাসনকে বৈধতা প্রদানঃ পঞ্চম সংশোধনীতে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টে সামরিক শাসন
জারির পর থে কে ৬ এপ্রি ল ১৯৭৯ পর্যন্ত সামরিক শাসনামলের সব আদেশ , ঘো ষণা ও দণ্ডা দেশ
বৈধ বলে অনুমোদন করে।
মূল বক্তব্যঃ
এ সংশোধনীর নিম্নোক্ত বৈষিষ্টগুলো পরিলক্ষিত হয়-
 অবৈধভাবে ক্ষমতা গ্রহণকে উৎসাহিত করা হয় ।
 সংবিধানের প্রারম্ভে ‘ বিস্‌মিল্লাহির-রহ্‌মানির রহিম ‘ সংযোজন।
 বাঙালি জাতীয়তা বাদ দিয়ে ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’-এর সূচনা করা হয়।
 চার মূলনীতির ধর্ম নিরপেক্ষতা ও সমাজ তন্ত্রের পরিবর্ত ন আনা হয়। ধর্ম নিরপেক্ষতার পরিবর্তে ‘ মহান আল্লাহতালার প্রতি
পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ সংযোজন করা হয়।
 সমাজতন্ত্রের পরিবর্তে ‘সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায় বিচার অর্থে সমাজতন্ত্র’ প্রতিস্থাপন করা হয়।
 Indemnity Ordinance – কে বৈধতা দেওয়া হয়। যা পঞ্চম তফসিলের ১৮ নং অনুচ্ছেদে সংযুক্ত হয়েছিল।
 প্রধান বিচারপতি ও দুজন সিনিয়র বিচারপতি নিয়ে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠনের ব্যবস্থা করা হয়। বিচারকদের
অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে ন্যস্ত হয়। উল্লেখ্য যে চতু র্থ সংশোধনীতে বিচারপতি
অভিশংসনের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির কাছে ন্যাস্ত করা হয়ে ছিল। আর মূল তথা বাহাত্তরের সংবিধানে তা সংসদের কাছে ছিল।
এ সংশোধনী ছিল সংবিধানের মৌলিক কাঠামোগত পরিবর্ত ন। যা ২০০৫ সালের ২৯ আগস্ট দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এক রায়ে
বাতিল হয়ে যায়।
সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী
প্রেক্ষিতঃ ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদের নেতৃ ত্বে একটি নির্দ লীয় তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের অধীনে হলে পরবর্তী নির্বাচন ঐ ধরনের একটি সরকারের অধীনে করার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে দাবি ওঠে। ১৯৯৪
সালের মার্চে মাগুরা – ২ আসনে ত ৎ কালীন ক্ষমতাসীন বি এন পির বিরুদ্ধে কারচু পির অভিযোগ এনে সংসদ বর্জ নকারী বিরোধী দল
নির্দ লীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জোরদার করে সংসদ বর্জ ন এবং পরে তা পদত্যাগের রূপ নেয়। দীর্ঘ দুই বৎসর টানাপোড়নের
পর ষষ্ঠ জাতীয় সংসদে বি.এন.পি সরকার ১৯৯৬ সালের ২৬শে মার্চ সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দ লীয় তত্ত্বাবধায়ক
সরকার বিল সংসদে পাস করে। ১৯৯৬ সালের ২১ শে মার্চ ব্যা রি স্টা র জমিরুদ্দি ন সরকার সংসদে সংবিধা নে র ত্র য়ো দশ
সংশোধনী বিল উত্থাপন করেছিলেন। এর মূল বিষয়বস্তু ছিল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ ও নির্দ লীয় সরকার ব্যবস্থা
প্রবর্ত ন। ২৭শে মার্চ বিলটি সংসদে ২৬৮-০ ভোটে পাস হয়। পরবর্তী তে ২৮শে মার্চ এটি রা ষ্ট্র পতি কর্তৃ ক অনুমো দিত হয়ে
আইনে পরিণত হয়।
ত্রয়োদশ সংশোধনীর মূল বক্তব্যঃ বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে উল্লেখ করা হয়, সংসদ ভেঙ্গে যাবার পর ও
নতু ন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃ ত্বে একটি নির্দ লীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাহী বিভাগ পরিচালনা করবে।
নির্দ লীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাহী বিভাগের দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনা করবে কিন্তু কোনো নীতি নির্ধারণী বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ
করবে না। এখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান, তার যোগ্যতা, দায়িত্ব, পদত্যাগ বা ক্ষমতা হস্তান্তর থেকে শুরু করে সরকারের
সহযোগিতার জন্য ১০ জন উপদেষ্টা নিয়োগ, তাদের যোগ্যতা, কর্ত ব্য, শপথ গ্রহণ পদত্যাগ প্রভূ তি বিষয়গুলো বর্ণিত হয়েছে । এ
সংশোধনীর ফলে তৎকালীন সময়ের ক্ষমতা হস্তান্তরজনিত রাজনৈতিক বিতর্ক ও কোন্দলের অবসান ঘটে। এটি সংবিধানের মৌলিক
কাঠামোগত পরিবর্ত ন ছিল। তবে এটি পঞ্চদশ সংশোধনীতে বাতিল হয়ে যায়।
সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী
প্রেক্ষাপট: ১৯৯৬ সালের ৬ই আগস্ট দ্বাদশ সংশোধনী গৃহীত হয়। এ সংশোধনীর মাধ্যমে ’ ৯০ এর
গণআন্দো লনের নেতৃ ত্ব দানকারী তিন জোটের অঙ্গীকার অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির পূর্বপদে ফিরে যাওয়ার
ব্যবস্থা করা হয়।
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংবিধানের চতু র্থ সংশোধনী পাস হওয়ার পর হতে ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর
পর্যন্ত দেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল। দীর্ঘ নয় বছরের স্বৈরাচারবি রো ধী
আন্দো লনের মাধ্যমে জেনারেল এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত
হয় পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ঐ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন
লাভ করে সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের দাবি ছিল রাষ্ট্রপতি শাসিত
সরকার ব্যবস্থা থেকে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হোক। প্রথমে বিএনপি এর বিরোধিতা করলেও জনমত ও
বিরোধী দল আওয়ামী লীগের ১৯৯১ সালের ১৪ই এপ্রিল সংসদীয় সরকার প্রবর্ত নের দাবিতে সংসদে নোটিশ
প্রদানের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপু সংসদীয় সরকারের পক্ষে মত প্রদান করে। তৎকালীন আইনমন্ত্রী মীর্জা
গোলাম হাফিজ ১৯৯১ সালের ২ জুলাই সংবিধান সংশোধনী বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন।
৬ই আগস্ট এক হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে বিলটি ৩০৭-০ ভোটে পাস হয়। পরবর্তীতে ১৮ই সেপ্টেম্বর এটি
রাষ্ট্রপতি কর্তৃ ক গৃহীত হইয়ে আইনে পরিণত হয়।
বৈশিষ্ট্যঃ দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৭ বছর পর দেশে পুনরায় সংসদীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় । এতে
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা হ্রাস করে বলা হয়, তিনি সংসদ-সদস্যগণ কর্তৃ ক নির্বাচিত হবেন এবং স্বাধীনভাবে তিনি দুটি
কাজ করতে পারবেন । আর তা হল -
১. অধিকাংশ সংসদ সদস্যগণের আস্থাভাজন ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী নিয়ো গ ।
২. প্রধান বিচারপতি নিয়োগ
এর মাধ্যমে উপরাষ্ট্রপতির পদ বিলুপ্ত হয় , সকল নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রীসভার হাতে ন্যাস্ত হয়।
রাষ্ট্রের সকল নির্বাহী কাজ রাষ্ট্রপতির নামে গৃহীত হয়েছে বলে বিধান করা হয়। সংসদের দুটি অধিবেশনের মধ্যকার
বিরতি ৬০ দিন নির্ধারণ করা হয। প্রকৃ তপক্ষে এ সংশোধনী ছিল জনগণের প্রত্যাশার সাথে সংগতিপূর্ণ। এ
সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি এমনভাবে প্রণীত হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত ও
অনুমোদিত না হলে কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হতে পারবেন না । তার উপর সংবিধানের ৭০ নং
অনুচ্ছেদ প্রধানমন্ত্রী র ক্ষমতাকে অপ্রতিরোধ্য করে তু লেছে। এর মাধ্যমে নির্বাহী ক্ষমতা অত্যাধিক
মাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর উপর ন্যস্ত হয়েছে। এছাড়া সরকার কিংবা মন্ত্রিসভা তার যেকো নো কাজের জন্য সংসদ
ও জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে। এ জবাবদিহিতে গণতন্ত্র বিকাশের মূল সূত্র। সেই
সাথে এ সংশোধনীতে একটি নির্দিষ্ট সময় পর নির্বাচন অনুষ্ঠান, নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোড় অংশগ্রহণ,
রাজনৈতিক সংস্কৃ তির চর্চা এবং সরকার-বিরোধী দলের সহাবস্থানের মতো বিষয়গুলো নিশ্চিত করার বিধান রাখা
হয়েছিল , যা বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিকাশের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করে।
জেলখানায় পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড

১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর গভীর রাতে ১৫ই আগস্ট হত্যাকাণ্ডের খুনিরা সেনাসদস্যরা দেশত্যাগের পূর্বে খন্দকার
মোশতাকের অনুমতি নিয়ে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে সেখানে বন্দি অবস্থায় থাকা
মুক্তিযুদ্ধে নেতৃ ত্বদানকারী জাতীয় চারনেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ড ছিল মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত,
স্বাধীনতাবিরোধী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রের সম্মিলিত ষড়যন্ত্র ও নীল নক্সার বাস্তবায়ন।
১৫ আগস্টের পর সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও এম মনসুর আলীসহ
আরও অনেক রাজনৈতিক নেতাকে আটক করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের রাখা হয়েছিল। জেলের পাশাপাশি তিনটি
রুমে তাঁদের রাখা হয়। ১ নম্বর ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও তাজউদ্দীন আহমদসহ আটজন বন্দী। ২ নম্বর রুমে
ছিলেন এ এইচ কামারুজ্জামানসহ ১৩ জন। ৩ নম্বর রুমে ছিলেন এম মনসুর আলীসহ ২৬ জন। ৩রা নভেম্বর রাতে ১
নম্বর রুমে সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও তাজউদ্দীন আহমদকে রেখে বাকি ছয়জন বন্দীকে অন্য রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। ২
নম্বর রুম থেকে এ এইচ কামারুজ্জামান ও ৩ নম্বর রুম থেকে এম মনসুর আলীকে ১ নম্বর রুমে নেওয়া হয়। এই রুমেই
তাঁদের চারজনকে একসঙ্গে হত্যা করা হয়।
উদ্দেশ্য:
 বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের অর্জ নসমূহ ধ্বংস
 দেশকে নেতৃ ত্বশূন্য করে পাকিস্তানি ভাবাদর্শ প্রতিষ্ঠা
 দেশের সমৃদ্ধির পথ বন্ধ করা
 মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নস্যাৎ করা
 মহান মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির পুনর্বাসন
 আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে চিরতরে ধ্বংস করা
 মোশতাকের ক্ষমতা সুসংহতকরণ (ক্ষমতাসীন মোশতাক বা তার সমর্থকরা চাননি যে তাদের বিরোধী আরেকটি শক্তি শাসন ক্ষমতায় পুনর্বহাল
হোক।)
 অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের উত্থান
 নতু ন প্রজন্মের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মুছে ফেলা
তারিখ ঘটনা
১৫ই আগস্ট
২২শে আগস্ট
২৪শে আগস্ট
৩১শে আগস্ট
২৬শে সেপ্টেম্বর
৩রা নভেম্বর
৫ই নভেম্বর
৬ই নভেম্বর
জেনারেল জিয়াউর রহমানের সেনা শাসন আমল

(১৯৭৫-১৯৮১)
জেনারেল জিয়াউর রহমান –

১। সামরিক বাহিনীর মেজর

২। ২৭শে মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা বঙ্গবন্ধুর নামে পাঠ

৩। ২ নম্বর সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক

তারিখ ঘটনা
২৭শে মার্চ , ১৯৭১
৩রা নভেম্বর, ১৯৭৫
৭ই নভেম্বর, ১৯৭৫
৩০শে নভেম্বর,
১৯৭৬
২১শে এপ্রিল, ১৯৭৭
বাংলাদেশের রাজনীতি ও পররাষ্ট্রনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্ত ন সাধন
স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানপন্থি প্রতিক্রিয়াশীল ব্যক্তিবর্গকে রাজনীতিতে পুনর্বাসন
ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ
নিরপরাধ সামরিক কর্মকর্তা ও সেনা সদস্যের সাজা, চাকরিচ্যুত এমনকি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়

নির্বাচন ও দল গঠন
তারিখ ঘটনা
১৯৭৬
৩০শে মে, ১৯৭৭
৩রা জুন, ১৯৭৮
১লা সেপ্টেম্বর, ১৯৭৮
১৮ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৯
৬ই এপ্রিল, ১৯৭৯
৩০শে মে, ১৯৮১

জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসন আমল

(১৯৮২-১৯৯০)
তারিখ ঘটনা
৩০শে মে, ১৯৮১
১৫ই নভেম্বর, ১৯৮১
২৪শে মার্চ , ১৯৮২ -

-
-
-
-
-
-
১১ই ডিসেম্বর, ১৯৮৩
ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৩
৬ই ডিসেম্বর, ১৯৯০
এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে নিহত ছাত্রদের নাম
১. ৫.
২. ৬.
৩. ৭.
৪.
নির্বাচন ও দল গঠন
তারিখ ঘটনা
১লা এপ্রিল, ১৯৮৩
১৪ই নভেম্বর, ১৯৮৩
১৭ই মার্চ , ১৯৮৩ -
-
১৯৮৩
১৯৮৪
২১শে মার্চ , ১৯৮৫
১৬ ও ২০শে
মে,১৯৮৫
১৬ই আগস্ট , ১৯৮৫
১লা জানুয়ারি, ১৯৮৬
৭ই মে, ১৯৮৬ -
-
-
-
-
-
১৫ই অক্টোবর, ১৯৮৬
ডিসেম্বর, ১৯৮৭
৩রা মার্চ , ১৯৮৮ -
-
-
-
-ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্ত ন-

সামরিক শাসনের অবসান –


সরকার পরিবর্ত নের গণতান্ত্রিক ধারা চালু –

You might also like