Bio Chpter 7 (AutoRecovered)

You might also like

Download as docx, pdf, or txt
Download as docx, pdf, or txt
You are on page 1of 8

সপ্তম অধ্যায়

গ্যাসীয় বিনিময়

 সালোকসংশ্লেষণ
সালোকসংশ্লেষণ এমন একটি জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে উদ্ভিদকোষস্থ ক্লোরোপ্লাস্ট সূর্যরশ্মির ফোটন
থেকে শোষণকৃ ত শক্তি কাজে লাগিয়ে বায়ুমণ্ডলস্থিত CO2 এবং কোষস্থ পানি ও অন্যান্য জৈব রাসায়নিক পদার্থের
মধ্যে বিক্রিয়া ঘটিয়ে শর্ক রা জাতীয় খাদ্য প্রস্ত্তত করে।
 শ্বসন
যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জীব পরিবেশ থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে কোষস্থ খাদ্যবস্তুকে জারিত করে মজুত
শক্তিকে ব্যবহারযোগ্য শক্তিতে রূপান্তর এবং উপজাত পদার্থ হিসেবে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও পানি উৎপন্ন করে
তাকে শ্বসন বলে।
 শ্বাসকার্য
স্নায়বিক উত্তেজনায় যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অক্সিজেন গ্রহণ ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিষ্কাশন করা হয় তাকে শ্বাসকার্য
বলে।
 স্টোমাটা
উদ্ভিদের বায়বীয় অংশের ত্বকে অবস্থিত দুটি রক্ষীকোষ দিয়ে বেষ্টিত ও নিয়ন্ত্রিত বিশেষ ছিদ্রকে স্টোম্যাটা (এক বচনে
স্টোমা) বা পত্ররন্ধ্র বলে।
 লেন্টিসেল
উদ্ভিদে গৌণ বৃদ্ধি হলে কাণ্ডের বাকল ফেটে লেন্টিসেল নামক ছিদ্রের সৃষ্টি হয়। গুল্ম ও বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদের
কাণ্ডের ত্বকের বিদীর্ণ কিউটিকল বিহীন যে ছিদ্রের মাধ্যমে গ্যাসীয় বিনিময় ঘটে তাকে লেন্টিসেল বলে।
 MT Test
Mantoux test ; যার দ্বারা যক্ষ্মা রোগ নির্ণয় করা হয়।
 BCG টিকা
যক্ষ্মা রোগের প্রতিষেধক টিকা। এর পূর্ণরূপ Bacille Calmette Guerin
শ্বসনতন্ত্র

Respiratory System

১। বায়ুগ্রহণ ও বায়ুত্যাগ অঞ্চল (Upper Airway)

শ্বসনতন্ত্র (Respiratory system)ঃ

যে অঙ্গগুলোর সাহায্যে শ্বাসকার্য পরিচালিত হয় তাদেরকে একত্রে শ্বসনতন্ত্র বলে। নিম্নলিখিত অঙ্গগুলো নিয়ে
শ্বসনতন্ত্র গঠিত। যথা-

১। নাসারন্ধ্র ও নাসাপথ
২। গলবিল

৩। স্বরযন্ত্র

৪। শ্বাসনালী/ট্রাকিয়া

৫। ব্রঙ্কাস

৬। ফু সফু স

৭। মধ্যচ্ছদা

নাসারন্ধ্র ও নাসাপথঃ

নাসিকার সম্মুখে এবং মুখগহবরের উপরে অবস্থিত ত্রিকোণাকার গহবর। নাসারন্ধ্র থেকে গলবিল পর্যন্ত নাসাপথ
অবস্থিত। এর সামনের অংশ লোমে আবৃত এবং পশ্চাত্ অংশ শ্লেষা যুক্ত পাতলা পর্দা দ্বারা আবৃত।

কাজ: ১। শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বায়ুতে বিদ্যমান ধুলিকণা, রোগজীবানু লোমে আটকে যায়।

২। বায়ু ফু সফু সে প্রবেশের পূর্বে এখান থেকে কিছুটা শুষ্ক ও আর্দ্র হয়।

৩। নাকের সাহায্যে কোনো বস্তুর সুগন্ধ বা দূর্গন্ধ বোঝা যায়।

গলবিল (Pharynx):

নাসাপথের পশ্চাত্ভাগ থেকে স্বরযন্ত্র পর্যন্ত বিস্তৃ ত নালী বিশেষ। এর পশ্চাত্ ভাগের উপরিতলে জিহবার মতো ছোট
অংশ থাকে, একে আলা জিহবা বলে।

স্বরযন্ত্র (Larynx) :

এটি গলবলের নিচে ও শ্বাস নালীর উপরে অবস্থিত। এর দুই পাশে দুটি ভোকাল কর্ড থাকে। এর উপরে একটি
জিহবা আকৃ তির ঢাকনা থাকে একে এপিগ্লটিস বলে।

কাজ: ১। শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় এপিগ্লটিস খোলা থাকে ফলে বাতাস এ পথে ফু সফু সে যায়।

২। খাবার গ্রহণের সময় এটি স্বরযন্ত্রের মুখ ঢেকে দেয়।


শ্বাসনালী (Trachea):

স্বরযন্ত্রের নিচের অংশ থেকে একটি ফাপা নলের সৃর্িষ্ট হয়েছে একে শ্বাসনালী বলে। এর প্রাচীর কতক গুলো অর্ধ
বলয়াকার তরুণাস্থি দ্বারা গঠিত। এর অন্ত:প্রাচীরে সুক্ষ্ম লোম যুক্ত মিউকাস আবরণী থাকে।

কাজ: অপ্রয়োজনীয় বস্তুর প্রবেশ রোধ করে।

ব্রঙ্কাস (Bronchus):

শ্বাসনালী ফু সফু সের নিকটবর্তী এসে দুটি শাখায় বিভক্ত হয়ে ডান ও বাম ফু সফু সে প্রবেশ করে। এদের কে ব্রঙ্কাই
বলে। প্রতিটি ব্রঙ্কাস আবার অসংখ্য শাখা প্রশাখায় বিভক্ত হয়, এগুলোকে ব্রঙ্কিওল / অনুক্লোম শাখা বলে।

 সম্মুখ নাসারন্ধ্র ( Anterior Nostrils or Nares )


 Root
The root is the region of the nose located between the eyebrows.
 nasal bone
 Dorsum nasi
 Root
 Bridge

http://www.phschool.com/atschool/florida/pdfbooks/sci_Marieb/pdf/Marieb_ch22.pdf

https://media.lanecc.edu/users/driscolln/RT127/ppt_pdfDJ/DJChapter_01.pdf
https://textbookequity.org/Textbooks/anatomy+phys+vol3.pdf

https://www.austincc.edu/sziser/Biol%202404/2404LecNotes/2404LNExV/l.The
%20Respiratory%20System.pdf

https://www.soinc.org/sites/default/files/A&P_HANDOUT_2011.pdf

http://www.biologydiscussion.com/animals-2/neural-tissue/neural-tissue-origin-properties-
and-functions-with-diagram/52732

https://www.kenhub.com/en/library/anatomy/lungs-anatomy

file:///C:/Users/ROCKTEEM/Downloads/The%20Netter%20Collection%20of%20Medical
%20Illustrations%20Respiratory%20System%20Volume%203%20(%20PDFDrive.com
%20).pdf

https://teachmeanatomy.info/thorax/organs/lungs/

https://openstax.org/books/concepts-biology/pages/3-3-eukaryotic-cells

১। ফু সফু সের গঠন ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ মানুষের বক্ষগহ্বরের মধ্যচ্ছদার উপরিভাগে হৃদপিণ্ডের দুই পার্শ্বে স্পঞ্জের মতো নরম
ও কোমল দুটি ফু সফু সের অবস্থান। এর আকার– প্রায় কোণাকার (cone-shaped) এবং
বর্ণ– হালকা লাল। হৃদপিণ্ডের উভয়পার্শ্বে অবস্থিত কোণাকার দুটি অংশ– বাম ও ডান
ফু সফু স হিসাবে অভিহিত হয়ে থাকে। উভয় ফু সফু স কয়েকটি খাঁচে বিভক্ত থাকে। ডান
ফু সফু সে এই খাঁচের সংখ্যা তিনটি এবং বাম ফু সফু সের খাঁচের সংখ্যা দুটি।
বাম ফু সফু সটি আকারে ছোট, ওজন প্রায় 375 gm থেকে 550 gm, দুই লোব বিশিষ্ট
এবং ডান ফু সফু সটি আকারে বড়, ওজন প্রায় 325 থেকে 450 gm ও তিন লোব বিশিষ্ট। ডান
ফু সফু সের লোব তিনটি দুটি Fissure দ্বারা পৃথকীকৃ ত থাকে; যথা- Oblique fissure ও horizontal
fissure এবং বাম ফু সফু সে শুধুমাত্র Horizontal Fissure থাকে। ফু সফু স দুই ভাঁজ বিশিষ্ট প্লুরা
নামক পর্দা দ্বারা আবৃত। ভেতরের পর্দাকে ভিসেরাল প্লুরা এবং বাইরের স্তরকে প্যারাইটাল প্লুরা বলে।
দুই ভাঁজের মধ্যে প্লুর‍্যাল গহ্ববর (Pleural cavity) প্রায় 20 মিলিলিটার সেরাস ফ্লু ইড (Serous
Fluid) নামক এক ধরনের রস থাকে যা শ্বাসক্রিয়া চলার সময় ফু সফু সকে ঘর্ষণজনিত আঘাত থেকে
রক্ষা করে। ব্রংকাস যে অংশে ফু সফু সে প্রবেশ করে তাকে হাইলাম বলে। হাইলামের মাধ্যমে ধমনি
ফু সফু সে প্রবেশ করে এবং শিরা ও নাসিকা নালী বের হয়ে আসে। ব্রংকাস, ধমনি, শিরা, নাসিকা
নালি, ঘন যোজক কলায় পরিবেষ্টিত হয়ে পালমোনারি মূল গঠন করে এবং এর সাহায্যে ফু সফু স ঝু লে
থাকে। ফু সফু সে অসংখ্য বায়ুথলি বা বায়ুকোষ, সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম শ্বাসনালি ও রক্তনালি থাকে।
বায়ুথলিগুলোই হলো অ্যালভিওলাস (Alveolus)। বায়ুথলিগুলো ক্ষু দ্র ক্ষু দ্র অণুক্লোম শাখাপ্রান্তে
মৌচাকের মতো অবস্থিত। নাসাপথ দিয়ে বায়ু সরাসরি বায়ুথলিতে যাতায়াত করতে পারে। মানুষের
ফু সফু সের প্রায় ৭০-৯০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে এই এ্যালিভিওলাই, একবচনে অ্যালভিওলাস। এর
সংখ্যা প্রায় ৭০ কোটি। প্রতিটি এ্যালিভিওলাসের রয়েছে ০.০০০১ মিলিমিটার পুরু পর্দা। বায়ুথলি
পাতলা আবরণী দ্বারা আবৃত এবং প্রতিটি বায়ুথলি কৈশিক জালিকা দ্বারা পরিবেষ্টিত। এই
জালিকাগুলোর সাথে যুক্ত থাকে হৃদপিণ্ডের পালমোনারি ধমনী। বায়ু প্রবেশ করলে এগুলো বেলুনের
মতো ফু লে উঠে ও পরে আপনা আপনি সংকু চিত হয়ে যায়। বায়ুথলি ও কৈশিক নালিকার গাত্র এত
পাতলা যে, এর ভিতর দিয়ে গ্য্যাসীয় আদান–প্রদান ঘটে। এছাড়া এ্যালিভিওলাসের প্রাচীরের কিছু
কোষ থেকে সারফেকন্ট্যান্ট (surfactant) নামক এক প্রকার রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়। এই পদার্থটি
ফু সফু স-প্রাচীরের পৃষ্ঠটান কমিয়ে দেয়, ফলে ফু সফু স সহজে সংকোচিত ও প্রসারিত হতে পারে।
একই সাথে সারফেকন্ট্যান্ট বাতাসের অক্সিজেনের সাথে রক্তের কার্বন-ডাই-অক্সাইডের বিনিময়
ঘটাতে সহায়তা করে। বিশেষ করে বাতাস বাহিত বহু রোগজীবাণুকে এই পদার্থডি ধ্বংস করে দেয়।
মূলত ২৩ সপ্তাহের মানবভ্রূণে এই সারফেকন্ট্যান্ট ক্ষরণ শুরু হয়। এই ক্ষরণের মাধ্যমে একটি
মানবশিশু স্বাধীন সত্তা হিসাবে বিবেচনার যোগ্য হয়ে উঠে।

(২) অ্যালভিওলাসের গঠন ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ ফু সফু সের গঠনগত ও কার্যগত একক হল অ্যালভিওলাস। অ্যালভিওলাসগুলো ক্ষু দ্র বুদবুদ
সদৃশ বায়ুকু ঠু রী বিশেষ। ডান ফু সফু সে ১০টি ও বাম ফু সফু সে ৮টি লোবিউল থাকে। প্রতিটি
লোবিউলে ৫০-৮০ টি অ্যালভিওলি থাকে।

অ্যালভিওলাসের প্রাচীর চ্যাপ্টাকৃ তির স্কোয়ামাস এপিথেলিয়াল কোষ দ্বারা গঠিত। এতে
কোলাজেন ও ইলাস্টিন তন্তু থাকে। ফলে শ্বসনের সময় সংকোচন ও প্রসারণ সহজ হয়। এছাড়া
অ্যালভিওলার বায়ু ও প্রাচীরের কৈশিক জালিকার রক্তের মধ্যে যে গ্যাসীয় বিনিময় সম্পাদিত হয়
তাঁর মধ্যবর্তী বিভেদক পর্দাকে শ্বাসপর্দা বলে। শ্বাসপর্দাটি দুটি কোষীয় স্তর ও দুটি ভিত্তিপর্দা দিয়ে
গঠিত। এদের মধ্যে একটি এপিথেলিয় আবরণী ও অপরটি এন্ডোথেলিয় আবরণী। বায়ু ও রক্তের
মধ্যবর্তী স্থানে এই মিহিপর্দার উপস্থিতি গ্যাসীয় বিনিময়কে সহজ করে।
এর বহির্ত ল দ্বিস্তরী ভেসরাল প্লেউরা (visceral pleura) নামক পাতলা ঝিল্লি দ্বারা আবৃত
থাকে।
    ফু সফু সের স্কোয়ামাস এপিথেলীয় কোষ দ্বারা গঠিত এবং কৈশিক জালিকাসমৃদ্ধ অসংখ্য
প্রকোষ্ঠ থাকে। এই প্রকোষ্ঠগুলোকে বলা হয় এ্যালিভিওলার থলি (alveolar sac)। এর
ভিতরে আরও ক্ষু দ্র ক্ষু দ্র যে প্রকোষ্ঠ থাকে, তাদেরকে বলা হয় এ্যালিভিওলাই (alveoli),
একবচনে এ্যালিভিওলাস। এর বহির্ভাগে থাকে কৌশিকজালিকা।

You might also like