Rough

You might also like

Download as docx, pdf, or txt
Download as docx, pdf, or txt
You are on page 1of 45

শিরোনাম: পদার্থের অবস্থা ও চাপ

বিষয়: পদার্থবিজ্ঞান

আইডিয়াল স্কু ল অ্যা ন্ড কলেজ


মতিঝিল ঢাকা , - ১০০০
তত্ত্বাবধায়ক: প্রস্তুতকারী:
মোঃ মতিয়ার রহমান, ইনতিশার মোহাম্মদ রক্তীম
সিনিয়র শিক্ষক, শ্রেণি: নবম
আইডিয়াল স্কু ল অ্যান্ড কলেজ, শাখা: চ
বনশ্রী (দিবা) শাখা, বাংলা ভার্সন। রোল নং: ০১

জমাদানের তারিখ : ৯ ডিসেম্বর, ২০২০


শিক্ষকের মন্তব্য:

শিক্ষকের স্বাক্ষর
দেশ
দেশ শব্দটির আভিধানিক অর্থ পৃথিবীর ভৌগলিক বিভাগবিশেষ। মানুষ একাকী বসবাস করতে পারে না; স্বীয় প্রয়োজনেই সে
ঘর-সংসার বাঁধে, সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করে। এভাবে দীর্ঘসময়ে একত্রে বসবাস করার কারণে তাদের মাঝে স ৃষ্টি হয় ঐক্যচেতনা,
স্বাতন্ত্র্যবোধ; তাদের ভাষা ও সংস্কৃ তিতে সৃষ্টি হয় অভিন্নতা। আর এই সার্বভৌম ভূ-খণ্ডভিত্তিক গোষ্ঠী ও ঐ ভৌগলিক সীমার
অভ্যন্তরে বিদ্যমান সকল সম্পদ নিয়েই মূলত দেশ বা রাষ্ট্র। Aa¨vcK ev‡R©mÑ Gi g‡Z, Ò ivó ª n‡”Q
gvbeRvwZi †mB msNe× Ask, hv HK¨e×fv‡e msMwVZ|Ó
দেশপ্রেম
যে মাটিতে মানুষ জন্ম নেয়, যে মাটির আলো-বাতাস, অন্ন-জলে মাটির স্পর্শে তার তনু- মন পুষ্ট হয়ে ওঠে, যে দেশের
ধূলিখেলায় সে বেড়ে ওঠে, যে দেশের মধ্যে শিকড় গেড়ে থেকেই সে তার অবস্থানকে বিশ্বের বুকে চিহ্নিত করে, যে দেশের ধর্ম,
ভাষা, পালাপার্বণের তার একাত্ম হওয়ার আকু তি ও মুক্তি তার প্রতি তার প্রাণের টান না থেকে পারে না। জন্মভূমির ভৌগোলিক
ও সামাজিক পরিবেশের প্রতি থাকে তার এক ধরনের আবেগময় অনুরাগ। সেই স্থানের প্রাকৃ তিক বৈভব, পরিবেশ, আকাশ,
আলোক এবং সবুজ শ্যামলিমা তার মনের উপর প্রভাব বিস্তার করে। জন্মভূমির ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃ তি, ঐতিহ্যের সঙ্গে গড়ে
ওঠে তার শেকড়ের বন্ধন। জন্মভূমির এক চির আরাধ্য, চির পবিত্র, চির ভাস্বর মাতৃ সম ভাবমূর্তি গড়ে ওঠে মানুষের হৃদয়ে। এমন
কি ভবিষ্যতে কর্মব্যাপদেশে সে অন্যত্র গমন করতে বাধ্য হলেও আজীবনকাল জন্মভূ মির স্মৃতি ভু লতে পারে না, ‘ভ্রান্তির
ছলনে’ও তার মনে ভাসে প্রিয় জন্মভূ মির স্মৃতি। স্বদেশের প্রকৃতি ও মানষে ু র প্রতি এই অনরু াগ ও বন্ধনের নাম স্বদেশপ্রেম।
দেশের প্রতি প্রবল অনুরাগ, নিবিড় ভালোবাসা এবং যথার্থ আনুগত্যকে দেশপ্রেম বলে। জন্মভূমির স্বার্থে সর্বস্ব ত্যাগের সাধনাই
স্বদেশপ্রেম। এর কারণে প্রত্যেক মানুষের কাছে তার জন্মভূ মি শুধু যে সকল দেশের সেরা তা নয়, তার কাছে তার জন্মভূ মি
স্বর্গের থেকেও মহৎ বলে মনে হয়। Stephen Nathanson দেশপ্রেমের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর অবতারণা
করেছেন-
 Special affection for one’s own country অর্থাৎ নিজের দেশের প্রতি নিবিড় ভালোবাসা
 A sense of personal identification with the country অর্থাৎ দেশের সাথে ব্যক্তিগত পরিচয়ের অনুভূ তি
 Special concern for the well-being of the country অর্থাৎ, দেশের কল্যাণে বিশেষ উদ্বেগ
 Willingness to sacrifice to promote the country’s good অর্থাৎ দেশের স্বার্থে নিজেকে বিসর্জ ন দেয়ার
মানসিকতা
জনমানব শূন্য কোনো ভৌগলিক অঞ্চল একটি দেশ হয়ে উঠতে পারে না ।মানষু পশু পাখি গাছ সবকিছ ু নিয়ে দেশ।তাই প্রকৃত অর্থে
দেশ প্রেম হল দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকু র বলেছেন - দেশ মৃন্ময় নয়,দেশ চিন্ময়। যার অর্থ দেশ চিত্তময়।
আর এই চিত্তের অধিকারী মানুষের মনের সাথে মনের সংযোগ না থাকলে দেশ প্রেম সেখানে অর্থহীন।
নাগরিক
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ বলেন, দেশ মাটিতে তৈরি নয়, দেশ মানুষে তৈরি। আর এই মানষে ু রাই হল নাগরিক। বিদেশীদের বাদ দিয়ে যারা
রাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বাস করেন, রাষ্ট্র প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন, রাষ্ট্রের প্রতি স্বীয় কর্ত ব্যসমূহ যথাযথভাবে পালন করেন
তারাই নাগরিক।
দেশপ্রেমিক নাগরিকের কয়েকটি গুণ
একজন সুনাগরিকের প্রধানতম বৈশিষ্ট্য হল দেশপ্রেম। যদি কোন ব্যাক্তি তার দেশের প্রতি নিজেকে ঋনী না মনে করেন তাহলে তার সেই
দেশের নাগরিক ও সে দেশের একজন সন্তান দাবি করার অধিকার নেই। দেশপ্রেমহীন নাগরিক পশুতু ল্য। একজন দেশপ্রেমিক নাগরিকের
নিম্নলিখিতি গুণাবলি থাকা বাঞ্ছনীয়।
১। দেশপ্রেমিক দেশকে প্রাণাধিক ভালোবাসবেন; রাষ্ট্রদ্রোহিদের ঘৃনা করবেন; দেশের সুনাম নষ্ট হয় এমন কোন কাজ করা থেকে বিরত থাকতে
হবে।
২। একজন দেশপ্রেমিক দেশের প্রতি অনুগত থাকবেন; দেশের আইন, সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখবেন; রাষ্ট্রের প্রতি তার দায়িত্বসমূহ
যথাযথভাবে পালন করবেন। মার্ক টোয়েইন (Mark Twain) বলেন, “দেশের প্রতি সব সময় অনুগত থাকো। কিন্তু সরকারের প্রতি তখনই
অনুগত থাকবে, যখন তা সেটার যোগ্য হবে।”
৩। মানবিকতা, আন্তরিকতা, সকলের প্রতি সৌজন্যবোধ, অসহায় ব্যক্তিদের প্রতি সহানুভূ তিশীলতা, পরোপকারিতা গুণের সমাবেশ ঘটবে
দেশপ্রেমিকের চরিত্রে। আত্মকেন্দ্রিকতা তার অন্তরে ঠাই পাবে না। দেশের মানুষের সেবায় তাকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। স্বদেশের মানুষের কষ্টে যদি
তার অন্তরাত্মা না কাঁপে তাহলে তিনি প্রকৃ ত দেশপ্রেমিক নন।
৪। একজন দেশপ্রেমিক হবেন আত্মনির্ভরশীল, কর্মঠ, পরিশ্রমী ও অধ্যবসায়ী। নিজস্ব কর্মক্ষেত্রে সততা ও পরিশ্রমের স্বাক্ষর রাখবেন; শিক্ষা-
শিল্প-সংস্কৃ তি-সাহিত্য যেকোনো ক্ষেত্রে স্বীয় অবদানের দ্বারা দেশপ্রেমকে তিনি প্রতিষ্ঠিত করবেন।
৫। একজন দেশপ্রেমিক হবেন সংস্কৃতিমনা; জাতীয় দিবস গুলোকে যথাবিহিত সম্মানপূর্বক পালন করবেন; জাতীয় সংগীত, জাতীয় ইতিহাস,
জাতীয় বীর ও মনীষীদের অবদান কে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবেন; ভিন্ন সংস্কৃ তির প্রতি শ্রদ্ধা রাখবেন; দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধ
হবেন।
৬। দেশীয় পণ্যকে আপন মনে করবেন; জাতীয় সম্পদ রক্ষা করা বা ক্ষতি সাধন না করার মানসিকতা রাখবেন।
৭। একজন দেশপ্রেমিক স্বাধীনতাপ্রিয়, গণতন্ত্রমনা, নেতৃ ত্বগুণসম্পন্ন ও সাহসী হবেন। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, অখন্ডতা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব
অক্ষু ন্ন রাখার জন্য দেশপ্রেমিককে সর্বদা সজাগ এবং চরম ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকবেন; স্বদেশের লাঞ্ছনা মোচনের আকাঙ্ক্ষায় তার অন্তরে
মন্দ্রিত হবে আত্মত্যাগের মহামন্ত্র:
“নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান ক্ষয় নাই, তার ক্ষয় নাই।”
৮। দেশপ্রেমিককে অবশ্যই সুশিক্ষিত, শিক্ষানুরাগী, বুদ্ধিমান, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও বিজ্ঞানমনস্ক মনোভাবের অধিকারী হতে হবে।
৯। দেশপ্রেমিক হবেন ন্যায়পরায়ণ, দায়িত্বসচেতন ও কর্ত ব্যপরায়ণ। সংকীর্ণ মনোভাবের অধিকারী তিনি হবেন না।
১০। দেশপ্রেমিক কু সংস্কার, গোঁড়ামি, উগ্রবাদ, সাম্প্রদায়িকতার উর্ধ্বে থাকবে, অভ্যন্তরীণ শান্তিশৃংখলা বজায় রাখবে, রাষ্ট্রীয় ক্ষতির জন্য
দায়ী কর্মকাণ্ড বা অসৎকর্ম থেকে বিরত থাকবে।
কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত বলেছেন, -“মিছা মণি-মুক্তা-হেম স্বদেশের প্রিয় প্রেম, তার চেয়ে রত্ন নাই আর।” তাই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। জাত-
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের প্রতিটি মানুষকে ভালোবাসতে হবে। মানবপ্রেমের পবিত্র ধারায় স্বদেশপ্রেমকে অবগাহন করিয়ে তাকে শুচি-শুদ্ধ
করতে হবে। তবেই আমাদের এই সুজলা সুফলা মলয়জশীতলা দেশের প্রকৃ ত কল্যাণ সাধিত হবে। আর প্রকৃ ত দেশপ্রেমিকও হয়ে উঠবে
বিশ্ববরেণ্য, মহৎপ্রাণ ব্যক্তিত্ব। কারণ দেশপ্রেম নামক মহৎ গুণাবলীই মানুষকে পরম পূজনীয় করে তোলে। Sir Walter Scott বলেন-
“Breathes there the man with soul so dead,
Who never to himself hath said,
“This is my own, my native land!”
Whose heart hath never within him burn’d.”
তথ্যসূত্রঃ
১। বাংলা সাহিত্য, নবম-দশম শ্রেণি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড , ২০২০-২১।
২। রচনা সমগ্র, নবম-দশম শ্রেণি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড , ২০২০-২১।
৩। বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. গোলাম সাকলায়েন।
৪। https://plato.stanford.edu/entries/patriotism/
৫। প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ।
If a current carrying conductor is placed in a magnetic field it experiences a force and start to rotate. The
direction
Yaskawa america
যুদ্ধবিধবস্ত দেশ পুনর্গঠন
যুদ্ধ অর্থ বাঁচার জন্য লড়াই। যদ্ধু বিধবস্ত দেশ বলতে বোঝায় সেই দেশ যা যদ্ধে
ু র ফলে ক্ষতিগ্রস্ত। Oxford Dictionary-র সংজ্ঞামতে,
যুদ্ধবিধবস্ত দেশ হল সেই দেশ যা racked or devastated by war. আর পুনর্গঠন অর্থ- পুনরায় গঠন; দেশকে বিধ্বস্ত অবস্থা
থেকে মুক্ত করে এর কাঠামো পুনর্নিমাণ। Prof. Samuel Barnes এর “Reconstruction planning in war-torn
countries” এ পুনর্গঠনের সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে এভাবে- the term “reconstruction” in a broad sense to include
everything necessary in the transition from war to peace to reactivate employment in the short-term and set
the bases for what Nobel Laureate Edmund S. Phelps refers to as the “good economy,”1 that is, an
economy that is both dynamic and inclusive. অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে যুদ্ধবিধবস্ত দেশ পুনর্গঠন বলতে বোঝায় যুদ্ধের পর
যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ভিত্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং দেশের জনগণের মৌলিক অধিকার
পুনঃবাস্তবায়ন।
স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠন প্রক্রিয়া
নবগঠিত রাষ্ট্রের সংবিধান প্রণয়ন/স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন
সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপ্রবর্ত ন
প্রশাসনিক কাঠামোর পুনর্গঠন
প্রতিরক্ষানীতি প্রণয়ন
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর উন্নয়ন
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উন্নয়ন
পাকিস্তানে আটকে পড়া বাংলাদেশীদের প্রত্যাবাসন
এককোটি শরণার্থীর পুনর্বাসন
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন
শিক্ষাব্যবস্থার সম্প্রসারণ
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের পুনর্গঠন
জাতীয়করণ কর্মসূচি
কৃ ষি সংস্কার
সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন

পরিবহন ব্যবস্থার পুনর্গঠন


বিদ্যুৎব্যবস্থার উন্নয়ন


 শিক্ষার্থীদের জন্যপ্রাথমিক শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যেএবং
 মাধ্যমিক শ্রেণি পর্যন্ত নামমাত্রমূল্যেপাঠ্যপুস্তক সরবরাহ,
 মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড পুনর্গঠন,
 ১১,০০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ ৪০,০০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ,
 দুঃস্থমহিলাদের কল্যাণের জন্যনারী পুনর্বাসন সংস্থা,
 মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যমুক্তিযােদ্ধাকল্যাণ ট্রাস্ট গঠন,
 ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকু ফ,
 বিনামূল্যেবা স্বল্পমূল্যেকৃ ষকদের মধ্যেকৃ ষি উপকরণ বিতরণ,
 পাকিস্তানিদের পরিত্যক্তব্যাংক, বীমা ও ৫৮০টি শিল্পইউনিটের জাতীয়করণ ও চালু করার মাধ্যমে হাজার হাজার শ্রমিক কর্মচারীর
কর্মসংস্থান,
 ঘোড়াশাল সার কারখানা, আশুগঞ্জকমপ্লেক্সের প্রাথমিক কাজ ও অন্যান্য নতু ন শিল্পস্থাপন, বন্ধশিল্প-কারখানা চালুকরণসহ
অন্যান্য সমস্যার মোকাবেলা করে একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা
 শোষণ-বঞ্চনা-বৈষম্য-অসমতা নিরসনসহ অসাম্প্রদায়িক ডিসি-৩ বিমান, একটি ওটার বিমান এবং একটি এলুট
দেতনা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সামাজিক, হেলিকপ্টার নিয়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী যাত্রাশুরু
রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক মুক্তিও বিকাশ উদ্দিষ্ট চার করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধরু তৎপরতায় ১৯৭২ সালে
স্তম্ভভিত্তিক (সংবিধানের মূলনীতি) বিরল এক সংবিধান। ১২টি মিগ-২১ বিমান; ০১টি এএন-২৪ বিমান এবং ০১টি
স্তম্ভ চারটি হলঃ জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্রও ভিআইপি এমআই-৮ হেলিকপ্টার; ০৪টি এমআই-৮
ধর্মনিরপেক্ষতা। হেলিকপ্টার এবং আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ; পি-১৫, পি-৩৫
১৯৭২ সালে প্রবর্তিত সংবিধানের ১০ নং এবং পিআরভি-১১ রাডার; ১৯৭৩ সালে বিমানবাহিনীর
অনুচ্ছেদে স্পষ্টবলা হয়েছিল, “মানুষের উপর মানুষের জন্যরক্ষণাবেক্ষন ইউনিট স্থাপনে সহযোগিতা এবং ১৯৭৫
শোষণ হইতে মুক্তন্যায়ানুগ ও সাম্যবাদী সমাজ লাভ সালে ০১টি এএন-২৬ বিমান এবং আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ
নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যেসমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা উক্ততালিকায় যুক্তহয়। এছাড়া ঢাকার কুর্মিটোলা বাংলাদেশ
প্রতিষ্ঠাকরা হইবে।” বিমানবাহিনীড় ক্যাডেট প্রশিক্ষণ ইউনিট প্রতিষ্ঠাসহ
মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠিত তিনটি উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার মাধ্যমে বিমানবাহিনীর
প্রতিরক্ষাসংস্থার জন্য১৯৭৫ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ সাংগঠনিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণঅবদান রাখে।
টি.ও.অ্যান্ড.ই (টেবিল অব অর্গানাইজেশন অ্যান্ড মুক্তিযুদ্ধের সময় “পদ্মা”ও “পলাশ” নামের দুটি
ইকু ইপমেন্ট) প্রণীত হয় বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায়। সেখানে উল্লেখ গানবোট এবং কয়েকজন নৌকমান্ডোসমন্বয়ে বাংলাদেশ
করা হয় জাতি গঠনে কী ভূ মিকা হবে আমাদের প্রতিরক্ষা নৌবাহিনীর যাত্রাশুরু হয়। মাত্র ১৭ জন কর্মকর্তা এবং ৪১৭
বাহিনীসমূহের; গঠনকাঠামো ও জনবল এবং স্ব-স্ব জন নাবিক মুক্তিযুদ্ধপরবর্তীসময়ে ১৯৭২ সালে
বাহিনীসমূহের প্রতিরক্ষানীতিসহ পরিচালনার বিস্তারিত নৌবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে এর সাংগঠনিক
বিষয়াদি। কাঠামো বঙ্গবন্ধুর নেতৃ ত্বাধীন সরকারের মাধ্যমে অনুমোদিত
মুক্তিযুদ্ধকালে প্রাথমিকভাবে একশ’র কম হয়।
কর্মকর্তাও সীমিত সংখ্যক দক্ষবিমানসেনা, একটি

যুদ্ধবিধবস্তবাংলাদেশের পুনর্গঠনে চ্যালেঞ্জসমূহ


১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ীসংগ্রামের পর স্বাধীনতা পরবর্তীযুদ্ধবিধ্বস্তবাংলাদেশ ধ্বংসস্তুপ হয়েপড়ে। বাঙ্গালীদের জন্য যদ্ধু বিধ্বস্তবাংলাদেশ পনু র্গঠন ছিল
সবচেয়েবড় চ্যালেঞ্জ। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন রাজনৈতিক নেতা বর্গএবং দেশপ্রেমিক নাগরিকের
তত্ত্বাবধানে স্বাধীনতা পরবর্তীযুদ্ধবিধ্বস্তবাংলাদেশ পুনর্গঠন এর কাজে হাত দেন।
কোনোভাবেই সরকারের পক্ষেযুদ্ধবিধবস্তদেশের পুনর্গঠন কাজ সহজ ছিল না। রাশিয়া কিংবা জাপানের পনু র্গঠনের চেয়েও বেশি কষ্টসাধ্য
ছিল যুদ্ধবিধবস্তবাংলাদেশ পুনর্গঠনের কাজ। যুদ্ধেবিপর্যস্ত বাংলাদেশের সামনে তথা বঙ্গবন্ধু সরকারের সামনে যেসব সমস্যা
প্রকটভাবে দেখা দেয় সেগুলো ছিল নিম্নরূপঃ
১১. অর্থশূন্যরাষ্ট্রীয় কোষাগার
১২. গ্রাম-গঞ্জের লাখ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পুনর্নির্মাণ
১৩. সাড়ে সাত কোটি মানুষের অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা ও বাসস্থানের চাহিদা পূরণ
১৪. আইনশৃংখলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা
১৫। বিদ্যুৎব্যবস্থাপুনঃপ্রতিষ্ঠা
বঙ্গবন্ধু সরকারের উল্লেখযোগ্যকিছু দিক হলো : খ. জনগণের অত্যাবশ্যক পণ্যের চাহিদা যাতে মেটে সে জন্য
মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন : মুক্তিবাহিনীর জওয়ানদের কাজে লাগানোর প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর (খাদ্যদ্রব্য, পোশাক, ভোজ্যতেল, কেরোসিন
জন্য বঙ্গবন্ধু ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের পলি ু শ ও চিনি) উত্পাদন বাড়াতে হবে।
বাহিনী, মিলিশিয়া, রিজার্ভ বাহিনী সংগঠনের বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ. কৃ ষির প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রযুক্তিগতকাঠামোতে এমনভাবে রূপান্তর
নেন। মক্তি ু যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সাধন প্রয়োজন, যাতে খাদ্যশস্যের উত্পাদনের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জি ত
চিকিত্সা এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থাগ্রহণ করেন। এ ছাড়া দেশ গড়ার বিভিন্ন হয়, কৃ ষিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ে এবং শ্রমশক্তির শহরমুখী
কাজে যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ প্রদান করেন। অভিবাসন বন্ধহয়।
ত্রাণ কার্যক্রম : রিলিফ ও পুনর্বাসনের জন্য বঙ্গবন্ধু দেশের বিভিন্ন স্থানে পররাষ্ট্রনীতি : বঙ্গবন্ধু পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বৈরী
জনসংখ্যার ভিত্তিতে মঞ্জুরি দেওয়ার ব্যবস্থাকরেন।  মনোভাব নয়।’ প্রথম তিন মাসের মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন, ব্রিটেন,
মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্রসমর্পণ : মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহূত অস্ত্রনিজেদের কাছে না ফ্রান্সসহ ৬৩টি দেশের স্বীকৃ তি লাভ। ৩ মাস ২১ দিনের মধ্যে স্বীকৃতি
রেখে তা ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সমর্পণের আহ্বান দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তান স্বীকৃ তি দিতে বাধ্য হয় দুই বছর দুই মাসের
জানান। এতে সব মক্তি ু যোদ্ধা সাড়া দিয়ে বঙ্গবন্ধরু কাছে অস্ত্র জমা দেন।  মধ্যে। সর্বমোট ১২১টি দেশ স্বীকৃ তি প্রদান করে। 
স্বাধীন বাংলার প্রশাসনিক পদক্ষেপ : ঢাকা মুক্ত হওয়ার পর একটা ইসলামিক ফাউন্ডেশন গঠন : ইসলামের যথার্থ শিক্ষা ও মর্মবাণী
প্রশাসনিক শূন্যতা বিরাজ করছিল রাজধানীসহ দেশের সর্বত্র। সঠিকভাবে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচার-প্রসারের প্রয়োজনীয়তা
নিরাপত্তার বিষয়টি আরো গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু প্রত্যাবর্ত নের পর অনুভব করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালের ২২ মার্চ প্রতিষ্ঠা
প্রশাসনকে কর্মোপযোগী করে তোলেন।  করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ইসলাম আদর্শের যথাযথ প্রকাশ তথা
ভারতীয় বাহিনীর স্বদেশ প্রত্যাবর্ত ন : ১২ মার্চ ১৯৭২ ভারতীয় বাহিনী ইসলামের উদার মানবতাবাদী চেতনা বিকাশের লক্ষ্যেএকটি বিধিবদ্ধ
বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রত্যাবর্ত ন করে। সংস্থাহিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাছিল জাতির জনকের
১৯৭২ সালের সংবিধান : ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের সুদূরপ্রসারী চিন্তার এক অমিত সম্ভাবনাময় ফসল। 
ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ যে স্বাধীনতা অর্জ ন করেছে, তারই
আদর্শ হিসেবে রচিত হলো রক্তে লেখা এক সংবিধান ৪ নভেম্বর যুদ্ধাপরাধীর বিচার : বঙ্গবন্ধু সরকার ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি
১৯৭২। ‘বাংলাদেশ কোলাবরেটরস স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল অর্ডার’ জারি করে।
সাধারণ নির্বাচন : ১৯৭৩ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দালাল, যোগসাজশকারী কিংবা কোলাবরেটরদের সংজ্ঞায়িত
প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা : বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্বাধীনতা করা হয় এভাবে—
অর্জ নের পর দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশের জনগণের দ্রারিদ্র্য দূরীকরণ —প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীকে বস্তুগত
তথা অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জ নে জাতির জনক প্রথম পঞ্চবার্ষিক সহযোগিতা প্রদান বা কোনো কথা, চুক্তিও কার্যাবলির মাধ্যমে হানাদার
পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।  বাহিনীকে সাহায্য করা।
এই পরিকল্পনার লক্ষ্যগুলো ছিল— —গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা বা যুদ্ধের চেষ্টা করা।
ক. মূল লক্ষ্য হলো দারিদ্র্য দূরীকরণ। এ জন্য যারা কর্মহীন বা আংশিক —মুক্তিবাহিনীর তত্পরতার বিরুদ্ধেও মুক্তিকামী জনগণের কর্মকাণ্ডের
কর্মহীন তাদের সবার কর্মসংস্থানের আয়োজন প্রয়োজন। তা ছাড়া বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
জাতীয় আয় বৃদ্ধির সঙ্গে এই আয় বণ্টনের জন্য যথাযথ আর্থিক ও —পাকিস্তানি বাহিনীর অনুকূ লে কোনো বিবৃতি প্রদান বা প্রচারে অংশ
মুদ্রানীতি প্রণয়ন ত্বরান্বিত হওয়া প্রয়োজন।
নেওয়া এবং পাকিস্তানি বাহিনীর কোনো প্রতিনিধিদল বা কমিটির সদস্য স্বাস্থ্যব্যবস্থা : বঙ্গবন্ধু সরকার নগর ভিত্তিক ও গ্রামীণজীবনের মধ্যে
হওয়া। হানাদারদের আয়োজনে উপনির্বাচনে অংশ নেওয়া। বিদ্যমান বৈষম্য দূরীকরণের পদক্ষেপ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ৫০০
চার ধরনের অপরাধীর বিচার : পরবর্তীকালে একই বছরে এই আইন ডাক্তারকে গ্রামে নিয়োগ করেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে
দুই দফা সংশোধন করা হয়। এই সংশোধনীতেও চার ধরনের অপরাধীকে ক্ষমা আইজিএমআর শাহবাগ হোটেলে স্থানান্তর হয়। তৃ ণমূল পর্যায়ে
করা হয়নি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে নেই, তাদের ক্ষমা করা স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে থানা স্বাস্থ্য প্রকল্প গ্রহণ বিশ্বে একটি
হয়। কিন্তু যারা লটু পাট, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ ও হত্যা—এই চারটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে আজও স্বীকৃ ত।
অপরাধ করেছে, তাদের ক্ষমা করা হয়নি। ১৯৭৩ সালে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি : ১৯৭৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশে ৩৭ হাজার ৪৭১ জনকে দালাল আইনে গ্রেপ্তার করা জাতীয় আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সংগতি রেখে বাংলাদেশকে শিল্প-
হয়েছিল। ১৯৭৩ সালে অক্টোবর পর্যন্ত দুই হাজার ৮১৮টি সংস্কৃতিবদ্ধসৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গঠন এবং বাঙালির হাজার
মামলার সিদ্ধান্ত হয়। এতে একজনের মৃত্যুদণ্ডসহ ৭৫২ দালাল দণ্ডিত বছরের কৃ ষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্য ধরে রেখে আরো সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে
হয়। তত্কালীন সরকার আইনগত ব্যবস্থা ত্বরিত করার জন্য বাংলাদেশি শিল্পকলা একাডেমি গঠন করেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা
৭৩টি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিল। বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার একাডেমি বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতি বিকাশের একমাত্র জাতীয়
পর লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ১১ হাজার আটক প্রতিষ্ঠান। 
থাকে। বৈদেশিক বাণিজ্য শুরু:  শূন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে বঙ্গবন্ধু
উপরন্তু বঙ্গবন্ধু সরকার ১৯৭৩ সালের ১৯ জুলাই ‘ইন্টারন্যাশনাল সরকারকে শুরু করতে হয়েছে বৈদেশিক বাণিজ্য। এ ছাড়া জোটনিরপেক্ষ
ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট’ জারি করেন, যা পরবর্তীসময়ে আইন হিসেবে আন্দোলন, কমনওয়েলথ, জাতিসংঘ, ইসলামী সম্মেলন সংস্থা
সংবিধানে সংযোজিত হয় এবং অদ্যাবধি তা বহাল রয়েছে। ১৯৭২ ইত্যাদি আন্তর্জাতিক সংস্থায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে বঙ্গবন্ধু তাঁর
সালের ১৮ এপ্রিল গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গোলাম আযমের সুদক্ষ নেতৃ ত্বের ছাপ রাখতে সমর্থ হন। পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা
নাগরিকত্ববাতিল করা হয়েছিল। ১৯৭৩ সালের ৪ নভেম্বর সংবিধানের রোধ এবং বিশ্বশান্তির প্রতি ছিল তাঁর দৃঢ় সমর্থন। এ ক্ষেত্রে তাঁর
১২ ও ৩৮ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা ভূ মিকার স্বীকৃ তিস্বরূপ ১৯৭২ সালে বিশ্বশান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে প্রদান
হয়েছিল। সংবিধানের ৬৬ ও ১২২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী করে ‘জুলিওকু রি’ শান্তিপদক।
মুক্তিযুদ্ধবিরোধী তথাকথিত ধর্ম ব্যবসায়ীদের ভোটাধিকার ও নির্বাচনে দুর্নীতির বিরদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা : ১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু তাঁর
অংশগ্রহণের অধিকার বাতিল করা হয়েছিল।  ভাষণে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন,
হজে প্রেরণ : ১৯৭২ সালে সৌদি আরবে মাওলানা আবদুর রশিদ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকরী প্রতিরোধ গড়ে তু লতে না পারলে জাতির
তর্কবাগীশের নেতৃ ত্বে ছয় সহস্রাধিক বাংলাদেশি মুসলমানকে হজ ভবিষ্যত্ তমিস্রায় ছেয়ে যাবে। দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর, চোরাচালানি,
পালনে প্রেরণ করা হয়। মজুদদারি, কালোবাজারি ও মুনাফাখোরদের সমাজ ও রাষ্ট্রের শত্রুবলে
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীচু ক্তি : ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ ভারতের সঙ্গে আখ্যায়িত করে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এদের শায়েস্তা করে জাতীয়
বাংলাদেশের সম্পাদিত হয় ‘২৫ বছরমেয়াদি’ বাংলাদেশ-ভারত জীবনকে কলুষমুক্ত করতে না পারলে আওয়ামী লীগের দুই যুগের
মৈত্রীচু ক্তি। ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃ ত্বদানের গৌরবও ম্লান
শিক্ষা কমিশন গঠন : কু দরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন ও হয়ে যেতে পারে।
শিক্ষানীতি প্রণয়ন।
যমুনা সেতু : ১৯৭৩ সালের ১৮-২৪ অক্টোবর জাপান সফরকালে
জাপানের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী কাকু ই তানাকার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়
আলোচনার মাধ্যমে যমুনা বহুমুখী সেতু নির্মাণের সূচনা করেন।
বিভিন্ন সংস্থার সদস্যপদ গ্রহণ : জাতিসংঘের বেশির ভাগ সংস্থা
বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রাতহবিলের সদস্যপদ গ্রহণ।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পুনর্গঠন : স্বাধীনতা অর্জ নের পরপরই
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে একটি আধুনিক সুসজ্জিত বাহিনী হিসেবে
গড়ে তোলার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ভাষণ : ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে
বাংলাদেশের ১৩৬তম সদস্যপদ লাভ ও ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ভাষণ
প্রদান।
প্রথম জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন : বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৪-২১
ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪ প্রথম জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি ছাড়াও বাংলাদেশের প্রথিতযশা
সাহিত্যিক ও শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঐতিহাসিক কিছু পদক্ষেপ : ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকু ফ,
পাঁচ হাজার টাকার ওপরে কৃ ষিঋণ মওকু ফকরণ এবং ধনী-দরিদ্রের
ব্যবধান কমিয়ে এনে সামাজিক অর্থেন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেজমি
মালিকানার সিলিংপুনর্নির্ধারণ ছিল ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
শিরোনাম: অধ্যায় ২ ও ৩
বিষয়: পদার্থবিজ্ঞান

আইডিয়াল স্কু ল অ্যা ন্ড কলেজ

,
মতিঝিল ঢাকা - ১০০০
তত্ত্বাবধায়ক: প্রস্তুতকারী:
মোঃ মতিয়ার রহমান, ইনতিশার মোহাম্মদ রক্তীম
সিনিয়র শিক্ষক, শ্রেণি: নবম
আইডিয়াল স্কু ল অ্যান্ড কলেজ, শাখা: চ
বনশ্রী (দিবা) শাখা, বাংলা ভার্সন। রোল নং: ০১

জমাদানের তারিখ : ১১ই নভেম্বর, ২০২০

শিক্ষকের মন্তব্য:
প্রদত্ত কাজ :
600 kg ভরের একটি গাড়ি 0.2 ms-2 সুষম ত্বরণে 60 s চলার পর
স্থির অবস্থান থেকে যাত্রা শুরু করে

400 kg ভরের একটি স্থির পিকআপ ভ্যানের সাথে ধাক্কা খেয়ে আটকে একত্রে 7.2 m/s বেগে চলতে
থাকে।
.
ক নিউটনের তৃ তীয় সূত্রটি বিবৃত কর।
খ. বৈদ্যুতিক পাখার সুইচ বন্ধ করার সাথে সাথে থেমে যায় না কেন? - ব্যাখা কর।
গ. প্রথম গাড়িতে প্রযুক্ত বলের মান নির্ণয় কর।
ঘ. উদ্দীপকের ঘটনা ভরবেগের সংরক্ষণশীলতার সূত্র সমর্থন করে কি? গাণিতিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে মতামত দাও।
einstein-energy-formula-scribble-sketch-260nw-747907867.webp
মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্রসমর্পণ
মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা যেসব
অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন,
সেগুলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরে
ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধা
সদস্যের হাতেই ছিল। এভাবে
নিয়ন্ত্রাণাধীন অস্ত্রশস্ত্র অনিয়ন্ত্রণাধীন
হয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধে
ব্যবহৃত অস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের হাত
থেকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে
নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি
মুক্তিযোদ্ধাদের ১৯৭২ সালের ৩১
জানুয়ারির আগেই সরকারের কাছে
অস্ত্রসমর্পণ আহবান জানান।

==================================================================

======================
ই-লার্নিং এর ধারণা:
ই-লার্নিং এক ধরনের দূরশিক্ষণ (ডিসটেন্স লার্নিং) পদ্ধতি। ই-লার্নিং এর পূর্ণরূপ হলো ইলেকট্রনিক লার্নিং। এটি পাঠদানের সনাতন
পদ্ধতির পরিপূরক। শিক্ষায় ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষা খাতকে আধুনিকায়ন করা তথা শিক্ষা কার্যক্রমে ইলেকট্রনিক
বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে পাঠদান কে আরো আকর্ষণীয় ও আধুনিক আধুনিক ভাবে প্রদর্শন করার নামই ই-লার্নিং বা ইলেক্ট্রনিক
শিক্ষা। ডিজিটাল ডিভাইস তথা সিডি রম, ইন্টারনেট, ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক , নেটওয়ার্কে র নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট কিংবা টেলিভিশন
চ্যানেলের মাধ্যমে ই-লার্নিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। ব্যাপক অর্থে তাই  তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষত কমপিউটার, মোবাইল, ভিডিও,
টেলিভিশন, ভিডিও কনফারেন্সিং, ওয়েবসাইট, ই-মেইল, সফটওয়্যার ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী একে অপর থেকে দূরে যে
শিক্ষাব্যবস্থা তাই ই-লার্নিং। ধরাবাঁধা শিক্ষা ব্যবস্থার বাইরে হওয়ায় ক্রমশ এবং দ্রত ই-লার্নিং এখন একটি জনপ্রিয় শিক্ষা ব্যবস্থা।
দুনিয়াব্যাপী এর জয় জয়জয়কার। প্রথাগত বা প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার বাইরে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরাসরি ক্লাশ করা কিংবা কোন
বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জ ন করার পদ্ধতিই হলো ইলেকট্রনিক লার্নিং বা ই-লার্নিং। 
১৯৯৯ সালে, "ই-লার্নিং" শব্দটি প্রথমবারের মতো এলিয়ট ম্যাসি ডিজনি ওয়ার্ল্ডে টেকলার্ন সম্মেলনের সময়
উল্লেখ করেছিলেন। এরপর ওহিও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিডনি প্রেসি প্রথমবারের মত বৈদ্যুতিক লার্নিং মেশিন তৈরী করেন।
কিন্তু তরাও আগে ১৭২৮ সালে কালেব ফিলিপস ইমেইল এর মাধ্যমে দূরবর্তী লার্নিং কোর্স চালু করেছিলেন। এরপর ধীরে ধীরে
প্রতিষ্ঠা হলো অনেক অনলাইন ভিত্তিক স্কু ল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। বর্ত মানে অনলাইনে পাঠদানের
পাশাপাশি সরকারভিত্তিক যাবতীয় তথ্য সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করা হচ্ছে। 
প্রামাণ্য সংজ্ঞা
বিভিন্ন মনীষী বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে
• “E-learning is the delivery of education (all activities relevant to instructing, teaching, and learning) through
various electronic media” (Koohang & Harman, 2005).
• “E-learning is a broad combination of processes, content, and infrastructure to use computers and networks to
scale and/or improve one or more significant parts of a learning value chain, including management and
delivery” (Aldrich, 2005).
• “E-learning refers to educational processes that utilise information and communications technology to mediate
synchronous as well as asynchronous learning and teaching activities” (Jereb & Šmitek, 2006).
• “E-learning is defined as education delivered, or learning conducted, by Web techniques” (Liao & Lu, 2008).
• “E-learning is the use of electronic media for a variety of learning purposes that range from add-on functions
in conventional classrooms to full substitution for the face-toface meetings by online encounters” (Guri-
Rosenblit, 2005).

ই লার্নিং এর সুবিধাসমূহ
অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা অতিক্রম:
বাংলাদেশের জনগোষ্ঠী বিশাল। সে কারণে স্কুলের শিক্ষার্থী সংখ্যাও বিশাল। নানা অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে আমাদের স্কুলগুলোতে রয়েছে
আবার দক্ষ শিক্ষকের অভাব। লেখাপড়ার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ নেই বললেই চলে। ল্যাবরেটরি অপ্রতু ল, ফলে হাতে-
কলমে বিজ্ঞানের এক্সপেরিমেন্ট করার সুযোগ খুব কমই রয়েছে। এই সমস্যাগুলোর সমাধানকল্পে ই-লার্নিং খুব বড় ভূ মিকা রাখতে পারে।
আবার, ই-লার্নিং এর মাধ্যমে নতু ন নতু ন স্কু ল তৈরি না করে অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে শিক্ষাদান করা সম্ভব।
শিক্ষায় বৈষম্য হ্রাস:
প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোর পাঠদান প্রক্রিয়া এবং শহর অঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোর পাঠদান কার্যক্রমে ব্যাপক বৈষম্য পরিলক্ষিত
হয়। যা অতিক্রম করা সম্ভব ই-লার্নিং প্রক্রিয়ায়। এর মাধ্যমে দক্ষ শিক্ষকের পাঠদান ভিডিও করে নিয়ে সেটি অসংখ্য স্কুলে বিতরণ করা যেতে
পারে।
পাঠকে সহজ করা:
একটি নির্দি ষ্ট বিষয়কে বোঝানোর জন্য অনেক ধরনের সহায়ক প্রক্রিয়া ছাত্রছাত্রীদের দেয়া যেতে পারে। একজন শিক্ষক চাইলে নিজেই তার
পাঠদানে সহায়তা করার জন্যে প্রয়োজনীয় বিষয় তৈরি করতে পারেন ও বারবার ব্যবহার করতে পারেন। বাংলাদেশের অনেক শিক্ষকই
এটি ব্যবহার করছেন। পাঠদান পদ্ধতি তে ইলেকট্রনিক পদ্ধতি ব্যবহার করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিকট পাঠ কে অনেক বেশি
সহজবোধ্য ও বোধগম্য করে তোলা যায়। একজন শিক্ষক চাইলে মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন জটিল
সমীকরণ সহজেই সমাধান করার পদ্ধতি দেখাতে পারেন।
অনলাইন কোর্স:
+
প্রশ্নোত্তরের সাইট
শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনা

+ এনসিটিবি নোটিশ
ই বুক

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটু আই) প্রোগ্রাম-এর উদ্যোগে জাতীয়
শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে র প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকসমূহ ই-বুক-এ রূপান্তর করা হয়েছে।
ব্যবহারিক শিক্ষায় অগ্রগতি
আকর্ষণীয় পাঠদান:
মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে শিক্ষার্থীদের নিকট পাঠদান প্রক্রিয়াকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় ও ফলপ্রসূ করা যায়।
মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট এর মাধ্যমে উপস্থাপিত বিভিন্ন পাঠ শিক্ষার্থীরা আনন্দ সহকারে উপভোগ করে এবং সেটা আত্মস্থ করতে
পারে।
প্রায়োগিক শিক্ষা:
ই-লার্নিং এর বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের নিকট শিক্ষা কার্যক্রমকে অনেক বেশি প্রায়োগিক করা যায়।
অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকের পক্ষে সকল বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রায়োগিক শিক্ষা প্রদান করা অনেকটা কঠিন হয়ে যায় যা লার্নিং এর উপকরণ
ব্যবহার করে সহজভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়।
ঘরে বসে শিক্ষা:
ই-লার্নিং ব্যবহার করে ঘরে বসেই শিক্ষার্থীরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মেধাবী ও অভিজ্ঞ শিক্ষকদের ক্লাস উপভোগ করতে পারে।
এর বাস্তবিক প্রয়োগ আমরা দেখতে পেয়েছি কোভিদ 90 সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকা কালিন আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নামিদামি
স্কু লের শিক্ষকদের ক্লাস সংসদ টিভি চ্যানেল ও ইউটিউব চ্যানেলে দেখতে পেয়েছি। ‌
এই পদ্ধতিকে ব্যবহার করে সামাজিকভাবে সমবেত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা ফু রানোর ফলে কোভিড-১৯ এর মতন যে কোনো
সংক্রামক ব্যাধি এড়ানো সম্ভব। ই-লার্নিং ব্যবস্থায় একজন শিক্ষার্থীকে কখনই শিক্ষকের মুখোমুখি না হলেও চলে। তবে শিক্ষার্থী তার
কৌতু হল নিবারণের জন্য কখনও ই-মেইলের মাধ্যমে বা চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে তার জানা বা অজানার দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দূর করতে পারেন। এছাড়া
আলোচনার মাধ্যমে তার সহপাঠীর সঙ্গে উদ্ভূ ত সমস্যা শেয়ার করতে পারেন। তবে কখনও কখনও ই-লার্নিং ম্যাটেরিয়ালস পাওয়ার
জন্য এবং ই-লার্নিং কোর্স সম্পন্ন করার জন্য মূল্য পরিশোধ করতে হয়। 
৯) প্রযুক্তিগত শিক্ষার সঙ্গে ছাত্রছাত্রীর সামাজিকীকরণ করিয়ে দেয়। 
একই লেসন যত খুশি ততবার চর্চা করা যায়, যা কিনা শ্রেণিকক্ষে সম্ভব নয়।
পেশাদার শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি বিশেষ সুবিধা।
শিক্ষার্থীদের নতু ন নতু ন বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়ন
চ্যালেঞ্জসমূহ:
কোভিড মাহমারি একটি বৈশ্বিক সংকট, যেটি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকেও এক ধরনের সংকটে ফেলেছে। প্রতিটি সংকটই সম্ভাবনার
নতু ন দিক উন্মোচন করে।
কোভিড-১৯ মহামারি শিক্ষা ব্যবস্থায় ‘ই-লার্নিং’ কার্যক্রম ব্যবহার বাড়ানোর জন্য নতু ন একটি দিগন্ত উন্মোচিত করেছে। চতুর্থ শিল্প
বিপ্লবের বর্ত মান সময়ে ‘ই-লার্নিং’ অত্যন্ত কার্যকর এবং সামনের দিনগুলোতে এটি আরও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে। ইউনেস্কোর হিসাব
অনুযায়ী কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সারা বিশ্বে ১.৩৭ বিলিয়ন শিক্ষার্থীর স্বাভাবিক শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব
রক্ষার জন্য প্রথাগত শিক্ষাদান কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হওয়ায় নিউ নরমাল পরিস্থিতিতে ই-লার্নিং নতু ন সম্ভাবনা নিয়ে
আবির্ভূ ত হয়েছে। খুব বেশিদিনের না হলেও শিক্ষার গুণগত মান পরিবর্ত নে সারা বিশ্বকে চোখ ধাঁধানো সাফল্য দেখিয়ে নিজের তকমা
লাগিয়ে নিয়েছে এই বিশেষ পদ্ধতিটি। সারা বিশ্ব যখন ই-লার্নিং নিয়ে মাতামাতি করছে তখন বাংলাদেশের নিজ অবস্থান কিছুটা হলেও
নাজুক। এর পেছনে রয়েছে সমাধান করা র মতোই বেশকিছ ু হেতু।
যান্ত্রিকতা:

অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা:

দারিদ্রতা:
আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ বিশেষ করে যারা গ্রামে বসবাস করে তারা অনেকেই দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে।
ইলেকট্রনিক ডিভাইস ক্রয় করার মত বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে পাঠ কার্যক্রম পরিচালনা করার মতো সেই পরিমাণ অর্থ
তাদের কাছে থাকে না। তাই দারিদ্রতা ই-লার্নিং বাস্তবায়নে একটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।
অপর্যাপ্ত রিসোর্স:
ই-লার্নিং এর জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পর্যাপ্ত রিসোর্স যা আমাদের দেশে এখনো পর্যন্ত তৈরি করা সম্ভব হয়নি। আমাদের দেশে খুব
কম পরিমাণে ই-লার্নিং এর উপকরণ তৈরি হয়। তাই এ লার্নিং কার্যক্রমকে আরো বেগবান করার জন্য পর্যাপ্ত রিসোর্স তৈরি করা একটি বড়
চ্যালেঞ্জ।
শিক্ষার্থীদের দক্ষতার অভাব:
যারা কম্পিউটার সম্পর্কি ত বা ব্যবহার করতে পারে না তারা এই শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারে না। অনলাইন শিক্ষা
ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া সীমিত হয়ে থাকে। ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে আপনি অনলাইনে e-learning ক্লাস বুঝতে
পারবেন না।
দক্ষ শিক্ষকের অপ্রতু লতা:
দেশের সকল শিক্ষককে ই-লার্নিং এর পদ্ধতিতে প্রশিক্ষিত করণ ই-লার্নিং বাস্তবায়নের জন্য অত্যাবশ্যক। একজন শিক্ষক ইলেকট্রনিক
পদ্ধতি ব্যবহার করে পাঠদান করতে না পারলে কোনভাবেই ইরানি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। তাই দেশের সকল স্তরের
শিক্ষককে একসাথে ইরানি কার্যক্রমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা বা ব্যবহার করা পদ্ধতি শেখানো একটা চ্যালেঞ্জ।
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সুপারিশসমূহঃ
  ই-লার্নিংকে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য জাতীয় শিক্ষা নীতিতে ‘ই-লানিং
পলিসি’ অন্তর্ভু ক্তকরণ
 সারাদেশে নির্ভ রযোগ্য হাই স্পিড ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন
  ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর ভ্যাট ও ট্যাক্স হ্রাসকরণ
 ই-লার্নিং-এর বিকাশের সঙ্গে যুক্ত স্টার্ট আপগুলোকে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া
 ব্যাংক অর্থায়নের সুযোগ সৃষ্টি করা
 পাঠ্যসূচির গুণগত মান নিশ্চিত করা
 শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর কার্যকর মিথস্ক্রিয়া
 ই-লার্নিং নিয়ে নীতিমালা প্রণয়ন
 শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরো দক্ষ করে তু লতে হবে
 সামনের দিনগুলোতে কী ধরনের দক্ষ লোকবল প্রয়োজন হবে, তার একটি প্রাক-নির্বাচনের মাধ্যমে সে অনুযায়ী আমাদের
শিক্ষা কার্যক্রম, অবকাঠামো এবং শিক্ষকবৃন্দের দক্ষতা উন্নয়ন করতে হবে।
 ভার্চু য়াল লাইভ ক্লাসরুম তৈরি ও লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উন্নত করা
 শিক্ষার্থীদের দক্ষতার উন্নয়ন
 শিক্ষানীতি যুগোপযোগীকরণ এবং সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া; শিক্ষানীতিতে ই-লার্নিং-কে আরো বেশি গুরুত্ব দেওয়া
 স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট সেবা প্রদান
ই- লার্নিং এর মাধ্যমে কাঙ্খিত দক্ষতা অর্জ ন
আধুনিক প্রযুক্তি যে শুধু জীবন যাত্রার মানকেই উন্নত করছে তা কিন্তু নয়, সেই সাথে মানুষের দক্ষতাকেও উন্নত করছে। যেমন:
১. ই- লার্নিং এর মাধ্যমে যে কেউ খুব কম সময়ে তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা অর্জ ন করতে পারে।
২. খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চু য়াল ক্লাসে অংশ নিয়ে নিজের পছন্দের বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জ ন করা যায়। 
৩. নিজের সীমিত জ্ঞানের পরিধিকে ই- লার্নিং  এর মাধ্যমে আরো বিস্তৃ ত করা যায়। 
৪. একজন শিক্ষার্থী প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান লাভের পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ে জ্ঞান লাভ করে নিজেদের আরও দক্ষ করে তু লতে পারে। 
৫।  বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ কোর্স করে বা বিনামূল্যে ভিডিও দেখে অনলাইনে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে নিচ্ছে।
৬।  প্রযুক্তিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত রাখা গেলে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি দক্ষ এবং গুরুত্বপূর্ণ জনবলে
পরিণত হবে।
স্বাভাবিক সময়ে শিক্ষায় সহায়তা হিসেবে ই- লার্নিং এর সম্ভাবনা
বর্ত মান করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা সহায়তায় ই-লার্নিং এর প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হলেও করোনা পরবর্তী সময়ে ই-
লার্নিং আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূ মিকা রাখতে পারে। কারণ ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদেরকে ই-লার্নিং এর মাধ্যমে পাঠদান
করাচ্ছে এতে করে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতা অর্জ ন করতে পারছে অন্যদিকে তাদের পছন্দমতো শিক্ষকদের
কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জ ন করতে পারছে। শুধু গতানুগতিক জ্ঞান লাভের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী পরিপূর্ণ শিক্ষিত হতে পারে না তাই
বইয়ের পাশাপাশি ই-লার্নিং এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একাধিক বিষয়ে সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারে যা তাদের উন্নত জীবন গঠনে
সহায়ক ভূ মিকা রাখতে পারে। তাছাডা় ই-লার্নিং এর কোনো শিক্ষার্থী কিছু না বুঝলে পরবর্তীতে সেই লেকচারটি পুনরায় দেখে
নিতে পারে। তাই বলা যেতে পারে করোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষা সহায়তায় ই-লার্নিং এর অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।
উপসঙ্ঘার
২৭৯ নং পাতা হায়াত মামুদ

Read more at: https://www.hazabarolo.com/2020/11/blog-post_13.html

তথ্যসূত্র

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, নবম-দশম শ্রেণি

www.files.eric.ed.gov
https://www.talentlms.com/elearning/history-of elearning#:~:text=The%20term%20%E2%80%9Ce
%2Dlearning%E2%80%9D,at%20a%20CBT%20systems%20seminar.&text=However%2C%20the
%20principles%20behind%20e,back%20as%20the%2019th%20century.

যুগান্তর, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ও সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০ সংখ্যা


সম্পদ
প্রচলিত অর্থে অর্থ, জমিজমা, বাড়িঘর, নানারকম প্রয়োজনীয় ও স্থায়ী দ্রব্যসামগ্রী, স্বর্ণ-রৌপ্য প্রভৃ তিকে সম্পদ বলে।
সম্পদ হচ্ছে ঐ সমস্ত দ্রব্যাদি যাদের বিনিময় মূল্য আছে। সেই সমস্ত জিনিস বা দ্রব্য, যেগুলো পেতে চাইলে অর্থ ব্যয় করতে
হয়, সেগুলোই সম্পদ।
অর্থনীতির পরিভাষায়-
কোনো বস্তু বা দ্রব্যকে সম্পদ বলতে হলে সে বস্তুর উপযোগ, অপ্রাচু র্য, বাহ্যিকতা ও হস্তান্তরযোগ্যতা থাকতে হবে।
সমষ্টিগত সম্পদ
To,
The Edi
123/Gha, Noongola
Bogra

26th August, 2020

The Editor
Imdadul Haque Milon
Daily Kaler Kontho
Basundhara, Baridhara

Subject: Request for publishing a news in the letter column

Respected Sir,
I along with the people of my area will be highly benefitted if you kindly publish the following
lines in the column of your esteemed daily. If there is anything in it you find unsuitable, please
let me know. I will be glad to look into it. Kindly let me know the process through which I can
get it published. I am hoping for a favorable response.

Thank you.
Yours truly
………..
O
ne of the things that I look forward to whilst drinking my Sunday morning coffee in the weekend
issue of your newspaper which often highlights issues relating to the youth and the current
generation which makes reading it worthwhile.

The reason for writing this letter is that I want to publish an article in your esteemed newspaper. I
would appreciate if you would publish my article in the weekend edition of your paper is its
relating to the youth of today.

I would like to publish an article in your prestigious paper on “Effects and Solution to exam stress
and anxiety”. I believe that this article would be helpful not only to students appearing for their but
also to their parents and teachers. The article is based solely on my research as child
psychologist over the years.

For your reference I have attached the copy of the article. If there is anything in it you find
unsuitable, please let me know. I will be glad to look into it. Kindly let me know the process
through which I can get it published. I am hoping for a favorable response.
Deforestation, the purposeful  clearing or thinning of forests by humans, represents one of the
largest issues in global land use. Estimates of deforestation traditionally are based on the area of forest
cleared for human use, including removal of the trees for wood products and for croplands and
grazing lands. This can include clearing the land for agriculture or grazing, or using the timber for
fuel, construction or manufacturing.  Greatly accelerated by human activities since 1960, deforestation
has been negatively affecting natural ecosystems, biodiversity, and the climate. he UN’s Food and
Agriculture Organization estimates the annual rate of deforestation to be around 1.3 million km2 per
decade. Between 1990 and 2016, the world lost 502,000 square miles (1.3 million square
kilometers) of forest, according to the World Bank—an area larger than South Africa. The loss of
trees and other vegetation can cause climate change, desertification, soil erosion, fewer crops,
flooding, increased greenhouse gases in the atmosphere, and a host of problems for
indigenous people.
We are the habitants of Dhunat Upazilla, Bogra District. Deforestation, in our area, is
increasing very rapidly and we know that it is one of the major problems all over Bangladesh,
as it is a densely populated country. But the condition of our area, I think, is the worst. People
are cutting down trees at large. Agricultural expansion, unsustainable wood extraction, industrial
tree plantation, infrastructure development , demand for commodities, poverty, population growth
are leading the trees of my area to the pang of end. As a result, it leads to the emission of
greenhouse gas that has the potential to alter global climate. Biodiversity of
our area is also being threatened. The trees also help control the level of water in the
atmosphere by helping to regulate the water cycle. But because of cutting trees, we are
going to face a challenge that cannot be overcome including catastrophic weather
events. If we lose trees in this way, carbon-dioxide will increase in the atmosphere. If there
is no tree, our country will turn into a desert. But the people of my area are not thinking about
it. We must stop cutting down trees and be aware of growing more and more for maintaining
ecological balance. Due to new laws and regulations passed we have also seen a huge
developments new trees have been planted and old trees are not allowed to be cut down. If
this continues there might be a chance to stop deforestation and reverse the whole process
completely. Also, we, the educated society
have a duty to make the average people aware of this.
We have to warn them about the negative consequences of 
cutting trees and appeal for more trees to be planted.
The relevant sector must come forward to take necessary steps. They must limit the amount
of cutting down trees. And it will be our slogan,

“Save the trees,


Save the earth,
We are the guardians of nature’s birth.”
সাহিত্য
মানব ও সমাজ জীবনের দর্পণ বা প্রতিচ্ছবি সাহিত্য। সাহিত্যের বিকাশ ঘটে মানবজীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে । মানব মনের
সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা এবং মানবজীবনের শাশ্বত ও চিরন্তন অনুভূ তি প্রতিফলিত হয় সাহিত্যে।
'সাহিত্য' শব্দটি 'সহিত' হতে নিষ্পন্ন। 'সহিত' শব্দমূলের সঙ্গে 'য' প্রত্যয় যুক্ত হয়ে 'সাহিত্য' শব্দটি গঠিত হয়েছে।
'সহিত'-এর অর্থ-সংযুক্ত, সমন্বিত, সঙ্গে, মিলন, যোগ, সংযোগ, সাথে বা সম্মিলন। সংস্কৃতে দুতি জিনিস একত্রে আছে এই
তাৎপর্যে সাহিত্য শব্দটি ব্যবহার করা হতো। আবার কোনো লোকের সহিত সঙ্গ করাকে তার সাহিত্য করা এরূপ বলা
হতো। যেমনঃ কামন্দকীয় নীতিশাস্ত্রে স্ত্রীসঙ্গ করতে নিষেধ করতে গিয়ে বলা হয়েছে- “একার্থচর্য্যাং সাহিত্যং
সংসর্গঞ্চ বিবর্জ্জ য়েৎ”। 'সাহিত্য' শব্দের আভিধানিক অর্থ-সহিতের ভাব, মিলন বা যোগ। প্রশ্ন থেকে যায় কিরূপ মিলন?
এর উত্তরে বিশ্বকবির উদ্ধৃ তি, “সে যে কেবল ভাবে-ভাবে ভাষায়-ভাষায় গ্রন্থে-গ্রন্থে মিলন তাহা নহে; মানুষের, সহিত
মানুষের, অতীতের সহিত বর্ত মানের, দূরের সহিত নিকটের অত্যন্ত অন্তরঙ্গ যোগষাধন সাহিত্য ব্যতীত আর-কিছুর দ্বারাই
সম্ভবপর নহে। যে দেশে সাহিত্যের অভাব সে দেশের লোক পরস্পর সজীব বন্ধনে সংযক্ত ু নহে; তাহারা বিচ্ছিন্ন। পূর্বপরু
ু ষদের সহিতও
তাহাদের জীবন্ত যোগ নাই। কেবল পূর্বাপরপ্রচলিত জড়প্রথাবন্ধনের দ্বারা যে যোগসাধন হয় তাহা যোগ নহে, তাহা বন্ধন
মাত্র। সাহিত্যের ধারাবাহিকতা ব্যতীত পূর্বপরুু ষদিগের সহিত সচেতন মানসিক যোগ কখনো রক্ষিত হইতে পারে না।“
প্রাচ্যের সাহিত্য সমালোচক শ্রীশচন্দ্র দাস তাঁর 'সাহিত্য সন্দর্শন' গ্রন্থের ১৭নং পৃষ্ঠায় সাহিত্যের সংজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেছেন-
''নিজের কথা, পরের কথা বা বাহ্য-জগতের কথা সাহিত্যিকের মনোবীণায় যে সুরে ঝংকৃ ত হয়, তাহার শিল্পসংগত প্রকাশই
সাহিত্য।''
সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকু র (১৮৬১-১৯৪১) বলেছেন-''অন্তরের জিনিসকে বাহিরের, ভাবের
জিনিসকে ভাষার, নিজের জিনিসকে বিশ্বমানবের ও ক্ষণকালের জিনিসকে চিরকালের করিয়া তোলাই সাহিত্যের কাজ।''
সাহিত্যের পরিধিও ব্যাপক। মানষে ু র কল্যাণের জন্য যাঁরা জগতে যত বাণী উচ্চারণ করেছেন; যেমন- ধর্মগ্রন্থে স্রষ্টার বাণীসমূহ
এবং মনীষী বা মহামানবদের কল্যাণমূলক সকল বাণীই সাহিত্যের পর্যায়ভু ক্ত। এ জন্য ডাঃ লৎু ফর রহমান সাহিত্যের এ
ব্যাপকতাকে লক্ষ্য করে স্মরণযোগ্য একটি মন্তব্য করেছেন। মন্তব্যটি হলো-
''জীবনের কল্যাণের জন্য, মানুষের সুখের জন্য এ জগতে যিনি যত কথা বলিয়া থাকেন,- তাহাই সাহিত্য।''
রাজানক কু ন্তক শব্দ ও অর্থের মনোহারী সংযোগ-বিশেষ তথা সাহিত্যের লক্ষণ বলতে গিয়ে বলেছেন-
“শব্দার্থৌ সহিতৌ বক্র-কবি-ব্যাপারশালিনি।
বন্ধে ব্যবস্থিতৌ কাব্যং তদবিদাহ্লাদকারিণি।।
সাহিত্যমনয়োঃ শোভাশালিতাং প্রতি কাপ্যসৌ
অন্যূনানতিরিক্তত্বমনোহারিণ্যবস্থিতিঃ।।
কবিকৌশল-কল্পিত রচনাবৈচিত্র্যে চমৎকারী শব্দ ও অর্থের সুমধুর বিন্যাসকে সাহিত্য বলে। শব্দ ও অর্থের যে অনির্বচনীয়
শোভার সম্মেলন হয় তাকে সাহিত্য বলে।
প্রকৃ তপক্ষে সাহিত্য হল মানব অভিজ্ঞতার নন্দনতাত্ত্বিক বহিঃপ্রকাশ। ইন্দ্রিয় দ্বারা ধারণকৃত পার্থিব বা মহাপার্থিব বা অপার্থিব
চিন্তা চেতনা, সৌন্দর্য ও শিল্পের লিখিত রূপ বা লেখকের জীবনের পারিপার্শ্বিক ভাবনার লিখিত রূপ হচ্ছে সাহিত্য।
বাংলা সাহিত্য

- জাতি সংস্কৃ তি ও সাহিত্য, মিত্র ও ঘোষ, পৃষ্ঠা নং ২


বাংলা সাহিত্যে পল্লিসাহিত্যের স্বরূপ
God made the country and man made the town." বিধাতার সৃষ্ট সেই গ্রাম প্রকৃ তির অঢেল সম্পদে ভরা অপরূপ
মাধুর্য লীলানিকেতন। শহরের মত চাকচিক্য গ্রামে নেই, কিন্তু গ্রামের সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে সৌন্দর্যের অপার লীলাক্ষেত্র। সেই
লীলাক্ষেত্রে বিচরণ করে লালিত জীবনবোধ থেকেই রচিত হয় বাংলা সাহিত্যের অমূল্য রত্নবিশেষ, পল্লিসাহিত্য। বাংলার
পল্লিসাহিত্য এক বিপুল সমাহার নিয়ে বিরাজ করছে আমাদের চারপাশে। পল্লির নিরক্ষর দরিদ্র, নিপীড়িত জনতার
অনাড়ম্বর জীবনের আশা-আকাঙ্ক্ষা, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার দৈনন্দিন চিত্র যে সাহিত্যে চিত্রিত হয়, তাই পল্লিসাহিত্য।
গ্রামের অশিক্ষিত, স্বল্প শিক্ষিত মানুষ মনের তাগিদে এসব সাহিত্য রচনা করে থাকেন তথাপি জাতির জন্য তা ঐতিহ্য,
সংস্কৃ তি এবং প্রাচীন সম্পদ। প্রাচীনকাল থেকেই এই সাহিত্য মখে ু মখে ু প্রচারিত ও প্রচলিত হয়ে আসছে। মূলত এ সাহিত্যের
মধ্যেই রয়েছে পল্লির মানুষের জীবনাচরণের সাথে সাথে বাঙালি জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য, মূল্যবোধ ও নৃতাত্ত্বিক পরিচয়।
তাই শহুরে যান্ত্রিকতা ও কোলাহল্মুক্ত চাকচিক্যহীন হওয়া সত্ত্বেও পল্লিসাহিত্যের মাহাত্ম্য কোনোক্রমেই কম নেই একথা
মোটেই অত্যুক্তি নয়।
পল্লিসাহিত্যের উপাদান
বহুভাষাবিদ ড মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কিশোরগঞ্জ জেলায় ‘পূর্ব ময়মনসিংহ সাহিত্য সম্মিলনী’র সভাপতিত্ব করেন। এ সময়
তিনি সভাপতি হিসেবে যে বক্তব্য রাখেন তাতে নিম্নলিখিত পল্লিসাহিত্যের উপাদানগুলোর উল্লেখ করেনঃ
১। পল্লিগান বা লোকগান
২। রূপকথা, উপকথা
৩। প্রবাদবাক্য
৪। পঁথিু
৫। ঘমু পাড়ানি গান বা ছড়াগান
৬। বাঁধা গৎ
৭। ডাকের কথা
৮। খনার বচন
৯। বাঁধা বলিু
প্রতিটির বিস্তারিত বর্ণনা উপস্থাপন করা এ সংক্ষিপ্ত পরিসরে দুঃসাধ্য। তাই নিম্নে দুটির বর্ণনা সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলঃ
# খনার বচন
১। খনার বচন শস্য ও বৃক্ষরোপণ, গৃহনির্মাণ, ঋতু , আবহাওয়া, জ্যোতিষী, হোরাশাস্ত্র, পশুপালন, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি প্রভৃ তি
সম্বন্ধে ছড়া আকারে পরিবেশিত (প্রধানত ছন্দোবদ্ধ) বচন, যা খনা নামে বিদূষী এক নারীর রচিত বলে প্রসিদ্ধ ও জনপ্রিয় ।
২। জ্যোতিষশাস্ত্রে নিপুণা ও  কৃ ষিভিত্তিক বচন রচয়িতা বিদুষী নারী ছিলেন খনা। কথিত আছে তার আসল নাম লীলাবতী
ও তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম নারী কবি। মনে করা হয় ৮০০ থেকে ১২০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে তার আবির্ভাব হয়েছিল।
বাংলার লোকায়ত ঐতিহ্যগত কৃ ষির ওপর খনার বচনের প্রভাব নিয়ে লেখা এক গবেষণা নিবন্ধে সেন (২০০৮) খনাকে
তত্কালীন বাংলাদেশের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বারাসাতের দেওলী গ্রামের এক নারী জ্যোতিষী ও বচন রচয়িতা হিসেবে
উল্লেখ করেছেন।
৩। তাঁর ব্যক্তিগত পরিচয় কিংবদন্তিনির্ভ র। কেউ বলেন খনার পিতা ছিলেন দানব, আবার কেউ বলেন সিংহলের (বর্ত মান
শ্রীলংকা) রাজকন্যা ছিলেন তিনি। তখন তার নাম ছিল ‘লীলাবতী’। উজ্জয়িনীর রাজা বিক্রমাদিত্যের নবরত্নের সভায়
আলো করা পণ্ডিত ও জ্যোতির্বিদ বরাহ ছিলেন খনার স্বামী মিহিরের পিতা।
৪। মূলত কৃ ষি উৎপাদন এবং প্রকৃ তি ভিত্তিক বিভিন্ন উপদেশই খনার বচনের মুল উপজীব্য। তাছাড়াও বর্ষপঞ্জী,
জ্যোতিষ গণনা, বিধি নিষেধ, স্বাস্থ্য সহ নানা পরিসরে রয়েছে খনার বচনের ব্যাপ্তি।
৫। ধান, কলা ও গরুকে খনার বচনে তু লনামূলকভাবে বেশি গুরুত্ব দিয়ে অধিক সংখ্যক বচন রচিত হয়েছে।
৬। মাটি, আবহাওয়া, ঋতু র অদল-বদল, মেঘ-বৃষ্টির শ্রেণীকরণ ও সময় নির্ঘণ্ট, আবহাওয়ার আন্দাজ, দুর্যোগ ও
প্রাকৃ তিক পরিবর্ত নের আগাম প্রস্তুতি, প্রাকৃ তিক দুর্যোগ ও দুঃসময়ের আগাম হিসাবনিকাশ, প্রাকৃ তিক নির্দে শনা ইত্যাদি
নিয়ে খনার বচন রয়েছে। বচনগুলিতে আবহাওয়া,  জ্যোতিষ, ঋতু ভেদে শস্যের ক্ষয়ক্ষতি ও ফলন সম্পর্কে যে ধারণা
দেওয়া হয়েছে, তার অনেকগুলিই বৈজ্ঞানিক সত্যের খুব কাছাকাছি।
৭। খনার বচনের প্রতিপাদ্য বিষয় সম্পর্কে সুন্দর করে বলেছেন রণদীপম বসু। তিনি বলেছেন: ‘খনার বচনে আছে
কৃ ষিকাজের বিবিধ রীতি-পদ্ধতি ও নিয়ম-নির্দে শ। হাল, চাষ, বলদ, ভূ মি, বীজ, ফলন, বৃষ্টি, বন্যা, শিলা, ঝঞ্ঝা, মাস, ঋতু
ও সপ্তাহের বিভিন্ন বার প্রভৃ তি সম্মন্ধে জ্যোতিষী ব্যাখ্যা এগুলোর মধ্যে পাওয়া যায়। ব ৃষ্টি ও আবহাওয়া সম্পর্কে রচিত বচনে
সাধারণত বৃষ্টি, বন্যা, খরা, সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী থাকে। বর্ষায় ব ৃষ্টি হলে কৃষক চাষ করবে, বীজ বুনবে, চারা রোপণ করবে,
ফসল ফলাবে। সেই সঙ্গে লক্ষ্য রাখবে বন্যায় না-ভেসে যায় ফসল। কোন ফসলের সঙ্গে বা পাশে কোন ফসল উৎপন্ন করলে ফলন
ভালো হবে, কত দূরে দূরে চাড়া রোপন করতে হবে, সবই বিস্তারিত বলা হয়েছে এই বচনে। বচনগুলো তাই বাংলার ‘কৃষিদর্শন’।
কেবল কৃ ষি দর্শন নয়, কৃ ষি নির্দে শনাও বটে।’
৮। খনার বচনগুলোর কোনো লিখিত রূপ ছিল না। এগুলো মানুষের মুখে মুখে বেঁচে ছিল ।
৯। খনার নামে চালু নানা বচন-প্রবচনগুলো কেবল বাংলায় নয়, ছড়িয়ে আছে বিহার, আসাম থেকে ওডিশা পর্যন্ত
১০। কয়েকটি খনার বচনের উদাহরণ হলঃ
(ক) কলা রুয়ে না কেটো পাত
তাতেই কাপড় তাতেই ভাত
(খ) আঘুন মাসে পয়দা ধান
তিন শাওন হয় পান
(গ) খনা ডেকে বলে যান
রৌদ্রে ধান, ছায়ায় পান
(ঘ) সকালে শোয় সকাল ওঠে
তার কড়ি না বৈদ্যে লোটে।
(ঙ ) আলো হাওয়া বেঁধ না
রোগে ভোগে মরো না।
লোকগানঃ
১। পল্লিগান পল্লিসাহিত্যের এক অমূল্য রত্ন বিশেষ। পল্লির সমাজজীবনের যে গান পল্লির মুখে মুখে রচিত হয়ে মুখে মুখেই
প্রচার লাভ করে, তা-ই পল্লিগীতি বা লোকগীতি।
২। পল্লিগান হচ্ছে পল্লির প্রাচীন সম্পদ। এটি মূলত বাংলার নিজস্ব সঙ্গীত।
৩। পল্লীর শ্রমজীবী জনমানসের সংস্কারগত চিন্তা-ভাবনা, বারোমাসে তেরো পার্বণের উৎসব-অনুষ্ঠান, জগৎ ও জীবন
সম্পর্কে ঔৎসুক্য, বাংলার নিসর্গশোভা, নদী ও নৌকার রূপকাশ্রয়ী চিন্তা-চেতনা, দারিদ্র্য, সমাজের অন্যায়-অবিচার,
নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্রের অগ্নিমূল্য প্রভৃ তি বিষয়গত বোধ ও অলৌকিক বিশ্বাসকে অবলম্বন করে গ্রামবাংলার মানুষ এ
গান বেঁধেছে। তবে বাংলা লোকসঙ্গীতে লোকসংস্কারগত আচার-অনুষ্ঠানই প্রাধান্য পেয়েছে; সেই সঙ্গে নদী ও নৌকাকে কেন্দ্র করে
সৃষ্টি হয়েছে জগৎ ও জীবনের রূপকাশ্রয়ী অধ্যাত্মলোকের মরমি গান।
৪। বাঙালির গোলা ভরা ধান আর গলায় গলায় গান-এমন একটা প্রবাদপ্রতিম কথা লোকগীতির আলোচনা প্রসঙ্গে
প্রায়শই বলা হয়৷ প্রতিকূ ল প্রকৃ তির বিপরীতে দাঁড়িয়ে অস্তিত্ব রক্ষায় জন্য আদিম যুগ থেকে মানুষ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
আর এই লড়াই থেকে উদ্ভূ ত ছন্দ আর সুরই লোকসংগীত। তাই এই গান শ্রমজীবী মানুষের অবসর বিনোদনের গান;
গায়েগতরে খেটে খাওয়া মানুষই এই গানেই স্রষ্টা।
৫। লোকসংগীত চিরায়ত সংগীত। এ সংগীতে আছে মাটির মানুষের প্রাণের ছোঁয়া।
৬।  বিশিষ্ট ফোকলোরবিদ ড. ওয়াকিল আহমদের মতে লোকসংগীতের বিষয়ভিত্তিক ও গ্রহণযোগ্য শ্রেণিবিন্যাস নিম্নরূপ
হতে পারে-
১. প্রেম ২. ধর্ম-আচার-সংস্কার ৩. তত্ব ও ভক্তি ৪. কর্ম ও শ্রম ৫. পেশা ও বৃত্তি ৬. হাস্য ও কৌতু ক ৭. মিশ্রভাব
বিষয়ক।
৭। বাংলাদেশ নদীমাতৃ ক বলে বাংলা লোকসঙ্গীতে ভাটিয়ালি সুরের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়।  এছাড়া
উত্তরবঙ্গের  ভাওয়াইয়া, চটকা, পূর্বাঞ্চলের ভাটিয়ালি, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাউল-মারফতি গানের কথা সমভাবে
উচ্চারণযোগ্য।
৮।  ভাব ও সুরের বৈচিত্র্যে পল্লিগানগুলি বাঙ্গালির মন চিরদিন রসসিক্ত করে রেখেছে। কিন্তু শহুরে গানের প্রভাবে
পল্লিগানগুলো এখন বর্বর চাষার গান বলে ভদ্র সমাজে আর বিকায় না।
৯। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের মতো লোকসঙ্গীতের পূর্ব প্রস্ত্ততি থাকে না। মনের মধ্যে যখন গানের আবেগ ভর করে, কিংবা বাইরে
যখন এর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, তখন তা সমাজ মনের স্বাভাবিক উৎস খুলে দেয়। আপন হতে তখন অন্তরের অনভ ু তি

আপনার সুধারাগে উৎসারিত হতে থাকে। লোকসংগীত তাই কোনো প্রথাগত সংগীত চর্চা নায়।এতে লোকসাধারণের
প্রণের আকু তির স্বতঃস্ফু র্ত প্রকাশ ঘটে।
১০। কয়েকটি পল্লিগানের নমনু া নিম্নরূপ:
ভাটিয়ালি:
এ ভব সাগর রে কেমনে দিব পাড়ি রে।
দিবানিশি কান্দিরে নদীর কূ লে বইসা।
ভাওয়াইয়া:
ও কি গাড়িয়াল ভাই কত রব আমি পন্থের দিকে চাইয়ারে
জারি গান:
সে কথাটি শুনে নবি রাস্তা দিয়ে যায়
কত ঢিল পাথরে দয়াল নবি খায়
যারা পাথর মারে নবির গায়
নবি হস্ত তু ইলা বলে সাঁই
তাদের জন্য আল্লারে আমি মরতে চাই।
তথ্যসূত্রঃ
১। সাহিত্য পরিচয়, গাজেন্দ্রকু মার মিত্র।
২। কিংবদন্তী খনা ও খনার বচন, পূরবী বসু।
প্রদত্ত কাজ
নারীর প্রতি সহিংসতামূলক আচরণের কারণগুলো বর্ণনা কর। এই ধরনের সহিংসতা রোধে তোমার নিজের পরিবার ও এলাকার
দৃষ্টিভঙ্গির উন্নয়নে কী কী পদক্ষেপ নেয়া যায়? যে কোনো একটি পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা কর।
অবরোধবাসিনী নারীসমাজ দীর্ঘকাল থেকে অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মাধ্যমে চেয়েছে নিজেকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত
করতে; ন্যূনতম মৌলিক অধিকারের স্বীকৃ তি আদায়ে। কিন্তু আজকের বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় তারা সব ক্ষেত্রে গুরুতপূর্ণ
ভূ মিকা পালন করছে। অর্থনীতির অন্যতম প্রধান খাত পোশাক শিল্পে নারীর একচ্ছত্র ভূ মিকা লক্ষণীয়। সীমাহীন বাধা-
বিপত্তির দেয়াল ভেঙ্গে ঘরকু নো জীবনের সীমিত গণ্ডি পেরিয়ে তারা ঘরগৃহস্থালীর কাজ থেকে শুরু করে গোটা দেশ
চালানোর কাজে দেখিয়েছে অভূ তপূর্ব সাফল্য। নারী যে দশভুজা, তার প্রমাণ প্রতিটি মুহূর্তে , প্রতিটি ক্ষণে তাকে দিতে হচ্ছে।
কিন্তু অকৃ তজ্ঞ সমাজব্যবস্থা থেকে তাদের কপালে জুটেছে কেবলই নির্যাতন -জুলুম-নিপীড়ন। নারীর প্রতি সহিংসতার যে
সংবাদ দৈনিকগুলোতে প্রকাশিত হয় তা মূলত ক্ষমতাতন্ত্র বা পুরুষতান্ত্রিকতার পাশবিক দৃষ্টিভঙ্গি ব্যতিরেকে কিছুই নয়।
তাই নারী সহিংসতা প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে নারী-পুরুষ সমতা অর্জ ন আজ সময়ের দাবি।
নারী সহিংসতার স্বরূপ
পুরুষ বা নারী কর্তৃ ক যে কোনো বয়সের নারীর প্রতি শুধু নারী হওয়ার কারণে যে সহিংস আচরণ করা হয় তাই নারীর প্রতি
সহিংসতা। কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমষ্টি নানা অজহু াতে নারীর আর্থ-সামাজিক, শারীরিক কিংবা মানসিক দুর্বলতার সুযোগ
নিয়ে নারীর প্রতি সহিংসতা ঘটিয়ে থাকে। নারীর প্রতি সহিংসতার কতিপয় ধরন নিম্নরূপঃ

(পারিবারিক সহিংসতা
(প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০১০)
(খ) ইভটিজিং
এছাড়াও পারিবারিক সহিংসতা, সম্পত্তির অধিকারের বঞ্চনা, কন্যা শিশুকে মারপিট, অত্যধিক কাজের বোঝা চাপানো,
যৌতু ক সম্পর্কি ত নির্যাতন, শ্বাশুড়ি, স্বামী, ননদ কর্তৃ ক নির্যাতন ইত্যাদিও অহরহ ঘটনা।
নারী সহিংসতার চিত্র
`wÿY Gwkqvq wK‡kvix wbh©vZ‡bi kx‡l© evsjv‡`k, Avi mviv we‡k mßg; RvwZmsN wkï Znwej (BDwb‡md)-Gi
M‡elYvq GKiKgB Z_¨ cvIqv †M‡Q| 2014 mv‡j cÖKvwkZ Ôwn‡Wb Bb †cøBb mvBUÕ kxl©K cÖwZ‡e`‡b GB Z_¨
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দফতরের (ইউএনওডিসি) এক গবেষণা
cÖ`vb Kiv n‡q‡Q|
এবং অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ ও জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরামের এক যৌথ গবেষণায়
নারীর প্রতি সহিংসতাবিষয়ক যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। উভয় গবেষণায়
জানা গেছে, নারীরা নিজ ঘরেই সবচেয়ে বেশি সহিংসতার শিকার হয়ে থাকেন। ইউএনওডিসির
গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, ২০১৭ সালে বিশ্বে মোট ৮৭ হাজার নারীকে হত্যা করা হয়েছে। এর
মধ্যে ৫৮ শতাংশ খুন হয়েছেন একান্ত সঙ্গী অথবা পরিবারের সদস্যদের হাতে। অ্যাকশন এইড ও
জাতীয় নারী নির্যাতন ফোরামের গবেষণায় নারীর প্রতি সহিংসতার দুই-তৃ তীয়াংশই হয় পারিবারিক
পরিমণ্ডলে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত এক তথ্যে জানা গেছে, ২০১৮ সালে ৩ হাজার
৯১৮ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। গত বছরে ২০১৯ সালের নারী নির্যাতনের চিত্র উঠে
আসে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের রিপোর্টে । ১৪টি দৈনিক পত্রিকা
সংবাদ বিশ্লেষণ করে রিপোর্টে জানায়, গতবছরে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয় ৪ হাজার ৬২২
জন নারী। চলতি বছরের মহামারীর সময়েও ৪ এপ্রিল দৈনিক প্রথম আলোর সূত্রমতে, ঢাকা
মহানগর এলাকায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র ১০ দিনে নির্যাতন, নিপীড়ন ও অপহরণের ২৮টি
মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে ৩৭ জন।
নারীর প্রতি সহিংসতার কারণ
১। ধর্মীয় অপব্যাখ্যা
 ধর্মীয় যেকোন বিষয়ে কেউ যেন অপব্যাখ্যা দিয়ে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে নারীকে অবদমন করা হয়।
২। সামাজিক অনষ্ঠু ান থেকে বঞ্চিত রাখা
সামাজিক প্রথার দরুন সামাজিক-সাংস্কৃ তি-বিনোদনমূলক সকল অনুষ্ঠান থেকে বঞ্চিত রেখে নারীদের একঘরে করে রাখা
হয় যার কারণে নারীদের মনে হীনমন্যতা জন্ম নেয়।
৩। বাল্যবিবাহ

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ১৯৯৯


৪। যৌতুক প্রথা
বিবাহের পবিত্র বন্ধনকে কলঙ্কিত করছে যৌতু ক প্রথা। এক শ্রেণির যুবক বিয়ে করে মোটা অঙ্কের টাকা যৌতু ক হিসেবে দাবি
করে। যদি কনেপক্ষের বাড়ি থেকে যৌতু কের টাকা না আসে, তাহলে স্ত্রীর ওপর স্বামী, ননদ, শাশুড়ি মিলে নানা ধরনের
শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করেন। 
৫। বহুবিবাহ

৬। পত্ ু র সন্তানের প্রতি নির্ভরশীলতা


পুত্র সন্তানের প্রতি নির্ভ রশীলতার কারণে পিতামাতা পুত্র সন্তানের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ফলে কন্যাসন্তানের প্রতি
ঔদাসিন্য পরিলক্ষিত হয়।
৭। মতলবি ফতোয়া
গ্রাম্য মাতবর ও শরীয়তের বিধিবিধান সম্পর্কে অজ্ঞ লোকদের ভু ল সালিশকে ফতোয়া বলে প্রচার করার মূর্খতাপ্রসূত
কিংবা দুরভিসন্ধিমূলক অপকর্ম নারীর প্রতি সহিংসতার জন্য দায়ী।
৮। নারী শিক্ষার অভাব
আমাদের দেশের নারী সমাজ নিরক্ষতার কারণে নিজেদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গ্রাম অঞ্চলের বিশাল নারী
সমাজ নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হচ্ছে শুধুমাত্র তাদের শিক্ষার অভাবে। 
৯। হীন দৃষ্টিভঙ্গি
নারীকে হীন করে দেখার সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি নারী নির্যাতনের অন্যতম কারণ।
১০। সামাজিক গোঁড়ামি
সামাজিক গোঁড়ামি ও বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে নারী অধিকার অবদমিত হয়।
১১। পিতা-মাতার উদাসীনতা
কন্যা সন্তানের প্রতি মা-বাবার উদাসীনতার কারণে কন্যার মধ্যে সংকোচ ও জড়তা সৃষ্টি হয়।
১২। বিবাহে কন্যার ইচ্ছাকে উপেক্ষা
বিবাহে কন্যার ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে উপেক্ষা করার মনোভাব নারীর প্রতি সহিংসতাকে আরো একধাপ বাড়িয়ে দেয়।
১৩। দারিদ্র্য
দারিদ্র্যের কারণের যৌতু ক নির্যাতনের শিকার হয় নারী। দারিদ্র্য ঘোচাতে কাজের খোঁজে এসে অনেক নারী সহিংসতার শিকার হয়।
১৪। সামাজিক মর্যাদার ভয়
লোকলজ্জা, পারিবারিক ও সামাজিক মর্যাদার ভয়সহ নানা কারণে বাংলাদেশের নারীসমাজ অনেক সময় নির্যাতনের
বিষয় বাইরে প্রকাশ করতে পারে না।
১৫। আইনের শাসনের দুর্বলতা
নারী নির্যাতনের ঘটনায় অতীতে বিচারহীনতার নজিরকেই দায়ী করছেন আইনবিদরা। তারা বলছেন, অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত
না করলে আইন সংশোধন করেও কোনো ফায়দা হবে না। বিচার নিশ্চিত না করে যত কঠোর আইন-ই হোক, ফলপ্রসূ হবে না।
১৬। অতীত অভিজ্ঞতা
শৈশবে নিজ পরিবারে নারীর প্রতি সহিংসতা ও বঞ্চনার অভিজ্ঞতা পরবর্তীতে একজন পুরুষকে সহিংস করে তু লতা
পারে।
১৭। বিচার প্রক্রিয়ার শৈথিল্য
 অ্যাকশনএইড ও জেএনএনপিএফের গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, দেশে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা সম্পর্কি ত
মামলাগুলোর প্রতি পাঁচটির মধ্যে চারটিই আদালতে উত্থাপিত হতে দুই বছর সময় লেগে যায়। তারপর বিচারিক প্রক্রিয়া
শুরু হয়। এ ধরনের সমস্যা দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে।
১৮। পরু ু ষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি
আমাদের সমাজে অনেক পুরুষ নারীকে অবলা ও দুর্বল বলে মনে করে। গ্রামীণ ও শহুরে সমাজের কতিপয় পরিবারে পরু ু ষের
দৃষ্টিভঙ্গি হল নারীর কাজ গৃহে রান্না-বান্না, সন্তান জন্মদান, লালন-পালন, সবজি বাগান করা, গবাদি পশু পালন করা, শিশুকে
পাঠদান, শারীরিক শুশ্রূষা করা প্রভৃ তি।
১৯। রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়া
রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় বিচার থেকে পার পেয়ে যাচ্ছে নারী নির্যাতনকারী।

নাম: ইয়ামিন মাহমুদ / মোহাম্মাদ ইশমাম


জন্ম

You might also like