Law Making Process in Bangladesh

You might also like

Download as pdf or txt
Download as pdf or txt
You are on page 1of 4

Law Making Process in Bangladesh Parliament

Law Making Process In Bangladesh

Law Making Process


অাইনসভার অন্যান্য কার্যাবলির মধ্য আইন রচনা করার প্রক্রিয়াটি বেশ লম্বা ও জটিল প্রকৃ তির। পূর্বে বলা হয়েছে
যে আইন প্রাথমিকভাবে একটি বিল রুপে নির্বাহী অথবা সংসদ সদস্য(প্রাইভেট বিলের ক্ষেত্রে) কর্তৃ ক সংসদে
উপস্থাপিত হয়। সংসদে বিল উত্থাপিত হওয়ার পূর্বে সে বিল প্রি লেজিসলেচার কার্যপ্রণালীর তিনটি ধারার মধ্য দিয়ে
যায়, যেমন- ড্রাফটিং(খসড়া প্রণয়ন) , পলিসি ডেবলপমেন্ট(নীতি গঠন) এবং কেবিনেট এপ্রোবাল(মন্ত্রীসভার
অনুমোদন) ইত্যাদি।

প্রি লেজিসলেটিব স্তর এই তিনটি ধাপ নিয়ে গঠিত। সংসদে একটি বিল তিনটি আলাদা ধাপের মধ্য দিয়ে যায় যা
সামগ্রিকভাবে লেজিসলেটিব স্তর হিসেবে পরিচিত যথাক্রমে - প্রথম রিডিং( বিলের শিরোনাম ষোষণা), দ্বিতীয় রিডিং
(বিলের প্রধান প্রধান নীতি নিয়ে আলোচনা অনুষ্টিত হয়),এবং তৃ তীয় রিডিংয়ে বিল পাস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিভিন্ন রাষ্ট্রে আইন রচনা প্রক্রিয়ায় লেজিসলেটিব স্তরে কমিটি স্টেজ নামক একটি নতু ন ধাপ রয়েছে।

বাংলাদেশে এ ধাপের প্রচলন শুরু হয় যখন সপ্তম সংসদ জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত বিল পরীক্ষা নিরীক্ষা ও বিশ্লেষণ
করার লক্ষ্যে শাসক দল ও বিরোধী দলের নির্বাচিত সদস্যদেে সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত
নেয়। পোস্ট লেজিসলেটিব ধাপ নামে আরও একটি পর্যায় থাকে যেখানে শুধুমাত্র বিল আইনে পরিণত ও গেজেট
আকারে প্রকাশের জন্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেওয়া হয়। উপরে বর্ণিত কার্যপ্রণালী লক্ষ্যে করলে দেখা যায় যে
বাংলাদেশে আইন রচনা প্রক্রিয়া তিনটি বৃহৎ ধাপে বিভক্ত, প্রি লেজিসলেটিব ফেইজ, লেজিসলেটিব ফেইজ এবং পোস্ট
লেজিসলেটিব ফেইজ।

প্রি লেজিসলেটিব স্তর

প্রি লেজিসলেটিব ধাপে সরকার প্রধানের পক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কোনো বিশেষ বিষয়ের উপর আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্যে
মন্ত্রীসভার অনুমতি চেয়ে একটি প্রস্তাব পেশ করে। মন্ত্রীসভার অনুমতি পাওয়া পর মূলত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আইন
তৈরির প্রক্রিয়া প্রাথমিকভাবে পুরোদমে শুরু করে। প্রকৃ তপক্ষে, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আইনী প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিটি না
থাকায় মন্ত্রীসভা ব্যক্তিগত ভিত্তিতে আইন তৈরির প্রাথমিক প্রস্তাবের প্রতি অনুমোদন দেয়। যার ফলে আইনের
সামগ্রিক প্রাধান্য অনির্দি ষ্ট থেকে
যায়।

কিন্তু যুক্তরাজ্য ও কানাডায় আইন বিষয়ক পরিকল্পনা সংদের অধিবেশন আরম্ভ হওয়ার পূর্বেই আলোচিত হয় যেখানে
আইনী প্রস্তাবনার প্রধান প্রধান পয়েন্টের চু ল ছেড়া বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিলটির প্রধান প্রায়োরিটি বাছাই করা হয়।
মন্ত্রীপরিষদের অনুমোদন লাভের পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়(সরকারি বিলের ক্ষেত্রে) নিজস্ব প্রশাসন ব্যবস্থার ব্যবহার করে
রুল অফ বিজনেস ও সেক্রেটারিয়েটের নির্দে শনা সাপেক্ষে খসড়া তৈরির কাজ আনুষ্টানিকভাবে শুরু করে।
সংবিধানের ৫৫(৬) অনুচ্ছেদ মোতাবেক রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন সরকারি কার্যক্রম বন্টনের ব্যাপারে নিজে বিভিন্ন
প্রয়োজনীয় বিধিবিধান তৈরি করবেন।

তাছাড়াও ১৯৭৬ সালের সেক্রেটারিয়েট ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী প্রাশাসনিক কার্যক্রম ও কার্যপ্রণালী পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে
দক্ষতা ও সামঞ্জস্যতা নিশ্চিত করা হয়। তাই সেক্রেটারিয়েট ইন্সট্রাকশনকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্য
কর্মভাগ(অ্যালোকেশন অফ বিজনেস) এবং রুল অফ বিজনেস(কর্মবিধি)'র পরিপূলক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রুল
অফ বিজনেস এবং সেক্রেটারিয়েট ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী গর্ভ নমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনা বাধ্যতামূলক।

সেক্রেটারিয়েট ইন্সট্রাকশন অনুসারে প্রতিটি মন্ত্রণালয় বা বিভাগ নিজস্ব কর্মপরিধির মধ্য পড়ে এমন সরকারী নীতি
প্রণয়ন এবং সে নীতি বাস্তবায়ন ও পুনঃনিরীক্ষণের ক্ষেত্রে রুল অফ বিজনেস ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান মানতে
হবে। তাছাড়াও। অধিকন্তু রুল অফ বিজনেস সেক্রেটারিয়েট ইন্সট্রাকশন হতে আরও একটি নির্দে শনা পাওয়া যায় যে
যেকোনো আইন প্রস্তাব প্রক্রিয়া সে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় হতে শুরু হবে যার কর্মপরিধির মধ্য বিলটির বৈষয়িক
ব্যাপার পড়ে। রুল অফ বিজনেস ও সিক্রেটারিয়েট ইন্সট্াকশন অনুসারে প্রাশাসনিক মন্ত্রণালয় আইন তৈরির উদ্দেশ্য

1
Law Making Process in Bangladesh Parliament

খসড়া ও নীতি প্রণয়ন শুরু করে। মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব পর্যায়ের সকল কর্মকর্ত ার মধ্য যাদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুস্পষ্ট
ধারণা রয়েছে তারা অথবা প্রয়োজনে বাইরের আইনবিষেশজ্ঞগণ প্রিলিমিনারি বিলের খসড়া তৈরি করেন।

সম্পূর্ণরুপে প্রাথমিক খসড়া বিল তৈরির পর, আন্তঃমন্ত্রণালয় মিটিং অনুষ্টিত হয় এবং সে মিটিংয়ে আইন মন্ত্রণালয়
এবং সংসদ ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পেশাদার আইন খসড়া প্রণয়নকারীরা অংশ নিয়ে খসড়া বিলের বিভিন্ন
বৈশিষ্ট্য নিয়ে তাদের মন্তব্য এবং সুপারিশ প্রদান করেন। এভাবে প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃ ক নতু ন আইন
প্রণয়নের জন্য প্রয়োজনীয় নীতি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে, রুল অফ বিজনেস অনুসারে প্রাশাসনিক মন্ত্রণালয়
মন্ত্রীপরিষদে অনুমোদনের জন্য বিলের সারমর্ম পেশ করার মাধ্যমে বিলের আইনী প্রক্রিয়া শুরু করে।

রুল অফ বিজনেসের ৪(২২) ধারা, ১৯৯৬ অনুযায়ী, মন্ত্রীপরিষদের অনুমতি ছাড়া কোনো গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সিদ্ধান্ত
নেওয়া যাবে না, এবং ৬(১১) ধারামতে অধ্যাদেশ ঘোষণা সহ যেকোনো আইন সম্পর্কি ত বিষয় কার্যকর করার পূর্বে
অবশ্যই মন্ত্রীপরিষদে পেশ করতে হবে। বিলের ধরন সম্পর্কে রুল অফ বিজনেসের ১১ নম্বর ধারা মতে, সংশ্লিষ্ট
মন্ত্রণালয়ের সচিব মন্ত্রীপরিষদ সচিবের কাছে সংক্ষিপ্ত ও সুস্পষ্ট বিলের খসড়ার সাথে একটি স্মারকলিপি পেশ করেন
যেখানে বিলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সুপারিশমালা ও গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় সহ বিলের বৈষয়িক ও প্রাসঙ্গিক দিক উল্লেখ
থাকে। তবে তা যতটু কু সম্ভব যথেষ্ট সংক্ষিপ্ত আকারে সমগ্র বিলের গুরুত্বপূর্ণ ধারণা উত্থাপন করতে হবে।
মন্ত্রীপরিষদের বিবেচনার জন্য বিলের সারমর্ম উল্লেখিত পৃষ্টার কতটি নকল পাঠাতে হবে তা মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ
কর্তৃ ক নির্ধারিত হয়। খাজনার হার অথবা ব্যয়ের পরিমাণ হ্রাস করার বিষয়ে ফাইনান্স বা অর্থবিভাগের মতামত
জানা ও তা সারমর্মতে উল্লেখ থাকা আবশ্যক.

তবে বিলের কোনো পয়েন্ট একের অধিক মন্ত্রণালয়, বা বিভাগের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকলে ও সে বিশেষ পয়েন্ট নিয়ে
মন্ত্রণালয়গুলোর মাঝে একমত/রাজি হলে সামারিতে অবশ্যই তাদের দেওয়া সুপারিশ উল্লেখ থাকতে হবে। আর
মন্ত্রণালয়গুলোর কোনো সমঝোতায় না পৌছালে প্রত্যক মিনিস্ট্রি বা বিভাগের সুপারিশসহ যে যে বিষয় নিয়ে একমত
পোষণ করে নি সে পয়েন্ট উল্লেখ থাকতে হবে। (রুলস অফ বিজনেস, ধারা ২১)।
মন্ত্রী পরিষদের মিটিংয়ের অন্তত চার দিন আগে সামারি অফ বিল আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভূ ক্ত করতে হয়। মিটিং শেষে
মন্ত্রীপরিষদ সচিব বা যুগ্ন সচিব মিটিংয়ে আলোচিত বিষয় ও মন্ত্রীপরিষদ কর্তৃ ক গৃহীত সিদ্ধান্তের একটি রেকর্ড তৈরি
করেন। পরে সে রেকর্ড ফাইল অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করা করা হয়। অনুমোদনপ্রাপ্ত হওয়ার পর,
ফাইলটি মন্ত্রীদের কাছে পাঠানো হয়। এ প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের প্রাসঙ্গিক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা
মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে প্রয়োজনীয় উদ্যেগ গ্রহণের জন্য পাঠানো হয় যথাযথ। প্রাথমিক লেজিসলেটিব প্রস্তাবনা
মন্ত্রী পনিষদে গৃহীত হওয়ার পরপরই, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সে ফাইল আইন, এবং সংসদ ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের
কাছে ড্রাফ্ট বিল প্রস্তুতের জন্য পাঠাবে।

বলা প্রয়োজন যে এ কাজের জন্য আইন এবং সংসদ ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একটি লেজিসলেটিব ড্র্ফটিং
শাখা(উইং) রয়েছে। লেজিসলেটিব ড্রাফ্টিং উইং চু ল ছেড়া বিশ্লেষন করে দেখবে যে ড্রাফ্ট বিলের মধ্য সংবিধান বা
রাষ্ট্র নীতির মৌলিক বিধিবিধানের সাথে অসামঞ্জস্য কিছু আছে কি না। অসামঞ্জস্যতা খুজে পাওয়া গেলে ড্রাফ্টিং উইং
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে অবগত করবে। ড্ফট বিলে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া গেলে, ড্রাফ্টিং উইং সে ফাইল
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সুপারিসসহ ফেরৎ পাঠিয়ে দেয়। সংশোধন কার্য
সমাপ্ত হওয়ার পরে বিলটি আবার ড্রাফ্টিং উইংয়ের কাছে রিড্রাফ্টিংয়ের জন্য পাঠানো হয়।আইন এবং সংসদ ও বিচার
বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ড্রাফ্টিং কর্মকর্ত ারা লেজিসলেটিব প্রস্তাবনাকে আইনী ভাষা প্রয়োগের মাধ্যমে উপযুক্ত ড্রাফ্ট বিলে
রুপান্তর করেন। তাদের কাজের বিষয়ে খসড়া প্রণয়নকারীরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বা বাইরের বিশেষজ্ঞদের সাথে
আলাপ আলোচনা করতে পারেন যারা বিলেট বৈষযিক ব্যাপারে বিজ্ঞ। তারা বিলের কোনো ধারার সাথে আইন ও
সাংবিধানিক সংঘর্ষ রয়েছে এমনি মনে করলে এটোর্নি জেনা রেলের কাছে আইনী সাহায্য চাইতে পারেন। এমনকি
নির্দি ষ্ট বিলের খসড়া প্রণয়নের জন্য তারা বাংলাদেশ আইন কমিশনের সাহায্য চাইতে পারেন।

খসড়া প্রণয়নকারী উইং কর্তৃ ক খসড়া বিল তৈরি সম্পূর্ণ হওয়ার পরপরই তা আইন,সংসদ ও বিচার বিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। তার অনুমোদন লাভের পর খসড়া বিল প্রাথমিক
রাজনৈতিক সমর্থনের জন্য আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পেশ করা হয়। পরবর্তীতে খসড়া বিল সংশ্লিষ্ট
মন্ত্রণালয়ের কাছে ফেরৎ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মন্ত্রণালয় আবার সে খসড়া বিল বিস্তারিত পড়ে দেখে যে সে বিল পাসের

2
Law Making Process in Bangladesh Parliament

পেছনে তাদের উদ্দেশ্য ও মন্ত্রীসভার নির্দে শনা উল্লেখ আছে কি না। তারপর সে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বিলটি চু ড়ান্ত খসড়া
অনুমোদন দেন।

বিলের গ্রহণযোগ্য ফর্ম তৈরির পর, বিলটি আবার মন্ত্রীসভার কাছে একটি সরকারী বিল হিসেবে চু ড়ান্ত অনুমোদনের
জন্য পাঠানো হয়। মন্ত্রীসভা সে বিলে অনুমোদন দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট মনন্ত্রণালয় প্রাথমিক লেজিসলেটিব স্তর শুরু
করার উদ্দেশ্যে তা সংসদীয় সচিবালয়ে পেশ করে।

Legislative Phase:-
সংসদে বিলটি উপস্থাপনের পূৃবে সংসদ সচিবের অনুমোদন লাবের জন্য নোটিশ পেশ করার মাধ্যমে লেজিসলেটিব স্তর
শুরু হয়। আইন সভায় বিলকে তিনটি আলাদা ধাপের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। যা সংসদীয় আলাপ অালোচনায় প্রথম
রিডিং, দ্বিতীয় রিডিং, এবং তৃ তীয় রিডিং হিসেবে পরিচিত।
রুলস অফ প্রসেডার অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মন্ত্র্রনালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী সংসদে বিল উপস্থাপানের ৭ দিন(সরকারি বিল) ও
১৫ দিন (প্রাভেট বিল) পূর্বে সংসদ সচিবের কাছে লিখিত নোটিশ পাঠাবেন। তবে সরকারী বিলের ক্ষেত্রে স্পিকার
যথেষ্ট কারণ দেখিয়ে সে নিয়ম বাতিল করতে পারেন যাতে অল্প সময়ের ভেতরে আইনি প্রস্তাব সংসদে উত্থাপন বরা
যায়।

সরকারী এবং প্রাইভেট বিলের ক্ষেত্রে যথাক্রমে দুটি ও তিনটি বিল কপি সহ উদ্দেশ্য ও কারণ দর্শিয়ে একটি ব্যাখামূলক
বিবৃতি প্রতান করতে হয়। যদি সংবিধান অনুযায়ী সে বিল সংসদে উত্থাপনের পূর্বে রাষ্ট্রপতির সুপারিশ তরকার হয়,
সে বিলের সাথে মন্ত্রী সাক্ষরিত একটি সার্টি ফিকেট থাকবে যে রাষ্ট্রপতি বিলটি সংসদে উত্থাপনের সুপারিশ করেছেন।
নোটিশ। ব্রিটিশ হাউজ অফ কমন্সের মত বাংলাদেশ জাতীয় সংসদেও দিনের অর্ড ার অনুসারে উত্থাপিত হয় যা সংসদে
সরকারী বিজনেস ডে, ও প্রাইভেট মেম্বারস বিজনেস ডে হিসেকে পরিচিত। বৃহস্পতিবার প্রাইভেট মেম্বারস বিলের
জন্য সংরক্ষিত, আবার সরকারী বিল বৃহস্পতিবার ছাড়া যে কোনো দিন উত্থাপন করা যেতে পারে। সংসদে বিল
উত্থাপনের পর, যেকোনো সদস্য এর বিরোধীতা করতে পারে। যখন বিল উত্থাপনে বিরোধীতা করার মোশন নেয়া
হয়।

স্পিকার তখন বিরোধীতা কারী সদস্যর কাছ তার বিরোধীতার কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ প্রেরণ করতে পারেন।
পরে আর বিতর্কে না গিয়ে স্পিকার বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য সংসদ অভ্যন্তরে ভোটাভু টির আয়োজন করতে
পারেন। স্পিকারের অনুমতি সাপেক্ষে মেম্বার ইন চার্জ ফর্মালি বিল উত্থাপনে মোশন গ্রহণ করেন। তখন সংসদে বিল
উত্থাপিত হয়ে যায়। এ প্রক্রিয়া সাধারণত ফার্স্ট রিডিং নামে পরিচিত। সংসদে বিল উত্থাপিত হওয়ার পরপরই তা
অফিসিয়াল গেজেটে প্রকাশিত হয়। সংসদ সচিব যতদ্রুত সম্ভব বিলটি উদ্দেশ্য ও কারণ, প্রয়োজনে অর্থ মেমোরেন্ডাম
সহ প্রকাশ করার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

বিল সংসদে উত্থাপিত হওয়ার পরপরই সেকেন্ড রিডিং শুরু হয়। বিলের দায়িত্বে থাকা সদস্য বিলটি বিবেচনায় নেয়া
বা স্ট্যান্ডিং অথবা সিলেক্ট কমিটির কাছে প্রেরণ, অথবা জনমত সংগ্রহের জন্য গণমাধ্যমে পাঠাতে পাঠানোর প্রস্তাব
দেন। তবে যেকোনো সদস্য বিলের দায়িত্বে থাকা সদস্যর প্রস্তাবের বিরোধীতা করতে পারেন। যেমন, দায়িত্ব থাকা
সদস্য বিলটি বিবেচনায় নেয়ার প্রস্তাব দিলে, যে কোনো সদস্য সে বিল সিলেক্ট কমিটির কাছে সংশোধনের উদ্দেশ্যে
পাঠানোর প্রস্তাব রাখতে পারেন।

উপর্যুক্ত মোশনের পর লম্বা ও জটিল প্রকৃ তির সেকেন্ড রিডিংয়ের শুরু হয়। এ পর্যায়ে প্রথমে বিলে কোনো সংশোধন
আনা যায় না। শুধুমাত্র সর বিলের প্রিন্সিপলস অথবা সাধারণ শর্ত আলোচিত হয়। তবে বিলটি আপাদ মস্তক
আলোচনা না করে শুধুমাত্ প্রয়োজনীয় প্রিন্সিপলস আলোচনা করা হয়। বিলের পরবর্তীয় কার্যক্রম কি হবে তা
নির্ধারণ করার জন্য স্পিকার পরে ভোটাভু টির আয়োজন করেন।বিল বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেয়া হলে, স্পিকার পরে সে
বিলের ক্লোজ বা ক্লোজ আলোচনা ও সংশোধনের জন্য একটি দিন নির্ধারণ করেন। এ অংশে, ভোটাভু টির মাধ্যমে
বিলের কোনো ধারা সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে বিলটি বিবেচনা করার প্রস্তাব গৃহীত না হলে আরও নিবিড়
পর্যবেক্ষণের জন্য সিলেক্ট বা স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে প্রেরণ করা হয়। কমিটি। সংসদের কাছে একটি রিপোর্ট সহ
আবার সংসদে পাঠায় যেখানে সংশোধনী প্রস্তাব থাকতে বা নাও থাকতে পারে। মেম্বার ইন চার্জ তখন রিপোর্ট
পাওয়ার পর বিলটি বিবেচনায় নেয়ার জন্য আবার প্রস্তাব পেশ করতে পারে। তাছাড়াও যেকোনো সদস্য বিলে আরও
কোনো সংশোধন আনার সুপারিশ করতে পারে।কমিটি রিপোর্টে র কপি সকল সংসদ সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া

3
Law Making Process in Bangladesh Parliament

হয়। যখন বিল বিবেচনায় নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, স্পিকার ক্লুজ বাই ক্লোজ অথবা সামগ্রিকভাবে সে বিল সংদদে
ভোটের জন্য পেশ করেন। এসব কার্যপ্রণালী সেকেন্ড রিডিংয়ের অন্তর্ভূ ক্ত। থার্ড রিডিং সাধারণত খুব সংক্ষিপ্ত
আকারের হয়ে থাকে। মেম্বার ইন চার্জ উত্থাপিত বিল পাশ করার প্রস্তাব দেন, স্পিকার তখন সংসদে কোনো বিতর্কে র
সুযোগ না দিয়ে বিলটি পাশ করা হবে কি না তা দেখতে ভোট আয়োজন করেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত সদন্যর উপস্থিতিতে
সংখ্যাগরিষ্ট ভোটের ভিত্তিতে বিলটি পাশ করা হয়। তবে তা কোরামের উপর নির্ভ রশীল।

পোস্ট লেজিসলেটিভ পর্যায়

পোস্ট লেজিসলেটিভ পর্যায়ে রাষ্ট্রপতির অনুমতি ও সে বিলটি অফিসয়াল গেজেট আকারে প্রকাশ অন্তর্ভূ ক্ত। রাষ্ট্রপতি
সংবিধানের ৮০ নং ধারা মোতাবেক সাধারণ ও অর্থবিলে অনুমতি প্রদান করেন। রাষ্ট্রপতিকে ১৫ দিনের ভেতরে সে
বিলে অনুমোদন দিতে হয় নতু বা বিলটি অটোম্যাটিক্যলি পাশ হয়েছে বলে বিবেচনা করা হয়। রাষ্ট্রপতি কর্তৃ ক
অনুমোদিত হওয়ার পর অথবা অনুমোদিত হয়েছে এমনটা বিবেচনা করলে, পুনর্বিবেচনা ও সংশোধনী সুপারিশসহ
রাষ্ট্রপতি সে বিল আবার সংসদের কাছে ফেরৎ পাঠান(অর্থবিলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়) সংসদ চাইলে বিলে কোনো
সংশোধন এনে বা না এনেও পাশ করতে পারে। পুনর্বিবেচিত বিল আবার রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়, তখন
রাষ্ট্রপতিকে ৭ দিনের ভেতরে সে বিল অনুমোদন করতে হয় আর না করলেও তা অনুমোদিত হয়েছে বলে বিবেচিত
হয়। সংসদে গৃহীত অর্থ বিল রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করার পূর্বে তাতে স্পিকারের স্বাক্ষরযুক্ত সার্টি ফিকেটের প্রয়োজন
হয় যে এটি একটি অর্থ বিল। স্পিকারের এ স্বাক্ষর দ্বারা রাষ্ট্রপতিকে সম্ভবত মনে করিয়ে দেয়া হয় যে অর্থবিল
সাধারণ বিলের মত সংসদের কাছে পুনর্বিবেচনার জন্য ফেরৎ পাঠানো যাবে না। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর,
সংসদ সচিব সে বিল সংসদ এক্ট হিসেবে অফিসিয়াল গেজেট আকারে প্রকাশ করেন। সে বিলের অরিজিনাল সাক্ষরিত
কপি ভ্যারিফিকেশন ও রেকর্ডে র জন্য সংসদে সংরক্ষণ করা কয় যা সরপিকারের অনুমতি ব্যতীত সংসদের বাইরে
নেয়া যায় না।

You might also like