Download as pdf or txt
Download as pdf or txt
You are on page 1of 4

১৯৫৮ সালের জানাুয়ারীতে, মাও সে তু ং কৃ ষী ভিত্তিক চীনকে শিল্পউন্নত রাষ্ট্রে পরিবর্ত ন করার লক্ষ্যে পাচ বছর

মেয়াদী একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। যা সোভিয়েত ইউনিয়নের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মডেলের বিকল্প একটি মডেল
ছিলো যেখানে ভারী শিল্প স্থাপনের উপর জোর দেয়া হয়। এ অর্থনৈতিক প্রোগ্রামে তখন পর্যন্ত গড়ে ওঠা
তু লনামূলকভাবে ক্ষু দ্র কৃ ষি উৎপাদন কেন্দ্র একত্র করে এক বৃহৎ কেন্দ্রে রুপান্তর করা হয়। আর অধিকাংশ কৃ ষককে
বড় বড় কাঠামো তৈরির প্রজেক্ট এবং লোহা ও ইস্পাত উৎপাদনের কাজে যোগদান করার জন্য আদেশ করা হয়।
কিছু প্রাইভেট ফু ড উৎপাদন কেন্দ্রের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আর মৎস্য উৎপাদন কেন্দ্র ও ফার্ম রাষ্ট্রীয়
মালিকানায় নিয়ে আসা হয়।

গ্রেট লিপ ফরওয়ার্ড প্রোগ্রামে মাও ও অন্যান্য দলীয় নেতা বৃহৎ কৃ ষি উৎপাদন কেন্দ্রকে অসংখ্য বিভিন্ন অবৈজ্ঞানিক,
অপরীক্ষিত ও অবৈজ্ঞানিক কৃ ষি পদ্ধতি প্রয়োগ করার নির্দে শ দেন। তবে চক্রাকারে আবর্ত নশীল প্রাবৃতিক দুর্যোগ ও
স্টিল উৎপাদন ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়ন কাজে কৃ ষিভিত্তিক শ্রম নিয়োগ করার ফলে শস্য উৎপাদনের পরিমাণ
১৯৫৯ সালে প্রায় ১৫% এর মত কমে যায়, আর ৬০ সালে তা আরও ১০% হ্রাস পায় যা ১৯৬১ সালেও পূরণ করা
সম্ভব হয় নি।

উচ্চ পদস্ত কর্মকর্ত াদের অনুগ্রহ পেতে আর এসব দুর্যোগের জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়া এড়ানোর জন্য দলের পদক্রমের
প্রত্যক স্তরের কর্মকর্ত ারা নিজেদের অধীনস্ত উৎপাদন কেন্দ্রে শস্য উৎপাদনের পরিমাণ নিয়ে অযথা বাড়িয়ে বলেন।
মনগড়া সফলতার উপর নির্ভ র করে দলীয় কর্মকর্ত াদের বিপুল পরমাণ শস্য রাষ্ট্রীয় ভোগ, বিশেষ করে শহরাঞ্চল ও
টাউন এলাকার ভোগের জন্য ও রপ্তানির উদ্দেশ্য সংগ্রহ করার নির্দে শ দেওয়া হয়। তাছাড়া কিছু অঞ্চলে বন্যা ও
খরার ফলে কৃ ষকরা নিজেদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ শস্য উৎপাদনে ব্যর্থ হয়, তার উপর সরকারী কর্মকর্ত ারা তাদের
কাছে যে পরিমাণ শস্য ছিলো তার প্রায় সবটু কু রাষ্ট্রীয় ভোগ ও রপ্তানির উদ্দেশ্যে নিয়ে নেওয়ায় গ্রেট চাইনিজ দুর্ভি ক্ষে
মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ মারা যায়। শহরে বসবাসরত মানুষকে প্রতিমাসে ফু ড স্ট্যাম্প দেওয়া হয় কিন্তু গ্রাম্য
এলাকার জনগনকে এরকম কিছু দেওয়া হয় নি, তাদের উপর বরং নিজের খাদ্য নিজে উৎপাদন করার দায়িত্ব দেওয়া
হয় তার সাথে উৎপাদিত শস্যর কিছু অংশ সরকারকে দেওয়ার জন্য বলা হয়। ফলে খাদ্যাভাবের কারণে গ্রাম্য
এলাকার মৃতের সংখ্য শহরাঞ্চলের মৃতের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যায়। তারপরেও চাইনিজ সরকার খাদ্য রপ্তানি বন্ধ করে
দেশের উপোস জনতার মধ্য বিতরণ করে নি। এসব কারণের দেশের মৃতের সংখ্যা ৫২ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়। এর
মধ্য।১৯৫৯-৬২ সালের মধ্যই দুর্ভি ক্ষের প্রত্যক্ষ প্রভাবে ৩০ মিলিয়ন মানুষ মৃত্যুবরণ করে। তাছাড়াও অসংখ্য শিশু
খাদ্যভাবে অপুষ্টিজনিত কারণে কৃ শকায় হয়ে যায় এবং ১৯৬২ সালে গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ড মুভমেন্ট শেষ হওয়া পূর্বে
অনেকে মৃত্যুবরণ করে।

দুর্ভি ক্ষ সম্পর্কে মাওয়ের অল্প জ্ঞান অনেক বিতর্কে র জন্ম দেয়। মাওয়ের ব্যক্তিগত চিকিৎসক মনে করেন যে মাওয়ের
মধ্য সম্ভবত তার নীতি নিয়ে আত্মসমালোচনা করতে অনীহাবোধ ছিল, এবং তার দলীয় নেতা কর্মী খাদ্য উৎপাদনের
পরিমাণ নিয়ে বাড়াবাড়ি করায় মাও যথাযথ সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হন।
দুর্ভি ক্ষের তীব্রতা সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর মাও ও তার অধীনস্ত কর্মকর্ত ারা মাংস খাওয়া বন্ধ করে দেন। তবে
হংকংয়ের ঐতিহাসিক Frank Dikotter এ ধারণার প্রতি চ্যালেঞ্জ জানান যে মাও চীনের দুর্ভি ক্ষের তীব্রতা সম্পর্কে
প্রথমে খুব একটা জানতেন না।

সরকার ভু লক্রমে চাহিদার তু লনায় বেশি শস্য উৎপাদিত হয়েছে এমনটা ভেবে গ্রাম্য এলাকা থেকে উৎপাদনের
তু লনায় অধিক পরিমাণ শস্য নিয়েছে এমন ধারণা ভু ল ছিলো, অন্তত ১৯৫৮ সালে পূর্বে এমন ধারণা সত্য ছিলো।
কিন্তু তার পর মাওয়ের কমিনিউস্ট দলের কেন্দ্রীয় কর্মকর্ত ারা দেশে তীব্র খাদ্যাভাবের ফলে যে মানুষ মারা যাচ্ছে তা
জানতেন। ১৯৫৯ সালের ২৫ শে মার্চে শাংহাইর জিনজিয়াং হোটেলে এক গোপন মিটিংয়ে মাও সুনির্দি ষ্টভাবে তার
দলীয় কর্মকর্ত াদের সমগ্র দেশে উৎপাদিত শস্যর তিনভাগের এক ভাগ সংগ্রহ করার নির্দে শ দেন। সরকারের এমন
দাবী ছিলো প্রকৃ ত অর্থে মোট উৎপাদিত শস্যর চেয়ে অনেক বেশি। সে মিটিংয়ে তিনি ঘোষণা দেন," সম্পদের সম
বন্টন গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ড মুভমেন্টকে ব্যর্থতার দিকে নিয়ে যাবে। জনগনের কাছে যখন যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য নেই,
তাদেরকে না খেয়ে মরতে দেওয়াই উত্তম। অর্ধেক মানুষ খাদ্যাভাবে মারা গেলে বাকি অর্ধেক অন্তত বাঁচবে,"

কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির এমিরেটাম অধ্যাপক থমাস বার্নস্টেইন ১৯৫৯ সালে ২৫ মার্চে র মিটিংয়ে মাওয়ের দেওয়া
বিবৃতির উপর আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন মাসের

1
কিছু বিশেষজ্ঞের মত হচ্ছে মাও অসংখ্য মানুষের খাদ্যাভাবে মৃত্যুর বিষয়টি হালকাভাবে নিয়েছিলেন। তবে অন্যান্য
বিশেষজ্ঞ বলেন মাও আসলে এরকম খাদ্যাভাবে উচ্চ হারে মৃত্যুর বিষয়টি হালকাভাবে নেন নি। Zhou
Chronology তে দেখা যায়, ১৯৫৮ সালের অক্টোবরে মাও ইউনান প্রদেশে চল্লিশ হাজার খাদ্যাভাবে মানুষের মৃত্যুর
খবর শুনে বিচলিত হন।২৫ মার্চে র মিটিয়ের পর তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে ২৫.২ মিলিয়ন মানুষ খাদ্যভাবে মৃত্যুর
ঝু কিতে আছে। কিন্তু মাও জিনজিয়াং ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার আগে খাদ্যাভাবের কথা প্রায় ভু লে গিয়েছিলেন।

গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ড মুভমেন্টের প্রথম দিকে কমিউন সদস্যদের কমিউনাল কেন্টিনে খাওয়া দাওয়া করার জন্য
উৎসাহিত করা হয়, শেষের দিকে খাদ্য ও জ্ালানির অভাবে অনেক কেন্টিন বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৬ সালে চীনা
কোয়ার্ট ারলিতে প্রকাশিত Mao-Zedong and the famine of 1959-1960: a study in wilfulness''
আর্টি কেলে, প্রফেসর থমাস বার্নস্টেইন গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ডে র বিভিন্ন স্তরে মাওয়ের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্ত ন নিয়র
বিস্তারিত অালোচনা করেন।

১৯৫৮ সালের বসন্তের শেষের দিকে মাও গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ড মুভমেন্টের বিভিন্ন কার্যক্রমের কড়া সমালোচনা
করেন, যেমন কৃ ষকদের কে পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও খাদ্যের সুযোগ না দিয়ে দীর্ঘ সময় কাজ করানো, ফলশ্রুতিতে দেশে
মহামারী রোগ, খাদ্যাভাবে উপোস ও মৃত্যুর মত ঘটনা ঘটে।

সে সময় মাও জীবিকার বিনিময়ে উৎপাদনের প্রধান কারণ হিসেবে কেন্দ্রীয় অফিসের উপর ডানপন্থী বিরোধীদের
ক্রমাগত চাপকে মাও স্পষ্টভাবে স্বীকৃ তী দেন।

তবে তিনি এ বিষয় স্বীকার করেন নি যে গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ড মুভমেন্ট বাতিল করার ফলে যে সকল সমস্যা সমাধান
হয়ে যাবে তা তিনি অস্বীকার করেন। যদিও তিনি সেসব সমস্যা সমাধানের জন্য যথেষ্ট উদগ্রীব ছিলেন। ১৯৫৯
সালের জুলাই মাসে Lushan এর সাথে দ্বন্দ্বের পর মাও লিপ ফরোয়ার্ড মুভমেন্টকে কঠোর ডানপন্থী বিরোধী অভিযান
হিসেবে রুপদান করেন। এ কঠোর অভিযান একনাগাড়ে ১৯৬০ সালের বসন্ত পর্যন্ত চলতে থাকে। ১৯৬০ সালে বসন্ত
ঋতু র পর মাও আবারও অসববাভাবিক মৃত্যুহার ও অন্যান্য সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন, কিন্তু এসব বন্ধ
করার জন্য তৃ ণমূল পর্যায়ের কর্মকর্ত াদের উপর যথেষ্ট চাপ প্রয়োগে ব্যর্থ হন। গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ড মুভমেন্টের
চরমপন্থী নীতির ফলে কৃ ষকদের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছিলো তা দেখে রেডিক্যাল পন্থার ফলে যে আবারও এরকম
ভয়ঙ্কর সমস্যা সৃষ্টি করবে তা তার ভাবা উচিত ছিলো। তার বদলে তিনি প্রথম প্রথম সৃষ্টি হওয়া সমস্যার ফলে যে
ক্ষতি হয়েছিলো তা ভু লে গিয়ে আবারও চরমপন্থী মতাদর্শগত ও উন্নয়নমূলক লক্ষ্য অর্জ নের উদ্দেশ্যে আরও কঠোর
অভিযান চালান।
Jasper Becker তার ইন হাংরি গোস্টস: মাও'স সিক্রিট ফ্যামিন(in hungry ghosts: mao's secret famine)
গ্রন্থে লিখেন। মাও কৃ ষকরা মিথ্যা বলছে এবং ডানপন্থি ও কুলাকরা শস্য লুকিয়া গোদামজাত করছে এমনটা বিশ্বাস
করে তার কাছে প্রেরিত খাদ্যভাব সম্পর্কি ত রিপোর্ট মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন ও তিনি তার কঠোর অভিযান হতে সড়ে
দাড়াতে অস্বীকৃ তি জানান।

মাও রাষ্ট্রীয় খাদ্য গোদাম তৈরি করতে অস্বীকার করেন, তার বদলে তিনি অসংখ্য অ্যান্টি-গ্রেইন কনসিলমেন্ট
অভিযান শুরু করেন যার ভয়ে অনেক কৃ ষক আত্মহত্যা করে। তবে অ্যান্টি গ্রইন কনসিলমেন্ট অভিযান বাস্কবায়নে
মাওয়ের তৃ ণমূল দলীয় নেতাকর্মী বেশ তৎপর ছিলেন। তারা গ্রামে গ্রামে গিয়ে গোপন খাদ্য গোদাম খুজ করতে শুরু
করেন। শুধু খাদ্যই নয়, মাও তাদের কে শোকর, মোরগ, হাস ও ডিমের রিজার্ভ খুজ করার নির্দে শনা দেন। খাদ্য
গোপনে লুকিয়ে রাখার অভিযোগে অনেক কৃ ষক পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

এ দুর্যোগের কারণ যেটিই হোক না কেন মাও তার নিজ দলীয় উচ্চ পদস্ত ক্যাডারদের মধ্য নিজের গুরুত্ব হারিয়ে
ফেলেন। ১৯৬২ সালে তাকে গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ড নীতি ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। এবং মধ্যপন্থী নেতা Deng
Xiaoping এবং Liu Shaoqi'র কাছে রাজনৈতিক ক্ষমতা হারান। মাও রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের সুযোগ নিয়ে দাবী
করেন যে শুধুমাত্র তাকেই একতরফাভাবে দুর্ভি ক্ষের জন্য দায়ী করা হচ্ছে। ফলে ১৯৫৯ সালের ২৭ এপ্রিলে মাওকে
চাইনিজ কমিনিউস্ট পার্টি র প্রেসিডেন্ট হিসেবে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। তারপরেও তিনি কমিউনিস্ট পার্টি র
চ্যায়ার পদটি ধরে রাখতে পেরেছিলেন যখন Liu Shaoqi কমিনিউস্ট পার্টি ও চীনের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত
হন।

2
The Great Leap Forward was a tragedy for the vast majority of the Chinese. Although the
steel quotas were officially reached, almost all of the supposed steel made in the countryside
was iron, as it had been made from assorted scrap metal in home-made furnaces with no
reliable source of fuel such as coal. This meant that proper smelting conditions could not be
achieved. According to Zhang Rongmei, a geometry teacher in rural Shanghai during the
Great Leap Forward:

We took all the furniture, pots, and pans we had in our house, and all our neighbours did
likewise. We put everything in a big fire and melted down all the metal.

The worst of the famine was steered towards enemies of the state.[208] As Jasper Becker
explains:

The most vulnerable section of China's population, around five per cent, were those whom
Mao called 'enemies of the people'. Anyone who had in previous campaigns of repression
been labeled a 'black element' was given the lowest priority in the allocation of food.
Landlords, rich peasants, former members of the nationalist regime, religious leaders,
rightists, counter-revolutionaries and the families of such individuals died in the greatest
numbers.[209]

At a large Communist Party conference in Beijing in January 1962, dubbed the "Seven
Thousand Cadres Conference", State Chairman Liu Shaoqi denounced the Great Leap
Forward, attributing the project to widespread famine in China.[210] The overwhelming
majority of delegates expressed agreement, but Defense Minister Lin Biao staunchly
defended Mao.[210] A brief period of liberalization followed while Mao and Lin plotted a
comeback.[210] Liu Shaoqi and Deng Xiaoping rescued the economy by disbanding the
people's communes, introducing elements of private control of peasant smallholdings and
importing grain from Canada and Australia to mitigate the worst effects of famine.[211]

Consequence

পরিণাম
১৯৫৯ সালে জুলাই/আগস্টের লুসান সম্মেলনে। কয়েকজন মন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে গ্রেট লি ফরোয়ার্ড মুভমেন্ট
পরিকল্পনানুযায়ী সফল হয়নি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও কোরীয়ো যুদ্ধ কিংবদন্তি জেনারেল Peng Dehuai সরাসরি
সমালোচনামুখর ছিলেন। গ্রেট লি ফরোয়ার্ড মুভমেন্টের ব্যাপারে পেংয়ের সমালোচনার পর, মাও পেং ও তার
সমর্থকদের একত্রিত করার মাধ্যমে গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ড মুভমেন্টের নীতির ব্যাপারে সমালোচনা বন্ধ করা চেষ্টা
করেন। উচ্চ পদস্ত কর্মকর্ত াদের মধ্য যারা গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ড মুভমেন্ট চলাকালীন দুর্ভি ক্ষর আসল চেজারা প্রকাশ
করার ফলে মাও তাদেরকে ডানপন্থি সুবিধাবাদী আখ্যা দেন। তখন ডানপন্থী সুবিধাবাদীদের বিরুদ্ধে একটি অভিযান
শুরু হয় যার ফলে অনেক দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ কৃ ষককে জেলের শ্মাগারে পাঠানো হয় যেখানে অনেকে
দুর্ভি ক্ষের প্রভাবে মারা যায়। কিছু বছর পর চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টি নিজেই স্বীকার করে যে প্রায় ৬ মিলিয়ন
মানুষকে সে অভিযানে ভু লে শাস্তি দেয়া হয়েছিলো।

গ্রেট লিপ ফেোয়ার্ মুভমেন্টে মৃত্যুবরণকারীদের সঠিক সংখ্যা নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে। ১৯৮০ সালের মধ্যবর্তী
সময়ে আদম শুমারি রিপোর্ট সরকারীভাবে প্রকশিত হলে বুঝা যায় যে সে দুর্ভি ক্ষ জান মালের উপর কতটু কু বিরুপ
প্রভাব ফেলেছিলো। তবে চীনের গ্রাম্য এলাকার উপর সে দুর্ভি ক্ষের প্রভাব সম্পর্কে তেমন একটা জানা যায়নি। কারণ
তখন পশ্চিমা পর্যবেক্ষকদের গ্রামে প্রবেশ করার উপর নিশেধাজ্ঞা জারি বরা জয়েছিলো । হংকং ও তাইওয়ান থেকে
পশ্চিমা বিশ্বে যাওয়া ব্যক্তি গত রিপোর্ট কে হয়েছিলো চীনের পক্ষ দেশের খাদ্য শস্যর পরিমাণ নিয়ে উচ্চ বাক্য ব্যক্ত
করছিলো। কারণ মাও সরকার তখনও দেশে রেকর্ড পরিমাণ খাদ্য শস্য উৎপাদিত হয়েছে এবং চীন বিশ্বের অন্যতম

3
থাদ্য রপ্তানিকারক দেশ এমন দাবী করে আসছিলো। কারণ মাও সরকার ১৯৬০-৬২ সালের মধ্যই সোভিয়েত
ইউনিয়নের মোট ১.৯৭৩ বিলিয়ন ইউআন ঋণ পরিশোধ করতে চেয়েছিলো। রপ্তানির হার ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়,
আর উত্তর ভিয়েতনাম, আলবেনিয়া উত্তর কোরিয়ার মত কমিউনিস্ট রাষ্ট্রে টাকা ছাড়াই শস্যাদি দেয়া হয়।

চীনে ১৯৫৩, ৬৪, ও ৮২ সালে আদমশুমারি হয়।১৯৬৪ সালে আমেরিকান জনসংখ্যা তাক্ত্বিক ড, জুডিত ব্যানিস্টার
আদমশুমারীর সাহায্যে দুর্ভি ক্ষের কারণে মৃত্যু হওয়া মানুষের সংখ্যা বের করতে চেষ্টা চালান. অাদমশুমারির মধ্য
দীর্ঘ ব্যবধান থাকায় প্রাপ্ত তথ্য ও উপাত্তের নির্ভ রযোগ্য ও নিখুত
ঁ তা নিয় সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তারপরও ব্যানিস্টার
মরে করেন যে সরকারি তথ্য মতে প্রায় ১৫ মিলিয়ন মানুষ শুধুমাত্র ১৯৫৮-৬১ সালের মধ্যই।মৃত্যুবরণ করে। তবে
সেসময় তার তৈরি চাইনিজ জনসংখ্যা মডেলের উপর ভিত্তি করে বলেন যে প্রায় ১৫ মিলিয়নের মত মৃত মানুষের
সংখ্যা হিসেবে করা হয় নি। Hu Yaobang, Yang Jisheng(সাবেক সিনহুয়া নিউজ রিপোর্ট ার) দেওয়া সরকারী
উপাত্ত মতে বিশ।মিলিয়ন মানুষ মৃতু বরণ করেছিলো। Yang Jisheng একজন জাতীয় পত্রিকার রিপোর্ট ার হওয়ায়
তিনি বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দুর্ভি ক্ষের প্রভাব প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তার মতে প্রায় ৩৬
মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছিলো। Frank Dikotter ১৯৫৮-৬২ মধ্যকার সময়ে গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ড মুভমেন্টে
আনরিয়ালিস্টিক নীতির ফলে প্রায় ৪৫ মিলিয়ন মানুষে অকাল মৃত্যু হয়েছিলো।

You might also like