Professional Documents
Culture Documents
স্ত্রোত্র
স্ত্রোত্র
----------------------------
সরস্বতী পূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি অন্যতম প্রচলিত পূজা। সরস্বতী দেবীকে শিক্ষা, সংগীত ও শিল্পকলার
দেবী ও আশীর্বাদাত্রী মনে করা হয়। বাংলা মাঘ মাসের ৫মী তিথিতে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা, সংগীত ও
শিল্পকলায় সফলতার আশায় শিক্ষার্থীরা দেবীর পূজা করে থাকে।
বাকদেবী, বিরাজ, সারদা, ব্রাহ্মী, শতরূপা, মহাশ্বেতা, পৃথুধর, বকেশ্বরী সহ আরো অনেক নামেই দেবী ভক্তের
হৃদয়ে বিরাক করে।
পুরাণ অনুযায়ী দেবী সরস্বতী ব্রহ্মের মুখ থেকে উথ্থান। দেবীর সকল সৌন্দর্য্য ও দীপ্তির উৎস মূলত ব্রহ্মা। পঞ্চ
মস্তকধারী দেবী ব্রহ্মা এক স্বকীয় নিদর্শন।
পূজার জন্য দেবী সরস্বতীর মূর্তি শ্বেত বস্র পরিধান করে থাকে যা পবিত্রতার নিদর্শন। দেবীর আসন কে
পুষ্পশোভামন্ডিত করে রাখা হয়। পরিবারের সকল সদস্য খুব ভোরে স্নান শেষে পরিস্কার বস্র পরিধান করে দেবীর
সামনে অবস্থান করে থাকে। পুরোহিত পূজা শুরু করবার আগ পর্যন্ত দেবীর মুখমন্ডল ঢাকা থাকে। পূজার অর্ঘ্যর
পাশাপাশি দেবীর পূজার অারেকটি প্রধান অংশ ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যপুস্তক। সরস্বতী পূজার একটি বিশেষ অর্য্য হল
পলাশ ফুল। দেবীর অঞ্জলীর জন্য এটি একটি অত্যবশ্যকীয় উপাদান।
প্রনাম মন্ত্র
-------
সরস্বতীর স্তব
---------
মা সরস্বতীর ধ্যানমন্ত্র-
---------------
ব্রহ্মা কমণ্ডলুধরশ্চতুর্বক্রশ্চতুর্ভুজঃ।
কদাব্রহ্মা কমণ্ডলুধরশ্চতুর্বক্রশ্চতুর্ভুজঃ।
কদাচিৎরক্তকমলে হংসারূঢ়ঃ কদাচন।।
বর্ণেন রক্তগৌরাঙ্গঃ প্রাংশুস্তুঙ্গাঙ্গ উন্নতঃ
কমণ্ডলুর্বামকরে স্রুবো হস্তে তু দক্ষিণে।
দক্ষিণাধস্তথা মালা বামাধশ্চ তথা স্রুবঃ।
আজ্যস্থালী বামপার্শ্বে বেদাঃ সর্বেহগ্রত স্থিতাঃ।।
সাবিত্রী বামপার্শ্বস্থা দক্ষিণস্থা সরস্বতী।
সর্বে চ ঋষয়োহ্যগ্রে কুর্যাদেভিশ্চ চিন্তনম।।
অদৈতামৃতবর্ষিণীং ভগবতীমষ্টাদশাধ্যায়িনীম ।।
ত্বামনুসন্দধামি ভগবদ্গীতে ভবদ্বেষিনীম্।।২।
প্রপান্নপারিজাতায় তোত্রবেত্রৈকপাণয়ে। ।
জ্ঞানমুদ্রায় কৃষ্ণায় গীতামৃতদুহে নমঃ ।।৪।
বঙ্গানুবাদ :-
অন্যান্যগীতা সাক্ষাৎ পদ্মনাভ নারায়ণের মুখ হতে নিঃসৃতা। তাকেই উত্তমরূপে পাঠ করা উচিৎ।। ১
গীতা সর্বশাস্ত্রময়ী, হরি সর্বদেবস্বরূপ, গঙ্গা সর্বতীর্থময়ী এবং গায়ত্রী সর্বদেবময়।।২
গ-কার যুক্ত গীতা, গঙ্গা, গায়ত্রী ও গোবিন্দ যাঁর হৃদয়ে অবস্থান করেন, তাঁর আর পুনর্জন্ম হয় না।।৩ যিনি
ভক্তিপূর্ণ হৃদয়ে গীতাপাঠ করেন, তিনি বেদ, পুরাণাদি সকল ধর্মশাস্ত্রের
সারমর্ম অবহত হন।। ৪
গীতার ধ্যান
অর্থাৎ, “যিনি একদন্ত, মহাকায়, লম্বোদর, গজানন এবং বিঘ্ননাশকারী সেই হেরম্বদেবকে আমি প্রণাম করি।”
শ্রী গনেশ ধ্যান মন্ত্র -
--------------
অর্থাৎ:- “যিনি খর্বাকৃ তি, স্থূলশরীর, লম্বোদর, গজেন্দ্রবদন অথচ সুন্দর; বদন হইতে নিঃসৃত মদগন্ধে প্রলুব্ধ
ভ্রমরসমূহের দ্বারা যাঁহার গণ্ডস্থল ব্যাকুলিত; যিনি দন্তাঘাতে শত্রুর দেহ বিদারিত করিয়া তাহার দন্ত দ্বারা নিজ
দেহে সিন্দূরের শোভা ধারণ করিয়াছেন; সেই পার্বতীপুত্র সিদ্ধিদাতা গণপতিকে বন্দনা করি।
গায়ত্রী মন্ত্র:-
---------
নমস্তে পরমং ব্রহ্ম সর্বশক্তিমতে নম৷৷ নিরাকারোহপি সাকারঃ স্বেচ্ছারূপং নমো নমঃ৷
যস্মাৎ পরং নাপরমস্তি কিঞ্চিদ্ যস্মান্নাণীয়ো ন জায়োহস্তি কিঞ্চিৎ ৷ বৃক্ষ ইব স্তব্ধো দিদি তিষ্টত্যেক স্তেনেদং পূর্ণ পুরুষেণ
সর্বম্৷৷
সূর্যের প্রণামমন্ত্র
-----------
সকল কাজ শুরুর আগে ''ওঁ তৎ সৎ'' উচ্চারণ করে শুরু করুন।
বিপদে- "ওঁ শ্রী মধুসূদনায় নম:"
জন্ম সংবাদ শুনলে- "ওঁ আয়ুষ্মান্ ভব" (তিন বার)
দুঃসংবাদে- "ওঁ আপাদং অপবাদশ্চ অপসরঃ" বলুন।
প্রনব মন্ত্র
-------
অনুবাদ: হে আমার প্রিয় কৃষ্ণ, তুমি করুণার সিন্ধু, তুমি দীনের বন্ধু, তুমি সমস্ত জগতের পতি, তুমি
গোপিকাদের ঈশ্বর এবং শ্রীমতি রাধারাণীর প্রেমাস্পদ, আমি তোমার শ্রীপাদপদ্মে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি।
শ্রীকৃষ্ণের বন্দনা-
তং শ্রীমৎ কৃষ্ণ চৈতিন্য দেবং বন্দে জগদ গুরুং ।
ষস্যানুকল্পয়া স্বাপি মহাদ্ধিং সন্তরেৎ সুখং ।
শ্রীগোবিন্দং ঘনশ্যামং পীতাম্বর ধরং পরং ।।
শ্রী নন্দ-নন্দনং নৌমি শ্রী গোপী জন বল্লভং ।
শ্রীরামং রেবতী কান্তং প্রেমানন্দ কলেবরং ।
রোহিনেয়ৎ ভজের্দ্দেবং কৃষ্ণ ভক্তি প্রদায়কং ।।
গৌরে গৌড়ং জহো ভক্তি ভারং সংন্যস্য যৎ করে ।
তং বংশীবদনং বন্দে প্রভুং শক্ত্যব তারকং ।।
সপর্পন মন্ত্র-
গুহ্যাতি গুহ্য গোপ্তাত্বং গৃহানাস্মৎ কৃতং জপং ।
সিদ্ধি ভবতু মে দেব ত্বৎ প্রসাদাৎ জনার্দন ।।
এ কটু জ ল হস্তে লইয়া-এতং জ লং নমঃ ক্লীঁ শ্রীকৃষ্ণায় অর্পনমস্তুবলিয়া শ্রীকৃষ্ণের হস্তে দেওয়ার উদ্দেশ্যে জ ল অর্পন
করিবেন ।
ওঁ অন্নপতে অন্নস্য নো
দেহ্যনমীবস্য শুষ্মিনঃ ।
প্রপ্র দাতারং তারিষউর্জং নো
ধেহি দ্বিপদে চতুশ্পদে ॥
[যর্জুব্বেদ ১১।৮৩]
ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ ॥।
১) ওঁ অপবিত্র
পবিত্রোবা সর্বাবস্থান
গতহ্বপিবা।
যৎ সরেত পুন্ডরিকাক্ষং স বাহ্য
অভ্যান্তরে শুচি।।
২)পাপোহং পাপ
কর্মাহং পাপাত্মা পাপ
সম্ভাবান্।
ত্রাহি মাং পুন্ডরীকাক্ষং সর্বপাপো হরো হরি।।
২) অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য
জ্ঞানাঞ্জন শলাকয়া।
চক্ষু রুন্মিলিত যেন
তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ।।
অনুবাদ : অজ্ঞতার গভীর অন্ধকারে আমার জন্ম হয়েছিল, এবং আ মা র গুরুদেব জ্ঞা নের আ লো ক বর্তিকা দিয়ে
আমার চক্ষু উন্মীলিত করলেন। তাঁকে জানাই আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি।
#Ashish_chakraborty