Download as txt, pdf, or txt
Download as txt, pdf, or txt
You are on page 1of 10

মাতা সরস্বতীর প্রণাম মন্ত্র, স্তব ও প্রার্থনা মন্ত্র :-

----------------------------

সরস্বতী পূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি অন্যতম প্রচলিত পূজা। সরস্বতী দেবীকে শিক্ষা, সংগীত ও শিল্পকলার
দেবী ও আশীর্বাদাত্রী মনে করা হয়। বাংলা মাঘ মাসের ৫মী তিথিতে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা, সংগীত ও
শিল্পকলায় সফলতার আশায় শিক্ষার্থীরা দেবীর পূজা করে থাকে।
বাকদেবী, বিরাজ, সারদা, ব্রাহ্মী, শতরূপা, মহাশ্বেতা, পৃথুধর, বকেশ্বরী সহ আরো অনেক নামেই দেবী ভক্তের
হৃদয়ে বিরাক করে।
পুরাণ অনুযায়ী দেবী সরস্বতী ব্রহ্মের মুখ থেকে উথ্থান। দেবীর সকল সৌন্দর্য্য ও দীপ্তির উৎস মূলত ব্রহ্মা। পঞ্চ
মস্তকধারী দেবী ব্রহ্মা এক স্বকীয় নিদর্শন।
পূজার জন্য দেবী সরস্বতীর মূর্তি শ্বেত বস্র পরিধান করে থাকে যা পবিত্রতার নিদর্শন। দেবীর আসন কে
পুষ্পশোভামন্ডিত করে রাখা হয়। পরিবারের সকল সদস্য খুব ভোরে স্নান শেষে পরিস্কার বস্র পরিধান করে দেবীর
সামনে অবস্থান করে থাকে। পুরোহিত পূজা শুরু করবার আগ পর্যন্ত দেবীর মুখমন্ডল ঢাকা থাকে। পূজার অর্ঘ্যর
পাশাপাশি দেবীর পূজার অারেকটি প্রধান অংশ ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যপুস্তক। সরস্বতী পূজার একটি বিশেষ অর্য্য হল
পলাশ ফুল। দেবীর অঞ্জলীর জন্য এটি একটি অত্যবশ্যকীয় উপাদান।

পুষ্পাঞ্জলী মন্ত্র (৩ বার পাঠসহ)


----------------------

ওঁ জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।


বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে।।
নমঃভদ্রকাল্যৈ নমো নিত্যং সরস্বত্যৈ নমো নমঃ।
বেদ-বেদাঙ্গ-বেদান্ত-বিদ্যা-স্থানেভ্য এব চ।।
এস স -চন্দন পুষ্পবিল্ব পত্রাঞ্জলি সরস্বতৈ নমঃ।।

প্রনাম মন্ত্র
-------

নমো সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে।


বিশ্বরূপে বিশালাক্ষ্মী বিদ্যাংদেহি নমোহস্তুতে।।
জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।
বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে।।

সরস্বতীর স্তব
---------

শ্বেতপদ্মাসনা দেবী শ্বেত পুষ্পোপশোভিতা।


শ্বেতাম্ভরধরা নিত্যা শ্বেতাগন্ধানুলেপনা।।
শ্বেতাক্ষসূত্রহস্তা চ শ্বেতচন্দনচর্চ্চিতা।
শ্বেতবীণাধরা শুভ্রা শ্বেতালঙ্কারব‌ ভূষিতা
বন্দিতা সিদ্ধগন্ধর্ব্বৈর্চ্চিতা দেবদানবৈঃ।
পূঝিতা মুনিভি: সর্ব্বৈঋষিভিঃ স্তূয়তে সদা।।
স্তোত্রেণানেন তাং দেবীং জগদ্ধাত্রীং সরস্বতীম্।
যে স্মরতি ত্রিসন্ধ্যায়ং সর্ব্বাং বিদ্যাং লভন্তি তে।।

মা সরস্বতীর ধ্যানমন্ত্র-
---------------

ওঁ তরুণশকলমিন্দোর্বিভ্রতী শুভ্রকান্তিঃ কু চভরনমিতাঙ্গী


সন্নিষণ্ণা সিতাব্জে।
নিজকরকমলোদ্যল্লেখনীপুস্তকশ্রীঃ সকলবিভবসিদ্ধৈ
পাতু বাগ্দেবতা নঃ।।
অর্থাৎ, “চন্দ্রের নূতন কলাধারিণী, শুভ্রকান্তি,
কুচভরনমিতাঙ্গী, শ্বেত পদ্মাসনে (উত্তমরূপে) আসীনা,
হস্তে ধৃত লেখনী ও পুস্তকের দ্বারা শোভমানা বাগ্দেবী
সকল বিভবপ্রাপ্তির জন্য আমাদিগকে রক্ষা করুন।”

আবার পদ্মপুরাণ-এ উল্লিখিত সরস্বতীস্তোত্রম্-এ বর্ণিত হয়েছে -


----------------

শ্বেতপদ্মাসনা দেবী শ্বেতপুষ্পোপশোভিতা।


শ্বেতাম্বরধরা নিত্যা শ্বেতগন্ধানুলেপনা।।১
শ্বেতাক্ষসূত্রহস্তা চ শ্বেতচন্দনচর্চিতা।
শ্বেতবীণাধরা শুভ্রা শ্বেতালঙ্কারভূষিতা।।২
ইত্যাদি
অর্থাৎ, “দেবী সরস্বতী আদ্যন্তবিহীনা, শ্বেতপদ্মে
আসীনা, শ্বেতপুষ্পে শোভিতা, শ্বেতবস্ত্র-পরিহিতা
এবং শ্বেতগন্ধে অনুলি প্তা ।১ অধিকন্তু তাঁহার হস্তে
শ্বেত রুদ্রাক্ষের মালা; তিনি শ্বেতচন্দনে চর্চিতা,
শ্বেতবীণাধারিণী, শুভ্রবর্ণা এবং শ্বেত অলঙ্কারে
ভূষিতা।

ধ্যান বা স্তোত্রবন্দনায় উল্লেখ না থাকলে ও সরস্বতী


ক্ষেত্রভেদে দ্বিভূজা অথবা চতুর্ভূজা এবং মরালবাহনা
অথবা ময়ূরবাহনা। উত্তর ও দক্ষিণ ভারতে সাধারণত
ময়ূরবাহনা চতুর্ভূজা সরস্বতী পূজিত হন। ইনি অক্ষমালা,
কমণ্ডলু, বীণা ও বেদপুস্তকধারিণী। বাংলা তথা
পূর্বভারতে সরস্বতী দ্বিভূজা ও রাজহংসের পৃষ্ঠে
আসীনা।

বঙ্গভূমে শ্রী শ্রী সরস্বতী পুষ্পাঞ্জলী মন্ত্রঃ


-------------------------

ওঁ জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।


বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী
নমহস্তুতে।। নমঃভদ্রকাল্যৈ নমো নিত্যং সরস্বত্যৈ নমো
নমঃ। বেদ-বেদাঙ্গ-বেদান্ত-বিদ্যা-স্থানেভ্য এব চ।। এস
স-চন্দন পুষ্পবিল্ব পত্রাঞ্জলি সরস্বতৈ নমঃ।।
প্রনাম মন্ত্রঃ নমো সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে
কমললোচনে। বিশ্বরূপে বিশালাক্ষ্মী বিদ্যাংদেহি
নমোহস্তুতে।। জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত
মুক্তাহারে। বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী
দেবী নমহস্তুতে।।
সরস্বতীর স্তবঃ শ্বেতপদ্মাসনা দেবী শ্বেত
পুষ্পোপশোভিতা। শ্বেতাম্ভরধরা নিত্যা
শ্বেতাগন্ধানুলেপনা।। শ্বেতাক্ষসূত্রহস্তা চ
শ্বেতচন্দনচর্চ্চিতা। শ্বেতবীণাধরা শুভ্রা
শ্বেতালঙ্কারবভূষিতা বন্দিতা সিদ্ধগন্ধর্ব্বৈর্চ্চিতা
দেবদানবৈঃ। পূঝিতা মুনিভি: সর্ব্বৈঋষিভিঃ স্তূয়তে
সদা।। স্তোত্রেণানেন তাং দেবীং জগদ্ধাত্রীং
সরস্বতীম্। যে স্মরতি ত্রিসন্ধ্যায়ং সর্ব্বাং বিদ্যাং
লভন্তি তে।।

দেবতা ব্রহ্মার ধ্যানমন্ত্র -


----------------

ব্রহ্মা কমণ্ডলুধরশ্চতুর্বক্রশ্চতুর্ভুজঃ।
কদাব্রহ্মা কমণ্ডলুধরশ্চতুর্বক্রশ্চতুর্ভুজঃ।
কদাচিৎরক্তকমলে হংসারূঢ়ঃ কদাচন।।
বর্ণেন রক্তগৌরাঙ্গঃ প্রাংশুস্তুঙ্গাঙ্গ উন্নতঃ
কমণ্ডলুর্বামকরে স্রুবো হস্তে তু দক্ষিণে।
দক্ষিণাধস্তথা মালা বামাধশ্চ তথা স্রুবঃ।
আজ্যস্থালী বামপার্শ্বে বেদাঃ সর্বেহগ্রত স্থিতাঃ।।
সাবিত্রী বামপার্শ্বস্থা দক্ষিণস্থা সরস্বতী।
সর্বে চ ঋষয়োহ্যগ্রে কুর্যাদেভিশ্চ চিন্তনম।।

অর্থঃ ব্রহ্মা কমণ্ডলুধারী, তাঁর চারটি মুখ। তিনি কখনও


লাল পদ্মে, কখনও শ্বেতহংসের উপর আসীন। তাঁর গায়ের
রং লাল গৌরবর্ণ। তিনি লম্বা এবং উন্নত অঙ্গধারী। তাঁর
উপরের বামহাতে কমণ্ডলু, ডানহাতে স্রুব। নিচের
বামহাতে স্রুব এবং ডানহাতে জপমালা। তাঁর বামপাশে
আজ্যস্থালী এবং সম্মুখে বেদসকল এবং ঋষিগণ। ব্রহ্মার
বামপাশে সাবিত্রী এবং ডানপাশে সরস্বতী দেবী
বিরাজিতা।

ঋষিগণ এভাবেই ব্রহ্মার ধ্যান করেন-


--------------------

চিৎরক্তকমলে হংসারূঢ়ঃ কদাচন।।


বর্ণেন রক্তগৌরাঙ্গঃ প্রাংশুস্তুঙ্গাঙ্গ উন্নতঃ
কমণ্ডলুর্বামকরে স্রুবো হস্তে তু দক্ষিণে।
দক্ষিণাধস্তথা মালা বামাধশ্চ তথা স্রুবঃ।
আজ্যস্থালী বামপার্শ্বে বেদাঃ সর্বেহগ্রত স্থিতাঃ।।
সাবিত্রী বামপার্শ্বস্থা দক্ষিণস্থা সরস্বতী।
সর্বে চ ঋষয়োহ্যগ্রে কুর্যাদেভিশ্চ চিন্তনম।।
অর্থঃ ব্রহ্মা কমণ্ডলুধারী, তাঁর চারটি মুখ। তিনি কখনও লাল পদ্মে, কখনও শ্বেতহংসের উপর আসীন। তাঁর গায়ের
রং লাল গৌরবর্ণ। তিনি লম্বা এবং উন্নত অঙ্গধারী। তাঁর উপরের বামহাতে কমণ্ডলু, ডানহাতে স্রুব। নিচের
বামহাতে স্রুব এবং ডানহাতে জপমালা। তাঁর বামপাশে আজ্যস্থালী এবং সম্মুখে বেদসকল এবং ঋষিগণ। ব্রহ্মার
বামপাশে সাবিত্রী এবং ডানপাশে সরস্বতী দেবী
বিরাজমান ৷

নবগ্রহ প্রণাম মন্ত্র


-------------

ওঁ জবাকু সুমসংকাশং কাশ্যপেয়ংমহাদ্যুতিম ।


ধন ত্যারিং সর্বপাপঘ্ন প্র ণতোহশ্মি দিবাকরম ॥
দিব্যশঙ্খতুষারাভং ক্ষীরোদার্নভসম্ভবম ।
নমামি শশীনংভক্তা শম্ভোর্মুকুটভূষণম্ ॥
ধরণীগর্ভোসম্ভূতং বিদ্যূতপুঞ্জসমপ্র ভম ।
কুমারং শক্তিহন্তস্চ লোহিতাঙ্গং প্রণম্যহং ॥
প্রিয়ঙ্গকলিকাশ্যমং রূপেনাপ্রতিমং বুধম ।
সৌম্যংসৌম্যগুণপেতং ণমামি শশীনংসুতম্ ॥
দেবতানাংম্রিশিনান্চং গুরুং কনকসন্নিভং ।
বন্দেভক্তা ত্রিলোকেশং ত্বমং ণমামি বৃহস্পতিং ॥
হিমকুন্দম্রিমানালাভং দৈতনাং পরমংগুরুং ।
সর্বশাস্ত্রপ্রবক্তারং ভার্গবং প্রণম্যহং ॥
নিলাঞ্জনংচয়প্রক্ষ্যং রবিসূতং মহাগ্রহং ।
ছায়ায়ং গর্ভসম্ভূতং বন্দেভক্তা শণৈশ্চরম ॥
অর্দ্ধ কায়াংমহাঘোরং চন্দ্রাদিত্যবিমর্দকম
সিংহিকায়ামহারৌদ্রং ত্বংরাহুংপ্রণম্যহং ॥
পলাশধূমসংকাশং তারাগ্রহবির্মদকম ।
রৌদ্রং রৌদ্রত্বকং ঘোরং ত্বং কেতুং প্রণম্যহং ॥

শ্রীমদভাগবদ গীতার মঙ্গলাচরণম্


-----------------------
ওঁ পার্থায় প্রতিবোধিতাং ভগবতা নারায়ণেন স্বয়ম্।।
ব্যাসেন গ্রথিতাং পুরাণমুনিনা মধ্যে মহাভারতম্‌।।১।

অদৈতামৃতবর্ষিণীং ভগবতীমষ্টাদশাধ্যায়িনীম ।।
ত্বামনুসন্দধামি ভগবদ্গীতে ভবদ্বেষিনীম্‌।।২।

নমোহস্তু তে ব্যাস বিশাল বুদ্ধে ফুল্লারবিন্দায়তপত্রনেত্র ।।


যেন ত্বয়া ভারততৈলপুর্ণঃ প্রজ্বালিতো জ্ঞানময়ঃ প্রদীপঃ ।।৩।

প্রপান্নপারিজাতায় তোত্রবেত্রৈকপাণয়ে। ।
জ্ঞানমুদ্রায় কৃষ্ণায় গীতামৃতদুহে নমঃ ।।৪।

সর্ব্বোপনিষদো গাবো দোগ্ধা গোপালনন্দনঃ। ।


পার্থো বত্সঃ সুধীভোক্তা দুগ্ধং গীতামৃতং মহত্ ।।৫।

বসুদেবসুতং দেব কংসচানুরমর্দ্দনম্‌। ।


দেবকীপরমানন্দং কৃষ্ণং বন্দে জগদগুরুম্‌।।৬।

ভীস্মদ্রোনতটা জয়দ্রথজলা গান্ধার নীলোত্পলা । ।


শল্যগ্রাহবতী কৃপেন বহুনী কর্নেন বেলাকুলা ।।৭ ।

অশ্বথামা বিকর্ণ ঘোরমকরা দুর্য্যোধনা বর্ত্তিনী। ।


সোত্তীর্ণা খলু পান্ডবৈ রণনদী কৈবর্ত্তকে কেশব ।।৮।

পরাশর্য্যবচঃ সরোজম্ মলং গীতার্থ গন্ধোত্কটং। ।


নানাখ্যানককেশরং হরিকথা সম্বোধনাবোধিতম্‌।।৯।

লোকে সজ্জনষট্‌পদৈরহরহঃ পেপীয়মানং মুদা ।।


ভূয়াদ্ভারতপঙ্কজং কলিমলপ্রধ্বংসি নঃ শ্রেয়সে ।।১০।

মুকং করোতি বাচালং পঙ্গুং লঙ্ঘয়তে গিরিম্‌।।


যত্কৃ পাতমহং বন্দে পরমানন্দমাধবম্‌ ।।১১।

যং ব্রহ্মা বরূণেন্দ্র রুদ্র মরু তস্তু নস্তি দিব্যৈঃ স্তবৈ। ।


র্ব্বেদৈঃ সাঙ্গ পদক্রমো পনিষদৈর্গায়ন্তি যং সামগাঃ ।।১২।

ধ্যানাবস্থিত ত দ্ গতেন মনসা পশন্তি যং যোগিনো ।


যস্যান্তং ন বিদুঃ সুরাসুরগণা দেবায় তস্মৈ নমঃ॥১৩

শ্রীমদভগবত গীতা বন্দনা


------------------

গীতাশাস্ত্রমিদং পুণ্যং যঃ পঠেৎ প্রযতঃ পুমান্ ।


বিষ্ণোঃ পদমবাপ্নোতি ভয়শোকাদিবর্জ্জিতঃ ॥১॥
গীতাধ্যয়নশীলস্য প্রাণায়ামপরস্য চ ।
নৈব সন্তি হি পাপানি পূর্ব্বজন্মকৃতানি চ ॥২॥
মলনির্মোচনং পুংসাং জলস্নানং দিনে দিনে ।
সকৃদ্গীতাম্ভসি স্নানং সংসারমলনাশনম্ ॥৩॥
গীতা সুগীতা কর্ত্তব্যা কিমন্যৈঃ শাস্ত্রবিস্তরৈঃ ।
যা স্বয়ং পদ্মনাভস্য মুখপদ্মাদ্বিনিঃসৃতা ॥৪॥
ভারতমৃতসর্ব্বস্বং বিষ্ণোর্বক্ত্রাদ্বিনিঃসৃতম্ ।
গীতা-গঙ্গোদকং পীত্বা পুনজন্ম ন বিদ্যতে ॥৫॥
সর্ব্বোপনিষদো গাবো দোগ্ধা গোপালনন্দনঃ ।
পার্থো বৎসঃ সুধীর্ভোক্তো দুগ্ধং গীতামতং মহৎ ॥৬॥
একং শাস্ত্রংদেবকীপুত্রগীতামেকো দেবো দেবকীপুত্র এব ।
একো মন্ত্রস্তস্য নামানি যানি কর্ম্মপ্যেকং ত স্য দেব স্য সেবা ॥৭॥
গীতার প্রশস্তি:-
---------

গীতা সুগীতা কর্তব্যা কিমন্যৈঃ শাস্ত্রবিস্তরৈঃ যা স্বয়ং পদ্মনাভস্য


মুখপদ্মবিনিঃসৃতা ১
সর্বশাস্ত্রময়ী গীতা সর্বদেবময়ো হরিঃ সর্বতীর্থময়ী গঙ্গা সর্বদেবময়ো মনুঃ ২
গীতা গঙ্গা চ
গায়ত্রী গোবিন্দেতি হৃদি স্থিতে চতুর্গকারসংযুক্তে পুনর্জন্ম
ন বিদ্যতে॥৩
গীতাধীতা চ
যেনাপি ভক্তিভাবেন
চেতসা বেদশাস্ত্রপুরাণানি তেনাধীতানি সর্বশঃ॥৪

বঙ্গানুবাদ :-
অন্যান্যগীতা সাক্ষাৎ পদ্মনাভ নারায়ণের মুখ হতে নিঃসৃতা। তাকেই উত্তমরূপে পাঠ করা উচিৎ।। ১
গীতা সর্বশাস্ত্রময়ী, হরি সর্বদেবস্বরূপ, গঙ্গা সর্বতীর্থময়ী এবং গায়ত্রী সর্বদেবময়।।২
গ-কার যুক্ত গীতা, গঙ্গা, গায়ত্রী ও গোবিন্দ যাঁর হৃদয়ে অবস্থান করেন, তাঁর আর পুনর্জন্ম হয় না।।৩ যিনি
ভক্তিপূর্ণ হৃদয়ে গীতাপাঠ করেন, তিনি বেদ, পুরাণাদি সকল ধর্মশাস্ত্রের
সারমর্ম অবহত হন।। ৪

গীতার ধ্যান

শান্তকারং ভূজগ শয়নং পদ্মনাভং সুবেশং ।।


বিশ্বধারং গগন সদৃশং মেঘবর্নং শুভাঙ্গম্‌ ।।১।

লক্ষ্মীকান্তং কমল নয়ন যোগীভি ধ্যান গম্যং ।।


বন্দে বিষ্ণু ভবভয়হরং সর্বলোকৈক নাথম্‌।।২।

যং ব্রহ্মা বরুনেন্দ্র রুদ্র মরু তস্তু নস্তু দিবৈ স্তবৈ ।।


বেদৈঃ সাঙ্গপদ ক্রমা পনিষাদৈ গায়ন্তি যং সমগা ।।৩।

ধ্যনবস্থিত তদগতে ন মনসা প শ্যন্তিযঃ যোগিন ।।


যস্যান্তং ন বিদুঃ সুরাসুরগনা দেবায় তস্মৈ নমঃ ।।৪।

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা পাঠ অন্তে শ্রীকৃষ্ণের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা -

ওঁ যদক্ষরং পরিভ্রষ্টং মাত্রাহীনঞ্চ যদ্‌ ভবেৎ ।


পূর্ণং ভবতু ত্বৎ সর্বং ত্বৎ প্রসাদাৎ জনার্দ্দন ।।
মন্ত্র হীনং ক্রিয়া হীনং ভক্তিহীনং জনার্দ্দন ।
যৎ পূজিতং ময়া দেব পরিপূর্ণং তদস্স্তূ মে ।।

দেবী দুর্গার প্রনাম মন্ত্র


----------------

সর্ব মঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থ সাধিকে।


শরণ্যে ত্রাম্বকে গৌরী নারায়ণী নমোহস্তুতে।।

শ্রী গনেশ প্রণাম :-


-------------

এ কদ ন্তং মহাকায়ং লম্বোদর গজা ননম ।


বিঘ্নবিনাশকং দেবং হেরম্বং প্রনমাম্যহম।।

অর্থাৎ, “যিনি একদন্ত, মহাকায়, লম্বোদর, গজানন এবং বিঘ্ননাশকারী সেই হেরম্বদেবকে আমি প্রণাম করি।” 
শ্রী গনেশ ধ্যান মন্ত্র -
--------------

ওঁ খর্বং স্থূলতনুং গজেন্দ্রবদনং লম্বোদরং সুন্দরং প্রস্যন্দম্মদগন্ধলুব্ধ মধুপব্যালোলগন্ডস্থলম্ ।


দন্তাঘাত বিদারিতারিরুধিরৈঃ সিন্দুরশোভাকরং , বন্দেশৈল সুতাসুতং গণপতিং সিদ্ধিপ্রদং কামদম্ ।।
মন্ত্রঃ – ওঁ গাং গণেশায় নমঃ ।

অর্থাৎ:- “যিনি খর্বাকৃ তি, স্থূলশরীর, লম্বোদর, গজেন্দ্রবদন অথচ সুন্দর; বদন হইতে নিঃসৃত মদগন্ধে প্রলুব্ধ
ভ্রমরসমূহের দ্বারা যাঁহার গণ্ডস্থল ব্যাকুলিত; যিনি দন্তাঘাতে শত্রুর দেহ বিদারিত করিয়া তাহার দন্ত দ্বারা নিজ
দেহে সিন্দূরের শোভা ধারণ করিয়াছেন; সেই পার্বতীপুত্র সিদ্ধিদাতা গণপতিকে বন্দনা করি।

গৃহ প্রবেশ-খাবার আগে-ঘুমাবার আগে মন্ত্র


----------------------------

গৃহ প্রবেশ মন্ত্র- "ওঁ শ্রী বাস্তু পুরুষায় নম:"


খাবার আগে- "ওঁ শ্রী জনার্দ্দনায় নম:"
ঘুমাবার আগে- "ওঁ শ্রী পদ্মনাভায় নম:"

স্নান করার মন্ত্র :-


------------

স্নান করার সময় বলুন-


ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরি সরস্বতী
নর্মদে সিন্ধু কাবেরি জলেহস্মিন সন্নিধিং কুরু
পরে কৃতাঞ্জলি হয়ে-
ওঁ কু রুক্ষেত্র গয় গঙ্গা প্রভাস পুষ্করিণী চ।
তীর্থান্যেতানি পুণ্যানি স্নানকালে ভবন্ত্বিহ।

গায়ত্রী মন্ত্র:-
---------

ওঁ ভূ র্ভু বঃ স্বঃ তৎ সবিতু র্বরেণ্যং


ভর্গো দেবস্য ধীমহি
ধিয়ো য়ো নঃ প্রচোদয়াৎ ওঁ।।

অনুবাদ : (ওঁ ) পরমাত্মা (ভূঃ) প্রাণস্বরুপ (ভূর্বঃ)


দুঃখনাশক ৷ (তৎ) সেই (সবিতুঃ) সমগ্র জগতের উৎপাদক (বরেণ্যম্ ) বরণযোগ্য সব্বোর্ত্তম (ভর্গঃ) পাপনাশক
তেজকে (দেবস্য) সমগ ঐশ্বর্য্য দাতার (ধীমহি) ধারণ করি (ধিয়ঃ) প্রজ্ঞা সমূহকে (যঃ) যিনি (নঃ) আমাদের (
প্রচোদয়াৎ) প্রেরণা দান করেন ৷ ঋগবেদ ৩/৬২/১০ ; যর্জুবেদ ৩/৩৫, ; ৩০/২ ; সামবেদ উত্তরার্চ্চিক ৬,৩/১০ ৷

প্রভু শিবের প্রনাম মন্ত্র


----------------

ওঁ নমঃ শিবায় শান্তায় কারণত্রয় হে তবে,


নিবেদয়ামি চাত্মানং ত্বং গতি পরমেশ্বর।।

ব্রহ্মা প্রনাম মন্ত্র


-----------

নমোঽস্তু বিশ্বেশ্বর বিশ্বধাম


জগৎসবিত্রে ভগবন্নমস্তে৷
সপ্তার্চিলোকায় চ ভূতলেশ
সর্বান্তরস্থায় নমো নমস্তে৷৷
ভগবানের মাহাত্ম্য মন্ত্র
--------------

নমস্তে পরমং ব্রহ্ম সর্বশক্তিমতে নম৷৷ নিরাকারোহপি সাকারঃ স্বেচ্ছারূপং নমো নমঃ৷

ভগবানের উপাসনার মন্ত্র


----------------

যস্মাৎ পরং নাপরমস্তি কিঞ্চিদ্ যস্মান্নাণীয়ো ন জায়োহস্তি কিঞ্চিৎ ৷ বৃক্ষ ইব স্তব্ধো দিদি তিষ্টত্যেক স্তেনেদং পূর্ণ পুরুষেণ
সর্বম্৷৷

ঈশ্বরের প্রার্থনা মন্ত্র


--------------

কেশব ক্লেশহরণ নারায়ণ জনার্দন ৷ গোবিন্দ পরমানন্দ মাং সমুদ্ধর মাধব৷৷

সূর্যের প্রণামমন্ত্র
-----------

ওঁ জবাকু সুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম ৷ ধ্বান্তারিং সর্বপাপঘ্নং প্রণতোহস্মি দিবাকরম৷৷

ভগবান বিষ্ণুর প্রণাম মন্ত্র


-----------------

ওঁ নমো ব্রাহ্মণ্যদেবায় গো- ব্রাহ্মণ্যহিতায় চ ।


জগদ্ধিতায় কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমো নমঃ ।।
পাপোহহং পাপকর্মাহং পাপাত্মা পাপসম্ভবঃ ।
ত্রাহি মাং পুন্ডরীকাক্ষং সর্বপাপহরো হরি ।।

ক্ষমা প্রার্থণা মন্ত্র


-----------

যদক্ষরং পরিভ্রষ্টং মাত্রা হীং চ


যদভবেদ পুর্ন ভবতু তৎ সর্বং তৎ প্রসাদাৎ সুরাশ্বর৷৷

সকল কাজ শুরুর আগে-বিপদে-জন্ম সংবাদ শুনলে-দুঃসংবাদের মন্ত্র


----------------

সকল কাজ শুরুর আগে ''ওঁ তৎ সৎ'' উচ্চারণ করে শুরু করুন।
বিপদে- "ওঁ শ্রী মধুসূদনায় নম:"
জন্ম সংবাদ শুনলে- "ওঁ আয়ুষ্মান্‌ ভব" (তিন বার)
দুঃসংবাদে- "ওঁ আপাদং অপবাদশ্চ অপসরঃ" বলুন।

প্রনব মন্ত্র
-------

ঔঁ নারায়নং নমসকৃ ৎ নরং চৈব নর তমম


দেবীং সরস্বত্বী চৈব তত জয় মুদিরয়েদ৷৷
শ্রী কৃষ্ণ প্রণাম মন্ত্র
-------------

হে কৃষ্ণ করুণাসিন্ধো দীনবন্ধো জগৎপতে। গোপেশ গোপিকাকান্ত রাধাকান্ত নমোহস্তু তে। । 

অনুবাদ: হে আমার প্রিয় কৃষ্ণ, তুমি করুণার সিন্ধু, তুমি দীনের বন্ধু, তুমি সমস্ত জগতের পতি, তুমি
গোপিকাদের ঈশ্বর এবং শ্রীমতি রাধারাণীর প্রেমাস্পদ, আমি তোমার শ্রীপাদপদ্মে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি।

শ্রীকৃষ্ণের বন্দনা-
তং শ্রীমৎ কৃষ্ণ চৈতিন্য দেবং বন্দে জগদ গুরুং ।
ষস্যানুকল্পয়া স্বাপি মহাদ্ধিং সন্তরেৎ সুখং ।
শ্রীগোবিন্দং ঘনশ্যামং পীতাম্বর ধরং পরং ।।
শ্রী নন্দ-নন্দনং নৌমি শ্রী গোপী জন বল্লভং ।
শ্রীরামং রেবতী কান্তং প্রেমানন্দ কলেবরং ।
রোহিনেয়ৎ ভজের্দ্দেবং কৃষ্ণ ভক্তি প্রদায়কং ।।
গৌরে গৌড়ং জহো ভক্তি ভারং সংন্যস্য যৎ করে ।
তং বংশীবদনং বন্দে প্রভুং শক্ত্যব তারকং ।।

শ্রীকৃষ্ণের বীজ মন্ত্র ও উপকরণ নিবেদন মন্ত্র-


মূল বীজ মন্ত্র-ক্লীঁ।
জপের বীজ মন্ত্র-ক্লীদ কৃর্ষ্ণায় স্বাহা । ক্লীঁ কৃষ্ণায় নমঃ ।
ক্লীঁ কৃষ্ণায় স্বাহা । ক্লীঁ কৃষ্ণায় গোবিন্দায় স্বাহা ।
ক্লীঁ কৃষ্ণায় গোবিন্দায় গোপীজন বল্লভায় স্বাহা । বল্লভায় স্বাহা ।

শ্রী কৃষ্ণের কাম গায়ত্রী-


ওঁ ক্লীঁ (নমঃ ক্লীঁ) কামদেবায় বিদ্মহে পুষ্প বানায় ধীমহি তন্নোহনঙ্গঃ প্রচোদয়াৎ ।
উপকরণ নিবেদন মন্ত্র- নমঃ ক্লীঁ শ্রীকৃষ্ণায় নমঃ ।(বা স্ব-কৃষ্ণ মন্ত্র)
শ্রীকৃষ্ণ মন্ত্র (বীজ মন্ত্র) ১০৮ বার জপ করিবেন ।

সপর্পন মন্ত্র-
গুহ্যাতি গুহ্য গোপ্তাত্বং গৃহানাস্মৎ কৃতং জপং ।
সিদ্ধি ভবতু মে দেব ত্বৎ প্রসাদাৎ জনার্দন ।।

এ কটু জ ল হস্তে লইয়া-এতং জ লং নমঃ ক্লীঁ শ্রীকৃষ্ণায় অর্পনমস্তুবলিয়া শ্রীকৃষ্ণের হস্তে দেওয়ার উদ্দেশ্যে জ ল অর্পন
করিবেন ।

শ্রীকৃষ্ণের প্রণাম মন্ত্রঃ-


হে কৃষ্ণ করুণা সিন্ধো দীন বন্ধো জগৎ পতে ।
গোপেশ গোপিকা- কান্ত রাঁধা কান্ত নমোহস্তু তে ।।

শ্রীকৃষ্ণের পূজার্চ্চনার নিয়ম-


ধ্যানানুরুপ মুর্তিতে শ্রীকৃষ্ণের পূজার্চ্চনাদি করিবেন । এই শ্রীকৃষ্ণের মূর্ত্তি- দ্বিভুজ, মেঘের ন্যায় শ্যামবর্ণ, ত্রিভঙ্গ
। অর্থাৎ স্থান ত্রয়ে বক্র অ মোহনা-কৃতি বংশীধারী । বন-মালায় সুসজ্জিত । শ্রীকৃষ্ণকে প্রণাম করিবেন । পরে
শ্রীকৃষ্ণের কাম গায়ত্রী পাঠ করিয়া উপকরণ নিবেদন করিবেন
প্রণাম মন্ত্র-
বসুদেব সুতং দেবং কংসচানুরমর্দ্দনম্‌ ।
দেবকী পরমানন্দং কৃষ্ণং বন্দে জগদ্‌গুরুম্‌।।

মৃত্যু সংবাদ শুনলে নিচের মন্ত্র বলতে হবে-

"দিব্যান লোকান স্ব গচ্ছতু"

তুলসী স্নান মন্ত্র

“ॐ গোবিন্দবল্লভাং দেবীং ভক্তচৈতন্যকারিণীম্।


স্নানপয়ামি জগদাত্রীং কৃষ্ণভক্তি প্রদায়িনীম্।।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠার পর মন্ত্র

ॐ প্রিয় দাওয়ৈ ভূ মি ভ্যৈ নমঃ(পূর্ব মুখী হয়ে মাটি স্পর্শ করে)

শিবের প্রণাম মন্ত্র

শিবের প্রণাম মন্ত্রঃ-


নমঃ শিবায় শান্তায় কারণত্রয়হেতবে।
নিবেদয়ামি চাত্মানং ত্বং গতিঃ পরমেশ্বর।।

অন্নগ্রহণ মন্ত্র বা আহারের মন্ত্র


--------------------

ওঁ অন্নপতে অন্নস্য নো
দেহ্যনমীবস্য শুষ্মিনঃ ।
প্রপ্র দাতারং তারিষউর্জং নো
ধেহি দ্বিপদে চতুশ্পদে ॥

#ভাষ্যঃ হে অন্নপতে পরমাত্নন !


এই অ ন্ন-ফ ল -মূল-কন্দ ঔষধি বনস্পতি আদি যাহা কিছু আমরা আহার করি তাহার মালীক কেবল আপনিই একমাত্র আছেন
যাহার সাহায্যে সমস্ত জড় চেতন জগতের প্রাণী মাত্র খাদ্য হইতে রস-রক্ত মাংস-মেধ-অস্থি- ময্যা আদি বল শক্তি
পরাক্রম ওজ-তেজাদি যাহা কিছু আছে তাহার সমস্ত কিছুই এই অন্নদ্বারা উত্পন্ন হইতেছে যাহাতে আপনার কৃপায় এই
অন্নের সাহায্যে আমাদের শরীর রাজ্যে সমস্ত কিছুর উত্তমরূপে নির্মাণ-রক্ষণ-ব র্দ্ধন-পালন
পোষণ হইতে থাকুক ।
যেভাবে আমরা শরীরের কল্যাণ কামনা করি,সেই
ভাবেই যেন যাহাদের দ্বারা এই অন্ন উত্পন্ন করা,
পাক করা, দাতা-প্রদাতা আদি উপকার করিবার লোক আছে ; তাহাদেরও যেন আমার মত বল বীর্য্য-পরাক্রম আদি
ঐশ্বর্য্যের প্রাপ্ত হইতে থাকে ।
আমাদের অন্নের কিছু অংশ, দুই পা এবং চতুষ্পদ
আদি প্রাণী মাত্রের জন্য প্রদান করা হোক ।
যাহাতে কাহারও যেন কষ্ট অনুভব না হয় ।
আমরা যেন সকলে এই ভাবনা নিয়ে কর্মের
মাধ্যমে চলিতে পারি ।।

[যর্জুব্বেদ ১১।৮৩]
ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ ॥।

দেহ শুচীর মন্ত্র


---------

১) ওঁ অপবিত্র
পবিত্রোবা সর্বাবস্থান
গতহ্বপিবা।
যৎ সরেত পুন্ডরিকাক্ষং স বাহ্য
অভ্যান্তরে শুচি।।
২)পাপোহং পাপ
কর্মাহং পাপাত্মা পাপ
সম্ভাবান্।
ত্রাহি মাং পুন্ডরীকাক্ষং সর্বপাপো হরো হরি।।

মাতা প্রনাম মন্ত্র :-


------------
মাতা জননী ধরিত্রী, দয়াদ্র
হৃদয়া সতী।
দেবীভ্যো রমণী শ্রেষ্ঠা নির্দ্দোশা সর্ব
দুঃখ হারা।।

পিতা প্রনাম মন্ত্র


-----------

পিতা স্বর্গ, পিতা ধর্ম,


পিতাহি পরমং তপ।
পিতোরি প্রিতিমা পন্নে প্রিয়ন্তে সর্ব
দেবতাঃ।।

শ্রীগুরু প্রণাম মন্ত্র


------------

১) অখন্ড মন্ডলা কারং ব্যাপ্তং যেন


চরাচরম।
তদপদং দর্শিতং যেন
তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ

২) অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য
জ্ঞানাঞ্জন শলাকয়া।
চক্ষু রুন্মিলিত যেন
তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ।।
অনুবাদ : অজ্ঞতার গভীর অন্ধকারে আমার জন্ম হয়েছিল, এবং আ মা র গুরুদেব জ্ঞা নের আ লো ক বর্তিকা দিয়ে
আমার চক্ষু উন্মীলিত করলেন। তাঁকে জানাই আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি।

৩) গুরু ব্রহ্মা গুরু বিষ্ণু গুরুদেব মহেশ্বর।


গুরুরেব পরং ব্রহ্ম
তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ।।

#Ashish_chakraborty

You might also like