Professional Documents
Culture Documents
'
'
বদ্ধসমাজ সর্বদাই নানা ধরণের সামাজিক এবং মানসিক বিকৃতির সৃষ্টি করে। সেই সমাজের মানুষের মনস্তাত্বিক বিকাশ রোধ
করে সেটাকে যৌন বিকৃতির দিকে নিয়ে যায়। যেই সমাজ যত বেশী বদ্ধ, সেই সমাজে বিকৃতি ততই বেশি। বদ্ধ
সমাজে, যেখানে নারী পুরুষের স্বাভাবিক বন্ধুত্বে সম্পর্ক সৃষ্টি হয় না, দুইজন দুইজনকে তারই মত আরেকজন
স্বাভাবিক মানুষ ভাবতে পারে না, তাদের মধ্যে একদল যদি আরেকদলকে নিজেদের অধিনস্ত বা খাদ্য ভাবতে শুরু
করে, তখন সেই সমাজে নানা বিকৃতির সৃষ্টি হয়।
শুধুমাত্র ছেলেদের আবাসিক মাদ্রাসাগুলোতে নজর দিলেই বোঝা যায়, সেখানে এক একটা ছেলে সাধারণ বাঙালি
পোষাক শাড়ি পরা নারীদের দেখেও উত্তেজিত হয়ে পরে। একটি নারীর হাত কিংবা চুল দেখা গেলেও তারা এতটাই উত্তেজিত হয়ে
যায় যে, তাদের আর আটকে রাখা যায় না। আমাদের বাঙলা সিনেমাতেও, বিভিন্ন সময়ে সেন্সরবোর্ড যত শক্তিশালী করা
হয়েছে, চলচ্চিত্রে বিকৃতির পরিমান তত বেড়ে গেছে। আমাদের চলচিত্রে চুম্বন নিষিদ্ধ, কিন্তু ৫-৮ ধর্ষনের দৃশ্য আর
বিকৃতরুচির শরীর প্রদর্শনী না থাকলে কোন সিনেমাই সফল হয় না। আর তাই আমাদের দেশের মানুষও ভালবাসতে গিয়ে ধর্ষণ
করে, ক্রমশ ধর্ষকামীতা বৃদ্ধি পায়। এগুলো বদ্ধ সমাজের ফলাফল। বাইরে থেকে তারা খুবই রক্ষণশীল, চুমুও সেখানে অশ্লীল,
অথচ ভেতরে তারই গদগদে ঘা। বিষাক্ত ফোঁড়া।
পর্ণ সার্চে ইসলামপ্রধান দেশ পাকিস্তান সহ ধর্মান্ধরা সংখ্যাগুরু অনেক বছর ধরেই। ধর্মপ্রাণ মানুষদের দেশগুলোর ব্যাপক
সাড়া জাগানো পারফর্মেন্স বেশ কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানতে পারে অথবা
ধর্মকে কটাক্ষ করে এমন ১৭টি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিলেও পর্নো ওয়েবসাইট সার্চে বিশ্বের মধ্যে পাকিস্তান ১
নম্বরে। আসুন দেখা যাক পর্ন সার্চে শীর্ষ দেশগুলোর তালিকা।
বৈশ্বিক পরিসংখ্যানঃ
Pakistan (Muslim)
Egypt (Muslim)
Vietnam
Iran (Muslim)
Morocco (Muslim)
India
Saudi Arabia (Muslim)
Turkey (Muslim)
Philippines
Poland
আরেকটি পরিসংখ্যানে এরকম পাওয়া যায়ঃ
ক্যাটাগরি ভিত্তিকঃ
Cat Sex: Pakistan (No. 1) Iran (No. 2) Egypt (No. 3) Saudi Arabia (No. 4)
Animal Sex: Pakistan (No. 1) Morocco (No. 2) Iran (No. 4) Egypt (No. 5)
Snake Sex: Pakistan (No. 1) Malaysia (No. 3) Indonesia (No. 4) Egypt (No. 5)
মানে হচ্ছে, প্রথম দশটি দেশের ছয়টি দেশই মুসলিম, এর মধ্যে পাকিস্তান সবার থেকে এগিয়ে। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই
যা দেখে এসেছি, মুসলিমদের মধ্যে ধর্মীয় উন্মাদনা অন্যদের থেকে বেশি। তারা তাদের নারীদের বোরখা পড়ায়, নিয়ন্ত্রণ
করে। তাহলে তারা এত ভয়াবহ রকম পর্নাসক্ত কীভাবে? পর্ন এবং ইসলাম একসাথে কীভাবে সহাবস্থান করে? আমার প্রোফাইলে
যারা রোজ মন্তব্য করে, গালাগালি করে, বাপ মা ভাই বোন তুলে অশালীন মন্তব্য করে, তাদের প্রত্যেকের
প্রোফাইলে ঢুকলেই দেখা যায়, তারা ভয়াবহ রকমের পর্ণাসক্ত। একট্যাবে সানি লিওনি আরেক ট্যাবে মাংসের ভেতরে আল্লাহু
লেখা শেয়ার করাই এদের ফেসবুকের সবচাইতে আনন্দের কাজ। বেহেশতে ৭২ টি হুরের সাথে কী করবে, তারা
দিনরাত তার প্রাকটিসে ব্যতিব্যস্ত।
যেকোন পর্নসাইটে ঢুকলেই যেই ক্যাটাগরি গুলো আপনি দেখতে পাবেন, তা থেকে অনেকাংশে মানুষের বিকৃত
যৌন রুচির পরিচয় পাবেন। যেমন ধরুন, সব চাইতে জনপ্রিয় পর্ন হচ্ছে এমআইএলএফ এবং চাইল্ড পর্ন। এই দুটো ক্যাটাগরি
সব চাইতে অধিক সংখ্যক মানুষ দেখে। এরপরে আছে নানা ধরণের চামড়ার মানুষদের ব্যাপার স্যাপার। কোঁকড়া
চুল, একই সাথে কয়েকজন মানুষ, ব্লাকমেইলিং, জোরাজুরি মূলক, ধর্ষণ, একজন আরেকজনার ওপর আধিপত্য বিস্তার
ইত্যাদি নানা ব্যাপার স্যাপার। কিন্তু এসব বিষয়ে ইসলামের নির্দেশ কী?
পৃথিবীর সমস্ত মুসলমানের জীবনাদর্শ হচ্ছে হযরত মুহাম্মদ। কিন্তু মহানবীর জীবন এই সব নোংরা ফ্যান্টাসি বিষয়ে কী শিক্ষা
দেয়? এক এক করে তা নিয়ে আলাপ করা যেতে পারে।
প্রথমেই আসা যাক এমআইএলএফ কথা। এই কথার মানে হচ্ছে, ম্যাম আই লাইক টু ফাক। মানে, পুরুষটির চাইতে অনেক
বেশি বয়সী নারী থাকবে এরকম পর্নগ্রাফিতে। এটা কী ইসলাম সমর্থিত? মুহাম্মদ খাদিজাকে বিয়ে করেছিল ২৫ বছর
বয়সেই। সে সময়ে খাদিজার বয়স ছিল ৪০ বছর। বয়ষ্ক এবং বিধবা। তার কী তখন বেশি বয়সী নারীর প্রতি আকর্ষণ ছিল? বয়সে তরুণ
অসংখ্য ছেলের এরকম যৌন ফ্যান্টাসি থাকে।
এরপরে আসুন চাইল্ড পর্ন বিষয়ে। অধিক বয়সী পুরুষের এই ভয়াবহ মানসিক বিকৃ তি দেখা যায়। তারা বিশেষ করে ৫ থেকে ১০ বছর
বয়সী মেয়েদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। ললিতা নামে একটা বিখ্যাত উপন্যাস আছে এই নিয়ে। মুহাম্মদের জীবনী থেকে
জানা যায়, তিনি ৫১ বছর বয়সে ৬ বছর বয়সী আয়শাকে বিয়ে করেন, এবং এর তিন বছর পরে তার সাথে যৌন
সম্পর্কও করেন।
এরপরে আসুন একই সাথে একাধিক নারী বিষয়ে। সকলেই জানেন, নবী মুহাম্মদের একই সাথে ১১ জন স্ত্রী ছিল। সে
একজনকে তালাক দিয়ে আরেকজনকে আনে নি। একই সাথে সকলে ছিল। মিলেমিশে যা করার করেছেন তিনি।
এরপরে ধরুন একটু তামাটে বা কালো চামড়ার মেয়ে। বিশেষ করে কোঁকড়া চুল। জানা যায়, নবী মুহাম্মদকে একজন
ক্রীতদাসী উপহার দিয়েছিল মিশরের সম্রাট। যেই মেয়েটার নাম ছিল মারিয়া কিবতিয়া। মেয়েটার একটু তামাটে চামড়া ছিল, সেই
সাথে কোঁকড়া চুল। এই ধরণের ব্যাপারকে এখন বলা হয় ইন্টার রেশিয়াল। নবী মুহাম্মদের ঔরসে মারিয়ার গর্ভে ইব্রাহিম নামে একটা
ছেলেও হয়েছিল। ছেলেটা মারা যায়।
এরপরে ধরুন, জোরপূর্বক। নবী মুহাম্মদ একটি ইহুদী গোত্রকে আক্রমণ করে এক ইহুদী নেতাকে হত্যা করে তার স্ত্রী সাফিয়াকে
যুদ্ধবন্দী বানায়। এবং সদ্য স্বামী হারা সাফিয়াকে দেখে সে নিজেই নিজের জন্য তাকে মালে গনিমত হিসেবে গ্রহণ
করে। এরপরে কী হয়েছিল, বুঝতেই পারছেন।
এরকমভাবে অসংখ্য উদাহরণ দেয়া সম্ভব। পৃথিবীতে একই সাথে চারবিবি, দাসী কিংবা যুদ্ধবন্দিনীর সাথে সহবাস, তারপরে
বেহেশতে গিয়ে ৭২ জন হুরের সাথে সহবত, এইসব ভেবে কত মুসলমানই কত না তাড়িত হয়। সেগুলো সব ইসলামেরই
শিক্ষা। আর নবী মুহাম্মদের জীবন এতটাই বর্ণিল ছিল যে, আধুনিক সময়ের যে কোন সেক্স পার্ভার্ট তার জীবনী
পড়লে নির্ঘাত অক্কা পাবে। গুরু গুরু বলে পায়ে ধরতে চাইবে। এগুলো আমি কোনটাই নিজে বলছি না। বুখারি আর সহি মুসলিম হাদিস
বইগুলো খুলে পড়ুন। জানতে পারবেন।
আমি বলছি না যে, মুহাম্মদের জীবনী এরকম হবার কারণেই আজকে বিপুল সংখ্যক মুসলমানরা এরকম পর্নাসক্ত। বা
তাদের পর্ন সার্চে মুহাম্মদের জীবনের ভূমিকা আছে। আবার এটাও বলছি না যে, একেবারেই কোন ভূমিকা নেই।
যাকে জীবন আদর্শ মেনে কোটি কোটি মুসলমান জীবন যাপন করে, তার প্রভাব কিছুটা তো থাকবেই। তাতে খুব অবাক
হবার কিছু নেই।
দুঃখ হয় ইসলামী সমাজের মেয়েদের কথা ভেবে। তাদের নাকি দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান এবং সমান অধিকার! কাল থেকে সেই
সর্বোচ্চ সম্মান এবং সমান অধিকারগুলো সব মুসলিম পুরুষদের দিয়ে দেয়া হলে বেশ হতো। যেমন, মুসলিম
নারীরা একই সাথে চারটা বিয়ে করতে পারবে। যৌন দাস রাখতে পারবে। সম্পত্তিতে ছেলেরা পাবে মেয়েদের অর্ধেক। বাইরে যেতে
হলে পরিবারের মেয়ে সদস্যদের অনুমতি নিয়ে যেতে হবে। স্বামী বা স্বামীরা কথা না শুনলে মেয়েরা পেটাতে
পারবে। ছেলেদের বোরখা পড়ে ঘুরতে হবে, যেন মেয়েরা তা দেখে উত্তেজিত না হয়। নিজের ইজ্জত ছেলেদের সামলে
সুমলে চলতে হবে। বা স্বর্গে গেলে মেয়েরা ৭২ টা ব্রাডপিটের মত পুরুষ বেশ্যা পাবে। ভাল হতো এরকম হলে।
কয়েকবছর পুরুষরা এই সর্বোচ্চ সম্মান এবং সমান অধিকার ভোগ করলেই ঠেলা বুঝতো।
ভাবছি, ইসলামে নারীর যখন এতই সর্বোচ্চ সম্মান এবং অধিকার, মুসলিম পুরুষরাও কেন এই অধিকারের জন্য
আন্দোলনে নামছে না? নামলে বেশ হতো বটে।
24 mins · Public