Download as docx, pdf, or txt
Download as docx, pdf, or txt
You are on page 1of 51

Company Law

প্রশ্ন-১ কোম্পানীর সংজ্ঞা দাও। কোম্পানী কি কি প্রকারে বিভক্ত। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী এবং
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানীর মধ্যে পার্থক্য কি। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী কি কি সুবিধা ভোগ করে
থাকে? কখন একটি কোম্পানির নামের অংশ হিসাবে লিমিটেড শব্দটি ছাড়াও নিবন্ধন করা যায?

ভূ মিকা:

বর্ত মান পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই ব্যাপকভাবে কোম্পানী একটি পরিচিত নাম। সারা বিশ্বে সর্বপ্রথম
কোম্পানী আইন চালু হয় ১৮৪৪ সালে।বস্তুত: শিল্প বিপ্লব এর মাধ্যমে একক মালিকানা এবং অংশীদারী
কারবার পদ্ধতি সংগঠন হিসাবে কার্যপরিচালনা করতে পারছিলনা তখই যৌথ মূলধনী কারবার পদ্ধতি
কোম্পানীর সৃষ্টি। কোন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বোঝা যায় সে দেশের কোম্পানীর কার্যক্রমের উপর।

কোম্পানীর সংজ্ঞা:

কতিপয় ব্যক্তি যৌথভাবে মূলধন সরবরাহ করে মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে কোম্পানী আইনের অধীনে যে
ব্যবসাযিক কারবার গঠন করে তাকেই বলা হয় কোম্পানী।

বাণিজ্যিকভাবে মুনাফা অর্জ নের উদ্দেশ্যে গঠিত কোনো বিধিবদ্ধ সংস্থাকে কোম্পানি বলা হয়।

১৯৯৪ সালের কোম্পানী আইনের ২(১)ঘ ধারায় কোম্পানীর সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

“কোম্পানী” বলিতে কোম্পানী আইনের অধীনে গঠিত এবং নিবন্ধনকৃ ত কোন কোম্পানী বা কোন
বিদ্যমান কোম্পানীকে কোম্পানী বলে।

প্রামাণ্য সংজ্ঞা:

আমেরিকার খ্যতিনামা বিচার পতি জন মার্শাল বলেন, কোম্পানী হল আইনের দ্বারা সৃষ্ট কোন ব্যক্তি সত্তা
যা অদৃশ্য, অস্পর্শনীয় এবং যাহার নিজস্ব মূলধন আছে।

অধ্যাপক ওয়াই কে ভূ ষন বলেন, কোম্পানী হল এমন একটি কৃ ত্তিম ব্যক্তিসত্তা যাহার নির্দি ষ্ট নাম সাধারন
সীলমোহর ও নিবন্ধন আছে এবং শেয়ার হোল্ডার দ্বারা শেয়ার বিভক্ত আছে।

উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, কোম্পানী হল আইন দ্বারা সৃষ্টি,নিবন্ধনকৃ ত, চিরন্ত্রন অস্তিত্ব
সম্পন্ন এবং কৃ ত্তিম ব্যক্তি সত্তা যার নাম সীল,চু ক্তি এবং নিজে অন্যন্যাদের নামে মামলা করতে পারে।

কোম্পানী একটি আইন সৃষ্ট যৌথ মালিকানা ব্যবসায় সংগঠন

এটি কৃ ত্তিম ব্যক্তি সত্তার অধিকারী হওয়ায় নিজস্ব অস্তিত্ব বিদ্যমান।

এর নিজস্ব সিলমোহর রয়েছে এবং নিজ নামেই এটি ব্যবসায় লেনদেন করে।

এটি চিরন্তন অস্তিত্বের অধিকারী,এর মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা সম্পূণ আলাদা।

প্রকারভেদ:

বিভিন্ন সময় মানুষের বিকাশলাভ এবং কোম্পানী আইনের প্রয়োজনে বিভিন্ন কোম্পানীর সৃষ্টি হয়।
তাছাড়া ক্রমবর্ধিত প্রসারের কারণে বিভিন্ন কোম্পানীর সৃষ্টি হয়েছে।

কোম্পানীর প্রকারভেদ:
ব্যবসায় জগতে দাহিদা পূরণের জন্য বিভিন্ন সময় কোম্পানীর প্রয়োজনে কোম্পানীর শ্রেণী বিভাগ হযেছে।
১৯৯৪ সালের কোম্পানী আইনের বিধান অনুসারে কোম্পানীকে নিম্নোক্তভাবে শ্রেনী বিভাগ করা হয়েছে-

শ্রেণীবিভাগ:

সনদপ্রাপ্ত কোম্পানি:

বাংলাদেশে ১৮৪৪ সালে কোম্পানি আইন পাশ হওয়ার আগে তৎকালীন গ্রেট ব্রিটেনের রাজার বা রাণীর
বিশেষ ফরমান বা সনদবলে যে কোম্পানী গঠিত হতো তাকে সনদপ্রাপ্ত কোম্পানি (ঈযধৎঃবৎবফ
ঈড়সঢ়ধহু) বলে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী, চার্ট ার্ড ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, চার্ট ার্ড মার্কে ন্টাইল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
এই ধরণের কোম্পানীর উদাহরণ। পরে অবশ্য বাংলাদেশে কোম্পানি আইন পাশ হওয়ার পর এধরণের
কোম্পানি গঠনের সুযোগ রহিত করা হয়।

সংবিধিবদ্ধ কোম্পানি:

যেসকল কোম্পানি আইন পরিষদের বিশেষ আইন দ্বারা বা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ বলে গঠিত এবং নিয়ন্ত্রিত
হয়, তাদেরকে সংবিধিবদ্ধ কোম্পানি (ঝঃধঃঁঃড়ৎু ঈড়সঢ়ধহু) বলে। এসকল কোম্পানিকে সাধারণত
একচেটিয়া ক্ষমতা দেওয়া হয় এবং এদেরকে কোম্পানি আইনের আওতার বাইরে রাখা হয়। এরা
সাধারণত পরিবহণ, জলবিদ্যুৎ এবং সেবামূলক কাজের ক্ষেত্রে গঠিত হয়। বাংলাদেশে বাংলাদেশ ব্যাংক,
বাংলাদেশ বিমান, বিআরটিএ, বিসিআইসি, ওয়াাসা ইত্যাদি এধরণের প্রতিষ্ঠানের উদাহরণ।

নিবন্ধিত কোম্পানি:

রেজিস্ট্রিকৃ ত বা নিবন্ধিত কোম্পানি (জবমরংঃবৎবফ ঈড়সঢ়ধহু) বলতে কোম্পানী আইনের অধীনে গঠিত
ও নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানকে বোঝায়। নিবন্ধিত কোম্পানিকে আবার কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। তন্মধ্যে
দায়ের ভিত্তিতে নিবন্ধিত কোম্পানিকে দুইভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

সসীম দায় কোম্পানি:

যে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের দায় সীমাবদ্ধ থাকে, তাকে সসীম দায় কোম্পানী বলে। এধরণের
কোম্পানি আবার দুই প্রকার। যথা-

প্রতিশ্রুত মূল্য দ্বারা সসীম দায় কোম্পানি:

প্রতিশ্রুত মূল্য দ্বারা সসীম দায় কোম্পানির (ঈড়সঢ়ধহু খরসরঃবফ নু এঁধৎধহঃবব) শেয়ারহোল্ডারদের দায়
স্মারকলিপিতে বর্ণিত থাকে এবং বর্ণনা অনুযায়ী শেয়ারহোল্ডাররা দায় পরিশোধ করে থাকেন।

শেয়ার মূল্য দ্বারা সসীম দায় কোম্পানি:

যে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের দায় তাদের ক্রীত শেয়াারের আঙ্কিক মূল্য দ্বারা সীমাবদ্ধ থাকে তাকে
শেয়ার মূল্য দ্বারা সীমাবদ্ধ দায় কোম্পানি (ঈড়সঢ়ধহু খরসরঃবফ নু ঝযধৎব) বলে। এক্ষেত্রে কোনো
অবস্থাতেই শেয়াারহোল্ডারদেরকে তাদের ক্রীত শেয়ারের আঙ্কিক মূল্যের অতিরিক্ত দায়ের জন্য দায়ী করা
যায় না। পৃথিবীর সকল দেশেই এরকম কোম্পানি দেখা যায়।

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি:

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যে সীমাবদ্ধ দায় কোম্পানিতে সদস্যের সংখ্যা ন্যূনতম ২ বা সর্বোচ্চ ৫০ জন রাখা
হয় এবং সীমাবদ্ধ দায়ের ভিত্তিতে কোম্পানিকে প্রদত্ত আইনের আওতায় নিবন্ধিত করা হয়, তাকে ঘরোয়া
মালিকানায় সীমাবদ্ধ কোম্পানি বা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি (চৎরাধঃব খরসরঃবফ ঈড়সঢ়ধহু) বলে।
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি:

পৃথিবীব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় কোম্পানি সংগঠন হলো পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি (চঁ নষরপ খরসরঃবফ
ঈড়সঢ়ধহু)। এসকল কোম্পানী বাজারে শেয়ার ছাড়ার মাধ্যমে মূলধন জোগাড় করে থাকে। বাংলাদেশে
এধরণের কোম্পানির সদস্যসংখ্যা সর্বনিম্ন ৭ জন এবং সর্বোচ্চ শেয়ার দ্বারা সীমাবদ্ধ থাকে, শেয়ার অবাধে
হস্তন্তরযোগ্য এবং কোম্পানি শেয়াার ও ঋণপত্র জনগণের উদ্দেশ্যে ক্রয়-বিক্রয়ের আহবান জানায়। পাবলিক
লিমিটেড কোম্পানিকে মালিকানার ভিত্তিতে দুইভাগে এবং নিয়ন্ত্রণের ভিত্তিতে আরো দুভাগে ভাগ করা
যায়:

সরকারি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি:

কোনো কোম্পানির মালিকানা বা এর শেয়াার মালিকানার কমপক্ষে ৫১% শেয়াার যদি সরকারি
মালিকানায় থাকে এবং এর পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সরকারের হাতে থাকে, তবে তাকে সরকারি
মালিকানায় পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি বলে।

বেসরকারি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি:

কোনো কোম্পানীর শেয়ারের কিয়দংশ সরকার গ্রহণ করলে তাকে আধা-সরকারি কোম্পানি বলে। কোনো
কোনো সময় সরকার শেয়ার মূলধনের শতকরা ৩০% বা ৪০% গ্রহণ করে। এতে সরকারি ও বেসরকারি
মালিকানার সংমিশ্রণ ঘটে বলে একে আধা-সরকারি কোম্পানি বলে।

হোল্ডিং কোম্পানি:

যদি কোনো কোম্পানি অন্য কোম্পানির ৫০% শেয়ারের বেশি শেয়ারের মালিক হয় বা মোট ভোটদান
ক্ষমতার ৫০%-এর অতিরিক্ত ভোটদান ক্ষমতা ভোগ করে অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অধিকাংশ
পরিচালক নিয়োাগ করার ক্ষমতার অধিকারী হয় তবে ঐ কোম্পানিকে নিয়ন্ত্রণশালী বা ধারক কোম্পানি
বা হোল্ডিং কোম্পানি বলে।

সাবসিডিয়ারি কোম্পানি:

যে কোম্পানির ৫০%-এর বেশি শেয়ার বা ভোটদান ক্ষমতা অন্য কোম্পানির অধীনে চলে যায় সে
কোম্পানিকে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি বলে। মূলত হোল্ডিং কোম্পানি যে সকল কোম্পানির ৫০% শেয়ার
ক্রয় করে তাদেরকেই সাবসিডিয়ারি কোম্পানি বা অধীন কোম্পানি বলে।

অসীম দায় কোম্পানি:

যে নিবন্ধিত কোম্পানির শেয়াারহোল্ডারদের দায় অসীম অর্থাৎ শেয়ারহোল্ডারদের দায় তাদের বিনিযোগের
বাইরেও ব্যক্তিগতভাবে বর্ত ায় তাকেই অসীম দায়সম্পন্ন কোম্পানি বলে। বাংলাদেশে এধরণের কারবারের
অস্তিত্ব নেই।

অনিবন্ধিত কোম্পানি:

বাংলাদেশের কোম্পানী আইনের ৩৭১ ধারা অনুযায়ী অনিবন্ধিত কোম্পানী হলো ৭ সদস্যের অধিক সদস্য
নিয়ে গঠিত কোনো অংশিদারী ব্যবসায় বা সমিতি যা কোম্পানি আইনের আওতায় নিবন্ধিত নয়। ১৯৯৪
সালের কোম্পানি আইন অনুযায়ী এধরণের প্রতিষ্ঠানকে কোম্পানি বলা চলে না। তবে, কোম্পানি অবলুপ্তির
কালে সীমিত পর্যায়ে এটা কোম্পানি বলে গণ্য হয়। বাংলাদেশে কার্যত এরূপ কোম্পানির অস্তিত্ব নেই।
অন্যান্য

অব্যবসায়ী কোম্পানি:

জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে কোনো অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মুনাফা অর্জ ন করে তা জনকল্যাণ কাজে ব্যবহার করলে
উক্ত প্রতিষ্ঠানকে সরকার তার সন্তুষ্টিস্বাপেক্ষে সীমাবদ্ধ দায় কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধনের নির্দে শ দিতে
পারে। একোম্পানির নামের শেষে ‘লিমিটেড’ শব্দটি ব্যবহার করতে হয় না।

উপরোক্ত কোম্পানীর শ্রেণী বিভাগ আলোচনা করে বলা যায় কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডার, মূলধন
,কাযপদ্ধতি ও আইনের বাধ্যবাধকতার ভিত্তিতে কোম্পানরি শ্রেণীবিভাগ হয়েছে।

বর্ত মান ব্যবসায় জগতে যৌথ মূলধনী ব্যবসায় পদ্ধতির মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হল কোম্পানী পদ্ধতি।
বিভিন্ন প্রয়োজনে এই জনপ্রিয় কোম্পানী হল প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী এবং পাবলিক লিমিটেড
কোম্পানী।

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী এবং পাবলিক লিমিটেড কোম্পানীর মধ্যে পার্থক্য:

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী এবং পাবলিক লিমিটেড কোম্পানীর মধ্যে আইনগত বাধ্যবাধকতা এবং
সুবিধা অনুসারে নিম্নলিখিত পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়ে থাকে।

পার্থক্যের বিষয় প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী

সংজ্ঞাগত পার্থক্য কমপক্ষে দুজন থেকে সর্বোচ্চ ৫০ জনের মধ্যে যেকোনো সংখ্যক ব্যক্তি
স্বেচ্ছায় একত্র হয়ে সীমাবদ্ধ দায়ের ভিত্তিতে যে কোম্পানি গঠন করে তাকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি
বলে। কমপক্ষে সাতজন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় মিলিত হয়ে সীমাবদ্ধ দায় ও চিরন্ত্রন অস্তিত্বসম্পন্ন যে যৌথ
ব্যবসায় সংগঠন গড়ে তোলে, তাকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি বলে।

সদস্য সংখ্যা এক্ষেত্রে সর্বনি¤œ সদস্য সংখ্যা ২ জন এবং সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা ৫০জন। এক্ষেত্রে
সর্বনি¤œ সদস্য সংখ্যা ৭ এবং সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা শেয়ার দ্বারা সীমা বদ্ধ।

মূলধন এক্ষেত্রে মূলধনের পরিমান তু লনামূলকভাবে কম থাকে। মূলধনের পরিমান


তু লনামূলকভাবে অনেক বেশী থাকে।

শেয়ার বিক্রয় এ কোম্পানী শেয়ার বিক্রির উদ্দেশ্যে জনগনের কাছে আহবান জানাতে পারে না।
এ কোম্পানী শেয়ার বিক্রির উদ্দেশ্যে জনসাধারনের কাছে আহবান জানাতে পারে।

শেয়ার হস্তান্তর এ কোম্পানীর শেয়ারভেদে হস্তান্তর করা যায় না। এ কোম্পানীর শেয়ার
অবাধে হস্তান্তর যোগ্য।

পরিচালকের সংখ্যা পরিচালকের সংখ্যা সর্বনি¤œ ২ জন হতে হয়। পরিচালকের সংখ্যা সর্বনি¤œ
৩ জন থাকতে হয়।

পরিচালকের অবসর গ্রহন পরিচালককে অবসর গ্রহন করতে হয় না। ১/৩ অংশ পরিচালককে
অবসর গ্রহন করতে হয়।

বিবরণ পত্র প্রাইভেট লিমিটেড এর ক্ষেত্রে বিবরনপত্র প্রকাশ প্রযোজ্য নয়। শেয়ার বিক্রয়ের পূর্বে
অবশ্যই বিবরণ পত্র প্রকাশ করতে হবে।
ব্যবসায় আরম্ভ নিবন্ধনের পরপরই ব্যবসায় আরম্ভ করতে পারে। পাবলিক লিমিেিটড কোম্পানী
নিবন্ধনের পর ব্যবসা আরম্ভেও সনদপত্র সংগ্রহের পর ব্যবসা আরম্ভ করতে পারে।

ঋণপত্র এ কোম্পানী ঋনপত্র ইস্যু করতে পারে না। এ কোম্পানী ঋনপত্র ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ
সংগ্রহ করতে পারে।।

বিধিবদ্ধসভা ও বিধিবদ্ধ বিবরণী এ কোম্পানীর ক্ষেত্রে বিধিবদ্ধ সভা আহব্বান ও বিধিবদ্ধ বিবরণী
বাধ্যতামূলক নয়। এ কোম্পানীর ক্ষেত্রে গঠনের ১ মাস থেকে ৬ মাসের মধ্যে বিধিবদ্ধ সভা
আহব্বান ও বিধিবদ্ধ বিবরণী তৈরী এবং তা নিবন্ধকের কাছে দাখিল বাধ্যতামূলক।

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী কি কি সুবিধা ভোগ করে থাকে:

পাবলিক লিমিটেড কোম্পানীর ব্যাপক জনপ্রিয়তা,বেশী মূলধন পাওয়ার নিশ্চয়তা, বৃহদাকারের সংগঠন,
শেয়ারের অবাধ হস্তান্তর যোগ্যতা ইত্যাদি সুবিধাভোগ করলেও পাইভেট কোম্পানী কিছু বাড়তি আইনগত
সুবিধা ভোগ করে।

আইনগত সুবিধা:

১) গঠন সহজ:

২) কার্যারম্ভের সনদ পত্র:

৩) বিবরণ পত্র:

৪) ন্যূনতম চাঁদা:

৫) বিধিবদ্ধ সভা:

৬) বিধিবদ্ধ বিবরণী

৭) পরিচালনা পর্ষদ গঠন সহজ:

৮) পরিচালকের অবসর:

সাধারণ সুবিধা সমূহ:

১) দ্রুত সিন্ধান্ত গ্রহন:

২) গোপনীয়তা রক্ষা:

৩) নমনীয়তা:

৪) সদস্যদের মধ্যে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক :

৫) মিতব্যয়ী:

৬) আইনগত আনুষ্ঠানিকতা:

কখন একটি কোম্পানির নামের অংশ হিসাবে লিমিটেড শব্দটি ছাড়াও নিবন্ধন করা যায:
লিমিটেড শব্দ ছাড়া কোম্পানীর নিবন্ধন:

নি¤œ লিখিত যে কোন পন্থায় একটি কোম্পানী নিবন্ধিত হতে পারে:

১)প্রচলিত কোম্পানী আইন অনুসারে:বর্ত মানে প্রচলিক ১৯৯৪ সালের কোম্পানী আইন অনুসারে
বাংলাদেশের কোম্পানসিমুহ নিবন্ধিকৃ ত হযে থাকে। এগুলোকে লিমিটেড কোম্পানী ও বলা হয।

২) পার্লামেন্টে বিশেষ আইন পাশ করে: দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের জন্য অনেক সময় বড় রকমের
কোম্পানি গঠনের প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে সংসদে বিশেষ আইন পাশ কওে এবং সে আইনের আওতায়
কোম্পানী গঠন করা যায়। উদাহরণস্বরুপ- বাংলাদেশ কুঠির শিণ্প কর্পোরেশন, শিল্প উন্নয়ন ব্যাংক ইত্যাদি।
এগুলোকে স্ট্যাটিউটরী বা সংবিধিবদ্ধ কোম্পানী বলে।

৩) রাজকীয় সনদ দ্বারা (ইু জড়ুধষ পযধৎঃবৎ):বৃটিশ সরকার রাজার অনুমোদন সাপেক্ষে বিশেষ কোম্পানী
গঠন কওে থাকেন। যেমন- ভারত উপমহাদেশে ব্যবসার উদ্দেশ্যে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী গঠন করা
হয়েছিল। এগুলোকে চাটার্ড কোম্পানী বলা হয়।

১৯৯৪ সালের কোম্পানী আইনের ৬ ধারায় শেয়ার দ্বারা সমিাবদ্ধ কোম্পানী এবঙ ৭ ধারায় প্রতিশ্রুতি
দ্বারা সীমাবদ্ধ দায় সম্পন্ন কোম্পানির উল্লেখ আছে। ৮ দারাং সীমাহনি দায় সম্পন্ন কোম্পানরি উল্লেখ
থাকলেও বাস্তবে এর অস্তিত্ব দেখা যায় না। এগুলির মধ্যে শুধু শেয়ার দ্বারা ও প্রতিশ্রুতি দ্বারা সমিাবদ্ধ
দায় সম্পন্ন কোম্পানরি ক্ষেত্রে লিমিটেড শব্দ লিখা হয়। অন্যান্র ক্ষেত্রে এ শব্দ ছাড়াই নিবন্ধন করা হয।

১৯৯৪ সালের কোম্পানী আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী যে সকল কোম্পানী শিক্ষ, বিজ্ঞান কলা

প্রশ্ন-২:কোম্পানী ও অংশীদারী কারবারের মধ্যে পার্থক্য দেখাও। কিভাবে একটি প্রাইভেট লিমিটেড
কোম্পানীকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানীতে রুপান্তর করা যায়? হোল্ডিং কোম্পানী ও সাবসিডিয়ারী
কোম্পানির মধ্যে পার্থক্য কি কি?

কোম্পানী ও অংশীদারী ব্যবসার মধ্যে পার্থক্য:

ক্র: ন: পাার্থক্যের বিষয় কোম্পানী অংশীদারী কারবার

১ সংজ্ঞাগত পার্থক্য যখন একাধিক ব্যক্তি যৌথভাবে মূলধন সরবরাহ করে মুনাফা অর্জ নের
উদ্দেশ্যে কোন ব্যবসায়িক কারবার গঠন করে তাকেই কোম্পানী বলে।কোম্পানী আইন ১৯৯৪ অনুযায়ী
কোম্পানির নিবন্ধন বাধ্যতামূলক।নিবন্ধিত হওয়ার পর একটি কোম্পানি স্বতন্ত্র ব্যক্তি স্বত্বা অর্জ ন করে।
যখন একাধিক ব্যক্তি যৌথভাবে মূলদান সরবরাহ করে মুনাফা অর্জ নের উদ্দেশ্যে কোন ব্যবসায়িক
কারবার গঠন করে তাকেই অংশীদারী কারবার বলে। অংশীদারী আইন ১৯৩২ অনুযায়ী অংশীদারী
কারবার নিবন্ধন বাধ্যতামূলক নয় এবং অংশীদার সাধারণত কোন আলাদা ব্যক্তি স্বত্বা হিসেবে গন্য হয়
না।

২ আইনগত অবস্থান কোম্পানী একটি আলাদা আইনগত স্বত্বা। কিন্তু অংশৗদারী কারবারের
কোন আইনগত স্বত্বা নেই।

৩ নিবন্ধন কোম্পানী রেজিষ্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। অংশীদারী কারবারের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক


নয়।

৪ সদস্যদের দায় কোম্পানীর সদস্যদের দায় সীমিত। অংশীদারী কারবারের সদস্যদের দায়
অসীম।
৫ সর্বনি¤œ সদস্য সংখ্যা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে ২ জন এবং পাবলিক লি:
কোম্পানির ক্ষেত্রে সর্ব নি¤œ সদস্য সংখ্যা ৭ জন। অংশদিারী কারবারের ক্ষেত্রে সর্বনি¤œ সদস্য
সংখ্যা ২ জন।

৬ সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে শেয়ার দ্বারা সীমাবদ্ধ এবং
প্রাইভেট লি: এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ জন । অংশীদারী কারবারে সর্বোচ্চ ২০ জন কিন্তু ব্যাংকিং
ব্যবসার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ জন।

৭ পরিচালনা কোম্পানী পরিচালনার দায়িত্ব অর্পিত হয় পরিচালনা পর্ষদের উপর। অংশীদারী


কারবার পরিচালনার দায়িত্ব অর্পিত হয় অংশীদারদের উপর।

৮ হিসার সংরক্ষণ কোম্পানীর ক্ষেত্রে হিসাব সংরক্ষণ করা এবং নিরীক্ষকের মাধ্যমে নিরীক্ষকরণ
বাধ্যতামূলক। অংশীদারী কারবারের ক্ষেত্রে হিসাব সংরক্ষণ এবং নিরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক নয়।

৯ মূলধন বৃদ্ধি কোম্পানীর ক্ষেত্রে মূলধনের ক্ষেত্রে নিজেরা অথবা বাইরে থেকে শেয়ার বিক্রয়ের
মাধ্যমে মূলধন বৃদ্ধি করা যায়। অংশীদারী কারবারের ক্ষেত্রে অংশীদারকেই মূলধন বৃদ্ধি করতে হয়

১০ স্থায়ীত্বকাল কোম্পানীর অস্তিত্ব বা স্থায়ীত্বকাল চিরন্ত্রন। অংশীদারী কারবারের স্থায়ীত্ব


কাল তু লনামূলকভাবে কম।

১১ বিলুপ্তি কোম্পানীর বিলোপ সাধন তু লনামূলক কঠিন। অংশীদারী কারবারের বিলোপ


সাধন তু লনামূলকভাবে সহজ।

প্রাইভেট লি: কোম্পানীকে পাবলিক লি: কোম্পানীতে রূপান্তর:

১৯৯৪ সালের কোম্পানী আইন অনুসারে প্রাইভেট লিমিেিটড কোম্পানীকে বা ঘরোয়া যৌথমূলধনী
কোম্পানী সাধারণ যৌথমূলধনী কোম্পানী অপেক্ষা কোন কোন ক্ষেত্রে কিছু টা সুবিধা ভোগ করলেও অনেক
ক্ষেত্রেই আইনগত বাধা নিষেধ অর্পিত হওয়ায় এর জনপ্রিয়তা অনেকটা কম। এর আইনগত প্রধান
বাধাগুলো হলো মূলধন সংগ্রহে বাধা; সীমিত সদস্য সংখ্যা, শেয়ার হস্তান্তর বাধা, ঋণপত্র ক্রয়ে জনগনকে
আহ্বান জানানো থেকে নিবৃত রাখা প্রভৃ তি উল্লখযোগ্য। এসকল অসুবিধা দুর করার জন্যই ঘরোয়া
যৌথমূলধনী কোম্পানীকে সাধারণ যৌথমূলধনী কোম্পানীতে রুপান্তর প্রয়োজন দেখা দেয়।এ রুপান্তরের
সপক্ষে কোম্পানী আইনের ২৩১ (১)অনুয়ায়ী সদস্য-সংখ্যা সাতের নীচে নহে এইরূপ কোন প্রাইভেট
কোম্পানী যদি উহার সংঘবিধি, এমনভাবে পরিবর্ত ন করে যে, প্রাইভেট কোম্পানী গঠন করার জন্য ধারা
২ (১) এর (ট) দফা অনুসারে যে বিধান সংঘবিধিতে অন্তর্ভু ক্ত থাকা প্রয়োজন তা আর অন্তর্ভু ক্ত না থাকে,
তাহলে উক্ত কোম্পানী -

(ক) ঐ পরিবর্ত নের তারিখ থেকে (উক্ত তারিখসহ) আর প্রাইভেট কোম্পানী থাকবে না।

(খ) ঐ তারিখের পর ত্রিশ দিনের মধ্যে হয় একটি প্রসপেক্টাস নতু বা তফসিল-৫ এর প্রথম খন্ডে
সন্নিবেশিত বিবরণাদি উল্লেখ করে এবং উক্ত তফসিলের দ্বিতীয় খন্ডে উল্লেখিত প্রতিবেদনাদি সংযুক্ত, করে,
প্রসপেক্টাসের একটি বিকল্প-বিবরণী রেজিষ্ট্রারের কাছে দাখিল করবে এবং উক্ত তফসিলের তৃ তীয় খন্ডের
বিধানাবলী সাপেক্ষে এর প্রথম এবং দ্বিতীয় খন্ডের বিধানাবলী কার্যকর থাকবে।

এ অবস্থায় পরিমেল নিয়মাবলী পরিবর্ত নের জন্য নিচের নিয়মগুলি অনুসরণ করতে হবে-
১) বিশেষ সভা আহবান ও প্রস্তাব পাশ: ১৯৯৪ সালের কোম্পানী আইন অনুসারে প্রাইভেট কোম্পানীকে
পাবলিক কোম্পানীতে রুপান্তরের লক্ষ্যে প্রথমে শেয়ার হোল্ডারদের বিশেষ সভা আহ্বান করতে হয়। এরুপ
সভায় কোম্পানির রুপান্তরের জন্য বিশেষ প্রস্তাব পাশ করে সংঘবিধির প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে হয়।এ
জন্য সংঘবিধির যে সমস্ত ধারায়-

ক) ১৯৯৪ সালের কোম্পানী আইন অনুসারে শেয়ার সংখ্যা(৫০জনে) সীমিত;

খ) ১৯৯৪ সালের কোম্পানী আইন অনুসারে শেয়ার হস্তান্তর অযোগ্য;

গ) ১৯৯৪ সালের কোম্পানী আইন অনুসারে জনসাধারণের নিকট শেয়ার বিক্রয় নিসিদ্ধ,ইত্যাদি কথা লেখা
থাকে সেগুলো পরিবর্ত ন করে নি¤েœাক্ত বিষয়সমুহ অর্ন্তভূক্ত করতে হয:

ক) সদস্য সংখ্যা ন্যূনতম ৭ জন এবং সর্বোচ্চ সংখ্যা কোম্পানীর শেয়ার সংখ্যার মাধ্যমে সীমাবদ্ধ থাকবে।

খ) শেয়ার অবাধে হস্তান্তরযোগ্য হবে এবং

গ) জনসাধারনের মধ্যে অবাধে শেয়ার ও ঋণপত্র বিক্রয়যোগ্য হতে হবে।

১৯৯৪ সালের কোম্পানী আইন অনুসারে অত:পর উক্ত বিশেষ প্রস্তাব পাশের অনুলিপি ও সংশোধিত
সংঘবিধি আবেদনপত্রসহ কোম্পানী সমূহের নিবন্ধকের দপ্তরে জমা দিতে হয়। নিবন্ধক এগুলো পরীক্ষা
নিরীক্ষা করে সন্তুষ্ট হলে নিবন্ধন রেজিষ্টারে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী হিসাবে উক্ত কোম্পানির নাম
অন্তভু ক্ত করবেন এবং নতু ন নিবন্ধন পত্র প্রদান করবেন।

৪) বিবরণপত্র বা বিবরণপত্রের বিকল্প বিবৃতি দাখিল:১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন অনুসারে এপর্যায়ে
কোম্পানি পরিচালক মন্ডরীকে কোম্পানী সমূহের নিবন্ধকের নিকট বিবরণপত্র অথবা বিবরণ পত্রের বিকল্প
বিবৃতি জমা দিতে হয়।

১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন অনুসারে উল্লেখিত কার্যাদি যথারীতি সম্পাদনের মাধ্যমে প্রউভেট লি:
কোম্পানিকে পাবলিক লি: কোম্পানিতে রুপান্তর করা যায়।

হোল্ডিং কোম্পানী ও সাবসিডিয়ারী কোম্পানির মধ্যে পার্থক্য:

যখন একটি কোম্পানী অর্ধেকের বেশী শেয়ার অন্য একটি কোম্পানী ধারণ করে তখন দ্বিতীয়তক্তো
কোম্পানীটিকে বলা হয় হোল্ডিং কোম্পানী এবং প্রথমোক্ত কোম্পানীকে বলা হয় সাবসিডিয়ারী কোম্পানী।

যদি একটি কোম্পানী অন্য একটি কোম্পানীর অধিকাংশ শেয়ারের অধিকারী হয়ে এবং তার পরিচালক
সমিতির গঠন প্রভাবিত করে সেই কোম্পানরি কার্যনীতি নিয়ন্ত্রিত করতে পারে তাহলে প্রথমোক্ত
কোম্পানীকে বলা হয় নিযন্ত্রনকারী কোম্পানী বা হোল্ডিং কোম্পানী। শেষোক্ত কোম্পানীকে বলা হয়
অধিনস্থ কোম্পানী বা সাবসিডিয়ারি কোম্পানী।

উদাহরণ: ণ-কোম্পানী মোট বিলিকৃ ত শেয়ার ১০০; উহার মধ্যে ৫৫ টি শেয়ার ঢ-কোম্পানীর মালিক। ঢ-
কোম্পানী হোল্ডিং কোম্পানী এবং ণ-কোম্পানী ইহার সাবসিডিয়ারী কোম্পানী।

প্রশ্ন-৩ পরিচালক কাকে বলে? একটি কোম্পানীর পরিচালক কিভাবে নিযুক্ত হয়? পরিচালকের যোগ্যতা এবং
অযোগ্যতা বর্ণনা কর। যোগ্যতাসূচক শেয়ার সংগ্রহে থাকা ছাড়া কোন শেয়ার হোল্ডার কি পরিচালক
হতে পারে? কখন ও কিভাবে একজন পরিচালককে অপসারন করা যায়? কিভাবে পরিচালক পদ শূণ্য হয়?
একটি কোম্পানী কি অন্য একটি কোম্পানরি পরিচালক হতে পারে? নাবালক কি কোম্পানীর পরিচালক
হতে পারে? একটি কোম্পানি কি অন্য একটি কোম্পানরি ব্যবস্থাপনা পরিচালক হতে পারে? কখন ও
কিভাবে বিকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়?

পরিচালক (উরৎবপঃড়ৎ):

কোম্পানী একটি কৃ ত্তিম ব্যক্তি। তাই একজন স্বাভাবিক ব্যক্তির ন্যায় কোম্পানী নিজে তার নিজের কার্য
পরিচালনা করতে পারে না। কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা ও কার্যপরিচালনার ভার থাকে একটি পরিচালক
মন্ডলীর (ইড়ধৎফ ড়ভ উরৎবপঃড়ৎং) উপর।কতিপয় পরিচালকের সমন্বয়ে গঠিত এই বোর্ডে ও উপর
নিভৃ ও কওে কোম্পানীর অস্তিত্ব,সুনাম ও ভবিষ্যৎ। তাই পরিচালকের ভু মিকা নি:সন্দেহে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

সাধারণ অর্থে কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা এবং দৈনন্দিন কার্য পরিচালনার ভার যাদের উপর ন্যাস্ত করা হয়
তাদেরকে বলা হয় পরিচালক।

১৯৯৪ সালের কোম্পানী আইনের ২(১ঝ) ধারায় বলা হয়েছে, পরিচালক বলতে এমন কোন ব্যক্তিকে
বোঝাবে যে পরিচালকের মর্যাদা দখল করে থাকে এবং যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন
পরিচালকের মর্যাদা দখল বলতে পরিচালকের পদে আসীন কোন ব্যক্তিকে বুঝায়, যাকে এরুপ পদের জন্য
নির্বাচন করা হয়েছে বা মনোনীত করা হয়েছে। সাধারণভাবে শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানীর বার্ষিক
সাধারণসভায় তাদের মধ্য হতে পরিচালক নির্বাচন করে। অবশ্য পরিমেল নিয়মাবলীতে বিধান থাকলে
অন্য কোনভাবেও পরিচালক নির্বাচিত বা নিয়োগপ্রাপ্ত হতে পারে। কোম্পনীর এই পরিচালকগনকে
যৌথভাবে পরিচালকমন্ডলী নামে অভিহিত করা হয়।

কোম্পানী আইন অনুযায়ী কোম্পানীর পরিচালক মন্ডলী কোম্পানীর সর্বাপেক্ষা কর্র্ত ত্বশালী পক্ষ হিসেবে
বিবেচিত হয়। কোম্পানী কৃ ত্তিম ব্যক্তি সত্তার অধিকারী হওয়ায় পরিচালকমন্ডলীকে কোম্পানীর পক্ষে
সার্বিক কার্যাদি তত্বাবধান ও পরিচালনা করতে হয। কোম্পানী আইনের ৮৩(ক) ধারা অনুযায়ী পাবলিক
লিমিটেড কোম্পানীতে কমপক্ষে তিনজন পরিচালক থাকতে হয। প্রাইভেট লিঃ কোম্পানীর পরিচালক
সম্পর্কে আইনের কিছু বলা না থাকলেও সাধারণত কমপক্ষে দু’জন পরিচালক থাকতে হয়।

অতএব বলা যায় যে,কোম্পানী পরিচালনার দায়িত্ব যাদের উপর অর্পণ করা হয় তাদের বলা হয়
পরিচালক। যে কোন নামে পরিচিত হোক না কেন, কোন ব্যক্তি পরিচালকের কাজ করলে তাকে
পরিচালক বলা হবে।

একটি কোম্পানীর পরিচালক কিভাবে নিযুক্ত হয়:

কোম্পানী আইনে ৯১ ধারায় পরিচালক নিযোগের বিধান রয়েছে।

প্রথমত:কোম্পানী গঠনের সময় কোম্পানীর সংঘবিধিতে যাদের নাম অন্তভূ ক্ত থাকবে তাদের পরিচালক
হিসেবে নিয়োগ পাবেন।

দ্বিতীয়ত: কোম্পানীর সংঘ বিধিতে কারো নাম পরিচালক হিসেবে অন্তভু ক্ত না থাকলেও সংঘ স্মারকে
স্বাক্ষরকারী প্রত্যেকেই পরিচালক হিসাবে গন্য করা যাবে।

তৎপরবর্তীতে সাধারণ সভায় - সদস্যদেও ভোটে পরিচালকগণ নির্বাচিত হবেন।

সংঘ বিধিতে কোন বিশেষ বিধিবিধান না থাকলে পরিচালনাপর্ষদকে ক্ষমতা প্রদান করলে পরিচালনা পর্ষদ
পরিচালক নিয়োগ করতে পারবেন।

পরিচালকদের যোগ্যতা বা গুনাবলী:


কোম্পানী সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিই পরিচালক। কিন্তু এই পরিচালকের যোগ্যতা কি হবে সে
সম্পর্কে ১৯৯৪ সালের কোম্পানী আইনে সুস্পষ্ট করে কিছু ই বলা হয়নি। কোম্পানীর পরিচালক হিসাবে
যোগ্যতা অর্জ নের জন্য কোম্পানী আইনের ৯২ ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দুটো শর্ত পূরণ করতে
হবে। যেমন-

১) একজন পরিচালককে অবশ্যই স্বাভাবিক ব্যক্তি হতে হবে[ধারা-৯০(৩)] কোন কৃ ত্তিম ব্যক্তি কোম্পানীর
পরিচালক হতে পারেনা।

২) তাকে অবশ্যই যোগ্যতা সূচক শেয়ার অর্জ ন করতে হবে।[ধারা-৯৭(১)]

যোগ্যতাসূচক শেয়ার ছাড়াও এবং কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডার ছাড়াও যে কেউ পরিচালক হতে
পারে(৯৭(১)।

পরিচালক হিসেবে নিযুক্তির ৬০ দিনের মধ্যে তাকে যোগ্যতাসূচক শেয়ার অর্জ ন করতে হয় অথবা
সংঘবিধিতে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে যোগ্যতাসূচক শেয়ার ক্রয করতে হয়।

অতএব বলা যায় যে, যোগ্যতা সূচক শেয়ার হোল্ডার ছাড়াও কোম্পানীর পরিচালক হতে পারে।

পরিচালকদের অযোগ্যতা(ধারা-৯৪):

নি¤œ লিখিত ব্যক্তিগনকে কোম্পানীর পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করা যায় না:

ক) কোন আদালত কর্তৃ ক বিকৃ তমস্তিষ্ক হইলে;

খ)কোন দেউলিয়া ব্যক্তি;

গ) কোন ব্যক্তি যিনি দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেছেন যা বিচারাধীন;

ঘ) শেয়ারের টাকা চাওয়ার পরও ৬ মাসের মধ্যে তা পরিশোধে ব্যর্থ হলে;

ঙ) কোন নাবালক/তিনি যদি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হন।

এছাড়াও সংঘবিধিতে উল্লেখিত অন্য যে কোন অযোগ্যতা।

যোগ্যতাসূচক শেয়ার সংগ্রহে থাকা ছাড়া কোন শেয়ার হোল্ডার কি পরিচালক হতে পারে:

কোম্পানী আইনের ৯৭(১) ধারা অনুসারে কোম্পানীর সংঘবিধিতে নির্দি ষ্ট যোগ্যতাসূচক শেয়ারের ধারক
হওয়া প্রত্যেক পরিচালকের জন্য বাধ্যতামূলক। যোগ্যতাসূচক শেয়ার ছাড়াও পরিচালক হতে পারে তবে
তাকে পরিচালক হিসাবে নিযুক্তির ৬০ দিনের মধ্যে অথবা সংঘবিধি দ্বারা নির্দে শিত সময়ের চেয়ে কম
সময়ের মধ্যে তা অর্জ ন করতে হবে।

কিভাবে পরিচালক পদ শূণ্য হয়(ধারা-১০৮):

নি¤œ লিখিত কারণে পরিচালকের পদ শূণ্য হয়:

ক) যদি তিনি যোগ্যতা সূচক শেয়ার অর্জ নে ব্যর্থ হয়;

(খ) যদি আদালত কর্তৃ ক বিকৃ ত মস্তিষ্ক ঘোষিত হন;

(গ) যদি দেউলিয়া হিসেবে ঘোষিত হন;


(ঘ) যদি শেয়ারের টাকা চাওয়ার পর ৬ মাসের মধ্যে তা পরিশোধে ব্যর্থ হন;

(ঙ) কোম্পানীর অনুমতি ছাড়া অন্য কোন কোম্পানরি লাভজনক পদ গ্রহন করেন;

চ) পর পর ৩টি পরিচালক সভায় ৩ মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত সকল সভায়, যেটা দীর্ঘস্থায়ী, অনুপস্থিত
থাকলে।

(ছ) কোম্পানী আইনের ১০৩ ধারার বিধান লংঘন করে কোন ঋণ বা গ্যারান্টি গ্রহণ করেন;

(জ) তিনি ধারা ১০৫-এর বিধান লংঘন করিয়া কোন কাজ/চু ক্তি করেন।

ঞ) কোম্পানীর সংঘবিধিতে আরও অন্য কোন কারণ উল্লেখ থাকলে সেই কারণে।

কখন ও কিভাবে একজন পরিচালককে অপসারন করা যায়:

১৯৯৪ সালের কোম্পনী আইনের বিধান পর্যালোচনা করে আমরা বলতে পারি যে, বার্ষিক সাধারণ সভায়
শেয়ারহোল্ডারদের ভোটের মাধ্যমে যেমনি পরিচারক নিয়োগপ্রা প্ত হয় ঠিক তেমনিভাবে আবার শেয়ার
হোল্ডারদের বার্ষিক সভায় ভোটের মাধ্যমে পরিচালকগণ অপসারিত হয়ে থাকে। তাছাড়া আইনের বিধার
অনুযায়ী প্রতিবছর একতৃ তীয়াংশ পরিচালককে অবসর নিতে হয়। নি¤েœাক্ত কারণে একজন
পরিচালককে অপসারণ করা যায়:

১৯৯৪ সালের কোম্পানী আইনের ১০৬ ধারায় বলা হয়েছে যে,

কোন একজন পরিচালককে- সাধারন সভায় অতিরিক্ত সাধারণ সিন্ধান্ত (ঊীঃৎধ ঙৎফরহধৎু জবংড়ষঁঃরড়হ)
গ্রহণের মাধ্যমে পরিচালকের পদ থেকে অপসারণ করা যায়। সাধারণ সিন্ধান্ত গ্রহনের জন্য নোটিশে
অপসারণের কারণ উল্লেখ পূর্বক সভার কমপক্ষে ২১/১৪ দিন পূর্বে কোম্পানীর সদস্যদেরকে নোটিশ প্রদান
করতে হবে।

কোম্পানীর সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যদের ৩/৪ অংশের ভোটে অতিরিক্ত সাধারণ সিন্ধান্ত গ্রহন করত:
পরিচালককে অপসারন করা হয়।

অপসারিত পরিচালককে পরিচালনা পর্ষদ পুনরায় নিয়োগ দিতে পারবেন না।

খ) আইনের প্রয়োগ দ্বারা অপসারণ:কোম্পানী আইনের বিধান অনুযায়ী অযোগ্যতার কারণেও কোন
পরিচালককে অপসারণ করা যায়। কোম্পানী আইনের ১০৮(১) ধারা অনুসারে নি¤েœাক্ত যে কোন
কারণে পরিচালক অপসারিত এবং তার পদ শূণ্য হতে পারে।

১) যোগ্যতাসূচক শেয়ার ক্রয়ে ব্যর্থ হলে:কোম্পানী আইনের ৯৭(১) ধারা অনুসারে কোন পরিচালক যদি
নির্বাচিত হবার পর ষাট দিনের মধ্যে যোগ্যতাসূচক শেয়ার ক্রয়ে ব্যর্থ হয়।

২) মানসিকভাবে অসুস্থ হলে: আদালত কর্তৃ ক মানসিকভাবে অসুস্থ বা মস্তিষ্ক বিকৃ ত হলে।

৩) দেউলিয়াপনা: আদালত কর্তৃ ক দেউলিয়া ঘোষিত হলে বা দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার আবেদন আদালতে
বিচারাধীন থাকলে।

৪) তলবের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে: কোন পরিচালক তলব প্রদানের তারিখ হতে ৬ মাসের মধ্যে তার
অধিকৃ ত শেয়ারগুলোর উক্ত তলবের টাকা পরিশোধ না করলে তার পরিচালকত্ব লোপ পায়।
৫) কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত হলে: কোন পরিচালক সাধারণ সভার সিন্ধান্ত ব্যতিরেকে ব্যবস্থাপনা
পরিচালক, ব্যবস্থাপক,আইন বা কারিগরি উপদেষ্টা ও ব্যাংকার ছাড়া অন্য কোন কোনও লাভজনক পদ
গ্রহন করলে।

৬) পরপর তিন সভায় অনুপস্থিত:পরিচালক মন্ডলির অনুমতি ব্যতিরেকে পরপর ক্রমাগত তিনটি
পরিচালকেমন্ডলীর সভায় অনুপস্থিত থাকলে।

৭) অবৈধ উপায়ে ঋণ গ্রহন: যদি কোন পরিচালক ১০৩ ধারা লংঘনপূর্বক কোম্পানী হতে ঋণ গ্রহন করে
বা ঋণের জামানত প্রদান করে।

৮) অবৈধ ক্রয়বিক্রয় করলে: যদি কোন পরিচালক কোম্পানীর আইনের ১০৫ ধারা লংঘন করে কোন
লেনদেন করে।

৯) দন্ড প্রাপ্তি: বাংলাদেশের যে কোন আদালত কর্তৃ ক যে ব্যক্তি ৬ মাস বা ততোধিক সময়ের জন্য
দন্ডপ্রাপ্ত হয়েছে।

উপরোক্ত আলোচনার আলোকে পরিশেষে বলা যায় যে, একজন পরিচালককে সাধারণ নিয়ম ছাড়াও উক্ত
পরিচালককে নিয়ম বহির্ভূ ত বিভিন্ন কার্যাবলীর উপর ভিত্তি করে অবসর গ্রহনে বাধ্য করা যায়।

কোন একজন পরিচালক কোম্পানীর স্বার্থ বিরোধী কাজের জন্য অতিরিক্ত সাধারণসভার সিন্ধান্তে অপসারণ
করা যায়।

কখন ও কিভাবে বিকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়:

প্রশ্ন-৪ কোম্পানীর মূলধন বলতে কি বুঝায়? শেয়ারমূলধন হতে এটি কতখানি পৃথক? কোম্পানি আইনে
বিভিন্ন প্রকার মূলধন কি কি? আলোচনা কর। কিভাবে মূলধন পরিবর্ত ন করা যায়?

কোম্পানীর মূলধন বলতে কি বুঝায়:

যে কোন কারবার পরিচালনার জন্য মূলধন অপরিহার্য। সাধারণ অর্থে মুলধন বলতে কোম্পানীর বিভিন্ন
উৎস থেকে সংগৃহীত অর্থকেই বলা হয় মূলধন।

১৯৯৪ সনের কোম্পানী আইনানুসারে পরিমেল বন্ধ প্রদত্ত অধিকার অনুসারে সাধারণত শেয়ার বিক্রি করে
কোম্পানী যে অর্থ সংগ্রহ করে তাই হলো কোম্পানীর মুলধন। এ দৃষ্টিকোন থেকে শেয়ার মূলধনকে
কোম্পানীর মূলধন বলা যায় কিন্তু বাস্তবে শেয়ার বিক্রয়লব্ধ অর্থছাড়াও কোম্পানী প্রয়োজনে ঋণপত্র
বিক্রয়, বিনিয়োগকারী সংস্থা হতে ধার, নিজস্ব অভ্যন্তরীণ সঞ্চিত তহবিল ইত্যাদি উৎস হতে মূলধন সংগ্রহ
করে থাকে। সে কারণে উৎস অনুযায়ী কোম্পানীর মূলধন বলতে এর নিজস্ব মূলধন ও ঋণ মূলধন কে
বুঝায়।

সুতরাং বলা যায় যে, যে শেয়ার মূলধন নিয়ে কোম্পানী নিবন্ধিত হয় টাকার অংকে উহার পরিমাপ এবং
সে অনুসারে নির্দি ষ্ট সংখ্যক শেয়ারে বিভক্ত মোট মূল্যকে মূলধন বলে।

শেয়ার মূলধন কী:

শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে অর্জি ত মূলধনকেই বলা হয় শেয়ার মূলধন।

কোম্পানীর ঋণপত্র,বন্ড বিক্রয়ের মাধ্যমে সংগ্রহীত অর্থ,ব্যংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সংগৃহীত
ঋণ,ব্যক্তিগত উৎস থেকে সংগ্রহীত ঋণ ইত্যাদিকে বলা হয় অন্যান্য মুলধন।
১৯৯৪ সনের কোম্পানী আইন অনুসারে একটি কোম্পানীর মূলধনের ক্ষদ্রতম অংশ বা এককই হলো
শেয়ার। কোম্পানীর মোট মূলধনের একটি অভিভাজ্য অংশ হচ্ছে শেয়ার যদ্বারা মালিকগণ কোম্পানীতে
আংশিক মালিক স্বত্ব লাভ করেন। কোম্পানীর মোট মূলধনকে সমমূল্যের কতগুলো শেয়ারে বিভক্ত করা
হয। এরুপ শেয়ার বিক্রয় করে কোম্পানীর যে মূলধন সংগ্রহীত হয় তাকে শেয়ার মূলধন বলে।
কোম্পানীতে বিভিন্ন ধরণের শেয়ার থাকতে পারে। এসব শেয়ারের সব কয়টি বা অংশবিশেষ বিক্রয় করে
প্রাপ্ত অর্থ একত্রিকরণের মাধ্যমে শেয়ার মূলধন গঠিত হয় তাই শেয়ার মূলধন ক্ষেত্রে বিশেষে কোম্পানীর
মোট মূলধন বা মূলধনের অংশ হতে পারে।

গৎ. উধং এর মতে, কোম্পানী শেয়ার বিলি করে যে মূলধন সংগ্রহ করে তাকে শেয়ার মূলধন বলে।
সাধারণত শেয়ার মূলধন কোম্পানীর নিজস্ব মূলধন হিসেবে গন্য।

প্রখ্যাত ইড়ৎষধহফং ঞৎঁ ংঃবব ঠং ঝঃববষ ইৎড়ং ধহফ ঈড়(১৯০১) পয ২৭৯ মামলায় বিচার পতি
ফেয়ার ওয়েল বলেছেন, শেয়ার বলতে কোন টাকার অংক বুঝায় না টাকার অংকে পরিমান যোগ্য স্বার্থ
এবং পারস্পরিক চু ক্তির মধ্যে সন্নিবেশিত কতকগুলো অধিকারকে বুঝায়।

মোট কথা কোম্পানীর অনুমোদিত বা নিবন্ধিত মূলধনকে সমমূল্যের কতকগুলো শেয়ারে বিভক্তকরণপূর্বক
ঐ শেয়ার বন্টনের মাধ্যমে যে পরিমান মূলধন সংগ্রহ করা হয় তাকে কোম্পানীর শেয়ার মূলধন বলা
হয়ে থাকে।

শেয়ারমূলধন হতে এটি কতখানি পৃথক:

মূলধণ বিভিন্নভাবে সংগ্রহতি হতে পারে। যেমন-শেয়ার বিক্রি কওে,ঋণপত্র বিক্রি করে,বন্ড বিক্রয়ের
মাধ্যমে সংগ্রহীত অর্থ,ব্যংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহতি ঋণ,ব্যক্তিগত উৎস থেকে সংগ্রহীত ঋণ
ইত্যাদি।শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে সংগ্রহতি অথৃ দ্বারা যে মূলধন গঠিত হয় তা হচ্ছে কোম্পানীর শেয়ার
মূলধন। শেযার মূলধনের ক্ষু দ্র একক হচ্ছে শেয়ার আর শেয়ারের সমষ্ঠিই হচ্ছে শেয়ার মূলধন। শেয়ার
মূলধন কোম্পানীর মূলধনের একটি অংশ মাত্র।

মূলধনের শ্রেণী বিভাগ

উৎস্যের ভিত্তিতে মূলধনের প্রকৃ তি ও আইনের বিধানের ভিত্তিতে


ব্যহারের ভিত্তিতে

১) নিজস্ব মূলধন ১) অনুমোদিত মূলধন


১) স্থায়ী মূলধন

২) ধারকরা মূলধন ২) ইস্যুকৃত মূলধন


২) চলতি মূলধন

৩) বিলিকৃ ত মূলধন

৪) তলবী মূলধন

৫) আদায়কৃ ত মূলধন

৬) সংরক্ষিত মূলধন

ক) মুলধনের প্রকৃ তি ও আইনের বিধানের ভিত্তিতে মুলধনকে নি¤œ লিখিত ভাগেভাগ করা হয়েছে:
৬) সংরক্ষিত মূলধন (জবংবৎাব ঈধঢ়রঃধষ): কোম্পানী বিশেষ সিন্ধান্তের মাধ্যমে কোম্পানী অবসায়নের
সময় যে পরিমান অতলবী শেয়ার সংগ্রহ করবে বলে সিন্ধান্ত গ্রহন করে সেই পরিমান অতলবী
মুলধনকেই বলা হয় সংরক্ষিত মূলধন।

খ) ব্যবহারের ভিত্তিতে মূলধনকে দুইভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

১) স্থায়ী মূলধন (ঋরীবফ ঈধঢ়রঃধষ) ও ২) চলতি মূলধন (ডড়ৎশরহম ঈধঢ়রঃধষ)

১) স্থায়ী মূলধন: দীর্ঘ মেয়াদে প্রয়োজন মেটানোর জন্য যে মূলধন প্রয়োজন হয তাকে স্থায়ী মূলধন বলে।
যেমন-কোম্পানীর জন্য জমি ক্রয়, গৃহ নির্মান, যন্ত্রপাতি,আসবাবপত্র ইত্যাদি ক্রযের জন্য যে মূলধন
বিনিয়োগ করা হয তাকে স্থায়ী মূলধন বলে।

২) চলতি মূলধন: কোম্পানরি দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোর জন্য যে মূলধন প্রয়োজন হয় তাকে চলতি
মূলধন বলে। যেমন- কর্মচারীদের বেতনাদি প্রদান, কাচামাল ক্রয় এবং উৎপাদন কার্যে আনুষঙ্গিক খরচ
বহন করার জন্য যে অর্থ বিনিযোগ করা হয় তাকে চলতি মূলধন বলে।

কিভাবে মূলধন পরিবর্ত ন করা যায়:

মূলধন বৃদ্ধি:

১) কোম্পানীর সংঘ স্মরকের ৫ নং ক্লজ অনুযায়ী কোম্পানীর অনুমোদিত মূলধন হ্রাস বৃদ্ধি করা যেতে
পারে।

২) সংঘ বিধির নিয়মাবলী অনুযায়ী কোম্পানীর বিলিকৃ ত ও পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধি করা যায়।

৩) কোম্পানী আইনের ৫৩ ও ৫৬ ধারার বিধান অনুসারে মূলধন বৃদ্ধি করা যায়। মূলধনের যে কোন
পরিবর্ত ন করতে হলে কোম্পানীর সাধারণ সভায় সে মর্মে সিন্ধান্ত গ্রহন করতে হবে। মূরধন বৃদ্ধিসম্পর্কে
আর্টি কেলসে বিধান থাকতে হবে। বিধান না থাকলে প্রথমে আর্টি কেলস সংশোধন করে নিতে হবে। কি
ধরনের প্রস্তাব পাশ করতে হবে তা আর্টি কেলসে বর্ণিত থাকতে হবে, অন্যথায় সাধারণ প্রস্তাব পাশ করলেই
চলবে। মূলধন বৃদ্ধির প্রস্তাব গ্রহনের ১৫ দিনের মধ্যেই নিবন্ধককে অবহিত করতে হবে।

মূলধন হ্রাস:

কোম্পানরি ৫৯ ধারার হতে ৬৯ ধারায় মূলধন হ্রাসের বিধান রয়েছে। ৫৯ ধারায় বলা হয়েছে যে
শেয়ার মূলধন হ্রাস বলতে পরিশোধিত মূলধন হ্রাস, কোম্পানীর বিশেষ সভায় সিন্ধান্ত গ্রহনের পর
মহামান্য হাইকোর্টে র অনুমোদন সাপেক্ষে পরিশোধিত মূলধন হ্রাস করা যায়। নি¤œ বর্নিত পন্থায় মূলধন
হ্রাস করা যেতে পারে-

১) অতলবী বা অপরিশোধিত মূলধন হ্রাস করে;

২) প্রয়োজনের অতিরিক্ত আদায়কৃ ত মূলধন শেয়ার মালিকদের নিকট ফেরত দিয়ে;


৩) প্রদত্ত শেয়ার মূলধনের যে অংশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে কিংবা লোকসান হয়েছে বা যা সম্পত্তি দ্বারা
সমর্থিত নয় সে অংশটু কু অবলোপন করে;

৪) আদালত কর্তৃ ক অনুমোদিত অন্য যে কোন পন্থা অবলম্বন করে।


প্রশ্ন-৫: শেয়ার কাকে বলে? ১৯৯৪ সালের কোম্পানী আইনের অধীন বিভিন্ন প্রকার শেয়ারের বর্ণনা দাও।
শেয়ার হোল্ডার ও ডিবেঞ্চার হোল্ডারের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় কর। শেয়ার বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ
কি? অনিয়মিত শেয়ার বরাদ্দের ফলাফল আলোচনা কর।শেয়ার বাজেয়াপ্তকরণ ও শেয়ার সমর্পণের মধ্যে
পার্থক্য কি? ঋণপত্র কি? ঋণপত্র গ্রহীতার ঋণ প্রত্যপর্ণের ক্ষেত্রে প্রতিকার কি?

শেয়ার:

মূলধন কোম্পানীর কোম্পানীর জীবনী শক্তি। পুঁজি সংগ্রহের দিক থেকে কোম্পানী অন্যান্য কারবার
সংগঠনের তু লনায় কিছু টা ব্যতিক্রমী সংগঠন। কোম্পানী তার প্রয়োজনীয় মূলধন শেয়ার বিক্রযের মাধ্যমে
সংগ্রহ করে। এমন কি কারবার চলাকালীন সময়ে নগদ অর্থের সংকট ঋণপত্র বিক্রযের দ্বারা অতিরিক্ত
অর্থের চাহিদা পূরণ করে থাকে।

সহজভাবে বলা যায়, কোম্পানী অনুমোদিত মূলধন কে কতগুলো ক্ষু দ্র ক্ষু দ্র সমান অংশে বিভক্ত করে
বিভাজিত এক একটি অংশকেই শেয়ার বলে।

কোম্পানি আইন অনুযায়ী ‘শেয়ার’ বলতে একটি কোম্পানির মালিকানার অংশ বা পুঁজির অংশ বিশেষকে
বোঝায়। পাবলিক ও প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিগুলোর মূলধন বিভিন্ন ইউনিটে ভাগ করা থাকে। প্রতিটি
ইউনিটকে একটি শেয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

একটি কোম্পানির মূলধনের উপর ঐ কোম্পানির শেয়ারের সংখ্যা নির্ভ র করে থাকে। এছাড়া,শেয়ারের
সংখ্যা শেয়ারের অভিহিত মূল্যের উপর নির্ভ র করে।

যেমন ধরা যাক- মাতৃ কা লিমিটেড এর পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি টাকা এবং কোম্পানির শেয়ারের
অভিহিত মূল্য ১০ টাকা। এ ক্ষেত্রে কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা হবে ২ কোটি।

এখন, একজন শেয়ারহোল্ডার কোম্পানিটির কতটু কু মালিক তা নির্ণয় করা যাবে ঐ শেয়ারহোল্ডার এর
নিকট থাকা উক্ত কোম্পানির শেয়ারের সংখ্যার উপর। এছাড়া, বিনিয়োগকারীগণ শেয়ারের সংখ্যার
ভিত্তিতে কোম্পানি ঘোষিত লভ্যাংশও পেয়ে থাকেন।

কোম্পানী আইন অনুযায়ী শেয়ার বলতে একটি কোম্পানীর মালিকানার অংশ বা পঁজির অংশ বিশেষকে
বুঝায়, পাবলিক ও প্রাইভেট লি: কোম্পানিগুলোর মূলধন বিভিন্ন ইউনিটে ভাগ করা থাকে প্রতিটি ইউনিটকে
একটি শেয়ার হেিসবে বিবেচনা করা হয়।

শেয়ারের প্রকারভেদ:

শেয়ার হোল্ডার ও ডিবেঞ্চার হোল্ডারের মধ্যে পার্থক্য:

শেয়ার হোল্ডার :

কোম্পানী অনুমোদিত মূলধন কে কতগুলো ক্ষু দ্র ক্ষু দ্র সমান অংশে বিভক্ত করে বিভাজিত এক একটি
অংশকেই শেয়ার বলে আর এই শেয়ারের মালিকগনকেই বলা হয় শেয়ার হেল্ডার।

ডিবেঞ্চার হোল্ডার:
অনেক সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিগুলো প্রাথমিক উন্নয়নমূলক কাজ করতে গিয়ে অর্থ সংকটে
পড়ে। এ সময় অর্থ সংগ্রহের জন্য ডিবেঞ্চার ছাড়া হয়। অর্থাৎ ব্যাংক থেকে ঋণ না নিয়ে প্রতিষ্ঠান বা
জনগনের কাছ থেকে নির্দি ষ্ট সুদের বিনিময়ে এবং নির্দি ষ্ট সময়ের জন্য যে ঋণ নেয়া হয় তাকে ডিবেঞ্চার
বলে। সুদের টাকা প্রতি ৬ মাস অন্তর প্রদান করতে হয়। কর্তৃ পক্ষ চাইলে ডিবেঞ্চার স্টক একচেঞ্জে
তালিকাভূ ক্ত করাতে পারে। ডিবেঞ্চার তালিকাভূ ক্ত হলে শেয়ারের মত ক্রয় বিক্রয় করা যায়। কিন্তু নানা
কারণে আমাদের দেশে ডিবেঞ্চার এখনো আকর্ষণীয় হয়ে উঠেনি। অথচ বিনিয়োগের জন্য শেয়ারের চাইতে
ডিবেঞ্চার নিরাপদ। যেসব বিনিয়োগকারী ঝুঁ কি নিতে চান না তাদের জন্য ডিবেঞ্চার উপযোগী। মেয়াদ
শেষে ডিবেঞ্চারের টাকা পরিশোধ করতে হয়।

১) শেয়ার হোল্ডারের কোম্পানীতে মালিকানা থাকে, কিন্তু ডিবেঞ্চার হোল্ডার কোম্পানী পাওনাদার মাত্র।

২) প্রত্যেক শেয়ার কোম্পানীর মূলধনের অন্তভূ ক্ত। কিন্তু ডিবেঞ্চার কোম্পানীর ঋণ।

৩) ডিবেঞ্চার হোল্ডার নিদিষ্টহারে সুদ পান। কিন্তু কোম্পানীর লাভের উপর শেয়ার হোল্ডারের লভ্যাংশ
নির্ভ র করে।

৪) শেয়ার হোল্ডারের ভোটাধিকার আছে, কিন্তু ১৯৫৬ সালের পর হতে ডিবেঞ্চার হোল্ডারগণ এই অধিকারে
বঞ্চিত।

৫) ঋণপত্র পরিশোধযোগ্য হতে পারে। কিন্তু অগ্রাধিকারমূলক শেয়ারভিন্ন অন্য কোন শেয়ার কোম্পানী
কিনে নিতে পারে না। তবে বিশেষ অবস্থায় আদালত কোন শেয়ার ক্রয় করে নেওয়ার জন্য কোম্পানীকে
নির্দে শ দিতে পারেন।

৬) কোম্পানীর অবসায়নের সময় যখন পরিসম্পদ বন্টন করা হয় ডিবেঞ্চার হোল্ডাগন অগ্রাধিকার পেযে
থাকেন।

শেয়ার বাজেয়াপ্তকরণ ও শেয়ার সমর্পণের মধ্যে পার্থক্য:

শেয়ার সমর্পন:

যখন কোন একজন শেয়ার হোল্ডার তার শেয়ার কোম্পানীর নিকট ফেরত প্রদান করে তখন তাকে বলা
হয় শেয়ার সমর্পন।

শেয়ার বাজেয়াপ্ত করণ:

শেয়ারের অর্থ শেয়ার হোল্ডাদের নিকট থেকে তলব করার পরও নির্দি ষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধে ব্যর্থ
হলে কোম্পানীর বোর্ড অব ডিরেক্টর ঐ শেয়ার বাজেযাপ্ত করতে পারে একই শেয়ার বাজেয়াপ্ত করণ
বলে।
প্রশ্ন-৬ ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধি বলতে কি বুঝ? ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধির কার্যাবলী উল্লেখ কর। কোম্পানী
আইনে কি কি প্রকার সিন্ধান্ত গ্রহন করা যায় এবং কি উদ্দেশ্যে এ সমস্ত সিন্ধান্ত ব্যবহার করা যায়?
ম্যানেজিং এজেন্টের অক্ষমতা সমূহ কি কি? বিশেষ সিন্ধান্ত গ্রহনের পদ্ধতি কি? বিশেষ সিন্ধান্ত গ্রহনের
পদ্ধতি কি? কোন অবস্থায় একটি কোম্পানী উহার ¤্রানেজিং এজেন্টকে অপসারণ করতে পাওে এবং
কিভাবে? ২০০৫ সনে উভয়ের মধ্যে চু ক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে জনাব চৌধুরীকে রহমান এন্ড কো: লি: এ ২০
বৎসর কাল সমযের জন্য ম্যানেজিং এজেন্ট পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। বর্ত মানে রহমান এন্ড কো: লি:
জনাব চৌধুরীকে এই মর্মে অবহিত করে যে, তাহারা আর তাহাকে (মি: চৌধুরীকে) তাহাদের কোম্পানরি
ম্যানেজিং এজেন্ট হিসেবে ২০১৪ সনের পর হতে নিয়োগ এ রাখিতে অনিচ্ছুক। জনাব চৌধুরীকে পরামর্শ
প্রদান কর।

ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধি:

কোন ব্যক্তি যদি অপর কোন ব্যক্তির পক্ষে কোন কার্য সম্পাদন করে, তবে প্রথমোক্ত ব্যক্তিকে শেষোক্ত
ব্যক্তির প্রতিনিধি বরা হয়। কোম্পানী একটি ব্যক্তি এবং এ ব্যক্তির পক্ষে অপর কোন ব্যক্তি যদি
কোম্পানীর কারবার পরিচালনা কবে তবে শেষোক্ত ব্যক্তিকে ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধি বলা যায়।

কোম্পানী আইনের২(১)(ঠ) ধারামতে ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধি হচ্ছে একজন ব্যক্তি,ফার্ম বা কোম্পানী যে বা


যারা কোম্পানীর সাথে সম্পাদিত চু ক্তিমূলে পরিচালকমন্ডলীর নিয়ন্ত্রনে থেকে কোম্পানীর সমগ্র কারবার
পরিচালনা করে থাকেন। চু ক্তিতে সে মর্মে শর্ত থাকলে ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধি পরিচালক মন্ডলীর নিয়ন্ত্রন
বহিভু ত থাকতে পারেন।

ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধি কার্যাবলী:

কোম্পানী আইনের ১১৮ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধিগণ কোম্পানী পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ
ভূ মিকা পালন করে থাকেন। প্রধান কার্যাবলী নি¤œ রুপ:

১) কোম্পানীর উন্নযন:কোম্পানী গঠন,পরিচালনা ও আইনকানুন সম্পর্কে বিজ্ঞ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিও ফার্মকে


ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হয় সেহেতু কোম্পানীর উন্নয়নই তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য থাকে।

২) কোম্পানীর অর্থসংস্থান: ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধিগন আর্থিকভাবে বেশ সচ্ছল থাকেন বিধায় কোম্পানীর জন্য
প্রয়োজনীয় অর্থ সহজে যোগান দিয়ে থাকেন। এছাড়া ব্যবসায়ী মহলে তারা বেশ সুপরিচিত থাকেন বিধায়
তাদের পরিচালনাধীন কোম্পানীর শেয়ার ও ডিবেঞ্চার বিক্রি করে মুলধন সংগ্রহ করতে পারেন। এছাড়া
ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকেও ঋণ সংগ্রহ করতে পারেন।

৩) কোম্পানী পরিচালনা:ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধির প্রধান কাজ হলো দক্ষতার সাথে কোম্পানী পরিচালনা করা।
তাদের দক্ষতার উপরও কোম্পানীর সুনাম ও প্রসার অনেকটা নির্ভ রশীল। কোম্পানীর নীতি ও পরিকল্পনা
বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহন করতে হয়।

কোম্পানী আইনে কি কি প্রকার সিন্ধান্ত গ্রহন করা যায় এবং কি উদ্দেশ্যে সে সমস্ত সিন্ধান্ত ব্যবহার করা
যায়:

১৯৯৪ সালের কোম্পানী আইন অনুসারে ৩ ধরনের সিন্ধান্ত গ্রহীত হযে থাকে:

১) সাধারণ সিন্ধান্ত

২) অতিরিক্ত সাধারণ সিন্ধান্ত

৩) বিশেষ সিন্ধান্ত
১) সাধারণ সিন্ধান্ত: যে কোন সাধারণ সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে যে সিন্ধান্ত গ্রহন করা হয় তাকেই
বলা হয় সাধারণ সিন্ধান্ত। সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের কমপক্ষে ১৪ দিন পূর্বে নোটিশ প্রদান করতে হয়।
সভায় উপস্থিত সদস্যের সংখ্যা গরিষ্ঠের ভিত্তিতে এই সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

২) অতিরিক্ত সাধারণ সিন্ধান্ত: কোন সাধারণ সভায় ৩/৪অংশের মতামতের ভিত্তিতে যে সিন্ধান্ত গ্রহন করা
হয় তাকেই বলা হয় অতিরিক্ত সাধারণ সিন্ধান্ত। অতিরিক্ত সাধারণ সিন্ধান্ত গ্রহণের জন্য সভার কমপক্ষে
২১ দিন পূর্বে কোন বিষয়ে সিন্ধান্ত গ্রহন করা হবে তা সুনির্দি ষ্টভাবে উল্লেখ পূর্বক সদস্যদেরকে নোটিশ
প্রদান করতে হবে।(ধারা-৮৭(১)

৩) বিশেষ সিন্ধান্ত: কোন সাধারণ সভায় ৩/৪অংশের সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে যে সিন্ধান্ত গ্রহন করা
হয় তাকেই বলা হয় বিশেষ সিন্ধান্ত। সভা অনুষ্ঠানের কমপক্ষে ২১ দিন পূর্বে কোন বিষয়ে সিন্ধান্ত গ্রহন
করা হবে তা সুনির্দি ষ্ট উল্লেখপূর্বক সদস্যদের নোটিশ প্রদান করতে হবে। তবে সকল সদস্যগন একমত
পোষন করলে ২১ দিনের কম সময়ের নোটিশেও বিশেষ সিন্ধান্ত গ্রহন করা যায় ধারা-৮৭(২) ।

কি উদ্দেশ্যে এ সমস্ত সিন্ধান্ত ব্যবহার করা যায়:

সাধারন সিন্ধান্তের উদ্দেশ্য:

১) পরিচালকদের প্রতিবেদন অনুমোদন

২) বাষিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুমোদন

৩) অডিট রিপোর্ট ও তার ফি নির্ধারণ

৪) ডিভিডেন্ট ঘোষনা

৫) এক তৃ তীয়াংশ পরিচালকের অবসর গ্রহন ও নির্বাচন

অতিরিক্ত সাধারণ সিন্ধান্তের উদ্দেশ্য:

১) পরিচালককে বহিস্কার ধারা-১০৬

২) ঋণ পরিশোধ করতে না পারার কারণে কোন কোম্পানীর অবসায়ন করতে হলে ধারা ৩০৮(ক)

বিশেষ সিন্ধান্তের উদ্দেশ্য:

১) সংঘ স্মরকের পরিবর্ত ন (ধারা-১২)

২) সংঘবিধির পরিবর্ত ন (ধারা-২০)

৩) মূলধন হ্রাস (ধারা-৫৯)

৪) স্বেচ্ছায় অবসায়ন ধারা-২৮৯(১)

দেনার দায়ে কোম্পানীর কারবার চালানো সম্ভব না হলে এবং স্বেচ্ছাপ্রবৃত্ত অবসায়ন প্রয়োজন মনে হলে এ
ধরনের সিন্ধান্ত হয়ে থাকে। সিন্ধান্ত গ্রহনের ১৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধকের নিকট অনুলিপি দাখিল করতে
হবে।
প্রশ্ন-৮ কোম্পানীর অবসায়ন বলতে কি বুঝ? কোম্পানীকে কিভাবে ঐচ্ছিকভাবে বিলুপ্ত করা যায়?
কোম্পানী বিলুপ্ত হলে উহার সম্পত্তি কিভাবে জামানতসহ এবং জামানতবিহীন পাওনাদার,ঋণপত্রগ্রহীতা এবং
শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে বিভক্ত হবে?

কোম্পানির অবসায়ন:

যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোম্পানি তার কাজকর্ম গুটিয়ে ফেলে, দায়-দেনার নিষ্পত্তি করে, তাকে কোম্পানির
অবসায়ন বা বিলোপসাধন বলে। বাংলাদেশে ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের ২৩৪(১) ধারায় কোম্পানীর
বিলোপসাধন সম্পর্কে বলা হয়েছে। রাষ্ট্র ও আইনভেদে এর বিভিন্নতা থাকলেও মোটামুটি বিলোপের
ধরণগুলো এরকম:

আদালতের নির্দে শে বাধ্যতামূলক বিলোপসাধন:

কোম্পানি যদি বিশেষ প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে আদালত কর্তৃ ক তার অবসায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে।

বিধিবদ্ধ রিপোর্ট দাখিল করার বিষয়ে বা বিধিবদ্ধ সভা অনুষ্ঠানের বিষযে বর খেলাপ হয়ে থাকে।

নিবন্ধন করার ১ বৎসরের মধ্যে যদি কোম্পানি কারবার আরম্ভ না করে বা ১ বৎসর যাবৎ কারবার
বন্ধ রাখে।

স্বেচ্ছায়বলোপসাধন:

সদস্যদের স্বেচ্ছায় বিলোপসাধন

পাওনাদার কর্তৃ ক স্বেচ্ছায় বিলোপসাধন

আদালতের তত্ত্বাবধানে স্বেচ্ছায় বিলোপসাধন।

কোন একটি কোম্পানী তার কার্যক্রম গুটিয়ে তার ব্যক্তিত্বের বিলুপ্তি ঘটায় তখন তাকেই বলা হয়
কোম্পানীর অবসায়ন।

যে প্রক্রযি়ার মাধ্যমে কোম্পানি তার কাজর্ক ম গুটযি়ে ফলে,ে দায়-দনোর নষ্পিত্তি কর,ে তাকে
কোম্পানরি অবসায়ন বা বলিোপসাধন বল।ে বাংলাদশেে ১৯৯৪ সালরে কোম্পানি আইনরে ২৩৪(১)
ধারায় কোম্পানীর বলিোপসাধন সর্ম্পকে বলা হয়ছে।ে রাষ্ট্র ও আইনভদেে এর বভিন্নিতা থাকলওে
মোটামুটি বলিোপরে ধরণগুলো এরকম:

আদালতরে নর্দি শেে বাধ্যতামূলক বলিোপসাধন:

কোম্পানি যদি বশিষে প্রস্তাব গ্রহণরে মাধ্যমে আদালত র্ক তৃ ক তার অবসায়নরে সদ্ধিান্ত গ্রহণ করে
থাক।ে

বধিবিদ্ধ রপর্িোট দাখলি করার বষিয়ে বা বধিবিদ্ধ সভা অনুষ্ঠানরে বষিয়ে বরখলোপ হয়ে থাক।ে

নবিন্ধন করার ১ বৎসররে মধ্যে যদি কোম্পানি কারবার আরম্ভ না করে বা ১ বৎসর যাবৎ কারবার
বন্ধ রাখ।ে

স্বচ্ছোয় বলিোপসাধন:

সদস্যদরে স্বচ্ছোয় বলিোপসাধন

পাওনাদার র্ক তৃ ক স্বচ্ছোয় বলিোপসাধন


আদালতরে তত্ত্বাবধানে স্বচ্ছোয় বলিোপসাধন।

কোম্পানরি অবসায়ন বা বলিোপসাধন-

যে প্রক্রযি়ার মাধ্যমে কোম্পানি তার কাজর্ক ম গুটযি়ে ফলে,ে দায়-দনোর নষ্পিত্তি কর,ে তাকে
কোম্পানরি অবসায়ন বা বলিোপসাধন বল।ে বাংলাদশেে ১৯৯৪ সালরে কোম্পানি আইন অনুযায়ী
কোম্পানরি বলিোপসাধন হয়ে থাক।ে

কোম্পানি আইনরে ২৩৪ (১) ধারা অনুযায়ী ৩ ভাবে কোম্পানরি অবসায়ন বা বলিোপসাধন হতে পার।ে
যমেন-

১/ আদালতরে নর্দি শেে বাধ্যতামূলক বলিোপসাধন: কোম্পানি আইনরে ২৪১ ধারা অনুযায়ী বশিষে সদ্ধিান্ত
গ্রহণরে মাধ্যম,ে র্ক াযে র্ব্যথতা বা বন্ধ,ে ন্যূনতম সদস্য না থাকল,ে ঋণ পরশিোধে র্ব্যথতায়, ববিরণী
দাখলিে র্ব্যথতা প্রভৃ তি কারণে আদালতরে নর্দি শেে বাধ্যতামূলক বলিোপসাধন হতে পার।ে

২/ স্বচ্ছোয় বলিোপসাধন: আদালতরে আশ্রয় ছাড়া কোম্পানরি সদস্য বা পাওনাদাররা যখন নজি দায়ত্ত্বিে
কারবার গুটয়িে ফলেনে তখন তাকে স্বচ্ছোয় বলিোপসাধন বল।ে কোম্পানি আইনরে ২৮৬ ধারা
অনুযায়ী র্ক াযকাল উর্ত্তীন হল,ে বশিষে সদ্ধিান্তরে ভত্তিতি,ে দনোর কারনে কোম্পানরি র্ক াযাবলী অব্যাহত
না রাখা প্রভৃ তি কারণে স্বচ্ছোয় বলিোপসাধন হতে পার।ে ২ ভাবে (সদস্য ও পাওনাদার র্ক তৃ ক )স্বচ্ছোয়
বলিোপসাধন হতে পার।ে

পদ্ধতি:

কোম্পানী আইনের ২৮৬ ধারা অনুযায়ী নি¤œ লিখিতভাবে স্বেচ্ছাকুত অবসান ঘটানো যায়।

ক) সাধারণ সভা দ্বারা:সদস্যগন সাধারণ সভায় প্রস্তাব পাশ করে নি¤েœাক্ত অবস্থায় কোম্পানীর
অবসায়ন করতে পারেন-মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে

পরিমেল নিয়মাবলীতে বিধান থাকে সেরুপ ঘটনা ঘটলে।

খ) বিশেষ সিন্ধান্ত দ্বারা:যে কোন সময কোম্পানী বিশেষ সিন্ধান্ত গ্রহন করে এবং স্বেচ্ছাকৃ ত অবসান
করতে পারে।

গ) অতিরিক্ত সাধারণ সিন্ধান্ত দ্বারা:কোম্পানীর দায় বা দেনা অতিরিক্ত হওয়ার কারণে কোম্পানীর
কারবার চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না হেতু এর অবসায়ণ হওয়া উচিত এই মর্মে কোম্পানী অতিরিক্ত সাধারণ
সিন্ধান্ত গ্রহন করে স্বেচ্ছাকৃ ত অবসান করতে পারে।

৩/ আদালতরে তত্ত্বাবধানে বলিোপসাধন- কোম্পানরি স্বচ্ছোকৃ ত বলিোপসাধন কোম্পানরি সদস্য এবং


পাওনাদার বা যৌথ আবদেনরে ভত্তিতিে বা অন্য যকেোনো কারণে আদালতরে তত্ত্বাবধানে হলে তাকে
আদালতরে তত্ত্বাবধানে বলিোপসাধন বলা যায়।

কোম্পানীর অবসায়ন তিন প্রকার-

১) স্বেচ্ছায় অবসায়ন:কোন একটি কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডাররা বা সদস্যরা স্বেচ্ছায় কোন একটা
কোম্পানীকে বিলুপ্ত করলে তাকে স্বেচ্ছায় অবসায়ন বলে।এক্ষেত্রে বিশেষ সভা আহবানের মাধ্যমে স্বেচ্ছায়
অবলুপ্তির সিন্ধান্ত গ্রহন করতে হবে। এই সিন্ধন্ত অবশ্যই ৩/৪ ভাগ মেজোরিটিতে হতে হবে।
২) আদালতের মাধ্যমে বাধ্যতামূলকভাবে অবসায়ন:আদালতে অনেক সময় নিজে স্বপ্রনোদিত হয়ে কোন
কোম্পনীকে অবসায়ন ঘটাতে পারে। আবার কারো দরখাস্তের ভিত্তিতেও হতে পারে। যখন বাধ্যবাধকতা
দেওয়া থাকে সেগুলো পালন না করলে।

৩) আদালতের তত্ত্বাবধানে স্বেচ্ছায় অবসাযন:

কোম্পানীর বাধ্যতামূলক অবসায়নের কারণ:

১) বিশেষ সিন্ধান্ত গ্রহন

২) বিধিবদ্ধ সভা অনুষ্ঠানের ব্যর্থতা

৩) ব্যবসা আরম্ভের বিলম্ব বা ব্যর্থ

৪) সর্বনি¤œ সদস্য সংখ্যা থাকলে

৫) কোম্পানী ঋণ পরিশোধে অক্ষম হলে:

ক) ৫০০ টাকা বা তার অধিক টাকার পাওনাদার লিখিতভাবে পাওনা পরিশোধের বলতে এবং ৩ সপ্তাহের
মধ্যে পাওনা পরিশোদে ব্যর্থ হলে বা বিহিত ব্যবস্থা না করলে।

খ) পাওনাদারের পক্ষে আদালত প্রদত্ত কোন ডিক্রি বা অদেশ কার্যকর করতে না পারলে।

গ) কোম্পানীর দায় দেনা বিবেচনা করে আদালত যদি মনে করে কোম্পানী ঋন পরিশোধে অক্ষম।

৬) অন্য আইনসঙ্গত যে কোন কারণ-

ক) উদ্দেশ্য অর্জ নে ব্যর্থ

খ) যদি লোকসান অবসম্ভাবী হয়

গ) প্রতারণার জন্য কোন কোম্পানী গঠিত হলে।

ঘ) কোম্পানীতে অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়

ঙ) শেয়ার হোল্ডারদের অংশগ্রহনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করলে।

প্রথমে জামানত সহ পাওনাদারদেওর অর্থ পরিশোধ করতে হবে। জামানত সহ পাওনাদারদের অর্থ
পরিশোধের পর অর্থ থাকলে জামানতবিহীন পাওনাদারদের অর্থ পরিশোধ করতে হবে । অত:পর ঋণপত্র
গ্রহীতাদের পাওনা পরিশোধ করতে হবে। এই তিন শ্রেণীর পাওনা পরিশোধের পর অর্থ থাকলে তা প্রথমে
অগ্রাধিকারযুক্ত শেয়ার হোল্ডারদের তৎপর সাধারণ শেয়ার হোাল্ডারদের সবশেষে বিলম্বিত শেয়ার
হোল্ডারদের পরিশোধ করতে হবে।

প্রশ্ন- ৯ ঋড়ংং ঠং ঐধনড়ঃঃষব মামলায় প্রতিষ্ঠিত নীতিগুলি কি কি? এই নীতির ব্যতিক্রম সমূহ কি কি ?
কোম্পানরি ইন কর্পোরেশনের আচ্ছাদন বলতে কি বুঝ? আদালত কি ইহা উন্মোচন করতে পারে? ক্ষমতা
বহিভু ত নীতি নিস্পত্তিকৃ ত মামলার আলোকে আলোচনা কর। কি অবস্থার প্রেক্ষিতে একটি কোম্পানী ঋণ
পরিশোধ করতে অক্ষম বলে বিবেচিত হয়? ঋণ পত্র কি? কখন ও কিভাবে কোম্পানীর কোন ব্যক্তির
সদ¯্রপদ থাকে না? সদস্য হিসেবে না থাকলেও কখন তার উপর সদস্য কালীন দায়দায়িত্ব বর্ত ায়?
কোম্পানরি সদস্য/শেয়ার হোল্ডার হওয়ার উপায় কি?
১৯১৩ সালের কোম্পানী আইন কোম্পানীকে চিরন্তন অস্তিত্ব সম্পন্ন একটি কৃ ত্তিম ব্যক্তিসত্বা হিসেবে
স্বীকৃ তি প্রদান করেেেছ। তদুপরি স্যালোমন বনাম স্যালোমন এবং অন্যান্য মামলায় ও কোম্পানীর পৃথক
অস্তিত্ব সম্পর্কে রায় প্রদান করা হয়েছে। ফলে কোম্পানী নিজ নামে বাদী হিসেবে অপরের বিরুদ্ধে মামলা
এবং অন্যের দায়েরকৃ ত মামলা আত œ পক্ষ সমর্থন করতে পারে।

ঋড়ংং ঠং ঐধনড়ঃঃষব মামলায় কোম্পানির এই কৃ ত্তিম ব্যক্তি সত্বার শুধু স্বীকৃ তিই প্রদান করা হয় নাই,
এই নীতিও গৃহীত হয়েছে যে, বিধিসম্মতভাবে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় সংখ্যা গরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে
গৃহীত সিন্ধান্ত দ্বারা কোম্পানি বা সংখ্যা লঘিষ্ঠ সদস্যগন ক্ষতিগ্রস্থ হলেও কোম্পানী ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে
অন্য সদস্য বা সংখ্যা লঘিষ্ঠ সদস্যগন উহার বিরুদ্ধে মামলা দাযের করতে পারে না। এমনকি কোম্পানি
কর্তৃ ক মামলা করতে হলেও তা সাধারণ সভায় সংখ্যা গরিষ্ঠের সিন্ধান্তক্রমে পরিণত হবে।

মামলার বিষয়বস্তু:একটি কোম্পানীর পরিচালকগণ কোম্পানীর ব্যবহারের জন্য তাদের নিজেদের একখন্ড
জমি বাজার দরের চাইতে অধিক মূল্যে কোম্পানির নিকট বিক্রয় করে। যা সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্যগন
কর্তৃ ক অনুমোদিত হয়।

পরবর্তীকালে এফ ও টি নামক দুইজন সদস্য তাদের এবং অন্য সকলের পক্ষে ৫ জন পরিচালক একজন
আইনগত একজন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে কোম্পানীকে প্রতারণামূলকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছে বলে আদালত
ক্ষতিপূরণের মামলা করে।

কিন্তু আদালত এই মর্মে রায় প্রদান করে যে, সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্যের প্রতিনিধি হিসেবে কোম্পানীর পক্ষ
কার্যরত পরিচালকগনের যে কোন কার্যের বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে কোম্পানীর একমাত্র বৈধ
ব্যক্তি,সংখ্যা লঘিষ্ঠ সদস্যগন উক্ত বিষয়ে মামলা করতে পারে না। তবে উক্ত বিষয়ে কোম্পনীকে মামলা
করতে হবে সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্যের মতামতেই। উপরোক্ত মামলা হতে শিক্ষনীয় বিষয় হল এই যে,
ক্ষতিগ্রস্থ পক্ষই কেবল মামলা করতে পারে অন্য কেউ নয়। অর্থাৎ সংখ্যা গরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে
কোম্পানী উহার শুধু সংরক্ষণের জন্য মামলা করার একমাত্র উপযুক্ত পক্ষ।

ঋড়ংং ঠং ঐধনড়ঃঃষব মামলা রায়ের নীতি অনুযায়ী ১৯৫৬ সালের ঋবারঃফব ঠং ঐবহংড়হ মামলার
সিন্ধান্ত গৃহীত হয় যে, সংখ্যা গরিষ্ঠের সম্মতিক্রমে সম্পত্তি চু ক্তি দ্বারা কোম্পানী ক্ষতিগ্রস্থ হলেও কোম্পানী
ছাড়া সংখ্যা গরিষ্ঠ সদ¯্রগন উক্ত বিষয়ে মামলা করতে পারে না।

একই ভাবে উবহমধষঁং মামলা হতেও দেখো যায় যে,বিশেষ নিয়মাবলীর ক্ষমতা বলে সভার সভাপতি
সভা স্থগিত ঘোষনা করলে একজন সদস্য তার নিজের এবং অন্যান্য সদস্যদেনর পক্ষ্যে উহার বিরুদ্ধে
আদালতে মামলা দাযের করে। আদালত এই মর্মে রায় দেয যে, সভাপতির কার্যক্রম ভূ ল হলেও কোম্পানি
ছাড়া অন্য কোন সদস্য তার বিরুদ্ধে মামরা করতে পারে না।
প্রশ্ন-১০ কোম্পানী আইন,১৯৯৪ মোতাবেক বিভিন্ন ধরণের সভা আলোচনা কর। তলবী সাধারণ সভা
কিভাবে সম্পাদন করা যায়? একটি বৈধ সভা করতে কিকি পদ্ধতি বা নীতিমালা প্রয়োজন? স্মরক সংঘের
উদ্দেশ্য ধারার গুরুত্ব আলোচনা কর। উদ্দেশ্য ধারা উদ্দেশ্যসমূহ কি কি? একটি সীমিত দায় সম্পন্ন
কোম্পানীর সংঘস্মরকে কি কি বিষয অন্তভূ ক্ত থাকে? কখন ও কিভাবে একটি কোম্পানরি সংঘস্মরক
পরিবতৃ ন করা যায়? সংঘসমরকের উদ্দেশ্য ধারা কিভাবে পরিবর্ত ন করা যায? পরিচালকরা সংঘস্মরক
পরিপন্থি কাজ করলে তার প্রতিকার কি? কোম্পানরি সংঘ স্মরকের প্রকৃ তি ব্যাখ্যা কর। সংঘবিধির
বিষয়বস্তুগুলো আলোচনা কর।

কোম্পানির সভা (গববঃরহম ড়ভ ঃযৎ ঈড়সঢ়ধহু):আধুনিক সমস্যা জর্জ রিত সমাজ ও কারবার
প্রতিষ্ঠানের সর্বত্র ব্যবস্থাপনার অন্যতম গুরুত্বপূর্নহাতিয়ার হিসাবে সভার গুরুত্ব বাড়িযে বলার অপেক্ষা
রাখে না। ছোট বড় যে কোন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন প্রকার সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে আর এ সমস্যা আলাপ
আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে জন্য সভা আহ্বান করা হয।

সাধারণ অর্থে কোম্পানীর আইনানুগ কোন কার্য সম্পাদনের জন্য দুই বা ততোধিক ব্যক্তির একত্রে মিলিত
হওয়াকে সভা বলে।

ব্যাপক অর্থে আইনের বিধান অনুযায়ী অথবা কোন নির্ধারিত বিষয়ে সিন্ধান্ত গ্রহনের জন্য বা কোম্পানীর
বিভিন্ন সমস্যা সমাধানকল্পে পরিচালকবৃন্দ সদস্যরা অথবা কর্মকর্ত াদের একত্রে মিলনকে কোম্পানীর সভা
বলে।

জেসি ডেনিয়ারের মতে, সংশ্লিষ্ট সকলের যৌথ স্বার্থ রক্ষার্থে আইন অনুযায়ী কোম্পানীর কারবার সংক্রান্ত
বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভাকে কোম্পানীর সভা বলা হয়।

এম সে শুকলার মতে,পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী কোন আইন সম্মত কার্য সম্পর্কি ত সিন্ধান্ত গ্রহনের নিমিত্তি
কোম্পানীর সদস্যদের একত্রে সমাবেশ কে কোম্পানীর সভা বলা হয়।

উপরের আলোচনার আলোকে বলা যায় যে, সদস্যবৃন্দ, পরিচালকমন্ডলী অথবা উত্তমর্ণদের স্বার্থ রক্ষা অথবা
কোম্পানীর কারবার পরিচালনা সংক্রান্ত কোন আইনানুগ নীতি বা কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে সিন্ধান্ত গ্রহনের এ
উদ্দেশ্যে পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বর্গের মিলিত হওয়াকে কোম্পাণীর সভা বলে।

কোম্পানীর সভা

শেয়ার হোল্ডাদের সভা পরিচালক মন্ডলীর সভা


বিশেষ সভা

১) বিধিবদ্ধ সভা ১) কমিটি সভা


১) শ্রেণী সভা

২) বার্ষিক সাধারণ সভা ২) পর্ষদ সভা


২) উত্তমর্ণদের সভা

৩) অতিরিক্ত সাধারণ সভা

ক) শেয়ার হোল্ডাদের সভা:কোম্পানীর শেয়ার মালিকদের নিয়ে যে সভা অনুষ্ঠিত হয় তাকে শেয়ার
হোল্ডাদের সভা বলে। নি¤েœ শেয়ার হোল্ডাদের বিভিন্ন সভার বর্ণনা দেওয়া হল।
১) বিধিবদ্ধসভা:১৯৯৪ সালের কোম্পানী আইনের ৮৩(১) ধারায় বলা হয়েছে যে,পাবলিক লিমিটেড
কোম্পানী কার্যাম্ভের অধিকার লাভের তারিখ হতে ৩০ দিনের পর কিন্তু ১৮০ দিনের মধ্যে এর
সদস্যগণের জন্য একটি সাধারণ সভা আহ্বান করবে এবং এই সভা ১বার অনুষ্ঠিত হয় এবং ২১ দিনের
পূর্বে নোটিশ দিতে হবে। এই সভায় পরিচালকের পক্ষ থেকে একটা প্রতিবেদন পেশ করতে হবে এই
প্রতিবেদনকে বলা হয় বিধিবদ্ধ প্রতিবেদন আর এই সভাকে বলা হয় বিধিবদ্ধ সভা।

২) বার্ষিক সাধারণ সভা:১৯৯৪ সালের কোম্পানী াাইনে ৮১(১) ধারায বলা হয়েছে যে,প্রত্যেক কোম্পানী
তার অন্যান্য সভা ছাড়াও প্রতি উংরেজী পঞ্জিকা বছরে এর বার্ষিক সাধারণ হিসাবে একটি সাধারণ সভা
অনুষ্ঠান করবে। বছরে ১ বার হবে ১ম বার্ষিক সাধারণ সভা কোম্পানরি রেজিষ্ট্রেশন সময় হতে ১৮
মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। ১ টা অএগএর পার্থক্য ১৫ মাসের বেশী হবে না। রেজিষ্টার বরাবরে
আবেদন করে অএগ এর মেয়াদ আরে ৩ মাস বাড়ানো যেতে পারে।

বার্ষিক সাধারণ সভার নোটিশ ১৪ দিন পূর্বে দিতে হবে।

৩) বিশেষ সাধারণ সভা (ধারা ৮৪,৮৫):

২১ দিনপূর্বে নোটিশ দিতে হবে। প্রত্যেক মাসে কোম্পানী যখন প্রয়োজন হবে তখনই নোটিশ দিয়ে মিটিং
করতে হবে।

খ) পরিচালকদের সভা (গববঃরহম ড়ভ ঃযব ইড়ধৎফ ড়ভ উরৎবপঃড়ৎ):

গ) বিশেষ সভা:

২) সাধারণ সভা

বার্ষিক সাধারণ সভা

বিশেষ সাধারণ সভা

বার্ষিক সাধারণ সভা বছরে ১ বার হবে ১ম বার্ষিক সাধারণ সভা কোম্পানরি রেজিষ্ট্রেশন সময় হতে
১৮ মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। ১ টা অএগএর পার্থক্য ১৫ মাসের বেশী হবে না। রেজিষ্টার বরাবরে
আবেদন করে অএগ এর মেয়াদ আরো ৩ মাস বাড়ানো যেতে পারে।

বার্ষিক সাধারণ সভার নোটিশ ১৪ দিন পূর্বে দিতে হবে।

বিশেষ সাধারণ সভা (ধারা ৮৪,৮৫):

২১ দিনপূর্বে নোটিশ দিতে হবে। প্রত্যেক মাসে কোম্পানী যখন প্রয়োজন হবে তখনই নোটিশ দিয়ে মিটিং
করতে হবে।

সিন্ধান্ত: সিন্ধান্ত হতে পারে ৩ ধরনের

সাধারণ সিন্ধান্ত: কোম্পানীর বার্ষিক সাধারণ সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে যে সিন্ধান্ত গ্রহন করা হয়
সেটাই সাধারণ সিন্ধান্ত ।

কোন কোন ক্ষেত্রে সাধারণ সিন্ধান্ত গ্রহন করা হয়/ কিকি উদ্দেশ্য সাধারণ সিন্ধান্ত গ্রহন করা হয়?

সাধারণ সিন্ধান্ত ধারা-৮১

১)পূর্ববর্তী সভার সিন্ধান্ত অনুমোদন


২)কোম্পানীর বাষিৃক হিসাব বিবরণি পাশ করা

৩) অডিটর নিয়োগ এবং তার সম্মানি নির্দ ারণ করা।ৎ

৪)ডিভিডেন্ট/ লভ্যাংশ ঘোষনা

৫) কোম্পানির পরিচালকদেও বাধ্রতামূলক াবসর এবং ১/৩ অংশ নতু ন নিয়োগ দিতে হবে।

অসাধারণ সিন্ধান্ত:ধারা৪৭:

সাধারণ জ্জ অংশ সদস্যেও সংখ্যা গরিষ্ঠের ভিত্তিতে যে সিন্ধান্ত গ্রহন করা হয় তাকে াসাধারণ সিন্ধান্ত
বলে। এই সিন্ধান্ত গ্রহনের জন্য সভার নোটিশে কোন বিষয়ে াসাধারণ সিন্ধান্ত গ্রহন করতে হবে তার
সুনির্দি ষ্ট উরেø খ থাকতে হবে। নোটিশ কমপক্ষে ১৪ দিনের মধ্রে দিতে হবে।

যে ক্ষেত্রে অসাধারণ সিন্ধান্ত গ্রহন করা হয়ধারা৮৭(২)

১) পরিচালকেকে অপসারণ

২)ঋণের দায়ে কোম্পানির ব্যবসা পরিচালনা াসম্বব হলে এবং এই কারনে কোম্পানিী সেচ্ছায় বিরুপ্ত
করতে হবে।

বিশেয় সিন্ধান্ত:

কোন বিষয় সাধারণ সভায় জ্জ অংশ সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে যে সিন্ধান্ত গ্রহন করা হয় তাকে বিশেয়
সিন্ধান্ত বলা হয়।

২১ দিন পূর্বে নোটিশ দিতে হবে এবং নোটিশে কোন বিষয়ে সিন্ধান্ত গ্রহন করতে হবে তা উরেø খ করতে
হবে।

তবে শর্ত থাকে যে সকল শেয়ার হোল্ডার বা সদস্যরা একমত হলে ২১ দিনের কম সময়ের জন্য নোটিশ
প্রদান কওে বিশেষ সিন্ধান্ত গ্রহন করা যায়।
প্রশ্ন-১১

ক) বিবরণপত্র:

কোন পাবলিক কোম্পানী নিবন্ধিত হবার পর মূলধন সংগ্রহের উদ্দেশ্যে উক্ত কোম্পানীর উদ্দেশ্য,কারবার,
শেয়ার,পুঁজি ইত্যাদি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ করা হয় এবং জনগণকে উক্ত
কোম্পানীর শেয়ার বা ঋণপত্র কেনার আবেদন করতে আহবান জানানো হয়। এরুপ তথ্য সম্বলিত
বিজ্ঞাপনটিকে বিবরনপত্র বা অনুষ্ঠানপত্র বা প্রসপেকটাস বলে।

কোম্পানী আইনের ২(১৪) ধারায় বিবরণপত্রের সংখ্যা নি¤œ রুপ দেয়া হয়েছে। ইহা হচ্ছে
বিবরণপত্র,নোটিশ,ইস্তাহার, বিজ্ঞাপন বা অন্যভাবে জনগনকে কোম্পানীর শেয়ার বা ডিবেঞ্চার ক্রয়ের বা
চাঁদা প্রদানের আমন্ত্রন,কিন্তু এর সকল ব্যবসায়িক বিজ্ঞাপন এর অন্তভূ ক্ত হবে না যদ্বারা আপাত দৃষ্টিতে
বোঝা যায় যে, একটি আনুষ্ঠানিক বিবরণপত্র প্রস্তুত হযেছে এবং দাখিল করা হযেছে।

খ) অনুমোদিত মূলধন: কোম্পানী যে পরিমান মূলধন নিয়ে অনুমোদন লাভ কে তাকে অনুমোদিত মূলধন
বলে। কোম্পানী নিবন্ধনের সময় স্মকলিপিতে মূলধনের পরিমান উল্লেখ থাকে।মেমোরেন্ডমের পরিবর্ত ন
ব্যততি কোম্পানীর অনুমোদিত মূলধনের অধিক মূলধন সংগ্রহ করতে পাওে না। অবশ্য প্রয়োজন বোধে
ডিবেঞ্চার বিক্রয়ের মাধ্যমে ঋণগ্রহন করতে পারে। তাই এই মূলধন উল্লেখ কওে শেয়ার বিলির মাধ্যমে
কোম্পানীর মূলধন গঠন করার সীমা নিধৃারণ করা হয়, ডিউটি প্রদান করতে হয় এবং এই মূলধনের
উপরই কোম্পানীকে নিবন্ধনের সময় ষ্ট্যাফা,এই মূলধনের উপরই কোম্পানীর আর্থিক অবস্থান নির্ধারিত
হয়। মেমোরেন্ডামে এই মূলধনের উল্লেখ থাকে বিধায় এর নাম করণ হয়েছে অভিহিত মূলধন। এই
মূলধনসহ কোম্পানী নিবন্ধিত হয় বলে একে নিবন্ধিত মূলধন বলা হয় এবং এই মূলধন নিয়ে কারবার
পরিচালনার অনুমতি প্রদান করা হয় বলে এক অনুমোদিত মূলধনও বলা হয়।

গ)

অতিরিক্ত সাধারণ সভা:

কোম্পানী বার্ষিক সাধারন সভা আহবানের পূর্বে কোন গুরুত্বপূর্ণ এবং আবশ্যকীয় কার্য সম্পাদনের জন্য
পরিচালক মন্ডলী বা শেয়ার হোল্ডারগন প্রয়োজন বোধে নিজেরাই সভা আহবান করতে পারেন। এই
সভাকে অতিরিক্ত সাধারণ সভা বলা হয়। অবশ্য বার্ষিক সাধারণ সভা এবং বিধিবদ্ধ সভা ছাড়া অন্য
সকল সভাই অতিরিক্ত সাধারণ সভা হিসেবে গণ্য করা হয়।

ঘ) শেয়ার দ্বারা সীমাবদ্ধ কোম্পানী:

কোম্পানী আইনের ৬ ধারায় এ ধরণের কোম্পানীর বিষয় উল্লেখ রয়েছে। এধরণের কোম্পানীর মূলধন
কতগুলি শেয়ারে বিভক্ত। শেয়ারহোল্ডারগন তাদের ক্রীত শেয়ারের মল্যের জন্য দায়বদ্ধ থাকে।
কোম্পানীর অবসায়নের পর এর দেনা যতই হোক না কেন শেয়ার হোল্ডারগন শেয়ারের অভিহিত মূল্য (
ঋধপব ঠধষঁব) অপেক্ষা অধিক অর্থ দিতে বাধ্য থাকে না। বাণিজ্যিক বিশ্বে এধরণের কোম্পানী বেশী
দেখা যায়।

ঙ) বিধিবদ্ধ প্রতিবেদন:

চ) সংখ্যালঘু স্বার্থ সংরক্ষন:কোম্পানী হচ্ছে আইন সৃষ্ট একটি সংস্থা। এই সংস্থার কার্যাবলী বাস্তবায়িত হয়
কোম্পানীর সদ¯্রগনের মাধ্যমে বিশেষ কওে পরিচালকগনের মাধ্যমে। কোন ব্যক্তি কোম্পানীর সদস্য হলে
কোম্পানীর সাথে তার একটা চু ক্তিগত সম্পর্ক গড়ে উঠে।

ছ) সংঘ স্মরক ও সংঘবিধি:


সংঘস্মরক বা মেমোরেন্ডাম হচ্ছে কোম্পানীর মূল দলিল। একে কোম্পানীর সংবিধানও বলা হয়। এত
কোম্পানীর গঠন ও কার্যাকলাপ সম্পর্কি ত নিয়মাবলী রিপিবদ্ধ। কোম্পানীকে এই কাঠামোর মধ্যেই কাজ
কর্ম চালাতে হয়। মেমোরেন্ডামে বর্ণিত উদ্দেশ্য ছাড়া কোম্পানী অন্য কোন ধরনের কাজ কর্ম করলে তা
অসিদ্ধ বলে বিবেচিত হবে।

কোম্পানী আইনের ৬ ধারা ানুযায়ী সংঘস্মরকে নি¤œ বর্ণিত বিষয়গুলি বিধৃত থাকবে।

ক) কোম্পানীর নাম,যারশেষে লিমিটেড শব্দটি লিখিত থাকবে

খ) নিবন্ধনকৃ ত কার্যালয়ের ঠিকানা

গ) কোম্পানীর উদ্দেশ্য

ঘ)সদস্যগনের দায় শেয়ার দ্বারা সীমিত,এইমর্মে একটি বিৃতি এবং ঙ)যে শেয়ার মূলধন নিয়ে কোম্পানী
নিবন্ধনকৃ ত হতে যাচ্ছে টাকার অংকে তার পরিমান।

কোম্পানীর সংঘ স্মরকে নি¤েœাক্ত বিষয় অন্তভু ক্ত করতে হবে

১)নাম

২) নিবন্ধিত কার্যালয়

৩) উদ্দেশ্য

৪)দায়

৫)মূলধন এবং

৬)সংঘ ও চাঁদা

সংঘবিধি:

আর্টি কেলস বা সংঘবিধিতে কোম্পানীর আভ্যান্তরীণ কার্য পরিচালনার নিয়মাবলী লিপিবদ্ধ করা হয় এবং
এর দ্বারা কোম্পানীর পরিচালকদের ক্ষমতার সীমা নির্দি ষ্ট করা হয়। কোম্পানরি সদস্যদের পারস্পরিক
সম্পর্ক , তাদের অধিকার,সভা, হিসাব,রক্ষা ইত্যাদি এতে লিপিবদ্ধ থাকে। মেমোরেন্ডমে উল্লেখিত উদ্দেশ্য ও
ক্ষমতাকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য বিস্তারিত বিধি প্রণয়ণ করা হয় এই দলিলে। তাই এই দলিলকে
মেমোরেন্ডামের অধীনস্থ দলিল বলা হয়। মেমোরেন্ডমের বহিভূ ত কোন বিষয় আর্টি কেলসে থাকতে পারে
না। পাবলিক কোম্পানীর ক্ষেত্রে এ দলিলটি জনগনের জন্য উন্মক্ত থাকে যেন কোম্পানীর বিভিন্ন শর্ত ও
নিয়মাবলী সম্পর্কে জনগন অভিহিত হতে পারে।
খ বিভাগ

প্রশ্ন-১

অংশীদারী কারবারের সংজ্ঞা দাও। অংশীদারী কারবার কত প্রকার ও কিকি?

অংশীদারী ও যৌথ কারবারের মধ্যে পার্থক্য কি?

অংশীদারী কারবারের চু ক্তি অপরিহার্য সে প্রেক্ষিতে নাবালক অংশীদারী চু ক্তি করতে পারে কিনা? অথবা
নাবালকের আইনগত অবস্থান বর্ণনা কর।

অংশীদারের অব্যক্ত/অন্তনির্হি ত কর্তৃ ত্ব/ক্ষমতা আলোচনা কর। কোন ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করা যায়?

অংশীদারী কারবারের অস্তিত্বের প্রমান কীভাবে করা যায়?

অংশীদারী প্রতিষ্ঠানের বিলোপ সাধন বলতে কি বুঝ?

অংশীদারী বিলোপ সাধন কত প্রকার ও কি কি? বিস্তারিত আলোচনা কর।

বিলোপ সাধনের পর হিসাব নিস্পত্তির পদ্ধতিসমুহ আলোচনা কর।

একজন অংশীদারের মৃত্যুতে কিভাবে অংশীদারী কারবার চালু করা যায়? আলোচনা কর

একজন অংশীদার কি অন্য অংশীদারের প্রতিনিধি হতে পারে?

কিভাবে অংশীদারী কারবার নিবন্ধন করা যায? অংশীদারি কারবার নিবন্ধন না করার পরিনাম কি?
অংশীদারী কারবারের পুর্নগঠন বলিতে কি বুঝ?

অংশীদারীত্বের সংজ্ঞা:

অংশীদারী আইনের ৪ ধারা অনুযায়ী একাধিক ব্যক্তির দ্বারা অথবা সকলের পক্ষে তাদের একজন কর্তৃ ক
পরিচালিত ব্যবসায়ের মুনাফা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে চু ক্তিবদ্ধ হলে ,তাদের মধ্যে যে সম্পর্ক সৃষ্টি
হয় তাকে অংশীদারী বলে। এরুপ চু ক্তিবদ্ধ ব্যক্তিগণ ব্যক্তিগতভাবে অংশীদারী এবং সমষ্ঠিগতভাবে
অংশীদারী ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বা ফার্ম নামে পরিচিত।

অংশীদারী কারবারের প্রকারভেদ:

অংশীদারীর কোন নিদিষ্ট প্রকারভেদ নেই। তবে সাধারণত নি¤œ বর্ণিত অংশীদারী লক্ষ্য করা যায়:

এবহবৎধষ চধৎঃহবৎংযরঢ়

খরসরঃবফ চধৎঃহবৎংযরঢ়

১) ঐচ্ছিক অংশীদারী (চধৎঃহবৎংযরঢ় ধঃ রিষষ) যে ক্ষেত্রে অংশীদারীর মেয়াদ নির্ধারিত থাকে না এবং
যে ক্ষেত্রে কখন ও কিরুপে অংশীদার পরিসমাপ্তি ঘটবে তার কোন ব্যবস্থা থাকে না সে ক্ষেত্রে সৃষ্ট
অংশীদারকে ইচ্ছাধীন অংশীদারী বলে।

২) নির্দি ষ্ট অংশীদারী (চধৎঃরপঁষধৎ চধৎঃহবৎংযরঢ়):কোন নির্দি ষ্ট কাজ সম্পাদনের উদ্দেশ্যে অংশীদারী
কারবার গঠন করা হলে তাকে বিশেষ অংশীদারী কারবার বলা হয।

৩) বিশ্বাসোৎপাদন/নিবৃত্তি দ্বারা অংশীদারী (চধৎঃহবৎংযরঢ় নু যড়ষফরহম ড়ঁঃ):যখন কোন ব্যক্তি কথায়


বা আচরণে নিজকে একটি প্রতিষ্ঠানের অংশদিার হিসেবে পরিচিত কওে এবং এ পরিচয়ের উপর বিশ্বাস
স্থাপন কওে যদি কোন ব্যক্তি সেই প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয় তবে ইে ঋণের জন্য পরিচয় প্রদানকারী ব্রক্তি
দায়ী থাকবে এবং সেই ব্যক্তিকে নিবৃত্তি দ্বরা অংশদিার বলা হয়। এরুপভাবে দায়ী করতে হলে
নিমনলিখিত উপাদানগুলো থাকা প্রয়োজন;

ক) সে ব্রক্তি নিজকে াংশীদার হিসেবে পরিচয় দিয়েছে অতবা ঐরুপ পরিচিত হবার কারণ ঘটায়েছে।

খ) লিখিতভাবে বা মৌখিকভাবে বা আচরনে এরুপ পরিচয় দেয়া হয়েছে।

গ) তৃ তীয়পক্ষ এই পরিচয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন কওে অংশদিারী প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়েছে।

এরুপ অংশীদারের প্রতারণামূলক কোন উদ্দেশ্র না থাকলেও কিংবা ঋন ানুমোদন ব্যাপাওে সে ব্যক্তি াজ্ঞ
থাকলেও তাকে দায়ী করা হবে। ঐঋণ পরিশোধ করলেও প্রতিষ্ঠান হতে সে পুনরুদ্দার করতে পারবে না।

সসীম অংশীদারী (খরসরঃবফ চধৎঃহবৎংযরঢ়):ইংল্যান্ডে ১৯০৭ সালের সসীম অংশদিারি অধিনিয়ম


অনুসাওে এরুপ অঙশদিারী গঠন করা যেতে পাওে, যেখানে একজন ভিন্ন বাকী সকল অংশীদারী সীমাবদ্ধ
দায় বহন করিবেন। একজনকে অসমি দায় বহন করতে হবে। কিন্তু ভারতে এরুপ কোন নিযম নাই।
এখানে প্রত্যেক অংশদিারের অসমি দায়।

নাবালক অংশীদার:অংশদিারি চু ক্তিতে কোন নাবালক অংশ গ্রহন করতে পাওে না। কারণ নাবালককৃ ত
চু ক্তি বৈধ নহে। তবে সকল অংশীদারগন যদি সম্মত হন তাহলে কোন বিদ্রমান প্রতিষ্ঠানে নাবালককে
অংশদিারীর সুবিধা দেওয়া হয়। ্রুপ নাবালকের অদিকার ও দায নি¤েœ বিবৃত হইল। (ধারা-৩০)।

নাবাল লাভের কি অংশ পাবে এবং

অংশীদারী প্রতিষ্ঠানের বিলোপ সাধন:

অংশীদারগণ নিজে বা আদালতের মাধ্যমে কোন অংশীদারী ব্যবসায়ের যখন পরিসমাপ্তি ঘটানো হয়
তখন তাকে অংশীদারিত্বে বিলোপ বরা হয়। যে কোন পদ্ধতিতে অংশীদারীর বিলোপ সাধন করা যায়:

১) সম্মতি দ্বারা(ইু ধমৎববসবহঃ):চু ক্তি দ্বারা অংশীদারেিত্বর সৃষ্টি হয়।সুতরাং চু ক্তি দ্বারাই এর পরিসমাপ্তি
ঘটানো হয়। তাই অংশীদারগণ ইচ্ছা করলে যে কোন সময়ে বিলুপ্ত করতে পারে (ধারা-৪০)।

২) বাধ্যতামুলক অবসায়ন(ঈড়সঢ়ঁষংড়ৎু ফরংংড়ষঁঃরড়হ):নি¤œ লিখিত ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে অংশীদাররি


বিলোপ ঘটে।

৩) বিশেষ ঘটনার প্রেক্ষিতে অবসায়ন (ঙহ ঃযব যধঢ়ঢ়বহরহম ড়ভ পবৎঃধরহ বাবহঃং):

৪) বিজ্ঞপ্তি দ্বারা (ইু হড়ঃরপব):যথেষ্ট অংশীদারীর ক্ষেত্রে কোন অংশীদার অন্যান্য অংশীদারের কাছে লিখিত
বিজ্ঞপ্তি দ্বারা প্রতিষ্ঠান ভঙ্গের ইচ্ছা প্রকাশ করলে( ধারা ৪৩)।

৫) আদালতের মাধ্যমে (উরংংড়ষঁঃরড়হ নু ঃযব ঈড়ঁৎঃ):

অংশীদারী বিলোপ সাধনের প্রকারভেদ:


অংশীদারদের চু ক্তিবদ্ধ সম্পর্ক অবসানকে বিলোপ সাধন বলে। বিভিন্ন কারণে অংশীদারী ব্যবসায়ের
বিলোপ সাধন করা যায়। নি¤েœ অংশীদারী ব্যবসাযের বিলোপের কারনগুলা বর্ণনা করা হলো-

বিলোপ সাধনের পর হিসাব নিস্পত্তির পদ্ধতিসমুহ:

অংশদিারী প্রতিষ্ঠানের বিলোপ সাধনের পর অংশীদারগণের অধিকার ও দায় থাকবে নি¤œ রুপ:

১)বিলুপ্তি পরবর্তী কার্যেও দায়:

২)ব্যবসায় গুটায়ে ফেলা:

৩) বিলোপ সাধনের উদ্দেশ্যে অংশীদারের ক্ষমতা:

৪) হিসাব নিস্পত্তি:

ফার্ম বিলোপের পর অংশদিারদের মধ্যে সম্পাদিত চু ক্তি সাপেক্ষে নি¤œ বর্ণিত বিধি অনুসৃত হবে:

তৃ তীয় পক্ষের পাওনার চেয়ে যদি ফার্মের সম্পদ কম হয় তবে তা লোকসান বিবেচনা করে অংশদিারগণ
ব্যক্তিগত সম্পদ হতে তা পরিশোধ করবে। তৃ তীয় পক্ষের পাওনা পরিশোধের পর যদি উদ্বৃত্ত থাকে কিন্তু
অংশীদারদের প্রদত্ত অগ্রিম অর্থ হতে কম হয় তবে কমের পরিমানকে লোকসান হিসেবে গন্য করে
অংশীদার গন আনুপাতিক হারে তা বহন করবে। এসকল পরিশোধের পর যদি ফার্মের কোন অর্থ উদ্বৃত্ত
থাকে তবে তা লাভের অংশের অনুপাতে বন্টন করে দেয়া হবে (ধারা-৪৮)।

৫) যৌথ ও স্বতন্ত্র দেনা পরিশোধ:

৬) প্রতিষ্ঠান বিলুপ্তি পর অর্জি ত মুনাফা:

৭)সেলামী প্রত্যর্পণ:

৮)প্রতারণা বা মিথ্যা বণৃনা হতে রদকারীর অধিকার:

৯) প্রতিষ্ঠানের নাম বা সম্পত্তি ব্যবহারে বাধা প্রদান:

একজন অংশীদারের মৃত্যুতে কিভাবে অংশীদারী কারবার চালু করা যায়:

কোন অংশীদারের মৃত্যু হলে প্রতিষ্ঠানের অবসান ঘটে। কিন্তু সকল অংশীদার ইচ্ছা করলে একজন
অংশদিারের মৃত্যুর পরও অংশীদারী ব্যবসায় চালিয়ে যেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে মৃত অংশীদারের
ব্যক্তিগত সম্পত্তি প্রতিষ্ঠানের কাজের জন্য দায়যুক্ত হবে না। মৃত অঙশীদারের অংশ তার উত্তরাধিকাররি
উপর বর্ত াবে (ধারা-৩৫)।

একজন অংশীদার অন্য অংশীদারের প্রতিনিধি:


প্রত্যেক অংশীদার ব্যবসায় পরিচালনায় অংশগ্রহন করতে পারে। কিন্তু এরুপ অংশগ্রহন অংশীদারিত্ব
নির্ণয়ের জন্য যথেষ্ট নয়। পরিচালনায় অংশ গ্রহন না করেও এক ব্যক্তি অংশীদার হতে পারে আবার
পরিচালনায় অংশগ্রহন করেও অংশীদার নাও হতে পারে,যেমন কর্মচারী বা প্রতিনিধি।

প্রতিনিধিত্ব: প্রত্যেক অংশীদার অন্যান্য অংশীদারের প্রতিনিধি হিসেবে ব্যবসায় পরিচালনা করে থাকে।

অংশীদারীত্বের সংজ্ঞা অনুযায়ী চু ক্তিবদ্ধ সকল ব্যক্তি ব্যবসায় পরিচালনা করতে পারে। এই বৈশিষ্ট্যটি
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক অংশীদার একাধারে নিজের অন্য মালিক এবং অন্য অংশীদারের জন্য
প্রতিনিধি।

অংশীদারের অপ্রকাশ্য ক্ষমতা:

চু ক্তিতে এই মর্মে কোন শর্ত থাকুক বা না থাকুক অংশীদারি আইনে যে সকল অধিকার স্বীকৃ ত রয়েছে
তাকে অব্যক্ত অধিকার বলা হয়।

অংশীদারী কারবারের পুর্নগঠন:

অংশীদারী প্রতিষ্ঠানের অংশীদার পরিবর্ত ন করিয়া প্রতিষ্ঠানের নতু ন আকার দেওয়া যায়। ইহাকে পুর্নগঠন
বলে। অংশীদার পরিবর্ত ন নি¤œ লিখিত কারণে হইতে পারে:

নতু ন অংশীদার গ্রহন(ধারা-৩১)

অংশীদারের মৃত্যু(ধারা-৩৫),

অংশীদারের অবসর গ্রহণ(ধারা-৩২),

অংশীদার বিতাড়ন (ধারা-৩৩)

দেউলিয়া হইয়া পড়া (ধারা-৩৪)এবং

অংশীদারের স্বার্থ হস্তান্তর (ধারা-২৯)।

পুনগঠনের পর নবাগত এবং বিদায়ী অংশীদারগনের অধিকার এবং দায়িত্ব নতু ন করে স্থির করা হয়।
প্রশ্ন-২

ক) পণ্য কত প্রকার ও কিকি?

খ) বিক্রয় ও বিক্রয় সম্মতি এর মধ্যে পার্থক্য দেখাও।

বিক্রয় ও বিক্রয় সম্মতি এর মধ্যে পার্থক্য:

১ সংজ্ঞাগত পার্থক্য যখন বিক্রয় চু ক্তি অনুসারে কোন পন্যের মালিকানা বিক্রেতার নিকট হতে
ক্রেতার নিকট অবিলম্বে হস্তান্তরিত হযে যায় তখন সেই চু ক্তিকে বলা হয় বিক্রয়। যদি ক্রেতা ও
বিক্রেতার মধ্যে স্থির হয় যে, পরে কোন সময়ে বা কোন বিশিষ্ট শর্ত পালিত হলে পণ্যের মালিকান
হস্তান্তর হবে তাহলে ইহাকে বিক্রয়ের সম্মতি বলা হয়।

২ মালিকানা হস্তান্তর বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিক্রয়ের সঙ্গে সঙ্গে পণ্যের মালিকানা ক্রেতার নিকট চলে
যায়। কিন্তু বিক্রয়ের সম্মতির ক্ষেত্রে দুই পক্ষের সকল শর্ত প্রতিশ্রুতি পালন না হওয়া পর্যন্ত
মালিকানার বদও বা হস্তান্তর হবে না।

৩ ঝুঁ কি হস্তান্তর এক্ষেত্রে বিক্রয়ের পর পণ্যেও কোন ক্ষতি হলে সাধারণত: ঐ ক্ষতি ক্রেতাকেই
বহন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পণ্যের মালিকানা হস্তান্তরিত না হওয়া পর্যন্ত তার সকল ঝুঁ কি বিক্রেতাকে
বহন করতে হয়।

৪ ভিন্ন প্রতিকার প্রকৃ ত বিক্রয়ের ক্ষেত্রে মূল্য না পেলে বিক্রেতা মাল আটক রাখতে পারেন,মাল
বহনকারীর নিকট হতে মাল ফিরিয়ে নিতে পারেন, মাল পুনবিক্রয় করতে পারেন,অথবা ক্রেতার বিরুদ্ধে
মূল্যের জন্য মামলা করতে পারেন। কিন্তু বিক্রয় সম্মতির ক্ষেত্রে ক্রেতা চু ক্তিভঙ্গ করলে বিক্রেতার
একমাত্র প্রতিকার হল ক্ষতিপূরণের জন্য মামলা করা।

৫ সম্পন্ন বা সম্পাদ্য চু ক্তি বিক্রয় একটি সম্পন্ন চু ক্তি কারণ দুই পক্ষের প্রতিদান যুগপৎ চলতে
থাকে। কিন্তু বিক্রয়ের সম্মতি একটি সম্পাদ্য চু ক্তি কারণ উভয়ের প্রতিদান ভবিষ্যতে থাকতে
পারে। এক প্রতিশ্রুতি অন্য প্রতিশ্রুতির উপর নির্ভ রশীল হতে পারে। ভবিষ্যতে মাল খালাস এবং
ভবিষ্যতে উহার মূল্য দেওয়া হবে ইহা বৈধ চু ক্তি।

গ) পণ্য বিক্রয় চু ক্তির বৈশিষ্ট্য ও অপরিহার্য উপাদান সমূহ বর্ণনা করা।

অর্থের বিনিময়ে বিক্রেতা ক্রেতার নিকট যে চু ক্তি বলে পন্য বিক্রয করে তাকে পণ্য বিক্রয় চু ক্তি বলে।
বাংলাদেশে প্রযোজ্য ১৯৩০ সালের পণ্য বিক্রয় আইনের ৪(১) ধারায বলা হয়েছে,” পণ্য বিক্রযের চু ক্তি
এমন একটি চু ক্তি, যা দ্বারা বিক্রেতা পণ্যের স্বত্ব ক্রেতাকে নির্দি ষ্ট মূল্যে হস্তান্তর করে বা করতে সম্মত
হয়” সংজ্ঞা বিশ্লেষণ করলে আমরা পণ্য বিক্রয় চু ক্তির কতিপয় অত্যাবশ্যকীয় উপাদান দেখতে পায়।
নি¤েœ পন্য বিক্রয়ের অপরিহার্য উপাদানগুলো বর্ণিত হলো-
১) অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয়:মামলা যোগ্য দাবি এবং অর্থ ছাড়া সকল অস্থাবর সম্পত্তি পন্য বিক্রয়
অধিনিয়মের মধ্যে আসে[ধারা২(৭)]। স্থাবর সম্পত্তি উপরোক্ত অধিনিয়মে পড়ে না।

২) অর্থের বিনিময়ে পন্য:পন্য বিক্রয় চু ক্তি অবশ্যই অর্থের বিনিময়ে সম্পাদিত হবে। পণ্যের বিনিময়ে পণ্য
হস্তান্তরকে বিক্রয় বলা যায় না। তবে আংশিকভাবে অর্থ এবং আংশিকভাবে পণ্যের বিনিময়ে পণ্য
হস্তান্তরকে বিক্রয় বলা চলে।(অষফৎরফমব া.ঔড়যহংড়হ)

৩) দুইপক্ষ আবশ্যাক:বিক্রয় চু ক্তির ফলে মালিকানা হস্তান্তর হয়। সুতরাং একই ব্যক্তি ক্রেতা এবং বিক্রেতা
হতে পারবে না। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি নিজেকে পন্য বিক্রয় করতে বা নিজের নিকট পণ্য ক্রয় করতে
পারবে না। পন্য বিক্রয় আইনের ৪(১) ধারায় একটি ব্যতিক্রমের উল্লেখ আছে। একজন আংশিক
স্বাত্বাধিকারী আর একজন স্বত্বাধিকারীকে তার স্বত্ব বিক্রয় করতে পারেন।

৪) প্রস্তাব ও স্বীকৃ তি থাকবে:বিক্রয় চু ক্তি নির্দি ষ্টমূল্যে কোন পন্য ক্রয় বা বিক্রয়ের প্রস্তাব এবং সেই
প্রস্তাবের সায়ের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। চু ক্তির শর্ত াদি পালন (যথা,মাল খালাস অথবা মূল্য প্রদান) সঙ্গে
সঙ্গে হতে পারে অথবা পরে হতে পারে।ধারা -৫(১)।

৫) বিক্রয় চু ক্তির গঠন:বিক্রয় চু ক্তি লিখিত হতে পারে আবার মৌখিক হতে পারে অথবা পক্ষদ্বয়ের
আচরণের দ্বারা ওসঢ়ষরবফ হতে পারে। আইন থাকতে পারে যে কোন বিশেষ প্রকার বিক্রয় চু ক্তি লিখিত
হতে হবে।ধারা-৫(২)

৬) বিক্রয় চু ক্তি শর্ত াবলী: চু ক্তি পালনের সময় ,স্থান এবং পণ্য অর্পনের পদ্ধতি সম্পর্কে চু ক্তিভূ ক্ত পক্ষেরা
যে কোন শর্ত করতে পারে। শর্ত দুই ধরনের হতে পারে,মূখ্য এবং গৌণ। প্রয়েজনীয় শর্ত কে মূখ্য শর্ত এবং
অপ্রয়োজনীয় শর্ত কে গৌণ শর্ত বলা হয়।

৭) মূল্য প্রদানের প্রতিশ্রুতি:চু ক্তিতে এরুপ মূল্য নিদিষ্ট থাকতে পারে বা পক্ষসমূহের স্বীকৃ তির দ্বারা তা
নির্ধারিত হতে পারে। ধারা ৯(১)

৮) নমুনা ও বর্ণনারুপ পণ্য: কোন নিদিষ্ট পন্য বিক্রয় চু ক্তির ক্ষেত্রে পন্যের নমুনা ও বর্ণনা বা উভযের
মিল থাকা আবশ্যক।(ধারা ১৫ ও ১৭)

৭) অন্যান্য উপাদান: বৈধ চু ক্তির যে সকল অপরিহার্য উপাদান আছে পণ্য বিক্রয় চু ক্তির ক্ষেত্রেও তৎসমূদয়
বিদ্যমান থাকা আবশ্যক। যেমন-

উভয পক্ষেরই চু ক্তিবদ্ধ হবার যোগ্যতা থাকতে হবে

উভয়েরই সায় থাকবে।

চু ক্তির উদ্দেশ্য বেআইনি হলে চলবে না ইত্যাদি।

ঊহভড়ৎপধনষব নু ষধি

ঈড়সঢ়বঃবহঃ চধৎঃু

ঋৎবব ঈড়হংবহঃ

খধভিঁষ পড়হংরফবৎধঃরড়হ

ঘড়ঃ াড়রফ নু ষধি

ঘ) ক্রেতা সাবধান নীতি ব্যাখ্যা কর।


ক্রেতা সাবধান নীতি (উড়পঃৎরহব ড়ভ ঈধাবধঃ ঊসঢ়ঃড়ৎ):

ল্যাটিন শব্দ ঈধাবধঃ ঊসঢ়ঃড়ৎ এর বাংলা প্রতিশব্দ হল ক্রেতা সাবধান নীতি। এই নীতি বলতে এমন
এক নিয়ম নীতিকে বুঝায় যেখানে কোন কিছু ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতাকে সাবধানতা অবলম্বনের তাগিদ দেয়া
হয়। এই নীতির মুল কথা হল ক্রেতা কোন কিছু ক্রয় করার পুর্বে ভালোভাবে যাচাই বাচাই করে তথা
পণ্যের গুনগত মান যাচাই করে ক্রয় করা উচিত। যদি ক্রয় করার সময় যাচাই করা না হয় তাহলে
পরবর্তি তে কোন অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবেনা।

ক্রেতা সাবধান নীতি অনুযায়ী ধরে নেওয়া হয় যে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয় পক্ষই সমান জ্ঞান ও
অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। কেউই কারো অপেক্ষা হীন নয়। সুতরাং বিক্রেতা কোন তথ্য সম্পর্কে নীরব থাকলে
সে ক্ষেত্রে ক্রেতার কর্ত ব্য হল বিষয় সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়ার সর্ববিধ চেষ্টা করা।

ঙ) কখন পন্যের মালিকানা বিক্রেতার নিকট হতে ক্রেতার নিকট হস্তান্তরিত হয়?

বিক্রয় সম্মতির ক্ষেত্রে যতদিন পর্যন্ত নির্ধারিত সময় অতিবাহিত বা নির্ধারিত শর্ত পালিত হয়ে প্রকৃ ত
বিক্রয় অনুষ্ঠিত না হয় ততদিন পর্যন্ত পণ্য-সামগ্যীটি বিক্রেতার সম্পত্তি হিসাবে বিবেচিত হবে। ঐ সময়ের
মধ্যে বিক্রেতা ঐপন্যটি পুন বিক্রয় করতে পারেন বা তার বিরুদ্ধে প্রযুক্ত ডিক্রির জন্য ঐপন্য ক্রোক
করা যেতে পারে। প্রকৃ ত বিক্রয়ের পর পন্যের মালিকানা ক্রেতার নিকট হস্তান্তরিত হবে এবং তখন
আর বিক্রেতার বিরুদ্ধে প্রযুক্ত ডিক্রির জন্য ক্রোক করা চলবে না। বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে পন্যের
মালিকানা ক্রেতার নিকট চলে যায়।
প্রশ্ন-৩ ’বিল অব এক্সচেঞ্জ’,’প্রমিসরি নোট’ এবং ’চেক’ কে কেন হস্তান্তর যোগ্য দলিল বলা হয়? বিভিন্ন
ধরণের হস্তান্তরযোগ্য দলিলের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় কর। চেক কি? ওপেন ও ক্রস চেকের মধ্যে পার্থক্য
নিরুপন কর। বিশেষভাবে ও সাধারণভাবে চেক রেখাঙ্কিত করার ফলাফল কি? সকল চেক কি বাণিজ্যিক
হুন্ডি? কখন ব্যাংক অবশ্যই চেক ফেরত দিবে? তিনটি শর্ত াবলী পূরণ সাপেক্ষে চেক ডিসঅনার করার
অপরাধ শাস্তিযোগ্য হয় উক্তিটির যথার্থতা নিরুপণ কর।এই ধরণের অপরাধ কিভাবে এবং কখন
আদালতে আমনযোগ্য হয়? কোন আদালতে এই অপরাধের বিচার করতে পারে? চেককে কেন হস্তান্তর
যোগ্য দলিল বলা হয়? চালানী রশিদ কি হস্তান্তরযোগ্য দলিল?

হস্তান্তরযোগ্য দলিল(ঘবমড়ঃরধনষব ওহংঃৎঁ সবহঃং):

বানিজ্যিক বা আর্থিক লেনদেনে এক ধরণের হস্তান্তরযোগ্য দলিল(ঘবমড়ঃরধনষব ওহংঃৎঁ সবহঃং) বলে


অভিহিত হয়।

আক্ষরিক অর্থে যে যে বিনিময়যোগ্য দলিল হাতে হাতে প্রদান করে হস্তান্তর করা হয় তাহাই হস্তান্তরযোগ্য
দলিল। ইংরেজী বাণিজ্যিক আইনে শব্দটি ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়।

১৮৮১ সালের হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ১৩(১) ধারায় যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তা পূণাঙ্গ নয়। এ
ধারায় বলা হয়েছে যে, প্রাপকের নির্দে শমত কোন ব্যক্তিকে অথবা বাহককে প্রদেয় প্রমিসরি নোট, বিল অব
এক্সচেঞ্জ অথবা চেককে হস্তান্তরযোগ্য দলিল বলে।

‘অ হবমড়ঃরধনষব ওহংঃৎঁ সবহঃ সবধহং ধ ঢ়ৎড়সরংংড়ৎু হড়ঃব,নরষষ ড়ভ বীপযধহমব ড়ৎ পযবয়ঁব


ঢ়ধুনষব বরঃযবৎ ঃড় ড়ৎফবৎ ড়ৎ ঃড় নবধৎবৎ.’

এই সংজ্ঞানুযায়ী প্রমিসরিনোট,বাণিজ্যিক হুন্ডি এবং চেক,এই তিন প্রকার দলিলকে হস্তান্তরযোগ্য দলিল
হিসেবে বিবেচিত হয়।

বিভিন্ন ধরণের হস্তান্তরযোগ্য দলিলের মধ্যে পার্থক্য:

প্রমিসরিনোট,বাণিজ্যিক হুন্ডি এবং চেকের মধ্যে নি¤œ রুপ পার্থক্য বিদ্যমান:

১)সংজ্ঞাগত পার্থক্য:

একজন দেনাদার কর্তৃ ক তার পাওনাদারকে অর্থ পরিশোধের শর্ত হীন লিখিত প্রতিশ্রুতি হচ্ছে প্রমিসরি নোট
(ধারা-৪)।

বাণিজ্যিহুন্ডি হল একটি লেখ্যপত্র যার দ্বারা কোন ব্যক্তি স্বাক্ষর করে কোন নির্দি ষ্ট ব্যক্তিকে শর্ত হীন
আদেশ দেন যে, কোন নিদিষ্ট ব্যক্তিকে অথবা তার হুকুমমত অথবা লেখ্য পত্রের বাহককে একটি নিদিষ্ট
পরিমান টাকা দেওয়া হোক (ধারা-৫)।

চেক হচ্ছে আমানতকারী কর্তৃ ক নির্দি ষ্ট ব্যাংকের উপর অর্থ প্রদানের একটি শর্ত হীন আদেশ (ধারা-৬)।

২) স্বীকৃ তি:প্রমিসরি নোট এবং চেকের ক্ষেত্রে স্বীকৃ তির প্রযোজন হয় না,কিন্তু বাণিজ্যিক হুন্ডির ক্ষেত্রে গ্রাহক
আদিষ্ট কর্তৃ ক স্বীকৃ তি প্রদানের প্রয়োজন হয়।

৩) পক্ষসমূহ:প্রমিসরি নোটে দুটি পক্ষ থাকে যথা প্রতিশ্রুতি দাতা ও প্রতিশ্রুতি গ্রহিতা। বাণিজ্যি হুন্ডিতে
তিনটি পক্ষ থাকে যথা- আদেষ্ট, আদিষ্ট এবং প্রাপক চেকের ক্ষেত্রে তিনটি পক্ষ থাকে যথা আদেষ্টা,আদিষ্ট
এবং প্রাপক।
৪) স্ট্যাম্প: প্রমিসরি নোট ও বাণিজ্যিক হুন্ডিতে প্রয়োজনীয় স্ট্যাম্প দেয়া হয়। কিন্তু চেকের ক্ষেত্রে কোন
স্ট্যাম্প দিতে হয় না।

৫) বাট্রাকরণ: প্রমিসরি নোট ও বানিজ্যিক হুন্ডিরক্ষেত্রে বাট্রা করা যায । কিন্তু চেকের ক্ষেত্রে কোন বাট্রা
করা যায় না।

৬) প্রস্থ: প্রমিসরি নোট এবং চেক একাধিক প্রস্থে কার যায় না। কিন্তু বাণিজ্যিক হুন্ডি একাধিক প্রস্থে কার
যায়।

৭) সময়:প্রমিসরি নোট ও বাণিজ্যিক হুন্ডির নিদিষ্ট সময় নেই। কিন্তু চেক ৬ মাস পর্যন্ত থাকে।

৮) হাত বদল: প্রমিসরি নোট ও বাণিজ্যিক হুন্ডি বাতিল করা যায় না। চেক বাতির করা যায়।

৯) রেখাঙ্কন: প্রমিসরি নোট ও বাণিজ্যিক হুন্ডির ক্ষেত্রে পৃষ্ঠাঙ্কন করার বিধান নেই। চেকের ক্ষেত্রে
প্রয়োজনবোধে রেখাঙ্কন করা যায়।

১০) প্রকৃ তি:বাণিজ্যিক হুন্ডির সাথে চেকের সাদৃশ্য আছে। কিন্তু প্রমিসরি নোটে সাথে অন্যন্য দলিলের কোন
সাদৃশ্য নেই।

চেক: চেক এক প্রকার বাণিজ্যিক হুন্ডি যা নির্দি ষ্ট ব্যাংকের উপর লিখিত এবং চাহিবামাত্র প্রদেয় হয়।

বৈশিষ্ট্য:চেক এক প্রকার বাণিজ্যিক হুন্ডি। তাই বাণিজ্রিক হুন্ডির সকল বৈশিষ্ট্য চেকের মধ্যে রয়েছে।
বাণিজ্যিক হুন্ডির ন্যায় চেক লিখিত ,স্বাক্ষরিত এবং নির্দি ষ্ট পরিমান অর্থ প্রদানের এক শর্ত হীন আদেশ
থাকা আবশ্যক। তবে চেকের ক্ষেত্রে দ’টি বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তা হচ্ছে,১) এর গ্রাহক কোন নির্দি ষ্ট
ব্যাক এবং

২) সকল ক্ষেত্রে ইহা চাওয়া মাত্র প্রদেয়। তবে ইহা আদিষ্ট্র দেয় বা বাহক দেয় বা অন্য প্রকারের হতে
পারে। সুতরাং বাণিজ্যি হুন্ডির সকল বৈশিষ্ট্য চেকের মধ্যে থাকলেও কিছু অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য চেকের
আছে। তাই বলা যায় যে,সকল চেকই বাণিজ্যিক হুন্ডি, কিন্তু সকল বাণিজ্যিক হুন্ডিই চেক নয়।

ওপেন ও ক্রস চেকের মধ্যে পার্থক্য:

বিশেষভাবে ও সাধারণভাবে চেক রেখাঙ্কিত করার ফলাফল:

যে চেকের উপর দু’টি সমান্তরাল সরলরেখা থাকে তাকে রেখাঙ্কিত চেক বলে।এ ধরণের চেক প্রাপক
সরাসরি ভাঙ্গাতে পাওে না,কোন ব্যাংকের মাধ্যমে ভাঙ্গাতে হয়।সাধারণত প্রাপক তার একাউন্টে চেকটি
জমা দেয় এবং সেই ব্যাংক ঐ টাকাটি নিদিষ্ট ব্যাংক হতে সংগ্রহ করে।

রেখাঙ্কিত চেকও মূলত:দু,প্রকারের। এগুলি হচ্ছে সাধারণ রেখাঙ্কিত এবং বিশেষ রেখাঙ্কিত।

১) সাধারণ রেখাঙ্কিত:

২) বিশেষ রেখাঙ্কিত:

সাধারণ ও বিশেষ রেখাঙ্কন ছাড়াও অনেক সময় চেকের উপর”প্রাপকের হিসেবে প্রদেয়” বা ”হস্তান্তর
অযোগ্য”শব্দগুলি লিখিত থাকে। এগুলির তাৎপর্য নি¤œ রুপ:

১) প্রাপকের হিসাবে প্রদেয়:


২) হস্তান্তর অযোগ্য চেক:

কখন ব্যাংক অবশ্যই চেক ফেরত দিবে:

নি¤œ বর্ণিত যে কোন অবস্থায় ব্যাংক চেকের অর্থ প্রদান করতে অস্বীকার করতে পারে:

১)যেখানে গ্রাহকের হিসাবে উপযুক্ত পরিমান অর্ত নেই এবং গ্রাহক পূবৃ হতে কোন ঋণের (ঙাবৎ
উৎধভঃ)ব্যবস্থা করেননি।

২) চেকটি যদি ভবিষ্যতে দেয়া হয় অর্থাৎ চেকে যে তারিখের উল্লেখ আছে তার পূর্বেই যদি চেকটি
ব্যাংকে উপস্থাপিত করা হয়।

৩)চেকটি যদি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়অর্থাৎ যে তারিখে ইস্যু করা হয়েছে সে তারিখ হতে যুক্তি সঙ্গত সময়ের
মধ্যে যদি চেকটি ব্যাংকে দাখিল না করা হয় বর্ত মানে বাংলাদেশে এই যুক্তি সঙ্গত সময হচ্ছে ৬ মাস।

৪) চেকটি যদি যথাযথভাবে না লেখা হয়। যেমর কাটাকাটি বা পরিবর্ত ন কওে স্বাক্ষর না দিলে, অস্পষ্ট
বা দ্ব্যর্থক হলে, অথবা ব্যাংকে রক্ষিত নমুনা স্বাক্ষরেরসাথে চেকে প্রদত্ত স্বাক্ষরের মিল না হলে কিংবা
চেকখানা তারিখবিহনি বা অন্য কোন ক্রটিযুক্ত হলে।

৫) ব্যাংকে গচ্ছিত গ্রাহকের অর্থেও উপর যদি ব্যাংকের কোন পূর্বস্বত্ব থাকে কিংবা গ্রাহকের নিকট
ব্যাংকের প্রাপ্য কোন ঋণ ঐ গচ্ছিত অর্থের সহিত সমন্বয় করার অধিকার ব্যাংকের থাকে।

৬) ব্যাংকের স্বাভাবিক লেনদেনের সময়ে ব্যাংকে উপস্থাপিত করা না হলে।

৭) যৌথ হিসাবের ক্ষেত্রে সকল গ্রাহকের কিংবা যারা জীবিত আছেন তাদের সকলের স্বাক্ষর না থাকলে।

তিনটি শর্ত াবলী পূরণ সাপেক্ষে চেক ডিসঅনার করার অপরাধ শাস্তিযোগ্য হয় উক্তিটির যথার্থতা নিরুপণ
কর।এই ধরণের অপরাধ কিভাবে এবং কখন আদালতে আমনযোগ্য হয়? কোন আদালতে এই অপরাধের
বিচার করতে পারে?

১৯৯৪ সালের ১৯ নং আইন বলে একটি নতু ন অদ্যায় সন্নিবেশিত করা হয়েছে। পর্যাপ্ত টাকা না থাকার
কারণে বিশেষ চেক ডিজানার হলে এই অদ্যায়ে শাস্তির বিধান করেছে। এই াদ্যায়ে ১৩৮ হতে ১১৪
ধারা রয়েছে।

আরা ১৩৮ এ বলা হয়েছে যে, যখন একজন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির ঋণ বা দায় পরিশোধের জন্য যে
ব্যাংকে তার একাউন্ট আছে সে ব্যাংকের উপর চেক কাটে,কিন্তু একাউন্ডে যে টাকা আছে তা দিয়ে চেক
পরিশোধ করা যায় না কিংবা উক্ত টাকা প্রদানের জন্য ব্যাংকের সাথে যে পরিমান টাকার জন্য
সমঝোতা হয়েছে তা অতিক্রান্ত হওয়ায় ব্যাংক কতৃৃ ক উক্ত চেকটি অপরিশোধিত হয়ে ফেরত আসে তাহলে
ঐ ব্রক্তি অপরাধ সংঘটন করেছে বলে গন্য হবে। এজন্য এই আইনে বিপরতি কোন বিধান না থাকলে
এক বছর মেয়াদেও কারাদন্ড অতবা চেকে বণিৃত টাকার দ্বিগুন অথৃ দন্ড অতবা উভয় দন্ডে দন্ডিত
হবে।

তবে এটা কার্যকর হবে না যতক্ষণ না-

ক) যে ব্যাংকের উপর চেকটি কাটা হয়েছে সে ব্যাংককে চেকটি কাটার ৬ মাসের মধ্যে নতু বা কাযৃকরী
বিদ্রমান অবস্থার মধ্যে উপস্থাপিত হয

খ)সংশ্লিষ্ট ব্যাক কর্তৃ ক প্রেরিত ১৫ দিনের মধ্যে চেকটি গ্রাহন বা যথাকালে ধারক, যিনি চেকটি
কেটেছিলেন তাকে উল্লেখিত পরিমান টাকা পরিশোধের দাবি জানিয়ে লিখিত নোটিশ দিবেন এবং
গ) চেকটি লেখক,প্রাপক বা যথাকালে ধারককে যেরুপ প্রযোজ্য, উক্ত নোটিশ প্রাপ্তি ১৫ দিনের মধ্যে চেকে
উল্লেখিত অথৃ পরিশোধে ব্রথৃ হয়।

কোন আদালতে বিচার হবে:

অপরাধ সংঘটনের ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে অভিযোগ দিতে হবে এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অতবা
প্রথম শ্রেণরি ম্যাজিস্ট্রেট এর নি¤œ কোন আদালত এর বিচার করতে পারেব না। ধারা-১৪১
প্রশ্ন-৪

ক) ধারক এবং যথাকালে ধারক বলতে কি বুঝ?

খ) বিল প্রত্যাখ্যান এবং প্রতিবাদকরণ কি? আলোচনা কর।

গ) কি কি প্রকারে চেক দাগকাটা যায়? এর উদ্দেশ্য সমূহ বর্ণনা কর।

ঘ) কি কি কারণে চেক এর অমর্যাদা করা যায়?

ঙ) ওপেন ও ক্রশ চেকের মধ্যে পার্থক্য দেখাও।

ক) ধারক:১৮৮১ সালের হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ৮ ধারায় ধারকের সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এই ধারা
অনুসারে যে ব্যক্তি তার নিজ নামে কোন প্রত্যর্থপত্র, বাণিজ্যিক হুন্ডি বা চেকের দখল লইতে পারেন এবং
বিভিন্ন পক্ষের নিকট হতে দেয় অর্থ গ্রহন বা আদায় করতে পারেন তাকে উক্ত প্রত্যর্থপত্র, বাণিজ্যিক হুন্ডি
বা চেকের ধারক বলে।

যে ব্যক্তি আইন সঙ্গতভাবে প্রত্যর্থপত্র, বাণিজ্যিক হুন্ডি বা চেকের দেয় অর্থ গ্রহন করার অধিকারী
কেবলমাত্র তাহাকেই ধারক বলা হয়। সুতরাং সহকারী বা ভৃ ত্যেও হেফাজতে সম্প্রদেয়পত্র থাকলেও
তাহাদেও ধারক বলা হয না। তাহারা ধারকের প্রতিনিধি হতে পারে। কোন ব্যক্তি চু রি বা অনুরুপ
বেআইনে উপায়ে দখর করলেও তাহাকে ধারক বলা হয়না।

যথাকালে ধারক:

ইহা একটি বিশেষ ধরণের ধারক। কোন সম্প্রদেয় পত্রের ধারক যদি নি¤œ লিখিত শর্ত াবলী পূরণ কওেন
তাহলে যথাকাওে ধারক বলে গন্য হন ধারা-৯

১)মূল্যবান প্রতিদান দিয়ে তিনি উহা পেয়েছেন

২)পরিশোধের তারিখ াতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে তিনি ধারক হয়েছেন

৩) যে ব্যক্তির নিকট হতে তিনি হস্তান্তর গ্রহন করেছেন তার স্বত্বধিকাওে ক্রটি আছে এরুপ বিশ্বাসে করার
কোন কারন ছিল না।

উপরিউক্ত শর্ত াবলী হতে দেখা যাযযে, ,নি¤œ লিখিত ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি যথাকালে ধারক হতে পারেন না:

১) তিনি যদি দান বা অন্যায় প্রতিদান বা বেআইনি পদ্ধতিতে হস্তান্তরযোগ্র পত্র লাভ করে থাকেন

২) তিনি যদি পরিশো ধ তারিখের পর উহা লাভ করে থাকেন

৩) যদি অবস্থা এমন হয়যে, হস্তান্তরকাররি স্বাত্বধিকার বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তির নিকট সন্দেহজনক বলে মনে
হয়।

প্রতিদানের বিনিময়ে যে ব্যক্তি বাহক দেয় প্রথ্যর্থপত্র,বাণিজ্যিক হুন্ডি বা চেকের দখল লাভ কওে অথবা
আদিষ্ট দেয় দলিলের প্রাপক বা স্বত্বগ্রহতিা বা যে ব্যক্তি উক্ত দলিলে উল্লেখিত অর্থ প্রদেয় হবার পূর্বেই
দলিলের দখল যেয়েছে এবং যার নিকট হথে দলিলের স্বত্ব লাভ করেছে তার স্বত্বে কোন ক্রটি ছিল
এরুপ বিশ্বাস করার কোন কারণ ছিল না, এরুপ ধারক বা স্বত্বগ্রহীতাকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ধারক বলে।

খ)

গ)
কোন চেকের উপরের বামকোনে আড়াঅড়িভাবে দুটো সমান্তরাল সরল রেখা অংকন করা হলে তাকে
দাগকাটা চেক বলে। বাহক চেকে বা হুকুমচেকের বামদিকের উপরের কোনায় সমান্তরাল দুটি রেখা আকা
হলে তা দাগকাটা চেকে পরিনত হয়।

অনেক সময় সমান্তরাল রেখার মাঝখানে ্ ঈড় ,অ/ঈচধুবব ড়হষু, ঘড়ঃ ঘবমড়ঃরধনষব ইত্যাদি কথা
লেখা থাকে। এ চেকের মাধ্যমে অর্থ হস্তান্তর নিরাপদ।

১৯৮১ সালের হস্তান্তর যোগ্য দলিল আইনে দু’ধরণের দাগকাটা চেকের কথা বলা হয়েছে। যথা-

১) সাধারণ দাগকাটা চেক:

২) বিশেষ দাগকাটা চেক:

চেকে দাগ কাটার উদ্দেশ্য:

মূলত নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার জন্য চেকে দাগ কাটা হলেও এর নানা রকম উদ্দেশ্য রয়েছে। নি¤েœ
দাগকাটা চেকের উদ্দেশ্য সমূহ আলোচনা করা হলো-

১) প্রকৃ ত প্রাপকের কাছে চেকের মূল্য পরিশোধ।

২) মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ঝুঁ কি ও অনিশ্চয়তা কমানো।


প্রশ্ন-৪

ক) ধারক এবং যথাকালে ধারক বলতে কি বুঝ?

খ) বিল প্রত্যাখ্যান এবং প্রতিবাদকরণ কি? আলোচনা কর।

গ) কি কি প্রকারে চেক দাগকাটা যায়? এর উদ্দেশ্য সমূহ বর্ণনা কর।

ঘ) কি কি কারণে চেক এর অমর্যাদা করা যায়?

ঙ) ওপেন ও ক্রশ চেকের মধ্যে পার্থক্য দেখাও।

ক) ধারক:১৮৮১ সালের হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ৮ ধারায় ধারকের সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এই ধারা
অনুসারে যে ব্যক্তি তার নিজ নামে কোন প্রত্যর্থপত্র, বাণিজ্যিক হুন্ডি বা চেকের দখল লইতে পারেন এবং
বিভিন্ন পক্ষের নিকট হতে দেয় অর্থ গ্রহন বা আদায় করতে পারেন তাকে উক্ত প্রত্যর্থপত্র, বাণিজ্যিক হুন্ডি
বা চেকের ধারক বলে।

যে ব্যক্তি আইন সঙ্গতভাবে প্রত্যর্থপত্র, বাণিজ্যিক হুন্ডি বা চেকের দেয় অর্থ গ্রহন করার অধিকারী
কেবলমাত্র তাহাকেই ধারক বলা হয়। সুতরাং সহকারী বা ভৃ ত্যেও হেফাজতে সম্প্রদেয়পত্র থাকলেও
তাহাদেও ধারক বলা হয না। তাহারা ধারকের প্রতিনিধি হতে পারে। কোন ব্যক্তি চু রি বা অনুরুপ
বেআইনে উপায়ে দখর করলেও তাহাকে ধারক বলা হয়না।

যথাকালে ধারক:

ইহা একটি বিশেষ ধরণের ধারক। কোন সম্প্রদেয় পত্রের ধারক যদি নি¤œ লিখিত শর্ত াবলী পূরণ কওেন
তাহলে যথাকাওে ধারক বলে গন্য হন ধারা-৯

১)মূল্যবান প্রতিদান দিয়ে তিনি উহা পেয়েছেন

২)পরিশোধের তারিখ াতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে তিনি ধারক হয়েছেন

৩) যে ব্যক্তির নিকট হতে তিনি হস্তান্তর গ্রহন করেছেন তার স্বত্বধিকাওে ক্রটি আছে এরুপ বিশ্বাসে করার
কোন কারন ছিল না।

উপরিউক্ত শর্ত াবলী হতে দেখা যাযযে, ,নি¤œ লিখিত ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি যথাকালে ধারক হতে পারেন না:

১) তিনি যদি দান বা অন্যায় প্রতিদান বা বেআইনি পদ্ধতিতে হস্তান্তরযোগ্র পত্র লাভ করে থাকেন

২) তিনি যদি পরিশো ধ তারিখের পর উহা লাভ করে থাকেন

৩) যদি অবস্থা এমন হয়যে, হস্তান্তরকাররি স্বাত্বধিকার বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তির নিকট সন্দেহজনক বলে মনে
হয়।

প্রতিদানের বিনিময়ে যে ব্যক্তি বাহক দেয় প্রথ্যর্থপত্র,বাণিজ্যিক হুন্ডি বা চেকের দখল লাভ কওে অথবা
আদিষ্ট দেয় দলিলের প্রাপক বা স্বত্বগ্রহতিা বা যে ব্যক্তি উক্ত দলিলে উল্লেখিত অর্থ প্রদেয় হবার পূর্বেই
দলিলের দখল যেয়েছে এবং যার নিকট হথে দলিলের স্বত্ব লাভ করেছে তার স্বত্বে কোন ক্রটি ছিল
এরুপ বিশ্বাস করার কোন কারণ ছিল না, এরুপ ধারক বা স্বত্বগ্রহীতাকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ধারক বলে।

খ)

গ)
কোন চেকের উপরের বামকোনে আড়াঅড়িভাবে দুটো সমান্তরাল সরল রেখা অংকন করা হলে তাকে
দাগকাটা চেক বলে। বাহক চেকে বা হুকুমচেকের বামদিকের উপরের কোনায় সমান্তরাল দুটি রেখা আকা
হলে তা দাগকাটা চেকে পরিনত হয়।

অনেক সময় সমান্তরাল রেখার মাঝখানে ্ ঈড় ,অ/ঈচধুবব ড়হষু, ঘড়ঃ ঘবমড়ঃরধনষব ইত্যাদি কথা
লেখা থাকে। এ চেকের মাধ্যমে অর্থ হস্তান্তর নিরাপদ।

১৯৮১ সালের হস্তান্তর যোগ্য দলিল আইনে দু’ধরণের দাগকাটা চেকের কথা বলা হয়েছে। যথা-

১) সাধারণ দাগকাটা চেক:

২) বিশেষ দাগকাটা চেক:

চেকে দাগ কাটার উদ্দেশ্য:

মূলত নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার জন্য চেকে দাগ কাটা হলেও এর নানা রকম উদ্দেশ্য রয়েছে। নি¤েœ
দাগকাটা চেকের উদ্দেশ্য সমূহ আলোচনা করা হলো-

১) প্রকৃ ত প্রাপকের কাছে চেকের মূল্য পরিশোধ।

২) মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ঝুঁ কি ও অনিশ্চয়তা কমানো।


প্রশ্ন-৭ সাধারণ বাহক কারা? সাধারণ বাহকের অধিকার আলোচনা কর। কোন কোন ক্ষেত্রে একজন
সাধারণ বাহক আইনত ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য? বাংলাদেশ রেলওয়ে কি সাধারণ বাহক? যুক্তি প্রদান কর।

সাধারণ বাহক কারা:

যে ব্যক্তি পণ্য বহনের জন্য নিযুক্ত হলে ভাড়ার বিনিময়ে যে কোন লোকের পণ্য বহণ করার দায়িত্ব
গ্রহন করে ইংরেজী আইনে তাকে সাধারণ বাহক বলা হয়। ইংরেজী আইন অনুসারে সাধারণ বাহকের
বৈশিষ্ট্য হল সে নির্বিচারে যে কোন ব্যক্তির পণ্য বহন করতে প্রস্তুত। বাহক যদি তার গাড়িতে স্থান
সঙ্কুলান হওয়া স্বত্বেও এবং ভাড়া দিতে প্রস্তুত থাকলেও কোন ব্যক্তির পণ্য বহন করতে অস্বীকার করবার
অধিকার রাখে,তাহলে তাকে সাধারণ বাহক বলা যায় না। ইবষভধংঃ জড়ঢ়বড়িৎশ ঈড়. া ইঁংযবষষ.

উদাহরণ-সাধারণ বাস বা লরি।

ভারতীয় আইনে সাধারণ বাহক শব্দটি সঙ্কীর্ণ ভাবে ব্যবহৃত হয়। ১৮৬৫ সালের সাধারণ বাহক আইনে
বলা হয়েছে যে, কোন ব্যক্তি.প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী (সরকারী নহে) ব্যবসায় হিসেবে ভাড়ার বিনিময়ে পণ্য
প্রেরক নির্বিশেষে স্থলপথে এবং অন্তর্দে শীয় জলপথে পণ্য বহন করে তাকে সাধারণ বাহক হিসেবে গন্য করা
হয়।

বাংলাদেশে প্রচলিত ১৮৬৫ সালের সাধারণ বাহক আইন অনুসারে সাধাধারণ বাহক পন্য বহনে
নি¤œ লিখিত অধিকার ভোগ করে থাকে-

১)বহনে অস্বীকৃ তি:কয়েকটি ক্ষেত্রে বাহক পণ্য বহন করতে অস্বীকার করতে পারে-

পন্য প্রেরক যদি ন্যায্য ভাড়া দিতে রাজী না হন।

যদিবাহকের গাড়িতে স্থান সঙ্কুলান না হয়।

পণ্য যদি বিপদজনক হয়।

যে পন্য বহনে বাহক অভ্যস্থ নয়।

যদি তাকে এমন পথে পন্য বহন করতে বলা হয়, যে পথ তার পরিচিতনহে।

২) ন্যায্য পারিশ্রমিক/ভাড়া পাওয়ার অধিকার: বাহক ন্যায্য পারিশ্রমিক পেতে অধিকারী। কোন পন্য
প্রেরককে সে ভাড়ার দিক দিয়ে কিছু সুবিধা দিতে পারে বটে’ কিন্তু ব্যক্তি নিকট হতে অতিরিক্ত উচ্চ
ভাড়া দাবি করতে পারে না । পারিপার্শ্বিক অবস্থা দ্বারা ন্যায্য ভাড়া নির্ধারিত হযে থাকে।

৩) পণ্যের উপর পূর্বশর্ত : পারিশ্রমিকের দরুন বাহকের পূর্বশর্ত জন্মে এবং প্রাপ্য অর্থ না পাওয়া পর্যন্ত সে
মাল খালাস না দিতে পারে। ইহাকে বাহকের পূর্বশর্ত বলা হয়।

৪) পণ্যের উপর মালিকানা সৃষ্টি:

৫) ক্ষতিপূরণ আদায়:

৬) পণ্য প্রাপকের দায়: পণ্য প্রাপক পণ্য গ্রহণে অস্বীকার করলে বাহক যথোচিত ব্যবস্থা অবলম্বন করতে
পারে এবং ক্ষয়ক্ষতি কিছু হলে তা যে ব্যক্তির সাথে তার বহন চু ক্তি হয়ে ছিল তার নিকট হতে আদায়
করতে পারে।
৭) পণ্য প্রেরকের দায়:বহনের জন্য প্রদত্ত পন্য যদি বিপদজ্জনক হয় বা শিথিলভাবে বস্তাবন্দী থাকে এবং
তার জন্য বাহকের আঘাত বা ক্ষতি হয় তালে সে পণ্য প্রেরকের নিকট হতে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে
পারে।ইধসভরবষফ া. এড়ড়ষব ধহফ ঝযবভভরবষফ ঃৎধহংঢ়ড়ৎঃ ঈড়.

৮) কয়েকটিক্ষেত্রে বাহকের সীমিত দায়:১৮৬৫ সালের সাধারণ বাহক আইনের বিধান সাপেক্ষেে বাহক
বিশেষ চু ক্তির দ্বারা দায় সীমিত করতে পারে।

৯)যুক্তসঙ্গত খরচাদি আদায়:

১০) পণ্য বিক্রির অধিকার:

কোন কোন ক্ষেত্রে একজন সাধারণ বাহক আইনত ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য:

সাধারণ বাহক আইনের দ্বারা সাধারণ বাহকের কর্ত ব্য নির্ধারিত হয়। যে সকল বিষয়ে এই আইনে কোন
বিধান নাই সে ক্ষেত্রে ইংরেজী আইনের বিধান প্রযোগ করা হয়। যে সকল ক্ষেত্রে একজন সাধারণ
বাহক আইনত ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য সেগুলা হল-

১)বহন করতে বাধ্য: সাধারণ বাহক প্রত্যেক ব্যক্তির পণ্য বহণ করতে বাধ্য। পক্ষপাতমূলক ব্যবহার
নিষিদ্ধ। কিন্তু নি¤œ লিখিত অবস্থায় সাধারণ বাহক পন্য বহনে অস্বীকৃ তি হতে পারে:

পন্য প্রেরক যদি ন্যায্য ভাড়া দিতে রাজী না হন।

যদিবাহকের গাড়িতে স্থান সঙ্কুলান না হয়।

পণ্য যদি বিপদজনক হয়।

যে পন্য বহনে বাহক অভ্যস্থ নয়।

২) ক্ষতিপূরণ কখন:

যদি তাকে এমন পথে পন্য বহন করতে বলা হয়, যে পথ তার পরিচিতনহে।বাহক বিশেষ ধরণের পন্য
বহন এবং নির্দি ষ্ট পথে ভ্রমন করতে অভ্যস্থ থাকতে পারে। তাকে তার অনভ্যস্ত পণ্য অথবা অপরিচিত
পথে বহন করতে বলা হলে সে অস্বীকার করতে পারে।

বাহক যদি উপরিউক্ত কারণ ব্যতীত অন্য কোন কারণে পণ্য বহন করতে অস্বীকার করে ,তাহলে পণ্য
প্রেরক মামলা করে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারে। এ.ড.জষু ঈড়. া. ঝঁ ঃঃড়হ.

৩) নির্ধারিত স্থান ও সময়ে:বাহককে নির্ধারিত স্থান ও সময়ে পণ্য পৌছায়ে দিতে হয়। চু ক্তি অনুসারে পণ্য
সরবরাহের স্থান নির্ধারিত হয় । ইড়হঃবী কহরঃঃরহম ডড়ৎশং খঃফ.া. ঝঃ. ঔড়যহ’ং এধৎধমব

৪) সাবধানতার সহিত: পণ্যের নিরাপত্তা সম্পর্কে উপযুক্ত সাবধানতা অবলম্বন করে উহা প্রচলিত পথে বহন
করতেহবে।

৫) বীমা করবে: ইংরেজী আইন অনুযায়ী পণ্য বহনকালীন কোন পন্য নষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্থ হলে বহনকারীকে
ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। অর্থাৎ ঐনীতি অনুযায়ী বহনকারী একটি বীমা কারীও। এই নিয়মের কয়েকটি
ব্যতিক্রম আছে। এই নীতি একটি মাদ্রাজের মামলায় প্রয়োগ করা হয়েছে ই.ঈযধষধঢ়ধঃযর া.
ঙভভরপরধষ অংংরমহবব তবে ঐ বিষয়ে ভারতের সুপ্রীম কোর্টে কোনো সিন্ধন্তি এখন ও নাই।

৬) অন্য পথে গমন হবে না: বিশেষ কারণ না থাকলে যে পথ সাধারণত ব্যবহৃত হয় তা ব্যতীত অন্য
পথে গমন বৈধ নহে।
প্রশ্ন-৫

ক) বিল অব লেডিং কি? ইহা কি হস্তান্তরযোগ্য দলিল? ইহার বৈশিষ্ট্যবলী ও কার্যাবলী আলোচনা কর।

খ) নৌ-ভাটক ও চালানী রশিদেও সংজ্ঞা দাও(অর্থ ব্যাখ্যা কর) নৌ-ভাটকে কি কি বিষযের উল্লেখ থাকে?
নৌভাটক ও চালানী রসিদের মধ্যে পার্থক্য দেখাও।

ক) বিল অব লেডিং:জাহাজে বহন করার উদ্দেশ্যে কোন পন্য অর্পণ করা হলে জাহাজের মালিক বা অধ্যক্ষ
বা এদেও প্রতিনিধি কর্তৃ ক ইস্যুকৃত রশিদকে চালানী রশিদ বা বিল অব লেডিং বলে।এতে জাহাজের
নাম,গন্তব্য স্থল,ভাড়া ে অন্যান্র শর্ত াবলী উল্লেখ করা হয়ে থাকে। যদিও চার্ট াও পার্টি ও মত এটা কোন
চু ক্তি পত্র নয় তবুও ইহা পণ্রের আইনসঙ্গত মালিকানার একটা দলিল এবং জাহাজ কর্তৃ পক্ষের সাথে পণ্য
প্রেরকের চু ক্তির একটা বলিষ্ঠ সাক্ষ্য। একাধিক পণ্য প্রেরণ করলে প্রত্যেককে পৃথক পৃথক চালানী রশিদ
প্রদান করতে হয়।

সুতরাং বহনের জন্য পণ্য জাহাজে সরবরাহ করিবার পর জাহাজের মালিক পণ্য প্রেরককে যে রশিদ
প্রদান করেন তাহাকে চালানী রশিদ বলে।

চালানী রশিদ হস্তান্তর দলিল কিনা:

চালানী রশিদে হস্তান্তর দলিলের কয়েকটি বিশেষত্ব দেকিতে পাওয়া যায়। যেমন-ইহাও স্বত্বাধিকারের দলিল
এবং ইহাও পৃষ্ঠাঙ্কন ও অর্পনের দ্বারা হস্তান্তরিত করা যায়। কিন্ত নি¤েœাক্ত কারণে ইহা প্রকৃ ত হস্তান্তর
দলিল বলিয়া গণ্য করা হয়না:

১) হস্তান্তর যোগ্য দলিলের যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে চালানী রশিদ তার অন্তভূ ক্ত নহে।

২) চালানী রশিদের হস্তান্তর গ্রহীতা কেবলমাত্র হস্তান্তরকারীর অধিকারগুলিই প্রাপ্ত হন। হস্তান্তরকারীর স্বত্ব বা
মালিকানা ক্রটিপুর্ণ হলে হস্তান্তরগ্রহীতার মালিকানাও ক্রটিপূর্ণ হয়। কিন্ত হস্তান্তর দলিলের ক্ষেত্রে যথার্থ
ক্রেতা মালিকানার ক্রটি না জানিয়া পূর্ণমূল্যে ক্রয় করে থাকলে তিনি উহার যথাকালে ধারক হন এবং
ক্রটিহীন স্বত্ব লাভ করেন। হস্তান্তর কারীর স্বত্বের ক্রটি তার উপর বর্ত ায় না।

বিল অব লেডিং কোন হস্তান্তরযোগ্য দলিল নয়।

ইহার বৈশিষ্ট্যর

বিল অব লেডিং এর বৈশিষ্ট্যগুলি নি¤েœ বর্ণিত হইল:

১) স্বাক্ষর: জাহাজের মালিক বা তাহার প্রতিনিধি উহাতে স্বাক্ষর করেন।

২) চু ক্তির প্রমান:চালানী রশিদ হইল পণ্য বহন চু ক্তির প্রমান।

৩) প্রামান্য রশিদ:চালানী রশিদ হইল বাহক কর্তৃ ক গৃহীত পণ্যের প্রাথমিক প্রামাণ্য রশিদ।

৪) স্বত্বের দলিল:চালাণী রশিদ হইল উহাতে উল্লেখিত পণ্যের স্বত্ব নির্ণায়িক দলিল।

কার্যাবলী:

উপরে লিখিত বৈশিষ্ট্য হইতে বোঝা যায় যে,চালানী রশিদের তিনটি দরকারী কাজ আছে,যথা:

১) ইহা একটি পরিবহন চু ক্তির প্রমান।

২) বাহকের নিকট হইতে ইহা একটি প্রাপ্তি স্বীকার।


৩) ইহা পন্যের স্বত্ব নির্ধারক দলিল।

খ)

নৌ-ভাটক(ঈযধৎঃবৎ ঢ়ধৎঃু ):

যে লিখিত চু ক্তির দ্বারা ভাড়ার বিনিময়ে জাহাজের মালিক বা তার প্রতিনিধি সম্পূর্ণ জাহাজ বা এর
অংশ বিশেষ পণ্য বহণের জন্য পণ্য প্রেরক বা তার প্রতিনিধিকে একটি নির্দি ষ্ট সময়ের জন্য বা নির্দি ষ্ট
সমূদ্র যাত্রার জন্য ভাড়া দিতে সম্মত হয় বা ভাড়া দিয়ে থাকে তাকে নৌ-ভাটক বা চার্ট ার পার্টি বলে।

যে ব্যক্তি জাহাজ বা উহার অংশ ভাড়া করেন তাকে ঈযধৎঃবৎবৎ বলে। চু ক্তির অপর পক্ষ জাহাজের
মালিকবা তাহার প্রতিনিধি(যেমন-জাহাজের ক্যাপ্টেন)।

নি¤œ লিখিত বিষয়গুলি উল্লেখ থাকে:

১) পক্ষদ্বয়ের এবং জাহাজের নাম।

২) জাহাজের জাতিত্ব(ঘধঃরড়হধষরঃু )।

৩) নৌ-ভাটক পত্রের প্রকৃ তি।

৪) জাহাজটি লয়েডস অনুযায়ী কি শ্রেণী।

৫) জাহাজটির পরিবহন ক্ষমতা।

৬) যে বন্দরে জাহাজ পণ্য বোঝাই করবে এবং যে বন্দরে উহা খালাস করবে তাদের নাম।

৭) জাহাজটি নিরাপদে সমূদ্রযাত্রর উপযুক্ত কিনা সে সম্পর্কে মালিকের জামিন।

৮) কিরুপে সমূদ্র যাত্রা পরিচালিত হবে।

৯) ক্যাপ্টেনের কর্ত ব্য সমুহ।

১০) ভাড়া ইত্যাদি সম্পর্কে ভাটকগ্রহীতার দায়।

১১) যে সকল অবস্থায় পণ্যের ক্ষতি বা হাণি হলে জাহাজের মালিক ক্ষতিপূলন দানে বাধ্য নহেন।

১২) বোঝাই ,খালাস এবং বিলম্বশুল্ক সম্পকিৃ ত শর্ত াবলী।

১৩) কোন অবস্থায় নৌভাটক বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে এবং চু ক্তিশর্ত পালন না করার জন্য কোন
পক্ষকে কি খেসারত দিতে হবে।

নৌভাটক ও চালানী রশিদের মধ্যে পার্থক্য:

১) নৌভাটকপত্র একটি আনুষ্ঠানিক দলিল বা চু ক্তিপত্র, যার মাধ্যমে পণ্য্য প্রেরক জাহাজ মালিকের সাথে
জাহাজটি সম্পূর্ণ বা আংশিক ভাড়া নেওয়ার চু ক্তি করেন। পক্ষান্তরে চালানী রশিদ হইল জাহাজে প্রাপ্ত
মালিকের রশিদ মাত্র।

২) জাহাজ মালিকের সাথে ভাটকগ্রাহীর যে চু ক্তি হয় তার সবকয়টি শর্ত নৌভাটক পত্রে লিখিত থাকে।
অন্যদিকে চালানী রশিদে এরুপ শর্তে র কয়েটি লিখিত থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে তবে
চালানী রশিদ হতে প্রমানিত হয় যে, মালবহনের চু ক্তি হয়েছে।
৩) নৌভাটকপত্র,বাহিত পণ্যের মালিকানা সম্পর্কে কোন নির্দে শ প্রদান করে না কিন্তু চালানী রশিদ
মালিকানা স্বত্বের প্রমান।

৪) নৌভাটকপত্রে একটি জাহাজ নিদিষ্ট সময়ের জন্য ভাড়া করা হয় যেতে পারে। এখানে জাহাজের
ক্যাপ্টেন এবং নাবিকগন ভাটকগ্রাহীর কর্মচারী বলে গণ্য হইবে। কিন্তু চালানী রশিদে পণ্য প্রেরকের
মালিক ক্যাপ্টেন এবং নাবিকগণের কর্মচারী কখনই হয় না।

৫) নৌভাটকপত্র হইতে চালানী রশেদে শুল্ক বা স্ট্যাম্প কম লাগে।


প্রশ্ন-১২

দেউলিয়া বলতে কী বোঝায়? দেউলিয়া আইনের উদ্দেশ্যসমূহ কি কি? কোন কোন কাজকে দেউলিয়াত্বমূলক
কার্যকলাপ বলা হয়? কোন ব্যক্তি দেউলিয়া বলে অভিহিত হলে তার ফলাফল আলোচনা কর। দেউলিয়া
ঘোষিত ব্যক্তির সম্পদ কিভাবে পাওনাদাদের মধ্যে বন্টন করা হয়? সম্পদ বন্টনের ধারাবাহিকতা বর্ণনা
কর। দায় গ্রস্থ দেউলিয়া বলতে কী বোঝায়? কাকে দেউলিয়া ঘোষনা করা যায় না? প্রতারণামূলক
পক্ষপাতিত্ব কী? জবষধঃরড়হ নধপশ নীতি কী?

প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী দেউলিয়া বলতে বুঝায় যে ঋণ পরিশোধ করিতে অক্ষম। কিন্তু যতক্ষন পর্যন্ত না
একটি উপযুক্ত বিচারালয় কোনও ব্যক্তিকে দেউলিয়া বলিয়া ঘোষনা করিতেছে,ততক্ষণ পর্যন্ত সেই ব্যক্তিকে
দেউলিয়া বলা যাইবে না।

শর্ত াবলী:

কোনও ব্যক্তিকে দেউলিয়া ঘোষনা করিবার পূর্বে দুইটি শর্ত অবশ্যই পূর্ণ করিতে হইবে-

১)ব্যক্তিটি দেনাদার এবং ঋণ পরিশোধ করিবার জন্য তাহার যথেস্ট পরিমান সম্পত্তি নাই

২) দেনাদার কোনও দেউলিয়ার কর্ম করিয়াছে।

দেউলিয়া বিষয়ক আইনের প্রদান উদ্দেশ্য দুটি। এগুলি হচ্ছে নি¤œ রুপ:

১) ঋণে জর্জ রিত ব্যক্তিকে অহেতু ক লাঞ্জনা-গঞ্জনার হাত হতে রক্ষা করে সামাজিক জীবনে পুনবাসনের
সুযোগ প্রদান করা।

২) ঋণগ্রস্থ ব্যক্তির সম্পত্তি হতে পাওনাদারদের মধ্যে ন্যায়সঙ্গত ও আনুপাতিক হারে দেনা পরিশোধের
ব্যবস্থা করা।

দেউলিয়া কর্ম:

৯ ধারা অনুযায়ী নি¤েœাক্ত কার্যাবলীকে দেউলিয়াত্বমূলক কার্য বা দেউলিয়া কর্মবলে:

ক) যদি কোন দেনাদার তার পাওনাদারদের সুবিধার্থে তার সকল সম্পত্তি বা এর অংশ কোন
তৃ তীয়ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করে। দেশে বা অন্যত্র তাঁর নিজ নামে বা তাঁর স্ত্রী,পুত্র,কণ্যার নামে বেনামী
রক্ষিত সম্পত্তি এর আওতাভু ক্ত।

খ) যদি কোন দেনাদার তার পাওনাদারেদের ঠকানোর উদ্দেশ্যে কিংবা তাদের পাওনা পরিশোধে বিলম্ব
ঘটানেরা জন্য তার সম্পত্তি হস্তান্তর করে থাকে।

গ) যদি দেনাদার প্রতারনামূলক পক্ষপাতিত্বের সৃষ্টি করে এক বা একাধিক পাওনাদারকে তাদের আনুপাতিক
হারে প্রাপ্য অর্থ অপেক্ষা বেশি অর্থ দিলে তাকে প্রতারনামূলক পক্ষপাতিত্ব বলে।

ঘ) পাওনাদারদের ঠকানোর উদ্দেশ্য বা পাওনা পরিশোধে বিরম্ব ঘটানাের জন্য যদি দেনাদার-

১)বাংলাদেশের বাইরে চলে যান;

২) নিজ বাসস্থান বা কর্মস্থল হতে অন্রত্র চলে যান বা কোনভাবে নিজেকে অনুপস্থিত রাখেন;
৩) পাওনাদারদেরকে যোগাযোগ স্থাপনের সুযোগ হতে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে নিজে আত œ গোপন করে
তাকে।

ঙ) পাওনাদারের পাওনা অর্থ পরিশোধ করার জন্য আদালতের আদেশে যদি দেনাদারের কোন সম্পত্তি
বিক্রি হয়ে যায়।

চ) যদি দেনাদার দেউলিয়া ঘোষিত হবার জন্য নিজেই আদালতের কাছে আবেদন করে থাকেন।

ছ) দেনাদার যদি পাওনাদারদের মধ্যে যেকোন একজনকে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি প্রদান করেন যে, তিনি ঋণ
পরিশোধ স্তগিত রেখেছেন বা স্থগিত রাকতে উদ্যত হয়েছেন।

জ) অর্থ পরিমোধ করতে না পারার জন্য আদালতের কোন ডিক্রি জারি ফলে দেনাদারের যদি কারাদন্ড
হয়।

ঝ) যদি অন্যূন ৫ লক্ষ টাকা বৈধ এবং মেয়দোত্তীর্ণ দেনার বিপরীতে এক বা একাধিক পাওনাদার উক্ত
পাওনা পরিশোধ করতে বা এ বাবদ পাওনাদারের সন্তোষ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় জামানত প্রদান করতে
অনুরোধ জানিয়ে এই আইনের অধীনে একটি আনুষ্ঠানিক দাবিনামা প্রেরণ করে থাকেন এবং উক্ত
দাবিনামা জারির পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে দেনাদার দাবী না মেটান।

দেওলিয়া ঘোষনার ফলা ফল নি¤œ রুপ-

১)দেউলিয়ার সম্পত্তি অর্পণ:

২)ব্যবস্থাপনা:

৩)প্রশাসন:

৪)দেউলিয়ার বিরুদ্ধে মামলা:

৫)ব্যক্তিগত অযোগ্যতা:

৬)অতীত সম্বন্ধ নীতি:

৭) স্থগিত মামলা:

৮) ঋণের প্রমান:

৯) দেউলিয়ার কতৃ ব্র:

১০ স্বেচ্ছামূলক হস্তান্তর পরিত্যাগ:

১১) প্রতারণামূলক পক্ষপাতিত্ব:

১২) রক্ষন আদেশ:

দেউলিয়া ঘোষিত ব্যক্তির সম্পদ কিভাবে পাওনাদাদের মধ্যে বন্টন করা হয়:

দায় গ্রস্থ দেউলিয়া বলতে কী বোঝায়:দেওলিয়া ঘোষনার পরবর্তী যে কোন সময়ে দেউলিয়া ব্যক্তি দায়
মুক্তির জন্য আদালতে আবেদন করতে পারেন এবং আদালত সন্তুষ্ট হলে শর্ত হনি বাশর্ত াধীনে দায় মুক্তির
আদেশ দিতে পারেন।
দায় মুক্তির আদেশের ফলে দেউলিয়া ব্যক্তি তার পূবেৃও সকল দেনা হতে অব্যাহতি পায় এবং তার
ব্যক্তিগত অযোগ্যতাবলী দূও হযে যায়। দেউলিয়া ঘোষনার দিন হতে দায় মুক্তির আদেশ কার্যকরী হবার
পূবৃ পযৃন্ত তাকে দায়গ্রস্থ দেউলিয়া বলা যায়। কিন্তু দায় মুক্তির আদেশ কার্যকরী হবার দিন হতে তার
উপর দেউলিয়া কথাটি প্রয়োগ করা যায না।

কাকে দেউলিয়া ঘোষনা করা যায় না:

নাবালক(গরহড়ৎ):নাবালক তাহার ঋণের জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী নয় এবং চু ক্তি সম্পাদনেও সক্ষম নয়।
সুতরায় নাবালককে দেওলিয়া ঘোষনা করা যায় না। যদি ভু লক্রমে নাবালককে দেউলিয়া ঘোষনা করা
হয তবে আদেশটি বাতিল হইয়া যাইবে।

একজন পাগল: একজন পাগল বা বিকৃ তমস্তিষ্ক ব্যক্তি নাবালকের ন্যায় চু ক্তি করতে অক্ষম্ তাই দেওলিয়া
হবার পর কোন কার্য সে করতে পারে না।

একটি রেজিষ্ট্রিকৃ ত কোম্পানী:কোম্পানী াাইন অনুসাওে একটি নিবন্ধিত কোম্পানীকে তার দেনার জন্য
অবসায়ন বা বিলোপ সাধই উপযুক্ত প্রতিকার। কোম্পানেিক দেউলিয়া ঘোষনা করার কোর বিধান নেই।

মৃত ব্যক্তি:মৃত ব্রক্তিকে দেউলিয়া ঘোষনা করা যায না অবশ্র মৃত ব্যক্তির পরিত্রক্ত সম্পত্তি হতে ঋণ
পরিশো দ করা যায়। দেওলিয়া ঘোষনার জন্য আবেদনপত্র দাখিল করার পর যদি দেনাদার মারা যান
তাহলে তার পরিত্যক্ত সম্পত্তি আদালত কর্তৃ ক নিযুক্ত তত্বাবধায়কের উপর অপিৃত হয।

প্রতারণামূলক পক্ষপাতিত্ব কী:

দেনাদার দেউলিয়া হয়ে যেতে পাওে এই আশংকায় তার পাওনাদারদেও মধ্যে কোন এক বিশেষ
পাওনাদারকে আনুপাতিক পাপ্য না দিয়ে অন্যদেও তু লনায় অধিক পাওনা পরিশোধের উদ্দেশ্যে তার নিকট
দেনাদার কোন সম্পত্তি হস্তান্তর করলে তাকে প্রতারণামূলক বা শঠতামূলক হস্তান্তর বলে।

উদাহরণ- ক একজন দেনাদার এবং খগঘ এর নিকটে সে যথাক্রমে ৫০০০০ টাকা,৬০০০০ টাকা ও
৭০০০০ টাকা ঋণী। ক এর মোট সম্পত্তির পরিমান ৭০০০০ টাকা। সে অপর দুজন পাওনাদারকে কিছু
না দিয়ে তার সমস্ত সম্পত্তি ঘ এর পাওনা পরিশোধ কওে তার নিকট হস্তান্তর করে। এই হস্তান্তরকে
প্রতারণামূলক হস্তান্তর বলে।

জবষধঃরড়হ নধপশ নীতিকী:

দেউলিয়া ঘোষনার সময় দেনাদার ব্যক্তির অতীত কার্যকলাপ বিবেচনা করা হয় এবং অতীতকাল হতেই
তা কার্যকর করা হয়।এই নীতিকে বলা হয় বিলেশন ব্যাক নীতি বা অতীত সম্বন্ধ নীতি। প্রকৃ ত পক্ষে
দেনাদার ব্যক্তি দেউলিয়া ঘোষিত হবার পূর্বে নানা প্রকার অভিসন্ধি নিয়ে বিভিন্ন লেনদেন করে থাকতে
পারে। সম্পত্তি রক্ষা করার উদ্দেশ্যে অনেক সময় নিজস্ব কোন ব্যক্তির নামে সম্পত্তি হস্তান্তর করে থাকে।
আবার কখনও কোন পাওনাদারকে বিশেষ সুবিধা দেয়ার উদ্দেশ্যেও তার নিকট সম্পত্তি হস্তান্তর করে
থাকে। এসকল কারণে অতীত সম্বন্ধ নীতি প্রয়োগ করে দেনাদারকে দেউলিয়া ঘোষনার তারিখ হতে
কার্যকর না করে অতীত কাল হতে কার্যকর করা হয় এবং অতীত কাল হতেই তাকে দেউলিয়া বলে গণ্য
করা হয়।

You might also like