Professional Documents
Culture Documents
অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান -প্রাণীজগৎ এর শ্রেণিবিন্যাস
অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান -প্রাণীজগৎ এর শ্রেণিবিন্যাস
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
১. অ্যামিবা কি ধরনের প্রাণী?
• সিলিয়া, পা, উপাঙ্গ, সিটা(অ্যানেলিডা), নিডোব্লাস্ট (নিডারিয়া), নালিপদ (একাইনোডার্মাটা) ইত্যাদি চলন অঙ্গ।
• স্পঞ্জিলা চলন শক্তিহীন প্রাণী।
• পৃথিবীতে প্রায় ১৫ লক্ষ প্রজাতির প্রাণী আবিষ্কৃ কত হয়েছে।
• বিপুল সংখ্যক প্রাণীর গঠন ও প্রকৃ তি সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জ নের সহজ উপার হলো শ্রেণিবিন্যাস।
• প্রাণিজগতের শ্রেণিবিন্যাস এর ভিত্তি হলো—
i. প্রাণিদেহে বিদ্যমান বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য।
ii. বিভিন্ন প্রাণীর পারস্পরিক সম্পর্ক ।
iii. বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যকার মিল-অমিল।
• প্রাণীর বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিভিন্ন স্তর বা ধাপে সাজানো হয়।
• জীবজগৎকে ধাপে ধাপে বিন্যস্ত করার এই পদ্ধতিকে শ্রেণিবিন্যাস বলে।
• প্রয়োজনের তাগিদে বর্ত মানে জীববিজ্ঞানের একটি স্বতন্ত্র শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা (Taxonomy/ ট্যাক্সোনমি) শাখা গড়ে
উঠেছে।
• প্রজাতি হলো শ্রেণিবিন্যাসের সবচেয়ে নিচের ধাপ বা একক।
• মানুষ, কু নোব্যাঙ, কবুতর ইত্যাদি এক একটি প্রজাতি।
• কোনো প্রাণীর শ্রেণিবিন্যাস করতে হলে সেই প্রাণীকে বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ধাপে ধাপে সাজাতে হয়।
• শ্রেণিবিন্যাসের সকল ধাপের প্রত্যেকটিকে যথাযথভাবে বিন্যস্ত করতে হয়।
• শ্রেণিবিন্যাসের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য নাম হলো-
i. অ্যারিস্টটল
ii. জন রে
iii. ক্যারোলাস লিনিয়াস।
• শ্রেণিবিন্যাসের জনক বলা হয় প্রকৃ তিবিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াসকে।
• সর্বপ্রথম প্রজাতির বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করেন- প্রকৃ তিবিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস।
• প্রকৃ তিবিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস দ্বিপদ বা দুই অংশ বিশিষ্ট নামকরণ প্রথা প্রবর্ত ন করেন।
• দ্বিপদ নামকরণ বা বৈজ্ঞানিক নামকরণের জনক বলা হয় প্রকৃ তিবিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াসকে।
• বৈজ্ঞানিক নাম /দ্বিপদ নামকরণ ল্যাটিন অথবা ইংরেজি ভাষায় লিখতে হয়।
• মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম - Homo sapien. (হোমো স্যাপিয়েন্স)
• ICZN পূর্ণরূপ হলো International Commission on Zoological Nomenclature (ইন্টারন্যাশনাল কমিশন
অন জুওলজিক্যাল নোমেনক্লেচার) এটি হলো প্রাণীদের নামকরণ করার ও স্বীকৃ তি দানের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান।
• বৈজ্ঞানিক নাম / শ্রেণিবিন্যাস লেখার নিয়ম:
১। প্রতিটি প্রাণীর একটিমাত্র বৈজ্ঞানিক নাম থাকবে।
২। প্রাণীর দ্বিপদ নামের দুটি অংশ থাকবে। দ্বিপদ নামের প্রথম অংশ গন এবং দ্বিতীয় অংশ প্রজাতি নির্দে শক।
৩। বৈজ্ঞানিক নামটি অবশ্যই ইংরেজি বা ল্যাটিন ভাষায় হতে হবে অথবা ল্যাটিন ভাষায় রূপান্তরিত শব্দ দ্বারা গঠিত
হতে হবে।
৪। গণ নাম প্রথম অক্ষর বড় হরফে হবে। প্রজাতি নামের প্রথম অক্ষর ছোট হরফে হবে।
৫। বৈজ্ঞানিক নাম লেখার সময় গণ নাম আগে বসবে এবং প্রজাতি নাম গণ নামের পরে বসবে।
৬। বৈজ্ঞানিক নাম ছাপানো হলে ইটালিক ফর্মে অর্থাৎ ডান দিকে বাঁকানো হবে। এ নাম হাতে লিখলে ইংরেজি অক্ষর
ব্যবহার করে গণ ও প্রজাতি অংশের নিচে আলাদাভাবে দাগ টানতে হবে।
৭। অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের ক্ষেত্রে ইংরেজিতে Kingdom, Phylum, Class, Order, Famil, Genus এবং Species
অথবা বাংলায় পর্ব, শ্রেণী, বর্গ, গোত্র, গণ ও প্রজাতি এই ছয়টা ধাপ লিখলেই চলবে। কিন্তু মানুষ, ব্যাঙ, সাপ, মাছ
ইত্যাদি সকল মেরুদণ্ডী প্রাণীর ক্ষেত্রে Phylum বা পর্বের নিচে Sub phylum বা উপপর্ব Vertebrata ধাপটা লেখা
উচিত। উদাহরণস্বরূপ মানুষ শ্রেণীবিন্যাস দেওয়া হল:
মানুষের শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ (Kingdom) : Animalia (অ্যানিম্যালিয়া)
গণ (Genus) : Copsychus
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
অদ্যবধি কত লক্ষ প্রজাতির প্রাণী আবিষ্কৃ ত হয়েছে?
Or, পৃথিবীতে মোট কত লাখ প্রজাতির প্রাণী আবিষ্কৃ ত হয়েছে?
বিপুলসংখ্যক প্রাণীর গঠন ও প্রকৃ তি সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জ নের একমাত্র উপায় কী?
প্রয়োজনের তাগিদে বর্ত মানে জীববিজ্ঞানের কোন স্বতন্ত্র শাখা গড়ে উঠেছে?
কোনো প্রাণীর শ্রেণিবিন্যাস করতে হলে সেই প্রাণীকে কীভাবে সাজাতে হয়?
শ্রেণিবিন্যাস কী?
শ্রেণিবিন্যাস কাকে বলে?
উত্তরঃ বিশাল জীবজগৎকে সহজে চেনা বা জানার জন্য এদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিভিন্ন স্তর বা ধাপে সাজানো হয়।
আর এই জীবজগৎকে ধাপে ধাপে বিন্যস্ত করার পদ্ধতিকে শ্রেণিবিন্যাস বলে।
প্রজাতি কী?
প্রজাতি বলতে কী বুঝয়?
উত্তর: প্রজাতি হলো শ্রেণিবিন্যাসের সবচেয়ে নিচের / সর্বনিম্ন ধাপ বা একক।
প্রজাতি বলতে বোঝায় এমন এক প্রাকৃ তিক জনগোষ্ঠী, যার অন্তর্ভু ক্ত জীবগুলো নিজেদের মধ্যে আন্তঃপ্রজননে সক্ষম
কিন্তু অন্য জীবগোষ্ঠী হতে জননসূত্রে বিচ্ছিন্ন এবং আপন বৈশিষ্ট্যে স্বতন্ত্র ।
ICZN কী?
ICZN এর পূর্ণররূপ কী?
ICZN এর পুরো নাম লিখ।
উত্তর: ICZN পূর্ণরূপ হলো International Commission on Zoological Nomenclature. এটি হলো প্রাণীদের
নামকরণ করার ও স্বীকৃ তি দানের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
কোন একটি প্রাণীকে শনাক্ত করতে হলে প্রধানত কয়টি ধাপে বৈশিষ্ট্য মিলিয়ে নিতে হয়?
মেরুদন্ডী প্রাণীর শ্রেণিবিন্যাসে ৭টি ধাপ ছাড়াও অপর কোন বিষয়টি উল্লেখ করতে হয়?
শ্রেণিবিন্যাসের সাহায্যে কিভাবে পৃথিবীর সকল উদ্ভিদ ও প্রানী সম্পর্কে জানা যায়?
শ্রেনিবিন্যাসের সাহায্যে প্রাণীকু লের মধ্যে কোন সম্পর্কে তথ্য ও উপাত্ত পাওয়া যায়?
রচনামূলক প্রশ্ন
কিংডম কী?
উত্তরঃ প্রাণিজগৎকে কিংডম বলে।
অ্যানিম্যালিয়া জগতের প্রাণীদের নয়টি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। এই নয়টি পর্বের প্রথম আটটি পর্বের প্রাণীরা
অমেরুদণ্ডী এবং শেষ পর্বের প্রাণীরা মেরুদণ্ডী।
একনজরে অ্যানিম্যালিয়া জগতের শ্রেণিবিন্যাস:
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
আধুনিক শ্রেণিবিন্যাসের পূর্বে প্রোটোজোয়া পর্বটি কোন জগতের আলাদা উপজগৎ হিসেবে স্থান পেয়েছে?
আধুনিক শ্রেণিবিন্যাসের পূর্বে কোন পর্বটি প্রোটিস্টা জগতের আলাদা উপজগৎ হিসেবে স্থান পেয়েছে?
বর্ত মানে আধুনিক শ্রেণিাবিন্যাসে কোন প্রাণিদের আলাদা উপজগৎ - ভাগ করা হয়?
প্রোটোজোয়া ব্যতীত অন্যান্য প্রাণীকে কোন জগতের অন্তর্ভু ক্ত করা হয়?
অ্যানিমিলিয়া জগতের কয়টি পর্বের প্রাণী অমেরুদণ্ডী প্রাণী? ও পর্ব গুলো কী কী?
Or, অমেরুদণ্ডী প্রাণীর পর্ব কয়টি ও কী কী?
রচনামূলক প্রশ্ন
পরিফেরা পর্বের প্রাণীর দেহে অসংখ্য ছিদ্র থাকায় এদের ছিদ্রাল প্রাণী বলা হয়।
স্বভাব ও বাসস্থান: পরিফেরা পর্বের প্রাণীরা সাধারণভাবে স্পঞ্জ নামে পরিচিত। পৃথিবীর সর্বত্রই এদের পাওয়া যায়। এদের
অধিকাংশ প্রজাতি সামুদ্রিক। তবে কিছু কিছু প্রাণী স্বাদু পানিতে বাস করে। এরা সাধারণত দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করে।
কোন পর্বের প্রাণীদের দেহে কোনো পৃথক সুগঠিত কলা, অঙ্গ ও তন্ত্র থাকে না?
রচনামূলক প্রশ্ন
স্পঞ্জ কী?
উত্তর: অ্যানিম্যালিয়া জগতে পরিফেরা পর্বের প্রাণীদের স্পঞ্জ বলা হয়।
স্বভাব ও বাসস্থান: পৃথিবীর প্রায় সকল অঞ্চলে এই পর্বের প্রাণী দেখা যায়। এদের অধিকাংশ প্রজাতি সামুদ্রিক। তবে
অনেক প্রজাতি খাল, বিল, নদী, হ্রদ, ঝরনা ইত্যাদিতে দেখা যায়। এই পর্বের প্রাণীগুলো বিচিত্র বর্ণ ও আকার-আকৃ তির
হয়। এদের সাগরের সৌন্দর্য বলা হয়। এরা সাধারণত পানিতে ভাসমান কাঠ, পাতা বা অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে দেহকে
আটকে রেখে বা মুক্তভাবে সাঁতার কাটে। এদের কিছু প্রজাতি এককভাবে আবার কিছু প্রতি দলবদ্ধ ভাবে কলোনি গঠন
করে বাস করে। যথা: হাইড্রা (Hydra), জেলি ফিস এবং সামুদ্রিক প্রবাল (Corals)।
নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ:
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
নিডারিয়া(Cnidaria) পর্ব ইতোপূর্বে কী নামে পরিচিত ছিল?
নিডারিয়া(Cnidaria) পর্বের আদি নাম কী?
কোন পর্বের অনেক প্রজাতি খাল, বিল, নদী, হ্রদ, ঝরনা ইত্যাদিতে দেখা যায়?
কোন পর্বের কিছু প্রজাতি এককভাবে আবার কিছু প্রজাতি দলবদ্ধভাবে কলোনি গঠন করে বাস করে?
কোন পর্বের কিছু প্রজাতি এককভাবে কলোনি গঠন করে বাস করে?
কোন পর্বের কিছু প্রজাতি দলবদ্ধভাবে কলোনি গঠন করে বাস করে?
কোন পর্বের প্রাণীরা সাধারণত পানিতে ভাসমান কাঠ, পাতা বা অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে দেহকে আটকে রেখে বা
মুক্তভাবে সাঁতার কাটে?
সিলেন্টেরন কী করে?
সিলেন্টেরনের কাজ কী?
রচনামূলক প্রশ্ন
ভ্রুণস্তর কী?
উত্তর: ভ্রূণের যেসব কোষীয় স্তর থেকে পরবর্তী সময়ে টিস্যু বা অঙ্গ সৃষ্টি হয় তাদেরকে ভ্রূণস্তর বলে।
এক্টোডার্ম কী?
উত্তর: নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের দেহের বাহিরের স্তরটিকে এক্টোডার্ম বলে।
এন্ডোডার্ম কী?
উত্তর: নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের দেহের ভিতরের স্তরটিকে এন্ডোডার্ম বলে।
সিলেন্টেরন কী?
সিলেন্টেরন কাকে বলে?
উত্তর: নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের দেহগহ্বরকে সিলেন্টেরন বলে।
নিডোব্লাস্ট কী?
নিডোব্লাস্ট কাকে বলে?
নিডোব্লাস্ট বলতে কী বুঝ?
উত্তর: নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের এক্টোডার্মে অবস্থিত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কোষকে নিডোব্লাস্ট বলে।
এই কোষগুলো শিকার ধরা, আত্মরক্ষা, চলন ইত্যাদি কাজে অংশ নেয়।
প্রাণীদের মধ্যে এ পর্বের প্রাণীরাই সরলতম ত্রীস্তরী প্রাণী। এ পর্বের প্রাণীরা পাতার মতো উপর নিচে চ্যাপ্টা বা ফিতার
মতো লম্বা বলে চ্যাপ্টা কৃ মি নামে পরিচিত।
স্বভাব ও বাসস্থান: এই পর্বের প্রাণীদের জীবনযাত্রা বেশ বৈচিত্র্যময়। এই পর্বের বহু প্রজাতি বহিঃপরজীবী বা
অন্তঃপরজীবী হিসেবে অন্য জীবদেহের বাইরে বা ভিতরে কসবাস করে। তবে কিছু প্রজাতি মুক্তজীবী হিসেবে স্বাদু
পানিতে আবার কিছু প্রজাতি লবণাক্ত পানিতে বাস করে। এই পর্বের কোনো কোনো প্রাণী ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে মাটিতে
বাস করে।
প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের প্রাণীর সাধারণ বৈশিষ্ট্য:
• দেহ চ্যাপ্টা, উভয়লিঙ্গ।
• বহিঃপরজীবী বা অতঃপরজীবী।
• দেহ পুরু কিউটিকল দ্বারা আবৃত।
• দেহে চোষক ও আংটা থাকে।
• দেহে শিখা অঙ্গ নামে বিশেষ অঙ্গ থাকে, এগুলো রেচন অঙ্গ হিসেবে কাজ করে।
• পৌষ্টিকতন্ত্র অসম্পূর্ণ বা অনুপস্থিত ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
কোন পর্বের প্রাণীগুলোর জীবনযাত্রা বেশ বৈচিত্র্যময়?
কোন পর্বের বহু প্রজাতি বহিঃপরজীবী বা অন্তঃপরজীবী হিসেবে জীবদেহের বাইরে বা ভিতরে বাস করে?
কোন পর্বের কিছু প্রজাতি মুক্তজীবী হিসেবে স্বাদু পানিতে আবার কিছু প্রজাতি লবণাক্ত পানিতে বাস করে?
প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের প্রাণীরা মুক্তজীবী হিসেবে কোথায় বসবাস করে?
কোন পর্বের কোনো কোনো প্রাণী ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে মাটিতে বাস করে?
কোন পর্বের প্রাণীদের দেহে শিখা কোষ নামে বিশেষ কোষ থাকে?
শিখাকোষ নামক কোষ দ্বারা রেচন কাজ সম্পন্ন করে কোন প্রাণী?
রচনামূলক প্রশ্ন
বহিঃপরজীবী কী?
উত্তর : যেসব পরজীবী পোষক দেহের বাইরে অবস্থান করে তাদের বহিঃপরজীবী বলে। যেমন-উকু ন, জোঁক।
অন্তঃপরজীবী কী?
উত্তর : যেসব পরজীবী পোষক দেহের ভেতরে অবস্থান করে তাদের অন্তঃপরজীবী বলে। যেমন- কৃ মি।
নেমাটোডা পর্বের অপর নাম নেমাথেলমিনথেস। এ পর্বের প্রাণীদেরকে সাধারণত গোলকৃ মি বলা হয়।
স্বভাব ও বাসস্থান: এই পর্বের অনেক প্রাণী অন্তঃপরজীবী হিসেবে প্রাণীর অস্ত্র ও রক্তে বসবাস করে। এসব পরজীবী
বিভিন্ন প্রাণী ও মানবদেহে বাস করে নানারকম রোগ সৃষ্টি করে। এ পর্বের বিভিন্ন পরজীবীর কারণে কনজাংটিভাইটিসসহ
পেটে ব্যথা, অনিদ্রা, উদরাময়, রক্তস্বল্পতা প্রভৃ তি রোগের সৃষ্টি হয়। তবে অনেক প্রাণীই মুক্তজীবী, যারা পানি ও মাটিতে
বাস করে। মুক্তজীবী প্রাণীরা ব্যাকটেরিয়া, ঈস্ট, ছত্রাক ও শৈবাল খেয়ে জীবনধারণ করে।
উদাহরণ: গোলকৃ মি, ফাইলেরিয়া কৃ মি, কেঁ চোকৃ মি, হুকওয়ার্ম প্রভৃ তি।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
কোন পর্বের প্রাণী অন্তঃপরজীবী হিসেবে প্রাণীর অস্ত্র ও রক্তে বাস করে?
নেমাটোডা পর্বের অনেক প্রাণী কী হিসেবে প্রাণীর অন্ত্রে ও রক্তে বাস করে?
কোন পর্বের অধিকাংশ প্রাণী পরজীবী হিসেবে বিভিন্ন প্রাণী ও মানবদেহে বাস করে নানারকম ক্ষতি সাধন করে?
সিলোম কী?
সিলোম কাকে বলে?
উত্তর: বহুকোষী প্রাণীর পৌষ্টিক নালি এবং দেহ প্রাচীরের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানকে সিলোম বলে।
গোলকৃ মি ফিতাকৃ মি
i. গোলকৃ মি নেমাটোডা পর্বের অন্তর্ভু ক্ত। i. ফিতাকৃ মি প্লাটিহেলমেথেস পর্বের অন্তর্ভু ক্ত।
ii. দেহ গোলাকার ও পুরু ত্বক দ্বারা আবৃত ৷ ii. দেহ চ্যাপ্টা ও পুরু কিউটিকল দ্বারা আবৃত।
vi. এরা মুক্তজীবী হিসেবে পানি ও মাটিতে বাস করে। vi. এরা মুক্তজীবী হিসেবে পানি ও মাটিতে বাস করে।
প্লাটিহেলমিনথিস ও নেমাটোডা দুইটি পর্বের প্রাণীরা প্রাণিজগতের জন্য ক্ষতিকর।- বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ প্লাটিহেলমিনথিস ও নেমাটোডা দুইটি পর্বের প্রাণীরা প্রাণিজগতের জন্য ক্ষতিকর। কারণ প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের
প্রাণীরা প্রধানত বহিঃপরজীবী বা অন্তর্জীবী হিসেবে অন্য জীবের দেহে বসবাস করে। পোষক দেহে বসবাসের সময় পুষ্টি
শোষণ করে নেয়। ফলে পোষক বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।
নেমাটোডা পর্বের প্রাণীরা প্রধানত পরজীবী। এরা বিভিন্ন প্রাণীর অস্ত্র, রক্ত ও অন্যান্য অঙ্গে পরজীবী হিসেবে বাস করে।
এরা পোষকদেহ থেকে পুষ্টি শোষণ করে। ফলে পোষক নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হয়।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে প্লাটিহেলমিনথিস ও নেমাটোডা পর্বের প্রাণীরা প্রাণিজগতের বিশেষ ক্ষতিকর কারণ।
গোলকৃ মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া যায়?- তোমার মতামত বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ গোলকৃ মি নেমাটোডা পর্বের প্রাণী। এরা মানুষের অন্ত্রে বসবাস করে ও বিভিন্ন ক্ষতি করে। এদের ক্ষতিকর প্রভাব
হতে রক্ষা পেতে হলে নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে-
i. যেখানে সেখানে মলত্যাগের অভ্যাস পরিহার করা ও পাকা পায়খানা ব্যবহার করা।
ii. কাঁচা ফলমূল ধুয়ে খাওয়া।
iii. হাতের আঙু ল পরিষ্কার রাখা, হাতের নখ ছোট রাখা।
iv. খাবার গ্রহণের আগে এবং শৌচ কাজ শেষে হাত ভালোভাবে
ধোয়া।
v. ঠাণ্ডা ও পচা বাসি খাদ্য গ্রহণ না করা।
vii. দেহে ক্রিমির আক্রমণ অনুভব করলে ওষুধ সেবনের মাধ্যমে ক্রিমি মুক্ত করা।
পর্ব-৫: অ্যানেলিডা বা অঙ্গুরিমাল(ছোট আংটি)
অ্যানেলিডা পর্বের প্রাণীগুলো আংটি কীট বা অখন্ডায়িত কীট বা অঙ্গুরিমাল নামে পরিচিত।
স্বভাব ও বাসস্থান: পৃথিবীর প্রায় সকল নাতিশীতোষ্ণ ও উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে এই পর্বের প্রাণীদের পাওয়া যায়। এদের
বহু প্রজাতি স্বাদু পানিতে এবং কিছু প্রজাতি অগভীর সমুদ্রে বাস করে। এই পর্বের বহু প্রাণী সেঁতসেঁতে মাটিতে বসবাস
করে। এদের মধ্যে কিছু প্রাণী সমুদ্রের পাড়ে, কিছু অগভীর সমুদ্রের তলদেশে বাস করে। কিছু প্রজাতি পাথর ও মাটিতে
গর্ত খুঁড়ে বসবাস করে।
কোন পর্বের বহু প্রজাতি স্বাদু পানিতে এবং কিছু প্রজাতি অগভীর সমুদ্রে বাস করে?
কোন পর্বের কিছু প্রজাতি পাথর ও মাটিতে গর্ত খুঁড়ে বসবাস করে?
রচনামূলক প্রশ্নঃ
নেফ্রিডিয়া কী?
নেফ্রিডিয়া কাকে বলে?
উত্তর: অ্যানিলিডা পর্বভু ক্ত প্রাণীদের দেহে এক ধরনের রেচন অঙ্গকে নেফ্রিডিয়া বলে।
সিটা কী?
উত্তর: অ্যানেলিডা পর্বের প্রাণীদের চলন অঙ্গকে সিটা বলে।
v. এদের মুখ ও পায়ু ছিদ্র ভিন্ন। v. এদের দেহের অগ্রভাগে একটি মাত্র ছিদ্র থাকে, যা মুখ
ও পায়ু হিসেবে কাজ করে।
আর্থ্রোপোডা পর্বটি প্রাণিজগতের সবচেয়ে বৃহত্তম পর্ব। পৃথিবীর প্রায় ৬০-৬৫% প্রাণীএই পর্বের অন্তর্ভু ক্ত। এদের পা
দেখলেই বোঝা যায় যে, কয়েকটি ভিন্ন অংশ যুক্ত হয়ে এটি গঠিত হয়েছে, তাই এদের সন্ধিপদী নাম করা হয়েছে।
স্বভাব ও বাসস্থান: এরা পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র সকল পরিবেশে বাস করতে সক্ষম। এদের বহু প্রজাতি অন্তঃপরজীবী ও
বহিঃপরজীবী হিসেবে বাস করে। বহু প্রাণী স্থলে, স্বাদু পানিতে ও সমুদ্রে বাস করে। এ পর্বের অনেক প্রজাতির প্রাণী
ডানার সাহায্যে উড়তে পারে।
আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সমূহ:
• দেহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত যেমন, মস্তক, বক্ষ ও উদর।
• এ পর্বের প্রাণীদের পা গুলো সন্ধিযুক্ত বা বহুসংখ্যক খণ্ডাংশ নিয়ে গঠিত।
• দেহ কাইটিন সমৃদ্ধ কিউটিকল দ্বারা আবৃত থাকে।
• মাথায় একজোড়া পুঞ্জাক্ষী এবং অ্যান্টেনা থাকে।
• এ পর্বের প্রাণীদের রক্তপূর্ণ হিমোসিল নামক দেহগহ্বর থাকে।
উদাহরণঃ চিংড়ি, কাঁকড়া, মাকড়সা, মশা, মাছি, প্রজাপতি, মথ, তেলাপোকা, উকু ন, কাঁকড়াবিছা প্রভৃ তি।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
কোন পর্বের প্রাণিরা পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র সকল পরিবেশে বাস করতে সক্ষম?
কোন পর্বের বহু প্রজাতি অন্তঃ ও বহিঃপরজীবী হিসেবে বাস করে?
কোন পর্বের বহু প্রাণী স্থলে, স্বাদু পানি ও সমুদ্রে বাস করে?
কোন পর্বের প্রাণীর দেহ শক্ত কাইটিন সমৃদ্ধ শক্ত আবরণী দ্বারা আবৃত?
কাইটিন সমৃদ্ধ শক্ত আবরণী দ্বারা আবৃত থাকে কোন পর্বের প্রাণীর?
হিমোসিল কী?
আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণী দেহে কীসের ভেতর দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হয়?
কোন প্রাণীর দেহ শক্ত কাইটিন সমৃদ্ধ শক্ত আবরণী দ্বারা আবৃত?
হিমোসিল কী?
হিমোসিল কাকে বলে?
উত্তর: আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীর দেহে রক্তপূর্ণ গহ্বরকে হিমোসিল বলে।
পেস্ট কী?
উত্তর: আর্থ্রোপোডা পর্বের ক্ষতিকর পোকাদের পেস্ট বলে।
ii.রক্তপূর্ণ গহ্বর বা হিমোসিল সম্পৃক্ত। দেহে কোনো হিমোসিল থাকে না। গহ্বর অনাকৃ ত ও প্রকৃ ত
সিলোম বিহীন।
ii.মাথায় পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে। পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা জাতীয় কিছুই থাকে না।
এদের মালপিজিয়ান নালিকা নামক রেচন অঙ্গ থাকে। এদের নেফ্রিডিয়া রেচন অঙ্গ থাকে।
এদের মালপিজিয়ান নালিকা রেচন অঙ্গ থাকে। এদের নেফ্রিডিয়া নামক রেচন অঙ্গ থাকে।
এদের পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে। এদের পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে না।
এদের মালপিজিয়ান নালিকা রেচন অঙ্গ থাকে। এদের নেফ্রিডিয়া নামক রেচন অঙ্গ থাকে।
এদের পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে। এদের পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে না।
চিংড়ি একটি সুস্বাদু আমিষজাতীয় খাদ্য। বিভিন্ন ধরনের চিংড়ি যেমন- গলদা, বাগদা ইত্যাদি আমিষ জাতীয়
খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। চিংড়ি চাষের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা যায়। মিঠাপানিতে তু লনামূলকভাবে
কম খরচে চিংড়ি চাষ করে প্রচু র লাভবান হওয়া যায়। চিংড়ি চাষ করে বেকার সমস্যা দূর করা যায়। এছাড়া
বর্ত মানে চিংড়ি রপ্তানি করে প্রচু র বৈদেশিক মুদ্রা অর্জ ন সম্ভব হচ্ছে, যা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে একটি
বড় ধরনের ইতিবাচক ভূ মিকা পালন করে।
বাংলাদেশের লবণাক্ত পানির শিলা প্রজাতির কাঁকড়ার রয়েছে বিশ্বজোড়া খ্যাতি। চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর,
থাইল্যান্ড, হংকং, আমেরিকা ও ইউরোপের বাজারে খাবারের তালিকায় এখন শীর্ষে। বাংলাদেশে প্রতিবছর
গড়ে আট হাজার মেট্রিক টন কাঁকড়া উৎপাদিত হয়। এর ৯০ শতাংশই রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে। কাঁকড়া চাষ
করে বহু লোক বেকার সমস্যা দূর করে। এর ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়।
মৌমাছি ও প্রজাপতি উদ্ভিদের পরাগায়ণে সাহায্য করে। আর পরাগায়ণের ফলেই উৎপন্ন হয় ফল ও বীজ, যা
মানুষসহ অন্যান্য জীবের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছড়া মৌমাছি ফু ল থেকে মধু সংগ্রহ করে।
রেশম পোকা থেকে রেশম সুতা পাওয়া যায়, মৌমাছি থেকে মধু, মোম ইত্যাদি উপকারী দ্রব্য পাওয়া যায়। মধু
অত্যন্ত পুষ্টিকর ও ভেষজ গুণ সম্পন্ন।
এ পর্বের ক্ষতিকর পোকাদের পেস্ট বলা হয়। এ পর্বভু ক্ত ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ ফসল নষ্ট করে, মারাত্মক রোগ
জীবাণু বহন করে মানুষের সীমাহীন ক্ষতি করে। উদাহরণ-পামরী পোকা ধান গাছে এবং বিছা পোকা পাট গাছে
রোগ সৃষ্টি করে গাছ নষ্ট করে ফেলে।
স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণু ছড়াতে সাহায্য করে। কিউলেক্স মশা গোদরোগের
জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। সাম্প্রতিক অধিক আলোচিত এবং মানুষের ভীতির কারণ পীতজ্বর ও
ডেঙ্গুজ্বরের জীবাণু (ভাইরাস) এডিস মশা বহন করে।
আরশোলা কীটপতঙ্গকে খায়। এর মল খাদ্যদ্রব্যকে নষ্ট করে।
উকু ন, ছারপোকা ও মাইটস ইত্যাদি মানুষ ও গৃহপালিত পশুপাখির অনেক ক্ষতি করে।
উইপোকা আমাদের বাড়িঘর, আসবাবপত্র ও বইপত্র ইত্যাদি মূল্যবান দ্রব্য কেটে নষ্ট করে ফেলে।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীরা আমিষের অভাব পূরণে, কর্মসংস্থানে, অর্থনৈতিকভাবে খুবই
গুরুত্বপূর্ণ।
পর্ব-৭: মালাস্কা বা কম্বোজ প্রাণী
স্বভাব ও বাসস্থান: এ পর্বের প্রাণীদের গঠন, বাসস্থান ও স্বভাব বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়। এরা পৃথিবীর প্রায় সকল পরিবেশেই বাস
করে। এদের অধিকাংশ প্রজাতি খোলকবিশিষ্ট। এরা সামুদ্রিক এবং সাগরের বিভিন্ন স্তরে বসবাস করে। বহু প্রজাতির
মলাস্কা পাহাড়ি অঞ্চলে, উপত্যকায়, বনে-জঙ্গলে অথবা সমতলভূ মিতে বাস করে। অপরপক্ষে কিছু কিছু প্রজাতি
বিভিন্ন ধরনের স্বাদু পানিতে বসবাস করে। যথা- শামুক, ঝিনুক ও অক্টোপাস।
মালাস্কা পর্বের প্রাণীদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ:
• দেহ নরম, মাংসল ও অখন্ডায়িত।
• ম্যান্টল নামক পাতলা পর্দা দ্বারা দেহের নরম অংশ আবৃত থাকে। ম্যান্টল থেকে ক্ষরিত পদার্থে চু র্নময় শক্ত খোলস
গঠিত হয়। সাধারণত খোলসের ভেতর প্রাণীরা অবস্থান করে।
• পেশিবহুল পা দিয়ে এরা চলাচল করে।
• ফু সফু স বা ফু লকার সাহায্যে শ্বসনকার্য চালায়।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
কোন পর্বের প্রাণীরা সামুদ্রিক এবং সাগরের বিভিন্ন স্তরে বাস করে?
কোন পর্বের কিছু কিছু প্রজাতি পাহাড় অঞ্চলে, বনেজঙ্গলে ও স্বাদু পানিতে বাস করে?
মালাস্কা পর্বের কিছু কিছু প্রজাতি কোথায় বাস করে?
কোন পর্বের প্রাণীদের নরম দেহটি সাধারণত শক্ত খোলস দ্বারা আবৃত থাকে?
কোন প্রাণীর নরম দেহটি সাধারণত শক্ত খোলস দ্বারা আবৃত থাকে?
রচনামূলক প্রশ্নঃ
ম্যান্টল কী?
ম্যান্টল কাকে বলে?
উত্তর: যে পাতলা পর্দা দ্বারা মালাস্কা পর্বের প্রাণী দেহের নরম মাংসল অংশ আবৃত থাকে তাকে ম্যান্টল বলে। ম্যান্টল
থেকে ক্ষরিত পদার্থে চু র্নময় শক্ত খোলস গঠিত হয়।
স্বভাব ও বাসস্থান: এই পর্বের সকল প্রাণী সামুদ্রিক। পৃথিবীর সকল মহাসাগরে এবং কোনো কোনো প্রাণী সমুদ্র তীরে
আবার কোনো কোনো প্রাণী সকল গভীরতায় এদের বসবাস করতে দেখা যায়। এদের স্থলে বা মিঠা পানিতে পাওয়া যায়
না। এরা অধিকাংশ মুক্তজীবী।
কোন পর্বের প্রাণীদের পৃথিবীর সকল মহাসাগরে এবং সকল গভীরতায় বসবাস করতে দেখা যায়?
কোন পর্বের পূর্ণাঙ্গ প্রাণীদের মাথার অঙ্কীয়দেশ ও পৃষ্ঠদেশ নির্ণয় করা যায় না?
কোন পূর্ণাঙ্গ প্রাণীদের মাথা অঙ্কীয়দেশ ও পৃষ্ঠদেশ নির্ণয় করা যায় না?
রচনামূলক প্রশ্নঃ
নালীপদ কী?
নালীপদ কাকে বলে?
উত্তর: একাইনোডারমাটা পর্বের প্রাণীদের চলন অঙ্গকে নালীপদ বলে।
মেরুদণ্ডী প্রাণীঃ যেসব প্রাণীর শিরদাঁড় বা মেরুদণ্ড তাছে তাদের মেরুদণ্ডী প্রাণী বলে। যেমন- গরু, ছাগল, ঘোড়া, হাতি,
বানর, সিংহ, মাছ, মানুষ ইত্যাদি।
এদের সাথে কয়েকটি সরল গঠনের সামুদ্রিক প্রাণীদের নিয়ে কর্ডাটা পর্ব গঠিত ।
মেরুদণ্ডী প্রাণীর ১টি পর্ব, ৩টি উপপর্ব ও ৫টি শ্রেণি রয়েছে।
পর্ব-৯: কর্ডাটা
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
কোন পর্বের প্রাণীরা পৃথিবীর সব পরিবেশে বাস করে?
কোন কর্ডাটাদের মধ্যে বহু প্রজাতি স্বাদু পানিতে অথবা সমুদ্রে বাস করে?
কোন পর্বের বহু প্রজাতি বৃক্ষবাসী, মরুবাসী, মেরুবাসী, গুহাবাসী ও খেচর জীবনযাপন করে?
কোন পর্বের বহু প্রাণী বহিঃপরজীবী হিসেবে অন্য প্রাণীর দেহে সংলগ্ন হয়ে জীবনযাপন করে?
কোন পর্বের কোনো কোনো প্রজাতির প্রাণীর সারাজীবন অথবা ভ্রূণ অবস্থায় পৃষ্ঠীয়দেশ বরাবর নটোকর্ড অবস্থান করে?
কর্ডার্টা পর্বের প্রাণীর সারা জীবন অথবা ভ্রূণ অবস্থায় নটোকর্ড কোথায় অবস্থান করে?
কর্ডাটা পর্বের প্রাণীর দেহে নরম,নমনীয়, দণ্ডাকার, দৃঢ় ও অখণ্ডায়িত অঙ্গের নাম কী?
কোন পর্বের প্রাণীদের সারাজীবন অথবা জীবনচক্রের কোনো এক পর্যায়ে পার্শ্বীয় গলবিলীয় ফু লকা ছিদ্র থাকে?
কোন পর্বের প্রাণীদের জীবনচক্রের কোনো এক পর্যায়ে পার্শ্বীয় গলবিলীয় ফু লকা ছিদ্র থাকে?
কোন প্রাণীর জীবনচক্রের কোনো এক পর্যায়ে পার্শ্বীয় গলবিলীয় ফু লকা ছিদ্র থাকে?
রচনামূলক প্রশ্নঃ
কর্ডে ট কী?
উত্তর: কর্ডাটা প্রাণিজগতের একটি পর্ব। এই পর্বের প্রাণীদের নটোকর্ড , স্নায়ুরজ্জু ও গলবিলীয় ফু লকাচ্ছিদ্র আছে
তাদেরকে কর্ডে ট বলা হয়।
নটোকর্ড কী?
নটোকর্ড কাকে বলে?
নটোকর্ড বলতে কী বুঝ?
উত্তর: নটোকর্ড হলো একটা নরম, নমনীয়, অখণ্ডায়িত, দণ্ডাকার অঙ্গ। এটি কর্ডাটা পর্বের প্রাণীদের পৃষ্ঠদেশ বরাবর
সারা জীবন অথবা শুধুমাত্র ভ্রুণীয় অবস্থায় বিদ্যমান থাকে। কিন্তু উন্নত কর্ডাটায় পর্ববতীতে পূর্ণাঙ্গ
অবস্থায় নটোকর্ড কশেরুকা যুক্ত মেরুদণ্ডে রূপান্তরিত হয়। তখন সেসব প্রাণীকে মেরুদণ্ডী প্রাণী বলা হয়।
নটোকর্ড হলো একটা নরম, নমনীয়, অখণ্ডায়িত, দণ্ডাকার মেরুদণ্ড হলো শক্ত, নমনীয়, খণ্ডায়িত ও দেহের অক্ষকে
অঙ্গ। অবলম্বন দানকারী অস্থিময় অঙ্গ।
কর্ডাটা পর্বের প্রাণীর সারা জীবন অথবা ভ্রুণ অবস্থায় কর্ডাটা পর্বের উন্নত প্রাণীদের পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় নটোকর্ড
পৃষ্ঠদেশ বরাবর অবস্থান করে। মেরুদন্ড দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়।
সকল মেরুদণ্ডী প্রাণী কর্ডাটা পর্বের হলেও কর্ডাটা পর্বের সকল প্রাণী মেরুদণ্ডী নয় কেন?
সকল মেরুদণ্ডীই কর্ডে ট কিন্তু সকল কর্ডে ট মেরুদণ্ডী নয়।-ব্যাখ্যা কর।
সকল কর্ডাটা পর্বের প্রাণী মেরুদণ্ডী নয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
সব কর্ডাটা পর্বের প্রাণীরা মেরুদণ্ডী হয় না কেন?
উত্তরঃ কর্ডাটা পর্বের অন্তর্ভূ ক্ত প্রাণীদের তিনটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- স্থিতিস্থাপক নটোকর্ড , পৃষ্ঠীয় ফাঁপা স্নায়ুরজ্জু এবং
গলবিলীয় ফু লকারন্ধ্র। এসব বৈশিষ্ট্য সব ধরণের কর্ডাটা পর্বের প্রাণীদের জীবনের যে কোন দশায় কিংবা আজীবন দেখা
যায়। Chordata পর্বের দুটি উপ-পর্ব রয়েছে। যথা- Urochordata ও Cephalochordata. এ সকল সদস্যদের ক্ষেত্রে
কর্ডাটা বৈশিষ্ট্যগুলো আজীবন পাওয়া যায়। কিন্তু Vertebrata উপ-পর্বের ক্ষেত্রে ভ্রুণাবস্থায় নটোকর্ড থাকলেও পূর্ণাঙ্গ
অবস্থায় তা কশেরুকা নির্মিত মেরুদণ্ড দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়। ফু লকরন্ধ্র বন্ধ হয়ে যায় এবং ফু লকা বা ফু সফু সের
আবির্ভাব ঘটে। উক্তির সাথে একমত হয়ে বলা যায় যে, সকল মেরুদণ্ডীই কর্ডে ট (কারণ ভ্রুণাবস্থায় কর্ডাটার সকল
বৈশিষ্ট্য থাকে) কিন্তু সকল কর্ডে ট মেরুদণ্ডী নয় (কারণ, Urochordata ও Cephalochordata উপপর্বের প্রাণীদের
নটোকর্ড কখনোই মেরুদণ্ড দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয় না।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
রচনামূলক প্রশ্ন:
পৃথিবীর সব সমুদ্র উপকূ লে অগভীর পানিতে এদের পাওয়া যায়। এরা সমুদ্রে এককভাবে কলোনী গঠন বাস করে।
এদেরকে সাগর বা সামুদ্রিক ফোয়ারা নামে ডাকা হয়।
কর্ডাটা পর্বের কোন উপপর্বের প্রাণীদের শুধু লার্ভা দশায় লেজে নটোকর্ড থাকে?
কর্ডাটা পর্বের কোন উপপর্বের প্রাণীদের প্রাথমিক অবস্থায় ফু লকা রন্ধ্র, পৃষ্ঠীয় ফাঁপা স্নায়ুরজ্জু থাকে?
কোন প্রাণীর প্রাথমিক অবস্থায় ফু লকা রন্ধ্র, পৃষ্ঠীয় ফাঁপা স্নায়ুরজ্জু থাকে?
রচনামূলক প্রশ্নঃ
ইউরোকর্ডাটা কী?
উত্তর: ইউরোকর্ডাটা হলো প্রাণীজগতের কর্ডাটা পর্বের একটি উপপর্ব।
অ্যাসিডিয়া কী?
Ascidia কী?
উত্তর: প্রাণীজগতের কর্ডাটা পর্বের ইউরোকর্ডাটা উপপর্বে একটি প্রাণী।
সেফালোকর্ডাটা উপপর্বের প্রাণীরা পৃথিবীর সব উপকূ লীয় পানির বালুময় তলদেশে বাস করে। এসব প্রাণীতে কর্ডে টের
সবকটি বৈশিষ্ট্যের আদি ও সরল রূপ দেখতে পাওয়া যায়। পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত ৩৩ প্রজাতির সেফালোকর্ডাটা শনাক্ত
করা হয়েছে।
উদাহরণ: ব্রাঙ্কিওস্টোমা(Branchiostoma)
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
কর্ডাটা পর্বের কোন উপপর্বের প্রাণীদের সারাজীবনই নটোকর্ডে র উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়?
সেফালোকর্ডাটা কী?
উত্তর: সেফালোকর্ডাটা হলো প্রাণিজগতের কর্ডাটা পর্বের একটি উপপর্ব।
ব্রাঙ্কিওস্টোমা কী?
Branchiostoma কী?
উত্তর: প্রাণীজগতের কর্ডাটা পর্বের সেফালোকর্ডাটা উপপর্বে একটি প্রাণী।
কর্ডাটা পর্বের যে সকল প্রাণীর ভ্রূণীয় নটোকর্ড পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় তরুণাস্থি বা অস্থি গঠিত মেরুদণ্ড দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়,
তারা Vertebrata উপপর্বের প্রাণী। এই উপ-পর্বের প্রাণীরাই মেরুদন্ডী প্রাণী হিসেবে পরিচিত। কর্ডাটা পর্বের ভার্টি ব্রাটা
উপপর্বের প্রাণীরা উন্নত।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
কর্ডাটা প্রাণিজগতের মধ্যে যাদের নটোকর্ড , স্নায়ুরজ্জু ও গলবিলীয় ফু লকা ছিদ্র আছে তারা কী নামে পরিচিত?
রচনামূলক প্রশ্নঃ
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
গঠন ও বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে মেরুদন্ডী প্রাণীদের কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে?
রচনামূলক প্রশ্ন:
সাইক্লোস্টোমাটা শ্রেণির প্রাণী সমূহ এক প্রকার চোয়ালহীন মাছ। এরা সামুদ্রিক। এ শ্রেণির অন্তর্ভু ক্ত মাছগুলো সাধারণত
হ্যাগফিশ বা ল্যামপ্রে নামে পরিচিত। এরা দেখতে প্রায় বাইন মাছের মতো।
উদাহরণ : Petromyzon
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
রচনামূলক প্রশ্নঃ
সাইক্লোস্টোমাটা কী?
উত্তর: সাইক্লোস্টোমাটা হচ্ছে কর্ডাটা পর্বের ভার্টি ব্রাটা উপপর্বের একটি শ্রেণি। সাইক্লোস্টোমাটা শ্রেণির প্রাণী সমূহ এক
প্রকার চোয়ালহীন মাছ। এরা সামুদ্রিক। এ শ্রেণির অন্তর্ভু ক্ত মাছগুলো সাধারণত হ্যাগফিশ বা ল্যামপ্রে নামে পরিচিত।
কনড্রিকথিস শ্রেণির প্রাণী আদি প্রকৃ তির মাছ হলেও এরা বেশ উন্নত। এরা সামুদ্রিক ও শিকারি স্বভাবের হয়ে থাকে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীর দেহ প্ল্যাকয়েড আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে?
কনড্রিকথিস শ্রেণীর প্রাণীর মাথার দুই পাশে কয় জোড়া ফু লকা ছিদ্র থাকে?
কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীদের মাথার দুই পাশে ৫ - ৭ জোড়া ফু লকা ছিদ্র থাকে?
হাঙ্গর / করাত / হাতু ড়ি মাছের দেহ কী ধরনের আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে?
কোন মেরুদন্ডী প্রাণীদের মাথার দুই পাশে ৫ - ৭ জোড়া ফু লকা ছিদ্র থাকে?
হাঙ্গর / করাত/ হাতু ড়ি মাছের মাথার দুই পাশে কত জোড়া ফু লকা ছিদ্র থাকে?
রচনামূলক প্রশ্নঃ
কনড্রিকথিস কী?
উত্তর: কর্ডাটা পর্বের ভার্টি ব্রাটা উপপর্বের একটি শ্রেণি।
অসটিকথিস শ্রেণিভু ক্ত মাছগুলো রশ্মিময় পাখনা বিশিষ্ট মাছ নামে পরিচিত। এরা মিঠাপানি ও সামুদ্রিক সকল স্থানে
অর্থাৎ গভীর সমুদ্র থেকে শুরু করে পাহাড়ি হ্রদ,ঝণা, গর্ত ও বরফ সকল জলজ পরিবেশেই বসবাস করে।
উদাহরণ : ইলিশ, সি-হর্স, রুই, কাতলা, মৃগেল, গজার, চিতল, টাকি, পাবদা, শিং, কই ইত্যাদি।
মাছ (Fishes)
মাছ শীতল রক্তবিশিষ্ট মেরুদন্ডী প্রাণি এবং এরা পানিতে বসবাস করে। এদের দেহ আঁইশ দ্বারা আবৃত, ফু লকা দ্বারা
শ্বাসকার্য চালায় এবং পানিতে চলাচল সহযোগী জোড়া পাখনা আছে। কনড্রিকথিস ও অসটিকথিস শ্রেণীভু ক্ত সকল
মেরুদন্ডী প্রাণি মাছ নামে অভিহিত।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
কোন শ্রেণির মেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহ সাইকোয়েড ও গ্যানয়েড বা টিনয়েড উভয় ধরনের আঁইশ দ্বারা আবৃত?
কোন শ্রেণির মেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহ সাইকোয়েড ধরনের আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে?
কোন শ্রেণির মেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহ গ্যানয়েড ধরনের আঁইশ দ্বারা আবৃত?
কোন শ্রেণির মেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহ টিনয়েড ধরনের আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে?
কোন মেরুদণ্ডী প্রাণীর মাথার দুই পাশে চার জোড়া ফু লকা থাকে?
কোন মেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহে সাইকোয়েড ও গ্যানয়েড বা টিনয়েড উভয় ধরনের আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে?
কোন মাছের দেহে সাইকোয়েড ও গ্যানয়েড বা টিনয়েড উভয় ধরনের আঁইশ দ্বারা আবৃত?
রচনামূলক প্রশ্নঃ
অসটিকথিস কী?
উত্তর: কর্ডাটা পর্বের ভার্টি ব্রাটা উপপর্বের একটি শ্রেণি। অসটিকথিস শ্রেণিভু ক্ত মাছগুলো রশ্মিময় পাখনা বিশিষ্ট মাছ
নামে পরিচিত।
মাছ কী?
উত্তরঃ মাছ হলো শীতল রক্ত বিশিষ্ট জলজ মেরুদণ্ডী প্রাণী যারা ফু লকার সাহায্যে শ্বসন সম্পন্ন করে এবং পাখনার
সাহয্যে চলাচল করে।
উভয়চর শ্রেণীর প্রাণীরা প্রথম স্থলচর চতু ষ্পদ মেরুদণ্ডী প্রাণী। এ শ্রেণীদের জীবনে দুটি পর্যায় বিদ্যমান। প্রথম পর্যায়
থাকে লার্ভা অবস্থায়। এ সময় এরা সাধারণত পানিতে বসবাস করে এবং ফু লকা দ্বারা শ্বাসকার্য চালায়। দ্বিতীয় পর্যায় বা
পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় এরা ডাঙ্গায় বাস করে এবং এ সময় ফু সফু স দ্বারা শ্বাসকার্য চালায়। প্রকৃ তপক্ষে এরা পূর্ণাঙ্গ অবস্থায়
স্থলজ পরিবেশে বসবাস করে কিন্তু প্রজননকালে অর্থাৎ ডিম পাড়ার সময় এরা পানিতে অবস্থান করে। এদের ডিম ও
লার্ভা পানি ছাড়া বাঁচে না। জীবন চক্রের দুটি পর্যায়ে দুটি ভিন্ন পরিবেশে (স্থলজ ও জলজ পরিবেশ) বসবাস করে বলে
এদেরকে উভচর প্রাণী বলা হয়। অর্থাৎ, যেসব মরুদণ্ডী প্রাণী জল ও স্থল উভয় স্থানে বাস করে তাদের উভচর প্রাণী
বলে।
উভয়চর প্রাণীর অর্থনৈতিক গুরুত্বঃ ব্যাঙ একটি উপকারী প্রাণি। পরিবেশ সংরক্ষণে এরা গুরুত্বপূর্ণ ভূ মিকা পালন
করে। ব্যাঙ ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ খাদ্য হিসেবে গ্রহণের দ্বারা ফসলের উপকার করে থাকে। কু নোব্যাঙ মশাকে খাদ্য হিসেবে
গ্রহণ করে। সোনা ব্যাঙের পা বিদেশে খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাই পরিকল্পিত উপায়ে সোনা ব্যাঙ চাষ করে বিদেশে
রপ্তানি সম্ভব।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
মেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে যারা জীবনের প্রথম অবস্থায় সাধারণত পানিতে এবং পরিণত বয়সে ডাঙ্গায় বাস করে তাদের কী
বলে?
কোন শ্রেণীর মেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে যারা জীবনের প্রথম অবস্থায় সাধারণত পানিতে বসবাস করে।
কোন শ্রেণীর মেরুদন্ডী প্রাণী জীবন দশার প্রথমে ফু লকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়?
কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণী মাছের মতো ফু লকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়?
ত্বক নরম, পাতলা, ভেজা ও গ্রন্থিযুক্ত কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য?
জীবনচক্রে সাধারণত ব্যাঙাচি দশা দেখা যায় কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীর?
কোন মেরুদন্ডী প্রাণী জীবন দশার প্রথমে ফু লকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়?
কোন জীবন দশার প্রথমে মেরুদন্ডী প্রাণী মাছের মতো ফু লকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়?
রচনামূলক প্রশ্নঃ
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
রচনামূলক প্রশ্নঃ
পক্ষীকু ল শ্রেণীভু ক্ত প্রাণীদের পাখি বলা হয়। মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে একমাত্র পাখিরা পালক দ্বারা আবৃত। এদের
উড়ার সুবিধার্থে দেহকে হালকা করতে এবং শ্বসনে অতিরিক্ত অক্সিজেন সরবরাহের মাধ্যমে দেহে শক্তি তৈরির জন্য
দেহের ভিতরে ফু সফু সের সাথে বায়ুথলি থাকে। পাখি উষ্ণরক্ত বিশিষ্ট প্রাণি অর্থাৎ পরিবেশের তাপমাত্রার সাথে এদের
দেহের তাপমাত্রা পরিবর্তি ত হয় না।
পাখি বিভিন্ন পরিবেশে বাস করতে পারে। বেশ কিছু পাখি পানিতে বাস করে, যেমন- বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস। অধিকাংশ
পাখি উড়তে পারে। যেমন- টিয়া, বক, চড়াই, শকু ন, পেঁচা, দোয়েল, ঘুঘু, কাক, শালিক ইত্যাদি। তবে কোনো কোনো
পাখি উড়তে পারে না, যেমন- মুরগি, উট পাখি, কিউই, ময়ূর ইত্যাদি। এদের পা সুগঠিত এজন্য এরা ভালোভাবে
দৌড়াতে পারে। এদেরকে দৌড়বাজ পাখি বলা হয়।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীদের দুটি ডানা, দুটি পা ও দুটি চক্ষু থাকে?
রচনামূলক প্রশ্নঃ
যেসব মেরুদণ্ডী প্রাণী সন্তান প্রসব করে এবং সন্তানরা শিশুকালে মায়ের দুধ পান করে থাকে তাদেরকে স্তন্যপায়ী প্রাণী
বলে। স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে রয়েছে মানুষ, বিড়াল, গরু, মহিষ, কু কু র, হাতি, ঘোড়া, বাঘ, ভাল্লুক, বানর, বেজি, নীল
তিমি, সজারু, ইঁদুর, হরিণ ইত্যাদি।
এ শ্রেণীর প্রাণিরা বিবর্ত নের দিক থেকে সর্বোৎকৃ ষ্ঠ এবং সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। মস্তিষ্কের উন্নত বৈশিষ্ট্যের কারণে এরা সমস্ত
পৃথিবীব্যাপী আধিপত্য বিস্তার লাভ করে আছে। এ শ্রেণীর প্রাণিদের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এদের দেহ লোম দ্বারা
আবৃত এবং স্তনগ্রন্থি উপস্থিত। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া এরা সকলেই সন্তান প্রসব করে এবং স্তনদান করে।
অধিকাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণিরা বাচ্চা প্রসব করে। অস্ট্রেলিয়াতে বসবাসকারী এক ধরনের প্রাণি বাচ্চার পরিবর্তে ডিম পাড়ে।
তবে ডিম থেকে সৃষ্ট বাচ্চা মাতৃ দুগ্ধ পান করে। যেমন- প্লাটিপাস। স্তন্যপায়ীদের মধ্যে আরও একটি গোষ্ঠি আছে যাদেরকে
মারসপিয়াল বলা হয়। এদের স্ত্রী প্রাণিদের উদরে মারসুপিয়াম নামক একটি থলি থাকে। এ থলির মধ্যে স্তনগ্রন্থি থাকে।
বাচ্চা অপরিণত অবস্থায় জরায়ু থেকে বের হয়ে মারসুপিয়ামে অবস্থান করে এবং স্তনগ্রন্থি মুখ দিয়ে ধরে রাখে। যেমন-
ক্যাঙ্গারু, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকায় এরা বাস করে।
স্তন্যপায়ী প্রাণিদের মধ্যে মানুষ সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর। মানুষ বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণিকে গৃহপালিত প্রাণি হিসেবে পালন করে।
যেমন- গরু, মহিষ, উট, ঘোড়া, ভেড়া, কু কু র ইত্যাদি। আমিষের উৎস ও চামড়া সরবরাহের জন্য স্তন্যপায়ীর ভূ মিকা
অতু লনীয়। স্তন্যপায়ীদের মধ্যে ইঁদুর মানুষের প্রধান শত্রু। এরা ফসল নষ্ট করে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতিসাধন করে থাকে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
কোন শ্রেণীর মেরুদণ্ডী প্রাণীর শিশুরা মাতৃ দুগ্ধ পান করে বড় হয়?
কোন মেরুদণ্ডী প্রাণীর ডিম থেকে সৃষ্ট বাচ্চা মাতৃ দুগ্ধ পান করে?
ভার্টি ব্রাটা উপপর্বের কোন শ্রেণির প্রাণীদের হৃৎপিণ্ড চার প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট?
রচনামূলক প্রশ্ন: