Download as docx, pdf, or txt
Download as docx, pdf, or txt
You are on page 1of 95

ভূ মিকাঃ

পাঠ সম্পর্কি ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি:


• অ্যামিবা একটি আণুবীক্ষণিক প্রাণী।
• তিমি একটি বিশাল আকারের প্রাণী।
• প্রাণীর বিভিন্নতা নির্ভ র করে পরিবেশের বৈচিত্র্যের উপর।
• ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশ ও বাসস্থানে প্রাণিবৈচিত্র্য ভিন্ন রকম হয়।
• সহজে সুশৃখলভাবে বিশাল প্রাণিজগৎকে জানার জন্য  বিন্যস্তকরণ প্রয়োজন।
• প্রাণিজগৎকে বিন্যস্ত করার পদ্ধতিকে শ্রেণিবিন্যাস বলে।
• শ্রেণিবিন্যাস প্রাণিজগৎকে জানার পথ সহজ করে দিয়েছে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
১. অ্যামিবা কি ধরনের প্রাণী?

২. একটি আণুবীক্ষণিক প্রানীর নাম লিখ।

৩. প্রাণীর বিভিন্নতা কিসের উপর নির্ভ র করে?

৪. প্রাণীর শ্রেণিবিন্যাস কেন প্রয়োজন?

৫. প্রাণিজগৎকে জানার পথ সহজ করে দিয়েছে কে?

পাঠ-১: প্রাণীর শ্রেণিবিন্যাস


পাঠ সম্পর্কি ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি:

• সিলিয়া, পা, উপাঙ্গ, সিটা(অ্যানেলিডা), নিডোব্লাস্ট (নিডারিয়া), নালিপদ (একাইনোডার্মাটা) ইত্যাদি চলন অঙ্গ।
• স্পঞ্জিলা চলন শক্তিহীন প্রাণী।
• পৃথিবীতে প্রায় ১৫ লক্ষ প্রজাতির প্রাণী আবিষ্কৃ কত হয়েছে।
• বিপুল সংখ্যক প্রাণীর গঠন ও প্রকৃ তি সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জ নের সহজ উপার হলো শ্রেণিবিন্যাস।
• প্রাণিজগতের শ্রেণিবিন্যাস এর ভিত্তি হলো—
              i. প্রাণিদেহে বিদ্যমান বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য।
             ii. বিভিন্ন প্রাণীর পারস্পরিক সম্পর্ক ।
            iii. বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যকার মিল-অমিল।
• প্রাণীর বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিভিন্ন স্তর বা ধাপে সাজানো হয়।
• জীবজগৎকে ধাপে ধাপে বিন্যস্ত করার এই পদ্ধতিকে শ্রেণিবিন্যাস বলে।
• প্রয়োজনের তাগিদে বর্ত মানে জীববিজ্ঞানের একটি স্বতন্ত্র  শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা (Taxonomy/ ট্যাক্সোনমি) শাখা গড়ে
উঠেছে।
• প্রজাতি হলো শ্রেণিবিন্যাসের সবচেয়ে নিচের ধাপ বা একক।
• মানুষ, কু নোব্যাঙ, কবুতর ইত্যাদি এক একটি প্রজাতি।
• কোনো প্রাণীর শ্রেণিবিন্যাস করতে হলে সেই প্রাণীকে বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ধাপে ধাপে সাজাতে হয়।
• শ্রেণিবিন্যাসের সকল ধাপের প্রত্যেকটিকে যথাযথভাবে বিন্যস্ত করতে হয়।
• শ্রেণিবিন্যাসের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য নাম হলো-
                      i.  অ্যারিস্টটল
                      ii. জন রে
                     iii. ক্যারোলাস লিনিয়াস।
• শ্রেণিবিন্যাসের জনক বলা হয় প্রকৃ তিবিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াসকে।
• সর্বপ্রথম প্রজাতির বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করেন-  প্রকৃ তিবিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস।
• প্রকৃ তিবিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস দ্বিপদ বা দুই অংশ বিশিষ্ট নামকরণ প্রথা প্রবর্ত ন করেন।
• দ্বিপদ নামকরণ বা বৈজ্ঞানিক নামকরণের জনক বলা হয়  প্রকৃ তিবিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াসকে।
• বৈজ্ঞানিক নাম /দ্বিপদ নামকরণ ল্যাটিন অথবা ইংরেজি ভাষায় লিখতে হয়।
• মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম - Homo sapien. (হোমো স্যাপিয়েন্স)
• ICZN পূর্ণরূপ হলো International Commission on Zoological Nomenclature (ইন্টারন্যাশনাল কমিশন
অন জুওলজিক্যাল নোমেনক্লেচার) এটি হলো প্রাণীদের নামকরণ করার ও স্বীকৃ তি দানের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান।
• বৈজ্ঞানিক নাম / শ্রেণিবিন্যাস লেখার নিয়ম:
১। প্রতিটি প্রাণীর একটিমাত্র বৈজ্ঞানিক নাম থাকবে।
২। প্রাণীর দ্বিপদ নামের দুটি অংশ থাকবে। দ্বিপদ নামের প্রথম অংশ গন এবং দ্বিতীয় অংশ প্রজাতি নির্দে শক।
৩। বৈজ্ঞানিক নামটি অবশ্যই ইংরেজি বা ল্যাটিন ভাষায় হতে হবে অথবা ল্যাটিন ভাষায় রূপান্তরিত শব্দ দ্বারা গঠিত
হতে হবে।
৪। গণ নাম প্রথম অক্ষর বড় হরফে হবে। প্রজাতি নামের প্রথম অক্ষর ছোট হরফে হবে।
৫। বৈজ্ঞানিক নাম লেখার সময় গণ নাম আগে বসবে এবং প্রজাতি নাম গণ নামের পরে বসবে।
৬। বৈজ্ঞানিক নাম ছাপানো হলে ইটালিক ফর্মে অর্থাৎ ডান দিকে বাঁকানো হবে। এ নাম হাতে লিখলে ইংরেজি অক্ষর
ব্যবহার করে গণ ও প্রজাতি অংশের নিচে আলাদাভাবে দাগ টানতে হবে।
৭। অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের ক্ষেত্রে ইংরেজিতে Kingdom, Phylum, Class, Order, Famil, Genus এবং Species
অথবা বাংলায় পর্ব, শ্রেণী, বর্গ, গোত্র, গণ ও প্রজাতি এই ছয়টা ধাপ লিখলেই চলবে। কিন্তু মানুষ, ব্যাঙ, সাপ, মাছ
ইত্যাদি সকল মেরুদণ্ডী প্রাণীর ক্ষেত্রে Phylum বা পর্বের নিচে Sub phylum বা উপপর্ব Vertebrata ধাপটা লেখা
উচিত। উদাহরণস্বরূপ মানুষ শ্রেণীবিন্যাস দেওয়া হল:

মানুষের শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ (Kingdom) : Animalia (অ্যানিম্যালিয়া)

পর্ব (Phylum) : Chordata (কর্ডাটা)

উপপর্ব (Sub phylum) : Vertebrata (ভার্টি ব্রাটা)

শ্রেণী (Class) : Mammalia (ম্যামালিয়া)

বর্গ (Order) : Anthropoidea (অ্যা ন্‌থ্রা পয়ড্)

গোত্র (Family) : Hominidae (হোমিনিডে)

গণ (Genus) : Homo (হোমো)

প্রজাতি (Species) : Homo sapiens (হোমো স্যাপিয়েন্স।)

দোয়েল পাখির শ্রেণিগত অবস্থান দেওয়া হলো

জগৎ (Kingdom) : Animalia


পর্ব (Phylum) : Chordata

শ্রেণি (Class) : Aves

বর্গ (Order) : Passeriformes

গোত্র (Family) : Turdidae

গণ (Genus) : Copsychus

প্রজাতি (Species) : Copsychus saularis

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
অদ্যবধি কত লক্ষ প্রজাতির প্রাণী আবিষ্কৃ ত হয়েছে?
Or, পৃথিবীতে মোট কত লাখ প্রজাতির প্রাণী আবিষ্কৃ ত হয়েছে?

বিপুলসংখ্যক প্রাণীর গঠন ও প্রকৃ তি সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জ নের একমাত্র উপায় কী?

প্রাণীজগতের শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তি কী?


Or, কীসের উপর ভিত্তি করে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়?

জীবজগৎকে ধাপে ধাপে বিন্যস্ত করার পদ্ধতিকে কী বলে?

প্রয়োজনের তাগিদে বর্ত মানে জীববিজ্ঞানের কোন স্বতন্ত্র শাখা গড়ে উঠেছে?

শ্রেণিবিন্যাসের সবচেয়ে নিচের ধাপ বা এককের নাম কী?

প্রজাতির তিনটি উদাহরণ লিখ।

কোনো প্রাণীর শ্রেণিবিন্যাস করতে হলে সেই প্রাণীকে কীভাবে সাজাতে হয়?

শ্রেণিবিন্যাসের ইতিহাসে কার কার নাম উল্লেখ্যযোগ্য?

শ্রেণিবিন্যাসের জনক কে?


Or, শ্রেণিবিন্যাসের জনক বলা হয় কাকে?

ক্যারোলাস লিনিয়াস  কী ছিলেন?


Or, ক্যারোলাস লিনিয়াস পেশায় কি ছিলেন?

কোন বিজ্ঞানী সর্বপ্রথম প্রজাতির বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করেন?


Or, সর্বপ্রথম কে প্রজাতির বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করেন?
দ্বিপদ/দ্বিপদী নামকরণের প্রবর্ত ক কে?
Or, দ্বিপদ/দ্বিপদী নামকরণের বক্তা কে?
Or, বৈজ্ঞানিক নামকরণের প্রবর্ত ক কে?
Or, দ্বিপদ বা দুই অংশ বিশিষ্ট নামকরণ প্রথা কে প্রবর্ত ন করেন?

দ্বিপদ/দ্বিপদী নামকরণের অপর নাম কী?


Or, দ্বিপদ/দ্বিপদী নামকরণের আরেক নাম কী?

বৈজ্ঞানিক নামের অংশ কয়টি?  ও কী কী?


Or, একটি জীবের বৈজ্ঞানিক নাম কয়টি অংশ বা পদবিশিষ্ট হয়?
Or, কোনো প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নামে কয়টি অংশ থাকে? ও কী কী?

একটি জীবের বৈজ্ঞানিক নামের দুই অংশ বা পদবিশিষ্টকে কী বলা হয়?

প্রাণীর দ্বিপদ নামের একটি প্রজাতি হলে অপরটি কী?

মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম কী?


Or, মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম লিখ।

Homo sapiens কোন প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নাম?

মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম Homo sapiens এর  sapiens কী?

মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম Homo sapiens এর  Homo কী?

জীবের বৈজ্ঞানিক নাম কোন ভাষায় লেখা হয়?


Or, জীবের বিজ্ঞানসম্মত নাম কোন ভাষায় লিখতে হয়?
রচনামূলক প্রশ্ন?

শ্রেণিবিন্যাস কী?
শ্রেণিবিন্যাস কাকে বলে?
উত্তরঃ বিশাল জীবজগৎকে সহজে চেনা বা জানার জন্য এদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিভিন্ন স্তর বা ধাপে সাজানো হয়।
আর এই জীবজগৎকে ধাপে ধাপে বিন্যস্ত করার পদ্ধতিকে শ্রেণিবিন্যাস বলে।

শ্রেণিবিন্যাস বলতে কী বুঝ? ব্যাখ্যা কর।


উত্তর: বিপুল সংখ্যক প্রাণীর গঠন ও প্রকৃ তি সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জ নের সহজ উপায় হলো শ্রেণিবিন্যাস। তাই সহজে সু-
শৃঙ্খলভাবে বিশাল প্রাণিজগতকে জানার জন্য এর বিন্যস্তকরণ প্রয়োজন। বিশাল জীবজগৎকে সহজে চেনা বা জানার
জন্য এদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিভিন্ন স্তর বা ধাপে সাজানো হয়। আর এই জীবজগৎকে ধাপে ধাপে বিন্যস্ত করার পদ্ধতিকে
শ্রেণিবিন্যাস বলে। প্রকৃ তিবিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াসকে শ্রেণিবিন্যাসের জনক বলা হয়। বর্ত মানে প্রাণী শ্রেণিবিন্যাসে
সাতটি ধাপ ব্যবহার করা হয়। যথা-
1. রাজ্য
2. পর্ব
3. শ্রেণি
4. বর্গ
5. গোত্র
6. গণ
7. প্রজাতি

শ্রেণিবিন্যাস বিদ্যা কী?


ট্যাক্সোনমি কী?
Taxonomy কী?
উত্তর: জীব বিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের নামকরণ, সনাক্তকরণ ও শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে
ট্যাক্সোনমি বা শ্রেণিবিন্যাস বিদ্যা বলে।
শ্রেণিবিন্যাস বিদ্যা বলতে কী বুঝ? ব্যাখ্যা কর।
ট্যাক্সোনমি বলতে কী বুঝ? ব্যাখ্যা কর।
Taxonomy বলতে কী বুঝ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা বলতে জীববিজ্ঞানের সেই স্বতন্ত্র শাখাকে বোঝায় যেখানে জীবজগৎকে ধাপে ধাপে বিন্যাস
করার পদ্ধতি আলোচিত হয়। বিপুল সংখ্যক প্রাণীর গঠন ও প্রকৃ তি সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জ নের সহজ উপায় হলো
শ্রেণিবিন্যাস। প্রাণিদেহে বিদ্যমান বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে মিল, অমিল ও পরস্পরের মধ্যে যে সম্পর্ক
রয়েছে তার উপর ভিত্তি করে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। এদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিভিন্ন স্তর বা ধাপে সাজানো হয়। এরই নাম
শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা।

ক্যারোলাস লিনিয়াসকে শ্রেণিবিন্যাসের জনক বলা হয় কেন?


উত্তর: ক্যারোলাস লিনিয়াস একজন সুইডিস প্রকৃ তিবিদ ছিলেন। তিনিই সর্বপ্রথম প্রজাতির বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করেন এবং
দ্বিপদ বা দুই অংশবিশিষ্ট নামকরণ প্রথা প্রবর্ত ন করেন। এ জন্য ক্যারোলাস লিনিয়াসকে শ্রেণিবিন্যাসের জনক বলা হয়।

দ্বিপদী নামকরণ কী?


দ্বিপদী নামকরণ কাকে বলে?
বৈজ্ঞানিক নামকরণ কী?
বৈজ্ঞানিক নামকরণ কাকে বলে?
উত্তর: ICZN এর নীতিমালা অনুসারে প্রথমে গণ এবং পরে প্রজাতিক পদ যুক্ত করে দুই পদের সমন্বয়ে কোনো জীবের
নামকরণ করার পদ্ধতিকে দ্বিপদী নামকরণ বা বৈজ্ঞানিক নামকরণ বলে।

দ্বিপদ নামকরণ বলতে কী বুঝয়? ব্যাখ্যা কর।


বৈজ্ঞানিক নাম বলতে কী বুঝ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ICZN এর নীতিমালা অনুসারে প্রথমে গণ এবং পরে প্রজাতিক পদ যুক্ত করে দুই পদের সমন্বয়ে কোনো জীবের
নামকরণ করার পদ্ধতিকে দ্বিপদী নামকরণ বা বৈজ্ঞানিক নামকরণ বলে। প্রকৃ তিবিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াসকে দ্বিপদী
নামকরণের জনক বলা হয়। জীবের প্রজাতির বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করে এ নামকরণ করা হয়। বৈজ্ঞানিক নাম ল্যাটিন অথবা
ইংরেজি ভাষায় লিখতে হয়। যেমন-মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম- Homo sapiens. এখানে Homo হলো গণ আর sapiens
হলো প্রজাতি পদ।

প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নাম দ্বিপদ বিশিষ্ট হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।


উত্তর: কোনো জীবের গণ ও প্রজাতি অংশের নামের সমন্বয় করে করা নামকরণই হলো বৈজ্ঞানিক নামকরণ। ICZN এর
নীতিমালা অনুযায়ী প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নামকরণে গণ ও প্রজাতি দুটি পদ ব্যবহার করা হয় জীবটিকে বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী
সূক্ষ্মভাবে চিনতে। কেননা একই গণভু ক্ত জীব অনেক সময় একই প্রজাতিভু ক্ত নাও হতে পারে। অর্থাৎ, কোনো একটি
প্রাণীকে চিহ্নিত করার জন্য বৈজ্ঞানিক নাম দুই পদ বিশিষ্ট হয় ।

প্রজাতি কী?
প্রজাতি বলতে কী বুঝয়?
উত্তর: প্রজাতি হলো শ্রেণিবিন্যাসের সবচেয়ে নিচের / সর্বনিম্ন ধাপ বা একক।
প্রজাতি বলতে বোঝায় এমন এক প্রাকৃ তিক জনগোষ্ঠী, যার অন্তর্ভু ক্ত জীবগুলো নিজেদের মধ্যে আন্তঃপ্রজননে সক্ষম
কিন্তু অন্য জীবগোষ্ঠী হতে জননসূত্রে বিচ্ছিন্ন এবং আপন বৈশিষ্ট্যে স্বতন্ত্র ।

ICZN কী?
ICZN এর পূর্ণররূপ কী?
ICZN এর পুরো নাম লিখ।
উত্তর: ICZN পূর্ণরূপ হলো International Commission on Zoological Nomenclature. এটি হলো প্রাণীদের
নামকরণ করার ও স্বীকৃ তি দানের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান।

বৈজ্ঞানিক নাম/দ্বিপদ নামকরণে ৬টি নিয়ম লিখ।


উত্তর: বৈজ্ঞানিক নাম/দ্বিপদ নামকরণে ৬টি নিয়ম নিচে উল্লেখ করা হলো:
১। প্রতিটি প্রাণীর একটিমাত্র বৈজ্ঞানিক নাম থাকবে।
২। প্রাণীর দ্বিপদ নামের দুটি অংশ থাকবে। দ্বিপদ নামের প্রথম অংশ গন এবং দ্বিতীয় অংশ প্রজাতি নির্দে শ করে।
৩। বৈজ্ঞানিক নামটি অবশ্যই ইংরেজি বা ল্যাটিন ভাষায় হতে হবে অথবা ল্যাটিন ভাষায় রূপান্তরিত শব্দ দ্বারা গঠিত
হতে হবে।
৪। গণ নাম প্রথম অক্ষর বড় হরফে হবে। প্রজাতি নামের প্রথম অক্ষর ছোট হরফে হবে।
৫। বৈজ্ঞানিক নাম লেখার সময় গণ নাম আগে বসবে এবং প্রজাতি নাম গণ নামের পরে বসবে।
৬। বৈজ্ঞানিক নাম ছাপানো হলে ইটালিক ফর্মে অর্থাৎ ডান দিকে বাঁকানো হবে। এ নাম হাতে লিখলে ইংরেজি অক্ষর
ব্যবহার করে গণ ও প্রজাতি অংশের নিচে আলাদাভাবে দাগ টানতে হবে।

পাঠ-৯: শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজনীয়তাঃ

পাঠ সম্পর্কি ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি:


 একটি প্রাণীকে শনাক্ত করতে হলে প্রধানত সাতটি ধাপে এর বৈশিষ্ট্যগুলো মিলিয়ে নিতে হয়।
 শ্রেণিবিন্যাসের ৭টি ধাপগুলো হলো:
i. জগৎ বা রাজ্য (Kingdom/কিংডম)
ii. পর্ব (Phylum/ফাইলাম)
iii. শ্রেণি (Class/ক্লাস)
iv. বৰ্গ (Order/অর্ডার)
v. গোত্র (Family/ফ্যামেলি)
vi. গণ (Genus/জেনাস) ও
vii. প্রজাতি (Species/স্পেসিস)
 অনেক সময় পর্বকে উপপর্ব বা Sub Phylum এ ভাগ করা হয়। যেমন- মানুষ, ব্যাঙ, সাপ, মাছ ইত্যাদি সকল
মেরুদণ্ডী প্রাণীর ক্ষেত্রে Phylum বা পর্বের নিচে Sub phylum বা উপপর্ব Vertebrata ধাপটা লেখা হয়।
 শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজনীতা:
i. শ্রেণিবিন্যাসের সাহায্যে বিজ্ঞানসম্মত উপারে সহজে, অল্প পরিশ্রমে ও অল্প সময়ে পৃথিবীর সকল
উদ্ভিদ এবং প্রাণী সম্বন্ধে জানা যায়।
ii. নতু ন প্রজাতি শনাক্ত করতে শ্রেণিবিন্যাস অপরিহার্য।
iii. প্রাণিকূ লের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কে র বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত পাওয়া যায়।
iv. ধীরে ধীরে প্রাণিকূ লের মাঝে যে পরিবর্ত ন ঘটেছে বা ঘটছে সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
v. অসংখ্য প্রাণিকূ লকে একটি নির্দি ষ্ট রীতিতে বিন্যস্ত করে গোষ্ঠীভূ ক্ত করা যায়।
vi. প্রাণীর মধ্যে মিল-অমিলের ভিত্তিতে পরস্পরের মধ্যে সম্বন্ধ অর্জ ন করা যায়।
vii. প্রাণী সম্পর্কে সামগ্রিক ও পরিকল্পিত জ্ঞান অর্জ ন করা যায়। যেমন-সব এককোষী প্রাণীকে একটি
পর্বে এবং বহুকোষী প্রাণীদের নয়টি পর্বে ভাগ করা হয়।
 প্রাণী শ্রেনীবিন্যাসের উদ্দেশ্য  হলোঃ
i. বিভিন্ন প্রাণীদের গোষ্ঠীভূ ক্ত করা।
ii. পরস্পদের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করা।
iii. নতু ন প্রজাতি শনাক্ত করা।
 শ্রেণীবিন্যাস সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
কোন একটি প্রাণীকে শনাক্ত করতে হলে প্রধানত কয়টি ধাপে বৈশিষ্ট্য মিলিয়ে নিতে হয়?

প্রাণীজগতের শ্রেণিবিন্যাসের ধাপ কয়টি ও কী কী?

প্রাণীজগৎ কি নামে পরিচিত?


Or, প্রাণীজগৎ শ্রেণিবিন্যাসের বিদ্যার ভাষার কী বলা হয়?

শ্রেণিবিন্যাসের সর্বোচ্চ একক কী?


Or, প্রাণী শ্রেণিবিন্যাসের প্রথম ধাপ কী?

প্রাণী শ্রেণিবিন্যাসের ধাপ 'জগৎ' এর ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?

প্রাণী শ্রেণিবিন্যাসের ধাপ 'পর্ব' এর ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?


প্রাণী শ্রেণিবিন্যাসের ধাপ 'শ্রেণী' এর ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?

প্রাণী শ্রেণিবিন্যাসের ধাপ 'গোত্র ' এর ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?

প্রাণী শ্রেণিবিন্যাসের ধাপ 'গণ ' এর ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?

প্রাণী শ্রেণিবিন্যাসের ধাপ 'প্রজাতি' এর ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?

মেরুদন্ডী প্রাণীর শ্রেণিবিন্যাসে ৭টি ধাপ ছাড়াও অপর কোন বিষয়টি উল্লেখ করতে হয়?

প্রাণী শ্রেণিবিন্যাসের ধাপ 'উপপর্ব' এর ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?

শ্রেণিবিন্যাসের সাহায্যে কিভাবে পৃথিবীর সকল উদ্ভিদ ও প্রানী সম্পর্কে জানা যায়?

নতু ন প্রজাতির প্রাণী শনাক্তকরণের জন্য কিসের অপরিহার্য?

শ্রেনিবিন্যাসের সাহায্যে প্রাণীকু লের মধ্যে কোন সম্পর্কে তথ্য ও উপাত্ত পাওয়া যায়?

শ্রেনিবিন্যাসের সাহায্যে কোন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়?

সকল এককোষী প্রাণীদের কয়টি পর্বে ভাগ করা যায়?

সকল বহুকোষী প্রাণীদের কয়টি পর্বে ভাগ করা যায়?

প্রাণী শ্রেনীবিন্যাসের উদ্দেশ্য কী?

শ্রেণীবিন্যাস কিসের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়?

রচনামূলক প্রশ্ন

কিংডম কী?
উত্তরঃ প্রাণিজগৎকে কিংডম বলে।

শ্রেণিবিন্যাসের ধাপের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।


উত্তর: শ্রেণিবিন্যাস করতে হলে জীবের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সকল ধাপের প্রত্যেকটিকে যথাযথভাবে বিন্যস্ত করতে হয়।
প্রথম ধাপ থেকে শুরু করে নিচের ধাপ পর্যন্ত সাজাতে হয়। কারণ প্রতিটি ধাপে জীবের অবস্থান অনুযায়ী তার পূর্ণাঙ্গ
পরিচিত পাওয়া যায়। অর্থাৎ শ্রেণিবিন্যাসে প্রতিটি ধাপের গুরুত্ব অপরিসীম।

শ্রেণিবিন্যাস কেন  প্রয়োজন?


Or,  প্রাণীর শ্রেণিবিন্যাস কেন  প্রয়োজন?
Or,  শ্রেণিবিন্যাসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
Or,  শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
Or, প্রাণীজগতের শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
Or, জীবজগতে শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা  ব্যাখ্যা কর।
Or, শ্রেণিবিন্যাসের উদ্দেশ্য কী বুঝিয়ে লিখ।
উত্তর: শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজনীতা নিচে উল্লেখ করা হলো:
 শ্রেণিবিন্যাসের সাহায্যে বিজ্ঞানসম্মত উপারে সহজে, অল্প পরিশ্রমে ও অল্প সময়ে পৃথিবীর সকল উদ্ভিদ এবং
প্রাণী সম্বন্ধে জানা যায়।
 নতু ন প্রজাতি শনাক্ত করতে শ্রেণিবিন্যাস অপরিহার্য।
 প্রাণিকূ লের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কে র বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত পাওয়া যায়।
 ধীরে ধীরে প্রাণিকূ লের মাঝে যে পরিবর্ত ন ঘটেছে বা ঘটছে সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
 অসংখ্য প্রাণিকূ লকে একটি নির্দি ষ্ট রীতিতে বিন্যস্ত করে গোষ্ঠীভূ ক্ত করা যায়।
 প্রাণীর মধ্যে মিল-অমিলের ভিত্তিতে পরস্পরের মধ্যে সম্বন্ধ অর্জ ন করা যায়।
 প্রাণী সম্পর্কে সামগ্রিক ও পরিকল্পিত জ্ঞান অর্জ ন করা যায়। যেমন-সব এককোষী প্রাণীকে একটি পর্বে এবং
বহুকোষী প্রাণীদের নয়টি পর্বে ভাগ করা হয়।
জীবজগতের সমস্ত প্রাণীকু লকে জানতে হলে শ্রেণীবিন্যাসের প্রয়োজন রয়েছে। -বিশ্লেষণ কর।
উত্তর: জীবজগতের সমস্ত প্রাণীকু লকে জানতে শ্রেণিবিন্যাসের অত্যন্ত প্রয়োজোনীয়। জীবজগৎকে সহজে চেনা বা
জানার জন্য এদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিভিন্ন স্তর বা ধাপে সাজানো হয়। আর এই জীবজগৎকে ধাপে ধাপে বিন্যস্ত করার
পদ্ধতিকে শ্রেণিবিন্যাস বলে।
শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজনীতা নিচে উল্লেখ করা হলো:
 শ্রেণিবিন্যাসের সাহায্যে বিজ্ঞানসম্মত উপারে সহজে, অল্প পরিশ্রমে ও অল্প সময়ে পৃথিবীর সকল উদ্ভিদ এবং
প্রাণী সম্বন্ধে জানা যায়।
 নতু ন প্রজাতি শনাক্ত করতে শ্রেণিবিন্যাস অপরিহার্য।
 প্রাণিকূ লের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কে র বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত পাওয়া যায়।
 ধীরে ধীরে প্রাণিকূ লের মাঝে যে পরিবর্ত ন ঘটেছে বা ঘটছে সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
 অসংখ্য প্রাণিকূ লকে একটি নির্দি ষ্ট রীতিতে বিন্যস্ত করে গোষ্ঠীভূ ক্ত করা যায়।
 প্রাণীর মধ্যে মিল-অমিলের ভিত্তিতে পরস্পরের মধ্যে সম্বন্ধ অর্জ ন করা যায়।
 প্রাণী সম্পর্কে সামগ্রিক ও পরিকল্পিত জ্ঞান অর্জ ন করা যায়। যেমন-সব এককোষী প্রাণীকে একটি পর্বে এবং
বহুকোষী প্রাণীদের নয়টি পর্বে ভাগ করা হয়।
এছাড়া শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমে উপকারি ও অপকারি জীব আমরা আলাদা করতে পারি এবং মানব কল্যাণে এসব
জীবকে কাজে লাগাতে পারি। এই শ্রেণিবিন্যাসের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সহজেই কোন প্রাণীকে সনাক্তকরণ
সম্ভব।

পাঠ ২-৫: অমেরুদণ্ডী প্রাণীর শ্রেণিবিন্যাস


অমেরুদণ্ডী প্রাণীঃ যেসব প্রাণীর শিরদাঁড় বা মেরুদণ্ড নেই তাদের অমেরুদণ্ডী প্রাণী বলে। যেমন— তেলাপোকা, কেঁ চো,
চিংড়ি, ঝিনুক, কাঁকড়া, মাছি ইত্যাদি।
অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের আটটি পর্ব রয়েছে। যথা-
 পরিফেরা (Porifera)
 নিডারিয়া (Cnidaria)
 প্লাটিহেলমেনথেস (Platyhelminthes)
 নেমাটোডা (Nematoda)
 অ্যানিলিডা (Animalia)
 আর্থ্রোপোডা (Arthropoda)
 মালাস্কা (Mollusca)
 একাইনোডারমাটা (Echinodermata)

পাঠ সম্পর্কি ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি:


 আধুনিক শ্রেণিবিন্যাসে সকল প্রাণী অ্যানিম্যালিয়া (Animalia) জগতের (kingdom) অন্তর্ভু ক্ত।
 এককোষী প্রাণী (যেমন- অ্যামিবা) প্রোটোজোয়া উপজগতে অন্তর্ভু ক্ত করা হয়।
 আধুনিক শ্রেণিবিন্যাসে পূর্বের প্রোটোজোয়া পর্বটি প্রোটিস্টা (Protista) জগতে একটি আলাদা উপজগৎ
(Subkingdom) হিসেবে স্থান পেয়েছে।
অর্থাৎ, জগৎ (Kingdom) : প্রোটিস্টা (Protista)
উপজগৎ (Subkingdom) : প্রোটোজোয়া

প্রোটোজোয়া প্রাণীদের আলাদা উপজগতে ভাগ করার কারণ:



এককোষী প্রোটোজোয়া প্রাণীদের মধ্যে বিভিন্নতা এত বেশি যে
এদের সদস্যদের মাত্র একটি পর্ব বিন্যস্ত করা কষ্টসাধ্য। তাই
আধুনিক শ্রেণিবিন্যাসের প্রোটোজোয়া একটি উপজগৎ এবং এতে
সাতটি পর্ব স্থান পেয়েছে।

 অ্যানিম্যালিয়া জগতের প্রাণীদের নয়টি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। এই নয়টি পর্বের প্রথম আটটি পর্বের প্রাণীরা
অমেরুদণ্ডী এবং শেষ পর্বের প্রাণীরা মেরুদণ্ডী।
 একনজরে অ্যানিম্যালিয়া জগতের শ্রেণিবিন্যাস:

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:

আধুনিক শ্রেণিবিন্যাসে সকল প্রাণী কোন জগতের অন্তর্ভু ক্ত?

আধুনিক শ্রেণিবিন্যাসের পূর্বে  প্রোটোজোয়া পর্বটি কোন জগতের আলাদা উপজগৎ হিসেবে স্থান পেয়েছে?

আধুনিক শ্রেণিবিন্যাসের পূর্বে  কোন পর্বটি প্রোটিস্টা  জগতের আলাদা উপজগৎ হিসেবে স্থান পেয়েছে?

বর্ত মানে আধুনিক শ্রেণিাবিন্যাসে কোন প্রাণিদের আলাদা উপজগৎ - ভাগ করা হয়?

কোন প্রাণীদের আলাদা উপজগতে ভাগ করা হয়েছে?

প্রোটোজোয়া কোন জগতের উপজগৎ?

এককোষী প্রাণীরা কোন জগতে অন্তর্ভু ক্ত?

প্রোটোজোয়া পর্বের একটি প্রাণীর নাম লিখ।

আধুনিক শ্রেণিবিন্যাসে কোন প্রাণীদের আলাদা উপজগৎ ভাগ করা হয়?

প্রোটোজোয়া ব্যতীত অন্যান্য প্রাণীকে কোন জগতের অন্তর্ভু ক্ত করা হয়?

প্রাণীজগতকে ইংরেজিতে কী বলা হয়?


উত্তর: প্রাণীজগতকে ইংরেজিতে অ্যানিমেলিয়া রাজ্য বা জগৎ (Animalia Kingdom) বলা হয়।
অ্যানিমিলিয়া জগৎকে কয়টি পর্বে ভাগ করা হয়েছে? ও পর্ব গুলো কী কী?

অ্যানিমিলিয়া জগতের কয়টি পর্বের প্রাণী অমেরুদণ্ডী প্রাণী? ও পর্ব গুলো কী কী?
 Or, অমেরুদণ্ডী প্রাণীর পর্ব কয়টি ও কী কী?

অ্যানিমিলিয়া জগতের কয়টি পর্বের প্রাণী মেরুদণ্ডী প্রাণী? ও কী কী?


Or, মেরুদণ্ডী প্রাণীর পর্ব কয়টি ও কী কী?

অ্যানিম্যালিয়া জগতের ৯টি পর্বের শেষ পর্বের প্রাণীরা কী ধরণের প্রাণী?

কর্ডাটা পর্বকে কয়টি উপপর্বে ভাগ করা হয়েছে?


কর্ডাটার উপপর্ব কয়টি?   

ভার্টি ব্রাটার শ্রেণি কয়টি?  

রচনামূলক প্রশ্ন

অমেরুদণ্ডী প্রাণী কাকে বলে?


উত্তর: যেসব প্রাণীর শিরদাঁড় বা মেরুদণ্ড নেই তাদের অমেরুদণ্ডী প্রাণী বলে। যেমন— তেলাপোকা, কেঁ চো, চিংড়ি,
ঝিনুক, কাঁকড়া, মাছি ইত্যাদি।

প্রোটোজোয়া প্রাণীদের আলাদা উপজগতে রাখা হয় কেন?


প্রোটোজোয়া পর্বের প্রাণীদের আলাদা উপজগতে ভাগ করা হয় কেন?
প্রোটোজোয়া প্রাণীদের আলাদা উপজগতে ভাগ করার কারণ ব্যাখ্যা কর
উত্তর: প্রোটোজোয়া প্রাণীদের আলাদা উপজগতে ভাগ করার কারণ - এককোষী প্রোটোজোয়া প্রাণীদের মধ্যে বিভিন্নতা
এত বেশি যে এদের সদস্যদের মাত্র একটি পর্ব বিন্যস্ত করা কষ্টসাধ্য। তাই আধুনিক শ্রেণিবিন্যাসের প্রোটোজোয়া একটি
উপজগৎ এবং এতে সাতটি পর্ব স্থান পেয়েছে।

প্রাণীজগতের পর্ব সমহূ লিখ।


অ্যানিম্যালিয়া জগতে পর্ব সমূহ লিখ।
উত্তর: অ্যানিম্যালিয়া জগতের প্রাণীদের নয়টি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। এই নয়টি পর্বের প্রথম আটটি পর্বের প্রাণীরা
অমেরুদণ্ডী এবং শেষ পর্বের প্রাণীরা মেরুদণ্ডী।
অ্যানিম্যালিয়া জগতের পর্ব সমূহ নিচে উল্লেখ করা হলো:
1. পরিফেরা
2. নিডারিয়া
3. প্লাটিহেলমেনথেস
4. নেমাটোডা
5. অ্যানিলিডা
6. আর্থ্রোপোডা
7. মালাস্কা
8. একাইনোডারমাটা
9. কর্ডাটা

অমেরুদণ্ডী প্রাণী জগতে পর্ব সমূহ লিখ।


উত্তর: অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের আটটি পর্ব রয়েছে। যথা-
i. পরিফেরা
ii. নিডারিয়া
iii. প্লাটিহেলমেনথেস
iv. নেমাটোডা
v. অ্যানিলিডা
vi. আর্থ্রোপোডা
vii. মালাস্কা
viii. একাইনোডারমাটা

অ্যানিম্যালিয়া জগতের শ্রেণিবিন্যাসের ব্লক ডায়াগ্রামটি লিখ।


উত্তর: অ্যানিম্যালিয়া জগতের প্রাণীদের নয়টি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। এই নয়টি পর্বের প্রথম আটটি পর্বের প্রাণীরা
অমেরুদণ্ডী এবং শেষ পর্বের প্রাণীরা মেরুদণ্ডী।
অ্যানিম্যালিয়া জগতের শ্রেণিবিন্যাসের ব্লক ডায়াগ্রামটি নিচে দেয়া হলো:
পর্ব-১: পরিফেরা (Porifera) / ছিদ্রাল প্রাণী

পরিফেরা পর্বের প্রাণীর দেহে অসংখ্য ছিদ্র থাকায় এদের ছিদ্রাল প্রাণী বলা হয়।

স্বভাব ও বাসস্থান: পরিফেরা পর্বের প্রাণীরা সাধারণভাবে স্পঞ্জ নামে পরিচিত। পৃথিবীর সর্বত্রই এদের পাওয়া যায়। এদের
অধিকাংশ প্রজাতি সামুদ্রিক। তবে কিছু কিছু প্রাণী স্বাদু পানিতে বাস করে। এরা সাধারণত দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করে।

পরিফেরা পর্বের প্রাণীর সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ:


 এরা অধিকাংশ সামুদ্রিক।
 এরা সরলতম বহুকোষী প্রাণী।
 এদের দেহপ্রাচীরে অসংখ্য ছিদ্র বা অস্টিয়া থাকে। এই ছিদ্রপথে পানির সাথে অক্সিজেন ও খাদ্যবস্তু প্রবেশ
করে।
 নালীতন্ত্রের সাহায্যে অভ্যন্তীরণ পরিবহন ঘটে।
 কোনো পৃথক সুগঠিত কলা, অঙ্গ ও তন্ত্র থাকে না।

উদারণ: স্পঞ্জিলা(Spongilla), স্কাইফা(Scypha)


সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
কোন পর্বের প্রাণীরা 'স্পঞ্জ' নামে পরিচিত?

পরিফেরা পর্বের প্রাণীরা কি নামে পরিচিত?

কোন পর্বের প্রাণীদের পৃথিবীর সর্বত্রই পাওয়া যায়?

কোন পর্বের কিছু কিছু প্রাণী স্বাদু পানিতে বাস করে?

কোন পর্বের প্রাণী সাধারণত দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করে?

কোন পর্বের প্রাণীরা সরলতম বহুকোষী?

পরিফেরা পর্বের প্রাণীরা কোন ধরনের?

কোন পর্বের প্রাণীর দেহপ্রাচীর অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত?


Or, দেহপ্রাচীর অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত কোন পর্বের প্রাণীর বৈশিষ্ট্য?

পরিফেরা পর্বের প্রাণীর দেহপ্রাচীর ছিদ্রের কাজ কী?

পরিফেরা পর্বের প্রাণীর দেহপ্রাচীরে ছিদ্রের সাহায্যে কী প্রবেশ করে?

পরিফেরা পর্বের প্রাণীদেহে কীসের সাহায্যে খাদ্য ও অক্সিজেন প্রবেশ করে?

কোন পর্বের প্রাণীদের দেহে কোনো পৃথক সুগঠিত কলা, অঙ্গ ও তন্ত্র থাকে না?

পরিফেরা পর্বের দুটি প্রাণীর নাম লিখ।


Or, পরিফেরা পর্বের দুটি উদাহরণ লিখ।

স্কাইফা(Scypha) কোন পর্বের প্রাণী?


Scypha কোন পর্বের প্রাণী?
Or, স্কাইফা কোন পর্বের অন্তর্ভু ক্ত?
Or, Scypha কোন পর্বের অন্তর্ভু ক্ত?

স্পঞ্জিলা(Spongilla) কোন পর্বের প্রাণী?


Spongilla কোন পর্বের প্রাণী?
স্পনজিলা ও স্কাইফা কোন পর্বের উদাহরণ?
Or, Spongilla ও Scypha  কোন পর্বের প্রাণী?

সরলতম বহুকোষী ধরনের দুটি প্রাণীর নাম লিখ?

স্পনজিলা ও স্কাইফা কোন ধরনের প্রাণী?


Spongilla) ও Scypha কোন ধরনের প্রাণী?

স্পনজিলা ও স্কাইফা পৌষ্টিক অঙ্গ কী?


Spongilla ও Scypha পৌষ্টিক অঙ্গ কী?

কোন প্রাণীর দেহপ্রাচীর অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত?


Or, অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত দেহপ্রাচীর বিশিষ্ট কোন প্রাণী?

কোনটির সাহায্যে  স্পনজিলা ও স্কাইফা দেহে খাদ্য ও অক্সিজেন প্রবেশ করে?


কোনটির সাহায্যে Spongilla ও Scypha দেহে খাদ্য ও অক্সিজেন প্রবেশ করে?

সুগঠিত কলা, অঙ্গ ও তন্ত্র নেই কোন প্রাণীর?

রচনামূলক প্রশ্ন

স্পঞ্জ কী?
উত্তর: অ্যানিম্যালিয়া জগতে পরিফেরা পর্বের প্রাণীদের স্পঞ্জ বলা হয়।

পরিফেরা স্পঞ্জ নামে পরিচিত কেন?


পরিফেরা পর্বের প্রাণীদের স্পঞ্জ বলা হয় কেন?
উত্তর: বহুকোষী প্রাণীদের মধ্যে পরিফেরা পর্বের প্রাণীরা সরলতম প্রকৃ তির। এদের দেহপ্রাচীর অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত। এই
ছিদ্রপথে পানির সঙ্গে অক্সিজেন ও খাদ্যবস্তু প্রবেশ করে। এদের কোনো পৃথক সুগঠিত কলা, অঙ্গ ও তন্ত্র থাকে না। এ
জন্য পরিফেরা স্পঞ্জ নামে পরিচিত।

স্পনজিলা কে স্পঞ্জ বলা হয় কেন?


Spongilla কে স্পঞ্জ বলা হয় কেন?
স্কাইফা কে স্পঞ্জ বলা হয় কেন?
Scypha কে স্পঞ্জ বলা হয় কেন?
উত্তর; স্কাইফা পরিফেরা পর্বের প্রাণী। এই পর্বের প্রাণীদের দেহপ্রাচীর অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত। এদের দেহের ছিদ্রপথে পানির
সঙ্গে অক্সিজেন ও খাদ্যবস্তু প্রবেশ করে, যা স্পঞ্জের  মতো কাজ করে। তাই এরা স্পঞ্জ নামে পরিচিত।

পরিফেরা পর্বের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।


উত্তর: পরিফেরা পর্বের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য সমূহ নিচে উল্লেখ করা হলো:
 এরা অধিকাংশ সামুদ্রিক।
 এরা সরলতম বহুকোষী প্রাণী।
 এদের দেহপ্রাচীরে অসংখ্য ছিদ্র বা অস্টিয়া থাকে। এই ছিদ্রপথে পানির সাথে অক্সিজেন ও খাদ্যবস্তু প্রবেশ
করে।
 নালীতন্ত্রের সাহায্যে অভ্যন্তীরণ পরিবহন ঘটে।
 কোনো পৃথক সুগঠিত কলা, অঙ্গ ও তন্ত্র থাকে না।

পরিফেরা পর্বের প্রাণীদের স্বাভাব ও বাসস্থান ব্যাখ্যা কর।


পরিফেরা পর্বের প্রাণীর বাসস্থান বর্ণনা কর।
উত্তর: পরিফেরা পর্বের প্রাণীরা সাধারণভাবে স্পঞ্জ নামে পরিচিত। পৃথিবীর সর্বত্রই এদের পাওয়া যায়। এদের অধিকাংশ
প্রজাতি সামুদ্রিক। তবে কিছু কিছু প্রাণী স্বাদু পানিতে বাস করে। এরা সাধারণত দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করে।

স্পনজিলা পরিফেরা পর্বের অন্তর্ভু ক্ত কেন?


Spongilla পরিফেরা পর্বের অন্তর্ভু ক্ত কেন?
স্কাইফা পরিফেরা পর্বের অন্তর্ভু ক্ত কেন?
Scypha পরিফেরা পর্বের অন্তর্ভু ক্ত কেন?
উত্তর : স্কাইফা পরিফেরা পর্বের প্রাণী। স্কাইফা দেহ সরলতম প্রকৃ তির। এদের দেহপ্রাচীর অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত। এদের দেহের
ছিদ্রপথে পানির সঙ্গে অক্সিজেন ও খাদ্যবস্তু প্রবেশ করে, যা স্পঞ্জের  মতো কাজ করে। এরা নালীতন্ত্রের সাহায্যে
অভ্যন্তীরণ পরিবহন ঘটে। এছাড়া এদের কোনো পৃথক সুগঠিত কলা, অঙ্গ ও তন্ত্র থাকে না। স্কাইফার দৈহিক বৈশিষ্ট্য
পরিফেরা পর্বের প্রাণীদের সাধারণ বৈশিষ্ট্যের অনুরূপ। তাই স্কাইফা পরিফেরা পর্বের অন্তর্ভু ক্ত।
পর্ব-২: নিডারিয়া বা ফাঁপা দেহ বিশিষ্ট প্রাণী

নিডারিয়ার পর্ব ইতোপূর্বে  সিলেন্টারেটা নামে পরিচিত ছিল।


প্রবাল ও প্রবাল গঠনকারীরা এ পর্বের সদস্য তাই এদের সমুদ্রের ফু ল /সাগরের সৌন্দর্য বলা হয়।

স্বভাব ও বাসস্থান: পৃথিবীর প্রায় সকল অঞ্চলে এই পর্বের প্রাণী দেখা যায়। এদের অধিকাংশ প্রজাতি সামুদ্রিক। তবে
অনেক প্রজাতি খাল, বিল, নদী, হ্রদ, ঝরনা ইত্যাদিতে দেখা যায়। এই পর্বের প্রাণীগুলো বিচিত্র বর্ণ ও আকার-আকৃ তির
হয়। এদের সাগরের সৌন্দর্য বলা হয়। এরা সাধারণত পানিতে ভাসমান কাঠ, পাতা বা অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে দেহকে
আটকে রেখে বা মুক্তভাবে সাঁতার কাটে। এদের কিছু প্রজাতি এককভাবে আবার কিছু প্রতি দলবদ্ধ ভাবে কলোনি গঠন

করে বাস করে। যথা: হাইড্রা (Hydra), জেলি ফিস এবং সামুদ্রিক প্রবাল (Corals)।
নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ:

 এরা অধিকাংশ সামুদ্রিক।


 এরা দ্বি ভ্রূণস্তরী প্রাণী, দেহ এক্টোডার্ম এবং এন্ডোডার্ম নামে দুটি ভ্রূণীয় কোষস্তর নিয়ে গঠিত। এই দুই স্তরের
মধ্যে অকোষীয় মেসোগ্লিয়া থাকে।
 সিলেন্টেরন বা গ্যাসট্রোভাসকু লার গহ্বর নামক দেহ গহ্বর একাধারে পরিপাক এবং সংবহনে অংশ নেয় ।
 এক্টোডার্ম বৈশিষ্ট্যপূর্ণ নিডোব্লাস্ট কোষ থাকে। এই কোষগুলো শিকার, আত্মারক্ষা ও চলন ইত্যাদি কাজে অংশ
নেয়।

উদাহরণ: হাইড্রা(Hydra), ওবেলিয়া(Obella) ও জেলিফিশ প্রভৃ তি।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
নিডারিয়া(Cnidaria) পর্ব ইতোপূর্বে কী নামে পরিচিত ছিল?
নিডারিয়া(Cnidaria) পর্বের আদি নাম কী?

ইতোপূর্বে সিলেন্টারেটা নামে পরিচিত ছিল কোন পর্ব?

কোন পর্বের প্রাণীদের পৃথিবীর প্রায় সকল অঞ্চলে দেখা যায়?

কোন পর্বের প্রাণী অধিকাংশ প্রজাতি সামুদ্রিক?


উত্তর: পরিফেরা ও নিডারিয়া।

কোন পর্বের অনেক প্রজাতি খাল, বিল, নদী, হ্রদ, ঝরনা ইত্যাদিতে দেখা যায়?

কোন পর্বের প্রাণীগুলো বিচিত্র বর্ণ ও আকার - আকৃ তির হয়? 

কোন পর্বের কিছু প্রজাতি এককভাবে আবার কিছু প্রজাতি দলবদ্ধভাবে কলোনি গঠন করে বাস করে?

কোন পর্বের কিছু প্রজাতি এককভাবে কলোনি গঠন করে বাস করে?

কোন পর্বের কিছু প্রজাতি দলবদ্ধভাবে কলোনি গঠন করে বাস করে?

কোন পর্বের প্রাণীরা সাধারণত পানিতে ভাসমান কাঠ, পাতা বা অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে দেহকে আটকে রেখে বা
মুক্তভাবে সাঁতার কাটে?

কোন পর্বের প্রাণীর দেহ দ্বিস্তর কোষ বিশিষ্ট?

নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের দেহ কয়টি ভ্রূণীয় কোষস্তর দ্বারা গঠিত?


নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের দেহের বাইরের দিকের স্তরটির নাম কী?

নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের দেহের ভিতরের স্তরটির নাম কী?

নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের দেহ গহ্বরকে কী বলে?

প্রাচীর দিয়ে ঘেরা দেহগহ্বরকে কী বলে?

সিলন্টারেটা কোন পর্বের প্রাণীর বৈশিষ্ট্য?


সিলেন্টেরন কোন পর্বের বৈশিষ্ট্য?

সিলেন্টেরন কী করে?
সিলেন্টেরনের কাজ কী?

একাধারে পরিপাক ও সংবহনের কাজ করে কোনটি?


কোনটি হাইড্রা একাধারে পরিপাক ও সংবহনের কাজে অংশ নেয়?

কোন পর্বের প্রাণীদের নিডোব্লাস্ট থাকে?


কোন পর্বের প্রাণীদের নিডোব্লাস্ট নামক কোষ থাকে?

নিডোব্লাস্ট কোথায় থাকে?

কোন প্রাণীর দেহে নিডোব্লাস্ট নামক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কোষ থাকে?

এক্টোডার্মে কী নামে এক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কোষ থাকে?

শিকার ধরা, আত্নরক্ষা ও চলন ইত্যাদি কাজে অংশ নেয় কোষ?

কোন পর্বের প্রাণীদের নিডোব্লাস্ট থাকে?

নিডোব্লাস্টের কাজ কী?

obeliea  কোন পর্বের প্রাণী?

Hydra কোন পর্বের প্রাণী?

হাইড্রা ও ওবেলিয়া কোন পর্বের উদাহরণ?

কোন প্রাণী দলবদ্ধ ভাবে কলোনী গঠন করে বাস করে?


কোন প্রাণীর দেহ দুটি ভ্রূণীয় কোষস্তর দ্বারা গঠিত?

দ্বিস্তরী প্রাণীর উদাহরণ লিখ।

হাইড্রার দেহে কোষ কয় স্তর বিশিষ্ট?

সিলন্টারেটা কোন প্রাণীর বৈশিষ্ট্য?


সিলেন্টেরন দেখা যায় কোন প্রাণীতে?

হাইড্রার দেহ গহ্বরকে কী বলে?


হাইড্রার দেহ গহ্বরকে কী নামে পরিচিত?

কোন প্রাণীর এক্টোডার্মে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ নিডোব্লাস্ট কোষ থাকে?

হাইড্রার এক্টোডার্মের  বৈশিষ্ট্যপূর্ণ  কোষ কোনটি?

এক্টোডার্মের  বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কোন কোষ?

রচনামূলক প্রশ্ন

নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের সমুদ্রের ফু ল বলা হয় কেন?


নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের সাগরের সৌন্দর্য  বলা হয় কেন?
নিডোব্লাস্ট সংবলিত প্রাণীদের সাগরের সৌন্দর্য  বলা হয় কেন?
নিডারিয়া পর্বকে সমুদ্রের অলংকার বলা হয় কেন?
উত্তরঃ নিডারিয়া পর্বের অধিকাংশ প্রাণী হলো সামুদ্রিক। এরা সমুদ্রে একা বা দলবদ্ধভাবে বসবাস করে থাকে। এদের
দেহের বর্ণ অত্যন্ত বিচিত্র এবং দৈহিক গঠন বিভিন্ন ধরনের হওয়ায় সমুদ্রে বিভিন্ন ধরনের সুন্দর কাঠামো তৈরি থাকে।
প্রবাল ও প্রবাল প্রাচীর গঠনকারী প্রাণিরা ও এই পর্বের অন্তর্গত। এদের বর্ণ ভিন্নতা ও গঠন সমুদ্রের সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি
করে বলে এদের সমুদ্রের অলংকার বলা হয়।

নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের বাসস্থান বর্ণনা কর।


উত্তর: পৃথিবীর প্রায় সকল অঞ্চলে এই পর্বের প্রাণী দেখা যায়। এদের অধিকাংশ প্রজাতি সামুদ্রিক। তবে অনেক
প্রজাতি খাল, বিল, নদী, হ্রদ, ঝরনা ইত্যাদিতে দেখা যায়। এই পর্বের প্রাণীগুলো বিচিত্র বর্ণ ও আকার-আকৃ তির হয়।
এদের সাগরের সৌন্দর্য বলা হয়। এরা সাধারণত পানিতে ভাসমান কাঠ, পাতা বা অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে দেহকে
আটকে রেখে বা মুক্তভাবে সাঁতার কাটে। এদের কিছু প্রজাতি এককভাবে আবার কিছু প্রতি দলবদ্ধ ভাবে কলোনি গঠন
করে বাস করে। যথা: হাইড্রা (Hydra), জেলি ফিস এবং সামুদ্রিক প্রবাল (Corals)।

নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের  তিনটি শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।


নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের  সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।
উত্তর: নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ:
 এরা অধিকাংশ সামুদ্রিক।
 এরা দ্বি ভ্রূণস্তরী প্রাণী, দেহ এক্টোডার্ম এবং এন্ডোডার্ম নামে দুটি ভ্রূণীয় কোষস্তর নিয়ে গঠিত। এই দুই স্তরের
মধ্যে অকোষীয় মেসোগ্লিয়া থাকে।
 সিলেন্টেরন বা গ্যাসট্রোভাসকু লার গহ্বর নামক দেহ গহ্বর একাধারে পরিপাক এবং সংবহনে অংশ নেয় ।
 এক্টোডার্ম বৈশিষ্ট্যপূর্ণ নিডোব্লাস্ট কোষ থাকে। এই কোষগুলো শিকার, আত্মারক্ষা ও চলন ইত্যাদি কাজে অংশ
নেয়।

ভ্রুণস্তর কী?
উত্তর: ভ্রূণের যেসব কোষীয় স্তর থেকে পরবর্তী সময়ে টিস্যু বা অঙ্গ সৃষ্টি হয় তাদেরকে ভ্রূণস্তর বলে।

দ্বিস্তরী প্রাণী কাকে বলে?


দ্বিস্তরী প্রাণী বলতে কী বুঝ?
দ্বিস্তরী  বিশিষ্ট প্রাণী বলতে কী বুঝ?
উত্তর: যে সকল প্রাণীর ভ্রূণের কোষগুলো এক্টডার্ম (বহিঃস্তর) ও এন্ডোডার্ম (অন্তঃস্তর) নামক দুটি স্তরে সাজানো থাকে
তাদেরকে দ্বিস্তরী প্রাণী বলে। এই দুই স্তরের মধ্যে অকোষীয় মেসোগ্লিয়া থাকে। যেমন-হাইড্রা।

নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের দ্বিস্তরী প্রাণী বলা হয় কেন?


উত্তর: যে সকল প্রাণীর ভ্রূণের কোষগুলো এক্টডার্ম (বহিঃস্তর) ও এন্ডোডার্ম (অন্তঃস্তর) নামক দুটি স্তরে সাজানো থাকে
তাদেরকে দ্বিস্তরী প্রাণী বলে।
যেহেতু , নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের দেহে এক্টোডার্ম ও এন্ডোডার্ম নামক দুটি স্তর বিদ্যমান। এই দুই স্তরের মাঝে অকোষীয়
মেসোগ্লিয়া নামক স্তর থাকে। সেহেতু নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের দেহে দুটি স্তর থাকে, এই কারণে নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের
দ্বিস্তরী প্রাণী বলা হয়৷
হাইড্রাকে দ্বিস্তরী প্রাণী বলা হয় কেন?
হাইড্রাকে দ্বিস্তরী প্রাণী। -ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: যে সকল প্রাণীর ভ্রূণের কোষগুলো এক্টডার্ম ও এন্ডোডার্ম নামক দুটি স্তরে সাজানো থাকে তাদেরকে দ্বিস্তরী প্রাণী
বলে।
হাইড্রার দেহ দুটি ভ্রুণীয় কোষস্তর দ্বারা গঠিত। দেহের বাইরের দিকের স্তরটি এক্টোডার্ম ও ভেতরের স্তরটি এন্ডোডার্ম। এই
দুই স্তরের মাঝে অকোষীয় মেসোগ্লিয়া নামক স্তর থাকে। এ জন্য হাইড্রাকে দ্বিস্তরী প্রাণী বলা হয়।

এক্টোডার্ম কী?
উত্তর: নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের দেহের বাহিরের স্তরটিকে এক্টোডার্ম বলে।

এন্ডোডার্ম কী?
উত্তর: নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের দেহের ভিতরের স্তরটিকে এন্ডোডার্ম বলে।

সিলেন্টেরন কী?
সিলেন্টেরন কাকে বলে?
উত্তর: নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের দেহগহ্বরকে সিলেন্টেরন বলে।

সিলেন্টেরন বলতে কী বুঝ?


উত্তর: নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের দেহগহ্বরকে সিলেন্টেরন বলে।
নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের দেহ দুটি ঘূর্ণীয় কোষস্তর দ্বারা গঠিত। দেহের বাইরের স্তরটি এক্টোডার্ম ও ভেতরের স্তরটি
এন্ডোডার্ম। এদের দেহের অভ্যন্তরে সিলেন্টেরন নামক গহ্বর আছে। এ গহ্বর একাধারে পরিপাক ও সংবহনে অংশ
নেয়।

কোন পর্বের প্রাণীদের সিলেন্টারেটা বলা হয় এবং কেন?


উত্তর: নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের সিলেন্টারেটা বলে। কারণ এদের দেহ দুটি ভ্রূণীয় কোষস্তর দ্বারা গঠিত এবং এই দুটি
কোষস্তরের মধ্যবর্তী অঞ্চলে সিলেন্টেরন নামক একটি দেহগহ্বর আছে। এই সিলেন্টেরন গহ্বরটি একাধারে পরিপাক ও
সংবহনের কাজ করে। এই পর্বের প্রাণীদের সিলেন্টেরন নামক গহ্বর থাকায় সিলেন্টারেটা বলা হয়।

নিডোব্লাস্ট কী?
নিডোব্লাস্ট কাকে বলে?
নিডোব্লাস্ট বলতে কী বুঝ?
উত্তর: নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের এক্টোডার্মে অবস্থিত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কোষকে নিডোব্লাস্ট বলে।
এই কোষগুলো শিকার ধরা, আত্মরক্ষা, চলন ইত্যাদি কাজে অংশ নেয়।

নিডোব্লাস্ট হাইড্রার বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কোষ – ব্যাখ্যা করো।


উত্তর: হাইড্রা নিডারিয়া পর্বের প্রাণী। হাইড্রার দেহের বাইরের দিকের স্তরটি এক্টোডার্ম এবং ভেতরের স্তরটি এন্ডোডার্ম
নামে পরিচিত। এক্টোডার্ম স্তরে নিডোব্লাস্ট নামে এক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কোষ থাকে। এই কোষগুলো শিকার ধরা, আত্মরক্ষা,
চলন প্রভৃ তি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কাজে অংশগ্রহণ করে থাকে। এ কারণেই নিডোব্লাস্ট হাইড্রার বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কোষ বলা হয়।

হাইড্রাকে নিডারিয়া পর্বে অন্তর্ভু ক্ত করা হয় কেন?


উত্তর: হাইড্রা নিডারিয়া পর্বের প্রাণী। হাইড্রার দেহ দুটি ভ্রুণীয় কোষস্তর দ্বারা গঠিত। দেহের বাইরের দিকের স্তরটি
এক্টোডার্ম ও ভেতরের স্তরটি এন্ডোডার্ম। এই দুই স্তরের মাঝে অকোষীয় মেসোগ্লিয়া নামক স্তর থাকে। এদের দেহে
সিলেন্টেরন গহ্বর নামক দেহ গহ্বর থাকে যা একাধারে পরিপাক এবং সংবহনে অংশ নেয় । এছাড়া এক্টোডার্ম
বৈশিষ্ট্যপূর্ণ নিডোব্লাস্ট কোষ থাকে। এই কোষগুলো শিকার, আত্মারক্ষা ও চলন ইত্যাদি কাজে অংশ নেয়। হাইড্রার
দৈহিক বৈশিষ্ট্য নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের সাধারণ বৈশিষ্ট্যের অনুরূপ। তাই হাইড্রাকে নিডারিয়া পর্বের অন্তর্ভু ক্ত।

হাইড্রার বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ কর।


উত্তর: হাইড্রার বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো :
 এদের দেহ নলাকার ও নরম।
 এদের দেহ অরীয় প্রতিসম।
 এদের দেহের এক প্রান্ত বন্ধ, অন্য প্রান্ত খোলা।
 এদের অ্যাক্টোডার্মে নিডোব্লাস্ট নামক এক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কোষ থাকে, যা শিকার ধরা, আত্মরক্ষা ও চলতে অংশ নেয়।
 এদের দেহগহ্বরকে সিলেন্টেরন বলা যায়, যা পরিপাক ও সংবহনে অংশ নেয়।
পর্ব-৩: প্লাটিহেলমেনথেস বা চ্যাপ্টা কৃমি

প্রাণীদের মধ্যে এ পর্বের প্রাণীরাই সরলতম ত্রীস্তরী প্রাণী। এ পর্বের প্রাণীরা পাতার মতো উপর নিচে চ্যাপ্টা বা ফিতার
মতো লম্বা বলে চ্যাপ্টা কৃ মি নামে পরিচিত।
স্বভাব ও বাসস্থান: এই পর্বের প্রাণীদের জীবনযাত্রা বেশ বৈচিত্র্যময়। এই পর্বের বহু প্রজাতি বহিঃপরজীবী বা
অন্তঃপরজীবী হিসেবে অন্য জীবদেহের বাইরে বা ভিতরে কসবাস করে। তবে কিছু প্রজাতি মুক্তজীবী হিসেবে স্বাদু
পানিতে আবার কিছু প্রজাতি লবণাক্ত পানিতে বাস করে। এই পর্বের কোনো কোনো প্রাণী ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে মাটিতে
বাস করে।
প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের প্রাণীর সাধারণ বৈশিষ্ট্য:
• দেহ চ্যাপ্টা, উভয়লিঙ্গ।
• বহিঃপরজীবী বা অতঃপরজীবী।
• দেহ পুরু কিউটিকল দ্বারা আবৃত।
• দেহে চোষক ও আংটা থাকে।
• দেহে শিখা অঙ্গ নামে বিশেষ অঙ্গ থাকে, এগুলো রেচন অঙ্গ হিসেবে কাজ করে।
• পৌষ্টিকতন্ত্র অসম্পূর্ণ বা অনুপস্থিত ।

উদাহরণ: যকৃ ৎ কৃ মি, ফিতাকৃ মি প্রভৃ তি।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
কোন পর্বের প্রাণীগুলোর জীবনযাত্রা বেশ বৈচিত্র্যময়?
কোন পর্বের বহু প্রজাতি বহিঃপরজীবী বা অন্তঃপরজীবী হিসেবে জীবদেহের বাইরে বা ভিতরে বাস করে?
কোন পর্বের কিছু প্রজাতি মুক্তজীবী হিসেবে স্বাদু পানিতে আবার কিছু প্রজাতি লবণাক্ত পানিতে বাস করে?
প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের প্রাণীরা মুক্তজীবী হিসেবে কোথায় বসবাস করে?
কোন পর্বের কোনো কোনো প্রাণী ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে মাটিতে বাস করে?

কোন পর্বের প্রাণীদের দেহ চ্যাপ্টা?

কোন পর্বের প্রাণীরা উভলিঙ্গ?

কোন পর্বের প্রাণীরা উভলিঙ্গ ও অন্তঃপরজীবী?

কোন পর্বের প্রাণীরা পরজীবি ও অন্তঃপরজীবী হিসেবে থাকে?

কোন পর্বের প্রাণীরা সাধারণত অন্তঃপরজীবী?


কোন পর্বের প্রাণীদের দেহ কিউটিকেল দ্বারা আবৃত?

কোন পর্বের প্রাণীদের দেহে চোষক ও আংটা থাকে ?

শিখাকোষ থাকে কোন পর্বে?

শিখা কোষ দেহে কী হিসেবে কাজ করে?

প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের প্রাণীদের রেচন অঙ্গ কী?


প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের রেচন তন্ত্র কী?

প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের প্রাণীদের দেহে বিশেষ কোষের নাম কী?

কোন পর্বের প্রাণীদের দেহে শিখা কোষ নামে বিশেষ কোষ থাকে?

শিখা কোষ দেহে কী হিসেবে কাজ করে?


শিখাকোষ এর কাজ কী?

কোন পর্বের প্রাণীদের পৌষ্টিকতন্ত্র অসম্পূর্ণ?


কোন পর্বের প্রাণীদের পৌষ্টিকতন্ত্র অনুপস্থিত?

ফিতাকৃ মি ও যকৃ ত কৃ মি কোন পর্বের উদাহরণ?

ফিতাকৃ মি কোন পর্বের প্রাণী?

কোন প্রাণীর দেহ চ্যাপ্টা?

কোন প্রানীর পৌষ্টিকতন্র অসম্পূর্ণ?

কোন প্রানীরদেহে চোষক ও আংটা থাকে?

কোন প্রাণীর দেহে শিখাকোষ থাকে?


কোন প্রাণীর দেহে শিখা অঙ্গ  থাকে?

রেচন অঙ্গনামক শিখাকোষ কোন প্রাণীর বৈশিষ্ট্য?

ফিতাকৃ মির দেহ আবৃতকারী উপাদানের নাম কী?

শিখাকোষ নামক কোষ দ্বারা রেচন কাজ সম্পন্ন করে কোন প্রাণী?

ফিতাকৃ মির কোন অঙ্গ রেচন ক্রিয়া সম্পন্ন করে?


যকৃ ৎ কৃ মির রেচন অঙ্গের নাম কী?

কোন পর্বের প্রাণীদের খাদ্য পরিপাকের প্রয়োজন নেই?

কোন বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের প্রাণীরা অন্য প্রাণীর


টিকে থাকতে সক্ষম হয় ?
উত্তরঃ দেহে চোষক ও আংটা থাকে।

রচনামূলক প্রশ্ন

বহিঃপরজীবী কী?
উত্তর : যেসব পরজীবী পোষক দেহের বাইরে অবস্থান করে তাদের বহিঃপরজীবী বলে। যেমন-উকু ন, জোঁক।

অন্তঃপরজীবী কী?
উত্তর : যেসব পরজীবী পোষক দেহের ভেতরে অবস্থান করে তাদের অন্তঃপরজীবী বলে। যেমন- কৃ মি।

শিখাকোষ কাকে বলে?


শিখাকোষ বলতে কী বুঝ?
শিখা অঙ্গ কী?
উত্তর: প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের প্রাণীর দেহে রেচন কার্য সম্পন্ন করার জন্য যে বিশেষ ধরনের কোষ থাকে তাকে শিখা
কোষ বলে। এই সকল শিখা কোষ দ্বারাই প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের প্রাণীদের রেচন তন্ত্র গঠিত হয়। নাইট্রোজেন ঘঠিত বর্জ্য
নিষ্কাশনই এদের কাজ।

প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের প্রাণীদের স্বভাব ও বাসস্থান ব্যাখ্যা কর।


প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের প্রাণীদের বাসস্থান বর্ণনা কর।
উত্তর : প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের প্রাণীদের জীবনযাত্রা বেশ বৈচিত্র্যময়। এই পর্বের বহু প্রজাতি বহিঃপরজীবী বা
অন্তঃপরজীবী হিসেবে অন্য জীবদেহের বাইরে বা ভিতরে কসবাস করে। তবে কিছু প্রজাতি মুক্তজীবী হিসেবে স্বাদু
পানিতে আবার কিছু প্রজাতি লবণাক্ত পানিতে বাস করে। এই পর্বের কোনো কোনো প্রাণী ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে মাটিতে
বাস করে।

প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের প্রাণীদের  তিনটি শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।


প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের প্রাণীদের  সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।
উত্তর: প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের প্রাণীর সাধারণ বৈশিষ্ট্য:
• দেহ চ্যাপ্টা, উভয়লিঙ্গ।
• বহিঃপরজীবী বা অতঃপরজীবী।
• দেহ পুরু কিউটিকল দ্বারা আবৃত।
• দেহে চোষক ও আংটা থাকে।
• দেহে শিখা অঙ্গ নামে বিশেষ অঙ্গ থাকে, এগুলো রেচন অঙ্গ হিসেবে কাজ করে।
• পৌষ্টিকতন্ত্র অসম্পূর্ণ বা অনুপস্থিত ।
পর্ব-৪: নেমাটোডা বা গোলকৃমি

নেমাটোডা পর্বের অপর নাম নেমাথেলমিনথেস। এ পর্বের প্রাণীদেরকে সাধারণত গোলকৃ মি বলা হয়।
স্বভাব ও বাসস্থান: এই পর্বের অনেক প্রাণী অন্তঃপরজীবী হিসেবে প্রাণীর অস্ত্র ও রক্তে বসবাস করে। এসব পরজীবী
বিভিন্ন প্রাণী ও মানবদেহে বাস করে নানারকম রোগ সৃষ্টি করে। এ পর্বের বিভিন্ন পরজীবীর কারণে কনজাংটিভাইটিসসহ
পেটে ব্যথা, অনিদ্রা, উদরাময়, রক্তস্বল্পতা প্রভৃ তি রোগের সৃষ্টি হয়। তবে অনেক প্রাণীই মুক্তজীবী, যারা পানি ও মাটিতে
বাস করে। মুক্তজীবী প্রাণীরা ব্যাকটেরিয়া, ঈস্ট, ছত্রাক ও শৈবাল খেয়ে জীবনধারণ করে।

নেমাটোডা পর্বের প্রাণীর সাধারণ বৈশিষ্ট্য:


• দেহ নলাকার, অখন্ডায়িত, উভয়প্রান্ত সুরু এবং পুরু ত্বক দ্বারা আবৃত।
• পৌষ্টিকনালি সম্পূর্ণ, মুখ ও পায়ু ছিদ্র উপস্থিত।
• শ্বসনতন্ত্র ও সংবহনতন্ত্র অনুপস্থিত।
• সাধারণত একলিঙ্গ।
• দেহ গহ্বর অনাবৃত ও প্রকৃ ত সিলোম নাই বা অপ্রকৃ ত সিলোম।

উদাহরণ: গোলকৃ মি, ফাইলেরিয়া কৃ মি, কেঁ চোকৃ মি, হুকওয়ার্ম প্রভৃ তি।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:

নেমাটোডা পর্বের অপর নাম কী?

কোন পর্বকে নেমাথেলথিস বলে?


নেমাথেলথিস কোন পর্বের অন্য নাম?

কোন পর্বের প্রাণী অন্তঃপরজীবী হিসেবে প্রাণীর অস্ত্র ও রক্তে বাস করে?

নেমাটোডা পর্বের প্রাণীরা মুক্তজীবী হিসেবে কোথায় বসবাস করে?

নেমাটোডা পর্বের অনেক প্রাণী কী হিসেবে প্রাণীর অন্ত্রে ও রক্তে বাস করে?

কোন পর্বের প্রাণীরা মানবেদেহর জন্য ক্ষিতকর?

কোন পর্বের অধিকাংশ প্রাণী পরজীবী হিসেবে বিভিন্ন প্রাণী ও মানবদেহে বাস করে নানারকম ক্ষতি সাধন করে?

কোন পর্বের অনেক প্রাণীই মুক্তজীবী?

কোন পর্বের প্রাণীদের দেহ নলাকার?

কোন পর্বের প্রাণীদের দেহ নলাকার ও পুরু ত্বক দ্বারা আবৃত?

কোন পর্বের প্রাণীদের পৌষ্টিক নালি সম্পূর্ণ?

কোন পর্বের প্রাণীর মুখ ও পায়ু ছিদ্র উপস্থিত?

শ্বসনতন্ত্র ও সংবহনতন্ত্র অনুপস্থিত কোন পর্বের প্রাণীর?

কোন পর্বের প্রাণীরা সাধারণত এক লিঙ্গ?

কোন পর্বের প্রাণীর দেহ গহ্বর অনাবৃত?

কোন পর্বের প্রাণীদের প্রকৃ ত সিলোম নেই?


কোন পর্বের প্রাণীদের দেহে অপ্রকৃ ত সিলোম থাকে?

নেমাটোডা পর্বের কোন কোন প্রাণী অন্তর্ভু ক্ত?

কেঁ চো কৃ মি / গোলকৃ মি ও ফাইলেরিয়া কৃ মি কোন পর্বের উদাহরণ?

কেঁ চো কৃ মি/গোলকৃ মি  কোন পর্বের অন্তর্গত?


প্রকৃ তির লাঙ্গল বলা হয় কোন প্রাণীকে?

প্লাটিহেলমিনথিস ও নেমাটোডা পর্বের প্রাণীদের মিল কোথায়?

আমাদের কোন পর্বের প্রাণীরা বসবাস করতে সক্ষম?

গোলকৃ মি মানুষের কোথায় বসবাস করে?

কোন প্রাণীর দেহ নলাকার?

কোন প্রাণীর দেহ পুরু ত্বক দ্বারা আবৃত?

কোন প্রাণীর পৌষ্টিক নালি সম্পূর্ণ?

কোন প্রানীর পৌষ্টিক নালি সম্পূর্ণ, মুখ ও পায়ুছিদ্র আছে?

কোন প্রানীর শ্বসনতন্ত্র ও সংবহনতন্ত্র অনুপস্থিত?

কোন  প্রাণী সাধারণত এক লিঙ্গ?

কোন প্রাণীর দেহ গহ্বর অনাবৃত ও প্রকৃ ত সিলোম নেই?

কোন প্রাণীর প্রকৃ ত সিলোম নেই?

বহুকোষী প্রাণীর পৌষ্টিকনালি ও দেহপ্রাচীরের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানকে কী বলে?


রচনামূলক প্রশ্নঃ

সিলোম কী?
সিলোম কাকে বলে?
উত্তর: বহুকোষী প্রাণীর পৌষ্টিক নালি এবং দেহ প্রাচীরের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানকে সিলোম বলে।

প্রকৃ ত সিলোম কী?


প্রকৃ ত সিলোম কাকে বলে?
উত্তর: প্রাণীদেহের দেহ প্রাচীরের সবচেয়ে ভেতরের আবরণী এবং পৌষ্টিকনালি ও অন্যান্য অঙ্গের (যকৃ ত, হৃদযন্ত্র,
ফু সফু স ইত্যাদি) সবচেয়ে বাহিরের আবরণীর মধ্যবর্তী তরলে পূর্ণ গহ্বরকে প্রকৃ ত সিলোম বলে।

নেমাটোডা ক্ষতিকর কেন? ব্যাখ্যা কর।


উত্তর: নেমাটোডা ক্ষতিকর কারণ- এ পর্বের অনেক প্রাণী অন্তঃপরজীবী হিসেবে প্রাণীর অন্ত্র ও রক্তে বসবাস করে।
এসব পরজীবী বিভিন্ন প্রাণী ও মানবদেহে বাস করে নানা রকম ক্ষতি সাধন করে। যেমন- গোলকৃ মি, ফাইলেরিয়া কৃ মি
ইত্যাদি।

নেমাটোডা পর্বের প্রাণীদের স্বভাব ও বাসস্থান ব্যাখ্যা কর।


নেমাটোডা পর্বের প্রাণীদের বাসস্থান বর্ণনা কর।
উত্তর: পর্বের অনেক প্রাণী অন্তঃপরজীবী হিসেবে প্রাণীর অস্ত্র ও রক্তে বসবাস করে। এসব পরজীবী বিভিন্ন প্রাণী ও
মানবদেহে বাস করে নানারকম রোগ সৃষ্টি করে। এ পর্বের বিভিন্ন পরজীবীর কারণে কনজাংটিভাইটিসসহ পেটে ব্যথা,
অনিদ্রা, উদরাময়, রক্তস্বল্পতা প্রভৃ তি রোগের সৃষ্টি হয়। তবে অনেক প্রাণীই মুক্তজীবী, যারা পানি ও মাটিতে বাস করে।
মুক্তজীবী প্রাণীরা ব্যাকটেরিয়া, ঈস্ট, ছত্রাক ও শৈবাল খেয়ে জীবনধারণ করে।

নেমাটোডা পর্বের প্রাণীদের  তিনটি শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।


নেমাটোডা পর্বের প্রাণীদের  সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।
উত্তর: নেমাটোডা পর্বের প্রাণীর সাধারণ বৈশিষ্ট্য:
• দেহ নলাকার, অখন্ডায়িত, উভয়প্রান্ত সুরু এবং পুরু ত্বক দ্বারা আবৃত।
• পৌষ্টিকনালি সম্পূর্ণ, মুখ ও পায়ু ছিদ্র উপস্থিত।
• শ্বসনতন্ত্র ও সংবহনতন্ত্র অনুপস্থিত।
• সাধারণত একলিঙ্গ।
• দেহ গহ্বর অনাবৃত ও প্রকৃ ত সিলোম নাই।

গোলকৃ মিকে কেন নেমাটোডা পর্বে অন্তর্ভু ক্ত করা হয় ?


ফাইলেরিয়া কৃ মিকে কেন নেমাটোডা পর্বে অন্তর্ভু ক্ত করা হয় ?
উত্তর:

গোলকৃ মি কোন পর্বের বৈশিষ্ট্য বহন করে? ব্যাখ্যা কর।


উত্তর:
গোলকৃ মি ও ফিতাকৃ মির মধ্যে পার্থক্য লিখ।
উত্তর: গোলকৃ মি ও ফিতাকৃ মির মধ্যে পার্থক্য নিচে উল্লেখ করা হলো:

গোলকৃ মি ফিতাকৃ মি

i. গোলকৃ মি নেমাটোডা পর্বের অন্তর্ভু ক্ত। i. ফিতাকৃ মি প্লাটিহেলমেথেস পর্বের অন্তর্ভু ক্ত।

ii. দেহ গোলাকার ও পুরু ত্বক দ্বারা আবৃত ৷ ii. দেহ চ্যাপ্টা ও পুরু কিউটিকল দ্বারা আবৃত।

iii. পৌষ্টিক নালি সম্পূর্ণ । iii. পৌষ্টিক নালি অসম্পূর্ণ ।

iv. সাধারণত একলিঙ্গ । iv. এটি উভলিঙ্গ।

v. দেহে চোষক ও আংটা নেই । v. দেহে চোষক ও আংটা থাকে ।

vi. এরা মুক্তজীবী হিসেবে পানি ও মাটিতে বাস করে। vi. এরা মুক্তজীবী হিসেবে পানি ও মাটিতে বাস করে।

প্লাটিহেলমিনথিস ও নেমাটোডা দুইটি পর্বের প্রাণীরা প্রাণিজগতের জন্য ক্ষতিকর।- বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ প্লাটিহেলমিনথিস ও নেমাটোডা দুইটি পর্বের প্রাণীরা প্রাণিজগতের জন্য ক্ষতিকর। কারণ প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের
প্রাণীরা প্রধানত বহিঃপরজীবী বা অন্তর্জীবী হিসেবে অন্য জীবের দেহে বসবাস করে। পোষক দেহে বসবাসের সময় পুষ্টি
শোষণ করে নেয়। ফলে পোষক বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।
নেমাটোডা পর্বের প্রাণীরা প্রধানত পরজীবী। এরা বিভিন্ন প্রাণীর অস্ত্র, রক্ত ও অন্যান্য অঙ্গে পরজীবী হিসেবে বাস করে।
এরা পোষকদেহ থেকে পুষ্টি শোষণ করে। ফলে পোষক নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হয়।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে প্লাটিহেলমিনথিস ও নেমাটোডা পর্বের প্রাণীরা প্রাণিজগতের বিশেষ ক্ষতিকর কারণ।
গোলকৃ মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া যায়?- তোমার মতামত বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ গোলকৃ মি নেমাটোডা পর্বের প্রাণী। এরা মানুষের অন্ত্রে বসবাস করে ও বিভিন্ন ক্ষতি করে। এদের ক্ষতিকর প্রভাব
হতে রক্ষা পেতে হলে নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে-
i. যেখানে সেখানে মলত্যাগের অভ্যাস পরিহার করা ও পাকা পায়খানা ব্যবহার করা।
ii. কাঁচা ফলমূল ধুয়ে খাওয়া।
iii. হাতের আঙু ল পরিষ্কার রাখা, হাতের নখ ছোট রাখা।
iv. খাবার গ্রহণের আগে এবং শৌচ কাজ শেষে হাত ভালোভাবে
ধোয়া।
v. ঠাণ্ডা ও পচা বাসি খাদ্য গ্রহণ না করা।
vii. দেহে ক্রিমির আক্রমণ অনুভব করলে ওষুধ সেবনের মাধ্যমে ক্রিমি মুক্ত করা।
পর্ব-৫: অ্যানেলিডা বা অঙ্গুরিমাল(ছোট আংটি)

অ্যানেলিডা পর্বের প্রাণীগুলো আংটি কীট বা অখন্ডায়িত কীট বা অঙ্গুরিমাল নামে পরিচিত।

স্বভাব ও বাসস্থান: পৃথিবীর প্রায় সকল নাতিশীতোষ্ণ ও উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে এই পর্বের প্রাণীদের পাওয়া যায়। এদের
বহু প্রজাতি স্বাদু পানিতে এবং কিছু প্রজাতি অগভীর সমুদ্রে বাস করে। এই পর্বের বহু প্রাণী সেঁতসেঁতে মাটিতে বসবাস
করে। এদের মধ্যে কিছু প্রাণী সমুদ্রের পাড়ে, কিছু অগভীর সমুদ্রের তলদেশে বাস করে। কিছু প্রজাতি পাথর ও মাটিতে
গর্ত খুঁড়ে বসবাস করে।

অ্যানেলিডা পর্বের প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সমূহ:


 দেহ নরম, নলাকার এবং অসংখ্য আংটির মতো খন্ডায়িত।
 নেফ্রিডিয়া নামক রেচন অঙ্গ থাকে।
 প্রতিটি খণ্ডে সিটা থাকে (জোকে থাকে না)। সিটা চলাচলে সহায়তা করে।
 পৌষ্টিকনালি নলাকার ও সম্পূর্ণ।
 প্রধানত উভয় লিঙ্গ প্রাণী।
 এরা ত্রিস্তরী প্রাণী।

উদাহরণ: কেঁ চো, জোঁক।


সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:

নাতিশীতোষ্ণ ও উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে পাওয়া যায় কোন পর্বের প্রাণীদের?

কোন পর্বের বহু প্রজাতি স্বাদু পানিতে এবং কিছু প্রজাতি অগভীর সমুদ্রে বাস করে?

কোন পর্বের বহু প্রাণী সেঁতসেঁতে মাটিতে বসবাস করে?

কোন পর্বের কিছু প্রজাতি পাথর ও মাটিতে গর্ত খুঁড়ে বসবাস করে?

অ্যানেলিডা পর্বের বহু প্রজাতি কোথায় বাস করে?

কোন পর্বের প্রাণীদের দেহ নলাকার?


উত্তরঃ নিডারিয়া ও অ্যানেলিডা

কোন পর্বের প্রাণীদের দেহ খন্ডায়িত?

কোন পর্বের প্রাণীদের দেহ নলাকার ও খন্ডায়িত?

অ্যানেলিডা পর্বের প্রাণীর দেহে বিদ্যামান রেচন অঙ্গের নাম কী?

নেফ্রিডিয়া নামক রেচন অঙ্গ থাকে কোন পর্বের প্রাণীদের?

কোন পর্বের প্রাণীদের রেচন অঙ্গের নাম নেফ্রিডিয়া?

অ্যানেলিডা পর্বের প্রাণীরা কীসের সাহায্যে চলাচল করে?

অ্যানেলিডা পর্বের প্রাণীর ২টি উদাহরণ লিখ।

জোঁক কোন পর্বের প্রাণী?

কেঁ চো কোন পর্বের প্রাণী?

নাতিশীতোষ্ণ ও উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে পাওয়া যায় কোন প্রাণীদের?

কোন প্রাণীর দেহ নলাকার ও খন্ডায়িত?


কোন প্রাণী সিটার সাহায্যে চলাচল করে?

কোন প্রাণীর দেহে প্রতিটি খন্ডে সিটা থাকে?

সিটার সাহায্যে চলাচল করে কোন প্রাণী?

সিটা কোন প্রাণীর চলন অঙ্গ?

কেঁ চোর চলাচল অঙ্গের নাম কী?

কেঁ চোর চলন অঙ্গের নাম কী?

অ্যানেলিডা পর্বের কোন প্রাণীর দেহে সিটা থাকে না?

নেফ্রিডিয়া নামক রেচন অঙ্গ পাওয়া যায় কোন প্রাণীতে?

নেফ্রিডিয়া' কোন প্রাণীর বৈশিষ্ট্য?

জোঁকের কোন অঙ্গ রেচন ক্রিয়া সম্পন্ন করে?

কেঁ চোর কোন অঙ্গ রেচন ক্রিয়া সম্পন্ন করে?

কেঁ চোর রেচন অঙ্গের নাম কী?

জোঁক রেচন অঙ্গের নাম কী?

রচনামূলক প্রশ্নঃ

নেফ্রিডিয়া কী?
নেফ্রিডিয়া কাকে বলে?
উত্তর: অ্যানিলিডা পর্বভু ক্ত প্রাণীদের দেহে এক ধরনের রেচন অঙ্গকে নেফ্রিডিয়া বলে। 

নেফ্রিডিয়া ও শিখা অঙ্গের মধ্যে সম্পর্ক লিখ।


উত্তর: শিখা কোষ প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের ও নেফ্রিডিয়া অ্যানেলিডা পর্বের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য। উভয় প্রাণীর রেচন
অঙ্গ থাকে। যেসব প্রাণীর দেহে শিখা অঙ্গ রয়েছে সেসব প্রাণীর রেচন অঙ্গ হিসেবে এটি কাজ করে। আবার, যেসব প্রাণীর
দেহে নেফ্রিডিয়া রয়েছে, সেসব প্রাণীর রেচন অঙ্গ হিসেবে নেফ্রিডিয়া কাজ করে।

চলন কাকে বলে?


উত্তর: যে প্রক্রিয়ায় জীবদেহ জৈবিক প্রয়োজনে নিজ প্রচেষ্টায় স্থানান্তরিত হয়, তাকে চলন বলে।

সিটা কী?
উত্তর: অ্যানেলিডা পর্বের প্রাণীদের চলন অঙ্গকে সিটা বলে।

অ্যানেলিডা পর্বের প্রাণীদের স্বভাব ও বাসস্থান ব্যাখ্যা কর।


অ্যানেলিডা পর্বের প্রাণীদের বাসস্থান বর্ণনা কর।
উত্তর: পৃথিবীর প্রায় সকল নাতিশীতোষ্ণ ও উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে এই পর্বের প্রাণীদের পাওয়া যায়। এদের বহু প্রজাতি
স্বাদু পানিতে এবং কিছু প্রজাতি অগভীর সমুদ্রে বাস করে। এই পর্বের বহু প্রাণী সেঁতসেঁতে মাটিতে বসবাস করে। এদের
মধ্যে কিছু প্রাণী সমুদ্রের পাড়ে, কিছু অগভীর সমুদ্রের তলদেশে বাস করে। কিছু প্রজাতি পাথর ও মাটিতে গর্ত খুঁড়ে
বসবাস করে।

অ্যানেলিডা পর্বের প্রাণীদের  সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।


অ্যানেলিডা পর্বের প্রাণীদের  তিনটি শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।
উত্তর: অ্যানেলিডা পর্বের প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সমূহ:
• দেহ নরম, নলাকার এবং অসংখ্য আংটির মতো খন্ডায়িত।
• নেফ্রিডিয়া নামক রেচন অঙ্গ থাকে।
• প্রতিটি খণ্ডে সিটা থাকে (জোকে থাকে না)। সিটা চলাচলে সহায়তা করে।
• পৌষ্টিকনালি নলাকার ও সম্পূর্ণ।
• প্রধানত উভয় লিঙ্গ প্রাণী।

জোঁক কেন নেমাটোডা পর্বে অন্তর্ভু ক্ত? ব্যাখ্যা কর।


কেঁ চো কেন নেমাটোডা পর্বে অন্তর্ভু ক্ত? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:

অ্যানেলিডা ও নিডারিয়া পর্বের মধ্যে পার্থক্য লিখ।


উত্তর: অ্যানেলিডা ও নিডারিয়া পর্বের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ:
অ্যানেলিডা নিডারিয়া
i. এরা ত্রিস্তরী প্রাণী। i. এরা দ্বিস্তী প্রাণী।
ii. এরা দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসম। ii. এরা অরীয় প্রতিসম।
iii. এদের দেহনলাকার ও খন্ডায়িত। iii. এদের দেহনলাকার ও অখন্ডায়িত।
iv. এদের দেহখণ্ডে সিটা থাকায় চলতে সাহায্য করে। iv. এদের এক্টোডার্মের নিডোব্লাস্ট কোষ চলতে সাহায্য
করে।

v. এদের মুখ ও পায়ু ছিদ্র ভিন্ন। v. এদের দেহের অগ্রভাগে একটি মাত্র ছিদ্র থাকে, যা মুখ
ও পায়ু হিসেবে কাজ করে।

কেঁ চোর গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।


উত্তরঃ নিচে কেঁ চোর গুরুত্ব বিশ্লেষণ করা হলো :
 কেঁ চো যে মাটিতে বাস করে সেই মাটি নরম হয় ও মাটির রন্ধ্রতা বৃদ্ধি পায়।
 কেঁ চোর বিষ্ঠা উত্তম সার।
 কেঁ চো হিউমাস তৈরিতে সাহায্য করে।
 মাটির অম্লত্ব ও ক্ষারকত্ব হ্রাস করে উদ্ভিদ জন্মানোর অনুকূ ল পরিবেশ তৈরি করে।
 মাছ ধরার টোপ হিসেবে কেঁ চো ব্যবহৃত হয়।
 মাছ, পাখি প্রভৃ তি প্রাণীর খাদ্য হিসেবে কেঁ চো ব্যবহৃত হয়।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে কেঁ চো খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত।

কেঁ চোকে প্রাকৃ তিক বা প্রকৃ তির লাঙ্গল বলা হয় কেন?


কেঁ চো কিভাবে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ কেঁ চো অ্যানেলিডাপর্বের প্রাণী। কেঁ চোর দেহের প্রতিটি খণ্ডে সিটা থাকে যার সাহায্যে চলাচলকরে। একে
প্রাকৃ তিক লাঙ্গল বলা হয়। কারণ এটি মাটিই আলগা করে করে, আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসের যে আবর্জ না থাকে
তার জৈব অংশ থেকে কম্পোস্ট সারে রূপান্তর করতে সাহায্য করে। এছাড়া কেঁ চো ফসলি জমিতে মাটি ওলট-পালট
করে উপরের মাটি নিচে ও নিচের মাটি উপরে তু লে আনে। যার ফলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।

পর্ব-৬: আর্থ্রোপোডা বা সন্ধিপদী প্রাণী

আর্থ্রোপোডা পর্বটি প্রাণিজগতের সবচেয়ে বৃহত্তম পর্ব। পৃথিবীর প্রায় ৬০-৬৫% প্রাণীএই পর্বের অন্তর্ভু ক্ত। এদের পা
দেখলেই বোঝা যায় যে, কয়েকটি ভিন্ন অংশ যুক্ত হয়ে এটি গঠিত হয়েছে, তাই এদের সন্ধিপদী নাম করা হয়েছে।
স্বভাব ও বাসস্থান: এরা পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র সকল পরিবেশে বাস করতে সক্ষম। এদের বহু প্রজাতি অন্তঃপরজীবী ও
বহিঃপরজীবী হিসেবে বাস করে। বহু প্রাণী স্থলে, স্বাদু পানিতে ও সমুদ্রে বাস করে। এ পর্বের অনেক প্রজাতির প্রাণী
ডানার সাহায্যে উড়তে পারে।
আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সমূহ:
• দেহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত যেমন, মস্তক, বক্ষ ও উদর।
• এ পর্বের প্রাণীদের পা গুলো সন্ধিযুক্ত বা বহুসংখ্যক খণ্ডাংশ নিয়ে গঠিত।
• দেহ কাইটিন সমৃদ্ধ কিউটিকল দ্বারা আবৃত থাকে।
• মাথায় একজোড়া পুঞ্জাক্ষী এবং অ্যান্টেনা থাকে।
• এ পর্বের প্রাণীদের রক্তপূর্ণ হিমোসিল নামক দেহগহ্বর থাকে।

উদাহরণঃ চিংড়ি, কাঁকড়া, মাকড়সা, মশা, মাছি, প্রজাপতি, মথ, তেলাপোকা, উকু ন, কাঁকড়াবিছা প্রভৃ তি।

আর্থ্রোপোডা পর্বভু ক্ত প্রাণীদের গুরুত্ব:


মানুষের কাছে আর্থ্রোপোডা পর্বভু ক্ত প্রাণীদের গুরুত্ব অপরিসীম। এরা মানুষের উপকার ও অপকার উভয় ধরনের কাজ
করে।
 বিভিন্ন ধরনের চিংড়ি যেমন- গলদা, বাগদা ইত্যাদি আমিষ জাতীয় খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বর্ত মানে
চিংড়ি রপ্তানি করে প্রচু র বৈদেশিক মুদ্রা অর্জ ন সম্ভব হচ্ছে, যা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে একটি বড় ধরনের
ইতিবাচক ভূ মিকা পালন করছে।
 বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ উদ্ভিদের পরাগায়নে সহায়তা করে।
 রেশম পোকা থেকে রেশম সুতা পাওয়া যায়, মৌমাছি থেকে মধু, মোম ইত্যাদি উপকারী দ্রব্য পাওয়া যায়।
 এ পর্বের ক্ষতিকর পোকাদের পেস্ট বলা হয়। এ পর্বভু ক্ত ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ ফসল নষ্ট করে, মারাত্মক রোগ
জীবাণু বহন করে মানুষের সীমাহীন ক্ষতি করে। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে- পামরী পোকা ধান
গাছে এবং বিছা পোকা পাট গাছে রোগ সৃষ্টি করে গাছ নষ্ট করে ফেলে।
 স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণু ছড়াতে সাহায্য করে। কিউলেক্স মশা গোদরোগের
জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। সাম্প্রতিক অধিক আলোচিত এবং মানুষের ভীতির কারণ পীতজ্বর ও
ডেঙ্গুজ্বরের জীবাণু (ভাইরাস) এডিস মশা বহন করে।
 উকু ন, ছারপোকা ও মাইটস ইত্যাদি মানুষ ও গৃহপালিত পশুপাখির অনেক ক্ষতি করে।
 উইপোকা আমাদের বাড়িঘর, আসবাবপত্র ও বইপত্র ইত্যাদি মূল্যবান দ্রব্য কেটে নষ্ট করে ফেলে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:

প্রাণিজগতের কোন পর্বের প্রাণীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি?

কোন পর্ব প্রাণিজগতের সবচেয়ে বৃহত্তম পর্ব?

কোন পর্বের প্রাণিরা পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র সকল পরিবেশে বাস করতে সক্ষম?
কোন পর্বের বহু প্রজাতি অন্তঃ ও বহিঃপরজীবী হিসেবে বাস করে? 

ক্ষতিকর পোকাদের কী বলা হয়?

আর্থ্রোপোডা পর্বের বহু প্রজাতি কি হিসেবে বাস করে?

কোন পর্বের বহু প্রাণী স্থলে, স্বাদু পানি ও সমুদ্রে বাস করে?

আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীরা কোথায় বাস করে?

কোন পর্বের অনেক প্রজাতির প্রাণী ডানার সাহায্যে উড়তে পারে?

কোন পর্বের প্রাণীর দেহ খন্ডায়িত ও সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ বিদ্যমান?

সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ কোন পর্বের প্রাণীতে বিদ্যামান?

কোন পর্বের প্রাণীর দেহ খন্ডায়িত?

কোন পর্বের প্রাণীর দেহে সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ বিদ্যমান?

পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে কোন পর্বের প্রাণীদের?

কোন পর্বের প্রাণীর মাথায় একজোড়া পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে?

'পুঞ্জাক্ষি' কোন পর্বের প্রাণীর বৈশিষ্ট্য?

'অ্যান্টেনা' কোন পর্বের প্রাণীর বৈশিষ্ট্য?

আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীর মাথায় কী থাকে?

আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীর মাথায় কয়জোড়া পুঞ্জাক্ষি থাকে?

আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীর মাথায় কয়জোড়া অ্যান্টেনা থাকে?

কোন পর্বের প্রাণীর দেহ শক্ত কাইটিন সমৃদ্ধ শক্ত আবরণী দ্বারা আবৃত?

কাইটিন সমৃদ্ধ শক্ত আবরণী দ্বারা আবৃত থাকে কোন পর্বের প্রাণীর?

আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীর দেহ কী দ্বারা আবৃত থাকে?

আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীদের দেহের রক্তপূর্ণ গহ্বর কী নামে পরিচিত? 


রক্তপূর্ণ দেহ গহ্বরকে কী বলে?

হিমোসিল কী?

কোন পর্বের প্রাণীর দেহে হিমোসিল থাকে?

'হিমোসিল' কোন পর্বের প্রাণীর বৈশিষ্ট্য?

হিমোসিলের ভিতর দিয়ে কী প্রবাহিত হয়?

আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণী দেহে কীসের ভেতর দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হয়?

আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীর ২টি উদাহরণ লিখ।

আর্থ্রোপোডা পর্বের ৪ টি প্রাণীর নাম লিখ।

প্রজাপতি, চিংড়ি, আরশোলা, কাঁকড়া কোন পর্বের অন্তর্ভু ক্ত?

প্রজাপতি কোন ধরনের প্রাণী?

চিংড়ি কোন ধরনের প্রাণী?

আরশোলা কোন ধরনের প্রাণী?

কাঁকড়া কোন ধরনের প্রাণী?

প্রজাপতি কোন পর্বের প্রাণী?

কাঁকড়া কোন পর্বের প্রাণী?

চিংড়ি কোন পর্বের  প্রাণী?

আরশোলা কোন পর্বের প্রাণী?

সংখ্যার দিক দিয়ে সর্ববৃহৎ পর্বের প্রাণী কোনটি?

কোন প্রাণীর দেহ খন্ডায়িত?

কোন প্রাণীর দেহ খন্ডায়িত ও সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ বিদ্যমান?

পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে কোন প্রাণীর?

কোন প্রাণীর মাথায় এক জোড়া অ্যান্টেনা থাকে?


কোন প্রাণীর মাথায় এক জোড়া পুঞ্জাক্ষি থাকে?

প্রজাপতির মাথায় কয় জোড়া অ্যান্টেনা থাকে?

চিংড়ির মাথায় কয় জোড়া অ্যান্টেনা থাকে?

আরশোলার মাথায় কয় জোড়া অ্যান্টেনা থাকে?

কাঁকড়ার মাথায় কয় জোড়া অ্যান্টেনা থাকে?

প্রজাপতির মাথায় কয় জোড়া পুঞ্জাক্ষি থাকে?

চিংড়ির মাথায় কয় জোড়া পুঞ্জাক্ষি থাকে?

আরশোলার মাথায় কয় জোড়া পুঞ্জাক্ষি থাকে?

কাঁকড়ার মাথায় কয় জোড়া পুঞ্জাক্ষি থাকে?

কোন প্রাণীর দেহ শক্ত কাইটিন সমৃদ্ধ শক্ত আবরণী দ্বারা আবৃত?

নরমদেহ শক্ত কাইটিন দ্বারা আবৃত কোন প্রাণী?

কোন প্রাণীর দেহে হিমোসিল থাকে?

'হিমোসিল' কোন প্রাণীর বৈশিষ্ট্য?

প্রজাপতির রক্তপূর্ণ দেহ গহ্বর কী নামে পরিচিত?

প্রজাপতির রক্তপূর্ণ দেহ গহ্বরের নাম কী?

চিংড়ির রক্তপূর্ণ দেহ গহ্বর কী নামে পরিচিত?

চিংড়ির রক্তপূর্ণ দেহ গহ্বরের নাম কী?

আরশোলার রক্তপূর্ণ দেহ গহ্বর কী নামে পরিচিত?

আরশোলার রক্তপূর্ণ দেহ গহ্বরের নাম কী?

কাঁকড়ার রক্তপূর্ণ দেহ গহ্বর কী নামে পরিচিত?

কাঁকড়ার রক্তপূর্ণ দেহ গহ্বরের নাম কী?


রচনামূলক প্রশ্নঃ

হিমোসিল কী?
হিমোসিল কাকে বলে?
উত্তর: আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীর দেহে রক্তপূর্ণ গহ্বরকে হিমোসিল বলে।

পেস্ট কী?
উত্তর: আর্থ্রোপোডা পর্বের ক্ষতিকর পোকাদের পেস্ট বলে।

পতঙ্গ প্রাণীদের কীভাবে চেনা যায়? ব্যাখ্যা কর।


উত্তরঃ  পতঙ্গ প্রাণীরা আর্থ্রোপোডা পর্বের। পতঙ্গ বলতে কীট, পোকা ইত্যাদিকে বোঝায়। পতঙ্গ, কীট বা পোকা চেনার
সহজ উপায় হলো:
 এরা সব পরিবেশে বাস করতে পারে।
 এদের দেহের তিনটি অঞ্চল বিভক্ত। যথা: মাথা, বক্ষ এবং উদর।
 এদের সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ রয়েছে।
 এদের অনেকে ডানার সাহায্যে উড়তে পারে।
 এদের মাথায় এক জোড়া পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে।
উপরোক্ত বৈশিষ্ট্য দ্বারা সহজে পতঙ্গদের সহজে চেনা যায়।

প্রাণীজগতের সর্ববৃহৎ পর্বটি ব্যাখ্যা কর।


উত্তর: প্রাণিজগতের সর্ববৃহৎ পর্ব হলো আর্থ্রোপোডা। এরা পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র সব পরিবেশে বাস করতে সক্ষম। এদের
বহু প্রজাতি অন্তঃপরজীবী ও বহিঃপরজীবী হিসেবে বাস করে। বহু প্রাণী স্থলে, স্বাদু পানি ও সমুদ্রে বাস করে।
আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সমূহ :
• এ পর্বের প্রাণীদের পা গুলো সন্ধিযুক্ত বা বহুসংখ্যক খণ্ডাংশ নিয়ে গঠিত।
• দেহ কাইটিন সমৃদ্ধ কিউটিকল দ্বারা আবৃত থাকে।
• মাথায় একজোড়া পুঞ্জাক্ষী এবং অ্যান্টেনা থাকে।
• এ পর্বের প্রাণীদের রক্তপূর্ণ হিমোসিল নামক দেহগহ্বর থাকে।

আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীদের স্বভাব ও বাসস্থান ব্যাখ্যা কর।


আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীদের বাসস্থান বর্ণনা কর।
প্রাণীজগতে সর্ববৃহৎ পর্বের বাসস্থান ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র সকল পরিবেশে বাস করতে সক্ষম। এদের বহু প্রজাতি অন্তঃপরজীবী ও বহিঃপরজীবী
হিসেবে বাস করে। বহু প্রাণী স্থলে, স্বাদু পানিতে ও সমুদ্রে বাস করে। এ পর্বের অনেক প্রজাতির প্রাণী ডানার সাহায্যে
উড়তে পারে।

চিংড়ি কেন আর্থ্রোপোডা পর্বে অন্তর্ভু ক্ত? ব্যাখ্যা কর।


কাঁকড়া কেন আর্থ্রোপোডা পর্বে অন্তর্ভু ক্ত? ব্যাখ্যা কর।
প্রজাপতি কেন আর্থ্রোপোডা পর্বে অন্তর্ভু ক্ত? ব্যাখ্যা কর।
আরশোলা কেন আর্থ্রোপোডা পর্বে অন্তর্ভু ক্ত? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ আরশোলা আর্থোপোডা পর্বের অন্তর্ভু ক্ত। কারণ এদের দেহে নিচের বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়। যথা:
 দেহ খণ্ডায়িত ও সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ বিদ্যমান।
 মাথায় একজোড়া পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে।
 এদের হিমোসিল নামক রক্তপূর্ণ দেহগহ্বর বিদ্যমান।
 এদের দেহ কাইটিনসমৃদ্ধ শক্ত আবরণী নরম আবৃত থাকে।
উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো আর্থোপোডা পর্বের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য। সে জন্য আরশোলাকে আর্থোপোডা পর্বের অন্তর্ভু ক্ত
করা হয়েছে।

প্রাণীজগতের সবচেয়ে বড় পর্বের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।


আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীদের  সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।
আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীদের  তিনটি শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।
প্রজাপতির বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।
উত্তর: আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সমূহ :
• দেহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত যেমন, মস্তক, বক্ষ ও উদর।
• এ পর্বের প্রাণীদের পা গুলো সন্ধিযুক্ত বা বহুসংখ্যক খণ্ডাংশ নিয়ে গঠিত।
• দেহ কাইটিন সমৃদ্ধ কিউটিকল দ্বারা আবৃত থাকে।
• মাথায় একজোড়া পুঞ্জাক্ষী এবং অ্যান্টেনা থাকে।
• এ পর্বের প্রাণীদের রক্তপূর্ণ হিমোসিল নামক দেহগহ্বর থাকে।

সন্ধিপদী প্রাণী গুরুত্বপূর্ণ কেন? ব্যাখ্যা কর।


উত্তর: আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীদের সন্ধিপদী প্রাণী বলা হয়। আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এর
প্রধান কারণ এরা সব পরিবেশে বাঁচতে পারে। এ বৈশিষ্ট্যের কারণে এদের প্রাণিজগতে নির্দি ষ্ট স্থানে রাখা হয়েছে। সন্ধিপদী
অপকারী প্রাণীরা বিভিন্ন ধরনের রোগ ছড়ায় ও ফসলের ক্ষতি করে। আবার, চিংড়ি, রেশম মথ, মৌমাছি এসব প্রাণী
প্রতিপালনের মাধ্যমে আর্থিক সমৃদ্ধি সম্ভব। এসব প্রাণী ফসলের ক্ষতি করলেও ফসল বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে
গুরুত্বপূর্ণ ভূ মিকা পালন করার কারণে সন্ধিপদী প্রাণীরা গুরুত্বপূর্ণ।

চিংড়িকে মাছ বলা হয় না কেন?  ব্যাখ্যা কর।


চিংড়ি মাছ নয় কেন?
চিংড়িকে জলজ পোকা বলা হয় কেন?
উত্তর: চিংড়ি আর্থ্রোপোডা পর্বভু ক্ত প্রাণী। পক্ষান্তরে মাছ কর্ডাটা পর্বের অস্টিকথিস শ্রেণীভু ক্ত। মাছের দেহ
সাইক্লোয়েড, গানেয়েড বা টিনয়েড ধরনের আঁইস দ্বারা আবৃত থাকে, যা চিংড়িতে অনুপস্থিত। আবার মাছের মাথার দুই
পাশে চার জোড়া ফু লকা থাকে, যা কানকু দিয়ে ঢাকা থাকে । চিংড়ির দেহে এ ধরনের কোন ফু লকা নেই। অর্থাৎ মাছের
বৈশিষ্ট্য থেকে ভিন্নধর্মী বৈশিষ্ট্যের কারণেই চিংড়ি মাছ নয়। এছাড়াও এদের সন্ধিপদ যুক্ত পা আছে যা মাছেদের থাকেনা।
সন্ধিপদ যাদের থাকে তাকে পোকা বলা হয়ে থাকে। এইজন্য চিংড়ি মাছ নয়। এটি জলের পোকা। জলের থেকে পাওয়া
যায় বলে মাছ বলা হয়।

আর্থ্রোপোডা ও নেমাটোডার মধ্যে পার্থক্য লিখ।


উত্তর: আর্থ্রোপোডা ও নেমাটোডার মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ:
আর্থ্রোপোডা নেমাটোডা
i.দেহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ বিশিষ্ট। দেহ নলাকার ও পুরু ত্বক দ্বারা আবৃত।

ii.রক্তপূর্ণ গহ্বর বা হিমোসিল সম্পৃক্ত। দেহে কোনো হিমোসিল থাকে না। গহ্বর অনাকৃ ত ও প্রকৃ ত
সিলোম বিহীন।

ii.মাথায় পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে। পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা জাতীয় কিছুই থাকে না।

iii.সাধারণত উভলিঙ্গিক। সাধারণত একলিঙ্গিক।

আর্থ্রোপোডা ও অ্যানিলিডা মধ্যে পার্থক্য লিখ।


উত্তর: আর্থ্রোপোডা ও অ্যানিলিডা মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ:
আর্থ্রোপোডা অ্যানিলিডা
এ পর্বের প্রাণীদের দেহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত। এ পর্বের প্রাণীদের দেহ নলাকার ও খণ্ডায়িত।

এদের সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ রয়েছে। এদের সন্ধিযুক্ত উপাা নেই।


এদের দেহ কাইটিন সমৃদ্ধ শক্ত আবরণী দ্বারা আবৃত। এদের দেহ কাইটিনবিহীন পাতলা পর্দা দ্বারা আবৃত।

এদের মালপিজিয়ান নালিকা নামক রেচন অঙ্গ থাকে। এদের নেফ্রিডিয়া রেচন অঙ্গ থাকে।

এদের পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে। এদের পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে না।

চিংড়ি ও জোঁকের মধ্যে পার্থক্য লিখ।


উত্তর: চিংড়ি ও জোঁকের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ:
চিংড়ি জোঁক
চিংড়ি আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণী। জোঁক অ্যানিলিডা পর্বের প্রাণী।
চিংড়ির দেহ খণ্ডায়িত হলেও নলাকার নয়। জোঁকের দেহ নলাকার ও খণ্ডায়িত।

এদের সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ রয়েছে।


এদের দেহ কাইটিন সমৃদ্ধ শক্ত আবরণী দ্বারা আবৃত। এদের দেহ কাইটিনবিহীন পাতলা পর্দা দ্বারা আবৃত।

এদের মালপিজিয়ান নালিকা রেচন অঙ্গ থাকে। এদের নেফ্রিডিয়া নামক রেচন অঙ্গ থাকে।
এদের পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে। এদের পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে না।

আরশোলার ও কেঁ চো মধ্যে পার্থক্য লিখ।


উত্তর: আরশোলার ও কেঁ চো মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ:
আরশোলা কেঁ চো
আরশোলা আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণী। কেঁ চো অ্যানিলিডা পর্বের প্রাণী।
আরশোলার দেহ খণ্ডায়িত হলেও নলাকার নয়। কেঁ চোর দেহ নলাকার ও খণ্ডায়িত।

এদের সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ রয়েছে।


এদের দেহ কাইটিন সমৃদ্ধ শক্ত আবরণী দ্বারা আবৃত। এদের দেহ কাইটিনবিহীন পাতলা পর্দা দ্বারা আবৃত।

এদের মালপিজিয়ান নালিকা রেচন অঙ্গ থাকে। এদের নেফ্রিডিয়া নামক রেচন অঙ্গ থাকে।
এদের পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে। এদের পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে না।

চিংড়ির অর্থনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ কর।


উত্তরঃ অর্থনৈতিক বিবেচনায় চিংড়ি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চিংড়ি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য সম্পদ। নিচে এসব
উল্লেখ করা হলো।
 চিংড়ি একটি সুস্বাদু আমিষজাতীয় খাদ্য।
 চিংড়ি চাষের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা যায়।
 বিদেশে প্রচু র চাহিদা থাকায় চিংড়ি রপ্তানি করে প্রচু র বৈদেশিক মুদ্রা অর্জ ন করা সম্ভব।
 উৎপাদন খরচ তু লনামূলকভাবে কম হওয়ায় চিংড়ি চাষ করে লাভবান হওয়া যায়।
 চিংড়ি চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে অনেক লোকের প্রয়োজন হয়। ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
 মিঠা পানিতে তু লনামূলক কম খরচে চিংড়ি চাষ করে প্রচু র লাভবান হওয়া যায়।
 চিংড়ির পরিত্যক্ত অংশ হাঁস, মুরগি ও মাছের খাদ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
 চিংড়ির খোলস দ্বারা শিশুদের বিভিন্ন ধরনের খেলনা প্রস্তুত করা হয়।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে সুপরিকল্পিতভাবে চিংড়ি চাষ করে অত্যন্ত লাভবান হওয়া যায়। তাই চিংড়ি আমিষের অভাব
পূরণে, কর্মসংস্থানে, অর্থনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ
কাঁকড়ার অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ কাঁকড়া বৃহত্তম পর্ব আর্থ্রোপোডার অন্তর্ভু ক্ত। নিচে কাঁকড়ার অর্থনৈতিক গুরুত্ব উল্লেখ করা হলো:
কাঁকড়া জলজ বাস্তুসংস্থানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। জলাশয়ের পরিবেশ ঠিক রাখতে এর যথেষ্ট ভূ মিকা রয়েছে।
এটি মৃত জীবজন্তু খেয়ে জলজ বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে।
 এটি পৃথিবীর প্রায় সকল পরিবেশে বাস করতে সক্ষম। এ কারণে এর উৎপাদন সহজ।
 কাঁকড়া জামিষ জাতীয় খাদ্যের অন্যতম উৎস। বর্ত মানে খাদ্য হিসেবে এটি অনেক দেশে খুব জনপ্রিয় হয়ে
উঠেছে। তাই বাণিজ্যিকভাবে এটি উৎপাদন করা হচ্ছে।
 বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এগুলো রপ্তানি করে প্রচু র বৈদেশিক মুদ্রা অর্জ ন সম্ভব হচ্ছে। বাংলাদেশের লবণাক্ত পানির
শিলা প্রজাতির কাঁকড়ার রয়েছে বিশ্বজোড়া খ্যাতি। চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, হংকং, আমেরিকা ও
ইউরোপের বাজারে খাবারের তালিকায় এখন শীর্ষে। বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে আট হাজার মেট্রিক টন
কাঁকড়া উৎপাদিত হয়। এর ৯০ শতাংশই রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে।
 বর্ত মানে দেশীয় বাজারেও এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শহরের অভিজাত রেস্তোরায় নিয়মিত কাঁকড়ার বিভিন্ন সুস্বাদু
খাবার পরিবেশিত হচ্ছে। ফলে এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
 কাঁকড়া চাষ করে বহু লোক বেকার সমস্যা দূর হচ্ছে। এছাড়া কাঁকড়ার উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ইত্যাদি
কাজে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। যা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূ মিকা রাখে
অতএব বলা যায়, কাকড়া একটি অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পন্ন প্রাণী।

আর্থ্রোপোডা  পর্বের প্রাণীদের অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।


মানবজীবনে আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীদের প্রভাব বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ আর্থ্রোপোডা পর্বভু ক্ত প্রাণীরা মানবজীবনে গুরুত্ব অপরিসীম। আর্থ্রোপোডা পর্বে বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ
রয়েছে যেমন- চিংড়ি, মৌমাছি, প্রজাপতি ইত্যাদি অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পন্ন প্রাণী। এরা মানুষের উপকার ও অপকার
উভয় ধরনের কাজ করে।

 চিংড়ি একটি সুস্বাদু আমিষজাতীয় খাদ্য। বিভিন্ন ধরনের চিংড়ি যেমন- গলদা, বাগদা ইত্যাদি আমিষ জাতীয়
খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। চিংড়ি চাষের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা যায়। মিঠাপানিতে তু লনামূলকভাবে
কম খরচে চিংড়ি চাষ করে প্রচু র লাভবান হওয়া যায়। চিংড়ি চাষ করে বেকার সমস্যা দূর করা যায়। এছাড়া
বর্ত মানে চিংড়ি রপ্তানি করে প্রচু র বৈদেশিক মুদ্রা অর্জ ন সম্ভব হচ্ছে, যা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে একটি
বড় ধরনের ইতিবাচক ভূ মিকা পালন করে।

 বাংলাদেশের লবণাক্ত পানির শিলা প্রজাতির কাঁকড়ার রয়েছে বিশ্বজোড়া খ্যাতি। চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর,
থাইল্যান্ড, হংকং, আমেরিকা ও ইউরোপের বাজারে খাবারের তালিকায় এখন শীর্ষে। বাংলাদেশে প্রতিবছর
গড়ে আট হাজার মেট্রিক টন কাঁকড়া উৎপাদিত হয়। এর ৯০ শতাংশই রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে।  কাঁকড়া চাষ
করে বহু লোক বেকার সমস্যা দূর করে। এর ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়।

 মৌমাছি ও প্রজাপতি উদ্ভিদের পরাগায়ণে সাহায্য করে। আর পরাগায়ণের ফলেই উৎপন্ন হয় ফল ও বীজ, যা
মানুষসহ অন্যান্য জীবের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছড়া মৌমাছি ফু ল থেকে মধু সংগ্রহ করে।

 রেশম পোকা থেকে রেশম সুতা পাওয়া যায়, মৌমাছি থেকে মধু, মোম ইত্যাদি উপকারী দ্রব্য পাওয়া যায়। মধু
অত্যন্ত পুষ্টিকর ও ভেষজ গুণ সম্পন্ন।

 এ পর্বের ক্ষতিকর পোকাদের পেস্ট বলা হয়। এ পর্বভু ক্ত ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ ফসল নষ্ট করে, মারাত্মক রোগ
জীবাণু বহন করে মানুষের সীমাহীন ক্ষতি করে। উদাহরণ-পামরী পোকা ধান গাছে এবং বিছা পোকা পাট গাছে
রোগ সৃষ্টি করে গাছ নষ্ট করে ফেলে।
 স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণু ছড়াতে সাহায্য করে। কিউলেক্স মশা গোদরোগের
জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। সাম্প্রতিক অধিক আলোচিত এবং মানুষের ভীতির কারণ পীতজ্বর ও
ডেঙ্গুজ্বরের জীবাণু (ভাইরাস) এডিস মশা বহন করে।
 আরশোলা কীটপতঙ্গকে খায়। এর মল খাদ্যদ্রব্যকে নষ্ট করে।
 উকু ন, ছারপোকা ও মাইটস ইত্যাদি মানুষ ও গৃহপালিত পশুপাখির অনেক ক্ষতি করে।
 উইপোকা আমাদের বাড়িঘর, আসবাবপত্র ও বইপত্র ইত্যাদি মূল্যবান দ্রব্য কেটে নষ্ট করে ফেলে।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীরা আমিষের অভাব পূরণে, কর্মসংস্থানে, অর্থনৈতিকভাবে খুবই
গুরুত্বপূর্ণ।
পর্ব-৭: মালাস্কা বা কম্বোজ প্রাণী

স্বভাব ও বাসস্থান: এ পর্বের প্রাণীদের গঠন, বাসস্থান ও স্বভাব বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়। এরা পৃথিবীর প্রায় সকল পরিবেশেই বাস
করে। এদের অধিকাংশ প্রজাতি খোলকবিশিষ্ট। এরা সামুদ্রিক এবং সাগরের বিভিন্ন স্তরে বসবাস করে। বহু প্রজাতির
মলাস্কা পাহাড়ি অঞ্চলে, উপত্যকায়, বনে-জঙ্গলে অথবা সমতলভূ মিতে বাস করে। অপরপক্ষে কিছু কিছু প্রজাতি
বিভিন্ন ধরনের স্বাদু পানিতে বসবাস করে। যথা- শামুক, ঝিনুক ও অক্টোপাস।
মালাস্কা পর্বের প্রাণীদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ:
• দেহ নরম, মাংসল ও অখন্ডায়িত।
• ম্যান্টল নামক পাতলা পর্দা  দ্বারা দেহের নরম অংশ আবৃত থাকে। ম্যান্টল থেকে ক্ষরিত পদার্থে চু র্নময় শক্ত খোলস
গঠিত হয়। সাধারণত খোলসের ভেতর প্রাণীরা অবস্থান করে।
• পেশিবহুল পা দিয়ে এরা চলাচল করে।
• ফু সফু স বা ফু লকার সাহায্যে শ্বসনকার্য চালায়।

উদাহরণ : শামুক, ঝিনুক ও অক্টোপাস

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:

কোন পর্বের প্রাণীদের গঠন, বাসস্থান ও স্বভাব বৈচিত্র্যপূর্ণ?

কোন পর্বের প্রাণীরা সামুদ্রিক এবং সাগরের বিভিন্ন স্তরে বাস করে?

কোন পর্বের প্রাণীরা পৃথিবীর প্রায় সকল পরিবেশে বাস করে?

কোন পর্বের কিছু কিছু প্রজাতি পাহাড় অঞ্চলে, বনেজঙ্গলে ও স্বাদু পানিতে বাস করে?
মালাস্কা পর্বের কিছু কিছু প্রজাতি কোথায় বাস করে?

কোন পর্বের প্রাণীদের দেহ নরম? 

কোন পর্বের প্রাণীদের নরম দেহটি সাধারণত শক্ত খোলস দ্বারা আবৃত থাকে?

মালাস্কা পর্বের প্রাণীদের নরম দেহ সাধারণত কী দ্বারা আবৃত থাকে?


উত্তরঃ শক্ত খোলস বা ম্যান্টল

কোন পর্বের প্রাণীরা পেশিবহুল পা দিয়ে এরা চলাচল করে?

ফু সফু স বা ফু লকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায় কারা?

কোন পর্বের প্রাণীরা ফু সফু স বা ফু লকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়?

কোন পর্বের প্রাণীরা ফু সফু সের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়?

মালাস্কা পর্বের প্রাণীরা কিসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়?

মালাস্কা পর্বের প্রাণীর ২টি উদাহরণ লিখ।

শামুক ও ঝিনুক কোন পর্বের প্রাণী?

ঝিনুক কোন পর্বের প্রাণী?

শামুক কোন পর্বের প্রাণী?

কোন প্রাণীর দেহ নরম? 

মালাস্কা পর্বের প্রাণীদের শনাক্তকরণের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য কী?

কোন প্রাণীর নরম দেহটি সাধারণত শক্ত খোলস দ্বারা আবৃত থাকে?

শামুকের নরম দেহ সাধারণত কী দ্বারা আবৃত থাকে?


উত্তরঃ শক্ত খোলস বা ম্যান্টল।

ঝিনুকের নরম দেহ সাধারণত কী দ্বারা আবৃত থাকে?


উত্তরঃ শক্ত খোলস বা ম্যান্টল।
পেশিবহুল পা কোন প্রাণীর বৈশিষ্ট্য?

কোন প্রাণী পেশিবহুল পা দিয়ে চলাচল করে?

শামুক ও ঝিনুক কী দিয়ে চলাচল করে? 

শামুক কী দিয়ে চলাচল করে? 

ঝিনুক কী দিয়ে চলাচল করে? 

কোন প্রাণীরা ফু সফু স বা ফু লকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়?

শামুক কিসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়?

ঝিনুক কিসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়?

রচনামূলক প্রশ্নঃ

ম্যান্টল কী?
ম্যান্টল কাকে বলে?
উত্তর: যে পাতলা পর্দা  দ্বারা মালাস্কা পর্বের প্রাণী দেহের নরম মাংসল অংশ আবৃত থাকে তাকে ম্যান্টল বলে। ম্যান্টল
থেকে ক্ষরিত পদার্থে চু র্নময় শক্ত খোলস গঠিত হয়।

মালাস্কা পর্বের প্রাণীদের স্বভাব ও বাসস্থান ব্যাখ্যা কর।


মালাস্কা পর্বের প্রাণীদের বাসস্থান বর্ণনা কর।
উত্তর: এ পর্বের প্রাণীদের গঠন, বাসস্থান ও স্বভাব বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়। এরা পৃথিবীর প্রায় সকল পরিবেশেই বাস করে। এদের
অধিকাংশ প্রজাতি খোলকবিশিষ্ট। এরা সামুদ্রিক এবং সাগরের বিভিন্ন স্তরে বসবাস করে। বহু প্রজাতির মলাস্কা পাহাড়ি
অঞ্চলে, উপত্যকায়, বনে-জঙ্গলে অথবা সমতলভূ মিতে বাস করে। অপরপক্ষে কিছু কিছু প্রজাতি বিভিন্ন ধরনের স্বাদু
পানিতে বসবাস করে। যথা- শামুক, ঝিনুক ও অক্টোপাস।

শামুক কেন মালাস্কা পর্বে অন্তর্ভু ক্ত? ব্যাখ্যা কর।


ঝিনুক কেন মালাস্কা পর্বে অন্তর্ভু ক্ত? ব্যাখ্যা কর।
ঝিনুক মালাস্কা পর্বে অন্তর্ভু ক্ত কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ঝিনুকের দেহ নরম। এর নরম দেহটি সাধারণত শক্ত খোলস দ্বারা আবৃত থাকে। ঝিনুক পেশিবহুল পা দিয়ে
চলাচল করে। ঝিনুকের দৈহিক বৈশিষ্ট্য মলাস্কা পর্বের প্রাণীদের সাধারণ  বৈশিষ্ট্যের অনুরূপ। তাই ঝিনুক মলাস্কা পর্বের
অন্তর্ভু ক্ত।
মালাস্কা পর্বের প্রাণীদের  সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।
মালাস্কা পর্বের প্রাণীদের  তিনটি শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।
শামুকের বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।
কাঁকড়ার বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।
ঝিনুকের বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।
উত্তর: মালাস্কা পর্বের প্রাণীদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ:
 দেহ নরম, মাংসল ও অখন্ডায়িত।
 ম্যান্টল নামক পাতলা পর্দা  দ্বারা দেহের নরম অংশ আবৃত থাকে। ম্যান্টল থেকে ক্ষরিত পদার্থে চু র্নময় শক্ত
খোলস গঠিত হয়। সাধারণত খোলসের ভেতর প্রাণীরা অবস্থান করে।
 পেশিবহুল পা দিয়ে এরা চলাচল করে।
 ফু সফু স বা ফু লকার সাহায্যে শ্বসনকার্য চালায়।

সিলোম ও ম্যান্টল একই কিনা? ব্যাখ্যা কর।


উত্তর: সিলোম হলো বহুকোষী প্রাণীর পৌষ্টিকনালি এবং দেহ প্রাচীরের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থান। কিন্তু ম্যান্টল হলো দেহ
আবৃত করে রাখার পাতলা আবরণ। এই ম্যান্টল থেকে ক্ষরিত পদার্থ খোলক গঠন করে। তাই সিলোম ও ম্যান্টল ভিন্ন।

শামুকের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।


উত্তরঃ শামুক মলাস্কা পর্বের অন্তর্গত। শামুক বিভিন্নভাবে মানুষের উপকার করে থাকে। যেমন:
 পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শামুকের মাংস আমিষ জাতীয় খাদ্য হিসেবে বেশ সমাদৃত।
 শামুক থেকে মূল্যবান মুক্তা পাওয়া যায়।
 বোতাম ও অন্যান্য শৌখিন দ্রব্য প্রস্তুতে শামুক ব্যবহৃত হয়।
 পানিতে ভাসমান জৈব পদার্থ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে পানিকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্যে করে।
 শামুক পুড়িয়ে চু ন তৈরি করা হয়।
 শামুকের মাংস বড়শির টোপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
 শামুক ভূ মিক্ষয় নিবারক হিসেবে কাজ করে।
 শামুকচূ র্ণ এবং দেহের কোমল অংশ হাঁস-মুরগির খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
 ওষুধ হিসেবে শামুকের ব্যবহার দেখা যায়।
সুতরাং উপরোক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, শামুক অর্থনৈতিক ও পরিবেশগতভাবে শামুকের গুরুত্ব অপরিসীম।

ঝিনুকের অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।


উত্তরঃ ঝিনুক মলাস্কা পর্বের অন্তর্গত। ঝিনুক বিভিন্নভাবে মানুষের উপকার করে থাকে। এ পর্বের অন্তর্ভু ক্ত প্রাণি যেমন:
 ঝিনুক পুড়িয়ে চু ন তৈরি করা হয়।
 শিল্পদ্রব্য তৈরিতে ঝিনুকের ব্যবহার রয়েছে। যেমন- অলংকার, বোতাম ও অন্যান্য সৌখিন গহনা প্রস্তুতিতে
উপাদান হিসেবে ব্যবহত হয়ে থাকে।
 ঝিনুক কৃ ত্রিমভাবে চাষাবাদ করে মূল্যবান মুক্তা সংগ্রহ করা হয়।
 ঝিনুক রপ্তানি করে প্রচু র বৈদেশিক মুদ্রা অর্জ ন করা।
 ঝিনুকের ভেতরের অংশ খাবার হিসেবে অনেক রেস্টু রেন্টে বিক্রি হয়ে থাকে। পৃথিবীর অনেক দেশে (যেমন-
কাডানা) ঝিনুকের (যেমন- ওয়েস্টার) মাংস খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
মালাস্কা পর্বের অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।
মোলাস্কা পর্বের কিছু কিছু প্রাণি অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। মোলাস্কা পর্বের প্রাণীদের অর্থনৈতিক গুরুত্ব বলতে বুঝায় এ
পর্বের প্রাণী, যা আমাদের কী কী উপকারে আসে অথবা, আমাদের কী ধরণে ক্ষতিসাধন করে।
উপকারী প্রাণী হিসেবে:
শামুক: শামুক মলাস্কা পর্বের অন্তর্গত। শামুক বিভিন্নভাবে মানুষের উপকার করে থাকে। যেমন:
 পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শামুকের মাংস আমিষ জাতীয় খাদ্য হিসেবে বেশ সমাদৃত।
 শামুক থেকে মূল্যবান মুক্তা পাওয়া যায়।
 বোতাম ও অন্যান্য শৌখিন দ্রব্য প্রস্তুতে শামুক ব্যবহৃত হয়।
 পানিতে ভাসমান জৈব পদার্থ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে পানিকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্যে করে।
 শামুক পুড়িয়ে চু ন তৈরি করা হয়।
 শামুকের মাংস বড়শির টোপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
 শামুক ভূ মিক্ষয় নিবারক হিসেবে কাজ করে।
 শামুকচূ র্ণ এবং দেহের কোমল অংশ হাঁস-মুরগির খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
 ওষুধ হিসেবে শামুকের ব্যবহার দেখা যায়।
ঝিনুক: ঝিনুক মলাস্কা পর্বের অন্তর্গত। ঝিনুক বিভিন্নভাবে মানুষের উপকার করে থাকে। এ পর্বের অন্তর্ভু ক্ত প্রাণি যেমন:
 ঝিনুক পুড়িয়ে চু ন তৈরি করা হয়।
 শিল্পদ্রব্য তৈরিতে ঝিনুকের ব্যবহার রয়েছে। যেমন- অলংকার, বোতাম ও অন্যান্য সৌখিন গহনা প্রস্তুতিতে
উপাদান হিসেবে ব্যবহত হয়ে থাকে।
 ঝিনুক কৃ ত্রিমভাবে চাষাবাদ করে মূল্যবান মুক্তা সংগ্রহ করা হয়।
 ঝিনুক রপ্তানি করে প্রচু র বৈদেশিক মুদ্রা অর্জ ন করা।
 ঝিনুকের ভেতরের অংশ খাবার হিসেবে অনেক রেস্টু রেন্টে বিক্রি হয়ে থাকে। পৃথিবীর অনেক দেশে (যেমন-
কাডানা) ঝিনুকের (যেমন- ওয়েস্টার) মাংস খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
অপকারী প্রাণী হিসেবে:
• কিছু ঝিনুক রয়েছে, যারা নৌকা ও ছোট জাহাজ ইত্যাদি নৌযানের তলদেশ ছিদ্র করে ক্ষতি সাধন করে।
• কিছু প্রজাতির বিষাক্ত ঝিনুক আছে, যাদের মাংসল অংশ ভক্ষনে মানুষের জীবনশংকা বা প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটতে
পারে।
পর্ব-৮: একাইনোডার্মাটা বা কন্টকত্বক প্রাণী

স্বভাব ও বাসস্থান: এই পর্বের সকল প্রাণী সামুদ্রিক। পৃথিবীর সকল মহাসাগরে এবং কোনো কোনো প্রাণী সমুদ্র তীরে
আবার কোনো কোনো প্রাণী সকল গভীরতায় এদের বসবাস করতে দেখা যায়। এদের স্থলে বা মিঠা পানিতে পাওয়া যায়
না। এরা অধিকাংশ মুক্তজীবী।

একাইনোডারমাটা পর্বের প্রাণীদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ:


• এদের দেহত্বক কাঁটাযুক্ত।
• এদের দেহ অরীয়  প্রতিসম বা পাঁচটি সমান ভাগে বিভক্ত।
• এদের পানি সংবহনতন্ত্র থাকে।
• এরা নালিপদের সাহায্যে চলাচল করে।
এই পর্বের পূর্ণাঙ্গ প্রাণীদের, অঙ্কীয় ও পৃষ্ঠদেশ নির্ণয় করা যায় কিন্তু মাথা চিহ্নিত করা যায় না।

উদাহরণ:  তারামাছ, সমুদ্ৰ শশা।


সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:

কোন পর্বের সব প্রাণী সামুদ্রিক?

একাইনোডারমাটা পর্বের সব প্রাণী কোথায় বাস করে?

কোন পর্বের প্রাণীদের স্থলে বা মিঠা পানিতে পাওয়া যায় না?

কোন পর্বের অধিকাংশ প্রাণী মুক্তজীবী?

কোন পর্বের প্রাণীদের পৃথিবীর সকল মহাসাগরে এবং সকল গভীরতায়  বসবাস করতে দেখা যায়?

কোন পর্বের প্রাণীদের পৃথিবীর সকল মহাসাগরে  দেখা যায়?

কোন পর্বের প্রাণীর দেহত্বক কাঁটাযুক্ত? 

কোন পর্বের প্রাণীর দেহ পাঁচটি সমান ভাগে বিভক্ত?

একাইনোডারমাটা পর্বের প্রাণীদের দেহ কয়ভাগে বিভক্ত?

পানি সংবহনতন্ত্র ও নালিপদের সাহায্যে চলাচল করে কোন পর্বের প্রাণীরা?

কোন পর্বের প্রাণীর পানি সংবহনতন্ত্র থাকে? 

একাইনোডারমাটা প্রাণীরা কিসের মাধ্যমে চলাচল করে?

কোন পর্বের প্রাণীরা নালিপদের সাহায্যে চলাচল করে?

মুক্তজীবী সামুদ্রিক প্রাণীরা কিসের সাহায্যে চলাচল করে?

কোন পর্বের পূর্ণাঙ্গ প্রাণীদের মাথার অঙ্কীয়দেশ ও পৃষ্ঠদেশ নির্ণয় করা যায় না?

একাইনোডারমাটা পর্বের প্রাণীর ২টি উদাহরণ লিখ।

তারামাছ ও সমুদ্র শশা কোন পর্বের প্রাণী?

তারামাছ কোন পর্বের প্রাণী?

সমুদ্র শশা কোন পর্বের প্রাণী?

কোন প্রাণীর দেহত্বক কাঁটাযুক্ত? 


কোন বৈশিষ্ট্যের কারণে কোন প্রাণীকে একাইনোডার্মাটা পর্বের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা যায়?
কোন প্রাণীর দেহ পাঁচটি সমান ভাগে বিভক্ত?

কোন প্রাণী অরীয় প্রতিসম?

কোন প্রাণীর পানি সংবহনতন্ত্র থাকে? 

নালিপদের সাহায্যে চলাচল করে কোন প্রাণী?

তারামাছ কীসের সাহায্যে চলাচল করে?

সমুদ্র শশা কীসের সাহায্যে চলাচল করে?

কোন পূর্ণাঙ্গ প্রাণীদের মাথা অঙ্কীয়দেশ ও পৃষ্ঠদেশ নির্ণয় করা যায় না?
রচনামূলক প্রশ্নঃ

নালীপদ কী?
নালীপদ কাকে বলে?
উত্তর: একাইনোডারমাটা পর্বের প্রাণীদের চলন অঙ্গকে নালীপদ বলে।

অরীয় প্রতিসম কী?


অরীয় প্রতিসম কাকে বলে?
উত্তর: কোনো প্রাণীর দেহকে কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর একাধিকবার সমান দুই অংশে ভাগ করা যায় তখন তাকে অরীয়
প্রতিসম বলে। যেমন- তারামাছ, সমুদ্র শশা ইত্যাদি অরীয় প্রতিসম প্রাণী।

অরীয় প্রতিসম প্রাণী কী?


অরীয় প্রতিসম প্রাণী কাকে বলে?
উত্তর: যে সমস্ত প্রাণীকে এদের দেহের কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর একাধিকবার সমান দুই অংশে ভাগ করা যায় তাকে অরীয়
প্রতিসম প্রাণী বলে। যেমন- তারামাছ, সমুদ্র শশা ইত্যাদি অরীয় প্রতিসম প্রাণী।

তারামাছকে অরীয় প্রতিসম প্রাণী বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।


উত্তর: প্রতিসাম্যের ভিত্তিতে তারা মাছ অরীয় প্রতিসম প্রাণী। সাধারণত প্রাণীদের দৈহিক গঠন যদি এমন হয় যে একে
একাধিকবার কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর সমানভাবে ভাগ করা যায়, তাদের অরীয় প্রতিসম প্রাণী বলে। যেহেতু তারা মাছের
পাঁচটি সমান বাহু আছে। ফলে তারা মাছের দেহের কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর একাধিকবার সমান দুই অংশে ভাগ করা যায়। এ
জন্য তারা মাছকে অরীয় প্রতিসম প্রাণী বলা হয়।

সমুদ্র শশা অরীয় প্রতিসম প্রাণী বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।


উত্তর: যেসব প্রাণীকে তাদের দেহে কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর একাধিকবার সমান দুটি অংশে ভাগ করা যায় তাদের অরীয়
প্রতিসম প্রাণী বলে। সমুদ্র শসার দেহ পাঁচটি সমান ভাগে বিভক্ত। ফলে একে কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর একাধিকার সমান
দুটি অংশে ভাগ করা যায়। এ জন্যই সমুদ্র শসা অরীয় প্রতিসম প্রাণী।
তারামাছকে কেন সরলতম প্রাণী বলা হয় কেন?
উত্তর: তারামাছকে সরলতম প্রাণী বলা হয়। কারণ, এদের দেহকে প্রতিসাম্যতার ভিত্তিতে সরলভাবে যেকোনো দিক
দিয়ে বিভক্ত করা যায়। এছাড়া, এদের মেরুদণ্ডসহ সুগঠিত স্নায়ুতন্ত্র, হৃদপিণ্ড এবং
শ্বসনতন্ত্র অনুপস্থিত। এ কারণে তারামাছকে সরলতম প্রাণী বলা হয়।

তারামাছ/ স্টারফিসকে মাছ বলা হয় না কেন?


উত্তর: তারামাছ একাইনোডার্মাটা পর্বের প্রাণী। পক্ষান্তরে মাছ কর্ডাটা পর্বের অস্টিকথিস শ্রেণীভু ক্ত। মাছের দেহ
সাইক্লোয়েড, গানেয়েড বা টিনয়েড ধরনের আঁইস দ্বারা আবৃত থাকে, কিন্তু তারামাছের দেহত্বক কাঁটাযুক্ত। আবার মাছের
মাথার দুই পাশে চার জোড়া ফু লকা থাকে, যা কানকু দিয়ে ঢাকা থাকে। এরা নালীপদের সাহায্যে চলাচল করে কিন্তু মাছের
সেটি থাকে না। অর্থাৎ মাছের বৈশিষ্ট্য থেকে ভিন্নধর্মী বৈশিষ্ট্যের কারণেই তারামাছকে মাছ বলা হয় না।

একাইনোডারমাটা পর্বের প্রাণীদের স্বভাব ও বাসস্থান ব্যাখ্যা কর।


একাইনোডারমাটা পর্বের প্রাণীদের বাসস্থান বর্ণনা কর।
উত্তর: পর্বের সকল প্রাণী সামুদ্রিক। পৃথিবীর সকল মহাসাগরে এবং কোনো কোনো প্রাণী সমুদ্র তীরে আবার কোনো
কোনো প্রাণী সকল গভীরতায় এদের বসবাস করতে দেখা যায়। এদের স্থলে বা মিঠা পানিতে পাওয়া যায় না। এরা
অধিকাংশ মুক্তজীবী।

একাইনোডারমাটা পর্বের প্রাণীদের  সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।


একাইনোডারমাটা পর্বের প্রাণীদের  তিনটি শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।
তারামাছের বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।
সমুদ্র শশার বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।
উত্তর: একাইনোডারমাটা পর্বের প্রাণীদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ:
• এদের দেহত্বক কাঁটাযুক্ত।
• এদের দেহ অরীয়  প্রতিসম বা পাঁচটি সমান ভাগে বিভক্ত।
• এদের পানি সংবহনতন্ত্র থাকে।
• এরা নালিপদের সাহায্যে চলাচল করে।
এই পর্বের পূর্ণাঙ্গ প্রাণীদের, অঙ্কীয় ও পৃষ্ঠদেশ নির্ণয় করা যায় কিন্তু মাথা চিহ্নিত করা যায় না।

তারামাছ কেন একাইনোডারমাটা পর্বে অন্তর্ভু ক্ত? ব্যাখ্যা কর।


সমুদ্র শশা কেন একাইনোডারমাটা পর্বে অন্তর্ভু ক্ত? ব্যাখ্যা কর।
সমুদ্র শশা একাইনোডারমাটা পর্বে অন্তর্ভু ক্ত কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:

পানি সংবহনতন্ত্র কাকে বলে? 


উত্তরঃ একাইডার্মাটা পর্বের প্রাণীদের দেহে পানি সংবহনে অংশগ্রহনকারী নালিকা দিয়ে যে তন্ত্র গঠিত হয় তাকে
সংবহনতন্ত্র বলে।
পাঠ-৬: মেরুদণ্ডী প্রাণীর শ্রেণীবিন্যাস

মেরুদণ্ডী প্রাণীঃ যেসব প্রাণীর শিরদাঁড় বা মেরুদণ্ড তাছে তাদের মেরুদণ্ডী প্রাণী বলে। যেমন- গরু, ছাগল, ঘোড়া, হাতি,
বানর, সিংহ, মাছ, মানুষ ইত্যাদি।
এদের সাথে কয়েকটি সরল গঠনের সামুদ্রিক প্রাণীদের নিয়ে কর্ডাটা পর্ব গঠিত ।
মেরুদণ্ডী প্রাণীর ১টি পর্ব, ৩টি উপপর্ব ও ৫টি শ্রেণি রয়েছে।

পর্ব-৯: কর্ডাটা

মেরুদণ্ডী সকল প্রাণীরা এ পর্বের সদস্য।


যে সকল প্রাণীর সারাজীবন অথবা শুধুমাত্র ভ্রূণীয় দশায় নটোকর্ড বিদ্যমান থাকে তাদেরকে কর্ডাটা বলে।
স্বভাব ও বাসস্থান : এরা পৃথিবীর সকল পরিবেশে বাস করে। এদের বহু প্রজাতি ডাঙ্গায় বাস করে। জলচর কর্ডাটাদের
মধ্যে বহু প্রজাতি স্বাদু পানিতে অথবা সমুদ্রে বাস করে। বহু প্রজাতি বৃক্ষবাসী, মরুবাসী, মেরুবাসী, গুহাবাসী ও খেচর।
কর্ডাটা পর্বের বহু প্রাণী বহিঃপরজীবী হিসেবে অন্য প্রাণীর দেহে সংলগ্ন হয়ে জীবনযাপন করে।

সাধারণ/শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য সমূহঃ


• এদের সারা জীবন অথবা ভ্রূণ অবস্থায় পৃষ্ঠীয়দেশ বরাবর নটোকর্ড থাকে। উন্নত কর্ডাটায় এটি পর্বতীতে কশেরুকা যুক্ত
মেরুদণ্ডে রূপান্তরিত হয়।
• পৃষ্ঠদেশে একক ও ফাঁপা স্নায়ুরজ্জু থাকে।
• সারাজীবন অথবা জীবনচক্রের কোনো এক পর্যায়ে পার্শ্বীয় গলবিলীয় ফু লকা ছিদ্র থাকে।
• এদের হৃদপিণ্ড অঙ্কিয়দেশে অবস্থান করে।
• এদের দেহ সাধারণত দ্বি-পাশ্বীয় প্রতিসম।

উদাহরণঃ  মানুষ, কু নোব্যাঙ, বাঘ, ইলিশ মাছ  ইত্যাদি।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
কোন পর্বের প্রাণীরা পৃথিবীর সব পরিবেশে বাস করে?

কোন কর্ডাটাদের মধ্যে বহু প্রজাতি স্বাদু পানিতে অথবা সমুদ্রে বাস করে?

কোন পর্বের বহু প্রজাতি ডাঙ্গায় বাস করে?

কোন পর্বের বহু প্রজাতি বৃক্ষবাসী, মরুবাসী, মেরুবাসী, গুহাবাসী ও খেচর জীবনযাপন করে?

কোন পর্বের বহু প্রাণী বহিঃপরজীবী হিসেবে অন্য প্রাণীর দেহে সংলগ্ন হয়ে জীবনযাপন করে?

কোন পর্বের কোনো কোনো প্রজাতির প্রাণীর সারাজীবন অথবা ভ্রূণ অবস্থায় পৃষ্ঠীয়দেশ বরাবর নটোকর্ড অবস্থান করে?

কর্ডার্টা পর্বের প্রাণীর সারা জীবন অথবা ভ্রূণ অবস্থায় নটোকর্ড কোথায় অবস্থান করে?

কর্ডাটা পর্বের প্রাণীর দেহে নরম,নমনীয়, দণ্ডাকার, দৃঢ় ও অখণ্ডায়িত অঙ্গের নাম কী?

'নটোকর্ড ' কোন পর্বের প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য?

নটোকর্ড থাকে কোন পর্বের প্রাণীতে?

উন্নত কর্ডাটা পর্বের প্রাণীদের নটোকর্ড পর্ববতীতে কীসে রূপান্তরিত হয়?

কোন পর্বের প্রাণীদের পৃষ্ঠদেশে একক ও ফাঁপা স্নায়ুরজ্জু থাকে?

পৃষ্ঠদেশ  একক কোন পর্বের প্রাণীদের?

কর্ডাটা পর্বের প্রাণীদের স্নায়ুরজ্জু কেমন?

কোন পর্বের প্রাণীদের সারাজীবন অথবা জীবনচক্রের কোনো এক পর্যায়ে পার্শ্বীয় গলবিলীয় ফু লকা ছিদ্র থাকে?

কোন পর্বের প্রাণীদের সারাজীবন পার্শ্বীয় গলবিলীয় ফু লকা ছিদ্র থাকে?

কোন পর্বের প্রাণীদের জীবনচক্রের কোনো এক পর্যায়ে পার্শ্বীয় গলবিলীয় ফু লকা ছিদ্র থাকে?

কোন প্রাণীর জীবনচক্রের কোনো এক পর্যায়ে পার্শ্বীয় গলবিলীয় ফু লকা ছিদ্র থাকে?

মানুষ, কু নো ব্যাঙ ও রুই মাছ কোন পর্বের উদাহরণ?


মানুষ কোন পর্বের প্রাণী?
সব কর্ডাটা পর্বের প্রাণীরা মেরুদণ্ডী হয় না কেন?
ক) এদের নটোকর্ড বিকৃ ত হয়ে যায় বলে
খ) এদের নটোকর্ড মেরুদণ্ডে পরিণত হয় না বলে
গ) এদের নটোকর্ড মেরুদণ্ড দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয় বলে
√ঘ) এদের নটোকর্ড মেরুদণ্ড দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয় না বলে

রচনামূলক প্রশ্নঃ

মেরুদণ্ডী প্রাণী কী?


মেরুদণ্ডী প্রাণী কাকে বলে?
উত্তর: যেসব প্রাণীর শিরদাঁড় বা মেরুদণ্ড তাছে তাদের মেরুদণ্ডী প্রাণী বলে। যেমন- গরু, ছাগল, ঘোড়া, হাতি, বানর,
সিংহ, মাছ, মানুষ ইত্যাদি।

কর্ডাটা কাকে বলে?


উত্তর: যে সকল প্রাণীর সারাজীবন অথবা শুধুমাত্র ভ্রূণীয় দশায় নটোকর্ড বিদ্যমান থাকে তাদেরকে কর্ডাটা বলে।

কর্ডে ট কী?
উত্তর: কর্ডাটা প্রাণিজগতের একটি পর্ব। এই পর্বের প্রাণীদের নটোকর্ড , স্নায়ুরজ্জু ও গলবিলীয় ফু লকাচ্ছিদ্র আছে
তাদেরকে কর্ডে ট বলা হয়।

কারা কর্ডে ট নামে পরিচিত?


উত্তর: কর্ডাটা প্রাণিজগতের একটি পর্ব। এই পর্বের প্রাণীদের নটোকর্ড , স্নায়ুরজ্জু ও গলবিলীয় ফু লকাচ্ছিদ্র আছে এবং
এরা কর্ডে ট নামে পরিচিত।

কর্ডাটা পর্বের প্রাণীদের স্বভাব ও বাসস্থান ব্যাখ্যা কর।


কর্ডাটা পর্বের প্রাণীদের বাসস্থান বর্ণনা কর।
উত্তর: এরা পৃথিবীর সকল পরিবেশে বাস করে। এদের বহু প্রজাতি ডাঙ্গায় বাস করে। জলচর কর্ডাটাদের মধ্যে বহু
প্রজাতি স্বাদু পানিতে অথবা সমুদ্রে বাস করে। বহু প্রজাতি বৃক্ষবাসী, মরুবাসী, মেরুবাসী, গুহাবাসী ও খেচর। কর্ডাটা
পর্বের বহু প্রাণী বহিঃপরজীবী হিসেবে অন্য প্রাণীর দেহে সংলগ্ন হয়ে জীবনযাপন করে।

কর্ডাটা পর্বের প্রাণীদের  সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।


কর্ডাটা পর্বের প্রাণীদের  তিনটি শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।
উত্তর: সাধারণ/শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য সমূহঃ
 এদের সারা জীবন অথবা ভ্রূণ অবস্থায় পৃষ্ঠীয়দেশ বরাবর নটোকর্ড থাকে। উন্নত কর্ডাটায় এটি পর্বতীতে
কশেরুকা যুক্ত মেরুদণ্ডে রূপান্তরিত হয়।
 পৃষ্ঠদেশে একক ও ফাঁপা স্নায়ুরজ্জু থাকে।
 সারাজীবন অথবা জীবনচক্রের কোনো এক পর্যায়ে পার্শ্বীয় গলবিলীয় ফু লকা ছিদ্র থাকে।
 এদের হৃদপিণ্ড অঙ্কিয়দেশে অবস্থান করে।
 এদের দেহ সাধারণত দ্বি-পাশ্বীয় প্রতিসম

নটোকর্ড কী?
নটোকর্ড কাকে বলে?
নটোকর্ড বলতে কী বুঝ?
উত্তর: নটোকর্ড  হলো একটা নরম, নমনীয়, অখণ্ডায়িত, দণ্ডাকার অঙ্গ। এটি কর্ডাটা পর্বের প্রাণীদের পৃষ্ঠদেশ বরাবর
সারা জীবন অথবা শুধুমাত্র ভ্রুণীয় অবস্থায় বিদ্যমান থাকে। কিন্তু উন্নত কর্ডাটায় পর্ববতীতে পূর্ণাঙ্গ
অবস্থায় নটোকর্ড  কশেরুকা যুক্ত মেরুদণ্ডে রূপান্তরিত হয়। তখন সেসব প্রাণীকে মেরুদণ্ডী প্রাণী বলা হয়।

মানবদেহের নটোর্ডে র অবস্থান ব্যাখ্যা কর।


মানবদেহের নটোর্ডে র অবস্থান ও স্থায়িত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ নটোকর্ড  হলো একটা নরম, নমনীয়, অখণ্ডায়িত, দণ্ডাকার অঙ্গ। যা কর্ডাটা পর্বের প্রাণীর মৌলিক বৈশিষ্ট্য। এটি
কর্ডাটা পর্বের প্রাণীদের পৃষ্ঠদেশ বরাবর সারা জীবন অথবা শুধুমাত্র ভ্রুণীয় অবস্থায় বিদ্যমান থাকে। কিন্তু উন্নত কর্ডাটায়
পর্ববতীতে পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় নটোকর্ড  কশেরুকা যুক্ত মেরুদণ্ডে রূপান্তরিত হয়। তখন সেসব প্রাণীকে মেরুদণ্ডী প্রাণী বলা
হয়। মানবদেহের পৃষ্ঠীয়দেশ বরাবর এর অবস্থান। এ অঙ্গটি মানবদেহে শক্ত কশেরুকাযুক্ত মেরুদণ্ডে পরিবর্তি ত হয়।
মানবদেহে এটি পৃষ্ঠীয়দেশ বরাবর ঘাড় থেকে কোমড় পর্যন্ত অবস্থান করে ও মেরুদণ্ড দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়।

নটোকর্ড ও মেরুদণ্ডের মধ্যে পার্থক্য লিখ।


উত্তরঃ নটোকর্ড ও মেরুদণ্ডের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ:
নটোকর্ড মেরুদণ্ড

নটোকর্ড  হলো একটা নরম, নমনীয়, অখণ্ডায়িত, দণ্ডাকার মেরুদণ্ড হলো শক্ত, নমনীয়, খণ্ডায়িত ও দেহের অক্ষকে
অঙ্গ। অবলম্বন দানকারী অস্থিময় অঙ্গ।
কর্ডাটা পর্বের প্রাণীর সারা জীবন অথবা ভ্রুণ অবস্থায় কর্ডাটা পর্বের উন্নত প্রাণীদের পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় নটোকর্ড
পৃষ্ঠদেশ বরাবর অবস্থান করে। মেরুদন্ড দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়।

সকল মেরুদণ্ডী প্রাণী কর্ডাটা পর্বের হলেও কর্ডাটা পর্বের সকল প্রাণী মেরুদণ্ডী নয় কেন?
সকল মেরুদণ্ডীই কর্ডে ট কিন্তু সকল কর্ডে ট মেরুদণ্ডী নয়।-ব্যাখ্যা কর।
সকল কর্ডাটা পর্বের প্রাণী মেরুদণ্ডী নয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
সব কর্ডাটা পর্বের প্রাণীরা মেরুদণ্ডী হয় না কেন?
উত্তরঃ কর্ডাটা পর্বের অন্তর্ভূ ক্ত প্রাণীদের তিনটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- স্থিতিস্থাপক নটোকর্ড , পৃষ্ঠীয় ফাঁপা স্নায়ুরজ্জু এবং
গলবিলীয় ফু লকারন্ধ্র। এসব বৈশিষ্ট্য সব ধরণের কর্ডাটা পর্বের প্রাণীদের জীবনের যে কোন দশায় কিংবা আজীবন দেখা
যায়। Chordata পর্বের দুটি উপ-পর্ব রয়েছে। যথা- Urochordata ও Cephalochordata. এ সকল সদস্যদের ক্ষেত্রে
কর্ডাটা বৈশিষ্ট্যগুলো আজীবন পাওয়া যায়। কিন্তু Vertebrata উপ-পর্বের ক্ষেত্রে ভ্রুণাবস্থায় নটোকর্ড থাকলেও পূর্ণাঙ্গ
অবস্থায় তা কশেরুকা নির্মিত মেরুদণ্ড দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়। ফু লকরন্ধ্র বন্ধ হয়ে যায় এবং ফু লকা বা ফু সফু সের
আবির্ভাব ঘটে। উক্তির সাথে একমত হয়ে বলা যায় যে, সকল মেরুদণ্ডীই কর্ডে ট (কারণ ভ্রুণাবস্থায় কর্ডাটার সকল
বৈশিষ্ট্য থাকে) কিন্তু সকল কর্ডে ট মেরুদণ্ডী নয় (কারণ, Urochordata ও Cephalochordata উপপর্বের প্রাণীদের
নটোকর্ড কখনোই মেরুদণ্ড দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয় না।

কর্ডাটা পর্বের সদস্যকে কেন মেরুদণ্ডী বলা হয়?


উত্তরঃ কর্ডাটা পর্বের সদস্যকে মেরুদণ্ডী বলা হয় কারণ কর্ডাটা পর্বের অন্তর্ভু ক্ত Vertebrata উপপর্বের কিছু প্রধান
বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার ফলে কর্ডাটা পর্বের সদস্যকে মেরুদণ্ডী বলা হয়। বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ-
 নটোকর্ড কোমলাস্থি বা অস্থি নির্মিত মেরুদণ্ড দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়।
 পৃষ্ঠীয় স্নায়ুরজ্জর সম্মুখপ্রান্ত রূপান্তরিত হয়ে মস্তিষ্ক গঠন করে এবং বাকি অংশ সুষুম্নাকাণ্ডে পরিণত হয়। কঙ্কাল
সম্মুখপ্রান্তে পরিবর্তি ত হয়ে করোটি গঠনের মাধ্যমে মস্তিষ্ককে সুরক্ষিত রাখে।

কর্ড াটা পর্বের উপপর্ব সমূহ

কর্ডাটা পর্বকে তিনটি উপপর্বে ভাগ করা যায়। যথা-


উপপর্ব-১: ইউরোকর্ডাটা (Urochordata)
উপপর্ব-২: সেফালোকর্ডাটা (Cephalochordata)
উপপর্ব-৩: ভার্টি ব্রাটা (Vertebrata)

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:

কর্ডাটা পর্বকে কয়টি উপপর্বে ভাগ করা যায়?

রচনামূলক প্রশ্ন:

কর্ডাটা পর্বকে কয়টি উপপর্বে ভাগ করা যায়? ও কী কী?


উত্তর: কর্ডাটা পর্বকে তিনটি উপপর্বে ভাগ করা যায়। যথা-
উপপর্ব-১: ইউরোকর্ডাটা
উপপর্ব-২: সেফালোকর্ডাটা
উপপর্ব-৩: ভার্টি ব্রাটা
উপপর্ব-১: ইউরোকর্ডাটা (Urochordata)

পৃথিবীর সব সমুদ্র উপকূ লে অগভীর পানিতে এদের পাওয়া যায়। এরা সমুদ্রে এককভাবে কলোনী গঠন বাস করে।
এদেরকে সাগর বা সামুদ্রিক ফোয়ারা নামে ডাকা হয়।

ইউরোকর্ডাটা উপপর্বের প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য সমূহ:


• পরিণত প্রাণীতে নটোকর্ড থাকে না। কিন্তু লার্ভা দশায় কেবল লেজে নটোকর্ড থাকে।
• এদের প্রাথমিক অবস্থায় ফু লকারন্ধ্র, পৃষ্ঠীয় ফাঁপা স্নায়ুরজ্জু বা নার্ভ কর্ড থাকে।
• এদের দেহ টিউনিকা দ্বারা আবৃত।
• পূর্নাঙ্গ অবস্থায় নিচল কিন্তু লার্ভা দশায় মুক্ত সঞ্চারণশীল।
উদাহরণ:  অ্যাসিডিয়া(Ascidia)
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:

কর্ডাটা পর্বকে কয়টি উপপর্বে ভাগ করা হয়েছে?

ইউরোকর্ডাটা উপপর্বের প্রাণীদের কোন দশায় নটোকর্ড থাকে?

ইউরোকর্ডাটা উপপর্বের প্রাণীদের কোন অবস্থায় নটোকর্ড থাকে না?

কর্ডাটা পর্বের কোন উপপর্বের  পরিণত প্রাণীদের নটোকর্ড থাকে না?

ইউরোকর্ডাটা উপপর্বের প্রাণীদের লার্ভা দশায় কী থাকে?

কর্ডাটা পর্বের কোন উপপর্বের প্রাণীদের শুধু লার্ভা দশায় লেজে নটোকর্ড থাকে?

ইউরোকর্ডাটা উপপর্বের প্রাণীদের স্নায়ুরজ্জু কী ধরনের?

ইউরোকর্ডাটা উপপর্বের প্রাণীদের প্রাথমিক অবস্থায় কী কী থাকে?

কর্ডাটা পর্বের কোন উপপর্বের প্রাণীদের প্রাথমিক অবস্থায় ফু লকা রন্ধ্র, পৃষ্ঠীয় ফাঁপা স্নায়ুরজ্জু থাকে?

ইউরোকর্ডাটা উপপর্বের একটি প্রাণীর নাম লিখ।

এসিডিয়া/অ্যাসিডিয়া(Ascidia)  কোন পর্বের প্রাণী?

এসিডিয়া/অ্যাসিডিয়া(Ascidia) কর্ডাটা পর্বের কোন উপপর্বের উদাহরণ?

অ্যাসিডিয়ার কোন দশায় নটোকর্ড থাকে?

অ্যাসিডিয়ার কোন দশায় নটোকর্ড থাকে না?


কোন প্রাণীর পরিণত অবস্থায় নটোকর্ড থাকে না?

কোন প্রাণীর শুধু লার্ভা দশায় লেজে নটোকর্ড থাকে?

অ্যাসিডিয়ার লার্ভা দশায় কী থাকে?

অ্যাসিডিয়ার স্নায়ুরজ্জু কী ধরনের?

অ্যাসিডিয়ার প্রাথমিক অবস্থায় কী কী থাকে?

কোন প্রাণীর প্রাথমিক অবস্থায় ফু লকা রন্ধ্র, পৃষ্ঠীয় ফাঁপা স্নায়ুরজ্জু থাকে?

রচনামূলক প্রশ্নঃ

ইউরোকর্ডাটা কী?
উত্তর: ইউরোকর্ডাটা হলো প্রাণীজগতের কর্ডাটা পর্বের একটি উপপর্ব।

অ্যাসিডিয়া কী?
Ascidia কী?
উত্তর: প্রাণীজগতের কর্ডাটা পর্বের ইউরোকর্ডাটা উপপর্বে একটি প্রাণী।

ইউকর্ডাটা উপপর্বের প্রাণীদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।


অ্যাসিডিয়া প্রাণীদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।
উত্তর: ইউরোকর্ডাটা উপপর্বের প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য সমূহ:
• পরিণত প্রাণীতে নটোকর্ড থাকে না। কিন্তু লার্ভা দশায় কেবল লেজে নটোকর্ড থাকে।
• এদের প্রাথমিক অবস্থায় ফু লকারন্ধ্র, পৃষ্ঠীয় ফাঁপা স্নায়ুরজ্জু বা নার্ভ কর্ড থাকে।
• এদের দেহ টিউনিকা দ্বারা আবৃত।
• পূর্নাঙ্গ অবস্থায় নিচল কিন্তু লার্ভা দশায় মুক্ত সঞ্চারণশীল।

Ascidia কেন ইউকর্ডাটা উপপর্বে অন্তর্ভু ক্ত? ব্যাখ্যা কর।


উত্তর:

অ্যাসিডিয়া কর্ডাটা পর্বের হলেও মেরুদণ্ডী নয় কেন?


উত্তর:
উপপর্ব-২: সেফালোকর্ডাটা

সেফালোকর্ডাটা উপপর্বের প্রাণীরা পৃথিবীর সব উপকূ লীয় পানির বালুময় তলদেশে বাস করে। এসব প্রাণীতে কর্ডে টের
সবকটি বৈশিষ্ট্যের আদি ও সরল রূপ দেখতে পাওয়া যায়। পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত ৩৩ প্রজাতির সেফালোকর্ডাটা শনাক্ত
করা হয়েছে।

সেফালোকর্ডাটা উপপর্বের প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য সমূহ:


• এদের দেহ লম্বাটে, পার্শ্বীয়ভাবে চাঁপা, স্বচ্ছ ও উভয় প্রান্ত সরু।
• এদের দেহে সারাজীবনই নটোকর্ডে র উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
• এরা দেখতে মাছের মতো।

উদাহরণ: ব্রাঙ্কিওস্টোমা(Branchiostoma)
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:

সেফালোকর্ডাটা উপপর্বের প্রাণীদের সারাজীবনই  কী উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়?

কর্ডাটা পর্বের কোন উপপর্বের প্রাণীদের সারাজীবনই নটোকর্ডে র উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়?

সেফালোকর্ডাটা উপপর্বের প্রাণীদের দেখতে কিসের মতো?

কর্ডাটা পর্বের কোন উপপর্বের প্রাণীদের দেখতে মাছের মতো?

ব্রাঙ্কিওস্টোমা(Branchiostoma) কর্ডাটা পর্বের কোন উপপর্বের উদাহরণ?

কোন প্রাণীর দেহে সারাজীবনই নটোকর্ডে র উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়?

কোন প্রাণীর দেহে সারাজীবনই নটোকর্ডে র  থাকে?

ব্রাঙ্কিওস্টোমা(Branchiostoma) প্রাণীর দেহে সারাজীবনই কীসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়?

কোন প্রাণী দেখতে মাছের মতো?

ব্রাঙ্কিওস্টোমা(Branchiostoma) প্রাণীদের দেখতে কীসের মতো?


রচনামূলক প্রশ্নঃ

সেফালোকর্ডাটা কী?
উত্তর: সেফালোকর্ডাটা হলো প্রাণিজগতের কর্ডাটা পর্বের একটি উপপর্ব। 

ব্রাঙ্কিওস্টোমা কী?
Branchiostoma কী?
উত্তর: প্রাণীজগতের কর্ডাটা পর্বের সেফালোকর্ডাটা উপপর্বে একটি প্রাণী।

সেফালোকর্ডাটা উপপর্বের প্রাণীদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।


Branchiostoma প্রাণীর সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।
উত্তর: সেফালোকর্ডাটা উপপর্বের প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য সমূহ:
 এদের দেহ লম্বাটে, পার্শ্বীয়ভাবে চাঁপা, স্বচ্ছ ও উভয় প্রান্ত সরু।
 এদের দেহে সারাজীবনই নটোকর্ডে র উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
 এরা দেখতে মাছের মতো।

সেফালোকার্ডাটা দেখতে মাছের মত তবে মাছ নয়- ব্যাখ্যা করো।


উত্তরঃ আমরা জানি ভার্টি ব্রাটা উপপর্বের অটিকথিস শ্রেণির সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলো হলো মাছের বৈশিষ্ট্য। অর্থাৎ কোন
প্রাণীকে মাছ হতে হলে অবশ্যই তার দেহে সাইক্লয়েড, গ্যানয়েড বা টিনয়েড ধরনের আঁইশ দ্বারা আবৃত হতে হবে।
এছাড়াও এদের মাথার দুই পাশে নির্দি ষ্ট সংখ্যক ফু লকা থাকতে হবে যার সাহায্যে মাছ শ্বাসকার্য চালাবে। কিন্তু
সেফালোকর্ডাটা উপপর্বের প্রাণীদের মধ্যে এ ধরনের কোনো বৈশিষ্ট্য দেখা যায় না। তাই সেফালোকর্ডাটা দেখতে মাছের
মত হলেও এরা মাছ নয় ।

Branchiostoma কেন ইউকর্ডাটা উপপর্বে অন্তর্ভু ক্ত? ব্যাখ্যা কর।


উত্তর:

Branchiostoma কর্ডাটা পর্বের হলেও মেরুদণ্ডী নয় কেন?


উত্তর:
উপপর্ব-৩: ভার্টি ব্রাটা (Vertebrata) বা মেরুদণ্ডী প্রাণী

কর্ডাটা পর্বের যে সকল প্রাণীর ভ্রূণীয় নটোকর্ড পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় তরুণাস্থি বা অস্থি গঠিত মেরুদণ্ড দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়,
তারা Vertebrata উপপর্বের প্রাণী। এই উপ-পর্বের প্রাণীরাই মেরুদন্ডী প্রাণী হিসেবে পরিচিত। কর্ডাটা পর্বের ভার্টি ব্রাটা
উপপর্বের প্রাণীরা উন্নত।

ভার্টি ব্রাটা উপপর্বের প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য সমূহ:


 নটোকর্ড অস্থিময় বা তরুণাস্থিময় কশেরুকাযুক্ত মেরুদণ্ড দ্বারা প্রতিস্থাপিত।
 পৃষ্ঠীয় ফাঁপা স্নায়ুরজ্জু মস্তিষ্ক ও সুষুম্মাকাণ্ড গঠন করে।
 স্নায়ুরজ্জুর সম্মুখ প্রান্ত স্ফীত হয়ে  মস্তিষ্কে পরিণত হয় এবং মস্তিষ্ক করোটির মধ্যে সুরক্ষিত থাকে।
 বৃক্ক প্রধান রেচন অঙ্গ।
 পার্শ্বীয় জোড়া উপাঙ্গ চলন অঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:

কোন উপপর্বের প্রাণীরা মেরুদন্ডী প্রাণী হিসেবে পরিচিত?

কর্ডাটা প্রাণিজগতের মধ্যে যাদের নটোকর্ড , স্নায়ুরজ্জু ও গলবিলীয় ফু লকা ছিদ্র আছে তারা কী নামে পরিচিত?

ভার্টি ব্রাটা প্রাণীদের নটোকর্ড কীসে পরিবর্তি ত হয়?


উত্তর :শক্ত কশেরুকাযুক্ত মেরুদন্ডে।

স্নায়ুরজ্জুর সম্মুখ প্রান্ত স্ফীত হয়ে কীসে পরিণত হয়?


উত্তর :মস্তিষ্কে।
মস্তিষ্ক কীসের মধ্যে সুরক্ষিত থাকে?
উত্তর :করোটির।

ভার্টি ব্রাটা কেন উন্নত প্রাণী?


উত্তর : ভার্টি ব্রাটা উন্নত প্রাণী। এদের নটোকর্ড শক্ত কশেরুকাযুক্ত মেরুদণ্ডে পরিবর্তি ত হয়।

রচনামূলক প্রশ্নঃ

ভার্টি ব্রাটা কী?


উত্তর: ভার্টি ব্রাটা হলো প্রাণীজগতের কর্ডাটা পর্বের একটি উপপর্ব। কর্ডাটা পর্বের যে সকল প্রাণীর ভ্রূণীয় নটোকর্ড
পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় তরুণাস্থি বা অস্থি গঠিত মেরুদণ্ড দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়, তারা Vertebrata উপপর্বের প্রাণী। এই
উপপর্বের প্রাণীরা মেরুদন্ডী প্রাণী হিসেবে পরিচি।

ভার্টি ব্রাটা উপপর্বের প্রাণীরা উন্নত কেন?


উত্তর: ভার্টি ব্রাটা হলো প্রাণীজগতের কর্ডাটা পর্বের একটি উপপর্ব। কর্ডাটা পর্বের যে সকল প্রাণীর ভ্রূণীয় নটোকর্ড
পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় শক্ত কশেরুকাযুক্ত মেরুদণ্ড দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়, বলে Vertebrata উপপর্বের প্রাণীরা উন্নত।

ভার্টি ব্রাটা উপপর্বের প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।


উত্তর: ভার্টি ব্রাটা উপপর্বের প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য সমূহ:
 নটোকর্ড অস্থিময় বা তরুণাস্থিময় কশেরুকাযুক্ত মেরুদণ্ড দ্বারা প্রতিস্থাপিত।
 পৃষ্ঠীয় ফাঁপা স্নায়ুরজ্জু মস্তিষ্ক ও সুষুম্মাকাণ্ড গঠন করে।
 স্নায়ুরজ্জুর সম্মুখ প্রান্ত স্ফীত হয়ে  মস্তিষ্কে পরিণত হয় এবং মস্তিষ্ক করোটির মধ্যে সুরক্ষিত থাকে।
 বৃক্ক প্রধান রেচন অঙ্গ।
 পার্শ্বীয় জোড়া উপাঙ্গ চলন অঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ভার্টি ব্রাটা বা মেরুদণ্ডী প্রাণীর শ্রেণিবিন্যাস
গঠন ও বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে মেরুদণ্ডী প্রাণীদের ৭টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। যথা:

শ্রেণি-১: সাইক্লোস্টোমাটা (Cyclostomata)  বা চোয়ালবিহীন মাছ


শ্রেণি-২:  কনড্রিকথিস (Chondrichthyes) বা তরুণাস্থি মাছ
শ্রেণি-৩: অসটিকথিস (Ostrichthys) বা অস্থিময় মাছ
শ্রেণি-৪: অ্যাম্ফিবিয়া (Amphibia) বা উভয়চর প্রাণী।
শ্রেণি-৫: রেপিটাল (Repital) বা সরীসৃপ প্রাণী।
শ্রেণি-৬: অ্যাভিস (Avis) বা পক্ষিকু ল
শ্রেণি-৭: ম্যামালিয়া (Mammalia) বা স্তন্যপায়ী প্রাণী।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:

ভার্টি ব্রাটা উপপর্বের প্রাণীদের কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে?

গঠন ও বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে মেরুদন্ডী প্রাণীদের কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে?

রচনামূলক প্রশ্ন:

মেরুদন্ডী প্রাণীদের কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়? ও কী কী?


উত্তর: গঠন ও বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে মেরুদণ্ডী প্রাণীদের ৭টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। যথা:
শ্রেণি-১: সাইক্লোস্টোমাটা বা চোয়ালবিহীন মাছ
শ্রেণি-২:  কনড্রিকথিস বা তরুণাস্থি মাছ
শ্রেণি-৩: অসটিকথিস বা অস্থিময় মাছ
শ্রেণি-৪: অ্যাম্ফিবিয়া বা উভয়চর প্রাণী।
শ্রেণি-৫: রেপিটাল বা সরীসৃপ প্রাণী।
শ্রেণি-৬: অ্যাভিস বা পক্ষিকু ল
শ্রেণি-৭: ম্যামালিয়া বা স্তন্যপায়ী প্রাণী।

শ্রেণি-১: সাইক্লোস্টোমাটা (Cyclostomata)/চোয়ালবিহীন মাছ

সাইক্লোস্টোমাটা শ্রেণির প্রাণী সমূহ এক প্রকার চোয়ালহীন মাছ। এরা সামুদ্রিক। এ শ্রেণির অন্তর্ভু ক্ত মাছগুলো সাধারণত
হ্যাগফিশ বা ল্যামপ্রে নামে পরিচিত। এরা দেখতে প্রায় বাইন মাছের মতো।

সাইক্লোস্টোমাটা শ্রেণি প্রাণীর সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহঃ


 এদের দেহ লম্বাটে।
 এদের মুখছিদ্র গোলাকার, চোয়ালবিহীন ও চোষকযুক্ত।
 এদের দেহে আঁইশ বা যুগ্ম পাখনা অনুপস্থিত।
 ফু লকা ছিদ্রের সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়।

উদাহরণ : Petromyzon
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:

কোন শ্রেণির মেরুদণ্ডী প্রাণীদের দেহ লম্বাটে?

সাইক্লোস্টোমাটা শ্রেণির মেরুদণ্ডী প্রাণীদের দেহ কেমন?

কোন শ্রেণির মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মুখছিদ্র গোলাকার, চোয়ালবিহীন?

কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীদের মুখছিদ্র চোয়ালবিহীন ও চোষকযুক্ত?

কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীদের দেহে আঁইশ বা যুগ্ম পাখনা অনুপস্থিত?

কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীরা ফু লকা ছিদ্রের সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়?

কোন মেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহ লম্বাটে?

কোন মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মুখছিদ্র গোলাকার, চোয়ালবিহীন?

সাইক্লোস্টোমাটা শ্রেণির কোন প্রাণীদের দেহ লম্বাটে?

কোন মেরুদন্ডী প্রাণীর দেহে আঁইশ বা যুগ্ম পাখনা অনুপস্থিত?

পেট্রোমাইজন/ Petromyzon প্রাণীর দেহে কোনটি অনুপস্থিত?

পেট্রোমাইজন/ Petromyzon কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীর উদাহরণ?

রচনামূলক প্রশ্নঃ
সাইক্লোস্টোমাটা কী?
উত্তর: সাইক্লোস্টোমাটা হচ্ছে কর্ডাটা পর্বের ভার্টি ব্রাটা উপপর্বের একটি শ্রেণি। সাইক্লোস্টোমাটা শ্রেণির প্রাণী সমূহ এক
প্রকার চোয়ালহীন মাছ। এরা সামুদ্রিক। এ শ্রেণির অন্তর্ভু ক্ত মাছগুলো সাধারণত হ্যাগফিশ বা ল্যামপ্রে নামে পরিচিত।

পেট্রোমাইজন/ Petromyzon কী?


উত্তর: পেট্রোমাইজন হলো কর্ডাটা পর্বের ভার্টি ব্রাটা উপপর্বের সাইক্লোস্টোমাটা শ্রেণির প্রাণী।

সাইক্লোস্টোমাটা শ্রেণির প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।


পেট্রোমাইজন/ Petromyzon এর বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।
উত্তর: সাইক্লোস্টোমাটা শ্রেণি প্রাণীর সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহঃ
 এদের দেহ লম্বাটে।
 এদের মুখছিদ্র গোলাকার, চোয়ালবিহীন ও চোষকযুক্ত।
 এদের দেহে আঁইশ বা যুগ্ম পাখনা অনুপস্থিত।
 ফু লকা ছিদ্রের সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়।

পেট্রোমাইজন /Petromyzon কেন সাইক্লোস্টোমাটা শ্রেণীতে অন্তর্ভু ক্ত? ব্যাখ্যা কর।


উত্তর:

শ্রেণি-২: কনড্রিকথিস (Chondrichthyes)/ তরুণাস্থি বিশিষ্ট মাছ

কনড্রিকথিস শ্রেণির প্রাণী আদি প্রকৃ তির মাছ হলেও এরা বেশ উন্নত। এরা সামুদ্রিক ও শিকারি স্বভাবের হয়ে থাকে।

কনড্রিকথিস শ্রেণি প্রাণীর সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহঃ


• এরা সকলে সমুদ্রে বসবাস করে।
• কঙ্কাল তরুণাস্থিময়।
• দেহ প্ল্যাকয়েড(সূক্ষ্ম কাঁটার মতো) আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে।
• এদের মাথার দুই পাশে ৫-৭ জোড়া ফু লকা ছিদ্র থাকে।
• এদের কানকো থাকে না।
• চোয়ালে অসংখ্য সারিবদ্ধ দাঁত থাকে।

উদাহরণঃ হাঙ্গর,  করাত মাছ, হাতু রি মাছ, লইট্যা, রূপচাঁদা

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:

কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীরা সকলে সমুদ্রে বসবাস করে?

কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীর কঙ্কাল তরুণাস্থিময়?

কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীর দেহ প্ল্যাকয়েড আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে?

কনড্রিকথিস শ্রেণীর প্রাণীরদেহ কী ধরনের আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে?

কনড্রিকথিস শ্রেণীর প্রাণীর মাথার দুই পাশে কয় জোড়া ফু লকা ছিদ্র থাকে?

কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীদের মাথার দুই পাশে ৫ - ৭ জোড়া ফু লকা ছিদ্র থাকে?

কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীদের কানকো থাকে না?

কনড্রিকথিস শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীদের কী থাকে না?

কনড্রিকথিস শ্রেণীর ৩টি প্রাণীর নাম লিখ।

হাঙ্গর/করাত/ হাতু ড়ি মাছ কোন শ্রেণির প্রাণী?

হাতু ড়ি মাছ কোন শ্রেণির প্রাণী?

কোন মেরুদন্ডী প্রাণীর কঙ্কাল তরুণাস্থিময়?


কোন প্রাণীর কঙ্কাল তরুণাস্থিময়?

কোন মেরুদন্ডী প্রাণীর দেহে প্ল্যাকয়েড আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে?

কোন মাছের দেহে প্ল্যাকয়েড আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে?

হাঙ্গর / করাত / হাতু ড়ি মাছের দেহ কী ধরনের আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে?

হাঙ্গর / করাত /হাতু ড়ি মাছের আঁইশ কী ধরনের?

কোন মেরুদন্ডী প্রাণীদের মাথার দুই পাশে ৫ - ৭ জোড়া ফু লকা ছিদ্র থাকে?

হাঙ্গর / করাত/ হাতু ড়ি মাছের মাথার দুই পাশে কত জোড়া ফু লকা ছিদ্র থাকে?

কোন মেরুদন্ডী প্রাণীর কানকো থাকে না?

হাঙ্গর / করাত/ হাতু ড়ি মাছের কী থাকে না?

রচনামূলক প্রশ্নঃ

কনড্রিকথিস কী?
উত্তর: কর্ডাটা পর্বের ভার্টি ব্রাটা উপপর্বের একটি শ্রেণি।

কনড্রিকথিস শ্রেণির প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।


হাঙ্গর/ করাত /হাতু ড়ি মাছের এর বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।
উত্তর: কনড্রিকথিস শ্রেণি প্রাণীর সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহঃ
 এরা সকলে সমুদ্রে বসবাস করে।
 কঙ্কাল তরুণাস্থিময়।
 দেহ প্ল্যাকয়েড(সূক্ষ্ম কাঁটার মতো) আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে।
 এদের মাথার দুই পাশে ৫-৭ জোড়া ফু লকা ছিদ্র থাকে।
 এদের কানকো থাকে না।
 চোয়ালে অসংখ্য সারিবদ্ধ দাঁত থাকে।

হাঙ্গর দ্রুত শরীর বাঁকাতে পারার কারণ ব্যাখ্যা কর।


উত্তরঃ হাঙ্গর কনড্রিকথিস শ্রেণির প্রাণী হওয়ায় এদের অন্তঃকঙ্কাল সম্পূর্ণ রূপে তরুণাস্থিময়। আর তরুণাস্থি অস্থির
মতো ভঙ্গুর প্রকৃ তির না হওয়ায় জলজ পরিবেশে হাজার দ্রুত শরীর বাঁকাতে পারে।

হাঙ্গরকে মাছ বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।


উত্তর: হাঙ্গর কনড্রিকথিস শ্রেণির প্রাণী। মাছের সকল বৈশিষ্ট্যই হাঙরে রয়েছে। পানিতে বসবাস করে, শীতল রক্ত বিশিষ্ট।
ফু লকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায় এবং পাখা সাহায্যে চলাচল করে।
তাই হাঙ্গরকে মাছ বলা হয়।

হাঙ্গর মাছ কেন কনড্রিকথিস শ্রেণিতে অন্তর্ভু ক্ত? ব্যাখ্যা কর।


করাত মাছ কেন কনড্রিকথিস শ্রেণিতে অন্তর্ভু ক্ত? ব্যাখ্যা কর।
হাতু ড়ি মাছ কেন কনড্রিকথিস শ্রেণিতে অন্তর্ভু ক্ত? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:

শ্রেণি-৩: অসটিকথিস (Chondrichthyes)/ অস্থিময় মাছ

অসটিকথিস শ্রেণিভু ক্ত মাছগুলো রশ্মিময় পাখনা বিশিষ্ট  মাছ নামে পরিচিত। এরা মিঠাপানি ও সামুদ্রিক  সকল স্থানে
অর্থাৎ গভীর সমুদ্র থেকে শুরু করে পাহাড়ি হ্রদ,ঝণা, গর্ত ও বরফ সকল জলজ পরিবেশেই বসবাস করে। 

অসটিথিস শ্রেণি প্রাণীর সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহঃ


 এরা অধিকাংশই স্বাদু পানির মাছ।
 এদের দেহ সাইক্লোয়েড(গোলাকার), গ্যানয়েড বা টিনয়েড(কাঁটাযুক্ত) ধরনের আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে।
 এদের মাথার দুই পাশে চার জোড়া ফু লকা থাকে। ফু লকাগুলো কানকো দিয়ে ঢাকা থাকে।
 এরা ফু লকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।
 এদের দেহের অন্তঃকঙ্কাল অস্থিময়।
 এদের দেহে পটকা বা বায়ুথলী বিদ্যামান যা দেহকে ভাসিয়ে রাখতে সাহায্য করে।

উদাহরণ : ইলিশ, সি-হর্স, রুই, কাতলা, মৃগেল, গজার, চিতল, টাকি, পাবদা, শিং, কই ইত্যাদি।

মাছ (Fishes)
মাছ শীতল রক্তবিশিষ্ট মেরুদন্ডী প্রাণি এবং এরা পানিতে বসবাস করে। এদের দেহ আঁইশ দ্বারা আবৃত, ফু লকা দ্বারা
শ্বাসকার্য চালায় এবং পানিতে চলাচল সহযোগী জোড়া পাখনা আছে। কনড্রিকথিস ও অসটিকথিস শ্রেণীভু ক্ত সকল
মেরুদন্ডী প্রাণি মাছ নামে অভিহিত।

মাছের অর্থনৈতিক গুরুত্বঃ


আমিষ জাতীয় খাদ্যের উৎস হিসেবে মাছের গুরুত্ব তু লনাহীন। বাংলাদেশে এক সময় প্রচু র মাছ পাওয়া যেত কিন্তু
ক্রমান্বয়ে মাছের সংখ্যা ও পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে। মাছের যকৃ তে ভিটামিন 'এ' ও 'ডি' থাকে। বাংলাদেশে প্রচু র ডোবা,
নালা, পুকু র, হাওড়, বাওড়, নদ-নদী বিল আছে। এসমস্ত জলাধারে বৈজ্ঞানিক উপায়ে রুই, কাতলা, মৃগেল, মাগুর,
টেংরা, পাঙ্গাস, কই, পুটি প্রভৃ তি মাছ চাষ করে দেশের বেকারত্ব দূরীকরণ সম্ভব। এছাড়া মাছ চাষ দ্বারা ব্যক্তিগত ও
জাতীয় আয় বৃদ্ধি করে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা দৃঢ় করা সম্ভব।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:

কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীদের অধিকাংশই স্বাদু পানির মাছ?

ভার্টি ব্রাটা পর্বের কোন শ্রেণির অধিকাংশই স্বাদু পানির মাছ?

কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীদের অধিকাংশই স্বাদু পানির মাছ?

কোন শ্রেণির মেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহ সাইকোয়েড ও গ্যানয়েড বা টিনয়েড উভয় ধরনের আঁইশ দ্বারা আবৃত?

কোন শ্রেণির মেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহ সাইকোয়েড ধরনের আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে?

কোন শ্রেণির মেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহ গ্যানয়েড ধরনের আঁইশ দ্বারা আবৃত?

কোন শ্রেণির মেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহ টিনয়েড ধরনের আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে?

অসটিকথিস শ্রেণির প্রাণীদের দেহ কোন আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে?


কোন শ্রেণির মেরুদণ্ডী প্রাণীর মাথার দুই পাশে চার জোড়া ফু লকা থাকে?

অসটিকথিস শ্রেণির প্রাণীদের মাথার দুপাশে কত জোড়া ফু লকা থাকে?

অসটিকথিস শ্রেণির প্রাণীদের ফু লকা কী দিয়ে ঢাকা থাকে?

কোন শ্রেণির মেরুদণ্ডী প্রাণীর ফু লকাগুলো কানকো দিয়ে ঢাকা থাকে?

অসটিকথিস শ্রেণির প্রাণীগুলো কিসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়?

কোন শ্রেণির মেরুদণ্ডী প্রাণী ফু লকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়?

ফু লকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায় কোন শ্রেণী?

ইলিশ মাছ, সি-হর্স কোন শ্রেণির প্রাণী?

কোন মেরুদণ্ডী প্রাণীর মাথার দুই পাশে চার জোড়া ফু লকা থাকে?

ইলিশ মাছের/ সি-হর্সের মাথার দুই পাশে কতজোড়া ফু লকা থাকে?

ইলিশ মাছের/ সি-হর্সের দেহে কী ধরনের আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে?

কোন মেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহে সাইকোয়েড ও গ্যানয়েড বা টিনয়েড উভয় ধরনের আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে?

কোন মাছের দেহে সাইকোয়েড ও গ্যানয়েড বা টিনয়েড উভয় ধরনের আঁইশ দ্বারা আবৃত?

কোন মাছের দেহে সাইকোয়েড ধরনের আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে?

কোন মাছের দেহে গ্যানয়েড ধরনের আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে?

কোন মাছের দেহে টিনয়েড ধরনের আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে?

ইলিশ মাছের/ সি-হর্সের ফু লকা কী দিয়ে ঢাকা থাকে?

কোন মেরুদণ্ডী প্রাণীর ফু লকাগুলো কানকো দিয়ে ঢাকা থাকে?

কোন মেরুদণ্ডী প্রাণী ফু লকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়?

রচনামূলক প্রশ্নঃ

অসটিকথিস কী?
উত্তর: কর্ডাটা পর্বের ভার্টি ব্রাটা উপপর্বের একটি শ্রেণি। অসটিকথিস শ্রেণিভু ক্ত মাছগুলো রশ্মিময় পাখনা বিশিষ্ট  মাছ
নামে পরিচিত।

অসটিকথিস শ্রেণির প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।


ইলিশ মাছের/সি-হর্স এর বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।
উত্তর: অসটিথিস শ্রেণি প্রাণীর সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহঃ
 এরা অধিকাংশই স্বাদু পানির মাছ।
 এদের দেহ সাইক্লোয়েড(গোলাকার), গ্যানয়েড বা টিনয়েড(কাঁটাযুক্ত) ধরনের আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে।
 এদের মাথার দুই পাশে চার জোড়া ফু লকা থাকে। ফু লকাগুলো কানকো দিয়ে ঢাকা থাকে।
 এরা ফু লকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।
 এদের দেহের অন্তঃকঙ্কাল অস্থিময়।
 এদের দেহে পটকা বা বায়ুথলী বিদ্যামান যা দেহকে ভাসিয়ে রাখতে সাহায্য করে।

ইলিশ মাছ কেন অসটিকথিস শ্রেণীতে অন্তর্ভু ক্ত? ব্যাখ্যা কর।


সি-হর্স কেন অসটিকথিস শ্রেণীতে অন্তর্ভু ক্ত? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:

মাছ কী?
উত্তরঃ মাছ হলো শীতল রক্ত বিশিষ্ট জলজ মেরুদণ্ডী প্রাণী যারা ফু লকার সাহায্যে শ্বসন সম্পন্ন করে এবং পাখনার
সাহয্যে চলাচল করে।

শ্রেণি-৪: অ্যাম্ফিবিয়া (Amphibia)/ উভয়চর প্রাণী

উভয়চর শ্রেণীর প্রাণীরা প্রথম স্থলচর চতু ষ্পদ মেরুদণ্ডী প্রাণী। এ শ্রেণীদের জীবনে দুটি পর্যায় বিদ্যমান। প্রথম পর্যায়
থাকে লার্ভা অবস্থায়। এ সময় এরা সাধারণত পানিতে বসবাস করে এবং ফু লকা দ্বারা শ্বাসকার্য চালায়। দ্বিতীয় পর্যায় বা
পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় এরা ডাঙ্গায় বাস করে এবং এ সময় ফু সফু স দ্বারা শ্বাসকার্য চালায়। প্রকৃ তপক্ষে এরা পূর্ণাঙ্গ অবস্থায়
স্থলজ পরিবেশে বসবাস করে কিন্তু প্রজননকালে অর্থাৎ ডিম পাড়ার সময় এরা পানিতে অবস্থান করে। এদের ডিম ও
লার্ভা পানি ছাড়া বাঁচে না। জীবন চক্রের দুটি পর্যায়ে দুটি ভিন্ন পরিবেশে (স্থলজ ও জলজ পরিবেশ) বসবাস করে বলে
এদেরকে উভচর প্রাণী বলা হয়। অর্থাৎ, যেসব মরুদণ্ডী প্রাণী জল ও স্থল উভয় স্থানে বাস করে তাদের উভচর প্রাণী
বলে।

উভয়চর শ্রেণি প্রাণীর সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহঃ

 দেহ মস্তক, গ্রীবা ও দেহ কাণ্ডে বিভক্ত।


 এরা শীতল রক্ত বিশিষ্ট প্রাণী অর্থাৎ এদের দেহের তাপমাত্রা পরিবেশের তাপমাত্রার সাথে উঠানামা করে।
 দেহত্বক সাধারণত আঁইশবিহীন, নরম, পাতলা,আর্দ্র ও গ্রন্থিযুক্ত।
 এরা পানিতে ফু লকার সাহায্যে ও স্থলে ফু সফু সের সাহায্যে শ্বসন চালায়।
 এরা পানিতে ডিম পাড়ে। জীবনচক্রে সাধারণত ব্যাঙাচি দশা দেখা যায়।
 এদের চারটি পা আছে কিন্তু নখ নেই।
 এরা জিহ্বা দিয়ে শিকার ধরে খাবার গিলে খায়।

উদাহরণঃ কু নোব্যাঙ, সোনাব্যাঙ, গেছো ব্যাঙ  ও স্যালামান্ডার প্রভৃ তি।

উভয়চর প্রাণীর অর্থনৈতিক গুরুত্বঃ ব্যাঙ একটি উপকারী প্রাণি। পরিবেশ সংরক্ষণে এরা গুরুত্বপূর্ণ ভূ মিকা পালন
করে। ব্যাঙ ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ খাদ্য হিসেবে গ্রহণের দ্বারা ফসলের উপকার করে থাকে। কু নোব্যাঙ মশাকে খাদ্য হিসেবে
গ্রহণ করে। সোনা ব্যাঙের পা বিদেশে খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাই পরিকল্পিত উপায়ে সোনা ব্যাঙ চাষ করে বিদেশে
রপ্তানি সম্ভব।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:

মেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে যারা জীবনের প্রথম অবস্থায় সাধারণত পানিতে এবং পরিণত বয়সে ডাঙ্গায় বাস করে তাদের কী
বলে?

কোন শ্রেণীর মেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে যারা জীবনের প্রথম অবস্থায় সাধারণত পানিতে বসবাস করে।

কোন শ্রেণীর মেরুদন্ডী প্রাণী জীবন দশার প্রথমে ফু লকার সাহায্যে  শ্বাসকার্য চালায়?

কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণী মাছের মতো ফু লকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়?

কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণী পানিতে ডিম পাড়ে?

কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীরা শীতল রক্তের প্রাণী?

কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীর দেহত্বক আঁইশবিহীন?

ত্বক নরম, পাতলা, ভেজা ও গ্রন্থিযুক্ত  কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য?
জীবনচক্রে সাধারণত ব্যাঙাচি দশা দেখা যায় কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীর?

উভচর শ্রেণির দুটি উদাহরণ দাও।

কোন মেরুদন্ডী প্রাণী জীবন দশার প্রথমে ফু লকার সাহায্যে  শ্বাসকার্য চালায়?

কোন জীবন দশার প্রথমে মেরুদন্ডী প্রাণী মাছের মতো ফু লকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়?

দুটি শীতল রক্তের প্রাণীর নাম লিখ।

কোন মেরুদন্ডী প্রাণীর দেহত্বক আঁইশবিহীন?

ত্বক নরম, পাতলা, ভেজা ও গ্রন্থিযুক্ত মেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য?

জীবনচক্রে সাধারণত ব্যাঙাচি দশা দেখা যায় কোন মেরুদন্ডী প্রাণীর?

রচনামূলক প্রশ্নঃ

উভয়চর প্রাণী কী?


উভয়চর প্রাণী কাকে বলে?
উভয়চর প্রাণী বলেতে কী বুঝ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: যেসব মেরুদন্ডী প্রাণী জীবনের প্রথম দশয়া সাধারণত পানিতে থাকে এবং মাছের মতো বিশেষ ফু লকার সাহায্যে
শ্বাসকার্য চালায়, কিন্তু পরিণত বয়সে ডাঙায় বসবাস করে তাদেরকে উভচর প্রাণী বলে। যেমন: কু নোব্যাঙ।

উভয়চর শ্রেণির প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।


ব্যাঙ এর বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।
উত্তর: উভয়চর শ্রেণি প্রাণীর সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহঃ

 দেহ মস্তক, গ্রীবা ও দেহ কাণ্ডে বিভক্ত।


 এরা শীতল রক্ত বিশিষ্ট প্রাণী অর্থাৎ এদের দেহের তাপমাত্রা পরিবেশের তাপমাত্রার সাথে উঠানামা করে।
 দেহত্বক সাধারণত আঁইশবিহীন, নরম, পাতলা, ভেজা ও গ্রন্থিযুক্ত।
 এরা পানিতে ফু লকার সাহায্যে ও স্থলে ফু সফু সের সাহায্যে শ্বসন চালায়।
 এরা পানিতে ডিম পাড়ে। জীবনচক্রে সাধারণত ব্যাঙাচি দশা দেখা যায়।
 এদের চারটি পা আছে কিন্তু নখ নেই।
 এরা জিহ্বা দিয়ে শিকার ধরে খাবার গিলে খায়।

ব্যাঙকে কেন উভয়চর শ্রেণীতে অন্তর্ভু ক্ত? ব্যাখ্যা কর।


ব্যাঙকে কেন উভয়চর প্রাণী বলা হয়? ব্যাখ্যা কর।
কু নোব্যাঙকে কেন উভয়চর প্রাণী বলা হয়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: যেসব মেরুদন্ডী প্রাণী জীবনের প্রথম দশয়া সাধারণত পানিতে থাকে এবং মাছের মতো বিশেষ ফু লকার সাহায্যে
শ্বাসকার্য চালায়, কিন্তু পরিণত বয়সে ডাঙায় বসবাস করে তাদেরকে উভচর প্রাণী বলে। কু নোব্যাঙ ব্যাঙাচি অবস্থায়
পানিতে ও পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় ডাঙায় বাস করে। প্রকৃ তপক্ষে এরা পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় স্থলজ পরিবেশে বসবাস করে কিন্তু
প্রজননকালে অর্থাৎ ডিম পাড়ার সময় এরা পানিতে অবস্থান করে। এদের ডিম ও লার্ভা পানি ছাড়া বাঁচে না। জীবন
চক্রের দুটি পর্যায়ে দুটি ভিন্ন পরিবেশে (স্থলজ ও জলজ পরিবেশ) বসবাস করে বলে। এ জন্য কু নোব্যাঙকে উভচর
প্রাণী বলা হয়।

কু নোব্যাঙকে শীতলতম রক্ত বিশিষ্ট প্রাণী বলা হয় কেন?


উত্তর: যেসব প্রাণীর শরীরের তাপমাত্রা পরিবেশের সাথে উঠানামা করে তাদেরকে শীত রক্তবিশিষ্ট প্রাণী বলে। কু নোব্যাঙ
উভয়চর প্রাণী। কু নোব্যাঙ ব্যাঙাচি অবস্থায় পানিতে ও পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় ডাঙায় বাস করে। কু নোব্যাঙ স্থলজ ও জলজ
উভয় পরিবেশে বসবাস করার কালীন এদের দেহের তাপমাত্রা পরিবেশর তাপমাত্রার সাথে উঠা নামা করে। এরা যেকোনো
তাপমাত্রার নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে।
তাই কু নোব্যাঙকে শীতলতম রক্ত বিশিষ্ট প্রাণী বলা হয়।

ব্যাঙ পানিতে এবং ডাঙ্গায় থাকে কেন?


উত্তর: ব্যাঙ উভয়চর প্রাণী। যেসব মেরুদন্ডী প্রাণী জীবনের প্রথম দশয়া সাধারণত পানিতে থাকে এবং মাছের মতো
বিশেষ ফু লকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়, কিন্তু পরিণত বয়সে ডাঙায় বসবাস করে তাদেরকে উভচর প্রাণী বলে।
কু নোব্যাঙ ব্যাঙাচি অবস্থায় পানিতে ও পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় ডাঙায় বাস করে। প্রকৃ তপক্ষে এরা পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় স্থলজ
পরিবেশে বসবাস করে কিন্তু প্রজননকালে অর্থাৎ ডিম পাড়ার সময় এরা পানিতে অবস্থান করে। এদের ডিম ও লার্ভা
পানি ছাড়া বাঁচে না। এই কারণে ব্যাঙ জীবন চক্রের দুটি পর্যায়ে স্থলজ পরিবেশে ও জলজ পরিবেশ বসবাস করে।

শ্রেণি-৫: রেপিটাল(Reptilia)/ সরীসৃপ প্রাণী


মেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে এই শ্রেণীর প্রাণীরাই সর্বপ্রথম স্থলচর চতু ষ্পদ প্রাণী। এ শ্রেণীর প্রাণিগুলো সম্পূর্ণরূপে স্থলে
বসবাসের উপযোগী। এদের কোনো কোনো সদস্য পানিতে বসবাস করলেও প্রজননকালে স্থলে এসে ডিম পাড়ে। যে
সকল মেরুদণ্ডী প্রাণী বুকে ভর দিয়ে চলে তাদেরকে সরীসৃপ বলে।

সরীসৃপ শ্রেণি প্রাণীর সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ:

 এরা বুকে ভর করে চলে।


 এদের দেহত্বক খসখসে বা শুষ্ক ও শক্ত আবরণযুক্ত বা আঁইশযুক্ত।
 এদের চার পায়েই পাঁচটি করে নখরযুক্ত আঙ্গুল থাকে।
 এরা ডিম পাড়ে।
 এদের দেহে শেষের ভাগে সাধারণত লেজ থাকে।

উদাহরণ:  টিকটিকি, কু মির, কচ্ছপ, সাপ, গুঁইসাপ, গিরগিটি।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:

কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীরা বুকে ভর করে চলে?

কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীদের দেহত্বক শুষ্ক ও  আঁইশযুক্ত?


কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীদের চার পায়েই পাঁচটি করে নখরযুক্ত আঙ্গুল থাকে?

সাপ কোন শ্রেণীভু ক্ত প্রাণী?

কু মির কোন শ্রেণীর প্রাণী?

টিকটিকি শ্রেণীর প্রাণী?

রচনামূলক প্রশ্নঃ

সরীসৃপ কাকে বলে?


উত্তর: যে সকল মেরুদণ্ডী প্রাণী বুকে ভর দিয়ে চলে এবং ডিম পাড়ে তাদেরকে সরীসৃপ বলে।
যেৃমন- টিকটিকি, কু মির, কচ্ছপ, সাপ ইত্যাদি।

সরীসৃপ শ্রেণির প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।


কু মির এর বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।
উত্তর: সরীসৃপ শ্রেণি প্রাণীর সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ:
 এরা বুকে ভর করে চলে।
 এদের দেহত্বক খসখসে বা শুষ্ক ও শক্ত আবরণযুক্ত বা আঁইশযুক্ত।
 এদের চার পায়েই পাঁচটি করে নখরযুক্ত আঙ্গুল থাকে।
 এরা ডিম পাড়ে।
 এদের দেহে শেষের ভাগে সাধারণত লেজ থাকে।

কু মিরকে সরীসৃপ প্রাণী  বলা হয় কেন?


সাপকে কেন সরীসৃপ বলা হয় কেন?
টিকটিকিকে কেন সরীসৃপ বলা হয় কেন?
উত্তর: যে সকল মেরুদণ্ডী প্রাণী বুকে ভর দিয়ে চলে এবং ডিম পাড়ে তাদেরকে সরীসৃপ বলে।
কু মির বুকে ভর করে চলে। এদের ত্বক শুষ্ক ও আঁইশযুক্ত। এদের চার পায়ে ৫টি করে নখরযুক্ত আঙু ল আছে। এসব
বৈশিষ্ট্য সরীসৃপ জাতীয় প্রাণীদের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়ায় কু মিরকে সরীসৃপ বলা হয়।

কু মিরকে উভয়চর ও সরীসৃপ প্রাণী বলা হয় কেন?


উত্তর:
শ্রেণি-৬: অ্যাভিস (Aves)/ পক্ষীকু ল

পক্ষীকু ল শ্রেণীভু ক্ত প্রাণীদের পাখি বলা হয়। মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে একমাত্র পাখিরা পালক দ্বারা আবৃত। এদের
উড়ার সুবিধার্থে দেহকে হালকা করতে এবং শ্বসনে অতিরিক্ত অক্সিজেন সরবরাহের মাধ্যমে দেহে শক্তি তৈরির জন্য
দেহের ভিতরে ফু সফু সের সাথে বায়ুথলি থাকে। পাখি উষ্ণরক্ত বিশিষ্ট প্রাণি অর্থাৎ পরিবেশের তাপমাত্রার সাথে এদের
দেহের তাপমাত্রা পরিবর্তি ত হয় না।
পাখি বিভিন্ন পরিবেশে বাস করতে পারে। বেশ কিছু পাখি পানিতে বাস করে, যেমন- বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস। অধিকাংশ
পাখি উড়তে পারে। যেমন- টিয়া, বক, চড়াই, শকু ন, পেঁচা, দোয়েল, ঘুঘু, কাক, শালিক ইত্যাদি। তবে কোনো কোনো

পাখি উড়তে পারে না, যেমন- মুরগি, উট পাখি, কিউই, ময়ূর ইত্যাদি। এদের পা সুগঠিত এজন্য এরা ভালোভাবে
দৌড়াতে পারে। এদেরকে দৌড়বাজ পাখি বলা হয়।

পক্ষীকু ল শ্রেণি প্রাণীর সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহঃ

 এরা উষ্ণ রক্তবিশিষ্ট প্রাণী।


 এদের দেহ পালকে আবৃত থাকে।
 এদের দুটি ডানা, দুটি পা ও দুটি চক্ষু থাকে।
 এদের ফু সফু সের সাথে বায়ুথলি থাকায় সহজে উড়তে পারে।
 এদের হাড় শক্ত, হালকা ও ফাঁপা।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:

কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণী উষ্ণ রক্তবিশিষ্ট?

কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীদের দেহ পালকে আবৃত থাকে?

কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীদের দুটি ডানা, দুটি পা ও দুটি চক্ষু থাকে?

কোন শ্রেণির প্রাণীদের ফু সফু সের সঙ্গে বায়ুথলি থাকে?

অ্যাভিস শ্রেণীর প্রাণীরা সহজে উড়তে পারে কেন?


উত্তরঃ অ্যাভিস শ্রেণীর প্রাণীদের দেহে ফু সফু সের সাথে বায়ুথলি থাকায় সহজে উড়তে পারে।

কোন শ্রেণির মেরুদন্ডী প্রাণীদের হাড় শক্ত, হালকা ও ফাঁপা?

রচনামূলক প্রশ্নঃ

অ্যাভিস/ পক্ষীকু ল শ্রেণীর বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।


উত্তর: পক্ষীকু ল শ্রেণি প্রাণীর সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহঃ
 এরা উষ্ণ রক্তবিশিষ্ট প্রাণী।
 এদের দেহ পালকে আবৃত থাকে।
 এদের দুটি ডানা, দুটি পা ও দুটি চক্ষু থাকে।
 এদের ফু সফু সের সাথে বায়ুথলি থাকায় সহজে উড়তে পারে।
 এদের হাড় শক্ত, হালকা ও ফাঁপা।

অ্যাভিস শ্রেণীর প্রাণীরা সহজে উড়তে পারে কেন? ব্যাখ্যা কর।


পাখি উড়িতে পারে কেন? ব্যাখ্যা কর।
পাখি সহজে উড়তে পারে কেন? 
দোয়েল পাখি উড়িতে পারে কেন?
কোকিল সহজে উড়তে পারে কেন?
উত্তর: দোয়েল পাখি উড়তে পারে। কারণ দোয়েল পাখি অ্যাভিস শ্রেণির তথা পক্ষীকু লের অন্তর্ভু ক্ত একটি প্রাণী। এ
পাখির অস্থি হালকা, ফাঁপা ও বায়ুপূর্ণ। এ ছাড়া ফু সফু সের সঙ্গে বায়ুথলি নামের বিশেষ অঙ্গের উপস্থিতি থাকায় দোয়েল
পাখি সহজেই উড়তে পারে।

মুরগি পক্ষীকু ল শ্রেণীতে অন্তর্ভু ক্ত কেন?


উত্তর: গৃহপালিত পাখিদের মধ্যে মুরগি অনত্যম। মুরগি মাংশ ও ডিম উৎপাদন করে।
মুরগি পক্ষীকূ ল শ্রেণীর অন্তর্গত। কারণ মুরগির মধ্যে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়।
বৈশিষ্ট্যগুলো হলোঃ
 দেহ পালকে আবৃত।
 দুটি ডানা, দুটি পা ও একটি চঞ্চু আছে।
 ফু সফু সের সাথে বায়ুথলি থাকায় এরা উড়তেও পারে।
 উষ্ণ রক্তের প্রাণী।
উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যের কারণেই মুরগিকে পক্ষীকু ল শ্রেণীর অন্তর্গত করা হয়েছে।

শ্রেণি-৭: ম্যামালিয়া (Mammalia)/ স্তন্যপায়ী

যেসব মেরুদণ্ডী প্রাণী সন্তান প্রসব করে এবং সন্তানরা শিশুকালে মায়ের দুধ পান করে থাকে তাদেরকে স্তন্যপায়ী প্রাণী
বলে। স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে রয়েছে মানুষ, বিড়াল, গরু, মহিষ, কু কু র, হাতি, ঘোড়া, বাঘ, ভাল্লুক, বানর, বেজি, নীল
তিমি, সজারু, ইঁদুর, হরিণ ইত্যাদি।

এ শ্রেণীর প্রাণিরা বিবর্ত নের দিক থেকে সর্বোৎকৃ ষ্ঠ এবং সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। মস্তিষ্কের উন্নত বৈশিষ্ট্যের কারণে এরা সমস্ত
পৃথিবীব্যাপী আধিপত্য বিস্তার লাভ করে আছে। এ শ্রেণীর প্রাণিদের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এদের দেহ লোম দ্বারা
আবৃত এবং স্তনগ্রন্থি উপস্থিত। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া এরা সকলেই সন্তান প্রসব করে এবং স্তনদান করে।
অধিকাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণিরা বাচ্চা প্রসব করে। অস্ট্রেলিয়াতে বসবাসকারী এক ধরনের প্রাণি বাচ্চার পরিবর্তে ডিম পাড়ে।
তবে ডিম থেকে সৃষ্ট বাচ্চা মাতৃ দুগ্ধ পান করে। যেমন- প্লাটিপাস। স্তন্যপায়ীদের মধ্যে আরও একটি গোষ্ঠি আছে যাদেরকে
মারসপিয়াল বলা হয়। এদের স্ত্রী প্রাণিদের উদরে মারসুপিয়াম নামক একটি থলি থাকে। এ থলির মধ্যে স্তনগ্রন্থি থাকে।
বাচ্চা অপরিণত অবস্থায় জরায়ু থেকে বের হয়ে মারসুপিয়ামে অবস্থান করে এবং স্তনগ্রন্থি মুখ দিয়ে ধরে রাখে। যেমন-
ক্যাঙ্গারু, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকায় এরা বাস করে।
স্তন্যপায়ী প্রাণিদের মধ্যে মানুষ সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর। মানুষ বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণিকে গৃহপালিত প্রাণি হিসেবে পালন করে।
যেমন- গরু, মহিষ, উট, ঘোড়া, ভেড়া, কু কু র ইত্যাদি। আমিষের উৎস ও চামড়া সরবরাহের জন্য স্তন্যপায়ীর ভূ মিকা
অতু লনীয়। স্তন্যপায়ীদের মধ্যে ইঁদুর মানুষের প্রধান শত্রু। এরা ফসল নষ্ট করে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতিসাধন করে থাকে।

স্তন্যপায়ী শ্রেণি প্রাণীর সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহঃ


 এরা চতু ষ্পদী কিন্তু শুধু মানুষই দ্বিপদী।
 এদের দেহ লোমে আবৃত।
 এরা সন্তান প্রসব করে এবং শিশুরা মাতৃ দুগ্ধ পান করে বড় হয়। তবে এর ব্যতিক্রম আছে, যেমন -প্লাটিপাস।
 এরা উষ্ণ রক্ত বিশিষ্ট প্রাণী।
 এদের চোয়ালে বিভিন্ন ধরনের দাঁত থাকে।
 এদের হৃৎপিণ্ড চার প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:

কোন শ্রেণীর মেরুদণ্ডী প্রাণীদের দেহ লোমে আবৃত?

কোন শ্রেণীর মেরুদণ্ডী প্রাণীরা সন্তান প্রসব করে?

কোন শ্রেণীর মেরুদণ্ডী প্রাণীর শিশুরা মাতৃ দুগ্ধ পান করে বড় হয়?

কোন স্তন্যপায়ী প্রাণী সন্তান প্রসব করে না?

কোন মেরুদণ্ডী প্রাণীর ডিম থেকে সৃষ্ট বাচ্চা মাতৃ দুগ্ধ পান করে?

কোন মেরুদণ্ডী প্রাণী উষ্ণ রক্ত বিশিষ্ট?

কোন মেরুদণ্ডী প্রাণীর চোয়ালে বিভিন্ন ধরনের দাঁত থাকে?

কোন শ্রেণীর প্রাণীদের হৃৎপিণ্ড চার প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট?

ভার্টি ব্রাটা উপপর্বের কোন শ্রেণির প্রাণীদের হৃৎপিণ্ড চার প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট?

বাঘের হৃৎপিণ্ড কয় প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট?

মানুষের হৃৎপিণ্ড কয় প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট?

প্লাটিপাস এর বৈশিষ্ট্য কী?


উত্তর: এরা ডিম পারে। ডিম থেকে সৃষ্ট বাচ্চা মাতৃ দুগ্ধ পান করে।

মানুষ কোন শ্রেণীর প্রাণী?


উট কোন পর্বের প্রাণী?
উত্তরঃ কর্ডাটা।

উষ্ণ রক্ত বিশিষ্ট ১০টি প্রাণীর নাম লিখ।

রচনামূলক প্রশ্ন:

স্তন্যপায়ী প্রাণী কাকে বলে?


উত্তর: যেসব মেরুদণ্ডী প্রাণী সন্তান প্রসব করে এবং সন্তানরা শিশুকালে মায়ের দুধ পান করে থাকে তাদেরকে স্তন্যপায়ী
প্রাণী বলে। স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে রয়েছে মানুষ, বিড়াল, গরু, মহিষ, কু কু র, হাতি, ঘোড়া, বাঘ, ভাল্লুক, বানর, বেজি, নীল
তিমি, সজারু, ইঁদুর, হরিণ ইত্যাদি।

স্তন্যপায়ী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।


উত্তর: স্তন্যপায়ী শ্রেণি প্রাণীর সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহঃ
 এরা চতু ষ্পদী কিন্তু শুধু মানুষই দ্বিপদী।
 এদের দেহ লোমে আবৃত।
 এরা সন্তান প্রসব করে এবং শিশুরা মাতৃ দুগ্ধ পান করে বড় হয়। তবে এর ব্যতিক্রম আছে, যেমন -প্লাটিপাস।
 এরা উষ্ণ রক্ত বিশিষ্ট প্রাণী।
 এদের চোয়ালে বিভিন্ন ধরনের দাঁত থাকে।
 এদের হৃৎপিণ্ড চার প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট।

মানুষ কেন স্তন্যপায়ী শ্রেণীর অন্তর্ভু ক্ত?  ব্যাখ্যা কর।


উত্তর: যেসব মেরুদণ্ডী প্রাণী সন্তান প্রসব করে এবং সন্তানরা শিশুকালে মায়ের দুধ পান করে থাকে তাদেরকে স্তন্যপায়ী
প্রাণী বলে। মানুষ স্তন্যপায়ী প্রাণী। কারণ মানুষ সন্তান প্রসব করে এবং শিশুরা মাতৃ দুগ্ধ পান করে বড় হয়। এছাড়াও
মানুষের মধ্যে নিম্নোক্ত স্তন্যপায়ী শ্রেণির বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়।
বৈশিষ্ট্যগুলো হলোঃ
 এদের দেহ লোমে আবৃত।
 এরা উষ্ণ রক্ত বিশিষ্ট প্রাণী।
 এদের চোয়ালে বিভিন্ন ধরনের দাঁত থাকে।
 এদের হৃৎপিণ্ড চার প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট।
উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যের কারণেই মানুষকে স্তন্যপায়ী শ্রেণীর অন্তর্গত করা হয়েছে।

প্লাটিপাসকে কেন স্তন্যপায়ী প্রাণী বলা হয়? ব্যাখ্যা কর।


উত্তর: যেসব মেরুদণ্ডী প্রাণী সন্তান প্রসব করে এবং সন্তানরা শিশুকালে মায়ের দুধ পান করে থাকে তাদেরকে স্তন্যপায়ী
প্রাণী বলে। স্তন্যপায়ী প্রাণীরা বাচ্চা প্রসব করলেও প্লাটিপাস বাচ্চা প্রসব করে না এরা ডিম পাড়ে এবং ডিম ফু টে বাচ্চা
বের হয়। পরবর্তীতে বাচ্চা মায়ের মাতৃ দুগ্ধ পান করে বড় হয়। এছাড়াও প্লাটিপাস মধ্যে নিম্নোক্ত স্তন্যপায়ী শ্রেণির বৈশিষ্ট্য
লক্ষ্য করা যায়।
বৈশিষ্ট্যগুলো হলোঃ
 এদের দেহ লোমে আবৃত।
 এরা উষ্ণ রক্ত বিশিষ্ট প্রাণী।
 এদের চোয়ালে বিভিন্ন ধরনের দাঁত থাকে।
 এদের হৃৎপিণ্ড চার প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট।
উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যের কারণেই প্লাটিপাস স্তন্যপায়ী প্রাণী বলা হয়।

তিমিকে কেন স্তন্যপায়ী প্রাণী  বলা হয়?


উত্তর: যেসব মেরুদণ্ডী প্রাণী সন্তান প্রসব করে এবং সন্তানরা শিশুকালে মায়ের দুধ পান করে থাকে তাদেরকে স্তন্যপায়ী
প্রাণী বলে। তিমি জলে বাস করলেও এরা বাচ্চা প্রসব করে এবং বাচ্চা মাতৃ স্তন্য দুগ্ধে লালিত হয়। এ কারণে এটি
Mammalia শ্রেণির Vertebrata উপপর্বের স্তন্যপায়ী প্রাণী।

তিমি মাছ নয় কেন? ব্যাখ্যা কর।


উত্তর: তিমিকে মাছের ন্যায় দেখতে মনে হলেও প্রকৃ তপক্ষে এরা মাছ নয়। কারণ মাছের যে বৈশিষ্ট্যগুলো রয়েছে তা
এদের মধ্যে অনুপস্থিত। যেমন- মাছের দেহ গ্যানয়েড, সাইক্লয়েড বা টিনয়েড ধরনের আঁইশ দ্বারা আবৃত থাকে, কিন্তু
তিমির দেহ প্র্যাকয়েড ধরনের আঁইশে। মাছের অন্তঃকঙ্কাল সাধারণত অস্থি- নির্মিত, কিন্তু তিমির অন্তঃকঙ্কাল
তরুণাস্থিময়। মাছের দেহে বায়ুথলি থাকে যা তিমির দেহে অনুপস্থিত। এছাড়া মাছের ফু লকা কানকো দিয়ে ঢাকা থাকে যা
তিমির ক্ষেত্রে উন্মুক্ত। তিমি উষ্ণ রক্তের প্রাণী, যার অর্থ তারা শরীরের উচ্চ তাপমাত্রা রাখে যা ঠান্ডা জলে পরিবর্ত ন হয়
না। মাছগুলি শীতল রক্তযুক্ত, তাই তাদের পরিবেশের তাপমাত্রার উপর নির্ভ র করে তাদের দেহের তাপমাত্রা পরিবর্ত ন
হয়। এরা স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মত ফু সফু স এর মাধ্যমে শ্বাসকার্য চালায়। উল্লেখিত কারণেই তিমি মাছ নয়। আবার তিমি
জলে বাস করলেও এরা বাচ্চা প্রসব করে এবং বাচ্চা মাতৃ স্তন্য দুগ্ধে লালিত হয়। এ কারণে এটি Mammalia শ্রেণির
Vertebrata উপপর্বের স্তন্যপায়ী প্রাণী। এ কারণেও তিমিকে মাছ বলা যায় না।

You might also like