Download as pdf or txt
Download as pdf or txt
You are on page 1of 9

TIC CIVILIAN GROUPS

রাজনীতিতে মিলিটারির সম্পৃক্ততা কথা বলতে গেলে শুধুমাত্র সামরিক বাহিনী যে সরকার সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে না,
এমনকি বেসামরিক সরকারও সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনী দ্বারা যথেষ্ট প্রভাবিত হয়। সামরিক সরকারের
জন্য্য কিছু বেসামরিক সহযোগিতা প্রয়োজন হয়ে বিশেষ করে, আমলাতান্ত্রিক ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে। সামরিক ও
বেসামরিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠার পেছনে অনেকগুলো কারন জড়িত আছে। অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের আমলা, সামরিক
এলিট, তাদের মধ্য জাতি, শ্রেণীগত, আঞ্চলিক, ও ধর্মীও সম্পৃক্ততা সাদৃশ্য থাকে। তার না হলেও, স্বাধীনতা ও মুক্তির
সংগ্রামে অনেক সময় শাসক ও সামরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বার্মা ও ইন্দোনেশিয়া এ-র জ্বলন্ত উদাহরণ, এসব রাষ্ট্র
সামরিক ও জাতীয়তাবাদী আন্দোলন হাতে হাত ধরে উন্নয়ন লাভ করেছে। আরও সামরিক বাহিনী অভিযানের
পাশাপাশি রাষ্ট্র পরিচালনার ভারও হাতে নিয়েছে।

২৫ বছর আগের সময়ের দিকে তাকালে দেখা যায়, সামরিক বাহিনী সহ সমগ্র রাষ্ট্র যন্ত্র একটি ক্ষু দ্র ধনী গ্রুপের
ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ছিল। এ ক্ষেত্রে, সামরিক বাহিনী শাসক দলেও উপর পুরোপুরি নির্ভ রশীল থাকলেও তাদেরকে
সম্মানের সহিত ট্রিট করা ছাড়াও ভালো সেতারি, ও সামরিক যন্ত্রপাতি প্রদান করা হত। অন্যান্য ক্ষেত্রে বেসামরিক
সরকার অজনপ্রিয় কোনো নীতি বাস্তবায়নে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সামরিক সহায়তা প্রয়োজন হয়ে। আর ক্ষমতা
রক্ষায় কাজ করার জন্য্য সামরিক বাহিনী বেসামরিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণেও যথেষ্ট রাজনৈতিক প্রভাব খাটাতে পারে।
ফিলিপিনের ঘটনা এরকমই,

Means of gainsঃ-
আবার বেসামরিক সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত সামরিক বাহিনীর পছন্দমত না হলে সরকার সামরিক বাহিনীর কোনো
অংশকে বিশেষ সুবিধা প্রদান করে সময়র্থন আদায় করে নিতে পারে।
সামরিক বাহিনী রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করতে চাইলে তারা ট্যাকনক্রেটস, আমলা ও রাজনৈতিক
ব্যক্তিত্বের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সৃষ্ট করবে। যে রাষ্ট্রেই সামরিক বাহিনী শাসন ক্ষমতা হাতে নেয় না কেন, তাদেরকে
শুধুমাত্র সামরিক জনবলের ভিত্তিতে রাষ্ট্র চালাতে পারে না, এ ক্ষেত্রে বেসামরিক সহায়তাও প্রয়োজন হয়ে।

পদক্রম ব্যবস্থা, টেকনোক্রেটিক সমাধানের মতো একই বৈশিষ্ট্য থাকায় বলা হয়ে যে সামরিক ও বেসামরিকের মধ্য
ঘনিষ্ঠতা সৃষ্টি সহজ হয়ে। সামরিক বাহিনী অনেক সময় সরকার সরাসরি নিয়ন্ত্রণ না করে পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে
চায়, এ জন্য্য তারা শাসক ও বিরোধী দলের মধ্য থেকে কিছু বন্ধু বেছে নিতে সচেষ্ট হয়ে। সামরিক বাহিনী সরকারের
নিয়ন্ত্রণ নেবার আগে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে তারা আমলা, টেকনোক্রেট ও দেশি বিদেশি ব্যবসা
প্রতিষ্ঠানের সহায়তা পাবার চেষ্টা করে৷

ব্যক্তিগত অার্থিক অবস্থা উন্নয়নে সামরিক এলিট অর্থনীতিতে হস্তক্ষেপ করে। এ উদ্দেশ্য তারা স্থানীয় বিদেশি
ব্যবসায়ীর সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। মিলিটারি তাদের এক সুরক্ষিত ব্যবসা পরিবেশ প্রদান করে বিনিময়ে তারা
মূলধন ও উদ্যাগী দক্ষতা লাভ করে।

রাজনৈতিক প্রক্রিয়া সামরিক বাহিনী কর্তৃ ক নিয়ন্ত্রিত হলে সামরিক বাহিনীর আর্থিক দুইর্নীতির সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
আবার বেসামরিক নেতৃ বৃন্দ সামরিক বাহিনীর বিশ্বস্ততা অর্জ নের জন্য উচ্চ পদস্থ কর্মকর্ত াদের অযাচিত সুযোগ সুবিধা
প্রদান করে৷

সামরিক বাহিনী এমনি এমনি রাজনৈতিক প্রভাব অর্জ ন করে না, তারা বেসামরিক সরকারের সামরিক সহযোগিতা
চাওয়া থেকেই পায়। বিরোধী দলকে ক্ষমতা যাওয়া থেকে ঠেকাতে শাসক দল সামরিক সহায়তার প্রয়োজন অনুভব
করতে পারে। নতু বা, তারা নিরবে সামরিক হস্তক্ষেপে সময়র্থন দেয়।

অ্যালবার্ট মাঝের্গাই নির্বাচনে হেরেও ক্ষমতা ধরে রাখতে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন, ফলে অনেকগুলো
সামরিক ক্যু সংঘটিত হয়ে সিয়েরা লিওনে।

1
involvement of African militaries during the 1960s to civilian encouragement" Civd servants are
less likely than politicians

ব্যবসা পরিবেশ অনুকূলের জন্য স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সামরিক বাহিনীর সম্পৃক্ততা সমর্থন
করে। আবার, তাদের ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর এমন নীতি প্রণীত হলে তারা সেনাবাহিনীর প্রতি সমর্থন উঠিয়ে নেয়৷
বেসামরিক জনসাধারণ দেশের সার্বিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য সামরিক শাসনের সমর্থন করে । বলা হয়ে যে,
শ্রেণীগত ব্যাকগ্রাউন্ডের কারণে তৃ তীয় বিশ্বের দেশগুলোতে সামরিক বাহিনী মধ্যবিত্তের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে। এসব
চেষ্টা তেমনটা সফলও হয়নি, কারণ শ্রেণী ফ্যক্টরটা সামরিক সদস্যদের প্রভাবিত করার একমাত্র কোনো ফ্যাক্টর না।

রাজনীতিতে সামরিক সম্পৃক্ততা শুধুমাত্র শ্রেণীগত কারণে ঘটে না, যদিও তা সামরিক ও বেসামরিক সম্পর্ক আরও
মজবুত করে। যেমন, লাতিন আমেরিকায় জনগণ সরকারি সিদ্ধান্ত থেকে জনঅংশগ্রহণ রোধ করতে চাওয়ার কারণ
হতে পারে এলিটরা মনে করেন সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ বিদ্যমান অর্থনৈতিক কাঠামোতে পরিবর্ত ন আনবে যা
এলিট স্বার্থ পরিপন্থী।

মনে রাখা দরকার, তৃ তীয় বিশ্বের এলিটরা বিদ্যমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্ত নের বিরোধিতা করে
না , বরং তারা এ সিস্টেমকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়। মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্য বিশ্বাসের সাদৃশ্য রয়েছে, শুধু তাই নে,
তারা বৃত্তিগত পার্থক্য, গোষ্ঠীগত বিভাজন, জেনারেশন গ্যাপ, আঞ্চলিক বিভাজন, পদক্রম সংক্রান্ত বিতর্ক এসব কারণে
মধ্যবিত্তদের মধ্য ফাঁটল ধরে ফলে তারা অন্যান্য সদস্য্যদের জন্য অসুবিধাজনক নীতি গ্রহণ করে।

রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক এলিটদের একই ক্লাস ব্যাকগ্রাউন্ড ও অর্থনৈতিক কাঠামোর মধ্য কাজ করার পরও
বেসামরিক মানুষ এদের ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য মিলিটারি সহায়তা কামনা করে।
তৃ তীয় বিশ্বের এলিটদের মধ্যে সম্পদ ও ক্ষমতা জড়ো রাখার প্রবনতা অনেক বেশি, এ কারণে তারা নিজের রাষ্ট্রে
পুজি
ঁ বাদ সময়র্থন করে। পুজিঁ বাদ গুটিকয়েক মানুষকে রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও অর্থ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। এখন সিদ্ধান্ত
গ্রহণ প্রক্রিয়ায় বর্ধিত জনঅংশগ্রহণ এলিট প্রভাবে ক্ষু ণ্ণ করবে

রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও অর্থ এলিটরাও বিভিন্ন দলে বিভক্ত প্রত্যকেই অন্য গ্রুপের ক্ষমতা ক্ষু ণ্ণ করার পাশাপাশি সিস্টেম
থেকে প্রাপ্ত সুবিধার সিংহভাগ পেতে চায়,। এস ব বিভাজন সামরিক ও বেসামরিক সম্পর্কে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
বেসামরিকরা যখন সামরিক সহায়তা কামনা করে, তারা তখন পুরো বাহিনীর সহায়তা কামনা করে না। প্রথমে তারা
উচ্চ পদস্থ অফিসার দিয়ে শুরু করে। পরে তারা সামরিক বাহিনীর এক বলা একাধিকের সাথে দলবদ্ধ হ
সিভিল মিলিটারি সম্পর্ক নির্দি ষ্ট কিছু সিভিলিয়ান ও মিলিটারি গ্রুপের মিথস্ক্রিয়ার মধ্য সীমাবদ্ধ।

(a) Maintenance of or increase in military's share of national resources

রাষ্ট্রের সিংহভাগ সম্পদের উপর কর্তৃ ত্ব অর্জ নের প্রবনতা শুধু মিলিটারি নয় সকল আমলাতান্ত্রিক সংঘটনের মধ্য
বিস্তৃ ত। সহিংসতার দিক দিয়ে সামরিক বাহিনীর শ্রেষ্ঠত্ব থাকায় তারা নিজের স্বার্থ সহজে উত্থাপন করতে সক্ষম।
সামরিক হস্তক্ষেপের প্রথম ফলাফল হচ্ছে সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি, নতু ন অস্ত্র ফরমান,

জাতীয় সম্পদে কর্তৃ ত্ব অর্জ নে


সামরিক বাহিনীকে সবসময় হস্তক্ষেপের মত কাজ করতে হয় না, বেসামরিক সরকারে মধ্য যারা সামরিক বাহিনীর
উপর নিয়ের্ভ রশীল তারা অনেক সময় সামরিক বাহিনীর দাবি পূরণ করে সম্পর্ক ধরে রাখতে চায়। জাতীয় সম্পদ
বন্টনের প্রতি অসন্তোষ সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য করে। মিলিটারি এমনটি মনে করলে তারা
সরকারের সাথে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়ে। ঘানায় নকরুমার সরকারের বিরুদ্ধ অভ্যুত্থানের তিন বছর পরে
১৯৬৬-৬৯ সময়ে সামরিক ব্যয় প্রতিবছর ২০% করে বৃষ্টি পায়, তার আগে নকরুমাহ' সেনাবাহিনীর জন্য নগন্য
বাজেট বন্টন করে রাখতেন। রাষ্ট্রীয় ব্যয় হ্রাস নই বরং তার বিরুদ্ধে যাতে সেনাবাহিনী হুমকি না হয়ে দাঁড়িয় ক্ষমতা
রোধ করতে তিনি এ উদ্যেগ গ্রহণ করেন।

(b) Maintenance of the integrity of the armed forces

2
সামরিক অফিসাররা অভ্যন্তরীণ সামরিক বিষয়াবলি যেমন পদোন্নতি, নিযুক্তি, ও শাস্তির মতো বিষয় থেকে নিজেদের
সরিয়ে দেওয়ার বিরেধী। সেনাবাহিনী ও রাজনৈতিক নেতৃ ত্বের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলে সরকার নিযুক্তি, পদোন্নতি, বলা
বাইরে অভিযানে পাঠিয়ে ও শক্তিশালী সামরিক কর্তৃ পক্ষর উপর অবসর চাপিয়ে নিজের অবস্থান মজবুত করে।

এ-র ফলে অফিসাররা বিরক্ত হয়ে রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।
ঘানায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের নিযুক্তি ও অবসর ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করার দায়ে ক্ষমতাচ্যুত হন নকরুমাহ ও বুসিয়া।
বিদ্রোহী অফিসারদের অভিযোগ ছিলো প্রচু র। তার মধ্য একটি হলো বুসিয়া ও নকরুমা প্রবর্তি ত রাজনৈতিক ও
অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। সামরিক বাহিনীর পদক্রম ক্ষু ণ্ণ করণ বেশ আপত্তিকর। সরকার সাধারণত সেনাবাহিনীর উচ্চ
পদস্থ অফিসারদের বিরোধিতার সম্মুখীন হলে পদক্রম ব্যবস্থায় পরিবর্ত ন আনতে পারে। ব্রাজিলে গৌলার্ট সশস্ত্র শ্রমিক
সংঘ ও বামপন্থী রাজনৈতিক মতাদর্শে কারণে সেনাবাহিনী কর্তৃ ক পদচ্যুত হবার ভয়ে সেনাবাহিনীর পদক্রমে রদবদল
আনেন।

Fear of national disintegration

সামরিক বাহিনী সবসময় বলে যে বেসামরিক সরকারের অদক্ষতা, দুর্নীতি, ও যথাযথ শাসনে অক্ষমতার কারণে রাষ্ট্র
বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ইকোনোমিক সমস্যায় জর্জ রিত বিধায় রাজনীতিতে তাদের হস্তক্ষেপ অপরিহার্য।
শক্তিশালী, জনসমর্থিত ও বেসামরিক সরকারের অনুপস্থিতিতে সামরিক হস্তক্ষেপ সহজ। তৃ তীয় বিশ্বে রাজনীতিতে
জনসাধারণের অংশগ্রহণের তেমন সুযোগ থাকে না বিধায় সরকার এক বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন পূরণ করতে না
পারে না ফলে এ সব সুবিধাবঞ্চিত মানুষ রাস্তায় সরকারের বিপক্ষে মিছিল বের করে। এমতাবস্থায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব
বা আমলারা তাদের নিজস্ব স্বার্থ চরিতার্থ করতে ব্যস্ত থাকায় সুবিধাবঞ্চিতরা তাদের বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসন সমর্থন
করে।

প্রথমে সামরিক বাহিনী জনসাধারণের সমর্থন আদায় করতে গিয়ে জনগণকে দুর্নীতি রোধ ও অধিক জনবান্ধন সরকার
গঠনের প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে ইতিহস বলে যে, সামরিক বাহিনী এসব প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে অনেক সময় বেসামরিক
সরকারের মত অদক্ষ ও দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে যায়।

তাছাড়াও, সামরিক বাহিনী মূলত ক্ষমতায় আসে সিভিলিয়ানদের আন্তকোন্দলের কারণে, কিন্তু কিছু সমঢ পর সামরিক
বাহিনীর মধ্যেও কোন্দল দেখা দেয় ফলে তাদের মধ্যে অভ্যুত্থান সৃষ্টি হয়। এখন অনেকে বলতে পারেন যে অভ্যুত্থান
অপ্রতিনিধিত্ব সরকারের সমাধান হতে পারে না, আসলে তাই। আর বেসামরিক সরকারের সময় যে সমস্যা ছিলো
সামরিক শাসনের সময় তা আরও বৃদ্ধি পায়।

অকার্যকর বেসামরিক সরকারকে পদচ্যুত করার সিদ্ধান্তের পেছনে উদ্দেশ্য হলো অপ্রতিনিধিত্বশীল সরকারের কারণো
সৃষ্ট সামাজিক বিশৃঙ্খলার ফলে অনেক রাজনৈতিক দল বা দরিদ্রদের অধিকার আদায়, তাদেরকে রাজনৈতিক ও
ইকোনোমিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ আন্দোলনের অভ্যুদয় ঘটে। মিলিটারি অনেকগুলো কারনে রাজনৈতিক ও
ইকোনোমিক উদারিকরণের বিরোধী হতে পারে।

জনসাধারণের প্রয়োজন নিয়ে কাজ করা গুরুত্ব পেরে বাজেট সংক্রান্ত প্রাধান্য পরিবর্ত ন আসে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও
কল্যাণমূলক স্কিমে অর্থ বিনিয়োগ করতে সামরিক বাহিনীর উপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে।

বেসামরিক সরকার আগে বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আগে সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করলেও
তবে এটারও ভয় আছে যে সামরিক অভ্যুত্থানের শিকার রাজনৈতিক ব্যক্তি ক্ষমতায় ফিরে আসলে সামরিক বাহিনীকে
শাস্তি দিতে পারেন। বেসামরিক সরকার দ্বারা অভ্যুক্থানের প্রতিশোধের ভয় সামরিক বাহিনীর আছে। আগেই বলা
হয়েছে যে সামরিক বাহিনী বামপন্থী বা রাজনৈতিক দল কর্তৃ ক মিলিটিয়া প্রতিষ্ঠার ভয়ে থাকে।

(d) Expansion of the concept of 'national security"

3
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উদারতার বিষয়ে সামরিক ভয়ের প্রতি্যক্ষ ফল হচ্ছে জাতীয় নিরাপত্তার মধ্যে আঞ্চলিক
নিরাপত্তার অন্তর্ভু ক্তি। অল্প হলেও এ পরিবর্ত ন এসেছিল যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অফিসারর দের প্রশিক্ষণের মধ্যে থেকে। এ
প্রোগ্রামের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র তৃ তীয় বিশ্বের দেশগুলোর সামরিক ব্যবস্থায় পেশাগত ট্রেন্ড চালু করে

আমেরিকান একাডেমিক তাত্ত্বিকরা মিলিটারিতে পেশাগত ট্রেন্ড প্রবেশ করানোর অন্যতম উদ্দেশ্য ছিলো যে মিলিটারি
পেশাগত হলে রাজনীতির প্রতি কমে আগ্রহী থাকবে। তার কারণ পেশাগত করণের অর্থ হলো বিশেষায়িতকরণ। আর
সামরিক কর্মকর্ত াদের মধ্য পেশাগতভাব ও বিশেষ দক্ষতা থাকলে তারা রাজনৈতিক বিষয়ে নাক গুলানোর সুযোগ
তেমন পাবে না। হান্টিংটনের মতে অফিসার সিপ বৃহৎ অবস্থান থাকায় তার অন্যন্য সামাজিক ও রাজনৈতিক ভূ মিকা
নগণ্য।

তবে হান্টিংট এটা লক্ষ করেননি যে তখন সামরিক বাহিনীর প্রথম কাজ বাহ্যিক নিরাপত্তা রক্ষা থাকলেও তারা যে ধীরে
ধীরে বিভিন্ন ধরনের সামরিক বেসামরিক সম্পর্ক গড়ে তু লবে। তাই সামরিক সহযোগিতার পেছনে ছিলো সামরিক
বাহিনীকে পেশাদার হিসেবে গড়ে তু লার আগে সৈনিকদের স্থানীয় রাজনীতিতে যে সম্পৃক্ততা ছিলো তার নির্মূল করা।
কিন্তু ঘটলো তার বিপরীত, অভ্যন্তরীণ সহিংসতা রোধে বিভিন্ন সামরিক কলাকৌশল প্রণয়নে মিলিটারি সম্পৃক্ত হলে
তারা স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক, বা মতাদর্শগত কারণে রাজনীতির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। এমনকি
কিছু সামরিক কর্মকর্ত া এও বলেন যে তারা বেসামরিক কর্মকর্ত াদের মতও এসব সমস্যার সমাধান দিতে সক্ষম।

বেসামরিক সরকার জনপ্রতিনিধিত্ব থেকে দূরে থাকলে সামাজিক অশান্তি ও বৃদ্ধি পাবে। এ ক্ষেত্রে পুরো সিস্টেমকে
পুনরায় শৃঙ্খলা আনতে তারা ক্ষমতা হাতে নিতে পারে৷

আর এ অজুহাতে ক্ষমতায় আসা সেনাবাহিনী প্রায় সময় তাদের শাসনকে প্রাতিষ্ঠানিকিকরণের চেষ্টা করে,যেমনটা
ব্রাজিল, চিলি, ইন্দোনেশিয়া য় ঘটেছে। বর্ত মানে অধিকাংশ তৃ তীয় সারির দেশের সামরিক বাহিনী অভ্যন্তরীণ
নিরাপত্তার সাথে সক্রিয় থাকায় তারা আগামীতে কমে বেশ সরকার ও রাজনীতিতে ভাগ বসাতে চাইতে পারে।

Foreign groups

militarily and economically vital, and generally to enhance their position of power throughout the
world.
অন্য উদ্দেশ্য হচ্ছে একই জিনিস যাতে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র না পায়। উভয় পুজি
ঁ বাদী ও সোভিয়েত ইউনিয়ন দলভু ক্ত
রাষ্ট্র সামরিক বাহিনী পরিচালিত স্থিতিশীল সরকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে ছিল। তাছাড়াও ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর তৃ তীয় বিশ্বের
দেশে যে বৈদেশিক সহায়তা দেয়া হত তার বেশ কিছু অংশ সামরিক সহায়তা। সোভিয়েত ইউনিয়নের দেযা সহায়তার
৫০% সামরিক আর ৫০ অর্থনৈতিক।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে অনুপাত ৩:২. যার বেশির ভাগ ার্ধনৈতিক। সোভিয়েত দলভু ক্ত রাস্ট্রগুলো আন্তর্জ াতিক রাজনৈতিক
ক্ষমতাগত কারণে তারা সামরিক সহায়তার সুবিধা নিত। এমনকি যেসব শিল্পোন্নত দেশগুলোতে স্বাভাবিক মভাবে
বেসামরিক সরকারকে নামিয়ে যেখানে তারা সামরিক মাসন চাইবে না, সেখানেও সামরিক সহায়তা সামরিক
বাহিনীকে বেসামরিক সরকারের চেয়ে শক্তিশালি করে তু লেছে। সামরিক বাহিনী সরকারকে ইকোনমিক নীতি
শিল্পোন্নত রাস্ট্রের পক্ষে পরিবর্ত ন করতে বাধ্য কররে

শিল্পোন্নত রাস্ট্র রাজনীতিতে সামরিক অংশগ্রহণ থেকে অনেক অর্থনৈতিক সুবিধা নেয়, বা সামরিক বাহিনী অনেক
সময় শিল্পোন্নত রাষ্ট্রের স্বার্থ ক্ষু ণ্ণ করতে পারে এমন নীতি আটকে দেয়। শিল্পোন্নত রাস্ট্র রপ্তানি নীতির পক্ষাবলম্বন
করে, কারণ রপ্তানি নীতির সাহায্য তারা পণ্য আমদানি, কম মূল্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিনতে পারে। সক্ষেপে বললে,
উন্নত পুজি
ঁ বাদী ও সমাজবাদী রাষ্ট্র তৃ তীয় বিশ্বের দেশের সাথে অর্থনীতির সম্পর্ক স্থাপন করে যাতে তারা অনুকূল শর্তে
শিল্পোন্নত রাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন করে আর শিল্পন্নত রাষ্ট্র উৎপাদিত পণ্য তৃ তীয় বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো
কিনে।

4
শিল্পোন্নত রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে তাদের নিজস্ব রাষ্ট্র সংশ্লিষ্ট কর্পোরেশন ও ব্যবসায়ি সংগঠনের জন্য বৈশ্বিক
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টি করা। সোভিয়েত ব্লকের ট্রেডিং কোম্পানিগুলো এর জ্বলন্ত উদাহরণ। পুজি ঁ বাদী রাষ্ট্র
ও তাদের কর্পোরেশনের সম্পর্ক বেশ জটিল। তারা আন্তর্জ াতিক ইকোনমিকে এমনভাবে পরিবর্ত ন করতে চায় যাতে
করে তাদের নিজস্ব অর্থনীতি ও বহুজাতিক কোম্পানি আরও শক্তিশালী হয়। তবে এখানে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতে পারে এ অর্থে
যে কোম্পানিগুলো তাদের নিজে কল্যাণে মত্ত আবার সরকারকে সমগ্র অর্থনীতির খেয়াল রাখতে হয়। ইকোনমিক নীতি
কর্পোরেশনগুলোর বৈদেশিক কার্যক্রমের জন্য অনুকূল হলেও অভ্যন্তরে কর্পোরেশগুলোকে সবসময় সরকারি নিয়ন্ত্রণে
রাখার নীতি থাকবে। তাছাড়াও সরকারের নন ইকোনমিক লক্ষ্যও থাকে যার ফলে সরকার এমন নীতি প্রণয়ন করতে
পারে যা তাদের কর্পোরেশনের স্বার্থের বিরুদ্ধে যেতে পারে।

দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সাহায্য সংস্থা পুজিঁ বাদী রাষ্ট্র ও তাদের কর্পোরেশনের স্বার্থে বৈশ্বিক ইকোনমিতে পরিবর্ত ন
আনতে খুব কার্যকর, যদিও দ্বিপাক্ষিক সংস্থাগুলোকে বহুপাক্ষিক সংস্থার চেয়ে সহজে নিয়ন্ত্রণযোগ্য। যেমনভাবে,
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফকে নিয়ন্ত্রণ করে।
দ্বিপাক্ষিক সহায়তা এমনভাবে দেয়া যেতে পারে যাতে বেসামরিক সরকারের চেয়ে সামরিক বাহিনীর পজিশন
শক্তিশালী হয় আর বাহ্যিকভাবে দেখানো যেতে পারে যে এ সাহায্যর মাধ্যমে বেসামরিক ইকোনোমিক সামর্থ বাড়ছে।
দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক কিছু রাষ্ট্রকে লোন দিতে পারে অথবা তারা তাদের এমন শর্ত দিতে পারে যা শুনে রাষ্ট্রগুলো
লোন না নিতে চায় বা পুজি ঁ বাদী রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থ বিরোধী এমন ইকোনমিক নীতি সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়।

স্বাধীন ইকোনমিক নীতি অনুসরণকারী রাষ্ট্রকে সামরিক হস্তক্ষেপ বা বাহ্যিক সহায়তা সরিয়ে নিয়ে তাদের দূর্বল করা
হতে পারে। অন্যদিকে, আন্তর্জ াতিক সংস্থার লোনের ষর্ত মনে নেয়ার অন্যতম পরিণাম হচ্ছে, যে সরকারগুলোকে দরিদ্র
শ্রেণীর মানুষের জন্য বরাদ্দ সহযোগিতা নীতি বাতিল করতে বাধ্য করা হতে পারে, যা সাধারণ জনতাকে সরকারের
প্রতি অসন্তুষ্ট করে তোলে৷ এর ফলে সৃষ্ট সামাজিক বিশৃঙ্খলার অজুহাতে সামরিক বাহিনীকে লেলিয়ে দেয়া হতে পারে
মিলিটারির সাথে সংযুক্ত দেশি বিজনেসের সাথে বিদেশি বিজনেসের চু ক্তি করে ও মিলিটারি বৈদেশিক কিছু কোম্পানিকে
বিশেষ সুবিধা দেয়ায় বৈদেশিক মূলধন লাভ করে। আর বৈদেশিক মূলধনের জন্য খোলা-দরজা নীতি ফলে দিপাক্ষিক ও
বহুপাক্ষিক সংস্থা থেকে বেশ সাহায্য আসে। আর উচ্চ পদস্থ মিলিটারি অফিসাররা এ সাহায্য থেকে কিছু অংশ তারা
নিজস্ব ব্যবহারের কাজে লাগাতে পারেন।
.
স্থানীয় ব্যবসার স্বার্থের বিনিময়ে কি পরিমাণ বৈদেশিক মূলধন আসবে তা নির্ভ র করে প্রতিটি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ
অবস্থার উপর। যেসব রাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ মূলধন দূর্বল, ও বৈদেশিক মূলধনের ফলো বিভিন্ন সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে,
সেখানে বৈদেশিক মূলধন অনেকসময় সাদরে গ্রহণীয়। আবার যেখানে আবার যেখানে সামরিক ও বেসামরিকের মধ্য
ঘনিষ্ঠ কর্মসম্পর্ক ও শক্তিশালী বৈদেশিক মূলধন রয়েছে সেখানেও অনেক সময় বৈদেশিক মূলধন গ্রহণীয়।

শিল্পোন্নত রাষ্ট্রের অস্ত্র রপ্তানিও অনেক সময় তৃ তীয় বিশ্বকে পুজি


ঁ বাদী অর্থসীতির সাথে সংযুক্ত করে৷ এ প্রক্রিয়াটা
বিভিন্নভাবে ঘটে। অস্ত্র ব্যবহার করে তৃ তীয় বিশ্বের রাষ্ট্রের কোম্পানি বা কর্পোরেশনের জন্য লাভজনক এমন নীতির
বিরুধিতাকারীদের নির্যাতনে ব্যবহৃত হয়। যা আলটিমেটলি ঐসব রাষ্ট্রের জনগনকে আরও দরিদ্রতার দিকে ঠেলে
দেয়। অস্ত্র ও এ সম্পর্কি ত সার্ভি সের টাকা পরিশোধ করতে তৃ তীয় বিশ্বের রাষ্ট্রকে বেশি বেশি রপ্তানি অতবা
আন্তর্জ াতিক সাহায্য সংস্থা, বহুজাতিক ব্যাংকের কাছ থেকে লোন নিতে বাধ্য করা হয়। এর মাধ্যমেও তারা পুিজবাদী
বিশ্বের অর্থনীতির সাথে সংযুক্ত হয়ে পড়ে।

সৌভিয়েত দলভু ক্ত দেশ ও তৃ তীয় বিশ্বের সাথে এরুপ লেনদেনও নির্ভ রশীলতা সৃষ্টি করেছিলো। বিনিময় চু ক্তির
ভিত্তিতে সোভিয়েতভু ক্ত দেশ থেকে অস্ত্র আমদানি করা হয়। আর তাদেরকে হার্ড মূদ্রাও দিতে হয়। সোভিয়েতভু ক্ত দেশ
থেকে তৃ তীয় বিশ্ব অস্ত্র আমদানি করলেও পুজি
ঁ বাদী বিশ্বের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করে না৷ আর নির্ভ রশীল উন্নয়নে
বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা জনমতকে শ্বাসরোধ করতে সোভিয়েত থেকে নেয়া অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। .

তৃ তীয় বিশ্বে সরকার পরিচালনায় সামরিক বাহিনী থাকলে অস্ত্র আমদানির পরিমাণ বেড়ে যায় যা অস্ত্র রপ্তানিকারক
দেশ ও রাস্ট্র নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র কোম্পানিগুলোর জন্য লাভজনক।

অস্ত্র রপ্তানি করে প্রাপ্ত আয় দিয়ে কোম্পানিগুলো আরও বেশি অস্ত্র উৎপাদন করে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে
অ্যাকশন নেয়ার জন্য। আর এর ফলো সৃষ্ট উত্তেজনা অনেক সময় তৃ তীয় বিশ্বেও ছড়িয়ে পড়ে। আর তৃ তীয় বিশ্বের

5
সরকার সংক্রান্ত সমস্যা সামরিক বাহিনী দিয়ে সমাধান করার প্রচেষ্টা সেসব দেশের সামরিক বাহিনীর অবস্থান আরও
শক্তিশালী করে৷ অর্থনৈতিক কারণ বিবেচনায় তৃ তীয় বিশ্বের রাস্ট্রে সামরিক বাহিনীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ পুজি
ঁ বাদী
ও সমাজবাদী রাষ্ট্রের জন্য সুবিধাজনক।
উদাহরণস্বরুপ, বাংলাদেশ সরকারের মধ্য দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সংস্থার সহয়তায় ও পরামর্শে তার উন্নয়ন কাজ
পরিচালনা করে৷

376
INDIVIDUALS WITHIN THE MILITARY
সশস্ত্র বাহিনীর লোকজন বেসামরিক রাজনীতির সাথে যুক্ত লোকজনের মতও ব্যক্তিগত ক্ষমতা ও সম্পত্তি বাড়াতে
রাজনৈতিক ক্ষমতা আকড়ে রাখার চেষ্টায় রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করেন। তৃ তীয় বিশ্বে
দ্ররিদ্র শ্রেণীর খুব কম লোক নিজের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে সামরিক বাহিনীতে সুযোগ পায়।

তার মানে এই নয় যে মতাদর্শগত ও রাজনৈতিক পছন্দ সামরিক অভ্যুত্থানে কোনো ভূ মিকা রাখে না৷ পেরুর
অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কেমন হবে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকলেও তারা পেরুর অলিগার্চ দের প্রভাবের বিরুদ্ধে ১৯৬৮ সালে
অভ্যুথ্থান করে।

আবার ইন্দোনেশিয়ায় সুকর্নের বিরুদ্ধে অভূ ত্থান হয়েছিলো পুজি ঁ বাদী ব্যবস্থা কায়েমের জন্য। ( গবেষনায় দেখা গেছে,
তৃ তীয় বিশ্বের অভূ ত্থানের নেতাদের প্রধান উদ্যেশ্য থাকে ব্যক্তিগত ক্ষমতা ও সম্পদ বৃদ্ধি। আর এ প্রবনতা কোনো
নির্দি ষ্ট ব্যক্তির মধ্য সীমাবদ্ধ নয়, বরং সিনিয়র অফিসার
দের নিয়ে গঠিত বিভিন্ন দলের মধ্যও) B

রাজনৈতিক অংশগ্রহণের মাত্রা ও নীতির মত ব্যাপারে মতভেদের কারণে অনেক দল সৃষ্টি হয় মিলিটারির মধ্যে।
প্রজন্মগত পার্থক্য, পেমাগত, এথনিক বিভাজন, জাতিগত পার্থক্য, পদক্রম নিয়ে বিতর্ক , শ্রেণীগত কারণে সামরিক
বাহিনীতে বিভিন্ন দল সৃষ্টি হয়।

একের অধিক মিলিটারি নেতা রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূ মিকা পালন করতে চাইলে বিভিন্ন মিলিটারি, রাজনৈতিক
নেতা, ব্যবসায়ী, ও আমলাদের গ্রুপ নিয়ে কোয়ালিশন গঠন গুরুত্বপূর্ণ। এ আন্ত ;শসামরিক গ্রুপ নিজের স্বার্থ রক্ষা ও
অন্য গ্রুপের প্রচেষ্টা ব্যাহত করতে রাজনীতিতে আরও বেশি জড়িয়ে যায়।

তবে বিভিন্ন উপায়ে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা নিজে নিজে সম্পদ বৃদ্ধি করতে পারেন। সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির ফলে
শুদুমাত্র সামরিক প্রশিক্ষণ ও সামরিক বাহিনীর জন্য আরও উন্নত অস্ত্র কেনা হয় না, সামরিক বাজেট বৃদ্ধি পেলে
বেতন, বাড়ি, মেডিক্যাল সুবিধার, ও সন্তানের জন্য শিক্ষা সুবিধাও বাড়ে। *
সামরিক বাহিনীর বেতন সুযোগ সুবিধা আমলাতন্ত্রের উচ্চ পদস্থ অফিসারদের চেয়ে কম হয়, এমনকি রাজনৈতিক
নেতৃ ত্বের অধীনস্থ মিলিটারির চেয়ে কম হয়। এ জন্য তারা বাজেট বৃদ্ধির দাবি করেন। যেটাই হোক না কেন, সামরিক
বা বেসামরিক সরকার সব সময় তাদের অধীনস্হ অফিসারদের বেতন সহ সবধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে রাখলেও।
রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সামরিক অংশগ্রহণ তাদের ঘোষ, রেক অফ ইত্যদি রকম দুর্নীতির মাধ্যমে আরও বেশি সুযোগ
সুবিধা এনে দেয়৷ সিনিয়র অফিসাররা সবচেয়ে বেশি সুবিধা পায়। যেসন সুদানে সামরিক বাহিনী সরকারী ভূ মি
নিজের ব্যবহারের জন্য নিয়ে নেয়, গণপূর্ত কাজগুলো তাদের আত্মীয় স্বজনের সুবিধায় ব্যবহার করে, আমদানি
লাইসেন্সের জন্য বড় অংকের টাকা দাবি করে৷

সামরিক বাহিনী ক্ষমতায় থাকলে


ব্যক্তিগত উন্নয়ন অনেক ক্ষেত্রে সহজ। এমনকি বেসামরিক সরকারেও সামরিক অফিসারদের এমন পদে নিযুক্ত করা
হতে পারে যেখান থেকে তারা আত্মোন্নতি করতে পারেন। আমলাতন্ত্রের উচ্চ পদে নিযুক্ত হয়ে তারা সরকারি ব্যয় কে
বিনিয়োগে রুপান্তর করে নেন যা তারা যে প্রাইভেট কোম্পানির সাথে যুক্ত আছেন তার জন্য লাভজনক হবে।

তাছাড়াও তারা অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহায়তা নিজের ব্যবহারের জন্য রাখা ছাড়াও দেশি বা বিদেশি কোম্পানিকে
ফেভার করার জন্য টাকাও দাবি করতে পারোন। ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে এরকম ট্রেন্ন বিদ্যমান। আগেও বলা
হয়েছে যে ডমেস্টিক বিজনেসের সাথে মিলিটারি সদস্যদের পরিবার অংশিদারি ব্যবসায় ঢু কতে পারে৷ অভ্যুত্থানের

6
মাধ্যসে ক্ষমতায় আসা মিলিটারি ব্যবসা পরিবেশ স্থিতিশীল রাখার দায়িত্ব পালন করে। অনেক সময় মিলিটারি স্থানীয়
ব্যবসায়ি ও রাজনৈতিক এলিটদের অংশিদারিত্ব বাতিল ঘোষণা করে।

অর্থনৈতিক কাজে মিলিটারি জড়িয়ে গেলো তারা পুজি ঁ বাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি ঋুকে পড়ে। এরকম হলে তারা
রাজনৈতিক ও ইকোনোমিক উদারতার বিরোধীতা করবে। রাজনীতিতে দরিদ্র শ্রেণীর অংশগ্রহণের ফলে ক্ষমতায়
থাকা ব্যক্তিদের ক্ষমতা হ্রাস পায়। তার পর তাদের বিদ্যমান ব্যবস্থাথেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে এমন ব্যবস্থা হয়ত
প্রতিষ্ঠা করা হবে যেখানে অর্থনৈতিক অগ্রগতির সুযোগ একেবারে কম। অফিসাররা রাজনৈতিক, আমলাতান্ত্র, ও
জাতীয় কোম্পানির উচ্চ পদ হারাতে পারেন। সামরিক বাহিনীর বেতন সুযোগ সুবিধা আমলাতন্ত্রের উচ্চ পদস্থ
অফিসারদের চেয়ে কম হয়, এমনকি রাজনৈতিক নেতৃ ত্বের অধীনস্থ মিলিটারির চেয়ে কম হয়।

The Centrality of Military Theory


সমস্ত রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সামরিক বাহিনী কিছু সুযোগ সুবিধা ভোগ করে যার সাহায্যে তারা রাজনৈতিা প্রক্রিয়ায়
হস্তক্ষেপ করতে পারে। জেনকিনস ও Kposowaর মতে সহিংসতার বৌধতা থাকায় তারা রাজনীতিতে কর্তৃ ত্ব
খাটাতে চাইতে পারে। Acemoglu'র মতে, শক্তিশালী সামরিক বাহিনী সৃষ্টি রাজনৈতিক এলিটদের বিরুদ্ধে দুধারি
তলোয়ার স্বরুপ৷ এক দিকে যেমন শক্তিশালী সেনাবাহীনি গণতন্ত্রে পরিবর্ত ন ঠেকাতে কার্যকর, অন্যদিকে সামরিক
বাহিনী রাজনৈতিক কর্তৃ ত্ব নিজের হাতে তু লে নেয়াে ঝু কিও থাকে৷

প্রকৃ তপক্ষেেই, সামরিক সরকার শাসিত অঞ্চলে গণতন্ত্র ঠেকানোর জন্য শুধুমাত্র কার্যকরও না, তারা এলিটদের বিরুদ্ধে
গিয়ে সরকার কর্তৃ ত্ব হাতে নিয়ে রাজনৈতিক ক্ষমতা চর্চ া করেও রাজনীতিতে নৈতিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এ
কারণেই আমেরিকা সহ সকল রাষ্ট্রে সামরিক বাহিনীর জন্য বাজেটে অনেক বরাদ্দ রাখা হয়। এ তত্ত্বের যুক্তি হচ্ছে,
সামরিক রিসোর্স যত শক্তিশালী(রাষ্ট্রীয় রিসোর্সের শতকরা হার ও জাতীয় অর্থনীতির আপেক্ষিকতার দিক দিয়ে)
রাজনীতে সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা তত বেশি।

3.4 The Conflict Theory


দ্বন্দ্ব ও সামরিক বাহিনী মানব ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নৃগোষ্ঠির প্রতিযোগিতা; কর্তৃ ত্ব , সাংস্কৃ তিক বৈচিত্র্য,
জাতিগত শত্রুতা আফ্রিকায় রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপের প্রধান কারণ। সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায়
আসা Gen Yakumuর ঘটনা দ্বন্দ্ব তত্ত্বের সাথে সংশ্লিষ্ট।
মনে করা হয় যে, প্রধানমন্ত্রী তাফাওয়া বালেয়া ও সহ অন্যন্য অনেক খ্যাতিমান নাইজেরিয় রাজনৈতিক নেতৃ ত্ব এ
অভ্যুত্থানে নিহত হন৷
মরিসন ও স্টিফেনসনের মতে, অতিরিক্ত সাংস্কৃ তিক দল, এলিট অস্থিতিশীলতা, তেমন বেশি সামরিক হস্তক্ষেপ। তবে,
এ যুক্তি অনেক সময় ভ্রান্তার জন্ম দিবে কারণ সামাজিক ভিন্নতার সাথে সামরিক হস্তক্ষেপ সামর্থক হলে যুক্তরাষ্ট্রে
সবচেয়ে বেশি সামরিক শাসন কায়েম হত।

আবার সামাজিক বৈচিত্র্যকে সামরিক হস্তক্ষেপের একমাত্র কারণ বলা হলে ভু ল হবে, কারণ তা যদি হত তাহলে মার্কি ন
যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি সামরিক শাসনের ইতিহাস হত। সামরিক হস্তক্ষেপ ও বৈচিত্র্যকে এক সামঞ্জস্যপূর্ণ বন্ধনে
আবদ্ধ করার ক্ষেত্রে সমাজের অক্ষমতার মধ্য ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
However, this argument could be misleading because if military intervention is
synonymous with societal heterogeneity, then the United States would have. corded
the highest case of military rule in the world. Nevertheless, such is not the Perhaps,
there a cos relationship between a society's inability to subsume its heterogeneity
into a harmonious union and the min intervention in that society. Therefore, the
problem is not heterogeneity per se but the inability to explore and harness the
diversities into a harmonious composite union.

3.5 Regional Differences Theory


ভৌগোলিক অবস্থান ও শাসক শ্রেণির পার্থক্যর ভিত্তিতে কর্তৃ ত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা থেকে উদ্ভূ ত দ্বন্দ্ব নিয়ে আলোচনা করে।

7
A Diagram Representing Stable Industrialized State with Little or no Threat of Military
Intervention

a. Low degree of social cohesion:

Presence of [ow degree of social cohesion makes the political institutions weaken. Social
cohesion is a term used in social policy: Sociology and Political Science to describe the
bonds or

Electronic copy available at: https://asm.com/abstract2468243

"glue" that bring people together in society, particularly in the context of cultural diversity.
One of the dimensions refers to the positives interactions, exchanges and networks between
individuals and communities or "active social relationships." Such contacts and connections
are potential resources for places since the offer people and organizations mutual support.
Social dimension of social cohesion is that social integration of people into the mainstream
institutions of civil society. Lack of these dimensions weaken the social cohesion and for that
raises the military to intervene. Sammuel P. Huntington said "the wealthy bribe students riot,
workers strike, mobs demonstrate and the military coup."

b. The existence of fratricidal class:


নব্য স্বাধীন উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের সমাজ অনেকগুলো শ্রেনীতে বিভক্ত থাকলেও একটি থাকে শাসক অন্যটা শাসিত
শ্রেণী। অল্পসংখ্যক এলিট শ্রেণী নিম্ন শ্রেণীকে শাসন করে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে রাজনীতিতে
ফেট্রিসাইডাল দল থাকে। এ ধরনের সহিংসতা ও উত্তেজনা উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের কমন বৈশিষ্ট্য। আর এ সুযোগে
সামরিক বাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে।

c. Small, weak and non-consolidate middle class:


ক্ষু দ্র, দুর্বল ও অসংগঠিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উপস্থিতি তৃ তীয় বিশ্বের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এসব রাস্ট্রে শক্তিশালী
রাজনৈতিক মধ্যেবিত্ত শ্রেনী, রাজনৈতিক দল ো প্রতিষ্ঠানের অভাব রয়েছে। এ জন্য শক্তিশালী সামরিক বাহিনী
জোরপূর্বক
রাজনৈতিক ক্ষমতা হাতে তু লে নিতে পারে। অনেকে আবার সামরিক বাহিনীকে নতু ন মধ্যভিত্ত শ্রেণি হিসেব৷ে
বিবেচনা করেন।

d. lack of institutionalization:
রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান দ্বন্দ্ব মিমাংসা করতে আইন তৈরি ও প্রয়োগ করে। অর্থনীতি ও সামাজিক ব্যবস্থা সংক্রান্ত নীতি
গ্রহণ ছাড়াও জানপ্রতিনিধিত্ব করে থাকে রাজনৈতিক দল, ট্রেড ইউনিয়ন ও কোর্ট ইত্যাদি হলো রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।

রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বলতে সুগঠিত আইন ও নীতির কাঠামোকেও বুজায় যা অনুযায়ী উপরিউক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ
পরিচালিত হয়, তাছাড়াও ভোটদানের অধিকার, রেসপন্সিবল সরকার, ও জবাবদিহিতা এর অন্তর্ভু ক্ত। হান্টিংটন ও
অন্যন্যরা মনে করে যথাযথ রাজনৈতিক প্রাতিষ্ঠানিকিকরণ সামরিক হস্তক্ষেপের প্রধান কারণ।

Civilian intervention in military:


Modern military gets huge facilities those other governmental institutions. Usually any
government tries to protect military interests. Military is also very aware about their interests.
Many developing countries have experienced military intervention.

f. inept, ineffective and corrupt government:

8
Inept, ineffective and corrupted government when lose its faintness and effectiveness cause
for the military intervention. African developing countries during 1960 to 1966 were
experienced military coup. These types of characteristics of third world countries give
opportunity to military to take the authority in governing system.

g. economic deterioration:
বেসামরিক সরকার অর্থনৈতিক অবনতি রোধ না করতে পারলে
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, মুদ্রস্ফিতি দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্যর অতিরিক্ত দাম সংক্রান্ত ঘটনা ঘটে। আর এ সুযোগে
সরকার বিরোধী দল ও চাপসৃষ্টি কারী গোষ্ঠী সহিংসতার আশ্রয় নেয়। এ সুযোগে সামরিক বাহিনীও ক্ষমকা গ্রহণ
করতে চায়।

h. Role of super powers:


Most of the developing countries derived their independence from the colonial ruling
countries.
These countries expanded their rule in the third world countries arid later these countries
known
as developing countries as well. But after independent these countries could not be out of
influence of super powers. It has been said that superpowers some time support also military
for
their interest. During the cold war period it had been seen greatly.
S.E finer has pointed out some causes or opportunities in favor of military intervention or
military coup. These causes are given below (Finer, 196272-85);
Increased civilian dependence on the military:
S.E Finer stard such as “War is too important to be left to the Generals,” from the suggestion
of
S.P Huntington. War usually expands the influence of the military in various crisis moments
of a

You might also like