Professional Documents
Culture Documents
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
কায়কোবাদ, মহাকবি কায়কোবাদ বা মুন্সী কায়কোবাদ (২৫ ফেব্রুয়ারি ১৮৫৭ - ২১ জুলাই, ১৯৫১ বাংলা ভাষার উল্লেখযোগ্য কবি
যাকে মহাকবিও বলা হয়। তার প্রকৃ ত নাম মোহাম্মদ কাজেম আল কোরায়শী। “মীর মশাররফ, কায়কোবাদ, মোজাম্মেল হকের মধ্যে
কায়কোবাদই হচ্ছেন সর্বতোভাবে একজন কবি। কাব্যের আদর্শ ও প্রেরণা তাঁর মধ্যেই লীলাময় হয়ে ওঠে। সেজন্য একথা বেশ জোরের
সঙ্গে বলা যায় যে কবি কায়কোবাদই হচ্ছেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি।তিনি বাঙালি মুসলিম কবিদের মধ্যে প্রথম
সনেট রচয়িতা।
কায়কোবাদ ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৮৫৭ সালে (বর্ত মানে বাংলাদেশের) ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার অধীনে আগলা-পূর্বপাড়া গ্রামে জন্ম
গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ঢাকা জেলা জজ কোর্টে র একজন আইনজীবি শাহামাতু ল্লাহ আল কোরেশীর পুত্র। কায়কোবাদ সেন্ট গ্রেগরি
স্কু লে অধ্যয়ন করেন। পিতার অকাল মৃত্যুর পর তিনি ঢাকা মাদ্রাসাতে (বর্ত মান কবি নজরুল সরকারি কলেজ) ভর্তি হন যেখানে
তিনি প্রবেশিকা পরীক্ষা পর্যন্ত অধ্যয়ন করেছিলেন। উপরন্তু, তিনি পরীক্ষা দেননি, বদলে তিনি পোস্টমাস্টারের চাকরি নিয়ে তার স্থানীয়
গ্রামে ফিরে আসেন, যেখানে তিনি অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্ত কাজ করেছেন। ১৯৩২ সালে, তিনি কলকাতাতে অনুষ্ঠিত বঙ্গীয়
মুসলিম সাহিত্য সম্মেলন-এর প্রধান অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
মুসলমান কবি রচিত জাতীয় আখ্যান কাব্য গুলোর মধ্যে সুপরিচিত মহাকবি কায়কোবাদ রচিত ‘মহাশ্মশান’ কাব্যটি। কায়কোবাদের
মহাকবি নামের খ্যাতি এই মহাশ্মশান কাব্যের জন্যই। কাব্যটি তিন খন্ডে বিভক্ত। প্রথম খন্ডে ঊনত্রিশ সর্গ,দ্বিতীয় খন্ডে চব্বিশ সর্গ,
এবং তৃ তীয় খন্ডে সাত সর্গ। মোট ষাট সর্গে প্রায় নয়শ' পৃষ্ঠার এই কাব্য বাংলা ১৩৩১, ইংরেজি ১৯০৪ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়;
যদিও গ্রন্থাকারে প্রকাশ হতে আরো ক'বছর দেরী হয়েছিল। পানিপথের তৃ তীয় যুদ্ধযজ্ঞকে রূপায়িত করতে গিয়ে কবি বিশাল
কাহিনী,ভয়াবহ সংঘর্ষ, গগনস্পর্শী দম্ভ,এবং মর্মভেদী বেদনাকে নানাভাবে চিত্রিত করেছেন। বিশালতার যে মহিমা রয়েছে তাকেই রূপ
দিতে চেয়েছিলেন এই কাব্যে।
“সেদিন কায়কোবাদ এক নির্জি ত সমাজের প্রতিনিধি-প্রতিভূ কিংবা মুখপাত্র হিসেবে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূ মিকা পালন করেছিলেন। তাঁর
স্বসমাজের লোক পেয়েছিল প্রাণের প্রেরণা ও পথের দিশা। এই ঐতিহাসিক দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছিলেন বলেই আমরা এই
মুহূর্তে ও শ্রদ্ধা ও কৃ তজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি মহাশ্মশানের কবিকে।”
বাংলা মহাকাব্যের অস্তোন্মুখ এবং গীতিকবিতার স্বর্ণযুগে মহাকবি কায়কোবাদ মুসলিমদের গৌরবময় ইতিহাস থেকে কাহিনী নিয়ে
‘মহাশ্মশান’ মহাকাব্য রচনা করে যে দুঃসাহসিকতা দেখিয়েছেন তা তাকে বাংলা সাহিত্যের গৌরবময় আসনে স্থান করে দিয়েছে। সেই
গৌরবের প্রকাশে ১৯৩২ সালে বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সম্মেলনের মূল অধিবেশনে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন কবি কায়কোবাদ।
তিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি। বাংলা কাব্য সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯২৫ সালে নিখিল ভারত সাহিত্য সংঘ
তাকে ‘কাব্যভূ ষণ’, ‘বিদ্যাভূ ষণ’ ও ‘সাহিত্যরত্ন’ উপাধিতে ভূ ষিত করেন।
আজ তাঁর জন্মবার্ষিকীতে কবিকে বিনম্র শ্রদ্ধা।
কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মহাকবি কায়কোবাদ স্মৃতি সংসদ তিনটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে:-
(ক) কায়কোবাদ স্মৃতি স্মারক প্রদান সকাল ১০:০০টা
বার্তা প্রেরক-
এস.এম.আজাদ রহমান
যুগ্ম-আহবায়ক
মহাকবি কায়কোবাদ স্মৃতি সংসদ
মোবাইল-01707026371
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
গত শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) কবির জন্মদিন উপলক্ষে “মহাকবি কায়কোবাদ স্মৃতি সংসদ” কবির গ্রামের বাড়িতে (আগলা পোষ্ট অফিস
সংলগ্ন) মহাকবি কায়কোবাদ বালিকা বিদ্যালয়ে কবির জন্মবার্ষিকী তিনটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল
প্রথম পর্বঃ - সকাল ১০:০০টা শুরু হয় “কায়কোবাদ স্মৃতি স্মারক“ প্রদান অনুষ্ঠান, এবছর যারা কায়কোবাদ স্মৃতি স্মারক পেলেন
# আবু মোঃ সুবিদ আলী টিপু
# মাহমুদ আলী খান (টু লু)
# লিয়াকত আলী লাকী
# জামিউর রহমান লেমন
# ড: আবু মোঃ দেলোয়ার হোসেন
# এম. এ. করিম
# কৃ ষ্ণেন্দু সাহা
# ডা: হরগোবিন্দ সরকার (অনুপ)
মহাকবি কায়কোবাদ নিয়ে স্মৃতিচারন করে আবু মোঃ সুবিদ আলী টিপু, তিঁ নি বলেন কায়কোবাদ শেষ বয়সে মহাকবি কায়কোবাদ চোখে
না দেখার কারণে নিজে লিখতে পারতেন না, তাই কখনো কখনো তাঁর সৌভাগ্য হয়েছিল কিছু কবিতা লিখে দেবার। তিনি আরো বলেন
মহাকবি যখন চোখে দেখতেন না, তখন মানুষের পায়ের শব্দ শুনে নাম বলতে পারতেন।
মাহমুদ আলী খান (টু লু) বলেন মহাকবি কায়কোবাদকে নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে।
জামিউর রহমান লেমন নতু ন করে কায়কোবাদের গানের সুরারোপ করে দিবেন ও কায়কোবাদ স্কু লে এসে আযান কবিতাটি ছাত্রীদের
গানের সুরে শিখিয়ে দিবেন।
এম.এ. করিম নিজের লেখা একটি কবিতা আবৃত্তি করে শুনান।
কৃ ষ্ণেন্দু সাহা বলেন কবির জন্য একটি ডকু মেন্টারী করবেন।
ডা: হরগোবিন্দ সরকার (অনুপ) মহাকবি কায়কোবাদ স্মৃতি সংসদকে ধন্যবাদ জানান
দ্বিতীয় পর্বঃ ১০:৩০মি. বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ বিতরন অনুষ্ঠান- ১১৮জন রোগীকে বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান
করেন নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ।
তৃ তীয় পর্বঃ বিকেল ৫টায় আজমপুরস্থ কবির কবরে দোয়া ও পুস্পমাল্য প্রদান করে শেষ হয় মহাকবি কায়কোবাদের ১৬৬তম জন্মদিন
পালন।
বার্তা প্রেরক-
এস.এম.আজাদ রহমান
যুগ্ম-আহবায়ক
মহাকবি কায়কোবাদ স্মৃতি সংসদ
মোবাইল-01707026371