Download as docx, pdf, or txt
Download as docx, pdf, or txt
You are on page 1of 2

বাংলাদেশ পুলিশ

গ্রীষ্মের দাবদাহে যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত, একবিন্দু জলের জন্য চারদিকে হাহাকার, জনহীন পথে মরীচিকার হাতছানি তখন কবি প্রকৃ তিকে বলছেন তু মি কত
নির্মম হবে হও সেই নির্মমতার সঙ্গেই হবে আমার মিলন।

সবাইকে গ্রীষ্মের শুভেচ্ছা

বাংলাদেশ পুলিশ বাংলাদেশের একমাত্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা। সংস্থাটি বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃ ক নিয়ন্ত্রিত। বাংলাদেশ
পুলিশের প্রধান অধিকর্তাকে বলা হয় মহা পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি)।
চু রি-ডাকাতি রোধ, ছিনতাই প্রতিরোধ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা ইত্যাদি সমাজ বিরোধী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধসহ বিভিন্ন জনসভা, নির্বাচনী দায়িত্বে বাংলাদেশ পুলিশ
অংশগ্রহণ করে থাকে।

বাংলাদেশ পুলিশ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের পুলিশ বাহিনীর মতো আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, জনগনের জানমাল ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, অপরাধ
প্রতিরোধ ও দমনে প্রধান ভু মিকা পালন করে থাকে।

বাংলাদেশ পুলিশ সংগঠন বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত। যেমন-


1. পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স (পুলিশ সদরদপ্তর)
2. রেঞ্জ পুলিশ
3. মেট্রোপলিটন পুলিশ
4. বিশেষ শাখা (এসবি)-
ইমিগ্রেশন পুলিশ-
5. অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-
6. আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-

বিমানবন্দর সশস্ত্র পুলিশ (AAP)


বিশেষ নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা ব্যাটালিয়ন (SPBn)
7. র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)- 

8. রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি)-
9. শিল্প পুলিশ-
10. হাইওয়ে পুলিশ-
11. পুলিশ ইন্টারনাল ওভারসাইট (পিআইও)-
12. পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই)-

13. ট্যুরিস্ট পুলিশ-


14. নৌ পুলিশ- অন্যতম

সদস্য সংখ্যা
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী বর্ত মানে পুলিশে কনস্টেবল থেকে আইজিপি পর্যন্ত ২লাখ ১২ হাজার ৭২৪ টি পদ রয়েছে

কমিউনিটি পুলিশি বাংলাদেশ


কমিউনিটি পুলিশিং হচ্ছে অপরাধ সমস্যা সমাধানে পুলিশ ও জনগণের যৌথ অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠার একটি নতু ন পুলিশিং দর্শন । আমাদের দেশে
পুলিশী কর্মকাণ্ডে জনগণের অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কার্যকরভাবে অপরাধ প্রতিরোধের জন্য কমিউনিটি পুলিশিং ধারণা গ্রহণ করা হয়েছে।

পুলিশের সবোচ্চ পদক

বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম)

বিশেষ অস্ত্র ও কার্যপদ্ধতি (SWAT)


Special Weapons And Tactics (বিশেষ অস্ত্র ও কার্যপদ্ধতি) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ইউনিটের একটি অভিজাত শাখা। ঢাকা মেট্রোপলিটন
পুলিশ ইউনিটের গোয়েন্দা শাখার অধীনে সোয়াত কাজ করে। সোয়াত ইউনিটের সদস্যরা অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম ব্যবহার করেন। এদের দেশে
এবং বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। জরুরী প্রয়োজন এবং সংকট ব্যবস্থাপনা, সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ, জিম্মি উদ্ধার ইত্যাদি অপরাধ মোকাবিলায় সোয়াত
সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।

বিশেষ নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা ব্যাটালিয়ন (SPBn)


২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ভ্রমনরত বিদেশী রাষ্ট্রীয় অতিথিদের নিরাপত্তা রক্ষায় বিশেষ নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা ব্যাটালিয়ন নামে পুলিশের একটি
বিশেষায়িত ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)- র‌্যাবের অন্যতম সাফল্য হল জঙ্গি দমন বিশেষত জামায়াতু ল মুজাহিদিন(জেএমবি) রাষ্ট্রের জন্য হুমকি
হয়ে উঠার আগেই র‌্যাব তাদের সমস্ত নেটওয়ার্ক ধ্বংশ করে দেয়।

বিডি পুলিশ হেল্পলাইন


বাংলাদেশ পুলিশের কার্যক্রমে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ২০১৬ সালের অক্টোবরে চালু করা হয় ‘বিডি পুলিশ হেল্পলাইন-999’ নামের
একটি মোবাইল অ্যাপলিকেশন। এর মাধ্যমে কোনো অভিযোগ করা হলে, তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট থানা থেকে শুরু করে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পর্যন্ত
পৌঁছে যায়।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যাবলীতে অবদান


১৯৮৯ সালে নামিবিয়ায় বাংলাদেশ পুলিশ বাংলাদেশের প্রথম জাতিসংঘের শান্তি মিশনের প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে কাজ করে। এরপর থেকে
যথাক্রমে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা আইভরি কোষ্ট, সুদান, দারফু র, লাইবেরিয়া, কসাবো, পূর্ব তিমুর, ডি আর কঙ্গো, অ্যাঙ্গোলা, হাইতিসহ অন্যান্য
মিশনে কাজ করে। ২০০৫ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশন আইভরি কোষ্টে প্রথম সন্নিবেশিত পুলিশ ইউনিট (এফপিইউ) কাজ শুরু করে। শান্তিরক্ষী
মিশনে সবোর্চ্চ সংখ্যক পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি বাংলাদেশের।

দুর্নীতি ও বিতর্ক
বাংলাদেশ পুলিশ সর্বস্তরে রাজনৈতিক প্রভাবের জন্য সমালোচিত হয়েছে এবং প্রধান সিদ্ধান্তগুলো রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নেওয়া হয় এমন
অভিযোগ রয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে ব্যাপক দুর্নীতি, হেফাজতে মৃত্যু ও নির্যাতনের ঘটনা প্রচলিত রয়েছে।
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যদের হাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একজন কর্মকর্তা নির্যাতনের শিকার হন।
[১৮]
 একই মাসে ডিএমপির একজন সাব-ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে নির্যাতন ও অর্থ আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে।[১৯]
[২০]
 বাংলাদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।[২১] বাংলাদেশের বিরোধী দল পুলিশকে বিরোধী
দলকে দমন করতে ব্যবহার করার অভিযোগ করেছে।[২২] গণমাধ্যমে পুলিশের জবাবদিহিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।[২৩] বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ২৩০
জন পুলিশ কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য একটি যৌথ ঘুষ তহবিল গঠন করেছিলেন।[২৪] বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের ওপর হামলার পর ব্লগারদের
আত্ম-নিন্দা করতে বলার কারণে বাংলাদেশ পুলিশ সমালোচনার মুখে পড়ে।[২৫] অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী তার স্বামীর উপর হামলার সময় বাংলাদেশ
পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তু লেছিলেন।[২৬]

You might also like