বাংলাদেশ স্বাধীন

You might also like

Download as docx, pdf, or txt
Download as docx, pdf, or txt
You are on page 1of 3

ঋণ পরিশোধ

পটভূ মি-১: বাংলা সাহিত্যের এক বিক্ষু ব্ধ ঝঞ্ঝার নাম বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা
সাহিত্যে তার আবির্ভাব ঘটে বিজলীর মতো চমকপ্রদ ভাবে, আবার তিনি ঝড়ের মতোই রবীন্দ্র প্র
ভাবান্বিত বাংলার কাব্যধারাকে অল্প সময়ের মধ্যেই প্রলয় লীলায় মত্ত করে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আ
ক্রান্ত হয়ে নিজের সাহিত্য সাধনার ইতি ঘটান। নজরুলের রচনায় যে দৃপ্ত ভাবের দেখা মেলে, তা
একেবারেই তার স্বকীয় বৈশিষ্ট্য এবং এক্ষেত্রে তার কোনো অনুসারী-ও নেই। এই ব্যাপারগুলো আ
মাদের সবার-ই কম বেশি জানা। এই ব্যাপারটি জানার পর থেকেই আমার ইচ্ছা জাগে, নজরুলের
কাব্যধারাকে অনুসরণ করার একটা চেষ্টা করার! আমি মোটেই কোনো সাহিত্য-বিশারদ নই বা নজ
রুল রচনা নিয়ে আমার কোনো থিসিস-ও নেই। কেবলমাত্র একজন সাধারণ পাঠক হিসেবে নজ
রুল রচনাশৈলীর যে বৈশিষ্ট্যগুলো আমাকে আকৃ ষ্ট করেছে, তার ভিত্তিতে নিজের আগ্রহবশত, এ
কটি প্লটের (পটভূ মি-২ দ্রষ্টব্য) উপর লেখা কবিতায় ওনার কাব্যধারাকে অনুসরণ করার একটি বৃথা
চেষ্টা…

পটভূ মি-২: “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা”-এরকম একটা শব্দবন্ধের সাথে আমরা বহুল পরিচিত। কিন্তু যদি
to the point এ আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করা বলতে আসলে ঠিক
কী বুঝানো হয়? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো সদুত্তর পাওয়া যাবে না বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস। ভা
বখানা এমন, অনেক অনেক স্মৃতিস্তম্ভ বানিয়ে সেখানে ফু ল দিতে পারার মধ্যেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
সীমাবদ্ধ! তো আমার চিন্তাধারায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করার স্বরূপ কেমন হওয়া উচিত, এই
প্লটেই রচিত একটি লেখনী…

বাংলাদেশ স্বাধীন!
স্বাধীনতার জন্য কত লক্ষ প্রাণ বিলীন।
কামান, গোলা, বুলেট দিয়ে আমাদের কত ভাই,
করেছে নিধন শত্রুসকল, মনে রাখব তাই।
এ সংগ্রাম-ই হলো জীবন! কারণ আমরা মানব জাতি,
সব মানুষ-ই চলে যায় কিন্তু, কেউ রেখে যায় স্মৃতি।
এই স্মৃতি জাতির জন্য, যেন এক আলোকবর্তি কা,
শূন্য থেকে শিখর অবধি, উন্নয়নের সহায়িকা।
কিন্তু এই আলোকপথের কী হবে অনুসরণ?
শহিদ ভাইয়ের মহান স্মৃতি করব কী করে বরণ?
সমাধি, সৌধ, ইটের মিনার- স্মৃতি রক্ষা করে ঠিকই,
কিন্তু শহিদ ভাইয়ের মহান ঋণ যে থেকেই যায় বাকি!

মানুষ নির্বোধ!
সৌধ সমাধি বানিয়েই বলে রক্তের ঋণ শোধ?
স্মৃতিস্তম্ভ স্মৃতি রক্ষার্থে, ঋণ পরিশোধে নয়!
ঋণ পরিশোধ হবে তখনই, যখন সত্যের হবে জয়!

ঋণ পরিশোধ!
করতে গেলে জাগাতে হবে আপামর জনতার বোধ।
অলি গলি ব্যাংক দফতর গলি, থাকবে না দুর্নীতি,
আমলা, পিয়ন, রাঘব-বোয়াল মানবে সবাই রীতি।
দেশব্যাপী হবে একটাই রীতি, নাম “গণতন্ত্র”,
উন্নয়নের জোয়ারে ভাসার এই হলো জাদুমন্ত্র।
আলিসান মহল, অজপাড়া গাঁ-কমে আসবে ভেদাভেদ
সম্প্রীতি আর মহামিলনে পড়বে না কভু ছেদ।
ঘরে ঘরে বাজবে একই মূলসুর, নাম “দেশপ্রেম”
চাষার পেশির জোরে বাংলার মাটি যেন হয় হেম।
এভারেস্ট থেকে এশিয়া কাপ-বাঘের গর্জ ন!
IMO থেকে ICPC বাংলার অর্জ ন।
অণু, পরমাণু ভেঙ্গে নিউক্লিয়াস, প্রোটন, নিউট্রন
শেষে এসে ঠেকে Particle Physics “ভাইল ফার্মিওন”
সব শুনে খোঁজ লাগাও যদি কে করল আবিষ্কার?
গর্বে বুক ফু লিয়ে বলবে, বাঙালি, আমি বাংলার!
উঁচু ইমারত, বাতাসের Load, বিশ্ব যখন নাকাল,
কলাম, বিমের পাশাপাশি এলো নব্য Shear Wall

কোথা হতে এলো? এ বেলায় করি স্মরণ,


বুয়েট সিভিল গর্ব JRC স্যারের আগ্রাসন!

এভাবেই যদি অবাক বিশ্ব দিগ্বিদিক দেখে বাংলার ক্রোধ,


তবেই বলব হয়েছে এবার, রক্তের ঋণ শোধ!

আমরা বাংলাদেশি,
বিজয়ের গাঁথা রইবে মোদের চিরকাল অবিনাশী!

You might also like