সুরা হাদিদে আল্লাহ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের জীবনকে এপ্লাইন করেছেন।

You might also like

Download as odt, pdf, or txt
Download as odt, pdf, or txt
You are on page 1of 3

সুরা হাদিদে আল্লাহ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের জীবন কিভাবে কাটে তা কিভাবে এক্সপ্লেইন করেছেন।

আল্লাহ মানুষের জীবনকে পাঁচটি স্তরে ভাগ করে বলেছেন, প্রতিটা স্তরে সাধারণ মানুষ কিভাবে গাফলতের সাথে তাদের
জীবন কাটায়। আর গাফলতের সাথে জীবন কাটানোর পরিণতি কি তাও বলেছেন।

আল্লাহ বলেন,

‫مْو ِل‬ َ ٰ ‫ِب َو َله ْۭوٌ َو ِزي َن ۭ ٌة َو َت َفا ُخ ۢ ٌر َب ْي َن ُك ْم َو َت َك ُاث ۭ ٌر فِى ٱَأْل‬
ٌ ۭ ‫ٱعْ َلم ُٓو ۟ا َأ َّن َما ْٱل َح َي ٰوةُ ٱل ُّد ْن َيا َلع‬
‫َوٱَأْل ْو َل ٰـ ِد‬
‫ِب‬ٌ ۭ ‫ َلع‬- খেলাঃ শিশুকাল বাচ্চারা কাটায় খেলা করে। খেলা খেলনা - খাওয়া আর ঘুম। তাদের জীবনে আর কনো
কিছুই নেই। খেলনাটাই তাদের জিবনের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিশ। বাচ্চাদের কাছ থেকে তার খলনা কেড়ে নিয়ে দেখুন,
হাউ মাউ করে কান্না শুরু করবে।

তার পর আল্লাহ বলছেন,

ٌ‫ – َلهْو‬এক্সাইমেন্ত – নতু ন কিছু এক্সপ্লোর করা। বাচ্চারা একটু বড় হলে আর শিশু বয়েসের খেলনা পছন্দ করে না।
তারা এখন স্কু লে যায়। তারা তখন চায় অন্যদের সঙ্গে খেলতে, দৌড়া দউরি করতে অথবা বিভিন্ন গেইমস খেলতে।

এই সময়তা যখন কেটে যায় তার পরবরতি ফেইজ হচ্ছে,

‫ – ِزي َن ٌة‬তারা যখন আরেক্টু বড় হয় তখন তাদের মনযোগ চলে যায় নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশের দিকে। তারা এখন হাই
স্কু ল বা কলেজে যায়। ছেলেমেয়েরা আর মা বাবার পছন্দ করে দেয়া কাপর পরতে চায় না। তাদের এখন নিজস্ব পছদ
হয়েছে। ছেলেরা বিভিন্ন ধরনের হেয়ার কা্‌মেয়েরা মেইক-আপ করে,তারা ঘনটার পর ঘন্টা আয়নার সামনে কাটিয়ে দেয়
নিজেদের দেখতে কেমন লাগে এই চিন্তা করে। তাদের চিন্তা ভানবা অন্নরা তাদের দেখে কি ভাবে। আরো সুন্দর করে
কিভাবে অন্নের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করা যায়। এইতাই তাদের কাছে জিবনের মানে।

এই বয়েশ টা যখন কেটে যায় -

‫ َو َت َفا ُخ ۢ ٌر َب ْي َن ُك ْم‬- পারস্পরিক গর্ব-অহঙ্কার, তারা এখন টিন এজ পার করে এসেছে। হয়ত ইউনিভার্সিটি অথবা
চাকরী বেবশা শুর করেছে। এখন তাদের নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশের দিকে আর মনোযোগ নাই। ছেলেরা কনরকম এক্তা
টি শার্ট ময়লা পেন্ট স্যান্ডেল পরে ক্লাস করতে যায়, মেয়েরা ছেলেদের থেকে আর বেশি সিরিয়াস কিভাবে ভাল রেজালট
করে ভাল একটা জব করা যায়। তারা এখন নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে বেস্ত। যারা জব বা বেবশা করছে নিজেদের আর
ভাল জায়গায় নিয়ে জাবার প্রতিজগিতায় লিপ্ত। বাড়ি – গাড়ি - বিয়ে - সংসার – তারপর নিজেদের সন্তান বড় করা।
এই প্রসেসে যৌবন কেটে যায়।

শেষ বয়শে এসে,


‫مْو ِل َوٱَأْل ْو َل ٰـ ِد‬
َ ٰ ‫ َو َت َك ُاث ۭ ٌر فِى ٱَأْل‬- ধন-সম্পদ ও সন্তানাদিতে আধিক্যের প্রতিযোগিতা। এখন তারা রিটায়ার্ড
– কার কত ব্যাংক বেলেন্স, কটা বাড়ি। কটা ছেলে মেয়ে, ছেলে কি করে, মেয়ে কি পরে, এইসব নিয়ে অন্যদের সঙ্গে গর্ব
করে। এই প্রতিজগিতায় জীবন কেটে যায়।

আল্লাহ এই জীবন কে কৃ ষকের শস্য চাশাবাদের সঙ্গে উপমা দিয়েছেন,

َ ‫ار َن َبا ُتهُۥ ُث َّم َي ِهي ُج َف َت َر ٰى ُه مُصْ َف ۭ ًّرا ُث َّم َي ُكونُ ح‬


‫ُط ٰـ ۭ ًما‬ َ ‫ث َأعْ َج‬
َ ‫ب ْٱل ُك َّف‬ ٍ ‫َك َم َث ِل َغ ْي‬
তার উদাহরণ হল বৃষ্টি, আর তা হতে উৎপন্ন শষ্যাদি কৃ ষকের মনকে আনন্দে ভরে দেয়, তারপর তা পেকে যায়, তখন
তু মি তাকে হলুদ বর্ণ দেখতে পাও, পরে তা খড় ভু ষি হয়ে যায়। ধুলা বালির সঙ্গে মিশে যায়।

আর যারা এইভাবে জীবন কাটায় তাদের জন্য আল্লাহ আখেরাতে কঠিন শাস্তির কথা বলেছেন।

ٌ ۭ ‫ َوفِى ْٱلـَٔاخ َِر ِة َع َذ‬- আখেরাতে আছে কঠিন শাস্তি


‫اب َشدِي ۭ ٌد‬

ِ ‫ َو َما ْٱل َح َي ٰوةُ ٱل ُّد ْن َيٓا ِإاَّل َم َت ٰـ ُع ْٱل ُغر‬- আর দুনিয়ার জীবনটা তো ধোঁকার বস্তু ছাড়া আর কিছুই না।
‫ُور‬
দুনিয়ার জীজায়।খেলা ধুলা-সৌন্দর্য প্রকাশ, পারস্পরিক গর্ব-অহঙ্কার আর ধন-সম্পদ ও সন্তানাদিতে প্রতিযোগিতা করে
যারা জীবন কাটিয়ে দিল তারা একটা ধোঁকায় জীবন কাটিয়ে দিল। আল্লাহ এইরকম জীবন আমাদের কাছে থেকে চান না।

আখেতারে সবার জন্য শাস্তি আছে তা নয়। আল্লাহ বলছেন, অনেকের জন্য আছে

ٌ‫ َم ْغف َِر ۭةٌ م َِّن ٱهَّلل ِ َو ِرضْ ٰ َون‬- আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টি। সেটা কিভাবে পাওয়া যাবে টা আল্লাহ পরের আয়াতে
বলছেন।

‫ َس ِابقُ ٓو ۟ا ِإ َل ٰى َم ْغف َِر ۢ ٍة مِّن رَّ ِّب ُك ْم َو َج َّن ٍة‬- তোমরা তোমাদের রবের পক্ষ থেকে ক্ষমা ও সেই জান্নাতের
দিকে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ ।

ِ ْ‫ض ٱل َّس َمٓا ِء َوٱَأْلر‬


‫ض‬ ِ ْ‫ض َها َك َعر‬
ُ ْ‫ َعر‬- যার প্রশস্ততা আসমান ও যমীনের প্রশস্ততার মত।
আল্লাহ জান্নাতের প্রশস্ততা বলছেন আসমান থেকে জমিনের দুরত্ত। জান্নাতের দৈর্ঘ্য কত আল্লাহ বলেননি। সুবহানাল্লাহ।
এটা কখন অতিক্রম করা যাবে না।

۟ ‫ِين َءا َم ُن‬


‫وا ِبٱهَّلل ِ َو ُر ُسلِهِۦ‬ ْ ‫ ُأعِ َّد‬- তা প্রস্তত করা হয়েছে যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলদের প্রতি
َ ‫ت لِلَّذ‬
ঈমান আনে তাদের জন্য
‫ ٰ َذل َِك َفضْ ُل ٱهَّلل ِ يُْؤ تِي ِه َمن َي َشٓا ُء ۚ َوٱهَّلل ُ ُذو ْٱل َفضْ ِل ْٱلعَظِ ِيم‬- এটা আল্লাহর অনুগ্রহ। তিনি
যাকে ইচ্ছা তা দান করেন। আর আল্লাহ মহা অনুগ্রহশীল।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে আল্লাহর মনোনীত দ্বীন অনুশরন করে জীবন যাপন করার তৌফিক দান করুন।

You might also like