Professional Documents
Culture Documents
Online Version
Online Version
হোম > হেলথ কর্নার > শিশুদের ডেঙ্গু জ্বর ও করণীয়... অনলাইন ভার্সন
রোগের তীব্রতার উপর নির্ভর করে ডেঙ্গু জ্বরকে বেশ কয়েক ভাগে ভাগ
করা হয়ঃ
১) সাধারণ ডেঙ্গু জ্বর:
জ্বর, শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা এ রোগের অন্যতম
লক্ষণ।
Febril phase: ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত দুই থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়। এ
সময় শরীরে লাল লাল দাগ, শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা থাকে।
ডেঙ্গু জ্বরে কী কী পরীক্ষা করবেন এবং কোন দিন কী পরীক্ষা করবেন এটা
জানা খুবই প্রয়োজন। এ সম্পর্কে না বুঝে পরীক্ষা করলে অনেক সময়
পরীক্ষার রেজাল্ট নেগেটিভ হয় ফলে রোগ নির্ণয় কঠিন হয়ে যায়।
১) NS 1
২) IgM & IgG for dengue
৩) CBC
৪) Platelet count,
৫) SGPTএবং SGOT
NS 1: এটা সাধারণত জ্বর আরম্ভ হওয়ার দিন থেকে শুরু করে প্রথম তিন
দিন পজিটিভ হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে পাঁচ
থেকে সাতদিন পর্যন্ত পজিটিভ হতে পারে।
IgM for dengue: এই পরীক্ষাটি জ্বর শুরুর পাঁচ দিন পর অর্থাৎ জ্বরের
ষষ্ঠ দিনে থেকে শুরু করে প্রায় মাসাধিক পজেটিভ থাকে।
IgG for dengue: এই পরীক্ষাটি পজিটিভ হলে বর্তমানে নয় বরং পূর্বে
কখন ডেঙ্গু হয়েছিল এটার ইঙ্গিত বহন করে।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে জ্বরের প্রথম তিনদিন NS 1 পজিটিভ অথবা ষষ্ঠ দিন
থেকে IgM পজিটিভ হবে কিন্তু জ্বরের চতুর্থ এবং পঞ্চম দিনের মধ্যে NS
1 এবং IgM দুইটি test নেগেটিভ হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে। তাই
এ সময়ে পরীক্ষা করলে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কঠিন হয়ে যায়।
মনে রাখতে হবে উপরোক্ত পরীক্ষাগুলো নেগেটিভ হলেই ডেঙ্গু হয় নাই
এটি শতভাগ নিশ্চিত করে বলা যাবে না। কারণ কোন পরীক্ষায় ডেঙ্গু
শনাক্তকরণে ১০০ ভাগ নিশ্চয়তা প্রদান করে না।
সতর্কতাঃ
মনে রাখবেন ডেঙ্গু জ্বর হলে সকল প্রকার জটিলতাসমূহ শুরু হয় জ্বরের
শেষের ভাগে অথবা জ্বর ভালো হওয়ার পরে। এসময় হঠাৎ করে ব্লাড
প্রেসার কমে রোগী শকে চলে যেতে পারে। তাই জ্বরের শেষ অংশে অথবা
জ্বর ভালো হয়ে যাওয়ার পরবর্তী ২--৩ দিন রোগীকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ
রাখতে হবে।
মনে রাখতে হবে Platelets count ভাল আছে অথবা জ্বর নাই আর
কোনো সমস্যা হবে না, এটা ভাববেন না।
তাই শিশুদের ডেঙ্গু জ্বর হলেই আতংকিত না হয়ে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের
তত্বাবধানে রেখে
* বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়ান।
* পূর্ণ বিশ্রামে রাখুন।
* চিকিৎসক ভর্তি হতে পরামর্শ দিলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হবেন।