Professional Documents
Culture Documents
Assignment 11, Bgs
Assignment 11, Bgs
রাস্ত্র ও নাগরিক নিয়ে আলোচনা করার পুর্ব্ব উত্তয়ের অঙ্গা জানা থাকা জরূরী। তাই প্রথমে এদের সংক্ষিপ্ত বিবরন দিয়ে
নেই……
রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগণ রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংজ্ঞা দিয়েছেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক এরিস্টটলের (Aristotle) মতে,
রাষ্ট্রের সবচেয়ে সুন্দর ও পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা দিয়েছেন অধ্যাপক গার্নার (Garner)। তাঁর মতে,
“রাষ্ট্র হল বহুসংখ্যক ব্যক্তি নিয়ে গঠিত এমন এক জনসমাজ, যা নির্দি ষ্ট ভূ খন্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করে, যা বহিঃশক্তির
নিয়ন্ত্রণ হতে মুক্ত এবং যাদের একটি সুসংগঠিত সরকার আছে, যার প্রতি ঐ জনসমাজ স্বভাবতই অনুগত।”
রাষ্ট্রের এসব সংজ্ঞা থেকে বলা যায়, যে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের নির্দি ষ্ট ভূ খণ্ড, সংগঠিত সরকার, জনসমষ্টি এবং সার্বভৌম
ক্ষমতা রয়েছে, তাকে রাষ্ট্র বলে।
রাষ্ট্র যেমন নাগরিকদের বিবিধ সুযোগ-সুবিধা এবং অধিকার দিয়ে থাকে তেমনি রাষ্ট্রের প্রতিও নাগরিকদের কতগুলো
দায়িত্ব ও কর্ত ব্য পালন করতে হয়। অধিকার ও কর্ত ব্য পরস্পর নির্ভ রশীল ও পরিপূরক।
এ দেশের যেকোনো নাগরিক সমস্যার সমাধানে রাষ্ট্রের পাশাপাশি নাগরিকদের এগিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরী। কেননা রাষ্ট্র হয়তো
কিছু নীতিমালা জারি করতে পারে। কিন্তু নাগরিকরা যদি তা অমান্য করে তাহলে সে সমস্যার সমাধান হবে না। নাগরিক যদি
রাষ্ট্রের নীতিমালাগুলো মেনে চলে রাষ্ট্রকে সাহায্য করে, তাহলে সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়।
সুতরাং, বর্ত মান অতিমারি কালিন সময় এ রাষ্ট্র ও নাগরিকদের একসাথে এর মোকাবেলা করা অত্যাবশ্যক।
কোন মহামারী বা দুর্যোগে সরকার ও রাষ্ট্রের যেমন কিছু করণীয় রয়েছে, তেমনি সুনাগরিক হিসেবে আমাদের কিছু
দায়িত্ব ও কর্ত ব্য রয়েছে। যেমনঃ
১) প্রথমত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রাষ্ট্রের যে কোন দুর্যোগ/সমস্যা বা মহামারীতে নাগরিকের দায়িত্ব হলোনিজে
আতঙ্কিত না হওয়া এবং অন্যদের আতঙ্কিত না এরা। পাশাপাশি নিজে সচেতন হওয়া এবং অন্যকে সচেতন করা।
২. রাষ্ট্রকর্তৃ ক বিধিনিষেধ মেনে চলা এবং অন্যকে মেনে চলতে উসাহী করা।
৩. সমস্যার মােকাবিলায় রাষ্ট্রের পদক্ষেপগুলো সম্পাদনে যথাসাধ্য সহায়তা করা।
৫. পরিষ্কার পরিছন্নতা, নিজের ও পরিবারের যত্ন নেওয়া, সঠিক নিয়মে সরকারি সায্য নেওয়া ইত্যাদি বিষয়ের উপর
গুরুত্ব দেওয়া।
৬. এই রকম পরিস্থিতিতে গুজবে কান না দেওয়া এবং গুজব ছড়ানাে থেকে বিরত থাকা। একমাত্র সরকার কর্তৃ ক
প্রদত্ত সংবাদে বিশ্বাস রাখা।
১. স্বাস্থ্য সেবা: সংক্রমণ শনাক্তের পরীক্ষা সহজ ও দ্রুত করতে পরীক্ষাকেন্দ্র বৃদ্ধির কাজ করছে। সরকার। বর্ত মানে দেশের
৬৮ টি স্থানে ভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার এর জন্য অ্যালকোহল, টেস্ট কিট, টেস্ট
ইনস্ট্রমেন্ট, জীবানুনাশক, মাস্ক প্রটেক্টিভ গিয়ারসহ মোট ১৭ ধরনের পণ্য আমদানিতে শুল্ক ও কর অব্যাহতির ঘোষণা দিয়েছে
রাজস্ব বোর্ড (NBR)।
২. আর্থিক সহায়তা: দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অন্নসংস্থার অসুবিধা নিরসনের জন্য যোগযোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে
সহায়তা প্রদান করা জেলা প্রশাসকদের খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের নির্দে শনা প্রদান করা ইত্যাদি।
৩. অনলাইন পাঠ দান : শত প্রতিকু ল পরিস্তির মধ্যেও শিক্ষার্থীদের পাঠকার্যক্রম অব্যহত রয়েছে রাষ্ট্রের নাগরিকের প্রতি
দায়িত্বশীলতার জন্য । সুষ্ঠ পাঠদানের জন্য নিয়োগ করাহয়েছে কর্ত ব্যশীল শিক্ষক দের
৪. লকডাউন কার্যক্রম: এ দেশে রোগী সনাক্ত হচ্ছে ঠিক তার পরপরই সরকার ও পুরোদেশের লোকজন লকডাউন চালু
করেছে। অর্থাৎ জনসাধারণ প্রয়োজন ছাড়া ঘরবাড়ি থেকে বের না হওয়া এবং অতীব প্রয়োজনীয় বিষয় যেমন কাঁচাবাজার,
খাবার ঔষধের দোকান, হাসপাতাল এবং জরুরী যেসব সেবা আছে তা বিকাল পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দে শ জারি করেছে।
১. স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গণবিজ্ঞপ্তিতে নাগরিকদের ব্যাপারে বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে কিছু প্রবাসী বা তাদের সংস্পর্শে যারা
আসছেন, তারা কোয়ারেন্টাইন এর শর্ত সঠিকভাবে মানছেন না। অনেকেই মিথ্যা ও গুজব রটিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।
২.সকল স্থল এবং বিমানবন্দর স্ক্রিনিং হচ্ছে । তবে বিদেশ থেকে আসা কেউ কেউ স্ক্রিনিং ছাড়াই দেশে ঢু কে যাচ্ছেন। এলাকায়
গিয়ে ঘুরছেন। লোকজন আবার সেই কথা জেনে পুলিশে খবর দিচ্ছে। আর শুধুমাত্র শাহজালাল বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং এর জন্য
থার্মাল স্ক্যানার থাকলেও তা এখন নষ্ট ।
রাষ্ট্রের পাশাপাশি নাগরিকদের সমানভাবে দায়িত্ব পালন করা উচিত। কেননা করােনার বিষয়টি শুধু রাষ্ট্রের নয়; নাগরিকদের
অবহেলার কারণে দ্বিতীয় পর্যায়ে করােনার প্রভাব দেখা যাচ্ছে। যদিও বাংলাদেশ বহুসংখ্যক করােনার ভ্যাকসিন আমদানি
করেছে, তবুও বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিক এই করােনার জন্য সতর্ক থাকা উচিত। অন্যথায়, বাংলাদেশের সব দিক থেকে
ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে।