Download as docx, pdf, or txt
Download as docx, pdf, or txt
You are on page 1of 3

রিযিক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কর্তৃক নির্ধারিত অর্জিত হয় তবে বুঝতে হবে রিযিক নামক এই ফলাফলটির

এই ফলাফলটির প্রধান
কারন চেষ্টা নয় বরং অন্য কোন কিছু।
পাশ্চাত্য সাংস্কৃতির অগভীর ও স্থূল চিন্তাগুলো আজ মুসলিমদের চিন্তা ও চিন্তা করুন আপনি কোন ব্যবসা করছেন, আপনি কি নিশ্চয়তা দিতে
চেতনাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। পাশ্চাত্যের জীবন সম্পর্কে ধারনাগুলো পারবেন এর মাধ্যমে আপনি রিযিক অর্জন করতে পারবেন? না
আজ আমাদের মধ্যে প্রবেশ করছে। ফলে ইসলামের অনেক মৌলিক পারবেন না। তাহলে কিভাবে বলবেন ব্যাবসার মাধ্যমে রিযিক অর্জিত
চিন্তা আমাদের নিকট অস্বচ্ছ ও অস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এমন একটি হয়। ধরুন আপনার কোন আত্মীয় আপনাকে কোন কিছু উপহার
বিষয় হল রিযিক যা ঈমানের একটি গুরুত্বপূর্ন অংশও বটে। হিসাবে পাঠালো, এখানে আপনি কোন প্রকার চেষ্টা ছাড়াই রিযিক
ইসলামী আকিদাহ অনুসারে আমরা বিশ্বাস করি রিযিক আল্লাহর কর্তৃক অর্জন করছেন। সুতরাং, রিযিক এমন একটি ফলাফল যা কোন চেষ্টা
নির্ধারিত। প্রত্যেক মুসলিম দাবী করে থাকে যে, সে এর উপর বিশ্বাস ছাড়াও অর্জিত হতে পারে, তাই আমরা বলতে পারি না রিযিকের কারন
করে কিন্তু বাস্তব জীবনে দেখা যায় ঠিক তার উল্টো। বর্তমান সময়ে হল চেষ্টা বরং তা বলা যেতে পারে রিযিক অর্জনের একটি মাধ্যম হল
মুসলিমরা যেভাবে হালাল হারাম ভুলে সম্পদের পিছনে ছুটছে এবং চেষ্টা।
জীবিকার চিন্তায় অনেক ফরয আদায় করা থেকে নিজেকে সরিয়ে তাই, রিযিক এমন একটি বিষয় যা আমাদের নিয়ন্ত্রনাধীন বলয়ের মধ্যে
নিয়েছে তা দেখে প্রশ্ন জাগে আসলেই তারা রিযিক আল্লাহর পক্ষ হতে নাই। আমরা জানি কোন কিছুই কারণ ছাড়া হয় না তাহলে রিযিকের
আসে এ কথায় বিশ্বাস করে কিনা। বিশেষত আমরা যখন দেখি কারণ কি? চেষ্টা যেহেতু রিযিক অর্জনের একটি মাধ্যম মাত্র, তাহলে
রিযিকের যিষয়টি সুস্পষ্টভাবে না বুঝার কারনে অনেকে নিজেকে কারণটি কি হতে পারে? আমাদের জীবনের বিভিন্ন ঘটনা পর্যবেক্ষন ও
ইসলামের দাওয়াহ থেকে সরিয়ে নেয়। অনুভবের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি অন্য কেউ এই রিযিককে
ইবনে আব্বাস হতে বর্নিত রাসূল(সা) বলেন, “জুলুমের বিরুদ্ধে কথা নিয়ন্ত্রন করছেন আর তিনিই হলেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা।
বলা কিংবা সত্য কথা বলার সময় কারো ভয় পাওয়া উচিত নয় কারন নিম্নে কোরআনের রিযিক বিষয়ক আয়াতগুলো তুলে ধরা হলঃ
এর মাধ্যমে না আয়ু কমে যাবে, না তাকে তার রিযিক থেকে দূরে ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী এমন কোন প্রাণী নেই যার রিযিকের দায়িত্ব
সরিয়ে দিবে”। ( বায়হাকি এবং ইবন নজর) আল্লাহর ওপর বর্তায় না এবং যার সম্পর্কে তিনি জানেন না, কোথায়
সুতরাং, রিযিকের চিন্তা যেন আমাদের দ্বীনের এই কাজ হতে দূরে সে থাকে এবং কোথায় তাকে সোপর্দ করা হয়। সবকিছুই একটি
সরিয়ে না দেয়। যার জন্য রিযিক বিষয়ে আমাদের সুস্পষ্ট ধারনা থাকা পরিষ্কার কিতাবে লেখা আছে (হুদ:০৬)
দরকার। যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহর পথে বাড়ি-ঘর ত্যাগ করেছে এবং জিহাদ
বর্তমানে মুসলিমরা বুঝতে পারছে না, রিযিক কি আসলে আল্লাহর কাছ করেছে আর যারা আশ্রয় দিয়েছে এবং সাহায্য -সহায়তা করেছে
থেকে আসে? নাকি আমরা তা আমাদের কজের মাধ্যমে অর্জন করি? তারাই সাচ্চা মুমিন। তাদের জন্যে রয়েছে ভূলের ক্ষমা ও সর্বোত্তম
অনেকে মনে করেন আমরা রিযিক অর্জনের জন্য যে চেষ্টা করে থাকি রিযিক। (আনফাল:৭৪)
শুধুমাত্র তাই রিযিক অর্জনের কারন।আসলেই কি চেষ্টার মাধ্যমেই তোমার রব যার জন্য চান রিযিক প্রশস্ত করে দেন আবার যার জন্য চান
রিযিক অর্জিত হয় নাকি এর পিছনে অন্য কারো হাত আছে? নিম্নোক্ত সংকীর্ণ করে দেন। তিনি নিজের বান্দাদের অবস্থা জানেন এবং
আলোচনার মাধ্যমে আমরা এই প্রশ্নগুলোর জবাব খুঁজবো। তাদেরকে দেখছেন। (বনী-ইসরাঈল:৩০)
আসুন প্রথমে আমরা বুঝি রিযিক কি? রিযিক হল তাই যা আমরা ভোগ আল্লাহই তার বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা রিযিক প্রসারিত করে
করে থাকি অথবা আমরা যে সন্তুষ্টিটা অর্জন করি। সুতরাং আমরা যে দেন এবং যাকে ইচ্ছা সংকীর্ণ করে দেন । নিশ্চিতভাবে আল্লাহ সব
খাদ্যদ্রব্য ভোগ করি শুধু তাই নয় বরং অন্য সকল কিছু যা ভোগ করি জিনিস জানেন। (আনকাবুত:৬২)
সবই রিযিক। রিযিকের বাহিরে কোন কিছু ভোগ করা সম্ভব নয়। এবং এমন পন্থায় তাকে রিযিক দেবেন যা সে কল্পনাও করতে পারে
এখন আসুন, বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে বিশ্লেষনের মাধ্যমে রিযিকের প্রকৃতি না। যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর নির্ভর করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট।
অনুধাবনের চেষ্টা করি।প্রথমে আলোচনা করি রিযিকের কি শুধুমাত্র আল্লাহ তাঁর কাজ সম্পূর্ণ করে থাকেন। আল্লাহ প্রতিটি জিনিসের জন্য
আমদের চেষ্টার মাধ্যমেই অর্জিত হয় নাকি চেষ্টা ছাড়াও অর্জিত হতে একটা মাত্রা ঠিক করে রেখেছেন। (তালাক:০৩)
পারে? বাস্তবতা থেকে আমরা বুঝতে পারি প্রত্যেক ফলাফলের পেছনে অথবা বলো, রহমান যদি তোমাদের রিযিক বন্ধ করে দেন তাহলে
কোন না কোন কারন থাকে।তাই অনেক মানুষ মনে করে রিযিক এমন এমন কেউ আছে, যে তোমাদের রিযিক দিতে পারে? প্রকৃতপক্ষে এসব
একটি ফলাফল যা আমরা এর জন্য চেষ্টার মাধ্যমে অর্জন করে থাকি লোক বিদ্রোহ ও সত্য বিমুখতায় বদ্ধপরিকর। (মূলক:২১)
সুতরাং, রিযিক আমাদের চেষ্টার ফলাফলস্বরূপ, আল্লাহর সাথে এর উপরোক্ত আয়াতের মাধ্যমে পরিষ্কারভাবে বুঝা যাচ্ছে আল্লাহ
সম্পর্ক নেই। আমাদের রিযিক দান করেন ও এতে বিশ্বাস করা ঈমানের একটি স্তম্ভ।
যেমন ধরুন - আগুন কাঠকে পোড়ায়। এখানে পোড়ানো একটি এখন একশ্রেনীর মুসলিমদের কাছে মনে হতে পারে রিযিক যেহেতু
ফলাফল যার প্রধান কারন হচ্ছে আগুন যার অস্তিত্ব ব্যাতীত পোড়ানো নির্ধারিত তাহলে এর জন্য কষ্ট করার দরকার কি? হ্যাঁ চেষ্টা ছাড়াই
বিষয়টিকে ফলাফলস্বরূপ পাওয়া সম্ভব নয় অথবা আগুনের প্রয়োগের রিযিক অর্জন সম্ভব কিন্তু আল্লাহ আমাদের রিযিকের জন্য চেষ্টা করার
মাধ্যমে অবশ্যই পোড়ানো ফলাফলটি অর্জন করা সম্ভব। অন্যভাবে আদেশ দিয়েছেন ।
বলা যায় ছুরি যার প্রয়োগের মাধ্যমেই ফলস্বরূপ কোন কিছু আমরা তিনিই তো সেই মহান সত্তা যিনি ভূপৃষ্ঠকে তোমাদের জন্য অনুগত
কাটতে পারি অথবা বলা যায় ছুরির প্রয়োগ ব্যতীত কোন কিছু কাটা করে দিয়েছেন। সুতরাং, তোমরা এর বুকের ওপর চলাফেরা করো
সম্ভব নয়। এখানে আগুন ও ছুরি উভয়ই প্রধান কারন যার মাধ্যমে এবং আল্লাহর দেয়া রিযিক খাও। আবার জীবিত হয়ে তোমাদেরকে
আমরা ফলাফলস্বরূপ আমরা পোড়ানো ও কাটা অর্জন করতে পারি। তার কাছেই ফিরে যেতে হবে। (মূলক:১৫)
সুতরাং, পোড়া ও কাটা এই ফলাফলগুলি আগুন ও ছুরি ব্যতীত যদি অতএব যখন জুমুআর নামাজ শেষ হয়ে যাবে তখন তোমরা পৃথিবীতে
অর্জিত হয় তবে বুঝতে হবে এরা প্রধান কারন নয় বরং প্রধান কারন ছড়িয়ে পড়ো আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ করো, আর আল্লাহকে বেশি
অন্য কিছু। একইভাবে, যদি আমরা বলি আমাদের চেষ্টার মাধ্যমেই বেশি স্মরন করো, আশা করা যায় তোমরা সাফল্য লাভ করতে পারবে।
রিযিক অর্জিত হয় তবে ব্যপারটি এমন হতে বাধ্য যে চেষ্টা ব্যতীত (আল জুমুআঃ ১০)
রিযিক অর্জন সম্ভব নয়। আর যদি এমন হয় চেষ্টা ছাড়াও রিযিক সুতরাং আমাদের রিযিকের জন্য মেহনত করতে হবে। এটা ঠিক যে
আমরা আমাদের রিযিককে বর্ধিত করতে পারি না আবার সংকুচিত
করতে পারি না কিন্তু আমরা এর মাধ্যমগুলো নির্বাচন করতে পারি। তার মুক্তির রাস্তা তৈরি করে দেন এবং তাকে এমন জায়গা থেকে
যেমন ধরুন আপনার রিযিকে যা আছে তা আপনি হয় ব্যবসা করে রিয্‌ক দেন, যা সে ধারণাও করতে পারে না।' [সূরা তালাক: ২] অপর
অর্জন করবেন অথবা চাকরি করে তা আপনার ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল। হাদীসে আছে, বান্দার রিয্‌ক তাকে এভাবে খুঁজে বেড়ায় যেমন তার
ইতিহাস থেকে আমরা দেখি, রাসুল(সা) ও তার সাহাবাগন এ বিষয়ে মৃত্যুকাল তাকে খোঁজ করে। [মিশকাত]
স্পষ্ট ধারনা থাকার কারনে রিযিক নিয়ে চিন্তিত হতেন না বরং আল্লাহর বুখারী ও মুসলিম শরীফে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত
উপর আস্থা রেখে রিযিকের সন্ধান করতেন, পাশাপাশি অন্য সকল আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা) একখানি দীর্ঘ হাদিস বর্ণনা করেন যার
ফরযগুলো আদায় করতেন। তারা ছিলেন দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সারমর্ম হল - মানুষ তার জন্মের পূর্বে বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করে আসে।
অগ্রপথিক অন্যদিকে রিযিকের সন্ধানও তারা করতেন কিন্তু তা মাতৃগর্ভে তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গঠিত হওয়ার পর আল্লাহ তা'লার নির্দেশ
কখনোই তাদের জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল না। আমরা জানি মুতাবিক একজন ফেরেশতা তার সম্পর্কে চারটি বিষয় লিপিবদ্ধ
হযরত ওসমান(রা) কিভাবে দ্বীনের জন্য তার সম্পদ দান করেছিলেন। করেন। প্রথম, ভালো-মন্দ তার যাবতীয় কার্যকলাপ, যা সে জীবনভর
আল্লাহ বলেন, “আমি অবশ্যই (ঈমানের দাবীতে) তোমাদের পরীক্ষা করবে। দ্বিতীয়, তার আয়ুষ্কালের বর্ষ, মাস, দিন, ঘণ্টা, মিনিট ও শ্বাস-
করব, কখনো ভয় ভীতি, কখনো ক্ষুধা অনাহার দিয়ে, কখনো প্রশ্বাস। তৃতীয়, কোথায় তার মৃত্যু হবে এবং কোথায় সমাধিস্থ হবে।
তোমাদের জান মাল ও ফসলাদির ক্ষতির মাধ্যমে (তোমাদের চতুর্থ, তার রিয্‌ক কী পরিমাণ হবে এবং কোন্‌ পথে তার কাছে
পরীক্ষাকরা হবে। যারা ধৈর্যের সাথে এর মোকাবেলা করে); তুমি সেই পৌঁছবে।
ধৈর্যশীলদের জান্নাতের সুসংবাদ দান কর”। (আল বাকারাঃ ১৫৫) কোনো কোনো রেওয়াতে আছে যে, হযরত মুসা (আ) আগুনের খোঁজে
সুতরাং আল্লাহ আমাদের রিযিক দান করেন এবং তিনিই আমাদের তূর পাহাড়ে পৌঁছে আগুনের পরিবর্তে যখন সেখানে আল্লাহর নূরের
রিযিকের মাধ্যমে পরীক্ষা নিবেন; সুতরাং আমরা যেন পূর্ন আস্থা ও তাজাল্লী দেখতে পেলেন, নবুয়ত ও রিসালাত লাভ করলেন এবং
বিশ্বাসের সাথে এই সকল পরীক্ষার মোকাবেলা ও ধৈর্য ধারন করতে ফিরাউন ও তার কওমকে হিদায়তের জন্য মিশর গমনের নির্দেশ প্রাপ্ত
পারি আল্লাহর কাছে এটাই আমাদের প্রার্থনা। ইনশাল্লাহ, আল্লাহ সেই হলেন, তখন তাঁর মনের কোণে উদয় হল যে, আমি স্বীয় স্ত্রীকে
সকল ধৈর্যশীলদের জন্য রেখেছেন জান্নাত। জনহীন-মরুপ্রান্তরে একাকিনী রেখে এসেছি, তার দায়িত্ব কে গ্রহণ
পরিশেষে আমরা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার কাছে দুআ করি যেন করবে? তখন আল্লাহ পাক হযরত মুসা (আ)-এর সন্দেহ নিরসনের
তার সাহায্য ও সহায়তা বৃদ্ধি পায়, তিনি যেন আমাদের জন্য আদেশ করলেন যে, "তোমার সম্মুখে পতিত প্রস্তরখানির উপর
বিষয়াদিগুলোকে সহজ করে দেন । লাঠি দ্বারা আঘাত হান।" তিনি আঘাত করলেন। তখন উক্ত প্রস্তরখানি
‘’এবং যারা আল্লাহ কে ভয় করে, আল্লাহ তাদের জন্য তাদের বিষয়াদি বিদীর্ণ হয়ে তার মধ্য হতে আরেকখানি পাথর বের হল। দ্বিতীয়
সহজ করে দিবেন।”-(আত তালাকঃ৪) পাথরখানির উপর আঘাত করার জন্য পুনরায় আদেশ হল। হযরত
“এবং যারা আল্লাহ কে ভয় করে, আল্লাহ তাদের মুক্তির একটা পথ মুসা (আ) আদেশ পালন করলেন। তখন তা ফেটে গিয়ে আরেকখানি
করে দেবেন।”-(আত তালাকঃ২) প্রস্তর বের হল। তৃতীয় পাথরখানির উপর আঘাত হানার জন্য আবার
আমাদের সর্বশেষ দুআ, আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। নির্দেশ দেওয়া হল। তিনি আঘাত করলেন। তা বিদীর্ণ হল এবং এর
অভ্যন্তর হতে একটি জীবিত কীট বেরিয়ে এল, যার মুখে ছিল একটি
রিয্‌ক ও জীবনকাল একমাত্র আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে তরু-তাজা তৃণ। আল্লাহতা'লার অসীম কুদরতের বিশ্বাস হযরত মুসা
রিযকঃ (আ)-র পূর্বেও ছিল। তবে বাস্তব দৃষ্টান্ত প্রত্যক্ষ করার প্রতিক্রিয়া স্বতন্ত্র
রিয্‌ক-এর আভিধানিক অর্থ এমন বস্তু যা কোনো প্রাণী খাদ্য হিসেবে হয়ে থাকে। তাই এ দৃশ্য দেখার পর হযরত মুসা (আ) সরাসরি
গ্রহণ করে, যা দ্বারা সে দৈহিক শক্তি সঞ্চয়, প্রবৃদ্ধি সাধন ও জীবন রক্ষা মিশরের দিকে রওয়ানা হলেন। সহধর্মীকে এটা বলা প্রয়োজন মনে
করে থাকে। রিয্‌কের জন্য মালিকানা-স্বত্ব শর্ত নয়। সকল জীবজন্তুই করেননি যে, মিশর যাওয়ার জন্য আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রিয্‌ক ভোগ করে থাকে, কিন্তু তারা এর মালিক হয় না। কারণ মালিক [তাফসীরে মা'রেফুল কোরআন]
হওয়ার যোগ্যতাই তাদের নেই। অনুরূপভাবে ছোট শিশুরাও মালিক এগুলোসহ কুরআনের আরো বহু আয়াত ও বহু হাদীস দ্বারা একথাই
নয়, কিন্তু ওদের রিয্‌ক অব্যাহতভাবে তাদের কাছে পৌঁছতে থাকে। প্রমাণিত হয় যে, রিয্‌কের নিয়ন্ত্রণ কেবল আল্লাহর হাতে। অবশ্য
কুরআনের বহু আয়াত থেকে একথা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ হয় যে, রিয্‌ক আল্লাহ তাঁর বান্দাকে রিয্‌ক উপার্জন করার কাজ করার আদেশ
একমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে। যেমন: দিয়েছেন। কিন্তু বান্দার ওই 'কাজ' তার রিয্‌কের 'কারণ' নয়। বরং এটা
- নিশ্চয়ই আল্লাহই আমার রিয্‌কদাতা, অসীম শক্তিধর। [সূরা রিয্‌কের মাধ্যম মাত্র। এই মাধ্যম হালাল বা হারাম দুই রকমের হতে
যারিয়াত: ৫৮] পারে। রিয্‌ক উপার্জনের মাধ্যম হালাল বা হারাম যা-ই হোক না কেন,
- আর জমিনে বিচরণশীল প্রাণীর জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর। [সূরা হুদ: রিয্‌কটি আসে আল্লাহর পক্ষ থেকেই। তবে ইসলাম মানুষকে রিয্‌ক
৬] অর্জনের হালাল পথগুলো দেখিয়ে দিয়েছে এবং হারাম পথগুলোও
- আল্লাহ ছাড়া তোমরা যাদের উপাসনা করছ, নিঃসন্দেহে তারা চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। একজন মুমিন রিয্‌ক অর্জনের জন্য
তোমাদেরকে রিয্‌ক দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। সুতরাং তোমরা কেবল হালাল পন্থাগুলোই ব্যবহার করবে। অবশ্য কেউ হারাম পথ
আল্লাহর কাছেই রিয্‌ক প্রার্থনা কর। [সূরা আনকাবুত: ১৭] অবলম্বন করলেও সে-ই রিয্‌ক আল্লাহই প্রদান করেন। যখন কোনো
- আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পর্যাপ্ত রিয্‌ক প্রদান করেন, আর যাকে ইচ্ছা ব্যক্তি অবৈধভাবে অন্যের মাল হস্তগত ও উপভোগ করে, তখন উক্ত
কমিয়ে দেন। [সূরা রাদ:২৬] বস্তু তার রিয্‌ক হওয়া সাব্যস্ত হয়, তবে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করার
- আল্লাহ যাকে ইচ্ছা অগণিত রিয্‌ক দান করেন। [সূরা আলে-ইমরান: কারণে তা তার জন্য হারাম হয়েছে। যদি সে লোভের বশবর্তী হয়ে
৩৭] অবৈধ পন্থা অবলম্বন না করত; তাহলে তার জন্য নির্ধারিত রিয্‌ক বৈধ
মুসনাদে আহমদ, ইবনে মাজাহ ও দারিমীতে আবু যার (রা) থেকে পন্থায়ই তার নিকট পৌঁছে যেত।
বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন, কুরআনের এমন একটি আয়াত আমি জীবনকালঃ
জানি, যদি লোকেরা ওই আয়াতের উপর আমল করত, তবে সেটাই পবিত্র কুরআনের বহু আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, জীবনকাল
তাদের জন্য যথেষ্ট হতো: 'যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে চলে তিনি (আজল)-এর পরিসমাপ্তিই মৃত্যুর কারণ এবং একমাত্র আল্লাহই মৃত্যু
ঘটান।
- আর আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কারো মৃত্যু হতে পারে না, যেহেতু
প্রত্যেকের মেয়াদ নির্ধারিত। [সূরা আলে ইমরান: ১৪৫]
- আল্লাহই জীবের প্রাণসমূহ তাদের মৃত্যুর সময় হরণ করে থাকেন।
[সূরা যুমার: ৪২]
- রব তিনি যিনি জীবন ও মৃত্যু প্রদান করেন। [সূরা বাকারা: ২৫৮]
- আল্লাহই বাঁচান ও মারেন। [সূরা আলে ইমরান: ১৫৬]
- তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু তোমাদের অবধারিত, যদি
তোমরা সুদৃঢ় দুর্গে অবস্থান কর তবুও। [সূরা নিসা: ৭৮]

You might also like