চিন্তার খোরাক

You might also like

Download as doc, pdf, or txt
Download as doc, pdf, or txt
You are on page 1of 4

চিন্তার খোরাক

খুবই অদ্ভু ত একটা পৃথিবীতে আজ আমরা বাস করছি।পত্রিকায়


প্রতিদিনই বিভিন্ন রোমহর্ষক খুনের খবর পড়ি আমরা, কিন্তু আমাদের
ভিতর কোন পতিক্রিয়াই হয় না।সমাজে আত্মহত্যার ঘটনা দিনকে দিন
বেরেই চলছে, কিন্তু আমরা এর মাঝে অস্ববাভাবিক কিছুই দেখতে পাই
না।আমাদের দেশের সরকার আমাদের নাকের ডগা দিয়ে আমাদেরই
দেশের খনিজ সম্পদ বিদেশী কম্পানির হাতে হাসিমুখে

তু লে দিচ্ছে, আমরা চু প করে বসে আছি আর ভাবছি- “ আমরা সাধারন


মানুষেরা আর কি-ই বা করতে পারি ?” পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন
অজুহাতে প্রতিটাদিন নির্বিচারে নরহত্যা হচ্ছে,আমাদের এমন একটা
ভাব যেন এসবের মধ্যে আমাদের কোন দায় দায়িত্ব নেই।আমরা
নিজেরা কোন রকমএ খেয়ে পরে বেচে আছি ,স্বার্থপরের মত এতেই
আমরা খুশি।

একটু গভীরভাবে ছিন্তা করলেই আমরা বুঝতে পারব যে, পৃথিবীর এ


অদ্ভত দশার জন্য দায়ী আর কেউ নয় বরং আমরা নিজেরাই।আমাদের
কিছু বিকৃ ত দৃষ্টিভঙ্গি ,মন-মানসিকতা এবং আচরন আমাদের এ
পৃথিবীটিকে এরূপ ভয়ংকর এবং আতংক্যময় করে তু লেছে।আমাদের
নৈতিক অবক্ষয় এর জন্য কি দায়ী ???
ঠিক কি কারনে আমাদের এ অবনতি ? আসুন, আমরা ভেবে বের
করার চেষ্টা করি।
প্রথমতঃ সাংকৃ তিক আগ্রাসন। বিস্বায়নের নামে উন্নত দেশসমূহ
আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোর সম্পদ সুকৌশলে ছিনিয়ে নিয়ে
যাচ্ছে , আর তাদের সাংস্কৃ তিগুলো আমাদের মাঝে ধীরে ধীরে প্রবেশ
করাচ্ছে। এক জনৈক প্রাবন্ধিক একবার তার কোন এক প্রবন্ধে
লিখেছিলেন”ব্যধিই সংক্রামক, স্বাস্থ্য নয়।”তার এই উক্তিটি প্রতিদিন
নানান ভাবে প্রমান করছি। ভারতীয়-পশ্চিমা সাংস্কৃ তির সব
নেতিবাচক জিনিসগুলোই আমরা গ্রহন করেছি এবং করে চলছি। হিন্দি
মুভি-সিরিয়াল, গার্লফ্রেন্ড ,স্কিন্টাইট এন্ড শর্ট ড্রেস ,পর্নোগ্রাফি - এরকম
আরোও নানা কিছু নিয়ে আমাদের অত্যন্ত ব্যস্ত থাকতে হয়।আমাদের
পাশের বাড়ির মানুষের সুখ-দুঃখের খবর নেয়ার; দেশকে ঘিরে দেশের
ভিতর এবং বাহিরে সংঘঠিত প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য নানা ষড়যন্ত্র এবং
সরকারের অপকর্মকে নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় হয় না।

দ্বিতীয়তঃ ধর্মনিরপেক্ষতার অজুহাতে ধর্মহীনতা। ধর্মনিরপেক্ষতা ও


সকলের সামানাধিকার নিশ্চিত করার দোহাই দিয়ে আমাদের দেশে
বিভিন্ন মেয়াদে ক্ষমতায় আসা বিভিন্ন গ্ণতান্ত্রিক সরকার এমন অনেক
নীতি ও আইন বাস্তায়ন করার চেষ্টা করছে ,যে গুলো শুধু ইসলামের
সাথে সাংঘর্ষিকই নয় ,যেগুলো বাস্তবায়নের ফলে দেশের ধার্মিক
মুসলমানদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যহত এবং অনেক
ধর্মীয় অনুশাসন বে-আইনি হয়ে পরেছে ।এতে স্বভাবতই মানুষের ভিতর
থেকে খোদাভীতি দিনকে দিন লোপ পাচ্ছে এবং মানুষ ধর্ম থেকে দূরে
সরে যাচ্ছে।আর আজকের সমাজের বিদ্যমান ও চলমান নৈতিক
অবক্ষয়ের অন্যতম কারন হচ্ছে মানুষের মাঝে ধর্মীয় মূল্যবোধের
অভাব।
তৃ তীয়তঃ মানসিক দাসত্ব।আমাদের ভেতরে অত্যন্ত সুকৌশলে একটা
ধারনা অত্যন্ত পাকাপোক্তভাবে ঢু কিয়ে দেয়া হয়েছে ।আর তা হচ্ছে সারা
পৃথিবীর পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রন এখন আমেরিকার নেতৃ ত্বে পশ্চিমা শক্তিগুলোর
হাতে।সুতরাং , যত যাই হক তাদের বিরুদ্ধে একটা টু ~~~~ শব্দও
করা যাবে না।তারা যা আদেশ করবে তাই নতমষতকে মেনে নিতে
হবে।আর আমাদের এ ধারণা আরোও গভীর হয় যখন আমরা দেখি
আমাদের দুই নেত্রী কিছু দিন পরপরই তাদের সে প্রভু বা প্রভু দের
দরবারে গিয়ে তার বা তাদের দাসত্বের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়।
কিছু বিষয় নিয়ে মনোযোগ সহকারে আমাদের চিন্তা-ভাবনা করা
উচিত।পশ্চিমা সাংকৃ তির অন্ধ অনুকরনের ফলে আমরা আসলে কোথায়
যাচ্ছি?আমরা কি এর মাঝে শান্তি খুজে পাচ্ছি?বিবাহবিচ্ছেদ ,ধর্ষন
,আত্মহত্যা ,ইভটিজিং ইত্যাদির সংখ্যা সমাজে দিনে দিনে বৃদ্ধিই পাচ্ছে -
এইকি আমাদের শান্তির নমুনা? সমাজের নারী পুরুষেরা যদি ঠিকভাবে
পর্দা করে চলাফেরা করত এবং বিশ্বাস করত যে ছোট বড় সকল
কর্মের হিসাব তাদের একদিন দিতে হবে,তাহলে কি সমাজের অপরাধ-
দুর্নীতি অনেকাংশে কমে আসত না? যারা ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে
মুখে ফেণা তু লে ফেলে, তারা কি জানে না যখন ইসলামি শাসন বা
খিলাফাহ পৃথিবীতে বহাল ছিল, তখন অমুসলিমরা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গা
থেকে খিলাফাহ রাষ্ট্রে বাস করতে আসত? কারণ খিলাফাহ রাষ্ট্রের মত
শান্তি, ন্যায়-বিচার আর স্বচ্ছলতা পৃথিবীর অন্য কোথাও ছিলনা।আর
সারা পৃথিবীতে যদি আমেরিকার নিয়ন্ত্রন থাকতই তাহলে গ্ণবিক্ষোভের
মুখে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে আমেরিকার দালাল শাসকেরা
ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য হচ্ছে কেন?
পবিত্র করআনে আল্লাহ (সুবঃ) বলেনঃ " সুতরাং যে তার রবের
সাক্ষাত প্রত্যাশী, সে যেন সতকর্ম করে এবং তার রবের ঈবাদাতে অন্য
কাউকে শরীক না করে "[ সূরা শূরা ৪২, আয়াতঃ ২১ ]

Collected From
বালক
Sibbir Sihan

You might also like