Download as doc, pdf, or txt
Download as doc, pdf, or txt
You are on page 1of 11

গণতন্ত্র ধর্ম

by Collected Notes and Discussion on Sunday, June 26, 2011 at 7:42pm

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।

সমস্ত প্রশংসা সেই মহান আল্লাহর যার হাতে আমার প্রান। আমি বিতাড়িত শয়তান
থেকে আশ্রয় চাচ্ছি, আশ্রয় চাচ্ছি সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে সকল প্রকার গোমরাহী
থেকে। শান্তি বর্ষিত হোক আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর প্রতি, আরো শান্তি বর্ষিত
হোক সকল আম্বিয়া (আঃ) গণের প্রতি, রাসুল (সঃ) এর সকল সাহাবা (রাঃ) দের প্রতি,
ও সকল শহীদ, সিদ্দিক, মুত্তাকী, মুমিন ও মুসলমানদের প্রতি।

বর্ত মান যুগে আমরা প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললে যে শব্দগুলো বার বার দেখি
সেগুলো হলঃ ‘গণতন্ত্র’, ‘মানবাধিকার’, ‘সংবিধান’, ‘স্যেকুলারিজম’, ‘পুজিবাদ’
ইত্যাদি। কিন্তু আমরা একটিবার ভেবে দেখেছি কি এই শব্দগুলোর উতপত্তি কিভাবে
কিংবা এগুলোর সাথে আমাদের সম্পর্ক কি?

গণতন্ত্র বা ‘ডেমোক্রেসি’ শব্দটি আসলে দু’টি গ্রীক শব্দের সংযোজন। গ্রীক ‘ডেমোস’
মানে জনগণ ও ‘ক্রেসি’ মানে হল ক্ষমতা- তবে তা যে সে ক্ষমতা নয়, আইন প্রনয়নের
ক্ষমতা। তার মানে হল ‘ডেমোক্রেসি’ কিংবা গণতন্ত্র হল ‘জনগনের আইন প্রনয়নের
ক্ষমতা’। জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা জনগনের জন্য আইন প্রনয়ন হল গনতন্ত্র।
আরো অনেক সুন্দর সুন্দর সংগা হয়ত আপনারা যারা সমাজবিজ্ঞানের ছাত্র তারা
জানবেন। কিন্তু আমার আলোচনার জন্য এটু কুই যথেষ্ঠ।

এখন একটু অন্য দিকে আসা যাক। আমরা যারা নিজেদের মুসলিম বলে দাবী করি তারা
সকলেই জানি যে মহান আল্লাহ আমাদের কেন সৃষ্টি করেছেন। তিনি আমাদের শুধু তাঁ র
ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। তিনি বলেনঃ “আর জ্বীন ও মানুষকে কেবল এজন্যই
সৃষ্টি করেছি যে তারা আমার ইবাদত করবে”। (৫১ : ৫৬)

তিনি আরো বলেনঃ “আর আমি অবশ্যই প্রত্যেক জাতিতে একজন রাসূল প্রেরণ করেছি
যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং পরিহার কর তাগুতকে”। (১৬ : ৩৬)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ আমাদের শুধুই তাঁ র ইবাদত করতে বলেছেন এবং তাগুতকে
পরিহার করতে বলেছেন। এখন আসা যাক তাগুত কি? এবং এরা কারা? তাগুত হল
এমন কেউ কিংবা এমন কোন আইডিওলজি যা নিজেকে আল্লাহর সমকক্ষ হিসেবে দাবী
করে কিংবা নিজেকে আল্লাহর স্থলাভিষীক্ত করার চেষ্টা করে। আমাদের সকলের সামনে
মহান আল্লাহ তাগুতের পরিনতি দৃষ্টান্ত হিসেবে রেখে দিয়েছেন। বলুন তো কে সে? সে
আর কেউ না মিশরের ‘ফেরাউন’। যে কিনা নিজেকে রব বলে দাবী করত। মহান আল্লাহ
দৃষ্টান্ত করেছেন ফেরাউনের পিরামিডকে কিংবা তার মৃত মমীকে। মাঝে মাঝে খুব দুঃখ
লাগে যখন দেখি পিরামিডের সামনে হাসি হাসি মুখে দাঁ ড়িয়ে আমার মুসলিম ভাইয়েরা
ছবি তু লেন। যাই হোক, এই তাগুত শুধু যে কোন ব্যক্তিকেই হতে হবে এমন নয়। বরং
যে কোন কিছু ই হতে পারে। হতে পারে কোন বস্তু যাকে লোকজন আল্লাহর স্থলাভিষিক্ত
করেছে কিংবা হতে পারে কোন ‘আইডিওলজি’ যা মানুষকে আল্লাহর সমকক্ষতায় নিয়ে
এসেছে। এই তাগুত সম্পর্কে মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ

“…অতএব যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে,
অবশ্যই সে মজবুত রশি আঁকড়ে ধরে, যা ছিন্ন হবার নয়”। (২ : ২৫৬)

অতএব আমাদের তাগুত থেকে বেচে থাকতে হবে যে কোন মুল্যেই হোক না কেন।
খ্রীষ্টানদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেনঃ “তারা আল্লহকে ছেড়ে তাদের পন্ডিতগণ ও
সংসার-বিরাগীদের রব হিসেবে গ্রহণ করেছে…”। (৯ : ৩১)

এখানে মহান আল্লাহ খ্রীষ্টান পাদ্রী ও মঙ্কদের কথা বলেছেন। কিন্তু আসলেই কি তারা
নিজেদের রব দাবী করেছিল? না, তারা নিজেদের রব দাবী করেনি। কিন্তু তারা
নিজেদেরকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল যেখানে তারা যা বলত সাধারন মানুষ তাই
করত। তারা আল্লাহর আইনকে বাদ দিয়ে নিজেদের মন মত আইন প্রনয়ন করত। আর
এ কারনেই মহান আল্লাহ বলেছেন যে তারা আল্লাহকে ছেড়ে তাদের পাদ্রীদের ও
মঙ্কদের নিজেদের রব বানিয়ে নিয়েছিল।

এখন আবারো গণতন্ত্রে ফিরে আসি। গনতন্ত্র আসলে কি? আসলে এটি সংখ্যাগরিষ্ঠের
শাসন। যেখানে অধিকাংশের যা ভালো লাগে তাই আইন। ধরা যাক, হঠাত করে নৈতিক
অবক্ষয়ের কারনে অধিকাংশ মানুষের ইচ্ছা হল খোলা আকাশের নীচে ব্যভিচার করার।
তাহলে দেখা যাবে কোন একদিন এটা আইন পাশ করে বৈধ করে দেয়া হবে। যা এখন
অলরেডি অধিকাংশ পশ্চিমা বিশ্বে স্বীকৃ তিপ্রাপ্ত। কিন্তু সত্যিকার অর্থে যা সত্য তা
চিরকালই সত্য আর যা সুন্দর তা চিরকালই সুন্দর। এর জন্য আইন পাশ করার কিছু
নেই। আর চরম সত্য কিংবা এবস্যুলুট ট্রুথ হল আল্লাহর দেয়া আইন। যা সময় ও কালে
পরিবর্ত নশীল নয়। যা চিরকালই আমাদের সঠিক ও সুন্দর পথে পরিচালিত করবে।

এখন এই গণতন্ত্রকে যদি আমরা ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি তাহলে স্পষ্টতই
দেখতে পারবো যে এটি একটি তাগুত। স্পষ্টতই, আইন প্রনয়নের মালিক একমাত্র
আল্লাহ সুবাহানাল্লাহু তা’আলা। আর কোনভাবেই একজন মানুষ কিংবা সংসদের সদস্যরা
আমাদের জন্য কি ভাল কি মন্দ তা ঠিক করতে পারে না। আমাদের ভাল মন্দ দেখার
দ্বায়িত্ব একমাত্র আল্লাহর। আপনাদের কারোই অজানা নেই আমাদের সংসদে কারা আসা
যাওয়া করে। সামান্য বিবেক বুদ্ধি থাকলে আমরা এটু কু বুঝতে পারবো যে যারা নিজেরাই
ভালো না তারা আমাদের ভাল মন্দ কি করে দেখবে। একজন মুসলমান হিসেবে আমি
বলব, এই লোকগুলোকে আপনি আমিই ভোট দিয়েছিলাম। যে কারনে তারা আজ
ওখানে। আর এই ভোট দেয়ার অর্থ আমরা আমাদের ভাল মন্দ দেখার দ্বায়িত্ব ও আইন
প্রনয়নের দ্বায়িত্ব তাদের কাধে ছেড়ে দিলাম। যা স্পষ্টতই শিরক। আর ঠিক একই কারনে
গণতন্ত্র কিংবা ‘ডেমোক্রেসি’ একটি তাগুত।

মহান আল্লাহ আমাদের মত যারা আছেন তাদের সম্পর্কে বলেনঃ “তু মি কি তাদেরকে
দেখনি, যারা দাবী করে যে, নিশ্চয়ই তারা ঈমান এনেছে তাঁ র উপর, যা নাযিল করা
হয়েছে তোমার প্রতি এবং যা নাযিল করা হয়েছে তোমার পুর্বে। তারা তাগুতের কাছে
বিচার নিয়ে যেতে চায় অথচ তাদেরকে নির্দে শ দেয়া হয়েছে তাকে অস্বীকার করতে।
আর শয়তান চায় তাদেরকে ঘোর বিভ্রান্তিতে বিভ্রান্ত করতে”। (৪ : ৬০)

হায়, আল্লাহ আমাদের মাফ করুন। আমরা সাক্ষ্য দেই যে, এক আল্লাহ ছাড়া কোন
উপাস্য নেই কিন্তু আবার বিচার চাইতে গেলে আল্লাহর আইনের কথা ভু লে যাই। ভু লে
যাই যে, মহান আল্লাহ আমাদের তাগুতকে পরিহার করতে বলেছেন। কিন্তু শয়তান-
আমাদের চিরশত্রু নানা রকম বাহানা দেখিয়ে আমাদের পথভ্রষ্ট করতে চায়। আর আমরা
তার হাতে পরাজিত হই। আল্লাহ সুবাহাল্লাহু তা’আলা যেই আইনের অনুমোদন দেন নি,
যেই প্রথার কোন প্রচলন আমাদের পিয় নবী (সঃ) করেন নি তাকে কি করে আমরা
নিজেদের স্বাধীনতা বলে দাবী করি। অনেকেই আছেন যারা হয়ত বলবেন, গনতন্ত্রে গিয়ে
আমরা আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করব। কিন্তু গণতন্ত্র নিজেই তো একটি শিরক, তাগুত।
সাপ দিয়ে বিশ ঝারার গল্প করে আদৌ কি কোন লাভ আছে?

গণতন্ত্র ও স্যেকুলারিজমের বুলি আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এমনভাবে প্রবেশ করেছে যে তা


আজ এক ধর্মে রূপ নিয়েছে। এখন যদি আপনি যেয়ে গণতন্ত্রের প্রভু দের বলেনঃ
‘আমরা আল্লাহর বিধান অনুসারে মুরতাদের শাস্তি দিতে চাই। আমরা সংসদ সদস্যদের
আল্লাহর আইন ব্যতিরেকে অন্য আইন প্রনয়ন করতে দিতে চাই না কিংবা চোর,
মাতালদের আল্লাহর আইন অনুযায়ী শাস্তি দিতে চাই। অথবা মেয়েদের জন্য পর্দা প্রবর্ত ন
করতে চাই কিংবা ব্যভিচার, নগ্নতা ও অসামাজিক কার্যকালাপ বন্ধ করতে চাই’। তাহলে
গণতন্ত্রের প্রভু রা কি বলবে বলে আপনার মনে হয়? তারা বলবেঃ ‘এটা গণতন্ত্রের
বহির্ভু ত। এটা সাধারন মানুষের স্বাধীনতার খেলাফ’।

অতএব এটিই গণতন্ত্রের স্বাধীনতাঃ এক আল্লাহর ধর্ম থেকে মুক্তি পাওয়ার, তাঁ র
আইনকে খর্ব করার স্বাধীনতা। যারা তাদের এই স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয় তারাই
এক্সট্রিমিস্ট, তারাই সন্ত্রাসী।
অতএব গণতন্ত্র একটি পৃথক ধর্ম, যার উতপত্তি মানুষের জৈবিক চাহিদা ও
স্যেকুলারিজম থেকে, যা কোনভাবেই ইসলামের পাশাপাশি চলতে পারে না। এটি একটি
তাগুত যা নিজেকে মহান আল্লাহর সমকক্ষ স্থির করে; যেমনটি করেছিল ফিরাউন। মহান
আল্লাহ বলেনঃ “তাদের জন্য কি এমন কিছু শরীক আছে, যারা তাদের জন্য দীনের
বিধান দিয়েছে, যার অনুমুতি আল্লাহ দেননি? আর ফয়সালার ঘোষনা না থাকলে তাদের
ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েই যেত। আর নিশ্চয় জালিমদের জন্য রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক আযাব”।
(৪২ : ২১)

অতএব, একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণ্রূপে পরিহার করা।
যারা জেনেশুনে গণতন্ত্রের সহযোগিতা করবে কিংবা গণতন্ত্রে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন
করবে তারা অবশ্যই এক আল্লাহর ধর্ম থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে। এখানে একটি কথা বলে
রাখা উচিত, আমরা যারা না জেনে এতদিন গণতন্ত্রের তাবেদারী করেছি আজ থেকেই
তারা যেন তওবা করে ফিরে আসি। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল ও দয়ালু।

আর যারা জেনেশুনে গণতন্ত্র কিংবা অন্য কোন তাগুত ও শিরকের অনুসারী তাদের
সম্পর্কে আমাদের মনোভাব কেমন হওয়া উচিত? এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেনঃ
“ইব্রাহীম ও তাঁ র সঙ্গীদের মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ। তারা যখন স্বীয়
সম্প্রদায়কে বলেছি, ‘তামাদের সাথে এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যা কিছুর উপাসনা
কর তা হতে আমরা সম্পর্ক মুক্ত। আমরা তোমাদেরকে অস্বীকার করি; এবং তোমাদের
ও আমাদের মাঝে উদ্রেক হল শত্রুতা ও বিদ্বেষ চিরকালের জন্য; যতক্ষন না তোমরা
এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আন”। (৬০ : ৪)

অতএব যতক্ষন না তারা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে ততক্ষন পর্যন্ত তাদের সাথে
আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর তাদের প্রতি ভালবাসার কোন প্রশ্নই উঠে না। যত
ভাল ব্যক্তিই তারা হোক না কেন তাদের প্রতি থাকবে আমাদের শত্রুতা। মহান আল্লাহ
বলেনঃ “আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে, যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আল্লাহর
সমকক্ষরূপে গ্রহন করে, তাদেরকে আল্লাহকে ভালবাসার মত ভালবাসে। আর যারা
ঈমান এনেছে, তারা আল্লাহর ভালবাসায় দৃঢ়তর”। (২ : ১৬৫)

অতএব, মহান আল্লাহর প্রতি ভালবাসাই আমাদের দৃঢ়তর হতে হবে। আমাদের সকলের
কাছে এটা পরিষ্কার হওয়া উচিত যে মহান আল্লাহর কাছে ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন
জীবন ব্যবস্থা গ্রহণযোগ্য নয়। মহান আল্লাহ বলেনঃ “আর যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোন
দীন চায় তবে তার কাছ থেকে কখনো গ্রহণ করা হবে না এবং সে আখিরাতে
ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভু ক্ত হবে”। (০৩ : ৮৫)
আর তারাই হবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত, সবচেয়ে বড় লুজার। যারা মনে করবে তারা ভাল
কাজ করছে কিন্তু মোটেও তা নয়। আখিরাতে তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি।

মহান আল্লাহ বলেনঃ “আর তাদের মধ্যে তার মাধ্যমে ফয়সালা কর, যা আল্লাহ নাযিল
করেছেন এবং তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। তার তাদের থেকে সতর্ক থাক যে,
আল্লাহ যা অবতীর্ন করেছেন, তার কিছু থেকে তারা তোমাকে বিচ্যুত করবে। আর তারা
কি জাহিলিয়াতের বিধান চায়? আর নিশ্চিত বিশ্বাসী কওমের জন্য বিধান প্রদানে আল্লাহর
চেয়ে কে অধিক উত্তম?” (০৫ : ৪৯-৫০)

“তু মি কি তাদেরকে দেখনি, যাদেরকে কিতাবের এক অংশ দেয়া হয়েছে? তারা জিবত
ও তাগুতের প্রতি ঈমান আনে এবং কাফিরদেরকে বলে, এরা মুমিনদের তু লনায় অধিক
সঠিক পথপ্রাপ্ত”। (০৪ : ৫১)

“তারা কি আল্লাহর দীনের পরিবর্তে অন্য কিছু তালাশ করছে? অথচ আসমানসমূহ ও
যমীনে যা আছে তা তাঁ রই আনুগত্য করে ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় এবং তাদেরকে তাঁ রই
নিকট প্রত্যাবর্ত ন করা হবে”। (০৩ : ৮৩)

অতএব সময় এসে গেছে এই তাগুতের প্রতি রুখে দাঁ ড়ানোর। প্রথমত আমাদের মধ্যে
যারা এ সম্পর্কে জানেন না তাদেরকে অবহিত করুন, আর নিজেকে বিরত রাখুন
গণতন্ত্রের সংস্পর্শ থেকে। ভোট দেয়া বর্জ ন করুন, গণতান্ত্রিক কাঠামোয় অংশগ্রহন
থেকে বিরত থাকুন। আসুন আমরা সকলে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং
মন থেকে বলিঃ

“……আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর প্রতি এবং যা নাযিল করা হয়েছে আমাদের উপর,
আর যা নাযিল হয়েছে ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তাদের সন্তানদের উপর।
আর যা দেয়া হয়েছে মূসা, ঈসা ও অন্যান্য নবীকে তাদের রবের পক্ষ থেকে, আমরা
তাদের কারো মধ্যে পার্থক্য করি না এবং আমরা তারই প্রতি আত্মসমর্পণকারী”। (০৩ :
৮৪)

Collected From:

Brother
Nazmul Islam

You might also like