Professional Documents
Culture Documents
Research On Traffic Awareness Among Bangladeshi Students
Research On Traffic Awareness Among Bangladeshi Students
বর্ত মানে সাধারণ জনগণের মাঝে সড়ক দুর্ঘটনা একটি আতঙ্কের নাম হয়ে
দাঁড়িয়েছে। গত বছর ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের মাধ্যমে সড়কের শৃ ঙ্খলা
সম্বন্ধে সচেতনতার অভাব এবং চালকদের বৈধতা ও দক্ষতার অভাব স্পষ্টভাবে
পরিলক্ষিত হয়। এ সমস্যা নিরসনে নানাবিধ শাস্তি ও অর্থদণ্ড প্রয়োগ করা হলেও
এগুলো মূ লত স্বল্পমেয়াদী উদ্যোগ। আন্দোলনের মাধ্যমে সড়ক শৃ ঙ্খলা বিষয়ে
মানু ষের ইতিবাচক মানসিকতা তৈরি হলেও এর প্রভাব ছিল ক্ষণস্থায়ী। সড়ক দুর্ঘটনা
রোধে দীর্ঘমেয়াদী সু ফলের জন্য প্রয়োজন সচেতনতার, যা তৈরি হতে হবে শিশুর
প্রাথমিক শিক্ষার পর্যায় থেকেই।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় চালকদের অদক্ষতা ও বৈধতা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম
প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও একটি বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যায় - এই আন্দোলনের মু খ্য
অংশগ্রহণকারী, শিক্ষার্থীদের মাঝে সড়কের শৃ ঙ্খলা ও আইন সম্বন্ধে ধারণা কতটুকু? এজন্যই
এ বিষয়ে জরিপ পরিচালনা অত্যন্ত গুরুত্বপূ র্ণ।
আমাদের পরিচালিত জরিপটি বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সম্পন্ন করা হয়েছে।
জরিপটির বিষয়বস্তু অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত এবং ক্ষুদ্রপরিসরে সীমাবদ্ধ হলেও জরিপটির মাধ্যমে
শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতার সম্যক ধারণা নিয়ে উপর্যুপরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা
যাবে বলে আমরা আশা করছি।
উদ্দেশ্য
৮০
নম্বর (%)
৭০
৬০
৫০
৩য়-৪র্থ শ্রেণি
৫ম-৬ষ্ঠ শ্রেণি
৪০
৭ম-৮ম শ্রেণি
৩০ ৯ম-১০ম শ্রেণি
২০
১০
০
ক খ গ
বিভাগ
শ্রেণি ক-বিভাগে নম্বর গড় নম্বর
৩-৪ ৬৭.৬২৫% ৫.৪১
৫-৬ ৭৫% ৬
৭-৮ ৭২.১২৫% ৫.৭৭
৯-১০ ৮৩% ৬.৬৪
জরিপের খ-বিভাগের ফলাফল থেকে দেখা যায় যে, মোট ১২ নম্বরের মধ্যে
৩য়-৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ৬.২৫ (৫২.০৮%) নম্বর, ৫ম-৬ষ্ঠ শ্রেণির
শিক্ষার্থীরা গড়ে ৬.৬৬ ( ৫৫.৫%) নম্বর, ৭ম-৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে
৭.১৫ (৫৯.৫৮%) নম্বর এবং ৯ম-১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ৯.২১
(৭৬.৭৫%) নম্বর পেয়েছে ।
শ্রেণি গ-বিভাগে নম্বর গড় নম্বর
৩-৪ ৭৫.১৩% ১১.২৭
৫-৬ ৭৫.৫৩% ১১.৩৩
৭-৮ ৭৭.৯৩% ১১.৬৯
৯-১০ ৮৬.৭৩% ১৩.০১
জরিপের গ-বিভাগের ফলাফল থেকে দেখা যায় যে, মোট ১৫ নম্বরের মধ্যে
৩য়-৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ১১.২৭ (৭৫.১৩%) নম্বর, ৫ম-৬ষ্ঠ শ্রেণির
শিক্ষার্থীরা গড়ে ১১.৩৩ (৭৫.৫৩%) নম্বর, ৭ম-৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে
১১.৬৯ (৭৭.৯৩ %) নম্বর ও ৯ম-১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ১৩.০১
(৮৬.৭৩%) নম্বর পেয়েছে।
শ্রেণি অনুযায়ী ফলাফল
৯০
৮০
৭০
৬০
৫০
৪০
৩০
২০
১০
০ ৩য়-৪র্থ শ্রেণি ৫ম-৬ষ্ঠ শ্রেণি ৭ম-৮ম শ্রেণি ৯ম-১০ম শ্রেণি
• উক্ত ছক পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ৩য়-৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে গড়
জ্ঞানের তেমন পার্থক্য নেই, যা হতাশাজনক। ৫ম-৬ষ্ঠ ও ৭ম-৮ম শ্রেণির
শিক্ষার্থীদের গড় নম্বরের পার্থক্য মাত্র ১.২%। ৯ম-১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের
অবস্থান তুলনামূ লকভাবে ভালো হলেও দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিক হিসেবে
তাদের জ্ঞানের গভীরতা আরও বেশি হওয়া উচিত ছিল।
বিশ্লেষণ :
• ক বিভাগের ফলাফল হতে দেখা যায় যে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ বিষয়ে অর্থাৎ সড়কে বিভিন্ন ধরনের বাতির ব্যবহার সম্বন্ধে ধারণা
প্রায় একই। উত্তরদাতাদের মধ্যে ৫ম-৬ষ্ঠ শ্রেণির তুলনায় ৭ম-৮ম শ্রেণির নম্বরের মান বৃ দ্ধি পাওয়া উচিত হলেও এখানে তার
বিপরীত চিত্র লক্ষ করা যায়। আরো একটি বিষয় এক্ষেত্রে লক্ষ করা যায় যে, বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই হলু দ বাতির সঠিক অর্থ
সম্বন্ধে সচেতন নয়।
• খ বিভাগের নম্বর বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, শ্রেণিভেদে নম্বরের পার্থক্য ক বিভাগের তুলনায় বেশি। এক্ষেত্রে ৭ম-৮ম শ্রেণির
তুলনায় ৯ম-১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নম্বরের বৃ দ্ধি ঘটেছে (৯.২১-৭.১৫) বা, ২.০৬ নম্বর, শতকরা হিসাবে যা প্রায়
১৭.১৭ ভাগ।
• গ বিভাগের সাধারণ জ্ঞানমূ লক প্রশ্নের ফলাফলেও দেখা যায়, শ্রেণিভেদে উত্তরদাতাদের গড় নম্বরের পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বৃ দ্ধি
পেয়েছে। সর্বোচ্চ বৃ দ্ধি ঘটেছে ৯ম-১০ম শ্রেণিতে, ৭ম-৮ম শ্রেণির তুলনায় (১৩.০১-১১.৬৯) বা, ১.৩২ নম্বর(প্রায় ৮.৮%)।
• সামগ্রিকভাবে দেখা যায় যে, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সড়কের শৃ ঙ্খলা ও আইন সম্বন্ধে জ্ঞান অন্যান্য সকল শ্রেণির
শিক্ষার্থীদের চেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই বেশি। তারপরও জরিপটির ফলাফল সন্তোষজনক নয়, কারণ সড়কের বিভিন্ন আইন মৌলিক
বিষয়, যা সম্বন্ধে একজন শিক্ষার্থীর প্রাথমিক পর্যায় থেকেই যথেষ্ট জ্ঞান থাকা প্রয়োজন, তার অভাব জরিপটির মাধ্যমে
সু স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়।
•
উপসংহার:
ছাত্ররাই দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিক। সড়ক শৃ ঙ্খলার সম্পর্কে তাই তাদের
যথাযথ জ্ঞান থাকা অত্যাবশ্যক। শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে জ্ঞান কীরূপ তা
আমাদের পরিচালিত জরিপটির মাধ্যমে যাচাই করা সম্ভব হয়েছে। অতি
সাধারণ কিছু বিষয়েও তারা অজ্ঞ। কাজেই, সড়ক শৃ ঙ্খলা সম্পর্কি ত
মৌলিক বিষয়গুলো প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভু ক্ত
করতে হবে। ফলে সচেতন হবে শিক্ষার্থীরা। তখন তাদের
অভিভাবকদেরকেও তারা সচেতন করবে। এভাবেই বন্ধ হবে সড়ক
শৃ ঙ্খলা লঙ্ঘন, হ্রাস পাবে সড়ক দুর্ঘটনা।