Download as pptx, pdf, or txt
Download as pptx, pdf, or txt
You are on page 1of 9

উসূলুদ্দীনঃ পর্ব-৩


নবীদের প্রতি
ঈমান

 নবীদের নবুওয়্যাত, রিসালাত ও দাওয়াত সম্পর্কে আকীদাহ
 নবীদের সত্তা সম্পর্কে আকীদাহ
 নবীদের আনীত বিষয়বস্তুর প্রতি ঈমান
নবুওয়্যাত ও রিসালাতএর
প্রতিঈমান
• কোনো মানুষের এই ক্ষমতা নেই যে সে আল্লাহর সাথে কথা বলতে পারে। তবে আল্লাহ চাইলে তিনি
তাঁর বান্দার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আল্লাহ তাঁর কিছু মনোনীত বান্দাদেরকে তাঁর ওয়াহী
প্রেরণের জন্য নির্বাচন করেছেন। আল্লাহ তাঁর বান্দার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, যেভাবে ইচ্ছা
তাঁর বান্দাদের নিকট ওয়াহী বা প্রত্যাদেশ পাঠাতে পারেন, এটা বিশ্বাস করা ঈমানের মৌলিক অঙ্গ।
এতে অবিশ্বাস করা, সন্দেহ পোষণ করা, একে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা কু ফরের অন্তর্ভু ক্ত।
• যুগে যুগে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের হেদায়াতের জন্য তাঁর নির্বাচিত নবী-রাসূলদেরকে (আলাইহিমুস
সালাম) পাঠিয়েছেন। আল্লাহ প্রতিটি জনপদ ও জাতির নিকটই হেদায়াতের উদ্দেশ্যে নবী-রাসূল
প্রেরণ করেছেন।
• সকল নবী-রাসূলই (আলাইহিমুস সালাম) আল্লাহ তা’আলার তাওহীদ ও তাঁর নিকট আত্মসমর্পণ,
অর্থা ৎ, ইসলামের বিধান নিয়ে জগতে প্রেরিত হয়েছে। কোনো নবীই তাওহীদ ও দ্বীনে ইসলামের
দাওয়াত ভিন্ন অন্য কোনো দাওয়াত নিয়ে দুনিয়াতে প্রেরিত হননি।
• প্রত্যেক নবী-রাসূলের (আলাইহিমুস সালাম) উপরই ঈমান আনা আবশ্যক। ঈমানের ক্ষেত্রে নবী-
রাসূলদের মধ্যে কোনোপ্রকার পার্থক্য করা যাবে না। তাঁরা যা কিছু সহকারে প্রেরিত হয়েছিলেন তার
সকল কিছুর উপরই ঈমান আনা জরুরী, তবে মানার ক্ষেত্রে বা অনুসরণের দিক থেকে সকলকে
মানা যাবে না, কেননা নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ব্যতীত সেসকল নবী ও
রাসূলদের (আলাইহিমুস সালাম) শরীয়ত রহিত হয়ে গেছে।

• নবীদেরকে পাঠানো হয়েছে-ই অনুসরণের জন্য, তাই ‘শুধু আল্লাহকে মানি, কিন্তু নবীকে না’ এ ধরণের
বিশ্বাস রাখা ও কথাবার্তা বলা ঈমানবিধ্বংসী। পরকালীন মুক্তির জন্য শুধুমাত্র আল্লাহকে মানাই
যথেষ্ট নয়, বরং আল্লাহকে এবং তাঁর প্রেরিত নবী-রাসূলকেও মানা জরুরী।

• আল্লাহ তা’আলা তাঁর ইচ্ছা ও প্রজ্ঞামত নবীদেরকে (আলাইহিমুস সালাম) মুজিযা বা অলৌকিক
ক্ষমতা দিয়েছেন যাতে নবীগণ তাঁদের জাতির নিকট তাঁর নবুওয়্যাতের সত্যতা তু লে ধরতে সক্ষম
হন। মু’জিযা আল্লাহর নির্ধারিত সাধারণ প্রাকৃ তিক নিয়মের বহির্ভূ ত।
নবী প্রেরণের মাকসাদ ও
মূলনীতি

 ‘লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ’ বা তাওহীদের মূল মর্মবাণীর দিকে দাওয়াত দেওয়া। তাগূত বা মিথ্যা
উপাসকদের উপাসনা-ইবাদাত থেকে বিরত থেকে কেবলমাত্র আল্লাহর ইবাদাতের ওপর স্থির
থাকার দাওয়াত দেওয়া।

 আল্লাহ যে দ্বীন ও শরীআত দিয়েছেন তাঁর ওপর অটল-অবিচল থাকা, আল্লাহর দ্বীনকে
সঠিকভাবে পৌঁছে দেওয়া, দ্বীনকে যথার্থভাবে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া, আল্লাহর
‘পূর্ণাঙ্গ’ শরীআতের অনুসরণ করা ও অন্যদেরকে অনুসরণের দাওয়াত দেওয়ার মাধ্যমে
আল্লাহর ‘পূর্ণাঙ্গ’ অনুগত বান্দা হবার পথ শিখিয়ে দেওয়া এবং এই দ্বীনের বিষয়ে মতভেদে
লিপ্ত না হতে দেওয়ার পরামর্শ দিতে থাকা। আর একেই বলা হয় দ্বীন প্রতিষ্ঠা করা বা
ইকামাতে দ্বীন। এটাও আম্বিয়াদের অন্যতম দায়িত্বের মধ্যে অন্তর্ভু ক্ত।
 আল্লাহর থেকে আসা পূর্ণাঙ্গ হেদায়াত দিয়ে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ন্যায় ও
ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা। নবী-রাসূলদেরকে দেওয়া হয়েছে সুস্পষ্ট প্রমাণ, যা তাঁদের
সত্যতার প্রমাণ হতে পারে; কিতাব বা মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রকার
দিক-নির্দে শনা ও মিযান বা ন্যায়পরানতার সুষ্ঠু মানদণ্ড যা অজস্র
ভারসাম্যহীনতার মধ্যে সরল-সহজ ও ভারসাম্যপূর্ণ পথ দেখিয়ে দেবে; এ
তিনটি জিনিস দিয়ে তাঁদেরকে যে উদ্দেশ্য দিয়ে প্রেরণ করা হয়েছে তা হলো-
পৃথিবীতে মানুষের আচরণ এবং মানব জীবনের বিধি-বিধান ব্যক্তিগতও
সামগ্রীকভাবেও যেন ন্যায় বিচারের ওপর প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
রিসালাতে মুহাম্মাদীর
অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য

 রিসালাতে মুহাম্মাদী শুধুমাত্র নির্দি ষ্ট অঞ্চলের জন্য নয় বরং সারা বিশ্বের
জন্য জন্য সাধারণ বা আম।
 মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহর পরে আর কোনো নবী আসবেন না। আর তাই এ
দ্বীন নিঃসন্দেহে কিয়ামত পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকবে।
 মুসলিম উম্মাহকে গোটা দুনিয়ার ওপর সত্যের সাক্ষ্য হওয়ার নির্দে শ
দেওয়া হয়েছে
নবীদের সত্তার ব্যাপারে
বিশ্বাস

• নবী-রাসূলগণ মানুষই ছিলেন। তাঁরা সাধারণ মানুষের মতই খাওয়া-দাওয়া ও বাজার-সদাই করতেন। তাঁরা অতিপ্রাকৃ তিক
কোনো মহামানব ছিলেন না। হ্যাঁ, তাঁরা আল্লাহর নির্বাচিত ও অতি সম্মানিত বান্দা ছিলেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

• নবী-রাসূলদের (আলাইহিমুস সালাম) পরস্পর মর্যাদায় পার্থক্য রয়েছে। আল্লাহ এক নবীর উপর আরেক নবীকে ফযীলত বা
মর্যাদা দান করেছেন।

• নবী-রাসূলগণ (আলাইহিমুস সালাম) আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দা ও মুখলিস দাঈ। তাঁরা ছিলেন মানুষদের মধ্যে সবচাইতে
পূতঃপবিত্র। তাঁরা ছিলেন নিঃস্বার্থ। আল্লাহর বান্দাদের হেদায়াতের জন্য তাঁরা ছিলেন ব্যাকু ল। জ্ঞানবশত তাঁরা ছিলেন
সকলপ্রকার পাপ-গুনাহ-খাতা থেকে মুক্ত ও পবিত্র। তাঁদেরকে সম্মান করা, তাঁদের প্রতি ঈমান আনা, তাঁদের ব্যাপারে উত্তম
কথাবার্তা বলা ঈমানের অঙ্গ। তাঁদের বিরুদ্ধে কটু ক্তি করা, খারাপ কথা বলা ঈমানের বিরোধী বিষয়, যা ব্যক্তিকে ঈমানের গণ্ডী
থেকে বের করে দেয়।
নবীদের আনীত বিষয়ের
ওপর বিশ্বাস

 নবীদের থেকে যেসকল সংবাদ বিশুদ্ধভাবে পৌছেছে তা মেনে নেওয়া
একান্ত আবশ্যক। রিওয়ায়াহ ও দিরায়াহ এ উভয় দিক থেকেই বিশুদ্ধতা
প্রমাণিত হতে হবে।

 সংবাদটির সূত্র (‫ )سند‬বিশুদ্ধ(‫ )صحيح‬হলে


 সংবাদটির ভাষা যদি পরিষ্কার, স্পষ্ট(‫ )صريح‬ও অদ্ব্যর্থবোধক হয়
 সংবাদটিতে যদি পরস্পর সাংঘর্ষিকতা (‫ )تعارض‬গোপন ত্রুটি(‫ )علل‬বিদ্যমান
না থাকে

You might also like