Professional Documents
Culture Documents
Law of Limitation
Law of Limitation
1) মামলা দায়েরের জন্য একটি নির্দি ষ্ট সময়সীমা দেয়া থাকে ঐ নির্দি ষ্ট সময়সীমা পার হলে আর মামলা করা
যাq না ঐ নির্দি ষ্ট সময়সীমাকে তামাদি আইb বলে|
3) এই আইন একটি নির্দি ষ্ট মেয়াদের পরে কোন আইনগত অধিকারের বিলুপ্তি ঘটায়। কত দিনের মধ্যে কোন
মামলার আপীল, রিভিউ বা রিভিশনের জন্য আদালতে দরখাস্ত পেশ করতে হবে। কখন বিলম্ব মৌকু ফ করা যাবে ইত্যাদি
বিষয় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
4) তামাদি আইন বা Limitation Act হচ্ছে কোন সম্পত্তির উপর থেকে মালিকানার দ্বন্দ্ব কে শেষ করে পক্ষগন যেন
তাহাদের মধ্যে পারষ্পারিক বিরোধ অনেক বছর যাতে চলাতে না পারে সেজন্য তামাদি আইনের সৃষ্টি। আইন তা চিরদিনের
জন্য নিস্পত্তি করায় সাহায্য করে।
5) যে দাবী তামাদি হয়ে যায় তবে সময় সীমা বাড়ানোর এখতিয়ার আদালতের নেই
এমনকি তামাদিকৃ ত দাবী বা অধিকারকে আদালতে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে না
তামাদি আইনের প্রয়োজনীতা:
১৯০৮ সালের তামাদি আইনের প্রয়োজনীয়তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
১) দেওয়ানী মোকদ্দমা, আপীল ও কতিপয় দরখাস্ত আদালতে দায়ের করার মেয়াদ সম্পর্কি ত আইন একত্রীকরণ ও
সংশোধন করা হয়।
২) দখলের দ্বারা ব্যবহার স্বত্বের ও অন্যান্য সম্পত্তির অধিকার অর্জ নের নির্ধারিত সময়সীমা
প্রণয়ন করা হয়।
৩) তামাদি আইনের সময় সীমার দ্বারা সমাজের বিবাদ নিস্পত্তির মাধ্যমে শান্তি শৃংখলা বজায়
রাখা হয়।
৪) মামলার দীর্ঘসূত্রীতা জিয়য়ে না রেখে জনসাধারনের ভোগান্তি লাঘব করা হয়।
৬) মামলার দীর্ঘ সূত্রীতার বন্ধের জন্য অর্থের অপচয় রোধ করা হয়।
৮) প্রতিষ্ঠিত অধিকার সংরক্ষনের জন্য সহায়তা করে অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয়।
৯) সর্বোপরি তামাদি আইন দ্বারা সর্বপ্রকার দাবী ও স্বত্বের দ্বন্দ্বকে অবিরাম গতিতে দীর্ঘায়িত
করে সুযোগ না দিয়ে বরং চির দিনের জন্য নিস্পত্তি করতে সাহায্য করে
তামাদি আইন - ১৯০৮ নির্ধারিত সময়সীমা, ধারা ৩
তামাদি আইন সকল প্রকার প্রতারণা মুলক কাজ বন্ধ করে দেয়। এই আইন কোন ব্যক্তির তাহার স্বত্ব বা
অধিকারের জন্য কতদিনের মধ্যে মামলা দায়ের করতে পারবে তার সময় নির্দি ষ্ট করে দেয়। কো ন মামলা ৩
বৎসর আবার কোন মামলা ১২ বৎসর মেয়াদের মধ্যে করতে হয়। মামলার মত আপীলেরও একটি নির্দি ষ্ট
সময় আছে।
বিলম্বের জন্য অনেকেই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আদালতের শরনাপন্ন হতে পারেন না। আইনের সূত্র হচ্ছে বিলম্ব
ন্যায় বিচারকে প্রতিহত করে। আইনের অরো একটি নিয়ম হচ্ছে, যে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেতন নয়,
আইন তাকে সহায়তা করে না। আইন সচেতনতার এবং অবহেলার কারণে মানুষের অধিকার আদায় করা
অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
তামাদি আইনের ৩ ধারা হতে ২৫ ধারা পর্যন্ত বর্ণিত বিধান মোতাবেক যে কোন ধরণের মামলা আপীল কিংবা
দরখাস্ত দাখিলের মেয়াদ সম্পর্কে সাধারণ নিয়মাবলী ব্যতিক্রমসহ উল্লেখ করা হয়েছ|
ধারা ৩- তামাদি মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পর মামলা, আপিল বা দরখাস্ত রুজু, দায়ের বা দাখিল করা হলে
বিবাদীপক্ষ যদি তামাদির প্রশ্ন উত্থাপন নাও করে, তারপরও উক্ত মামলা, আপিল বা দরখাস্ত খারিজ বলে
বিবেচিত হবে
কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ধারা : তামাদির মেয়াদ উত্তীর্ণ
8 ধারা -আদালত বন্ধ থাকা
৫ ধারা -তামাদির মেয়াদ বৃদ্ধিকরণ, তামাদি মার্জ না
ধারা-৪ (আদালত বন্ধ থাকা অবস্থায় যখন তামাদির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়) :
যেক্ষেত্রে কোনো মামলা, আপিল বা দরখাস্তের জন্য নির্দি ষ্ট তামাদির মেয়াদ, আদালত বন্ধ থাকার দিন উত্তীর্ণ হয়,
সেক্ষেত্রে আদালত পুনরায় খোলার দিন উক্ত মামলা, আপিল বা দরখাস্ত রুজু দায়ের বা রুজু করা যাবে (made on
the day that the Court re-opens.)
ধারা-৫ (ক্ষেত্র বিশেষে মেয়াদ বৃদ্ধিকরণ) :
কোনো আপিল বা রায় পুনর্বিচার বা পুন নীরিক্ষণের দরখাস্ত বা আপিল করিবার অনুমতি প্রার্থনার দরখাস্ত বা অন্য
কোনো দরখাস্ত, তার নির্দি ষ্ট তামাদির মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পর গৃহীত হতে পারে, যদি আপিলকারী বা দরখাস্তকারী এই
মর্মে আদালতের সন্তুষ্টি সাধন করে থাকে যে, নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে আপিল বা দরখাস্তটি দাখিল না করিবার যথেষ্ট
কারণ ছিল।
ধারা অনুযায়ী তামাদি মার্জ না পাওয়া যায়। কিন্তু তামাদি মার্জ না পাওয়ার ক্ষেত্রে আদালতকে কিছু বিষয় সন্তুষ্ট করতে
হয়, নিম্নেi শ‡র্ত - বিলম্ব হওয়ার যথেষ্ট কারণ থাকতে হবে।
বিলম্ব হওয়ার ক্ষেত্রে দরখাস্তকারীর কোন গাফিলতি ছিল না।
দরখাস্তকারী সরল বিশ্বাসে প্রতিকার পেতে এসেছে।
অত্র আইনে যথেষ্ট কারণ বলতে কোন কোন কারনকে যথেষ্ট কারন বলা যেতে পারে তেমন কিছুই বলা নেই। তবে উচ্চ
আদালতের নজিরের মাধ্যমে অসুস্থতাকে যথেষ্ট কারন বলা যেতে পারে।
আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী তামাদি মওকু ফ তামাদি মওকু ফ
সে ক্ষেত্রে তামাদির মেয়াদ বৃদ্ধি করা যেতে পারে তখন এই ব্যবস্থাকেই আইনের ভাষায় বিলম্ব মওকু ফ বলে। বিলম্ব মওকু ফ
করা হলে তামাদির কারণে বারিত মোকদ্দমা গৃহীত হতে পারে।
যে সকল কারণে সাধারণত তামাদি মওকু ফ পাওয়া যেতে পারে। তা নিচে দেওয়া হলো-
ক) আদালতের আদেশ দ্বারা বিভ্রান্ত হওয়া
খ) জাবেদা নকল;
গ) সরল বিশ্বাসের ভু ল;
ঘ) ভু ল আদালতের মামলা দাখিল;
ঙ) অফিসের ভু ল;
চ) ভু ল পরামর্শ;
ছ) বাদীর কারগারে থাকা;
জ) প্রাকৃ তিক দূর্যোগ;
ঝ) কোর্ট ফির অপ্রতু লতা;
ঞ) বাদীর অসুস্থতা
ট) কৌশলীর ভু ল;
ঠ) রায বা ডিক্রীর সার্টি ফাই কপিতে ভু ল
ড) আইনের অজ্ঞতা
ঢ) তামাদি সময় গননায় ভু ল হলে।
ণ) মৃত্যু
এসকল কারণে সাধারণত তামাদি মওকু ফের দরখাস্ত করা যায়। যদি এসকল কারণ আদালতের নিকট যথেষ্ট কারণ বলে
বিবেচিত হয়।
Limitation act for banker
e¨vsK
KZ…©K cÖ`Ë F‡Yi cÖK…wZ, kZ© I F‡Yi
RvgvbZ MÖn‡bi c×wZi Dci wbf©i K‡i gvgjv `v‡q‡ii Rb¨
µwg F‡Yi aib KwZcq †gqv`t gvgjv `v‡q‡ii ‡gqv`
K
1. wW wc †bv‡Ui wecix‡Z wW wc †bvU m¤úv`‡bi ZvwiL
n‡Z 03 eQi
2. A¯’vqx IfviWªvd&U A¯’vqx IfviWªvd&U cÖ`v‡bi
ZvwiL n‡Z 03 eQi
3. ¯’vqx m¤úwË e܇Ki wecix‡Z eÜK `wjj m¤úv`‡bi ZvwiL n‡Z
(GKKvjxb) 12 eQi
4. ¯’vqx m¤úwË e܇Ki wecix‡Z wKw¯Í †Ljv‡ci ZvwiL n‡Z 03
(wKw¯Í‡Z) eQi
5. wmwm (nvB‡cv.) †gqv` DËx‡Y©i ci n‡Z 03 eQi
6. wmwm (†cøR) †gqv` DËx‡Y©i ci n‡Z 03 eQi
7. wej µq †gqv` DËx‡Y©i ci n‡Z 03 eQi
Limitation act for banker
cÖ`Ë
F‡Yi †gqv` DËx©‡bi ci e¨vsK KZ…©K gvgjv
`v‡q‡ii Rb¨ wba©vwiZ mgq t
3. F‡Yi
¯^xK„wZ ev `vq ¯^xKvi t †gqv` DËx©b nevi c~‡e© FY MÖwnZvi
wjwLZ I ¯^vÿwiZ c‡Îi gva¨‡g `vq cwi‡kva Gi wbtkZ© A½xKvi Ki‡j
¯^xKv‡ivw³i ZvwiL n‡Z Zvgvw`i bZzb †gqv`Kvj m¤úªmvwiZ nq|
কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ধারা : বৈধ অপারগতা
উপধারাঃ
(1) যেই সময় হতে তামাদির মেয়াদ গণনা করতে হবে, সেই সময় দরখাস্ত দাখিলের অধিকারী ব্যক্তি
নাবালক, উন্মাদ বা জড়বুদ্ধি থাকে, সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি তার উপরি উক্ত অপারগতার অবসান
হবার পর ১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধির ৪৮ ধারায় বর্ণিত যেই মেয়াদের মধ্যে সে তা করতে
পারতো, সেই মেয়াদের মধ্যে মামলা বা কার্যধারা দায়ের কিংবা দরখাস্ত দাখিল করতে পারবে
(2) যেক্ষেত্রে অনুরূপ কোনো ব্যক্তি, যেসময় হতে তামাদির মেয়াদ গণনা করতে হইবে, সেই সময় উপরে
বর্ণিত যেই কোনো দুইটি অপারগতার অবসান হবার পূর্বেই সে আরেকটি অপারগতায় পতিত হয়,
সেক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি তার উভয় অপারগতার অবসান হবার পর মামলা বা কার্যধারা দায়ের কিংবা
দরখাস্ত দাখিল করতে পারবে
কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ধারা :একটি অক্ষমতা শেষ হবার পূর্বে আরেকটি অক্ষমতা শুরু হলে ঐ
ব্যক্তি তামাদি আইনের কি কি সুবিধা পাবে:
১৯০৮
সালের ৬ ধারার বিধান মতে অক্ষমতার জন্য যে সমস্ত সুবিধা পাবে তা নিম্নরুপ:
(3) অত্র আইনের ৬(২) উপধারায় বলা হযেছে যে যখন কোন ব্যক্তি ডিক্রী জারির বা দরখাস্ত দাখিলের জন্য অধিকারী হয় এবং যে সময়
থেকে তামাদির মেয়াদ গণনা করা হবে সেই সময় ঐ ব্যক্তি নাবালক পাগল বা নির্বোধ থাকে তবে সেই ব্যক্তি আইনগত অক্ষমতা অবসান
ঘটার পর অত্র আইনের ১ম তফসিলের তৃ তীয় অনুচ্ছেদ বা ১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধির ৪৮ ধারার উল্লেখিত সময় বাদ দিয়ে
(4) অত্র আইনের ৬(১) উপধারায় বলা হয়েছে যে যখন কোন ব্যক্তির একটি আইনগত অক্ষমতার অবসান ঘটাবার পূর্বেই আর একটি
আইনগত অক্ষমতা শুরু হয় তবে অনুরুপ ব্যক্তি উভয় আইনগত অক্ষমতার অবসান ঘটার পর তামাদি মেয়াদ গণনা শুরু হবে। ধারা
৬(১) উপধারা তামাদি মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মামলা করার সুযোগ থাকবে।
(5) উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় যে, নাবালক থাকা কালে মেহেদী একটি মামলা করার অধিকার লাভ করে। সে সাবালকত্ব হওয়ার পূবেই
পাগল হয়ে যায়।এই ক্ষেত্রে মেহেদীর নাবালকত্ব ও পাগল অবস্থায় অবসান এর তারিখ হতে তার তামাদির সময় গণনা করতে হবে।
একটি অক্ষমতা শেষ হবার পূর্বে আরেকটি অক্ষমতা শুরু হলে ঐ
ব্যক্তি তামাদি আইনের কি কি সুবিধা পাবে:
কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ধারা :
ধারা-৬:
উপধারাঃ
৬(৩) উপধারায় বলা হয়েছে যে, যদি উক্ত ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত আইনগত অক্ষমতা অব্যাহত
থাকে সে ক্ষেত্রে তার আইনগত প্রতিনিধি উপরে উল্লেখিত একই সময়ের মধ্যে মামলা বা
দরখাস্ত পেশ করতে পারবে।
(6) যেক্ষেত্রে অনুরূপ কোনো ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত তার অপারগতা অব্যাহত থাকে, সেক্ষেত্রে তার
আইনানুগ প্রতিনিধি ঐ ব্যক্তির মৃত্যুর পর অপারগতা না থাকলে উপরে বর্ণিত যেই
মেয়াদের মধ্যে তা করা যেত, সেই মেয়াদের মধ্যে মামলা দায়ের কিংবা দাখিল করতে
পারবে।
(7) যেক্ষেত্রে উপরোক্ত ব্যক্তির মৃত্যুর তারিখে তার আইনানুগ প্রতিনিধি অনুরূপ কোনো
অপারগতায় পতিত হয়, সেক্ষেত্রে (১) ও (২) উপধারায় বিধৃত বিধানসমূহ প্রযোজ্য হবে।
একটি অক্ষমতা শেষ হবার পূর্বে আরেকটি অক্ষমতা শুরু হলে ঐ ব্যক্তি তামাদি আইনের কি কি সুবিধা পাবে:
(8) ৬(৪) উপধারায় বলা হয়েছে যে, যদি মৃত ব্যক্তির প্রতিনিধি ও আইনগত অক্ষমতা থাকে সেক্ষেত্রে অত্র আইনে
৬(১) এবং ৬(২) উপধারা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবে।
(9) উল্লেখ্য যে মামলা করার কারণ ঘটলে একমাত্র জীবিত ব্যক্তির অনুকূ লেই তামাদি আইনের ৬ ধারায় বিধি
বিধান মতে সময় বৃদ্ধি করা যায়। কিন্তু যে ব্যক্তির কোন অস্তিত্ব নাই সেই অজ্ঞাত ব্যক্তি উপরোক্ত ধারা সুবিধা পাবে না।
কিন্তু গর্ভ স্থ শিশু তামাদি আইনের ৬ ও ৮ দারার সুবিধা পেতে পারে। (ডিএল আর ১৫২০)
(10) আইনগত অক্ষমতার দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তি অক্ষমতার সময় তামাদির সময় সীমা নির্ধারনের ক্ষেত্রে অব্যাহতি
পাবার অধিকারী কিন্তু তাই বলে এই ধারাটি সাবালকত্ব অর্জ নের পূর্বে নাবালককে মামলা করার জন্য প্রতিবন্ধকতা
সৃষ্টি করেন।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে অক্ষম ব্যক্তির সুবিধাগুলো অলোচনা করা যায়।
কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ধারা :
যেক্ষেত্রে কতিপয় ব্যক্তি মামলা বা কার্যধারা দায়ের করার অথবা ডিক্রী জারির জন্য
দরখাস্ত দাখিলের অধিকারী এবং তাদের একজন উপরোক্ত প্রকারের অপারগতা এবং
তার সম্মতি ছাড়াই দায়মুক্ত করা চলে, সেক্ষেত্রে তাদের সকলের প্রতিকূ লেই তামাদির
মেয়াদ অতিবাহিত হতে থাকবে ।
কিন্তু, যেক্ষেত্রে অনুরূপভাবে দায়মুক্ত করার যোগ্যতা অর্জ ন না করা পর্যন্ত অথবা
উপরোক্ত অপারগতার অবসান না হওয়া পর্যন্ত দায়মুক্ত করা চলে না, তখন তাদের
কারও প্রতিকূ লে তামাদির মেয়াদ অতিবাহিত হবে না ।
কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ধারা :
ধারা-৯ (সময়ের অবিরাম চলন/Continuous running of time) :
একবার তামাদির মেয়াদ অতিবাহিত হতে আরম্ভ হলে পরবর্তী কোনো অপারগতা বা অক্ষমতার দ্বারা তা
বন্ধ হবে না । একবার তামাদির মেয়াদ উত্তীর্ণ হতে শুরু হলে তত্পরবর্তী মামলা দায়েরের কোনো
অযোগ্যতা বা অক্ষমতা তা রোধ করতে পারবে না, কোনো অজুহাতেই তামাদি এড়ানো যাবে না ।
তামাদি আইনের বিধান একটা চলমান প্রতিবন্ধকতা
উপধারা-
(1)কোনো মামলা আপিল বা দরখাস্তের জন্য নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ গণনা করতে, যেদিন
হতে উক্ত মেয়াদ গণনা করতে হবে সেদিন বাদ দিতে হইবে ।
কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ধারা :
ধারা-১২
উপধারা-
(২) কোনো আপিল, আপিলের অনুমতির দরখাস্ত অথবা রায় পুনরীক্ষণের দরখাস্তের জন্য নির্ধারিত
তামাদির মেয়াদ গণনা করতে, যেই রায় সম্পর্কে অভিযোগ করা ইবে, তাহা যেদিন ঘোষণা করা
হয়েছে, সেদিন এবং যে ডিক্রী, দন্ডাদেশ বা আদেশ সম্পর্কে আপিল করা হবে/ পুনরীক্ষণের
প্রার্থনা করা হবে, তার নকল গ্রহণ করতে যেসময় আবশ্যক, তাহা বাদ দিতে হবে ।
(৩) যে ক্ষেত্রে ডিক্রী সম্পর্কে আপিল বা পুনরীক্ষণের প্রার্থনা করা হয়, সেক্ষেত্রে উক্ত ডিক্রী যে
রায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত, সেই রায়ের নকল নিতে যে সময় লাগে, তাও বাদ দিতে হবে ।
কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ধারা :
ধারা-১৫। কার্যক্রম স্থগিত থাকাকালীন সময় বাদ দিতে হইবে
উপধারা-
(1) যেই মামলা বা ডিক্রী জারির দরখাস্ত দায়ের বা জারি কোনো নিষেধাজ্ঞা বা আদেশ দ্বারা
স্থগিত রাখা হয়েছে, তার জন্য নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ গণনার সময়, যতদিন উক্ত
নিষেধাজ্ঞা বা আদেশ বলবত্ ছিল, যেদিন তা প্রদত্ত হয়েছিল এবং যেদিন তা প্রত্যাহার
করা হয়েছিল, তা বাদ দিতে হবে।
(2) যেই মামলার জন্য বর্ত মানে বলবত্ অন্য কোনো আইনের বিধান অনুসারে নোটিশ
দেওয়া হয়েছে, তার জন্য নির্ধারিত মেয়াদ গণনায় নোটিশের কাল বাদ দিতে হবে।
ধারা-১৬। ডিক্রী জারির বিক্রয় রদ করার কার্যধারা মূলতবী থাকাকালীন সময় বাদ
দিতে হবে
কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ধারা :
কোনো সম্পত্তি দখল প্রাপ্তির জন্য মামলা দায়ের করার ব্যাপারে এ আইনে যে মেয়াদ নির্ধারিত করে
দেয়া হয়েছে, তা উত্তীর্ণ হবার পর সে সম্পত্তিতে বাদীর অধিকার বিলুপ্ত হয়ে যবে
বিরুদ্ধ-দখলের মাধ্যমে একটা সম্পত্তি বৈধ স্বত্ব অর্জি ত হতে পারে । বিরুদ্ধ উপাদানগুলি হলো :
(০১) বাদীর বৈধ স্বত্ব ও অধিকারের উপর ‘বিরুদ্ধ-দখল’ প্রতিষ্ঠিত হতে হবে ।
(০৩) জবর-দখলজনিত কারণে বেদখল সংঘটিত হতে হবে । বেআইনীভাবে দখল বা জবর-দখল
সংঘটিত না হলে, ‘বিরুদ্ধ দখল’ প্রতিষ্ঠিত হবে না । মামলা
কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ধারা :
(6) বেদখল হবার সময় হতে ১২ বত্সরের মধ্যে ঐ সম্পত্তিতে দখল পুনরুদ্ধারের জন্য মামলা না করলে
বিবাদীর অনুকূ লে স্বত্ব অর্জি ত হবে।
(7)বিবাদীকে জবর-দখল পূর্বক সম্পত্তিটি দখলে রাখার চেষ্টায় লিপ্ত থাকতে হবে ।
(৮)সম্পত্তির দখল নিরবচ্ছিন্ন, প্রকাশ্যে এবং প্রকৃ ত মালিকসহ অন্যান্য সকলের বিরুদ্ধে অভিহিত করা
হয়ে থাকে ।
(১০)বাদীর স্বত্ব অস্বীকারে জবর-দখলকারীকে নিজের দাবিতে জমিতে দখল থাকতে হবে।
কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ধারা :
(১১) আইনসম্মতভাবে প্রথম হতে বৈধ-দখল আরম্ভ হলে, পরে কোনো অবস্থাতেই
বিরুদ্ধ দখলের উত্থাপন করা যাবে না।
(১২) বিরুদ্ধ-দখলের কারণে, বিবাদীর স্বত্বের উদ্ভব হবে এবং বাদীর স্বত্ব নিঃশেষ হবে ।
(1) এই আইনের কোনো বিধান ১৮৭২ সালের চু ক্তি আইনের (১৮৭২ সালের ৯ নং আইনে) ২৫ ধারাকে
প্রভাবিত করবে না (ধারা ২৫ অনুসারে প্রতিদান অর্থাৎ অর্থের বিনিময় না হলে তা কখনই চু ক্তি
হিসেবে বিবেচিত হবে না। অর্থের বিনিময় থাকতেই হবে হোক না তা সামান্য বা আংশিক। তবে,
গিফট, উইল ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রতিদান না থাকলেও তা চু ক্তি হিসেবে বিবেচিত)
২০০৩ সালের অর্থঋণ আদালত আইন তামাদি আইনে বিধান প্রযোজ্য নয়। অর্থঋণ আদালত
আইন ও তামাদি আইন দুটিই বিশেষ আইন এবং ওই আইনেই তামাদির মেয়াদকাল উল্লেখ করা
হয়েছে। তবে আইনদ্বয়ের ক্ষেত্রে তামাদি আইনের ১২ ধারার কিছু প্রতিকার পাওয়া যায়। অর্থাৎ
আপিল বা রিভিশন দায়েরের ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা তামাদি আইন মতে পাওয়া সম্ভব।
কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ধারা :
বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ মোতাবেক কোনো মামলা দায়ের হলে এবং পরবর্তীতে
মামলা বিচারকালীন সময়ে যে কোনো আদেশ বা রায় উভয়ের বিরুদ্ধেই আপিল করতে
হবে। ওই আপিল করতে হবে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩০ ধারা মোতাবেক আদেশ ও
রায়ের ৩০ দিনের মধ্যে । এ ক্ষেত্রে বিলম্ব হলে কোনোক্রমেই বিলম্ব মওকু ফের জন্য
তামাদি আইনের 0৪ ধারার সুবিধা পাওয়া যাবে না । যা তামাদি আইনের ২৯(২) ধারায়
পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।'